শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভারচুয়ালি যুক্ত হয়ে জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:৫০

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব কার্যক্রম মনঃপূত না হলেও তাদের ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে’ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ‌ বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, এই মাফিয়া চক্র দেশকে সম্পূর্ণ ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। দেশকে আমদানিনির্ভর ও পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়া চক্র দেশের ব্যাংকগুলো পর্যন্ত দেউলিয়া করে দিয়েছে।

বিগত ১৫ বছর ছিল মাফিয়া চক্রের দখলে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মাফিয়া চক্র শুধু অর্থনীতিকে ধ্বংস করেনি, তারা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। একটা দেশ কতটুকু সভ্য, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণে ফুটে ওঠে।

‘মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের চক্রটি প্রশাসনে এখনও সক্রিয়’ মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণ-অভ্যুত্থান ছিল ব্যতিক্রম। মানুষের প্রথম কাজই হবে ভোটার আড়াই কোটি বেড়েছে। কিন্তু তারা কেউ ভোট দিতে পারেননি। বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের অর্ধেক নারী ও তরুণ প্রজন্মকে রেখে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ দেশকে দেউলিয়া করে দিয়ে পরনির্ভরশীল করে দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশ ১০০ বিলিয়ন ঋণে জর্জরিত। যে সন্তান আজকে দেশে জন্ম নিচ্ছে তার মাথায় দেড়লাখ টাকার ঋণ নিয়ে জন্ম নিতে হচ্ছে। স্বৈরাচারের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যাত্রার জন্য আরও কিছু সময় পাড়ি দিতে হবে। এজন্য সন্ত্রাস নয় বরং ধৈর্য ধরতে হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। জনগণের সরকার না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তবে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া সংস্কার টেকসই হয় না।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন, রাখবেন। তবে কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতাও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়।

সুতরাং, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান টার্গেটও হওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্র ক্ষমতার হাত বদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের সমন্বয় করছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল। সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্য সচিব আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন।


যারা জান্নাতের টিকিটের কথা বলে তাদের খপ্পরে পড়বেন না: মাগুরায় মহিলা সমাবেশে সেলিমা রহমান

আপডেটেড ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:২০
মাগুরা প্রতিনিধি

যারা জান্নাতের টিকিটের কথা বলে তাদের খপ্পরে পড়বেন না, মাগুরায় নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের বিশেষ আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এ আহ্বান জানান।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসেন খান মাগুরা-১ আসনে সমাজের নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির নির্বাচনী অগ্রঅধিকার বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শ্রীপুর সরকারি এম. সি. পাইলট বিদ্যালয়ে প্রথম নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এবং মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।

প্রধান, অতিথির বক্তব্যে বেগম সেলিমা রহমান বলেন, সমাজে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের পাশাপাশি সমন্বিত সামাজিক উদ্যোগের প্রয়োজন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নারীদের সর্বোচ্চ অধিকার দেওয়া হবে। বিএনপি নারী ও শিশুদের নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তাই আপনারা ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিপুল বিজয়ী করবেন। আপনারা আপনাদের নায্য অধিকার বুঝে পাবেন। তাই মা বোনদের বলি আপনাদের একটি দল জান্নাতের টিকিট দিচ্ছে তাদের খপ্পড়ে পড়বেন না।

অনুষ্ঠান বক্তারা মাগুরা–১ আসনে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা, শিক্ষা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বিকেলে মাগুরা শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় হাজার হাজার দলীয় নারী কর্মীদের সমাবেশ ঘটে।


যুক্তরাষ্ট্র কি ভেনিজুয়েলায় হামলা করবে?

