শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগের শোক মিছিল কর্মসূচি স্থগিত

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৫ আগস্ট, ২০২৪ ১১:৩৬

দেশব্যাপী কারফিউ চলায় আওয়ামী লীগের পূর্ব নির্ধারিত শোক মিছিল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতাও স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। গতকাল রোববার (৪ আগস্ট) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

গত শনিবার (৩ আগস্ট) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন।

ওইদিন ওবায়দুল কাদের জানান, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওইদিন আরও বলেন, একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অন্যদিকে আমরা কোনোরকম মুখোমুখি অবস্থানে জড়াতে চাই না। সে কারণে আমরা সংঘাত হতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম আমরা এড়িয়ে চলেছি। রোববার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত এবং বাংলাদেশের সকল জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত। আর ৫ আগস্ট আমরা আমাদের সেই কর্মসূচি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করব।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মসূচিতে এ কর্মসূচি স্থগিত করলো ক্ষমতাসীনরা। একইসঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতাও স্থগিত করা হয়েছে।

বিষয়:

সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে প্রশাসন ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ পরিচালনায় ব্যর্থ

বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

দুই মাসের জন্য সেনাবাহিনীকে দেওয়া বিচারিক ক্ষমতার বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করতে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে জেলা বিএনপির আয়োজনে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ অনুরোধ জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেরিয়াল পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। তার মানে এই প্রশাসন ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ মেইন্টেইন (পরিচালনা) করতে পারছে না। আমি মনে করে সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেই সব এলাকায় দেওয়া দরকার যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু যেসব এলাকাগুলো শান্তিপূর্ণ আছে, স্থানীয় রাজনীতিক নেতা-কর্মীরা সমস্ত বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন সেই সব এলাকাতে মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা ঠিক হবে না।’

তিনি বলেন, আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করব তারা বিষয়টি পুনঃবিবেচনায় নেবেন এবং তারা কখনোই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষের জন্য অসুবিধা হবে। আমি কথাটা স্পষ্ট করে বলছি কারণ এটি বলার দায়িত্ব আমার।

তিনি আরও বলেন, আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে ত্যাগ স্বীকার করছি, মার খাচ্ছি জেলে যাচ্ছি, শুধু মাত্র ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আমরা এখন সবাই আশাবাদী হয়ে উঠেছি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যারা এই জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্টন তৈরি হবে।

সাংবাদিকদের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে মির্জা ফখরুল আহ্বান করে জানান, সব দিক বিবেচনা করে সত্যিকার অর্থে যেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই।গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই। মানুষের ওপর যেন অন্যায় অত্যাচার না হয়। শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য আর যেন শিশুদের গুলি করে হত্যা না করা হয়। আমি জানি আমার কথা অনেকের মন মতো নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। তাই আমি উচ্চারণ করে বলছি যে আপনারা সে কাজগুলো করেন যাতে একটা সংঘাতহীন ভবিষ্যৎ, সন্ত্রাসমুক্ত ভবিষ্যৎ এবং মানুষের অধিকারযুক্ত ভবিষ্যৎ আমরা দেখতে পারি। আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক অবস্থায় ফিরে আসা, রাজনীতিবিদদের রাজনীতি কাজ করতে দেওয়া একমাত্র সমস্যার সমাধান।

আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্বজনদের শেখ হাসিনার বিচার দাবির কথা শুনে মির্জা ফখরুল বলেন, এ অনুষ্ঠানটা আমার জন্য অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে গিয়ে এখানে অনেকেই চোখ হারিয়েছেন, পা কেটে ফেলতে হয়েছে। অনেকে তাদের আপনজন হারিয়েছেন। আমরা ৭১’ এ যুদ্ধ করেছিলাম বিদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু ২০২৪ আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে এ দেশের সরকারদলীয় লোকদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা একটি রাজনৈতিক দল। আমরা এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় নাই। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার সবার সম্মতিতে গঠিত হয়েছে তারা চেষ্টা করছে অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়গুলো বিচার করার। বিশেষ করে শেখ হাসিনা যার নির্দেশে অতীতে ও বর্তমানে এত খুন হয়েছে।

এসময় তিনি আন্দোলনে নিহত ও আহতদের তালিকা ও তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানান এবং আহত ও নিহতদের পরিবারের মাঝে ১৫ লক্ষ্য নগদ অর্থ তুলে দেন।


ক্রমান্বয়ে স্বৈরাচারের নিত্য নতুন অপকর্ম ফাঁস হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আস্তে আস্তে স্বৈরাচারের নতুন নতুন অপকর্মের তথ্য ফাঁস হচ্ছে। তারা ক্যান্টনমেন্টের ভেতর আয়না ঘর বানিয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আজমীকে সেখানে রেখেছিল।

আজ বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের মাদ্রাসা মাঠে ‘সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় গণঅভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম হাস্য রসোচ্ছলে বলেন, ওবায়দুল কাদের নাকি পালাবেন না। এখন তিনি কোথায়, আসেন আমার বাসায় নাকি আশ্রয় নেবেন?

