নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফল নেতৃত্ব দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সারিয়ে তুলবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পঙ্গু হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, আন্দোলনে যারা শরিক হয়েছিলেন, তার মধ্যে অসংখ্য ছাত্র ও নাগরিককে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। শুধু কি তাই? হাজার হাজার আহত হয়েছেন। আজ আমরা হাসপাতালে এসেছি যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে দেখতে। এই হাসপাতালে আমরা একটা তালিকা পেয়েছি সেখানে দেখলাম ৮ জুলাই থেকে পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত ছয়শজনের বেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এই হাসপাতালই নয়, অসংখ্য হাসপাতালেই এরকম চিত্রই দেখা যাবে। ছাত্ররা দেশের কল্যাণে মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করেছে, তা দেখে আমি অভিভূত।
তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে যে দৃশ্য দেখেছি সেটি দেখার মতো নয়। ছোট ছোট বাচ্চারা, একেবারে শিশু তারাও গুলিবিদ্ধ হয়ে ইনজুরড হয়েছে। শ্রমিকরা এখানে ভর্তি হয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন এই ইনজুরিগুলো হয়েছে। এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাই না।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, যে ভয়াবহ দানব সরকার আমাদের ওপর চেপে বসেছিল, তাদের পতন হয়েছে। আমাদের ছাত্রদের আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দল, নাগরিকদের মাধ্যমে তাদের পতন হয়েছে, তারা পালিয়ে গিয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সবাইকে স্যালুট ও অভিবাদন জানান মির্জা ফখরুল।
আহত সবাই সেরে উঠবেন এমন আশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা কথা বলেছি। সহযোগিতার কথা বলেছি।
ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি অভিভূত হয়েছি। ছাত্ররা দেশের কল্যাণে মানুষের জন্য কাজ করছেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে তারা অগ্রণী সেনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ডক্টর ইউনূস প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র ও গোটা জাতির পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে মনোনীত করা হয়েছে। তার মতো মানুষ সফল নেতৃত্ব দিয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সারিয়ে তুলবেন।
দীর্ঘ ১৭ বছর ৩ মাসের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঠিক দুপুর ১২টায় তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় যুগের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরলেন তিনি।
তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের যাত্রা শুরু হয়েছিল বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে। ‘বিজি-২০২’ ফ্লাইটে করে আসা এই দীর্ঘ যাত্রাপথে আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি প্রথমে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে সকাল ১১টা ৪ মিনিটে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় বিমানটি। অত্যন্ত আবেগঘন এই সফরে তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী একই ফ্লাইটে তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন।
প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে আজ সকাল থেকেই শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় ছিল সাজ সাজ রব। তাঁর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে আগে থেকেই একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর এলাকায় কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিমানবন্দরে নামার পর তারেক রহমান কিছুক্ষণ ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। এরপর তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সড়কপথে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ৩০০ ফিট এলাকায় সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে তিনি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন এবং বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, যেখানে তাঁর মা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘ সময় পর মায়ের শয্যাপাশে প্রায় এক ঘণ্টা কাটিয়ে তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯ নম্বর রোডের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরে বিশ্রাম নেবেন। দীর্ঘ দেড় যুগ পর পরিবারের বড় ছেলের এই ফিরে আসা এবং দলীয় প্রধানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে এক নজিরবিহীন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিতে এক নতুন ও শক্তিশালী বার্তা প্রদান করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের সিআইপি গেটে আনা হয়েছে বিশেষভাবে তৈরি একটি লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাস। এই বাসটিতে চড়েই তারেক রহমান বিমানবন্দর থেকে তাঁর পরবর্তী গন্তব্যগুলোতে যাতায়াত করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দৃষ্টিনন্দন এই বাসটির দুই পাশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি সাঁটানো হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাসের জানালাগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা কাচ।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারেক রহমান দুপুরে বিমান থেকে নামার পর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই বাসে করে সরাসরি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দেবেন। সেখানে কয়েক লাখ সমবেত নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে কিছু সময় কাটাবেন তিনি। পরিবারের বড় ছেলের এমন আবেগঘন ফেরা এবং নিরাপত্তার এই বিশেষ আয়োজন নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে পুরো বিমানবন্দর এলাকাকে একটি অভেদ্য দুর্গে পরিণত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরের প্রতিটি প্রবেশপথে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র নির্ধারিত যাত্রীদেরই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে এবং তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিএনপি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের কমতি রাখা হয়নি। মূলত একটি সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন করাই এখন সকলের প্রধান লক্ষ্য।