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিকোলাস মাদুরো। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই হামলা করে, তাহলে তা মোকাবিলার সক্ষমতা আছে ভেনিজুয়েলার? তারা কি পারবে বিশাল তেল সম্পদ ও জনগণকে রক্ষা করতে? কয়েকদিন ধরেই এসব প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

ভেনিজুয়েলা সরকার গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশটির উপকূলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় তারা ‘বৃহৎ জাতীয় সামরিক মোতায়েন’ শুরু করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রও একটি নতুন অভিযান ঘোষণা করেছে। ‘সাউদার্ন স্পিয়ার’ নামে ওই অভিযানের লক্ষ্য পশ্চিম গোলার্ধে তথাকথিত ‘নারকো-সন্ত্রাসীদের’ দমন করা।

এই উত্তেজনা ভেনিজুয়েলায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর অজুহাত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এসব সামরিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে।

কারাকাসে এক অনুষ্ঠানে ভেনিজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল বলেন, ‘আমরা আমেরিকান সাম্রাজ্যকে বলছি, সাহস করে কিছু করবেন না: আমরা প্রস্তুত।’

তবে প্রশ্ন উঠছে—যুক্তরাষ্ট্রের হামলা বা আগ্রাসনের মুখে ভেনিজুয়েলা সত্যিই কতটা প্রস্তুত? তাদের সামরিক সামর্থ্য কতটা? এবং এখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিকোলাস মাদুরোর রাজনৈতিক হিসাব কী?

কয়েক সপ্তাহ ধরে ওয়াশিংটন–কারাকাস উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ক্যারিবীয় সাগর ও পরে প্রশান্ত মহাসাগরে যেসব নৌকা তারা ধ্বংস করেছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রমুখী মাদক বহন করা হচ্ছিল।

এ সপ্তাহেই এমন ২০তম হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন নিহত হয়েছে। তবে কোনো নৌকায় মাদক ছিল বা সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছিল, এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। হামলার কোনো আইনি ভিত্তিও দেখাতে পারেনি তারা, যা আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপ বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

ওয়াশিংটনের অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু একটি প্রমাণবিহীন দাবি, মাদুরো নাকি কার্টেলগুলোর সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলা উপকূলে শক্তিশালী বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড পাঠিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও সহায়ক জাহাজ। চার হাজারের বেশি সেনা এবং অগণিত ট্যাকটিক্যাল বিমানের সমন্বয়ে এটি একটি অত্যাধুনিক নৌবহর।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, তাদের লক্ষ্য ঘোষিত উদ্দেশের চেয়েও বিস্তৃত এবং এতে মাদুরো-বিরোধী সামরিক চাপও যুক্ত হয়েছে।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক মার্ক ক্যানসিয়ান বলেন, ফোর্ড মূলত সমুদ্রে বা স্থলে শত্রুর বিরুদ্ধে বড় আকারের আক্রমণের জন্য। মাদকবিরোধী অভিযানে এটি আদর্শ নয়।

তিনি আরও বলেন, এই মোতায়েন স্থায়ী হতে পারে না। বিশ্বের নানা অঞ্চলে এমন শক্তিশালী জাহাজের চাহিদা রয়েছে।

ভেনিজুয়েলা কি প্রস্তুত?

ভেনিজুয়েলা সরকার বলেছে, সম্ভাব্য মার্কিন হামলার মুখে তারা ‘বৃহৎ পরিসরের’ সেনা ও বেসামরিক মোতায়েন শুরু করেছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো লোপেজ জানান, ‘ইনডিপেনডেন্স প্ল্যান ২০০’-এর ‘উচ্চতর পর্যায়’ সক্রিয় করা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা জোরদারের উদ্যোগ।

তিনি বলেন, প্রায় দুই লাখ সেনা জাতীয় ভূখণ্ডে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, দেশটির সামরিক বাহিনী ঐক্যবদ্ধ এবং ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ভেনিজুয়েলার ওপর কোনো আগ্রাসন সমর্থন করে না।

