মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

‘ঐক্যের সঙ্গে দেশ গড়ার জায়গায় আমাদের ব্যর্থতা আছে’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর। ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ২১:৪১

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু ঐক্যের সঙ্গে দেশ নির্মাণ করার যে পথরেখা দেখাবে, এই জায়গায় আমাদের এখনো ব্যর্থতা আছে।’

শুক্রবার সকালে দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জাহেদা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আল আবদুল্লাহ, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আ ন ম গোলাম রব্বানী, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল জব্বার, পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা রাজনীতি করছি, আমাদের ব্যর্থতা ৫৩ বছরেও বাংলাদেশকে একটা সুখী, শান্তিময়, প্রেমময় দেশ গড়তে পারলাম না। আমরা রাজনীতি নিয়ে সংকীর্ণতায় ভুগি এবং নৈতিকতার সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছি। আমরা যে গর্বিত জাতি, কিছুদিন আগেও সেটা বলতে পারিনি। এখন আবার সেই আশা জেগে উঠেছে, আমরা একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সুখী, সুন্দর, প্রেমময়, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করার, আমরা সেই চেষ্টা করছি। আমাদের গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু ঐক্যের সঙ্গে দেশটাকে নির্মাণ করার যে পথরেখা দেখাবে, এই জায়গায় আমাদের এখনো ব্যর্থতা আছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, কিন্তু গণতন্ত্রের চর্চা করি না। ১৫ বছর ভোট দিতে পারিনি। এ কেমন গণতন্ত্র, যেখানে মানুষ তার অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশে পরপর গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে এখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত হয়েছে। যদি সহনশীলতার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র চর্চা করে এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে সত্যিকার গণতন্ত্র লাভ হবে। আমরা অধিকার অর্জন করতে পারব।’

দেশে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের ছেলেরা, রাজনৈতিক কর্মীরা জীবন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন অস্বাভাবিক-অমানবিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। আমাদের ৮০০ নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৬০ লাখের অধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। কী ভয়ংকর অবস্থা আমরা পার হয়েছি। আজ নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু কেন জানি না, আমরা সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন জানাব- আসুন, আমরা উঠে দাঁড়াই। সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে দাঁড়িয়ে সুস্পষ্ট সত্য সুন্দর একটা পথ নির্ধারণ করি। যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করি।’

তরুণদের প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের তরুণরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে মতামত নিচ্ছে দেখে মনে হলো অমিত সম্ভাবনাময় আমাদের ছেলেমেয়েরা। তারা দেশপ্রেমের কথা, পরিবর্তনের কথা বলছেন। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ নির্মাণ করার একটা পথও তারা দেখাতে পারেন। সুতরাং নেতিবাচক চিন্তা করলে হবে না। আমাদের পরস্পরকে সহনশীলতার মধ্য দিয়ে আনতে হবে, সম্মান করতে হবে। আমি যে রাজনৈতিক চিন্তাই করি না কেন, যদি দেশপ্রেম থাকে, দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই আজকে যে সুযোগ এসেছে, সেই সুযোগের যেন সদ্ব্যবহার আমরা করতে পারি।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দেশের সব সম্পদকে লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। সেই হিসাবে গত ১৫ বছরে ২৮০ বিলিয়নের ওপরে পাচার হয়েছে। এরা তো এ দেশেরই মানুষ। রাজনীতির কথা বলেই তারা এসেছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন। সমস্ত ক্ষমতা ও রাষ্ট্রকে দখলে নিয়ে রাষ্ট্রে একটা ভয়ভীতি তৈরি করেছিলেন। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করব।’

শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন খুব সংকট ও বিপর্যয়ের সামনে। ফ্যাসিবাদী সরকার ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ দেশের অর্থনীতিকে সচল করার জন্য যে নীতি নির্ধারণ করার দরকার, তোমাদের মধ্য থেকেই অনেকে বেরিয়ে আসবে। পলিসি মেকার তৈরি হবে, অর্থনীতিবিদ তৈরি হবে, যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে সক্ষম হবে। এটা আমার প্রত্যাশা।’


খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দেশব্যাপী মিলাদ-মাহফিল আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় আজ মঙ্গলবার দেশব্যাপী মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

গতকাল সোমবার সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

পাশাপাশি এদিন দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগরেও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুরূপ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটের প্রতি আহ্বান জানান।


খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান রিজভীর

আপডেটেড ২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সিসিইউতে পূর্বের মতোই চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব ইসলামের মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে গতকাল সোমবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় শেষ দোয়া অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী নন, তিনি শুধু বিএনপির অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেত্রীও নন। আজ সারা বাংলাদেশের সকল মানুষ-পেশাজীবী, সুশীল সমাজ, ছাত্র, যুবক, শ্রমিক ও কৃষক সবাই তার জন্য দোয়া করছেন। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ঘিরে গোটা জাতি আজ এক বেদনাবিধুর অবস্থার মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বন্দি থাকা অবস্থায় নিজের সন্তান হারিয়েছেন। তিনি অনেক নিপীড়ন ও নির্যাতন সহ্য করেছেন, তবুও তাঁকে নিজের দেশ থেকে সরাতে পারেনি।

তাঁর বিরুদ্ধে অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হয়েছে, অনেক নির্যাতন হয়েছে। একটি ভগ্নস্তূপের মতো জেলখানায় তাকে বছরের পর বছর রাখা হয়েছে। তারপরও তাকে এই দেশ ও মাটি থেকে সরানো সম্ভব হয়নি। আজ সারা জাতি তার জন্য দোয়া করছেন।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বেগম জিয়া অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তাকে খুব দ্রুত আরোগ্য দান করুন, সুস্থ করে তুলুন এবং আবারও এ দেশের মানুষের কাছে, জনগণের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিন।

বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘তিনি বর্তমানে সিসিইউতে আছেন। পূর্বে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, গতকাল ও গত পরশু যেমন ছিল, আজও তেমনভাবে সেই চিকিৎসা চলছে। এর বাইরে আর কোনো নতুন আপডেট নেই। অন্য যে যা-ই বলুক, এতে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়।’

রিজভী আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া এখনও সংকটজনক অবস্থায় আছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ, ত গতকাল বা গত পরশু যে অবস্থায় ছিলেন, আজও তিনি সেই একই অবস্থায় আছেন। নানা ধরনের গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এতে কেউ যেন কান না দেয়।’


খালেদা জিয়া কোনো দলের নয়, সমগ্র দেশের নেত্রী: ডা. তাহের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কোনো নির্দিষ্ট দলের নন, তিনি সমগ্র দেশের মানুষের নেত্রী।

সোমবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী রাজনীতি ও নির্বাচন সামনে রেখে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা, বোঝাপড়া ও নীতিগত ঐক্য আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি সব রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, যেন সবাই ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে দায়িত্ব ঠিক করে।

নিজের চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, হৃদযন্ত্রে ব্লক অনুভব করায় তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক মনিরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা হয়। ব্লকটি শক্ত থাকায় চিকিৎসকদের মধ্যে মতভেদ ছিল। কেউ সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি ঢাকাতেই চিকিৎসা নিয়ে সফল হন।

বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডা. তাহের বলেন, তিনি একজন দেশনেত্রী ও গণতান্ত্রিক নেত্রী। তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই দেশ গত সাড়ে ১৫ বছরে অন্য দেশের আধিপত্যে পড়েনি। তিনি কোনো দলের নয়, পুরো দেশের মানুষের নেত্রী। জামায়াতের পক্ষ থেকে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।


একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমেছে: মির্জা আব্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি তথা দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমেছে। তারা দেশি-বিদেশি মদতপুষ্ট হয়ে এদেশের মানুষকে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্মীয়ভাবে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমাদের মা-বোনদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যদি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন না করতেন, আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যদি সেই গণতন্ত্রকে লালন না করতেন, তাহলে আজকের মতো নির্বাচনের সম্ভাবনা কখনোই হতো না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে এক মিনিটের জন্যও শান্তিতে থাকতে দেননি। গত ১৭ বছরে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা যে আন্দোলন করেছি—সেই আন্দোলনের সুফল দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
‘আমরা ভোটের অধিকার আদায় করেছি। এখন ভোট প্রয়োগের সময় এসেছে। আগামী যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন—সবার প্রতি এই আহ্বান থাকবে। কারণ, খালেদা জিয়ার হাতেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিরাপদ ছিল, বিএনপির হাতেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ ছিল।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আমার নেত্রী যে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, সেই গণতন্ত্রকে অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছর দুঃশাসন চালিয়েছে। এখন যখন আবারও আমরা গণতন্ত্রের স্বাদ পেতে শুরু করেছি—ঠিক সেই সময় আরেকটি রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে তথা দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
‘তারা দেশি-বিদেশি মদতপুষ্ট হয়ে এদেশের মানুষকে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ধর্মীয়ভাবে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের মা-বোনদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে’— যোগ করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া জেলখানায় অপচিকিৎসার শিকার হয়ে আজ অসুস্থ। অথচ তাকে আজ জাতির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি যদি মাথাচাড়া দেয় তাহলে ফ্যাসিবাদের চেয়ে তারা ভয়ঙ্কর হবে। এরা ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরি করে। এদেশের মানুষ ধর্মমনা হলেও ধর্মান্ধ নয়।