সিলেটে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে এখন রাজধানী ঢাকার পথে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। এর আগে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করলে সেখানে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই তারেক রহমান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে লেখেন— ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’ তাঁর এই স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করে।
লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টা) স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে এই ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করেছিলেন তারেক রহমান। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর তাঁর এই প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে সিলেট ও ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে এক নজিরবিহীন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে সিলেটে তাঁর আগমনের খবরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমান এবং মুহুর্মুহু স্লোগানে তাঁকে স্বাগত জানান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে দুপুর ১২টার দিকে তারেক রহমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে উপস্থিত লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে ইতিমধ্যে ৩০০ ফিট এলাকা ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বড় ধরনের চমক হয়ে এসেছে তাঁর পরিবারের প্রিয় পোষা বিড়াল ‘জেবু’। জাইমা রহমানের এই আদরের বিড়ালটির নামে একটি অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ চালু করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। হালকা ও রসাত্মক (স্যাটায়ার) ধাঁচের বিভিন্ন কনটেন্টে সাজানো এই পেজটি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও বিড়ালপ্রেমীদের মধ্যে দ্রুত সাড়া ফেলেছে।
বিএনপির কনটেন্ট জেনারেশন টিমের (সিজিটি) প্রধান সাইমুম পারভেজ নিশ্চিত করেছেন যে, এটিই জেবুর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ। সাইবেরিয়ান ব্রিডের দীর্ঘ লোমশ এই বিড়ালটি মূলত তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের প্রিয় পোষ্য। তবে এটি এখন পুরো পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি ছবিতে তারেক রহমানের মোবাইল ফোনের দিকে জেবুকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সেই থেকেই জেবুকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরনের বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
বিড়ালটির এই অভাবনীয় জনপ্রিয়তা নিয়ে তারেক রহমান নিজেই বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বিড়ালটি মূলত আমার মেয়ের। কিন্তু এটি এখন আমাদের সবার বিড়াল হয়ে গেছে। পরিবারের আমরা সবাই এটিকে খুব ভালোবাসি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানের পাশাপাশি জেবুও ঢাকায় অবতরণ করছে। লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটে করে জেবুর এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক মহলের বাইরেও সাধারণ মানুষের মাঝে এক ভিন্নধর্মী বিনোদন ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে জেবুকেও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার ৩০০ ফিট ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এক বিশাল জনসমাগম তৈরি হয়েছে। এই সংবর্ধনা সমাবেশে অংশ নিতে আসা লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। মূলত সমাবেশে আসা কারো হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা বা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩০০ ফিট এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোট ১৭টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় প্রস্তুত রাখা প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে একটি করে দক্ষ মেডিকেল টিম নিয়োজিত রয়েছে। যাতে কোনো নেতাকর্মী অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় এবং প্রয়োজনে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা যায়। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখা হয়েছে এবং সেগুলোর গায়ে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা’ সংবলিত স্টিকার লাগানো হয়েছে।
বিপুল এই জনস্রোত সামাল দিতে এবং কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এই সুশৃঙ্খল চিকিৎসাব্যবস্থা নেতাকর্মীদের মাঝে বাড়তি স্বস্তি যুগিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স চালক ও দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, সমাবেশের কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিশেষ মেডিকেল ইউনিটগুলো মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় থাকবে। সংবর্ধনাস্থলের বিশাল এলাকা জুড়ে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই উদ্যোগটি তারেক রহমানের আগমনী অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশেষে দেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেছেন। তবে তাঁর বিশেষ অনুরোধ ও নির্দেশনা রক্ষা করে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে কোনো ধরনের জনসমাগম বা শোডাউন