বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১০ পৌষ ১৪৩২

সংস্কার-নির্বাচন আলাদা জিনিস না: মির্জা ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১ এপ্রিল, ২০২৫ ১৭:৫৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস না। সংস্কার সংস্কারের মত চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার সদ্য সমাপ্ত চীনসফর প্রসঙ্গে মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে চীন এক তরফাভাবে একটা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। তবে এখন তারা চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করে সব দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। চীন বাংলাদেশে উৎপাদনে ও উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা দেশের জন্য আশাবাদের কথা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে বিষয়ে মতের ঐক্য হবে সেগুলো মেনেই নির্বাচন হবে। যারাই নির্বাচিত হবে সেই সংস্কার করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে একটি দৃশ্যমান রাজনৈতিক শূন্যতা বিরাজ করছে এবং তারেক রহমানের ফেরার মাধ্যমে সেই শূন্যতা পূরণ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

প্রেস সচিব আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণ’ বা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারেক রহমান দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হওয়ায় তাঁর এই প্রত্যাবর্তন সেই উত্তরণ প্রক্রিয়াকে আরও মসৃণ ও সুসংহত করবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁর ফিরে আসা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে প্রেস সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, মূলত বিএনপিই তাদের নেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিএনপি প্রশাসনের কাছে যে ধরনের নিরাপত্তা প্রটোকল বা সহায়তা চেয়েছে, তার প্রতিটি অনুরোধ সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পূরণ করছে। উল্লেখ্য, লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে আজ দুপুর ১২টার ঠিক আগে তারেক রহমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন, যা তাঁর দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়েছে।

বিফ্রিংকালে শফিকুল আলম প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই পদত্যাগের ঘটনাটি ঘটেছে, তবে কেন তিনি হঠাৎ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সে সম্পর্কে তাঁর কাছে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

পরিশেষে বড়দিনের সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। অন্তর্বর্তী সরকার চায় প্রতিটি ধর্মের মানুষ যেন তাঁদের ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠান নির্ভয়ে এবং আনন্দের সাথে পালন করতে পারেন। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখাই প্রকৃত গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন। মূলত তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন এবং ধর্মীয় উৎসবের আবহে দেশে একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ তৈরি হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি নেতার পদত্যাগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফেরার ঐতিহাসিক দিনেই তাঁকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিশেষ বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন। পদত্যাগের পাশাপাশি তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্তও জানিয়েছেন। মীর আরশাদুল হক এনসিপিতে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারণী পদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী ও পরিবেশ সেলের প্রধানসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

পদত্যাগের কারণ হিসেবে আরশাদুল হক এনসিপির বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর বিবৃতিতে উল্লেখ করেন যে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এনসিপির যাত্রা শুরু হলেও গত ১০ মাসের অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন দলটির নেতারা সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। যে স্বপ্ন ও সম্ভাবনা দেখে তিনি দলটিতে যোগ দিয়েছিলেন, তার কিছুই আর অবশিষ্ট নেই বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, দলের বর্তমান নেতৃত্ব এখন ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে, যা তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের পরিপন্থী। এ কারণেই তিনি এনসিপির সঙ্গে সকল রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে এই তরুণ নেতা বলেন, দেশের বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনার সক্ষমতা একমাত্র তারেক রহমানেরই রয়েছে। তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, যেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ধর্ম বা সাময়িক জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে, সেখানে তারেক রহমান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ এবং কর্মসংস্থানের মতো মানুষের মৌলিক সমস্যার সমাধানে একটি স্বচ্ছ ও আধুনিক রূপরেখা (ক্লিয়ার ভিশন) জাতির সামনে উপস্থাপন করছেন। তারেক রহমানের এই দূরদর্শী ও বাস্তবসম্মত সমাধানমূলক দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে বিএনপির প্রতি আকৃষ্ট করেছে বলে তিনি জানান।