বিশ্লেষকদের মতে, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ‘শ্যাভিজমো’ মতাদর্শের অধীনে গড়ে ওঠা ভেনিজুয়েলার সামরিক প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন খুবই দৃঢ়। এতে তারা সহজে ভাঙবে না।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে সামরিক শক্তিতে বিশ্বের ১৬০ দেশের মধ্যে ভেনিজুয়েলার অবস্থান ৫০তম। লাতিন আমেরিকায় তাদের অবস্থান সপ্তম।

সিএসআইএস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভেনিজুয়েলার বিমানবাহিনী ছোট এবং আংশিকভাবে কার্যকর। তাদের ৪৯টি বিমানের মধ্যে প্রায় ৩০টি সচল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মাত্র তিনটি এফ-১৬ উড়তে সক্ষম।

অন্যদিকে রাশিয়ার নির্মিত এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ভেনিজুয়েলার প্রধান শক্তি। এগুলোর অন্তত ২১টি সচল রয়েছে, যা আল্ট্রাসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল বহনে সক্ষম।

যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমেই ভেনেজুয়েলার বিমানঘাঁটি ও বিমান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে অঞ্চলটিতে এফ-৩৫ স্টিলথ ফাইটার মোতায়েন করেছে।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের মতে, ৩ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশ ভেনিজুয়েলার সামরিক বাহিনীতে ৩ লাখ ৩৭ হাজার সক্রিয় সামরিক সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯ হাজার সক্রিয় সদস্য, ২ লাখ ২০ হাজার আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য এবং বাকি আট হাজার রিজার্ভ কর্মী।

তবে ভেনিজুয়েলার জনবল বেশি হলেও বছরের পর বছর যুদ্ধ–প্রশিক্ষণের অভাব ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকেন্দ্রিক বাহিনীতে রূপান্তর বড় দুর্বলতা হয়ে উঠতে পারে।

দেশটির নৌবাহিনীও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় খুবই দুর্বল। সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির সঙ্গে ভেনিজুয়েলার তুলনা চলে না বলেই মত বিশ্লেষকদের।

তবে স্থানীয় প্রতিরোধ ও গেরিলা–ধরনের লড়াইয়ের সম্ভাবনা বাস্তবিক উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। অরিনোকো রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা এলিয়াস ফেরর বলেন, ‘যদি সংঘাত হয়, ভেনিজুয়েলা দেশটিকে পরিচালনার অযোগ্য করে তুলতে পারে—এটাই অসম যুদ্ধের কৌশল।’

যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই হামলা করবে?

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, মাদকপ্রবাহ ঠেকাতেই সামরিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য মাদুরোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করা।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভেনিজুয়েলায় অনুপ্রবেশ চান না। অনেক বিশেষজ্ঞের মত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কৌশল এখনো রাজনৈতিক, সামরিক নয়।

ভেনিজুয়েলার বিশ্লেষক কার্লোস পিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য মাদুরোকে চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করা। সরাসরি আক্রমণ সবচেয়ে কম পছন্দনীয় বিকল্প।


নওগাঁয় জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের বর্ধিত সভা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নওগাঁ জেলায় আজ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নওগাঁ সদর উপজেলা শাখা কৃষকদলের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং নওগাঁ-৩ (বদলগাছী–মহাদেবপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ফজলে হুদা বাবুল।

কৃষকদলের সদর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।

সদর উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মকছেদ আলী মণ্ডলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—কৃষকদল নওগাঁ জেলা শাখার আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম চঞ্চল, সদস্য সচিব এটিএম ফিরোজ দুলু, যুগ্ম আহ্বায়ক এস. এম. সাহিদুজ্জামান সোহান, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউন নবী স্যান্ডোসহ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সভায় জেলার ১১টি উপজেলা থেকে আগত প্রায় পাঁচ হাজার কৃষকদলের নেতা–কর্মী অংশ নেন।


ভারতের দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক হবে সমতার ভিত্তিতে। সবার আগে ভারতের দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে একটি দল। এর মধ্যে দিয়ে তারা ফয়দা নিতে চায়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তা ও ফারাক্কা ইস্যুকে প্রাধান্য দেয়া হবে।