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আমাদের আমানত, এই আমানত আমাদেরকে জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের দুর্গাপূজা যেন উৎসবের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে, তা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যদি আওয়ামী লীগের মতো আচরণ শুরু করি, তাহলে কি আমরা টিকতে পারবো? হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তারা আমাদের আমানত, আমরা যেন তার খেয়ানত না করি।

দুর্গাপূজার সময় হিন্দু সম্প্রদায় যেন উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব সম্পন্ন করতে পারে, সেজন্য তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো উপস্থিত থেকে দুর্গোৎসব নিশ্চিত করারও আহবান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫/ ১৬ বছরে আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা তীব্র ছাত্র-গণবিক্ষোভের মুখে হেলিকপ্টারে করে পালিয়েছে। এর থেকে প্রমাণ হয়, সীমালঙ্ঘন করলে তার রক্ষা নাই। তিনি এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের বাণির উল্লেখ করে বলেন, যারা দাপট দেখিয়ে শাসন করতো, তাদের প্রধান ভারতে পালিয়েছে। যারা আমাদেরকে জেলে দিত, তারাই এখন জেলে ঢুকছে। আমরা শিক্ষা নেই, আল্লাহর নির্দেশের বাইরে কিছু সম্ভব না।

বিএনপি মহাসচিব দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রশাসনের যারা ভালোভাবে কাজ করতে চান, তাদেরকে সবাই মিলে সাহায্য করুন। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী তারেক জিয়া আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন, আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যে বিজয় এসেছে, তা হেলায় হারাবেন না।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মহাসচিব বলেন, আমরা যদি আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করি, তাহলে আমাদের এ বিজয়ের সমস্ত সুফল আমরা হারিয়ে ফেলবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা ভালো প্রতিবেশীর মতো থাকতে চাই, কিন্তু অন্যায় হলে আমরা প্রতিরোধ করতে পিছপা হবো না। তিনি সবশেষে ধানের শীষের কথা সবাইকে মনে করিয়ে দেন।

হরিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরীফ হোসেন, ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালামসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

বিষয়:

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। পুরোনো ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যেন দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। দেশ সংস্কারের পরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজিত রাজাপুর ভূঁইয়ার হাটে বন্যা দুর্গতদের জন্য আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। আপনার কাছে আহ্বান করছি, যারা গত ১৫ বছর ধরে গুম, খুন ও লুটপাটে জড়িত ছিল, তাদের বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, দুঃখ-কষ্টের মাঝেও এখন আপনাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। কারণ, এখন আপনারা স্বাধীন। এখন আপনারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন। স্বাধীনভাবে চলাচল পারেন। এখন আর কারো কতৃত্ব নেই। ফ্যাসিবাদের শাসন ব্যবস্থা নেই। হামলা-মামলার ভয় নেই। তবে আইনকে কোনোভাবেই হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

এ সময় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

চিকিৎসা শেষে আজ বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে আজ নিজ বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে ফিরবেন তিনি।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

এর আগে গত ১২ আগস্ট খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল নেওয়া হয়। কিডনি জটিল, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।


ইসলামের আদর্শ ছাড়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়: চরমোনাই পীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামের আদর্শ ছাড়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘ইসলামী দল ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে– অনেকেই এমন অপপ্রচার করছেন। তাদের চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, ইসলামী দল ক্ষমতায় গেলে দেশ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদমুক্ত হবে।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজ মঙ্গলবার ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘ইসলামের আদর্শ ছাড়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। দেশের মানুষ জান-মালের নিরাপত্তা সহকারে নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারবে। মানুষ কোরআনের পথে ফিরে এলে বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন ও বসবাসযোগ্য নিরাপদ রাষ্ট্র।’

চরমোনাই পীর বলেন, ‘সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীতি ও আদর্শবান মানুষ তৈরির বিকল্প নেই। আর নীতি ও আদর্শবান মানুষ তৈরির লক্ষ্যেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

কনফারেন্সে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান প্রমুখ।


জাতিসংঘ তদন্তকারী দলের কাছে অভিযোগ দেবে আ.লীগ

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের তদন্তকারী দলের কাছে অভিযোগ দেবে আওয়ামী লীগ। দলটি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় দলটির কার্যালয়, নেতা-কর্মী ও তাদের বাড়ি-ঘর, কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে দলীয়ভাবে অভিযোগ জমা দেবে আওয়ামী লীগ।

আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সভাপতি শেখ হাসিনা। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলনে সারা দেশে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় দলটির কার্যালয়, নেতা-কর্মী ও তাদের বাড়ি-ঘর, কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত করতে দেশে এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার অনুসন্ধান দল। তাদের কাছে দলীয়ভাবে অভিযোগ জমা দেবে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করা পোস্টে বলা হয়, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তথ্য অনুসন্ধান টিম এখন বাংলাদেশে। তারা ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করবে এবং গোপনীয়তা রক্ষা করবে।’

এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা জানিয়ে বলা হয়, ‘আপনার বা আপনার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিবরণ লিখে থানায় অভিযোগ দিন। অভিযোগ না নিতে চাইলে সাধারণ ডায়েরি করুন। যদি সাধারণ ডায়েরিও করতে না দেয় আমরা জাতিসংঘের তদন্ত টিমের কাছে দলীয়ভাবে অভিযোগ দেব।’

অভিযোগ দেওয়া বা সাধারণ ডায়েরির আপডেট দলীয় মেইলে [email protected] জানাতে অনুরোধ করা হয়। আওয়ামী লীগ সব ঘটনার তদন্ত ও বিচারের দাবি করছে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে আন্দোলন শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে, যা রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলন মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ওপর দমন পীড়নের অভিযোগ ওঠে। যাতে প্রাণ হারায় প্রায় হাজার খানেক মানুষ। যাদের অধিকাংশই গুলিতে মারা যান। সে সময় অভিযোগ ওঠে তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করেছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা ওই দিনই ভারতে চলে যান। শেখ হাসিনার ভারত যাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন বিক্ষুব্ধরা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডিতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এবং দলটির নেতা কর্মী ও তাদের বাসা-বাড়ি-কার্যালয়ে হামলা করেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

বিষয়:

গণতন্ত্র লুট করার চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে: মির্জা ফখরুল

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে বিএনপি ও দেশের জনগণের ওপর স্ট্রিম রোলার চালিয়ে গেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু কেউ গণতন্ত্রকে লুট করার চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হবে।

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন মুক্ত বাতাসে আমরা সমাবেশ করার, কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি। অনেক ত্যাগ তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। কেউ গণতন্ত্রকে লুট করার চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হবে। বর্তমান এ সরকারের মধ্যেও অনেক ফ্যাসিবাদের লোক বসে আছে, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন গণতন্ত্র নসাৎ করতে না পারে।

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে দুপুরের আগেই রাজধানীর নয়াপল্টনে জনতার ঢল নামে। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। নয়াপল্টন প্রকম্পিত করে তোলেন তারা। বিএনপির নেতাকর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করেন অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ। আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।


অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভারচুয়ালি যুক্ত হয়ে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব কার্যক্রম মনঃপূত না হলেও তাদের ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে’ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ‌ বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, এই মাফিয়া চক্র দেশকে সম্পূর্ণ ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। দেশকে আমদানিনির্ভর ও পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়া চক্র দেশের ব্যাংকগুলো পর্যন্ত দেউলিয়া করে দিয়েছে।

বিগত ১৫ বছর ছিল মাফিয়া চক্রের দখলে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মাফিয়া চক্র শুধু অর্থনীতিকে ধ্বংস করেনি, তারা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। একটা দেশ কতটুকু সভ্য, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণে ফুটে ওঠে।

‘মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের চক্রটি প্রশাসনে এখনও সক্রিয়’ মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণ-অভ্যুত্থান ছিল ব্যতিক্রম। মানুষের প্রথম কাজই হবে ভোটার আড়াই কোটি বেড়েছে। কিন্তু তারা কেউ ভোট দিতে পারেননি। বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের অর্ধেক নারী ও তরুণ প্রজন্মকে রেখে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ দেশকে দেউলিয়া করে দিয়ে পরনির্ভরশীল করে দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশ ১০০ বিলিয়ন ঋণে জর্জরিত। যে সন্তান আজকে দেশে জন্ম নিচ্ছে তার মাথায় দেড়লাখ টাকার ঋণ নিয়ে জন্ম নিতে হচ্ছে। স্বৈরাচারের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যাত্রার জন্য আরও কিছু সময় পাড়ি দিতে হবে। এজন্য সন্ত্রাস নয় বরং ধৈর্য ধরতে হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। জনগণের সরকার না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তবে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া সংস্কার টেকসই হয় না।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন, রাখবেন। তবে কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতাও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়।

সুতরাং, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান টার্গেটও হওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্র ক্ষমতার হাত বদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের সমন্বয় করছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল। সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্য সচিব আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন।


