‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথেই নিরলস কাজ করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দশ লাখের অধিক নির্যাতিত বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করেছেন যার জন্য তিনি মাদার অফ হিউম্যানিটিতে ভূষিত হয়েছেন। দেশে দারিদ্র্যের হার কমানো, শিশু মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে জাতিসংঘের পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।’
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে শুক্রবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রিয়াদস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
সভায় জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘স্বাধীনতা ছাড়া শান্তি আসে না, একমাত্র স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমেই টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা পেয়েছি, যা পৃথিবীর বুকে আমাদের জাতি হিসাবে পরিচয় করে দিয়েছে। জাতির পিতা তার সারা জীবন শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। মানুষের মুক্তির জন্য, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শান্তির দর্শনের অন্যতম উপাদান ছিল যুদ্ধ পরিহার করে যেকোনো বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সকল প্রকার বঞ্চনা ও শোষণ দূর করার মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার প্রদর্শিত পথে বিশ্ব শান্তির পক্ষে নিরলস কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর করেছেন। দশ লাখের অধিক নির্যাতিত বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে তিনি মাদার অফ হিউম্যানিটিতে ভূষিত হয়েছেন। দেশে দারিদ্র্যের হার কমানো, শিশু মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে জাতিসংঘের পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল জাতির মধ্যে টেকসই শান্তি ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার মানসিকতা তৈরি করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। এ ছাড়া বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তি মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অবদান রেখে চলেছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রিয়াদস্থ আওয়ামী পরিষদের সভাপতি এম আর মাহাবুব।
সৌদি আরবের আল হাসা শহরের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে কনস্যুলার সেবা দিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। রিয়াদ থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরে শুক্রবার শতাধিক বাংলাদেশি অভিবাসীকে সেবা দেয়া হয়।
দূর-দূরান্ত থেকে এই সেন্টারে উপস্থিত হয়ে অভিবাসীরা দূতাবাসের সেবা নেন। শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কনস্যুলার সেবা দেয়া হবে।
শুক্রবার আল হাসায় অভিবাসীদের ইকামার মেয়াদ বাড়াতে পাসপোর্ট নবায়ন ও পাসপোর্ট রি-ইস্যু ছাড়াও পাসপোর্টসংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা দেয় দূতাবাস। শ্রম উইংয়ের পক্ষ থেকে দেয়া হয় স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় হূরুবপ্রাপ্ত, ইকামা বিহীন, ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ ও এক্সিট ভিসায় মেয়াদোত্তীর্ণ অভিবাসীদের আইনি সহায়তা। এ ছাড়া অভিবাসীদের প্রবাসীকল্যাণ কার্ডের জন্য নিবন্ধন করা হয় এবং তাদের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ কার্ড বিতরণও করা হয়।
দূতাবাসের সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে অ্যাকাউন্ট খোলা ও ওয়েজ আর্নার্স বন্ড করার সেবাও শুক্রবার দিয়েছে দূতাবাস। এ সময় সোনালী ব্যাংকের প্রতিনিধি প্রবাসীদের বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সরকারি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পাওয়ার বিষয়টিও তিনি সেবাপ্রার্থীদের বুঝিয়ে বলেন।
সেবা নিতে যাওয়া স্থানীয় প্রবাসীদের সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যায় থাকা অভিবাসীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেয়া হয়। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্য সরকারের বিভিন্ন সুবিধার কথা প্রচার করা হয় অভিবাসীদের কাছে।
আল হাসা সৌদি আরবের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন নগর। বেশকিছু বাংলাদেশি অভিবাসী সেখানে বসবাস করেন। তারা মূলত কৃষিকাজ, বিভিন্ন খেজুরের বাগানের কাজ ও ব্যবসায় যুক্ত। এ ছাড়া আল হাসার স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষক কর্মরত। এখানে প্রবাসীদের সবসময় সেবা দিতে দূতাবাসের অধীনে একটি প্রবাসী সেবা কেন্দ্র কাজ করে।
সৌদি আরবের হাফার আল বাতেন শহরে কুমিল্লা জেলা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন হয়েছে।