আরশাদুল হক দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো ধরনের হুজুগ বা পপুলিজমে প্রভাবিত না হয়ে দেশের সামগ্রিক স্বার্থ ও আগামীর মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে তারেক রহমানের জনকল্যাণমূলক ভিশন বাস্তবায়নে সমর্থন জানানো উচিত। তারেক রহমানের ফিরে আসার এই দিনটিকে তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এক আশীর্বাদ হিসেবে অভিহিত করেন। এনসিপি নেতাদের প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত শুভকামনা থাকলেও রাজনৈতিকভাবে তিনি এখন থেকে তারেক রহমানের ভিশন বাস্তবায়নেই নিজের সমর্থন বজায় রাখবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের ঠিক আগে এনসিপির মতো একটি উদীয়মান দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার এই পদত্যাগ ও বিএনপির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।


তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে এল বিড়াল ‘জেবু’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রিয় মাতৃভূমিতে পা রেখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এই ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনে তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে শুধু পরিবারের সদস্যরাই নন, লন্ডন থেকে সশরীরে ঢাকায় এসেছে তাঁদের পরিবারের আদরের পোষা বিড়াল ‘জেবু’ও। আজ বেলা ১২টার পর বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জেবুর দেশে ফেরার একটি ছবি পোস্ট করা হয়, যার ক্যাপশনে লেখা ছিল— ‘দেশে ফিরেছে জেবু’। মুহূর্তেই এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের নজর কেড়েছে এবং ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।

এর আগে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি সিলেট হয়ে বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাঁর সাথে ছিলেন সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। জাইমার প্রিয় এই সাইবেরিয়ান বিড়ালটি বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। তারেক রহমান বিভিন্ন সময় জেবুর সঙ্গে তাঁর কাটানো মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার পর থেকেই বিড়ালটি সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষ করে বিড়ালপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত হয়ে ওঠে। সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বিড়ালটির প্রতি তাঁর পরিবারের গভীর মমত্বের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘বিড়ালটি মূলত আমার মেয়ের বিড়াল, তবে এখন সে আমাদের পরিবারের সবারই খুব আদরের হয়ে গিয়েছে এবং আমরা সবাই তাকে অনেক ভালোবাসি।’

বিমানবন্দরে দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে এবং খালি পায়ে প্রিয় মাতৃভূমির মাটি স্পর্শ করার পর তারেক রহমান সরাসরি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন। সেখানে লক্ষাধিক নেতাকর্মী সকাল থেকেই তাঁদের প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, যেখানে তাঁর মা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘ দেড় যুগ পর পরিবারের বড় ছেলের এই ফেরা এবং সাথে আদরের পোষ্য জেবুর উপস্থিতি বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে এক ভিন্নধর্মী ও আবেগঘন আমেজ তৈরি করেছে। মূলত বিড়ালটিকে ঘিরে আগে থেকেই তৈরি হওয়া কৌতূহল আজ তা সশরীরে দেশে আসায় এক পূর্ণতা পেল।


প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দেশের মাটিতে পা রেখেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই তিনি এই সৌজন্যমূলক ফোনালাপ করেন এবং প্রধান উপদেষ্টার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।

বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তারেক রহমান অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলছেন। ফোনালাপে তিনি নিজের এবং তাঁর পরিবারের সবার পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে, তাঁর এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে সরকার ও প্রশাসন যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা এবং বিশেষ প্রটোকলের ব্যবস্থা করেছে, তার জন্য তিনি ড. ইউনূসের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সরকার প্রধানের এমন সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করলে বিমানবন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। অভ্যর্থনা পর্বে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে লন্ডন থেকে ফিরেছেন সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

বিমানবন্দরের দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা এবং জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে তারেক রহমান বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগ করেন। টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার আগে এক অভাবনীয় ও আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়; তারেক রহমান নিজের জুতা খুলে খালি পায়ে প্রিয় মাতৃভূমির মাটি স্পর্শ করেন এবং অবনত হয়ে এক মুঠো মাটি হাতে তুলে নেন। তাঁর এই প্রতীকী শ্রদ্ধা নিবেদন উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অশ্রুসিক্ত ও আবেগাপ্লুত করে তোলে।

বর্তমানে তিনি একটি বিশেষভাবে প্রস্তুত বুলেটপ্রুফ বাসে করে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। সেখান থেকে তিনি সরাসরি যাবেন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে, যেখানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর পরিবারের বড় ছেলের এই ফিরে আসা এবং প্রশাসনের সাথে তাঁর এই সৌজন্যমূলক যোগাযোগ দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।


