বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

হল থেকে সাইকেল চুরি করায় ছাত্রলীগ নেতার সিট বাতিল

আব্দুল্লাহ আল মারুফ
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ২২:৩০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে সাইকেল চুরি করায় আব্দুল্লাহ আল মারুফ নামে এক ছাত্রলীগ নেতার সিট বাতিল করেছে প্রশাসন।

গত বুধবার বিকেলে সাইকেলটি চুরি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তার সিট বাতিল করে হল প্রশাসন।

আব্দুল্লাহ আল মারুফ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় তার তাকে সহযোগিতা করেছেন আরিফুল ইসলাম সুমন নামে আরেক শিক্ষার্থী। তিনি ফোকলোর বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের ছাত্র, তবে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে মেসে।

হল প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, বুধবার হল থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়। ঘটনা জানতে সাইকেলটির মালিক শিক্ষার্থী হল গেটে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন। এতে দেখা যায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হলের প্রধান ফটকের পাশের জঙ্গল থেকে একটি সাইকেল বের করে নিয়ে যাচ্ছেন। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও হল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে চলে আসে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি চুরির বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি আমার এক বড় ভাইয়ের সাইকেল’। কিন্তু কোন বড়ভাই জিজ্ঞাসা করলে তিনি আর কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

এরপর আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মারুফ চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এতে তার সহযোগী হিসেবে সুমনের নাম বলেন।

সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, মারুফের নির্দেশেই হলের চার তলার ছাদ থেকে সাইকেলটি নিচে ফেলেছেন তিনি। পরে মারুফ ওই সাইকেল নিয়ে বিক্রি করেন।

হলের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, মারুফ মাদকাসক্ত। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠে।

চুরির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, মারুফের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিল করছি।

বিষয়:

বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

‘বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়’-বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। তাই বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান। বিএনপি নেতৃবৃন্দের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং বাংলার জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

‘বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি (মির্জা ফখরুল) সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামাতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ-পরিক্রমায় বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হতে থাকে।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতিকে সংবিধান উপহার দেন। ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করে। স্বৈরাচার জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।


খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। এর ফলে তিনি আরও ছয় মাস কারাগারের বাইরে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারবেন। খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতবিষয়ক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লার সই করা এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যদিও এর আগেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৫ মার্চ থেকে সাজা স্থগিত কার্যকর হবে। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করবেন। একইসঙ্গে বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে তিনি বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন না।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা ফৌজদারি কার্যবিধিমতে ৪০১ ধারায় তার সাজা স্থগিত রেখে যে দুটি শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেটা সাত বার বাড়ানো হয়েছে। বুধবার আবারও সেই একই শর্তে তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির আদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হলো। এই মতামত দিয়ে এই ফাইল আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিলাম।’

‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ১ উপধারা মতে, যে আবেদন ছিল- তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন আর সেই আবেদনের ওপর পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নাই, শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। সে কারণে আমি মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়েছি’- বললেন আইনমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর এ মামলার আপিলে তার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। এরপর থেকে ছয় মাস পর পর খালেদা জিয়ার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।


বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত: ব্লিঙ্কেন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের শুভেচ্ছা বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিঙ্কেন এ কথা বলেছেন।

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে প্রেরিত বার্তায় তিনি বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই বার্তায় ব্লিঙ্কেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকটে সাড়া দেওয়া, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।

‘আমাদের এই অংশীদারিত্ব একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার আরেকটি বছর উদযাপন করছে, তখন আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি এবং এই প্রচেষ্টাসমূহ বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট বলেন, ‘আমি এই বিশেষ দিনে সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং আগামী বছরে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আমরা উন্মুখ।’


যে আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তা রক্ষা হয়নি: মঈন খান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, যে আদর্শ নিয়ে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তা রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের একটিই প্রশ্ন, গণতন্ত্র কোথায় গেল? সেই দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কোথায় গেল?’

