বিএনপি বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, বিএনপি ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, সব সময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করবে। কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করবে না। আরেকজনের মতের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।’
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি অতীতে যে নির্যাতন ও নিপীড়ন হয়েছে, আপনাদের আইন কানুনে পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী চরিত্র দেওয়া হয়েছে, এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। আমরা লড়াই করে চলেছি। এখনো করছি। খুব স্পষ্ট ভাষায় দৃঢ়ভাবে আবারও বলতে চাই, আমরা কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করব না।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নতুন নয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছি, সেই ষাটের দশক থেকে এই বিষয়টি সব সময় সামনে এসেছে। পাকিস্তান শাসকদের বিরুদ্ধে সেই সময়েও আমরা কথা বলেছি, আন্দোলন করেছি, কাজ করেছি। তখন সংবাদমাধ্যমের একটি নিজস্ব স্বকীয়তা ছিল। যেখানে তাদের কোনও গোষ্ঠীভুক্ত করা অতটা সহজ হতো না। তাদের দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ ছিল অনেক উঁচু দরের।
বর্তমানে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আতঙ্কিত থাকেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা আতঙ্কিত থাকি সম্প্রতি প্রেসের সামনে কথা বলতে গিয়ে। মনে হচ্ছে, কোন প্রেস আমার কথাগুলো কীভাবে নেবে। তারপর তারা কীভাবে ছাপবে। অথবা সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে এটা উপস্থাপন করবে। এটা আমাদের জন্য, যারা আমরা রাজনীতি করি। এটা আমাদের জন্য সত্যি একটা চিন্তার বিষয়। কারণ, সম্প্রতি চরিত্র হরণ করার যে প্রবণতা বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা দিয়েছে, এটাতে চিন্তিত না হয়ে উপায় নেই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে আগের চেয়ে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে প্রায় ১৬ ভাগ বেড়েছে। সমস্যা দেখা দেয় তখনই, যখন দেখি কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে। কোনও কোনও রাজনৈতিক গোষ্ঠীও সেটার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন রকম রাজনৈতিক কর্মসূচিও দেন। একটি গণতান্ত্রিক মুক্ত সমাজে এটা কতটুকু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এটি আমার বোধগম্য নয়।
সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বিপক্ষে প্রচার চালানো হয় যে আমরা সংস্কারের বিপক্ষে। প্রায়ই বলা হয়, সংস্কার নয় আমরা নির্বাচন চাই। অথচ সংস্কারের বিষয়টি শুরু করেছে বিএনপি। দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা এনেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অনেক আপত্তি সত্ত্বেও বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সংবিধানে যুক্ত করেছে। এগুলো বাস্তবতা। ওই বাস্তবতা থেকে অযথা নানা ইস্যুতে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটি ট্রানজেকশন পিরিয়ডে আছি। অনেক রকমের ঘটনা, টানা- হেঁচড়া চলছে। গণতন্ত্রই নেই বলে সংকট হচ্ছে। গত ১৫ বছর ধরে লড়াই করলাম গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য। চব্বিশের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শুরু করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের কাছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ একটি বিশাল ব্যাপার। এটাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় আমাদের চিন্তা। এজন্য, আমরা সেটার জন্য লড়াই করেছি, যুদ্ধ করেছি, প্রাণ দিয়েছি। দীর্ঘ ৯ মাস অবিশ্বাস্য রকমের কষ্টের মধ্য দিয়ে পার করেছি। সেই জায়গায় আমরা কোনও আপস করতে চাই না। এটাকে অনেকে পছন্দ করতে পারেন, নাও করতে পারেন। তাতে ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছু মনে করি না। কারণ ‘দ্যাট ইজ মাই বেসিস’, ওটাই আমার মূল ভিত্তি।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম। আলোচনা সভায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সম্পাদকদের মধ্যে বক্তব্য দেন দ্য নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবির, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে দেশে বর্তমানে ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা অথবা সহিংসতা–সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম। তিনি বলেছেন, গণহারে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের আক্রমণ (মামলা) স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি এবং এটি ভয়ের ব্যাপার।