করেননি যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিদায়বেলায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে না আসার যে আহ্বান তিনি জানিয়েছিলেন, তা যথাযথভাবে পালিত হয়েছে। রাজনৈতিক শৃঙ্খলার এই অনন্য নজিরকে সংশ্লিষ্টরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করেন এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন। ওই সভায় তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে, বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ভিড় হলে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি হতে পারে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঝুঁকি থাকে, যা দেশের জন্য সম্মানজনক হবে না। নেতার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নেতাকর্মীরা গতকাল বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন।
সরেজমিনে হিথ্রো বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালে দেখা গেছে, তারেক রহমান যখন স্ত্রী ও কন্যাসহ প্রবেশ করেন, তখন সেখানে সাধারণ যাত্রীদের বাইরে দলীয় কর্মীদের কোনো ভিড় ছিল না। উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশ ছিলেন সংবাদকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট ফ্লাইটের যাত্রী। যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ছাড়া দল বা অঙ্গসংগঠনের অন্য কোনো পরিচিত মুখকে সেখানে দেখা যায়নি। তারেক রহমানের এই সুশৃঙ্খল প্রস্থান নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের বিশেষ বার্তা প্রদান করেছে।
বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তাঁর সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, তাঁর বহনকারী বিমানটি প্রথমে সিলেটে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করবে এবং এরপর আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর তারেক রহমানকে বিমানবন্দরে বিশেষ মর্যাদায় বরণ করে নেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সেখান থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় অংশ নেবেন। দীর্ঘ সময় পর প্রিয় নেতাকে বরণ করতে সেখানে ইতিমধ্যে লাখো নেতাকর্মী সমবেত হয়েছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তাঁর চিকিৎসাধীন মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে। দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় পর পরিবারের এই মিলন এবং তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারা দেশে এক বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর, ৩০০ ফিট এলাকা ও গুলশানসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তার মাধ্যমে এই বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা জানানো হয়।
তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি-২০২’ ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হয়ে ইতিমধ্যে সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষ করেছে এবং বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। এই বিশেষ যাত্রায় তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ও দলীয় সংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হবে। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ সকালেই একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ি বিমানবন্দরে পৌঁছেছে, যা দিয়ে তিনি তাঁর পরবর্তী সকল কর্মসূচিতে যাতায়াত করবেন।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানবন্দরে দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারেক রহমান সড়কপথে কুড়িল হয়ে সরাসরি ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। সেখানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে তিনি সংক্ষিপ্ত দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন এবং বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে তিনি সরাসরি বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, যেখানে তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘ সময় পর মায়ের শয্যাপাশে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটানোর পর তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯ নম্বর রোডের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরে বিশ্রাম নেবেন।
তারেক রহমানের এই আগমনকে ঘিরে রাজধানীতে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ শাখা ‘সোয়াট’ টিমকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রিয় নেতার ফেরার এই মুহূর্তকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে, আর প্রশাসনও যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
দীর্ঘ ১৭ বছর ৩ মাসের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা জুড়ে ৪ হাজার ৬৪৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সমন্বয়ে এক অভূতপূর্ব ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এবং অন্যান্য বাহিনীর সমন্বিত এই নিরাপত্তা পরিকল্পনাটি বর্তমানে কার্যকর রয়েছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো এলাকাকে ৯টি সুনির্দিষ্ট সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু করে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সংলগ্ন গণসংবর্ধনাস্থল, বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত এই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিস্তৃত। পুলিশের পাশাপাশি এই বিশেষ অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি এবং বিএনপির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স’ (সিএসএফ) একযোগে কাজ করছে।
নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারেক রহমানের জন্য বিশেষ এস্কর্ট বা প্রহরা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। বিমানবন্দরে একজন উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) নেতৃত্বে ১৫৫ জন পুলিশ সদস্য এবং দেড় শতাধিক সেনাবাহিনীর সদস্য তাঁকে এস্কর্ট প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সশরীরে এই পুরো কার্যক্রমের তদারকি করছেন। তাঁর অধীনে সাতজন যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এই ফোর্সে ১ হাজার ৫৬ জন এপিবিএন সদস্য, ১০০ জন ডিবি পুলিশ এবং এটিইউ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এছাড়া যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলায় নারী পুলিশ এবং ডগ স্কোয়াডও মোতায়েন করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট সংলগ্ন সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত যাতায়াতের পথটিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে প্রশাসন। এই রুটে ৭৮৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। ডিএমপির পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, তারেক রহমানকে বহনকারী নিরাপত্তা বহর এবং অনুমোদিত নির্দিষ্ট কয়েকটি গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো সাধারণ যানবাহন এই পথে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিমানবন্দর থেকে গুলশান এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকা পর্যন্ত ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও তারেক রহমানের ফেরাকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বিএনপির চাহিদা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে তারেক রহমান তাঁর বহনকারী ফ্লাইটে রয়েছেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তিনি সরাসরি ৩০০ ফিটের বিশাল জনসভায় যোগ দেবেন এবং পরবর্তীতে অসুস্থ মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরো রাজধানীতে এক ধরনের ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশের গত ৫৫ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে আজ এক অনন্য ও অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতির সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কেবল একটি দলের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা উল্লেখ করেন যে, গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য যে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই চালিয়েছে, ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তা এক সফল পরিণতি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতনের ফলে দেশ আজ এক নতুন মুক্তির আবহে দাঁড়িয়ে আছে এবং তারেক রহমানের ফেরা সাধারণ মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। তিনি মনে করেন, ১৬-১৭ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের পর আজ গণতন্ত্র মুক্ত হয়েছে এবং দেশবাসী এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, গণতন্ত্রের এই বিজয় সত্ত্বেও পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি এবং তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনও পর্দার আড়াল থেকে সক্রিয় রয়েছে। তারা বাংলাদেশের এই গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তবে তিনি দৃঢ়তার সাথে জানান যে, এ ধরনের যেকোনো অপচেষ্টা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্যই শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে। দেশপ্রেমিক জনতা কোনোভাবেই অগণতান্ত্রিক শক্তিকে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেবে না।
বক্তব্যের শেষে তিনি জনগণের সহযোগিতায় একটি বৈষম্যহীন, সুশাসিত এবং সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যারা অগণতান্ত্রিক উপায়ে বা সহিংসতার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা রুখতে চাইবে, তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করা হবে। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের হারানো গৌরব ও মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার পথে এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিমানবন্দর এলাকা বর্তমানে প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে আসা লাখো মানুষের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় এক অভূতপূর্ব উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন। নেতাকর্মীদের হাতে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ধানের শীষের প্রতীক এবং মাথায় রঙিন ক্যাপ। বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত পুরো সড়কটি এখন বিএনপি সমর্থকদের পদভারে মুখরিত। মুহুর্মুহু স্লোগান আর রঙিন প্লাকার্ড ও ব্যানারের মাধ্যমে তাঁরা প্রিয় নেতাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
বিশাল এই জনসমাগমকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় কয়েক স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নেতাকর্মীদের মূল সড়কে অবস্থান নিতে বাধা দিচ্ছে; ফলে বিপুল সংখ্যক কর্মী পাশের ফুটপাথ ও আশেপাশের খালি জায়গায় সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নিয়েছেন। প্রশাসনের সর্বোচ্চ সতর্কতার মাঝেই অনেক নেতাকর্মীকে দলীয় সংগীত ও জাতীয় সংগীত গেয়ে সময় অতিবাহিত করতে দেখা গেছে।
এদিকে, লন্ডন থেকে রওয়ানা হওয়া তারেক রহমানকে বহনকারী বিশেষ ফ্লাইটটি ইতিমধ্যে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সেখানে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি শেষে উড়োজাহাজটি পুনরায় রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে এবং দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখার প্রত্যাশায় বিমানবন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের ভিড় সময়ের সাথে সাথে আরও বাড়ছে। পুরো রাজধানী জুড়েই এখন তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে এক ধরনের টানটান উত্তেজনা ও রাজনৈতিক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূলত তাঁর এই ফিরে আসাকে কেন্দ্র করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোডের ৩০০ ফিট এলাকা এখন এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকের পদভারে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্রোত আরও বাড়ছে, যার ফলে সড়কের দুই পাশ এবং মাঝখানের ডিভাইডারেও তিল ধারণের জায়গা নেই। ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় পতাকা আর মুহুর্মুহু স্লোগানে পুরো ৩০০ ফিট এলাকায় এক অভূতপূর্ব উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