মঈন খান বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ নিয়ে লাখো মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেই আদর্শের জন্য নাম ছিল গণতন্ত্র এবং উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা। একটি সরকার আজকে দেশে এসেছে, সে সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা মুখে বলে গণতন্ত্র, তারা বাস্তবে করেছে একদলীয় শাসন। এবার করেছে বাকশাল টু। এটা আমার কথা নয়, এটা বিশ্ববাসীর কথা।’

বিদেশে লাখো কোটি টাকা পাচার হয়েছে দাবি করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘আজকে আপনারা দেখছেন, কীভাবে মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে।’

ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা করা হয়েছে দাবি করে মঈন খান বলেন, ‘৫০ লাখের মতো নেতা-কর্মীকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে তাদের আসামি বানানো হয়েছে। এখানে যদি মানুষের ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ না থাকে, এ দেশে যদি মানুষের গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ না থাকে, তাহলে আজকে কবরে শায়িত মুক্তিযোদ্ধারা কেন তারা দেশ স্বাধীন করেছে, কেন তারা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছে?’

স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক কীভাবে ঘোষক হয়? ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, ‘চমৎকার প্রশ্ন। তবে আমি ব্যক্তি প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। আপনারা জানেন, ব্যক্তি রাজনীতি আমরা করি না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে দেশ বড়। আজকে অন্তত স্পষ্ট, যখন সেই ২৫ মার্চের কালো রাতে পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিন আজকের যে আওয়ামী লীগ, যারা নিজেদের স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে দাবি করে, তারা সেদিন কেন পলায়নপর ভূমিকা নিয়েছিল?’

তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর আওয়ামী লীগ দিতে পারবে, আমরা দিতে পারব না, আমরা দিতেও চাই না। যে কারণে স্বাধীনতার ঝাণ্ডা উঁচু করে তুলে ধরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেদিনের যেভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করে প্রকাশ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই কথা ইথারে ভেসে শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে প্রচারিত হয়েছিল। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সূচিত হয়েছিল। সারা বিশ্বের মানুষ জেনেছিল একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতে যাচ্ছে। এর সঙ্গে আরেকটু কথা যোগ করে দিতে চাই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে স্বয়ং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেছিলেন। পালিয়ে লুকিয়ে থাকেননি কলকাতার আরাম আয়েশে। তিনি যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালোবেসে মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব বীরউত্তম উপাধি দিয়েছিলেন। আরও একটি তথ্য আপনাদের উদ্দেশ্যে দিতে চাই, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রীয় ভোজসভা দিয়ে জিয়াউর রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বন্ধু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ভবনে শহীদ জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে সম্মান জানিয়েছিলেন।’

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।


পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়। এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না।’

ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আবুল কাশেম, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব। সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিল। আর কারো কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হাওয়ার।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে এত বছর পর আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ, এ দেশেরই অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে। যারা আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আজ আমাদের শপথ, বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিষয়টিকে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।’

বিএনপি নেতাদের ভারত বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধিতা আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না। এই বিরোধিতা পাকিস্তান আমল থেকেই হয়ে আসছে। যখন কোনো ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতা ইস্যু সামনে আসে।’


ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি এখন দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।’

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের জন্য ৭টি ফ্লাইওভার উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাস রাপিড ট্রানজিট (বিআরটি, এয়ারপোর্ট-গাজীপুর) প্রকল্পের সওজ অংশের আওতায় এই ফ্লাইওভারগুলো নির্মিত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পণ্য বর্জন এটা কি সম্ভব? বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কিনা! আসলে তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ব্যর্থতার জন্য তারা নিজেরাই ক্লান্ত, তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারো সাথে কারো কথার মিল আমরা দেখি না। মঈন খান ভারতের সহযোগিতা চান, রিজভী আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন।’

দেশের তরুণ প্রজন্মকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম-এর বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক প্রশিক্ষণ কাকে দেবে। এটি প্রতারণাপূর্ণএকটি কৌশল। আসলে দলটির নেতারা একেকজনে একেক কথা বলেন। এখন আমরা শুনতে চাই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বলেন। তিনিই দলের মহাসচিব।’

মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তা সরকার কেন করবে? এর কোনো যুক্তিও নেই, বাস্তবতাও নেই। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো কথা বলা নেই।’

ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।’

ফ্লাইওভার যান চলাচলে উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা প্রান্তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিএনপি সস্তা ইস্যু বানিয়ে ভারতবিরোধিতা করছে: নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন সস্তা ইস্যু তৈরি করতে ভারতীয় পণ্য এবং ভারতের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি কঠিন লড়াইয়ে রয়েছি। আমাদের এখন খুব সহজ সময় যাচ্ছে না। আবার এ বিএনপি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।’ শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. মঈন খানরা যখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেকায়দায় পড়েছেন, তখনই সস্তা ইস্যু তৈরি করে ভারতবিরোধিতা করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেছেন। এই ভারতীয় পণ্য বর্জন, ভারতবিরোধিতা হলো ওদের রাজনৈতিক হালে পানি পাওয়ার জন্য অপচেষ্টা মাত্র; কিন্তু তারা জানে না জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া ভারত ইস্যুকে ঘিরে যে ‘ভারত জুজুর রাজনীতি’ করেছিলেন সেই বাংলাদেশ আজকে আর নেই।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিদের অবাধ বিচরণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। যাদের আমরা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত করেছিলাম, সেই ঘাতকদের অবাধ চারণভূমিতে পরিণত করেছিলেন জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদ। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’

আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জামায়াত-শিবির কিন্তু বসে নেই, ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে ওরা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। যখন আমি জিয়াউর রহমান, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এবং সারা দেশে বলেছি- একটি জাতিসাপ আমাদের পাশে পাশে চলছে। এই সাপটি যখন সুযোগ পাবে তখনই ছোবল দেবে। এই জাতিসাপ জামায়াতকে শুধু পিটুনি দিলে চলবে না, মাথায় আঘাত করে এই দেশ থেকে নিঃশেষ করতে হবে।’

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।

বিষয়:

‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সাহায্য করেছিল ভারত’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৩ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল সে সময়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে ছিল ভারত’ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছে। ৪১ ভাগেরও বেশি ভোট নির্বাচনে পড়েছে, যেটা অনেক উন্নত দেশেও এ পরিমাণ ভোট পড়ে না। তার পরও বলে, এখানে ইন্ডিয়া আমাদের নির্বাচিত করল। কোথায় ইন্ডিয়া? ভোটকেন্দ্রে আমাদের জনগণ, আমাদের ভোটাররা ভোট দিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্ডিয়াসহ বন্ধুদের যারা আছে, তারা দেশে-বিদেশে নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র, তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এটা সত্য। তারা আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি। তারা আমাদের ভোট বানচালের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশে বসে বিবৃতি দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব সিঙ্গাপুরে। আবার প্রতিদিনই দেখি একেকটা বিবৃতি দেয়। আমি অবাক হই, কোনো দলের সেক্রেটারি জেনারেল, নেতৃত্ব বিদেশে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে। আমি এ পর্যায়ে অনেকবার চেকআপে সিঙ্গাপুর গেছি, কিন্তু আমি কোনোদিনও কোনো বিবৃতি, মন্তব্য বিদেশ থেকে দিইনি। এটা নিয়ম নয়।’


‘বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিল। সে জন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বেগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যে অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিল, হত্যায় জড়িত ছিল, শুধু বঙ্গবন্ধু নয় স্বাধীনতারও বিরোধিতা করেছিল, সেই অপশক্তির ধারাবাহিক অপশক্তি এখন দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ভেস্তে দিতে, দেশকে পেছেনে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা প্রকাশ্যেই দেশকে পেছনে নেওয়ার জন্য ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান দেয়।

তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক অপশক্তি বারবার দেশে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে, সেই চক্রান্তেই বিএনপি গত নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে দিবাস্বপ্নের চূড়া থেকে ধপাস করে পড়ে গিয়ে এখন হাঁটছে, লিফলেট বিতরণ করছে।

মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আপনারা হাঁটেন, দৌড়ান কিন্তু আবার যদি মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করেন, জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে।