এ উপলক্ষে সম্প্রতি হাফার আল বাতেনের কাসর আল সালাম কমিটি সেন্টার রাবুয়ায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কুমিল্লা জেলা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল মোতালেব মজুমদারের সভাপতিত্বে আলমগীর পাশা ও আবুল বাশারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুন্সি আরিফুল ইসলাম ইয়াকুব নবীসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে হাফার আল বাতেনের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা, ব্যবসায়ী ও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
পরিষদের নেতারা অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের দুর্যোগ মোকাবিলায়, প্রবাসীদের মরদেহ দেশে প্রেরণ, রোগাক্রান্ত অসহায় প্রবাসীদের সহায়তা করাসহ বিভিন্ন মানবিক কাজে পাশে থাকাই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য।
এরপর কুমিল্লা জেলা প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের ৩০ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এতে আব্দুল মোতালেব মজুমদারকে সভাপতি, আবুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ও আলমগীর ভাষাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কার্যকরী পরিষদের সবাইকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
এরপর নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সৌদি আরবে চলছে আসন্ন পবিত্র হজের শেষ প্রস্তুতি। বাংলাদেশ থেকে হজের প্রথম ফ্লাইটও রোববার জেদ্দায় এসে পৌঁছেছে। মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান ও জামারার পবিত্র জায়গাগুলোতে দিনরাত চলছে শেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। এসব কাজে নিয়োজিত রয়েছেন অনেক বাংলাদেশি কর্মীও।
হজযাত্রীদের আবাসস্থল ভাড়া করতে এখন মক্কা-মদিনায় অবস্থান করছেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা। এরই মধ্যে জানা গেছে, মক্কা ও মদিনায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া সম্পন্নও হয়েছে।
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে পবিত্র হজ হচ্ছে অন্যতম। সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য জীবনে একবার হজ ফরজ। এই ফরজ ইবাদত করতে হিজরি জিলহজ মাসের নয় তারিখে মক্কায় সমবেত হন লক্ষ লক্ষ ধর্ম প্রাণ মুসলমান। এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করতে আসবেন এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন।
আল্লাহ তায়ালার মেহমানদের আবাসন ও পরিবহন ব্যবস্থাপনাসহ হজ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে মক্কা ও মদিনাসহ দেশটির কর্তৃপক্ষ।
হজযাত্রীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় ও অননুমোদিত নাগরিক ছাড়া সোমবার থেকে অন্য কারও মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির জননিরাপত্তা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, মক্কায় প্রবেশে দেশটির অন্যান্য অঞ্চলের নাগরিকদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। যেসব নাগরিক অনুমতিবিহীন মক্কায় প্রবেশের চেষ্টা করবেন, তাদের ফিরিয়ে দেয়া। এমনকি জেল-জরিমানাও হতে পারে।
মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের হজ কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনেচ্ছুদের জন্য বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন এবং হাজীদের সেবায় হজকর্মী নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ হজ মিশন।
অবশ্য সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, হজের খরচ আরেকটু কম হলে আরও অনেক বাংলাদেশি এবার হজ পালনে অংশ নিতে পারতেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইটে জেদ্দা বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন ৮২৯ জন হজযাত্রী। রোববার সকাল সাড়ে ৭ টায় প্রথম ফ্লাইটে ৪১৪ জন ও দ্বিতীয় ফ্লাইটে বেলা সাড়ে ১১ টায় ৪১৫ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী জেদ্দায় পৌঁছান।
জেদ্দা বিমানবন্দরে হজ প্রত্যাশীদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আবদুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত। এ সময় জেদ্দা বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক ও হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাস, কনস্যুলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন পাশে রয়েছে। হজযাত্রীদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ বছর বাংলাদেশি হাজযাত্রীরাই প্রথম এলেন জেদ্দায়।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করবেন। কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে গত বছর বাংলাদেশ থেকে হজে গিয়েছিলেন ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন। মহামারির আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করেছিলেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় স্কটিস পার্লামেন্টে বাংলাদেশের ৫২তম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কনসুলার জেনারেলরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। স্কটিশ পার্লামেন্টের সংসদ সদস্যরাসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির প্রথম পর্বে অনুষ্ঠানের স্পন্সর বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত প্রথম স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ফয়ছল চৌধুরী এমবিই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ম্যানচেস্টারের নিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আনিস চৌধুরী, ড. সন্দেশ গুলহানি এমএসপি, ইভান ম্যাকি এমএসপি, ড. ওয়ালী তছর উদ্দীন এমবিই।