তারেক রহমানকে এক নজর দেখতে এবং তাঁকে বরণ করে নিতে আসা এই বিশাল জনস্রোতের কারণে বর্তমানে ৩০০ ফিট সড়কে সাধারণ যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বাস ও প্রাইভেট কারের প্রবেশ ঠেকাতে পুলিশ আশপাশের সংযোগ সড়কগুলোতে ডাইভারশন দিয়ে রেখেছে। মাঝেমধ্যে কেবল দু-একটি মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেলেও পুরো রাস্তাটি এখন সাধারণ মানুষের দখলে। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নির্বিঘ্ন করতে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন।
প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানাতে অনেক নেতাকর্মী গত দুদিন আগেই ঢাকা পৌঁছেছেন এবং অনেকেই গত রাতে ৩০০ ফিট এলাকায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করেছেন। নেতাকর্মীদের এই আবেগ ও উদ্দীপনা প্রমাণ করছে তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কতটা টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে আসা তারেক রহমানের এই ঐতিহাসিক সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এই ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা মঞ্চে তাঁর উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার অপেক্ষায় এখন প্রহর গুনছেন সমবেত লাখো জনতা।
দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে নিজ দেশে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ সকাল ৭টার দিকেই একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে তাঁর পরবর্তী সকল কর্মসূচিতে যাতায়াতের জন্য এই গাড়িটি ব্যবহার করা হবে।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি ২০২’ ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। এই যাত্রায় তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী একই ফ্লাইটে তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরছেন। ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে এখন ঢাকার পথে রয়েছে।
বিএনপির দলীয় সূত্রমতে, তারেক রহমান ঢাকায় নামার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় কিছুক্ষণ অবস্থান করবেন। এরপর তিনি সরাসরি সড়কপথে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন। সেখানে তিনি উপস্থিত লাখো জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন এবং বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তারেক রহমান সরাসরি যাবেন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি সিসিইউতে চিকিৎসাধীন তাঁর মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে থাকবেন। প্রায় এক ঘণ্টা মায়ের সঙ্গে সময় কাটানোর পর তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯ নম্বর রোডের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরে যাবেন এবং সেখানেই অবস্থান করবেন। দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রিয় নেতার এই ফেরা ও কর্মসূচির প্রতিটি মুহূর্ত ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে টানটান উত্তেজনা ও আবেগ কাজ করছে। প্রধান বিমানবন্দর ও ৩০০ ফিট এলাকা বর্তমানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রিয় মাতৃভূমিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করে। প্রায় দেড় যুগ পর তাঁর এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে সিলেটসহ সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে এক নজিরবিহীন উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
লন্ডন থেকে ঢাকা আসার পথে তারেক রহমানের বহনকারী বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ ফ্লাইটটি সিলেটে এই সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করে। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে এই বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। অত্যন্ত আবেগঘন এই যাত্রায় তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তাঁর সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমান এবং একমাত্র কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এছাড়াও তাঁর সাথে রয়েছেন মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ এবং ব্যক্তিগত সহকারী রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা।
জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই তারেক রহমান তাঁর লন্ডনের বাসভবন থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে তিনি বাসা থেকে বের হন এবং বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি তাঁকে বিদায় জানান। দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সিলেটের নির্ধারিত বিরতি শেষে তাঁর বহনকারী উড়োজাহাজটি পুনরায় রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তারেক রহমান। সেখানে তাঁকে বরণ করে নিতে দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ লাখো জনতার ঢল নেমেছে। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সংলগ্ন বিশাল সংবর্ধনাস্থলে যোগ দেবেন এবং সেখানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচির সূচনা করবেন। রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে আসা মানুষের ভিড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।