৫ দফা দাবিতে ৮ দলের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের উপর গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে ৮ দলের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে রোববার রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আগামীর সংসদ হবে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত সংসদ। চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ। অতীতে যারা চাঁদাবাজি করেছে, তাদের আর খাওয়া নাই। আগামীর সংসদ হবে কোরানের সংসদ। আগামীতে সচিবালয় চলবে সংসদ চলবে বিচারালয় চলবে কোরান দিয়ে। সবকিছু চলবে কোরান দিয়ে।

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৮ দলের জোট নতুন জাগরণ তৈরি হয়েছে। অবশ্যই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। সরকার একইদিনে গণভোটের সিদ্ধান্ত কারও কুপরামর্শে করেছে।

এ সময় সমাবেশের সভাপতি সহকারী সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জুলাই বিপ্লব কোনো একক দলের নেতৃত্বে হয়নি। কিন্তু এই সরকার একটি দলের পকেটে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা বলব, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। গণভোট আগে হতে হবে। ষড়যন্ত্র চলছে। যথাসময়ে নির্বাচন হতে হবে। গণভোট আগে দিতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে।

রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল ও মুফতি ইমরানের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শেখ মো. নুরুন্নবী, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি শেখ মো. সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান রোকন, জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাকসুর ভিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।


বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি স্থগিত করল বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে পূর্বঘোষিত বিজয় দিবসের কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিজয় দিবসের গৃহীত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
জনগণের কাছে দোয়া কামনা করেছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে তার মেডিকেল বোর্ড এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

এর আগে শনিবার (২৯ নভেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।


বেগম জিয়ার আজকের অসুস্থতা স্বাভাবিক নয়: মির্জা আব্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আজকের অসুস্থতা স্বাভাবিক অসুস্থতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে তিনি এমন অসুস্থ হয়েছেন।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৫ এ তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমি সবসময় কারা কর্মকর্তাদের থেকে সতর্ক থেকেছি। কারণ, কারাগারে স্লো পয়জন দেওয়া হয়। ভারতীয় একজন সাংবাদিক ঢাকায় এসেছিল। যখন আমার সঙ্গে দেখা হয় উনি বললেন, আমরা কী নিয়ে লাফালাফি করতেছি, উনি তো বাঁচবেন না দুই বছর। আমি বললাম কেন? তিনি বললেন, ওভাবেই ডিজাইন করা আছে। অর্থাৎ এমন করে ডিজাইন করা হয়েছে, উনি ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করবেন। আল্লাহর রহমত, এখন পর্যন্ত তিনি বেঁচে আছেন। আমরা আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনা করব।

তিনি বলেন, বুধবার রাত একটার সময় নেত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক ঘণ্টার মতো ছিলাম। আজকে যে খবরটা জানলাম, উনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ করে তুলবেন, এ কামনা করি।

নির্বাচন নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে যারা দেশের বাইরে থেকে চক্রান্ত করছে, তারা দেশটাকে বছরের পর বছর দখল করে রেখেছিল। তারা দেশটাকে একেবারে শেষ করে দিয়ে গেছে। তারা এখন বিদেশে বসে বক্তব্য দিচ্ছে, আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন হবে না। আপনারা বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করেন নাই? সুতরাং নির্বাচন বাংলাদেশে হবেই। এই ফেব্রুয়ারিতেই হবে, এতে কোনো ভুল নাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন, সাবেক সভাপতি এ বি এম রফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, রূপসী বাংলা-২০২৫ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক নাসিম শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমুখ।