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামল এত জনধিকৃত হয়েছিল, তার অন্যতম কারণ ছিল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং আরও অনেক আইনের শিকার হয়েছিলাম। তবে বর্তমানে ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা অথবা সহিংসতা–সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে মামলা চলছে। এটা কীভাবে সম্ভব? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও ২০০ বা কিছু বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ২৬৬ জন সাংবাদিক আজকে খুনের মামলা অথবা সহিংসতা সংক্রান্ত অপরাধের মামলার আসামি। এটা আমাদের জন্য অসম্মানের।’
সরকারের উদ্দেশে মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘এটার অর্থ এই নয় যে কেউ দোষ করেননি। দোষ করে থাকলে সঠিকভাবে মামলা করে শাস্তি দেন এবং আমরা কোনোভাবেই তার পাশে দাঁড়াব না, যদি তিনি সত্যিকার অর্থে সমাজের বিরুদ্ধে বা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান সে রকম থাকে। কিন্তু আজকে ছয় থেকে সাত মাস হয়েছে, তারা এসব মামলায় পড়েছেন। একটি কদমও এগোয়নি তদন্তের ব্যাপারে।’
যাদের নামে মামলা হয়েছে, সেসব সাংবাদিক একটা ভয়ের মধ্যে থাকেন উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম বলেন, তাঁরা ‘মব আক্রমণের’ (দলবদ্ধভাবে আক্রমণ) ভয়ে থাকেন। এ রকম দু-একটা ঘটনা ঘটেছে।
১৩ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার আছেন উল্লেখ করে মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘তারা যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু আজকে সাত মাস, আট মাস ধরে কারাগারে, তারা জামিন পাচ্ছেন না। তাঁদের আইনি কোনো প্রক্রিয়া চলছে না। বিচার হচ্ছে না। তাহলে এটা কি চলতে থাকবে?’
মামলার প্রবণতার কথা বলতে গিয়ে মাহ্ফুজ আনাম বলেন, এখন মামলার যে প্রবণতা, তাতে ১০০ জন, ৫০ জন, ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, তার মধ্যে একজন সাংবাদিকের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হলো।
সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে করণীয় সম্পর্কে নিজের মতামত তুলে ধরে মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘আমার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব হচ্ছে, সরকারের হয়তো অনেক ব্যস্ততার জন্য এই ২৬৬ জন সাংবাদিকের মামলা দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু তারা দৈবচয়ন ভিত্তিতে ১০-১৫টি মামলা দেখুক না, যেখানে ২০-২৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে একজন-দুজন সাংবাদিক আছেন। তারা যদি একটা, দুইটা, ৫টা দৃষ্টান্ত পায় যে সাংবাদিকদের নামে হওয়া মামলা মিথ্যা মামলা, তাহলে কেন পদক্ষেপ নেবে না? বারবার বলা আমাদের কিছু করণীয় নাই, আমি মনে করি যারা এই মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হেনস্তা করছেন, এতে তাদের আরও বলিষ্ঠ করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি দাবি করছি, সরকার সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াক।’
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘যে সাংবাদিক দোষী, যে সাংবাদিকের শাস্তি হওয়া উচিত, আমরা সরকারের পক্ষে থাকব। কিন্তু খামোখা একেবারে গণআকারে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ আমি মনে করি এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য বিরাট একটা পরিপন্থি ব্যাপার ও এটা ভয়ের ব্যাপার।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার পরিবর্তনের সরকার, এই সরকার সংস্কারের সরকার। আশা করি, এই সরকার গণতন্ত্রকে বলিষ্ঠ করার সরকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দৃঢ় করার সরকার। কিন্তু এই মুহূর্তে মামলার মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে নির্যাতন হচ্ছে এবং এটাও শুনেছি হত্যা মামলা দেওয়া হয় কেন, হত্যা মামলায় জামিন পেতে অসুবিধা হয়। সুতরাং যিনি মামলা দিচ্ছেন পরিকল্পিতভাবে, যাতে জামিন না পান। এগুলো তো প্রতীয়মান। সরকারের কাছে কি প্রতীয়মান হবে না?’
সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘আইন, স্বরাষ্ট্র ও অন্যান্য যারা আছেন, তারা উদ্যোগী হয়ে যেন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এটা শুধু আমাদের মনঃক্ষুণ্ন করছে না, বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’
আলোচনা সভায় মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশে প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, সে দেশে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি আমরা। অবাক লাগে, আমি বিস্মিত হই, জানি না, আমি কাকে দায়ী করব? আমি কি সরকারকে দায়ী করব, না, আমি কি মালিককে দায়ী করব, না করব না, সাংবাদিক ইউনিয়ন কী করছে বা আমাদের সম্পাদক পরিষদ, যেটিতে আমি প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এখন পর্যন্ত আছি, আমি মনে করি আমরাও ব্যর্থ হয়েছি।’
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যা-ই হোক আত্মসমালোচনা আমাদের দরকার, আমরা আসলে কতটুকু করতে পেরেছি। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে, পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে অনেকখানি। এক বছর আগে যে অবস্থা ছিল, সেই অবস্থা এখন আর নেই। অনেকখানি বদলেছে।’
গণমাধ্যমে অনৈক্য ও বিভাজন সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে উল্লেখ করে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি আশা করব, পত্রিকায় পত্রিকায়, ইদানীং আবার টেলিভিশনে টেলিভিশনের মধ্যে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, এটি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।’
নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশে আজকের দিনে যখন মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছেন, ঠিক তার এক বছর আগেও সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে এই দিবসটি পালন করেছিলেন। কিন্তু এই দুদিবসের মধ্যে অনেক অনেক পার্থক্য সূচিত হয়েছে। কিংবা পার্থক্য সূচিত হওয়ার লক্ষণগুলো দেখা দিয়েছে।’
নূরুল কবীর বলেন, ‘সেটা আমরা কতটা ইতিবাচক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারি, এটা কেবল গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নির্ভর করে না, সেটা নির্ভর করে প্রধানত রাষ্ট্র যারা পরিচালনা করেন, যারা আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তন করেন, তাদের ওপরও অনেকাংশে নির্ভর করে।’
আলোচনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ে অনেক গণমাধ্যম বন্ধ হয়েছে, তারাও অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন, সেগুলো আর ভবিষ্যতে চাইবেন না। জনগণের সমর্থন নিয়ে যারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে, তারা মুক্ত গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভায় বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, দৈনিক সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন সৃষ্টি করছে। ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৭ ডিসেম্বর এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ করে দেওয়া জামায়াতের বক্তব্যকে ‘অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, এনসিপি তা প্রত্যাখ্যান করছে এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এনসিপি মনে করে, জামায়াতের এই বিবৃতি বাস্তবতাবিবর্জিত, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত বিভ্রান্ত করার স্পষ্ট অপচেষ্টা।
এনসিপি মনে করে, ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তে তারা পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে আবির্ভূত হতে চাচ্ছে। যা দেশের জন্য অশুভ সংকেত।
এনসিপির দাবি, গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্স (এনপিএ)-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রমাণনির্ভর যে মন্তব্য করেন, তা সম্পূর্ণ তথ্যসম্মত ও দায়িত্বশীল। কারণ ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনি প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলি চালানো তুষার মণ্ডল যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী, তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে এবং অস্ত্র-গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করেছে। এমন স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা অস্বীকার করা সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর নিন্দনীয় অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এনসিপি আরও জানায়, সহিংসতা, অস্ত্রনির্ভরতা ও ধর্মের অপব্যবহার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিপন্থি। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য। জামায়াতকে সত্য, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।
যশোরের আলোচিত সেই মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাসিমা সুলতানা মহুয়াকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের পালবাড়ি গাজিরঘাট রোডে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ডিবির একটি দল।
মহুয়া পালবাড়ি গাজিরঘাট এলাকার মৃত সোহরাব আলী খানের মেয়ে।
ডিবি সূত্র জানায়, বিএনপি পার্টি অফিসসংক্রান্ত মামলার তদন্তে মহুয়ার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল হক ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য, নাসিমা সুলতানা মহুয়া যশোর জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ আসনের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
