শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
১৩ আষাঢ় ১৪৩২

বিএনপির গণমিছিল: রাজধানীজুড়ে সতর্ক পাহারায় থাকবে আ. লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:০২

বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি নিয়েও সতর্ক অবস্থানে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গত ১০ ডিসেম্বরের মতো শুক্রবারও রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যাপক শোডাউন করবে দলটি। পাড়া-মহল্লার প্রতিটি মোড়ে অবস্থান নেয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অবস্থান থাকবে। বায়তুল মোকাররমসহ মসজিদগুলোর আশপাশেও সতর্ক পাহারা থাকবে। পাশাপাশি রাজধানীর নয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে বড় জনসমাগমের প্রস্তুতি রয়েছে দলটির।

দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজধানীকে নিজেদের দখলে রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা। দলটির নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ব্যর্থ হয়ে গণমিছিলের নামে আবারও সরকার পতনের নতুন ছক কষছে। এই অবস্থায় বিএনপির কর্মসূচিকে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

বিএনপির কর্মসূচি মোকাবিলায় এবং ৩০ ডিসেম্বর রাজপথে থাকতে ইতোমধ্যে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে বর্ধিত সভা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওই সভায় তিনি নেতাদের নগরের প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডে ৩০ ডিসেম্বর মাঠে সতর্ক পাহারায় থাকার দিকনির্দেশনা দেন।

এরই অংশ হিসেবে রাজধানীতে নিজেদের উপস্থিতি স্বতঃস্ফূর্ত রাখতে নয়টি জায়গায় শুক্রবার বড় সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরে উত্তরার আমির কমপ্লেক্সের সামনে, মহাখালী ব্রিজের নিচে, ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে, গাবতলী, শ্যামলী স্কয়ারের সামনে, মিরপুর-১ নম্বর ও মিরপুর-১০ নম্বর এবং ভাটারা ইউলুপের সামনে এসব সমাবেশ হবে। ঢাকা দক্ষিণের সমাবেশ দুটি হবে বঙ্গবন্ধু্ অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং যাত্রাবাড়ীতে। এই স্থানগুলোতে সকাল থেকেই দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ১০ ডিসেম্বরের মতো সতর্ক পাহারায় থাকবেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এই স্থানগুলোতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও থাকবেন। এর মধ্যে শ্যামলী স্কয়ারের সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকবেন। যাত্রাবাড়ীতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় ও নগর নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘তারা (বিএনপি) যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য করতে না পারে সেজন্য আমরা প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকব।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই সতর্ক পাহারায় থাকবে। একই সঙ্গে দুটি জায়গায় আমাদের সমাবেশ হবে।’

আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, দলের পাশাপাশি সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোও রাজধানীতে কড়া পাহারায় থাকবে। ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় থাকবে। প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সকাল থেকে বড় জমায়েত করবে। এ ছাড়া মৎস্যজীবী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও কৃষক লীগের আলাদা আলাদা কর্মসূচি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ তারিখের মতোই আমরা ঢাকাসহ সারা দেশে সতর্ক পাহারায় থাকব।’

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় না। আমাদের সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। তারা গণমিছিলের নামে সহিংসতা করবে, আগুন নিয়ে আসবে, ভাঙচুর করবে, অগ্নিসংযোগ করবে, আমরা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চুপ করে থাকব? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাব?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। ঢাকা শহরে আগে কখনো ইউনিট কমিটি ছিল না। এবার দুই সিটিতে ১ হাজার ৬০০টির মতো ইউনিট কমিটি হয়েছে। এবার সবচেয়ে বেশি উপজেলায় সম্মেলন হয়েছে। যেসব বিভাগে সম্মেলন বাকি আছে সেগুলো হয়ে যাবে।। দু-এক দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হবে।’

একই দিন সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না। তবে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্পটে সতর্ক পাহারায় থাকবে। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব জনগণের পাশে থাকা, যাতে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা কেউ বিনষ্ট করতে না পারে।’

বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মসূচির নামে অশান্তি, অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি যাতে করতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের নেতা-কর্মীরা বসে থাকবে না, তারা দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’

একই সভায় আওয়ামী লীগকে সরকারের পাহারাদার উল্লেখ করে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, ‘তারা ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে সরকারের পতন ঘটাতে। তারা যদি সরকারের পতন ঘটানোর কোনো কর্মসূচি নিয়ে থাকে তাহলে আমাদের দায়িত্ব কী? আমরাই পাহারাদার হিসেবে সরকারকে পাহারা দেব।’