রূপসী বাংলা-২০২৫ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এম হায়দার আলী (চট্টগ্রাম), দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন শামসুল হক রিপন (ঢাকা) এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন এম রাশেদ (চট্টগ্রাম)।


চাঁদাবাজির সিস্টেমে জীবনের বরকত নষ্ট হয়েছে: সিবগাতুল্লাহ সিবগা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেছেন, দেশে মানুষের চাওয়া–পাওয়া খুবই অল্প, কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী চাঁদাবাজিকে একটি সিস্টেম হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কৃষকের পণ্য, মিল-ফ্যাক্টরি—সবখানেই তাদের আধিপত্য। এই চাঁদাবাজির কারণে দেশের জীবনে বরকত নষ্ট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘যুব সমাবেশ ২০২৫’-এ প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ‘অন্যের সম্পদ ও অধিকার ভক্ষণ করা আগুন ভক্ষণ করার চেয়েও ভয়ঙ্কর। স্বাধীনতার পর বারবার ভোট দিয়েছি—চিন্তা করেছি, হয়তো পরিবর্তন আসবে। কিন্তু যারা নিজেদের দলের দুর্নীতি রুখতে পারে না, তারা জনগণের পক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। সময় বদলেছে, এখন আমরা হজরত ওমরের মতো যোগ্য নেতাকে ভোট দিবো, ইনশাআল্লাহ।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আফতাব উদ্দিন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি মো. তাজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। অনুষ্ঠানে গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগরের নায়েবে আমীর মো. খায়রুল হাসান কালীগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে একটি বিস্তারিত রূপকল্প উপস্থাপন করেন। তিনি রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে ‘সেক্টর ভিত্তিক উন্নয়ন কমিটি’ গঠনের ঘোষণা দেন, যেখানে সৎ ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয় করে স্থানীয় উন্নয়নকে দ্রুততর করার পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন, গাজীপুর জেলা আমীর ও গাজীপুর-৩ আসনের প্রার্থী ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গবেষক আলী আহমাদ মাবরুর (শহীদ আলী আহসান মুজাহিদের পুত্র), গাজীপুর-৪ আসনের প্রার্থী মো. সালাহ উদ্দিন আইউবী, গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল কালীগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে থানা গেটের সামনে এসে শেষ হয়।


সীতাকুণ্ডে বিএনপি প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের গণসংযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড, আকবর শাহ, পাহাড়তলী ও খুলশী আংশিক) আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন টানা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিদিনই কখনো বাঁশবাড়িয়া, কখনো কুমিরা কখনো সোনাইছড়ি, কখনো সৈয়দপুর, কখনো মুরাদপুর কখনো সীতাকুণ্ড পৌরসদর, কখনো পাড়া–মহল্লা, কখনো বাজারপাড়া-যেখানেই মানুষ আছে, সেখানেই তিনি উপস্থিত।

শুক্রবার তিনি বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডজুড়ে গণসংযোগ করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের খোঁজখবর নেন, তাদের সমস্যা শোনেন, আর বদলের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করেন।

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল এবং অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতারা তার সঙ্গে সারাদিন মাঠে ছিলেন। এলাকাজুড়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি আর সাধারণ মানুষের আগ্রহ পুরো পরিবেশকে সরব করে তুলেছে।

গণসংযোগ চলাকালে মানুষের মুখে উঠে আসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম, কর্মসংস্থানের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা, কৃষক–জেলে–শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের দুর্দশা।

কাজী সালাউদ্দিন তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং বলেন, এই এলাকার উন্নয়ন, ন্যায্য অধিকার আর ভরসার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্যই আমি মাঠে আছি। গণসংযোগে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এলাকাজুড়ে ব্যানার, লিফলেট আর হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা মানুষের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কাজী সালাউদ্দিন জানান, এই এলাকার রাস্তা, ড্রেনেজ, স্বাস্থ্যসেবা, জীবনমান-সবকিছুতেই নতুনভাবে কাজ প্রয়োজন। তাই মানুষ পরিবর্তন চায়।


বিএনপির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক সংস্কার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন

অঙ্গীকার: ক্ষমতায় গেলে কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষিত বেকারদের দেওয়া হবে ভাতা এবং প্রতিষ্ঠা করা হবে সামাজিক ন্যায়বিচার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
    রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা

সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

দলটি মনে করে, দেশের জনগণ গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিল, সেই রাষ্ট্রের মালিকানা তাদের হাতে নেই। কর্তৃত্ববাদী সরকার রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। এই রাষ্ট্র মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে ১৮ মাসের মধ্যে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিক্ষিত বেকারদের জন্য এক বছরের ভাতা চালুর অঙ্গীকার রয়েছে দলটির।

বিএনপি সূত্র জানায়, এবার তরুণ ভোটারদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রচারণা চালাবে দলটি। সেই লক্ষ্যে ‘তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক’ স্লোগান বেছে নেওয়া হয়েছে।

দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, দেশের সব জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে বিএনপি তাদের প্রচারণায় খাদ্য সহায়তার জন্য ফ্যামিলি কার্ড, বীজ–সার ও অন্য সহায়তার জন্য কৃষক কার্ড এবং চিকিৎসা কার্ড চালুর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরবে।

নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, সমান সুযোগ ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারও বিএনপির প্রচারণার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হবে বলে তারা যোগ করেন।

গত সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। শীর্ষ নেতারা দলের সম্ভাব্য প্রচারণা কৌশল নিয়ে এই বৈঠকে পর্যালোচনা করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটারদের আচরণ বিশ্লেষণ ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হয়েছে।

দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, সাতটি প্রধান ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে গিয়ে সরাসরি ভোটারদের কাছে প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।

দলীয় নেতারা জানান, খাতগুলো হলো- জলবায়ু ও পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারী ক্ষমতায়ন, ক্রীড়া ও ধর্মীয় বিষয়। নির্বাচনী প্রচারণার এই অঙ্গীকার তালিকা দলের ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকটি দল শিগগিরই মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ক্ষমতায় গেলে বাস্তবায়নযোগ্য বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি বিএনপির লিফলেটে তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবেশ সুরক্ষা, ৫০ লাখ ফ্যামিলি কার্ড চালু, পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি গাছ রোপণ এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতে চাঁদাবাজি–দুর্নীতি দমনে বিশেষ উদ্যোগ।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) মডেল অনুসরণ করে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ার পরিকল্পনাও প্রচারণায় তুলে ধরবে দলটি।

জলবায়ু ও পানি নিরাপত্তা ইস্যুতে ২০ হাজার কিলোমিটার নদী–খাল পুনরুদ্ধার, কমিউনিটিভিত্তিক সেচ ব্যবস্থা পুনরায় চালু এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি থাকবে।

আর্থিক সংকটে থাকা ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাসিক ভাতা প্রদান এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্বেগ নিরসনে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।

ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা খাতে বড় ধরনের সংস্কার আনা হবে। স্কুলপর্যায়ের পাঠ্যক্রমে ক্রীড়া, শিল্প–সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষুদ্রশিল্প স্থাপনে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্র জানায়, শীর্ষ নেতারা এখন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বেশি সময় দিচ্ছেন, দুর্বলতা চিহ্নিত করছেন এবং ভোটের আগে সেগুলো সমাধানে কাজ করছেন। পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ, ব্যাকআপ এজেন্ট প্রস্তুত এবং ৩১ দফা প্রতিশ্রুতি ও রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরে ব্যানার–ফেস্টুন–বিলবোর্ড টাঙাচ্ছেন।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর তত্ত্বাবধানে মূলধারার গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও তৃণমূলে প্রচারণা জোরদারে সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি। সাত সদস্যবিশিষ্ট সাতটি দল গঠন করা হবে, প্রতিটির জন্য আলাদা নেতা থাকবেন।


‘আমাকে যারা চিনেনি তারা এখনও মাটির নিচে বসবাস করে’: শাহাজাহান চৌধুরী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

‘আমাকে যারা চিনেনি তারা এখনও মাটির নিচে বসবাস করে’ এমন বক্তব্য দিয়ে আবারো আলোচনায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহাজাহান চৌধুরী। তার এ বক্তব্য ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে তাকে বলতে দেখা যায়, আল্লাহর ওয়াস্তে বাড়াবাড়ি করিয়েন না। আমার নাম শাহজাহান চৌধুরী। আমি শুনতেছি, অনেক জনে নাকি উল্টাপাল্টা বলতেছে; খবরদার, খবরদার, খবরদার। আমার নাম শাহজাহান চৌধুরী। আমাকে যারা চিনেনি তারা এখনও মাটির নিচে বসবাস করে। আমি চোখ তুলে দেখতেছি, আমার জন্য আল্লাহ আছে। আল্লাহ মেহেরবানি, আমার জন্য সূর্য দাঁড়িয়ে থাকবে। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এরকম মর্যাদা দিয়েছেন।’