এ সময় বক্তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরার অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সৈয়দ শামসুল ইসলাম সায়েমের সঞ্চালনায় লন্ডন থেকে আগত শিল্পী শেবুল, রুজী সরকার, হাবীব বাপ্পুসহ স্থানীয় শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান, লোকজ সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশন করেন। স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ, গ্লাসগো ও ডান্ডিসহ বিভিন্ন শহর থেকে আগত অতিথিদের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে স্কটল্যান্ড পার্লামেন্ট।
জার্মানির বনে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বন শহরে ডয়চে ভেলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জার্মানি শাখা আওয়ামী লীগ। সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগ ও জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশ নেন।
সমাবেশে জার্মানি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় থেকে জার্মানিতে বসবাসকারী, বাংলাদেশিরা আগে কখনোই ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্ত দেখতে পাইনি। অবিলম্বে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা প্রচারণা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, মাবু জাফর স্বপন, শবনম মিয়া কেয়া, কামাল ভূইয়া , ফিরোজ আহমেদ, আলমগীর আলী আলম, এনাম চৌধুরী, আবদুল সালাম খোকন, সগির খান, মঈন খান, আবদুল মালেক, শাহরিয়ার রাজু, জার্মানি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খান সাবরা, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খানসহ অন্যরা।
পরে জার্মানি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ডয়চে ভেলে বরাবর দেয়া প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। জার্মানির জনগণের করের অর্থায়নে পরিচালিত এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু ব্যক্তি তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ও মতামত ডয়চে ভেলের মাধ্যমে প্রচার করছে। ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ ক্রমাগতভাবে অনেকগুলি নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরি করছে। যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান বিষয়ক কার্যপ্রণালী বিধিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, তাদের অনুষ্ঠানগুলি অবশ্যই জনগণের স্বাধীন মতামত তৈরিতে সহয়তা করবে এবং একতরফা কোনো দল বা রাজনৈতিক, ধর্মীয় সম্প্রদায়, পেশাজীবী বা বিশেষ কোন সম্প্রদায়কে সমর্থন করবে না বা উস্কে দেবে না। প্রতিবেদনগুলি যথেষ্ট স্বচ্ছ, বাস্তবসম্মত ও সত্য হতে হবে। এছাড়া ডয়চে ভেলে এমন কোন অনুষ্ঠান করবে না, যাতে করে জার্মানির সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে।
প্রকিবাদ লিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি কুচক্রীমহলের ইন্ধনে ও অর্থায়নে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে মিথ্যা অপপ্রচার করছে যা অনৈতিক। বাংলাদেশ ও র্যাবের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে যা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
দেশি-বিদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে এ দিন সকালে দূতাবাসের উদ্যোগে ব্রাসেলসের বেপস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সালেহ শিশু শিক্ষার্থীদের কাছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি ও একটি টাইমলাইন শিক্ষার্থীদের জন্য উপস্থাপন করা হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে।
এ সময় বাঙালির ইতিহাসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত সালেহ বিদেশি শিক্ষর্থীদের সঙ্গে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে মুখরিত করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ১০৭ শিক্ষার্থীর হাতে ‘মুজিব গ্রাফিক নভেল’-এর ইংরেজি অনুবাদ তুলে দেয়া হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু কার হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিবেশিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র উপস্থিত অতিথিদের সামনে প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে গত ১১ মার্চ শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে দূতাবাসে আয়োজিত কবিতা, চিত্রাঙ্কণ ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সকলের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা আরও গভীরে প্রোথিত হবে।’ বক্তব্য শেষে তিনি শিশু-কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সমস্বরে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন।
দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনায় বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির সদস্যরা বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সর্বোত্তম উপায় হলো তার জীবনাদর্শকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া।
দিনের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলা ভাষায় প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ঘুরুঞ্চি ডটকম’র। নতুন এই ওয়েবসাইটে সারা বিশ্বের বাংলাভাষী অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, ভ্রমণপ্রিয় মানুষের ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখা, নিবন্ধ ও ছবি প্রকাশ পাবে।
শনিবার মেলবোর্নের মেরিবিরনং কমিউনিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ী কামরুল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিএসআইআরওর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নওশাদ হক, ঘুরুঞ্চির প্রধান সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদসহ মেলবোর্নের প্রবাসী বাংলাদেশিরা যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে কামরুল চৌধুরী বলেন, ‘মেলবোর্ন থেকে বাংলা ভাষায় প্রথম ভ্রমণ ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইটের যাত্রা এক অনন্য ঘটনা। সারা বিশ্বের বাংলাভাষী অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ নতুন উদ্যেমে তাদের লেখনীর মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে। ভ্রমণ মানুষের মনকে চাঙ্গা রাখে, শরীর সুস্থ রাখে। আর ভ্রমণ নিয়ে লেখালেখি নির্দোষ চিত্তবিনোদনের এক অফুরান উৎস।’
ঘুরুঞ্চির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাতে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন কামরুল চৌধুরী। অনুরোধ রাখেন, ঘোরাঘুরির এই উদ্যোগ যেন মেলবোর্নের বাংলা স্কুলের শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
ড. নওশাদ জানান, ঘুরুঞ্চির নানান উদ্যোগ তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। নতুন করে ভ্রমণ ওয়েবসাইটের যাত্রা তাকে আরও অনুপ্রাণিত করছে। ভ্রমণে মানুষের মন উদার হয়। নতুন প্রজন্ম ভ্রমণে উৎসাহিত হয়ে বড় ভ্রমণকারী হয়ে উঠবে বলে আশা রাখেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ঘুরুঞ্চির প্রধান সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ জানান, বাংলা ভাষায় পরিবেশ ও প্রকৃতিনির্ভর কর্মকাণ্ড ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা বা প্ল্যাটফর্ম নেই। ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিন বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ ট্রাভেল ম্যাগাজিন। মানুষকে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে উৎসাহিত করা ও ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলাই ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিনের উদ্দেশ্য।
ঘুরুঞ্চির উত্থান নিয়ে তিনি জানান, ২০২০ সালে ছোট পরিসরে ঘুরুঞ্চির যাত্রা শুরুর পর আর থেমে থাকতে হয়নি। সাত মহাদেশের বাংলাভাষী ভ্রমণকারীরা তাদের লেখা পাঠাতে শুরু করেন। বাড়তে থাকে উৎসাহ। সেই উৎসাহেই ঘুরুঞ্চির নবযাত্রা এই ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। নতুন এ ওয়েবসাইট ঘুরুঞ্চিদের আরও উৎসাহ যোগাবে বলে আশা রাখেন তিনি।
ড. সাদিকা জাহান, মাহবুব স্মারক ও ড. জুই গোমেজের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেলবোর্নে থাকা বাংলাদেশি ও অস্ট্রেলিয়ায় ভিক্টোরিয়া প্রদেশের গণ্যমান্য অতিথিরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ছিলে পরিবেশ, প্রকৃতি এবং ভ্রমণ বিষয়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন। গান পরিবেশন করেন ঘুরুঞ্চি পরিবারের সদস্যরা।
সুইজারল্যান্ডে জেনেভা বাংলা পাঠশালার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে তিন সপ্তাহব্যাপী আয়োজন শেষ হয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারির মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই আয়োজনের পর্দা নামে।
ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া আয়োজনে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন কর্মশালা এবং ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা। আর শেষ দিকে ছিল শিশুদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী, অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে প্রশংসাপত্র প্রদান এবং আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা সুইস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক। ছবি আঁকার কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিশুদের প্রশংসাপত্র প্রদান করেন জেনেভা বাংলা পাঠশালার পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিয়াজুল হয় ফরহাদ।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন রিয়াজুল হক ফরহাদ, এহতেশামুল হক, রিসালাত রহমান, সেগুফতা মোহাম্মদ, তাইফুর রাহান, প্রান্তি, সুনিষ্কা, মাদিহা, নিতু, রেইন, দিলারা, আফসারা, বিভোর ও রোদেলা।