বাসে চড়ে ৩০০ ফিটের পথে তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে এক অভূতপূর্ব ও আবেগঘন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে তিনি কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর এলাকা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার আগে এক বিশেষ দৃশ্যের অবতারণা হয়; তারেক রহমান নিজের জুতা খুলে খালি পায়ে প্রিয় মাতৃভূমির মাটি স্পর্শ করেন এবং অবনত হয়ে এক মুঠো মাটি হাতে তুলে নেন। তাঁর এই প্রতীকী শ্রদ্ধা নিবেদন উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মীকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।

এর আগে লন্ডন থেকে আসা তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তাঁকে বরণ করে নিতে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা।

বিমানবন্দর ত্যাগের পর তারেক রহমান একটি বিশেষভাবে তৈরি লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে চড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দৃষ্টিনন্দন এই বাসের দুই পাশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি শোভা পাচ্ছে এবং বাসের সামনে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানটি খচিত রয়েছে। তারেক রহমান বর্তমানে ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট রোড) হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

তারেক রহমানের এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। হাতে জাতীয় পতাকা, দলীয় প্রতীক ধানের শীষ, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে তাঁদের প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদানের পর তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তাঁর চিকিৎসাধীন মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে। পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় বজায় রয়েছে।


দেশে ফিরে খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করলেন তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছর ৩ মাসের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজ দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি-২০২’ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরের দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে এবং পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি টার্মিনাল থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এ সময় এক অভূতপূর্ব ও আবেগঘন দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রিয় মাতৃভূমিতে পা রেখে তারেক রহমান নিজের জুতা খুলে ফেলেন এবং খালি পায়ে বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করেন। তাঁর এই প্রতীকী শ্রদ্ধা নিবেদন ও মাটির প্রতি মমত্ববোধ উপস্থিত হাজারো নেতাকর্মীকে আবেগাপ্লুত করে তোলে। মাটির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের পর তিনি সিআইপি গেটের সামনে অপেক্ষমাণ একটি বিশেষ বাসে আরোহণ করেন।

এর আগে, আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় এবং বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মাটি স্পর্শ করে। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় পর প্রিয় নেতার ফেরার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে ঘিরে বিমানবন্দর এলাকায় এখন জনস্রোত ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বিমানবন্দর এলাকা থেকে তিনি সরাসরি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর অপেক্ষায় রয়েছেন। এরপর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।


দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

দীর্ঘ ১৭ বছর ৩ মাসের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঠিক দুপুর ১২টায় তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় যুগের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরলেন তিনি।

তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের যাত্রা শুরু হয়েছিল বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে। ‘বিজি-২০২’ ফ্লাইটে করে আসা এই দীর্ঘ যাত্রাপথে আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি প্রথমে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে সকাল ১১টা ৪ মিনিটে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় বিমানটি। অত্যন্ত আবেগঘন এই সফরে তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী একই ফ্লাইটে তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরেছেন।

প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে আজ সকাল থেকেই শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় ছিল সাজ সাজ রব। তাঁর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে আগে থেকেই একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর এলাকায় কয়েক স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিমানবন্দরে নামার পর তারেক রহমান কিছুক্ষণ ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। এরপর তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সড়কপথে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন।

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ৩০০ ফিট এলাকায় সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে তিনি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন এবং বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, যেখানে তাঁর মা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘ সময় পর মায়ের শয্যাপাশে প্রায় এক ঘণ্টা কাটিয়ে তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯ নম্বর রোডের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরে বিশ্রাম নেবেন। দীর্ঘ দেড় যুগ পর পরিবারের বড় ছেলের এই ফিরে আসা এবং দলীয় প্রধানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে এক নজিরবিহীন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিতে এক নতুন ও শক্তিশালী বার্তা প্রদান করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