উগ্র ডানপন্থা রুখতে বামপন্থি সরকার গড়তে হবে: সিপিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফ্যাসিস্ট দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি ও উগ্র ডানপন্থা রুখতে আগামীতে বামপন্থি ও গণতান্ত্রিক শক্তির সরকার গঠনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেছেন, দেশ এক সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে পাকিস্তানের জিঞ্জির থেকে মুক্ত করেছি, ভারত কিংবা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নতুন শৃঙ্খলে আবদ্ধ হওয়ার জন্য নয়। ক্ষমতাসীন ইউনূস সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে মার্কিন ভূরাজনৈতিক স্বার্থের অনুগত করছে।

যা দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।

শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিপিবির জাতীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা।

সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের প্রধান উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সিপিবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাগিব আহসান মুন্না, রফিকুজ্জামান লায়েক, জলি তালুকদার, এসএ রশীদ ও মো. আমিনুল ফরিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর সাহেব শাহ সূফী হাসান শাহ সুরেশ্বরী দিপু নূরী, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি রেবেকা সরেন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি কৃষ্ণলাল।

সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনে ‘গণভোটের’ জন্য ড. ইউনূস যে প্রস্তাবনা হাজির করেছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তারা ঐকমত্যের কথা বলে একটি ভুয়া দলিল রচনা করেছে। সাংবিধানিক আদেশ বলবৎ করে সরকার যা করতে যাচ্ছে গণভোটের মধ্য দিয়ে তার বৈধতা হবে না। ঐকমত্যের বাইরে কোনো বিষয় চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। ক্ষমতাসীন সরকার সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোটের মধ্য দিয়ে দেশকে দীর্ঘমেয়াদি এক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বারবার স্বৈরাচারী শাসনের কবলে পড়েছে। দেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারদের উৎখাত করেছে। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী শাসন আমরা দেখতে চাই না।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সমাজ বিপ্লবীদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমাদের জন্য এখন প্রয়োজন যারা ব্যক্তি মালিকানা উচ্ছেদ করে সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে চান তাদের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা। এবারকার যুক্তফ্রন্ট হবে বিপ্লবীদের যুক্তফ্রন্ট, সমস্ত বামপন্থিদের ফ্রন্ট। আমি মনে করি সেই ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিতে হবে কমিউনিস্ট পার্টিকে।


এনসিপির সাথে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর মিশন টিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও নীতিগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।

শুক্রবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় এনসিপি প্রতিনিধিদল দেশের সংকটময় সময়ে বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান এবং জরুরি সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার প্রতি আইএমএফের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। এনসিপি মনে করে, টেকসই উন্নয়নের জন্য এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আলোচনায় আইএমএফ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব আহরণ, রাজস্ব–জিডিপি অনুপাত, ডিস্ট্রেসড অ্যাসেট এবং যুব কর্মসংস্থান বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এনসিপি প্রতিনিধিরা এসব চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে বলেন, তারা রাজস্ব ডিজিটালাইজেশন, আর্থিক খাতের চলমান সংস্কারকে সমর্থন এবং সংস্কার বাস্তবায়নের ধীরগতির বিষয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সভায় আরও আলোচ্য বিষয় ছিল পূর্ববর্তী সরকারের ‘ক্লেপ্টোক্রেসি’ কীভাবে শুরু হয়েছিল, জাতীয় অর্থনীতি ও প্রশাসনে এর প্রভাব কী ছিল এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্নীতিকে রোধ করতে কী ধরনের কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে ছিল, অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি কমানো, সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং অন্তর্বর্তী সরকার থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তর। উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশের কঠোর পরিশ্রমী জনগণই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি এবং জনগণের সম্মিলিত মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে দেশ আরও সহনশীল ও স্থিতিশীল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাবে।