মির্জা আজম বলেন, ‘বিএনপির গণমিছিল ছিল ২৪ ডিসেম্বর। সেদিন আমাদের জাতীয় সম্মেলন ছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তারিখ পরিবর্তনের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তারা তারিখ পরিবর্তন করেছে। সেই তারিখ পরিবর্তনের মধ্যেই আমরা একটা রহস্য খুঁজে পেয়েছি এবং ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছি। গত ২৪ তারিখ ছিল শনিবার। আমরা যারা রাজনীতি করি, শুক্রবার কোনো কর্মসূচি পারতপক্ষে দেই না। দেয়া হয় না। কিন্তু তারা পরিবর্তিত তারিখ দিয়েছে শুক্রবার। এটা আমাদের খুব গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে। শুক্রবার দেয়ার কারণ কী? তাদের সঙ্গে আছে জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতের মতো বড় ষড়যন্ত্রকারী দল। সেই কারণে শুক্রবারের এই কর্মসূচি নিয়ে আমাদের ভেবে দেখতে হবে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি এখন আর গোপনে ষড়যন্ত্র করছে না, প্রকাশ্যেই করছে। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে সরকারের পতন ঘটাবে। তারা নতুন ২৭ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারা যে ষড়যন্ত্র করছে, তার জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’


বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’

শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’

রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’

বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানিয়েছে।


নির্বাচনের তফসিলের পর আসন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই বিএনপি তার রাজনৈতিক জোটের শরীকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির যোগাযোগ কমিটি এবং গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পরেই আসন বণ্টনের বিষয়টি সমাধান করা হবে। ‘তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সকল সমমনা দলের সঙ্গে আলোচনা করব।’

গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে খসরু বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণায় উভয় দলই সন্তুষ্ট বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, তারা ৩১ দফা সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ নির্বাচনের আগে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আন্দোলনের সময় আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তেমনি আগামী দিনেও—নির্বাচনের সময়, সরকার গঠনে এবং ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে—একসঙ্গে এগিয়ে যাব।’

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চলমান বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে খসরু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে একমত হতে পারে সে বিষয়ের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। ‘এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব রাজনৈতিক ধারণা, দর্শন এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য রয়েছে। ‘সুতরাং, সবকিছুর উপর ঐকমত্যে পৌঁছানোর প্রয়োজন নেই। কিছু বিষয় বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আবার কিছু বিষয় বিভিন্ন দলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পার্থক্যগুলো থাকবে। সেই কারণেই সংস্কারগুলো একমত হওয়া বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করবে এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নির্বাচনে জনগণের কাছে উপস্থাপন করা হবে।’

খসরু বলেন, বিএনপি তাদের নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করার পর সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, ‘ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে বিচার বিভাগ একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও এটি অনুমোদন করেছে এবং মতামত দিয়েছে। তাই, আইনত তার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত।’

খসরু বলেন, বিএনপি এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উভয়ই আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা যদি সত্যিই আইনের শাসন অনুসরণ করি—তাহলে ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়া স্বাভাবিক। আমরা এখন এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালনে ৭ উপ-কমিটি বিএনপির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালনে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ৭ টি উপ-কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এই কমিটি বিএনপি’র মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করা হয়েছে।

ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটিতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে আহ্বায়ক ও ড. আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সদস্য সচিব, প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটিতে অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলকে আহ্বায়ক ও আতিকুর রহমান রুমনকে সদস্য সচিব, শৃঙ্খলা উপ-কমিটিতে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব, অভ্যর্থনা উপ-কমিটিতে হাবিব-ঊন-নবী খান সোহেলকে আহ্বায়ক ও মিসেস শামা ওবায়েদকে সদস্য সচিব, যোগাযোগ উপ-কমিটিতে ড. মাহদী আমিনকে আহ্বায়ক ও এহসান মাহমুদকে সদস্য সচিব, আপ্যায়ন উপ-কমিটিতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে আহ্বায়ক ও নুরুল ইসলাম নয়নকে সদস্য সচিব এবং দাপ্তরিক উপ-কমিটিতে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদকে আহ্বায়ক ও মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গেছে।


'মব জাস্টিস’ সমর্থনযোগ্য নয় : রিজভী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার উচ্ছৃঙ্খল বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।

তিনি বলেছেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হতে হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।

মব জাস্টিসের সাথে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে আসামিরা হেনস্তা হন?