এর আগে, এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
নিজ দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি―বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি যোগদান করেন।
শাহাদাত হোসেন সেলিম নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমাদের দল বিলুপ্ত করে আমি বিএনপিতে যোগদান করেছি।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে শাহাদাত হোসেন সেলিম ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন বলে জানায় বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাত দিয়ে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।
তিনি বলেন, শাহাদাত হোসেন সেলিম ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র হিসেবে বিগত দিনে বিএনপির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন।
সেই বিবেচনায় আগেই বিএনপি থেকে তাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশে বিভাজন, ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মতে, গত ৫ আগস্টের পর দেশে যে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা হওয়ার কথা ছিল, তা গ্রহণ না করে জামায়াত বরং পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে আবির্ভূত হতে চাইছে, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য এক অশুভ সংকেত।
সোমবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে গত ৭ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এনসিপি জামায়াতের ওই বিবৃতিকে অসত্য, মনগড়া, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা ছিল সম্পূর্ণ তথ্যভিত্তিক ও দায়িত্বশীল। পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তুষার মণ্ডল যে জামায়াতেরই কর্মী, তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে এবং তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এনসিপির অভিযোগ, এমন সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও জামায়াত বাস্তবতা অস্বীকার করে সত্য গোপন এবং দায় এড়ানোর নিন্দনীয় চেষ্টা করছে।
এনসিপি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, রাজনীতিতে সহিংসতা, অস্ত্রের ব্যবহার এবং ধর্মের অপব্যবহার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ একান্ত অপরিহার্য। তাই সত্য, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
পুলিশের সামনেই লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তার অভিযোগ, তাকে ও তার নেতাকর্মীদের যখন হেনস্তা করা হচ্ছিল, তখন পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে এবং কেবল দু-তিনবার বাঁশি বাজিয়েই দায়িত্ব সেরেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত শনিবার বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জে সেতু উদ্বোধনের সময় ঘটা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই তাকে ও তার দলের নেতাকর্মীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই ফৌজদারি অপরাধ। অথচ পুলিশ কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে নিষ্ক্রিয় ছিল। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের আগেই যদি পুলিশের এমন ভূমিকা হয়, তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তার মতে, প্রশাসন যখন যে দল বা গোষ্ঠী প্রভাবশালী থাকে, তাদেরই দালালি করে, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়।
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, দলটির ভেতরে থাকা ছোট একটি অংশ বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কায়দায় রাজনীতি করছে। কিছুদিন আগে মুলাদীতে এলজিআরডি সচিব ও ডিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি অনুষ্ঠানও এই অংশটি পণ্ড করে দিয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিএনপি যদি এখনই এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নেয়, তবে আগামী নির্বাচনে তারা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং দিন দিন ভোট হারাবে। তিনি প্রত্যাশা করেন, যারা ভবিষ্যতে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছে, তাদের উচিত ছোট দলগুলোর সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করা এবং দলের ভেতরের বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে নির্বাচনের জন্য কোনো ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই। বর্তমান প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। এছাড়া মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত চীনা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের ধরণ নিয়ে অসন্তোষের কথাও তুলে ধরেন তিনি। গত দুই মাস ধরে তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একইসঙ্গে অনেক নাগরিক এখনো ভোটার হতে পারেননি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের কাছে সময় বাড়ানোর আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বাবুগঞ্জে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ব্যারিস্টার ফুয়াদকে ঘিরে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন এবং তাকে লাঞ্ছিত করে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। অভিযোগ রয়েছে, বক্তৃতায় চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ তোলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা এ ঘটনা ঘটায়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি'র আয়োজনে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।।