আইএমএফের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ক্রিস পাপাজর্জিউ, বাংলাদেশ মিশন চিফ, ম্যাক্সিম ক্রিশকো, ঢাকা রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং তৌহিদ এলাহি, ডেপুটি সেক্রেটারি ও ইকোনমিক এনালিস্ট। এনসিপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জাবেদ রাসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রধান, শিল্প ও বাণিজ্য সেল, মো. সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রধান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সেল, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, যুগ্ম সদস্য সচিব ও কো-লিড, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সেল, আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, সংগঠক ও কো-লিড, শিল্প ও বাণিজ্য সেল এবং মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সদস্য, শিল্প ও বাণিজ্য সেল।


নির্বাচনের আগে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান নুরের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে সরকার যেন শিক্ষকদের দাবিদাওয়া মেনে নেয়- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিনিধি সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রতিনিধি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী।

নূর বলেন, সরকারের এখন শেষ সময় চলছে। নবম পে-স্কেল নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, সরকার বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সমাধান দিয়ে যাবে। নির্বাচন হওয়ার আগেই শিক্ষকদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে ঠিক করতে হলে প্রথমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। বেতন কাঠামোর বৈষম্য দূর করা জরুরি। কেউ পাচ্ছে ৮ হাজার আর কেউ ৭০ হাজার- এ বৈষম্য চলতে পারে না।

এসময় দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মো. লুৎফর রহমান বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে-কমিশনের রিপোর্ট পেশ না হলে, ১ ডিসেম্বর থেকে আমরা রাজপথে নামবো। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

প্রতিনিধি সমাবেশে বক্তারা বলেন, নবম পে-স্কেল নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। ১:৪ কাঠামো, ১২ গ্রেড এবং সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা মূল বেতনে নতুন পে-স্কেল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে পে-স্কেল গেজেট প্রকাশ বাস্তবায়ন না হলে আমরা কেউ নির্বাচনে অংশ নেব না।


নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে দেশের মানুষ: আমীর খসরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজকে সবাই ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। নির্বাচিত সরকার এলে যত সমস্যার কথা এখন বলা হচ্ছে- সাংবিধানিক, অর্থনৈতিক সব ধরনের সমস্যার সমাধান হবে।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল পেনিনসুলায় চট্টগ্রাম ট্রাভেল ফোরামের আয়োজনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, দেশে যে সমস্যাগুলো পুঞ্জিভূত হয়েছে, তার সমাধান নির্বাচিত সরকারই দিতে পারবে। এখন রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে আমরা ফোকাস দিচ্ছি। জনগণের প্রধান চাহিদা- গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন। ছোটখাটো ইস্যুতে জনগণের মনোযোগ নেই, সবাই চায় নির্বাচন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর রায় সম্পর্কে তিনি বলেন, রায় কোনদিকে যাবে তা বিচারবিভাগের ওপর নির্ভর করে। তাই সবার উচিত বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখা।

এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে আমির খসরু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবার জন্য ফ্রিতে প্রাথমিক সেবা নিশ্চিত করা হবে। সেমিনার উদ্বোধন শেষে মেডিকেল ভ্যালু ট্রাভেল সামিটের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন তিনি। দিনব্যাপী সামিটে অংশ নেন চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশের শীর্ষ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল ভ্যালু ট্রাভেল ফ্যাসিলিটেটর, করপোরেট প্রতিনিধি ও ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তারা।


বিএনপিতে যোগ দিয়েছে ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছীতে সাত শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। ধানের শিষে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বেচ্ছায় যোগ দেন এসব পরিবারের মানুষ। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ উপজেলা বিএনপির নেতাদের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন। উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে জগপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে যোগদানের এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল। যিনি সদ্য ঘোষিত নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত এমপিপ্রার্থী।

৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু, বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা পুজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রদীপ কুমার কুন্ডু, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও মিঠাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসানসহ ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, মহিলা দলের নেতা=কর্মীরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর জগপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান বিশ্বনাথ মণ্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য ভূপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, সাধন চন্দ্র সরকার, অমিত কুমার, শরন কুমার, সুবল চন্দ্র প্রামাণিক, দিপক সরকার, উজ্জ্বল কুমার উৎপল, অম্লদা, দিলিপ সরকার, নিরাঞ্জন সরকারসহ আরও অনেকে।

তারা বলেন, আমরা যারা সনাতনী অনেক দিন বিএনপিকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাইনি। এছাড়া ফজলে হুদা বাবুল আমাদের পরিচিত ও এলাকার সন্তান। তিনি আগে থেকেই আমাদের খোঁজ-খবর রাখতেন। তাই এবার ফজলে হুদা বাবুল ভাইকে ভোট দিয়ে তাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করব। এ সময় তারা ফজলে হুদা বাবুলের কাছে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দাবি করেন।

ফজলে হুদা আরও বলেন, শুধু এই সকল পরিবার নয়, মহাদেবপুর ও বদলগাছী উপজেলায় প্রায় সব সনাতনী ভাই-বোনেরা বিএনপিকে ভালোবেসে ধানের শিষে ভোট দেবে। আর আমি এমপি মনোনীত হলে তাদের জন্য আমার প্রথম কাজ হবে তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করা। কারণ শিক্ষিত হলেই তারা উন্নতি করা শেখবে।


কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় রুখতে পারবে না: বিএনপির প্রার্থী নুরুল আমিন

আপডেটেড ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৫
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

‘নির্বাচন ও গণভোট একই দিনের ঘোষণায় ৭১-এর পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র আবার পরাজিত হয়েছে। আগামী জাতীয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে ৭১-এর পরাজিত শক্তি নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি তোলে। তাদের সে স্বপ্ন জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের মাধ্যমে ভেঙে গেছে। আমরা গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এখন আর ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে নয়, সারাদেশে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় ছিনিয়ে আনার আন্দোলন করতে হবে। কোনো শক্তিই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় রুখতে পারবে না।’ গত বৃহস্পতিবার বিকালে মিরসরাই উপজেলা স্টেডিয়ামে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিমের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মাহমুদ, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সেলিম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এস.এম মুরাদ, শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য লায়ন আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর, সাবেক সহসভাপতি নুর হোসেন চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা দাউদুল ইসলাম মিশন, মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম পারভেজ, সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, সাবেক সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইন ও বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন প্রমুখ।


বদলগাছীতে ৭শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের বিএনপিতে যোগদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছীতে ৭শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। ধানের শিষে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বেচ্ছায় যোগ দেন
ওই সকল পরিবার।

বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন।

উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে জগপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে যোগদানের এই আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল। যিনি সদ্য ঘোষিত
নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী।

৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু, বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা পুজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রদীপ কুমার কুন্ডু, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও মিঠাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসানসহ ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, মহিলা দলের নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর জগপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান বিশ্বনাথ মন্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য ভূপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, সাধন চন্দ্র সরকার,অমিত কুমার, শরন কুমার, সুবল চন্দ্র প্রামাণিক, দিপক সরকার, উজ্জ্বল কুমার উৎপল, অম্লদা, দিলিপ সরকার, নিরাঞ্জন সরকার সহ আরো অনেকে।

তারা বলেন, আমরা যারা সনাতনী অনেক দিন বিএনপিকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাইনি। এছাড়া ফজলে হুদা বাবুল আমাদের পরিচিত ও এলাকার সন্তান। তিনি আগে থেকেই আমাদের খোঁজ খবর রাখতেন। তাই এবার ফজলে হুদা বাবুল ভাইকে ভোট দিয়ে তাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবো। এসময় তারা ফজলে হুদা বাবুলের কাছে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দাবি করেন।