তারেক রহমানকে বরণে বিমানবন্দরে বিশেষ লাল-সবুজ বুলেটপ্রুফ বাস

আপডেটেড ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিমানবন্দরের সিআইপি গেটে আনা হয়েছে বিশেষভাবে তৈরি একটি লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাস। এই বাসটিতে চড়েই তারেক রহমান বিমানবন্দর থেকে তাঁর পরবর্তী গন্তব্যগুলোতে যাতায়াত করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দৃষ্টিনন্দন এই বাসটির দুই পাশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশাল প্রতিকৃতি সাঁটানো হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাসের জানালাগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা কাচ।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তারেক রহমান দুপুরে বিমান থেকে নামার পর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই বাসে করে সরাসরি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে যোগ দেবেন। সেখানে কয়েক লাখ সমবেত নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শয্যাপাশে কিছু সময় কাটাবেন তিনি। পরিবারের বড় ছেলের এমন আবেগঘন ফেরা এবং নিরাপত্তার এই বিশেষ আয়োজন নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে পুরো বিমানবন্দর এলাকাকে একটি অভেদ্য দুর্গে পরিণত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরের প্রতিটি প্রবেশপথে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র নির্ধারিত যাত্রীদেরই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে এবং তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিএনপি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের কমতি রাখা হয়নি। মূলত একটি সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক দিনটি উদযাপন করাই এখন সকলের প্রধান লক্ষ্য।


সিলেট থেকে ঢাকার পথে তারেক রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেটে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে এখন রাজধানী ঢাকার পথে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। এর আগে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করলে সেখানে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই তারেক রহমান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে লেখেন— ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’ তাঁর এই স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করে।

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টা) স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে এই ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করেছিলেন তারেক রহমান। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর তাঁর এই প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে সিলেট ও ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে এক নজিরবিহীন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে সিলেটে তাঁর আগমনের খবরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমান এবং মুহুর্মুহু স্লোগানে তাঁকে স্বাগত জানান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে দুপুর ১২টার দিকে তারেক রহমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে উপস্থিত লাখ লাখ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিতে ইতিমধ্যে ৩০০ ফিট এলাকা ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।


তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের আগেই ফেসবুকে আত্মপ্রকাশ করল প্রিয় বিড়াল ‘জেবু’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বড় ধরনের চমক হয়ে এসেছে তাঁর পরিবারের প্রিয় পোষা বিড়াল ‘জেবু’। জাইমা রহমানের এই আদরের বিড়ালটির নামে একটি অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ চালু করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। হালকা ও রসাত্মক (স্যাটায়ার) ধাঁচের বিভিন্ন কনটেন্টে সাজানো এই পেজটি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ও বিড়ালপ্রেমীদের মধ্যে দ্রুত সাড়া ফেলেছে।

বিএনপির কনটেন্ট জেনারেশন টিমের (সিজিটি) প্রধান সাইমুম পারভেজ নিশ্চিত করেছেন যে, এটিই জেবুর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ। সাইবেরিয়ান ব্রিডের দীর্ঘ লোমশ এই বিড়ালটি মূলত তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের প্রিয় পোষ্য। তবে এটি এখন পুরো পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি ছবিতে তারেক রহমানের মোবাইল ফোনের দিকে জেবুকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সেই থেকেই জেবুকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরনের বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

বিড়ালটির এই অভাবনীয় জনপ্রিয়তা নিয়ে তারেক রহমান নিজেই বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বিড়ালটি মূলত আমার মেয়ের। কিন্তু এটি এখন আমাদের সবার বিড়াল হয়ে গেছে। পরিবারের আমরা সবাই এটিকে খুব ভালোবাসি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানের পাশাপাশি জেবুও ঢাকায় অবতরণ করছে। লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটে করে জেবুর এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক মহলের বাইরেও সাধারণ মানুষের মাঝে এক ভিন্নধর্মী বিনোদন ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে জেবুকেও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।


৩০০ ফিট এলাকায় স্বাস্থ্যসেবায় প্রস্তুত ১৭ অ্যাম্বুলেন্স

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার ৩০০ ফিট ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এক বিশাল জনসমাগম তৈরি হয়েছে। এই সংবর্ধনা সমাবেশে অংশ নিতে আসা লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। মূলত সমাবেশে আসা কারো হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা বা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩০০ ফিট এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোট ১৭টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় প্রস্তুত রাখা প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে একটি করে দক্ষ মেডিকেল টিম নিয়োজিত রয়েছে। যাতে কোনো নেতাকর্মী অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় এবং প্রয়োজনে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা যায়। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখা হয়েছে এবং সেগুলোর গায়ে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা’ সংবলিত স্টিকার লাগানো হয়েছে।