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন সিইসি দায়ী থাকলেও আইনসম্মতভাবেই তাদের অপরাধের বিচার চায় বিএনপি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, যুগ্ম-সাধারণ বেলাল উদ্দীন সরকার তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।

সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় গণকংগ্রেস স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লি হংঝং ও অন্যান্য সিনিয়র সিপিসি নেতাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে সিপিসি নেতারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।

শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বৈঠককালে লি হংঝং আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, সিপিসি নেতারা আশা করেন যে, এই বৈঠক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

তারা সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। চীন বৃহত্তর বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তার ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

এর আগে, দিনের শুরুতে বিএনপির প্রতিনিধিদল চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং তারা অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন।

এই সফরকে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, উভয় দল ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশা করছে।

এর আগে রবিবার রাতে সিপিসির আমন্ত্রণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।

তারা বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বেইজিং সময়) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছান।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য আট সদস্য হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।


সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।

তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’

সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’

রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’

সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।


বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু।

গণতন্ত্র মঞ্চ লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।


শাপলা প্রতীক চেয়ে ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন এনসিপির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জমা দেয় নতুন রাজনৈতিক দলটি। এ সময় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের প্রতীকের তালিকায় শাপলা ছাড়াও কলম ও মোবাইল রেখেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। আবেদন জমা দেওয়ার পর আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে দল নিবন্ধনের শর্তসমূহ পূরণ করে আমাদের দল নিবন্ধনের আবেদন এই মাত্র দাখিল করেছি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আমাদের আবেদন রিসিভ (গ্রহণ) করেছেন। আমাদেরকে রিসিভ কপি তারা দিয়েছেন।’

এ সময় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘৫ তারিখে গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে বাংলাদেশের মানুষের জয় হয়েছিল, আগামীর পার্লামেন্ট ভোটে এনসিপির শাপলা প্রতীকে পুরো বাংলাদেশের মানুষ জয়জয়কার করে দেবে, এনসিপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে।’

এ সময় নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে গত ১৫ বছরে ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যেসব ব্যক্তি রয়েছেন, তাদের যেমন পুনর্গঠন করতে হবে, নিয়মনীতির পরিবর্তন করতে হবে, কিন্তু তার মানে এই নয়, ইলেকশন কমিশন বাংলাদেশ থেকে উধাও হয়ে গেছে। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই কমিশনকে আমরা পুনর্গঠন করতে চাই, শক্তিশালী করতে চাই, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই। সে প্রক্রিয়ায় কিন্তু আমরা আজকে এসেছি। এর মধ্যেও আমরা বলে যেতে চাই। আমরা আজকেও বলছি, ইলেকশন কমিশন পুনর্গঠন প্রয়োজন।’

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এ দলটি গঠিত হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার শেষ দিনে গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত আবেদন জমা দিয়েছে দুই ডজনেরও বেশি রাজনৈতিক দল।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে নির্বাচন কমিশন। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল। এরপর এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দলের নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ২ মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।


নিবন্ধনের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এখন পর্যন্ত অন্তত দুই ডজন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জমা দিয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সকাল থেকে দলগুলোর প্রধান ও নেতারা নিজেরাই নির্বাচন ভবনে এসে নিবন্ধনের আবেদনপত্র জমা দেন।

এরইমধ্যে আবেদন জমা দিয়েছে— জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি), গণদল, বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ সমতা পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজি আন্দোলন, বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোট, নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি), বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা পার্টি, বাংলাদেশ গণ বিপ্লবী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফেডারেশন, জনতার দল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (বিএনপি), জাতীয় ন্যায়বিচার পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিডিপি) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)।

‘হাতি’ প্রতীক চায় জেপিবি

জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদনপত্র জমা দিয়ে দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘হাতি’ চেয়েছে। নির্বাচন ভবনে আবেদনপত্র জমা দিয়ে জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছি। বর্তমানে নিবন্ধনের যে নিয়ম রয়েছে তা কঠিন।’

‘যদিও নির্বাচন সংস্কার কমিশন এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে, এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবুও আমরা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করেছি এবং নিবন্ধনের আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’

তিনি বলেন, দলটি সংস্কারের পক্ষে এবং ভবিষ্যতে আইন পরিবর্তন হলে কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।