অনুভূতি জানতে চাইলে ফজলে হুদা বাবুল বলেন, “বিএনপি সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে। আজ যারা স্বেচ্ছায় আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন, তাদের আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।” আপনারা আমাকে যে ভালোবাসা দিলেন, আমি আমৃত্যু সেই ভালোবাসা দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ফজলে হুদা আরও বলেন, শুধু এই সকল পরিবার নয়, মহাদেবপুর ও বদলগাছী উপজেলায় প্রায় সকল সনাতনী ভাই বোনেরা বিএনপিকে ভালোবেসে ধানের শিষে ভোট দিবে। আর আমি এমপি মনোনীত হলে তাদের জন্য আমার প্রথম কাজ হবে তাদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করা। কারণ শিক্ষিত হলেই তারা উন্নতি করা শিখবে।

উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর উপজেলার শুরকালি মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।


খালেদা জিয়ার পক্ষে আজ থেকে প্রচারণা শুরু করছে জেলা বিএনপি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আজ শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছে দিনাজপুর জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বৃহস্পতিবার দিনাজপুর শিশু একাডেমিতে আয়োজিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর সদর-৩ আসনে বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ ঘিরে এ সভার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার থেকেই জেলার সব মসজিদে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পরিচালিত হবে। পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর আরেকটি সমন্বয় সভা শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়।

এর আগে প্যারাডাইস কমিউনিটি অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার সম্মানে প্রধান অতিথির আসন ফাঁকা রেখে অনুষ্ঠান শুরু করা হয় এবং তাঁর পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার উদ্বোধন করেন ডা. জাহিদ হোসেন।

গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।” পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, “এ সিদ্ধান্তকে ঘিরে যারা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে, তারা জনস্বার্থের পরিপন্থী কাজ করছে।”

জাহিদ হোসেন তরুণ ভোটারদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “দেশের ১২ কোটির মধ্যে প্রায় ৪ কোটি তরুণ ভোটার। তাদের কাছে যেভাবে পৌঁছানো যায়, সেভাবে কাজ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে দেখেছে, ফলে নেতাকর্মীদের আচরণ ও কর্মকাণ্ড তরুণদের কাছে ইতিবাচক বার্তা দিতে হবে।

সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


গণতন্ত্রে ফিরতে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প: মির্জা ফখরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সংস্কারের সব উদ্যোগ বিএনপি শুরু করেছে। গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিলেও চর্চার সুযোগ হয়নি। বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি গণতান্ত্রিক শক্তি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বাকশাল করেছিল। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার সুযোগ এসেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে। এখন গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‌‘জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি।

সংস্কারের উদ্যোগ বিএনপিই নিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা দিয়েছে বিএনপি। সংস্কারের সব উদ্যোগ বিএনপি শুরু করেছে। ভিন্নমত থাকবেই। সবাই একমত হবে না। আজকে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়েও ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন দিয়ে পার্লামেন্ট গঠন করা হবে, যারা সব বিষয়ে মীমাংসা করবে।

পিআর চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, পিআর সাধারণ মানুষ বোঝে না। চাপিয়ে দেওয়ার আগে জনগণকে তৈরি করে নিতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে।

মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ফ্যাসিস্টবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

এদিকে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনো আপস করব না। আমরা অবশ্যই আমাদের জাতীয় স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ার চেষ্টা করব। সব মানুষের, কৃষক–শ্রমিক–মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করব।

আগামীতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি ‘জনগণের সরকার’ গঠন করবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের পরিস্থিতিতে গণঅভ্যুত্থানের পর এই বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি জনগণের সরকার আমরা গঠন করতে সক্ষম হব।

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রয়াত এই রাষ্ট্রনেতা ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন এবং একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যান।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে সংস্কার নিয়ে যে আলোচনা, তার উদ্ভাবক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তবে জিয়াউর রহমান সংস্কারকাজ শেষ করে যেতে পারেননি।

এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপির সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইদ সোহরাব। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন জাসাসের সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন।


banner close