বিপুল এই জনস্রোত সামাল দিতে এবং কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এই সুশৃঙ্খল চিকিৎসাব্যবস্থা নেতাকর্মীদের মাঝে বাড়তি স্বস্তি যুগিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স চালক ও দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, সমাবেশের কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিশেষ মেডিকেল ইউনিটগুলো মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় থাকবে। সংবর্ধনাস্থলের বিশাল এলাকা জুড়ে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই উদ্যোগটি তারেক রহমানের আগমনী অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


তারেক রহমানের অনুরোধ রেখেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশেষে দেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেছেন। তবে তাঁর বিশেষ অনুরোধ ও নির্দেশনা রক্ষা করে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে কোনো ধরনের জনসমাগম বা শোডাউন করেননি যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিদায়বেলায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে না আসার যে আহ্বান তিনি জানিয়েছিলেন, তা যথাযথভাবে পালিত হয়েছে। রাজনৈতিক শৃঙ্খলার এই অনন্য নজিরকে সংশ্লিষ্টরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে তারেক রহমান তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করেন এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন। ওই সভায় তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে, বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ভিড় হলে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি হতে পারে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঝুঁকি থাকে, যা দেশের জন্য সম্মানজনক হবে না। নেতার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নেতাকর্মীরা গতকাল বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন।

সরেজমিনে হিথ্রো বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালে দেখা গেছে, তারেক রহমান যখন স্ত্রী ও কন্যাসহ প্রবেশ করেন, তখন সেখানে সাধারণ যাত্রীদের বাইরে দলীয় কর্মীদের কোনো ভিড় ছিল না। উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশ ছিলেন সংবাদকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট ফ্লাইটের যাত্রী। যুক্তরাজ্য বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ছাড়া দল বা অঙ্গসংগঠনের অন্য কোনো পরিচিত মুখকে সেখানে দেখা যায়নি। তারেক রহমানের এই সুশৃঙ্খল প্রস্থান নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের বিশেষ বার্তা প্রদান করেছে।

বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তাঁর সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, তাঁর বহনকারী বিমানটি প্রথমে সিলেটে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করবে এবং এরপর আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

ঢাকায় পৌঁছানোর পর তারেক রহমানকে বিমানবন্দরে বিশেষ মর্যাদায় বরণ করে নেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। সেখান থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় অংশ নেবেন। দীর্ঘ সময় পর প্রিয় নেতাকে বরণ করতে সেখানে ইতিমধ্যে লাখো নেতাকর্মী সমবেত হয়েছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তাঁর চিকিৎসাধীন মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে। দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় পর পরিবারের এই মিলন এবং তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারা দেশে এক বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দীপনা বিরাজ করছে।


তারেক রহমানের নিরাপত্তায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবি মোতায়েন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর, ৩০০ ফিট এলাকা ও গুলশানসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তার মাধ্যমে এই বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কথা জানানো হয়।

তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি-২০২’ ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হয়ে ইতিমধ্যে সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষ করেছে এবং বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। এই বিশেষ যাত্রায় তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ও দলীয় সংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হবে। তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ সকালেই একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ি বিমানবন্দরে পৌঁছেছে, যা দিয়ে তিনি তাঁর পরবর্তী সকল কর্মসূচিতে যাতায়াত করবেন।

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিমানবন্দরে দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারেক রহমান সড়কপথে কুড়িল হয়ে সরাসরি ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। সেখানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে তিনি সংক্ষিপ্ত দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন এবং বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে তিনি সরাসরি বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, যেখানে তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘ সময় পর মায়ের শয্যাপাশে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটানোর পর তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯ নম্বর রোডের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফিরে বিশ্রাম নেবেন।

তারেক রহমানের এই আগমনকে ঘিরে রাজধানীতে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ শাখা ‘সোয়াট’ টিমকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রিয় নেতার ফেরার এই মুহূর্তকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে, আর প্রশাসনও যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।


banner close