ভেড়ামারা পৌর বিএনপির সভাপতি আবু দাউদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাডঃ তৌহিদুল ইসলাম আলম।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জানবার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ আসলাম উদ্দীন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু মোহাম্মদ নূরউদ্দিন নুরু, যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম বিশু,যুগ্ম আহবায়ক গোলাম মোস্তফা ইসাহক, যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুর রহমান রঞ্জু, পৌর বিএনপি'র সাধদারণ সম্পাদক শফিকুল ইসএাম ডাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম রেজা শামীম, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম রোকন, জুনিয়াদহ ইউপি বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মোকারিমপুর ইউপি বিএনপির সম্পাদক আব্দুর রব,বাহাদুরপুর ইউপি বিএনপির সভাপতি বকুল হোসেন,সম্পাদক আসলাম উদ্দিন মোল্লা, ধরমপুর ইউপব বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম সরকার,সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিঠু, চাঁদগ্রাম ইউপি বিএনপির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সম্পাদক খায়রুল ইসলাম মোল্লা, বাহিরচর ইউপি বিএনপির সভাপতি জাহিদুর রহমান লাভলু, সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,সোহেল রানা ভুঁইবাবু সহ বিএনপিরঅঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির সাবেক দুই হেভিওয়েট নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’ (এনডিএফ)। মোট ২০টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত এই নতুন মোর্চা সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের যাত্রা শুরু করেছে।
রাজধানীর গুলশানের জানা পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই জোট গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এই জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
নতুন এই জোটে আনিসুল ও মঞ্জুর দলের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে আরও ১৮টি সমমনা দল। জোটের শরিক অন্য দলগুলো হলো— জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
এছাড়াও স্বাধীন পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ এই জোটের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আগামী দিনের রাজনীতি ও নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০ দলীয় এই জোটের আত্মপ্রকাশ রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন ছাড়াও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে এই বৈঠকে।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ফিরে অভাবনীয় সাড়া পেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া তার পাঁচ দিনব্যাপী গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা, প্রতিটি পথসভা রূপ নেয় বিশাল জনসমাবেশে।
টানা পাঁচ দিনে তিনি চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে বিরামহীন গণসংযোগ চালিয়েছেন। খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ফাঁশিয়াখালী, মগনামা, বদরখালী, হারবাং-সহ বিস্তীর্ণ জনপদের ঘরে ঘরে গিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এই সময়ে তিনি ৩০টি পথসভা এবং নারী ও সনাতনী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
প্রচারণাকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এলাকাবাসীকে একগুচ্ছ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, গভীর সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে চকরিয়া-পেকুয়া ও উপকূলীয় অঞ্চলকে একটি নতুন ‘বিজনেস হাব’-এ রূপান্তর করা হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে আনোয়ারা-পেকুয়া-বদরখালী সড়ককে ৪ লেনে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইসিটি সুবিধা বৃদ্ধি এবং নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন এই বিএনপি নেতা।
এবারের প্রচারণায় নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ বদরি জানান, অনেক সমাবেশে পুরুষদের চেয়ে নারীদের উপস্থিতিই ছিল বেশি। গণসংযোগ চলাকালে এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনাও ঘটে। একজন শতবর্ষী বৃদ্ধা তাকে দেখার অপেক্ষায় আছেন শুনে সালাহউদ্দিন আহমদ গাড়ি থামিয়ে ছুটে যান এবং ওই বৃদ্ধার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দোয়া নেন।
স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজনরাও সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। চকরিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জুবাইদুল হক বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ তার রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও পরিপক্বতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি শুধু কক্সবাজারের নন, জাতীয় পর্যায়ের নেতা। অন্যদিকে বদরখালী কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেন, অতীতে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তিনি এই অঞ্চলকে উন্নয়নের মাধ্যমে ৫০ বছর এগিয়ে নিয়েছিলেন। দলমত নির্বিশেষে ব্যক্তি সালাহউদ্দিনই এখানকার মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, গণতন্ত্রের সর্বনাশ ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার। তবে