কিছু ব্যক্তিবিশেষও এই অপশক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যারা বিশ্বের সামনে দেশকে দরিদ্র বলে অপপ্রচার চালিয়ে নিজে নানা পুরস্কার নেয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে তার কোনো চিন্তা নাই। দেশে যখন বন্যা হয় তখন তাকে পাওয়া যায় না, দেশে যখন মানুষ পোড়ানো হয় তখন তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না, দেশে যখন দুর্যোগ হয় তখন ড. ইউনূসকে বিদেশে পুরস্কার নিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। ড. ইউনূসের লবিস্ট ফার্ম পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যত পুরস্কার দেওয়া হয় সেসব জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনে অথচ তিনি দেশের কাজে নেই; এটি অত্যন্ত হাস্যকর।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। প্রতিমন্ত্রী নাহিদ খান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরম আত্মত্যাগী জীবনের ওপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।

ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান ও সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ইসলামী চিন্তাবিদ শাইখ আকরামুজ্জামান মাদানী, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও সব শহীদের আত্মার শান্তি এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণ প্রার্থনা করে মোনাজাত করা হয়।


ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বাজার অস্থির করার ষড়যন্ত্রে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার দূরভিসন্ধি বিএনপির মানসিক বৈকল্যেরই বহিঃপ্রকাশ। তাদের ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দুদেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না। যারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। দেশের জনগণ তাদেরই বয়কট করবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হলে, উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন অবিবেচক হলে, কতটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের মতো কথা বলে। আজকে বিশ্ব বাস্তবতায় এবং আঞ্চলিক ভূকৌশলগত অবস্থানে দিক দিয়ে ভারত আমাদের তিনদিকেই বেষ্টিত। একদিকে শুধু মিয়ানমার। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বড় অংশই ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। দূর দেশ থেকে আমদানি খরচও বেশি। কাজেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার দুরভিসন্ধি বিএনপির মানসিক বৈকল্যরই বহিঃপ্রকাশ। নির্বাচনে না এসে তাদের মস্তবড় খেসারত দিতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির এক সিনিয়র নেতা দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইছেন। অপরদিকে বিএনপিরই এক জুনিয়র নেতা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। আসলে বিএনপির রাজনীতি এলোমেলো, গোলমেলে। এখন কাকে খুশি করতে চাইছেন তারা এটা বুঝতে পারছি না। বিএনপি আসলে কোন পথে চলবে? তারা এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং দিশেহারা হয়ে যখন যা খুশি তাই বলছে, যা খুশি করছে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি করেছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পর্ক ভালো রেখেই সুবিধা আদায় সম্ভব। যা করে দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। ছিটমহল বিনিময়, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। এখন তিস্তা, ফেনী নদীর পানি বন্টনসহ যেগুলো সমাধান হয়নি সম্পর্ক ভালো থাকায় এগুলো নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি আছে, সমাধানও সম্ভব। প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করে লাভ নেই।’

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানান, পাকিস্তান আমল থেকেই ভারত বিরোধীতার নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চলছে। আজকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক এটা তারই অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বিএনপি নেতাদের দমন পীড়নের অভিযোগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে একে একে প্রায় সব নেতা জেল থেকে বের হয়ে গেছেন। অথচ মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে বলছেন তাদের ওপর দমন পীড়ন চলছে। প্রায় সব নেতাই জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে গেছেন। এখানে দমন পীড়ন কোথায়? এটা কি স্ববিরোধী বক্তব্য নয়?’

এ সময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভুটানের রাজা বাংলাদেশ আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। ভুটানের রাজার পরিবারের সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক সম্পর্ক আছে। ভারতের ভূমি ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত নিমরাজী হবে না বলে মনে করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।


এরশাদের ছেলেকে জাপা থেকে অব্যাহতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি এরশাদ সাদকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার তাকেসহ জাপার ১০ কেন্দ্রীয় নেতাকে অব্যাহতি দেন তিনি। এসব নেতা রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাপায় যোগ দিয়েছেন। জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা রহমান মুন্নি, প্রাদেশিকবিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এস এম আল জুবায়ের, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, শারমিন পারভীন লিজা, যুগ্ম-প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান ও যুগ্ম-মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন।