চট্টগ্রাম জামায়াতের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন, গত ১৩ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় গণসংযোগকালে শাহজাহান চৌধুরী এই বক্তব্য দিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামে আবারও সমালোচনা শুরু হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, সেজন্য বলে যাচ্ছি, চুদুর বুদুর (উল্টাপাল্টা) করিও না। লুলা (অবশ) হয়ে যাবে। আমি যদি চোখের পানি ফেলি, লুলা হয়ে যাবে। আমি অনেক কষ্ট পয়েছি। ১৮ বছরের মধ্যে ৯ বছর জেল খেটেছি। আমি টাকা-পয়সা চাই নাই, ধনদৌলত, কাপড়চোপড়, পরিবারকে চাইনি। আমি আপনাদের দুয়ারে আজকে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দোয়া করবেন। মেহেরবানি করে দোয়া করবেন। আমার চোখের পানি বৃথা যায়নি। এই চরতী আমার শায়েখ, ওস্তাদ মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর জন্মস্থান। আমি এলাকাকে সম্মান করি, এই এলাকার মাটিকে সম্মান করি। এখানে কোন রাজনীতি নাই। এখানো আর কোনো মার্কা নাই, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মার্কা একটা, সেটা হলো দাঁড়িপাল্লা।

উল্লেখ্য, শাহজাহান চৌধুরী আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের মনোনীত প্রার্থী।


খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নতির দিকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নতির দিকে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নতির দিকে।

চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাতে তিনি আরও জানান, মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম যে সমস্যায় (ফুসফুসের ইনফেকশন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সেই জায়গাটা এখনও স্থিতিশীল আছে। ওনার চিকিৎসায় দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে যে মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়েছিল, তাদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। তাদের সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

তিনি আরও বলেন, অতীতের দুঃসময়ে অনেক বাধা সত্ত্বেও মেডিকেল বোর্ডের যে চিকিৎসকরা ম্যাডামের চিকিৎসা করেছিলেন, তারাই এখনও দিনরাত পরিশ্রম করে ম্যাডামের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, লন্ডন থেকে ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। এছাড়া ঢাকায় খালেদা জিয়ার পাশে আছেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান।

গত রোববার রাত ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। কিছুদিন পরপরই নানা জটিলতায় তাকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনসহ মোট ৩টি আসনে লড়বেন তিনি।


ঝালকাঠি-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন ড. ফয়জুল হক। বুধবার সকালে জেলা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর দুপুর দেরটায় পৌর শহরের একটি রেস্তরায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ড. ফয়জুল হকের প্রার্থীতা চূড়ান্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয়।

মনোনয়ন ঘোষণাকালে সংবাদ সম্মেলনে দলটির জেলা আমীর অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঝালকাঠি-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. ফয়জুল হক আজ থেকে দাড়িপাল্লা প্রতীকের ছবি তার প্রচার কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন।’

জামায়াত ইসলামী মনোনীত ঝালকাঠি-১ আসনের এই প্রার্থী হলেন ঝালকাঠি নেছারাদাদ কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা ওলীয়ে কামেল হযরত কায়েদ সাহেব হুজুরের নাতি। তিনি বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুজ্জাম্মিলুল হক রাজাপুরী হুজুরের সন্তান। তিনি ১৯৮৭ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম চাড়াখালী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

ড. ফয়জুল হক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ ও এমএ পাশ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ২০২৩ সালে পোস্ট-ডক্টোরাল ফেলোশিপ অর্জন করেছেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা ঘোষণার পর গণমাধ্যম কর্মীদের নানা প্রশ্নের জবাবে ড. ফয়জুল বলেছেন, ‘দাড়িপাল্লার মনোনয়ন পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাড়িপাল্লা ও জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ডা. শফিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। জনগণ সত্যের পক্ষে ভোট দেবে।’

পরিশেষে দাড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমান ও সকল আলেম-ওলামা, পীর মাসায়েক, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কৃষক ও শ্রমিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ প্রকাশ করেন।’

সংবাদ সম্মেলনে দলটির জেলা শাখার নেতারা ও বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


banner close