খালেদা জিয়া পালাননি, পালিয়েছেন শেখ হাসিনা: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া তার কর্মীদের জন্য দেশে থেকে গেলেন। তিনি পালান নাই। পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এ দেশ আমার, মাটি আমার, বাইরে আমার কেউ নাই, আমি বাইরে যেতে পারব না।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। কিন্তু হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে ভারতে পালিয়ে গেছেন। আবার বলে হুট করে চলে আসবেন। কিন্তু আপনি আমাদের যেভাবে জেলে রেখেছেন সেভাবে আমরা আপনাকে জেলে রাখব না, শুধু বিচার করব।

তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে কিছু সেলিব্রেটি নেতা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গত ১৭ বছরে ৩৪ বার জেলে গিয়েছি। কতবার কোর্টে গিয়েছি, কখনো কেউ মারেনি। বীরের বেশে জেলে গিয়েছি। কিন্তু আজকে আওয়ামী লীগের এ সকল সেলিব্রেটি নেতারা গ্রেপ্তার হয়ে কোর্টে গেলেই মার খাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা অনেকবার বলেছিলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেন। শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম আমাদের কথা শোনেন। কিন্তু আমাদের কথা শুনলেন না তিনি। শুনলেন দাদাবাবুদের কথা। যদি আমাদের কথা শুনতেন, তাহলে জনগণের এত ক্ষোভ হতো না, এভাবে পালাতে হতো না। এখন বলেন, সীমান্তের ওপারেই আছি। আরে আসেন না।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে দলের নেতারা কর্মীদের রেখে পালিয়ে যায় সেই দল কইরেন না। আর একটি কথা বলতে চাই, যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন, যিনি মাত্র ১৫ দিনে ৯০০ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, গুম করেছে—এই সিরিয়াল কিলার শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছেন, ফোনও দিয়েছেন, কান পেতে শোনেন, যদি ঢাকা শান্তিতে না থাকে, দিল্লিও শান্তিতে থাকতে পারবে না। কীভাবে তা করতে হয়, আমরা তা ভালো করে জানি।

বিএনপি সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামল ও বিএনপির এক কথা নয়। একজন গুণী ব্যক্তি আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশে একটি তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন আছে। আমি এই কথার অর্থ বুঝতে পারছি না, এতে করে আপনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন সরকারের চেয়ারে বসে। কিন্তু আমি বলতে চাই, যত খুশি রাজনৈতিক দল প্রয়োজন নতুন করে খুলুন, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল খোলার কথা বলে আজীবন ক্ষমতায় বসে থাকবেন বা নির্বাচন দিতে দেরি করবেন সেটা মেনে নেওয়া হবে না। সংস্কারের জন্য যা সময় প্রয়োজন তা আমরা দিতে রাজি আছি। কিন্তু জরুরি সংস্কারের পর নির্বাচন অবশ্যই দিতে হবে।


ইসিতে নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন এই দলটিকে আজ মঙ্গলবার নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি সচিবালয়। তাদের নিবন্ধন নম্বর ৫৩। দলীয় প্রতীক ‘মাথাল’।

নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম আজ মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে দলটির নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেন।

শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত নিবন্ধন-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে।

জানা গেছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। তবে তখন ইসি নিবন্ধন দেয়নি। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

একই দিনে দলটির বিষয়ে কারও কোনো দাবি আপত্তি রয়েছে কি না, সে জন্য ৬ দিনের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব। আজ গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিল ইসি।

বিষয়:

বিএনপির সমাবেশে জনতার ঢল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনতার ঢল নেমেছে। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত পুরো এলাকা। তারা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে।

এর আগে আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপির উপ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, বেলা আড়াইটায় ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজার কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়েছে।

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনের সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। আর সমাবেশ মঞ্চে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের উদ্যোগে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিএনপির দলীয় সংগীত ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ‘সহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করতে দেখা গেছে।

সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার বক্তব্য দেখানোর জন্য সমাবেশ মঞ্চ ও নাইটিঙ্গেল মোড়ে লাগানো হয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

বিষয়:

দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ, প্রধান অতিথি তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শোভাযাত্রা ও সমাবেশ কর্মসূচী পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল (বিএনপি)। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে সমাবেশ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। বিভাগীয় শহরগুলোর শোভাযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সমাবেশটি হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছিল বিএনপি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণ করা হয়। গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বিষয়:

জাতিসংঘের স্থানীয় প্রতিনিধির সঙ্গে জাপা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিস গাইউন লুইসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে গুলশানে জাতিসংঘের স্থানীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতিসংঘের স্থানীয় প্রতিনিধি।

আন্তরিকতাপূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য জাতিসংঘের প্রতিনিধির প্রতি ধন্যবাদ জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। এ সময় জিএম কাদেরের সঙ্গে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা উপস্থিত ছিলেন।


banner close