‘চাঁদাবাজি একেবারে বন্ধ সম্ভব নয়, সহনশীল পর্যায়ে রাখতে হবে’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদাবাজি অনেকের কাজ, এই চাঁদাবাজি একেবারে হয়তো বন্ধ করা সম্ভব না। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করে সহনশীল পর্যায়ে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে রাজধানীর বনানীর বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি পৃথিবীর কোথায় হচ্ছে না? আমেরিকাতে হচ্ছে না? চাঁদাবাজি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, আজ প্রধানমন্ত্রীকেও এ নিয়ে বলতে হচ্ছে। চাঁদাবাজির প্রভাব দ্রব্যমূল্যে পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় চাঁদাবাজি ও যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমাদের মনিটরিংয়ে আছে। যারা অতিরিক্ত ভাড়া নেয়, কর্তৃপক্ষ যেন তাদের ওয়ার্নিং দেয়।’

‘আমি যখন রাস্তা দিয়ে চলি, তখন তিন চাকার গাড়ি রাস্তায় নেই। আমি যখন রাস্তা দিয়ে যাই না, তখন অহরহ চলতে থাকে। এখানে আমরা কতটা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি? আমাদের হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি বিআরটিএর সক্ষমতা যদি বাড়াতে না পারি, তাহলে আমরা যত ভালো সিদ্ধান্ত নিই, কার্যকর করা খুবই কঠিন। এই হলো বাস্তবতা’- বলেন সেতুমন্ত্রী।

বাসের বেহাল অবস্থা নিয়ে পরিবহন নেতাদের তিনি বলেন, ‘আপনারা বলছেন ঈদে লক্কড়ঝক্কড় মার্কা বাস এই শহরে আসে। আমি তো দেখি এমন বাস শহরেই আছে। ঈদের আগে এসব বাসে রং লাগায়, যা ১০ দিনও থাকে না। বাসগুলো দেখলে লজ্জা পাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেনী থেকে হানিফ উড়াল সড়ক আসতে যত সময় লাগে তার চেয়েও বেশি সময় লাগে উড়াল সড়ক থেকে নামতে।’

দেশের হাইওয়ে পুলিশকে ‘ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সরদার’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিআরটিএ ও হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা না বাড়ালে যতই আলোচনা করা হোক, সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, কিছুই কাজ হবে না। পৃথিবী অনেক বদলেছে।’

‘প্রত্যেক ঈদের আগে প্রস্তুতি সভা করি। কিন্তু সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়, সেগুলোর বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে, তা ঈদের পরে আর মূল্যায়ন করি না। তাই সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নিলাম, সেগুলো কতটুকু কার্যকর হলো, এর মূল্যায়ন করা উচিত’- যোগ করে বলেন মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘মহাসড়কে তিন চাকার যান, মোটরসাইকেল ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো- সব মিলিয়ে দুর্ঘটনা হয়। আমি অনেকবার বলেছি, মূল বিষয়ে হাত দেওয়া দরকার, কিন্তু হয়নি।’

এ সময় মন্ত্রী ঈদের আগে সাত দিন ও পরে পাঁচ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো খোলা রাখার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি গার্মেন্টস ছুটির বিষয়টি দেখতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ, নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল আরও ৬ মাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। এর ফলে তিনি আরও ৬ মাস কারাগারের বাইরে মুক্ত অবস্থায় থাকতে পারবেন।

বুধবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা ফৌজদারি কার্যবিধিমতে ৪০১ ধারায় তার সাজা স্থগিত রেখে যে দুটি শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেটা ৭ বার বাড়ানো হয়েছে। আবারও সেই একই শর্তে তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির আদেশ আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হলো। এই মতামত দিয়ে এই ফাইল আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ১ উপধারা মতে, যে আবেদন ছিল- তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এখন আর সেই আবেদনের ওপর পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই, শুধু মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া। সে কারণে আমি মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়েছি।’

যে মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে জেলের বাইরে থাকার সুযোগ দিয়েছে সরকার, সেই একই কারণে তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো যায় কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনে এর কোনো সুযোগ নেই। এখন যা করতে হবে আইনের মাধ্যমেই করতে হবে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর এ মামলার আপিলে তার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।


banner close