গণতন্ত্রপ্রিয় জনগণের দীর্ঘ সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, এমন নির্বাচন প্রয়োজন যেখানে মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেবে এবং বিএনপির নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী, সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে উঠবে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক পথসভা তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি জানান, কক্সবাজারে দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ বিএনপির আমলেই শুরু হয়েছিল এবং আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে চালু হবে। তখন ছয় লেন মহাসড়ক নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে উঠবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন শিগগিরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে এবং তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির প্রার্থীরা প্রচারনায় নামবেন। তার মতে, দীর্ঘ দেড় যুগ পর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেতে যাচ্ছে মানুষ, আর এই নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন।
বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে তিনি বলেন, তিনি গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। সালাহউদ্দিন আহমদ প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে তার নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের নুনাছড়ি, নয়া পাড়া, রাখাইন পাড়া, হারবাং বাজার, কালা সিকদার পাড়া,গুদার পাড়া, সওদাগর পাড়া পাহাড়তলী এলাকায় গণসংযোগ করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই তিনটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটটি আত্মপ্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন এই জোটের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা একটা ঐক্যপ্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলাম। তিনদল মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। পরিবর্তনের পক্ষে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে এই ঐক্যপ্রক্রিয়া যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য ঐক্যবদ্ধ চান সবাই।
পুরনো বন্দোবস্তে অতিষ্ঠ তারা। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সবার সহযোগিতা পাই না। আমাদের ভুল-ত্রুটি আছে। তবে আমরা আজ একটা নতুন যাত্রা শুরু করেছি।
আমরা ঘোষণা করছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্পিরিড নিয়ে তিনটি দলের ঐকবদ্ধভাবে চলব।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতিহাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘তিন দল নিয়ে এ জেটের যাত্রা শুরু হলেও আগামী তা আরও বর্ধিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ তিন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বরিশালের রহমতপুর―বাবুগঞ্জ মুলাদী হিজলা আঞ্চলিক সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মাণাধীন মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গিয়ে জনতার তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে ঘটে এই ঘটনা।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ব্যারিস্টার ফুয়াদ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর বক্তব্য দিতে গিয়ে দাবি করেন স্থানীয়দের চাঁদা দাবির কারণে সেতুর কাজ স্থগিত ছিল। তার এমন মন্তব্যের পরপরই উপস্থিত জনতার মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই তাকে ঘিরে ভুয়া ভুয়াস্লোগান দিতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতে ব্যারিস্টার ফুয়াদ দ্রুত গাড়িতে উঠে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর নির্মাণকাজ বিলম্বিত হলেও এ বিষয়ে কাউকে দোষারোপ না করে স্বচ্ছ তদন্ত প্রয়োজন। তারা মনে করেন, চাঁদা দাবি অভিযোগ দিয়ে প্রকৃত সমস্যাকে আড়াল করা হচ্ছে। এ কারণে ব্যারিস্টার ফুয়াদের বক্তব্যের বিরোধিতা করেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে জনতা।
উল্লেখ্য, বরিশাল অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি নির্মাণ হলে বাবুগঞ্জ, মুলাদী ও হিজলার সড়ক যোগাযোগে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
তবে কাজের ধীরগতির কারনে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ধর্মভীরু মানুষ, কিন্তু ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র বিভাজনে বিশ্বাস করি না। তবে একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের পথ সৃষ্টি করতে চায়।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই পথেও অনেক বাধা আসছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবারওয়ারে সজাগ থাকতে হবে। একমাত্র বিএনপিই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের আমলে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণ সমাজের মন-মানসিকতার অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবাই সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন চায়। নতুন বাংলাদেশের চিন্তা সবার মধ্যে এসেছে। পুরানো ধাঁচের রাষ্ট্রকাঠামো আর উপযোগী থাকছে না। এ সময় বিএনপিকে নতুন চিন্তার আলোকে তৈরি করতে চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারেক রহমান নিজেই পুরো চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। এতো মানুষের প্রার্থনা স্রষ্টা নিশ্চয়ই কবুল করবেন।