জনতার দল চায় ‘চাবি’ প্রতীক

অন্য আরেকটি দল জনতার দল দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘চাবি’ চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়। দলের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল ও সদস্যসচিব আজম খান নির্বাচন ভবনে এসে আবেদন জমা দেন। আবেদন জমা দেওয়ার পর শামীম কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ করেছি এবং জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন করেছি। এখন সিদ্ধান্ত কমিশনের।’

এদিকে, বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ১০ মার্চ নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের জন্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়ে আবেদন আহ্বান করে। ওই সময়ের মধ্যে ৬৫টি দল আবেদন করে। পরে কমিশন সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়ায়।

রাষ্ট্রপতির আদেশ ১৯৭২-এর ৯০(ক) ধারা অনুযায়ী নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হয়। নিবন্ধিত দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজস্ব প্রতীকে অংশ নিতে পারে। বর্তমানে ইসির তালিকাভুক্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত এবং জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে।


জীবদ্দশায় একজনের ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত না: জামায়াত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কোনো এক ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা উচিত না বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার (২২জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এমন কথা বলেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদ নিয়ে ঝামেলার মধ্যে প্রস্তাব করেছিলাম—একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সর্বোচ্চ দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়্ত্বি পালন করতে পারবেন না।’

এ বিষয়ে সবাইকে একমত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বার ও মেয়াদের ব্যাখ্যায় যাওয়ার দরকার নেই। তিনটি দল ছাড়া সবাই এই প্রশ্নে এক জায়গায় এসেছি।’

‘অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, সেটা যত বারই হোক। এটা জাতির আকাঙ্ক্ষা, আমি মনে করি। এটিই আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে, বলেন জামায়াতের এই নায়েবে আমির।

তিনি বলেন, ‘এমন নজির বহুদেশে আছে। এটা বাংলাদেশেও জরুরি বলে আমরা মনে করি। এ নিয়ে আমরা প্রায় ঐকমত্যে এসেছি। বিকালে আরও দুটো পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হবে।’

বৈঠকে আলী রীয়াজ ছাড়াও আরও উপস্থিত রয়েছেন, ঐকমত্য কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

এরআগে গেল ১৭ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের অসমাপ্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর পরেরদিন অবশ্য অংশ নিয়েছিল তারা।

এদিকে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো এখনো কাছাকাছি আসতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতেই এনসিসি গঠনের কথা বলা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন নিয়েও দলগুলোর ঐকমত্য হয়নি গত সপ্তাহে হওয়া চার দিনের সংলাপে। এ পর্যায়ে ঐকমত্যের সংজ্ঞা নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ পেয়েছে। কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও ভাবছে।


মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

রবিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।

এমন এক সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো যখন ফখরুলসহ বিএনপির আরও আট নেতার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আজই বেইজিং সফরে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।


আবার কলম বিরতির ডাক এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল সোমবার সারা দেশের শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিন ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করবেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। গতকাল শনিবার বিকালে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এবং মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার মিজ সেহেলা সিদ্দিকা বক্তব্য দেন। এনবিআরে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন করছে। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু নয় বলে ঐক্য পরিষদ মনে করে। উল্লেখ্য, আগে থেকেই ঐক্য পরিষদ রাজস্ব ভবনে চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত ১৯ জুন এনবিআর কর্তৃক গঠিত কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। রাজস্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের লক্ষ্যে এনবিআরের কর ও কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের ছয়জন সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনো প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি। আবার এনবিআর চেয়ারম্যান বিভিন্ন সভায় ও বক্তব্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের বৈধতা ও অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকালে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভায় অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারকে সভাপতি ও অতিরিক্ত কর কমিশনার মিজ সেহেলা সিদ্দিকাকে মহাসচিব করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সামগ্রিক রাজস্ব সংস্কার ভাবনার অংশ হিসেবে ‘কেমন এনবিআর চাই’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার প্রস্তুতিমূলক সভা আয়োজনের জন্য কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে লিখিত আবেদন দেওয়ার পরও কক্ষ বরাদ্দ প্রদান না করায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এরপর থেকে এর প্রতিবাদে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। গত ২৬ মে সরকার ঘোষণা দেয়, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এনবিআর নিয়ে জারি করা অধ্যাদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় আজ একটি কমিটি গঠন করা হলো।


banner close