জেনেভা বাংলা পাঠশালার পরিচালকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন আরিনুল হক ও ফারানা হক।
অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে জেনেভায় বসবাসরত বাঙালিদের পাশাপাশি অন্য ভাষাভাষীসহ প্রায় ৭০ জন দর্শক-শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সবার জন্য ছিল নৈশভোজ।
সিলিকন ভ্যালির বাংলাদেশি নারীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতবিষয়ক প্ল্যাটফর্মের (স্টেম) নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট। চার বিভাগের প্রযুক্তিবিদ ও কর্মজীবী নারীদের এক করতেই সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্টেম প্রোগামের মূল লক্ষ্য হলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা, যেন তারা নিজ নিজ খাতের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে পারেন। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ ছাড়াও যোগাযোগ বাড়ানো এবং চাকরিপ্রাপ্তিতে বাংলাদেশি নারীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে প্ল্যাটফর্মটি।
অনুষ্ঠানটির প্রথম আসরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সুমনা কাছের এবং প্রচারণায় ছিলেন গণসংযোগ কর্মকর্তা তাহমিদা বিনতে মাহমুদ। এ ছাড়াও ছিলেন প্ল্যাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী শাচী আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার এক ঝাঁক কর্মজীবী নারী অংশ নেন। তাদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ ও প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এসব নারীদের মধ্যে ছিলেন ফরিবা খান, ফরিদা ইসলাম, জারিন টি. পুলাম, ফারজানা মিষ্টি, মিথিলা রহমান, লোপা খান, রহিমা আকতার রোমানা, মুনিরা শাহনাজ, সোহানি আহমেদ, আফরোজা আহমেদ প্রমুখ।
সুমনা কাছের জানান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে (স্টেম) নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ও তাদের প্রেরণা দিতে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও উদ্যোগ নিতে চায় সিলিকন ভ্যালির স্টেম প্লাটফর্ম। স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্টেমের যেকোনো বিষয়ে স্নাতক কিংবা উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নারীদের যারা সিলিকন ভ্যালিতে আছেন, তারাই এই প্ল্যাটফর্মের নানা সুবিধা নিতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পোচ্ছন সিটির সংউরি আল্লাহ্ ভরসা রেস্টুরেন্টে ‘সচেতন ফাউন্ডেশন ইন কোরিয়ার’ ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সদস্য সম্মেলন ও নবীন ই পি এস কর্মীদের দিকনির্দেশনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেবিআইজেড ও এইচ আর ডি কোরিয়ার প্রশিক্ষক শেখ মুরাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সেলিম রেজা রাজিব। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ বাশার মুকুল।
অনুষ্ঠানটি দুপুর ২টায় পবিত্র কোরআন তিলোওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে সংউরি মসজিদের ইমাম ওমর ফারুকের দোয়া ও মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়ার সভাপতি আরশাদ আলম ভিকি, ডেভিড ইকরাম সাধারণ সম্পাদক বৃহত্তর গোপালগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন ইন কোরিয়া, মসজিদ মার্ট অ্যান্ড মুসলিম ফুড এর স্বত্বাধিকারী লী মাসুদ, ফরেন মার্ট এর স্বত্বাধিকারী
সেলিম রেজা রাজিব, জেডিএম টেলিকম কোম্পানি হেড অব মার্কেটিং ওহিদ উল্লা ভূঁইয়া, সাংবাদিক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন ইন কোরিয়ার মনির পাটোয়ারী, মাসুদ মিয়া পরিচালক মাই ট্রিপস ট্রাভেলস, মাকসুদ আল কালাম কান্ট্রি ম্যানেজার হানপাস রেমিটেন্স।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোতালেব ও যুগ্ম সচিব আসাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কোরিয়ার শ্রম বাজার দখলে নিতে হলে ই পি এস কর্মীদের কোরিয়ার মালিকের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের শ্রম দক্ষতা ও আচার ব্যবহার দিয়ে কোরিয়ানদের মন জয় করতে হবে।
এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তবে বলেন, সচেতন ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে প্রশংসনীয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশিদের সুনাম বাড়াতে হবে। দেশের মানসম্মান রাখতে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কোরিয়ার কোম্পানিতে কাজের দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কোটা বাড়াতে হবে।
এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন জেডিএম টেলিকম, এয়ার টিকেট কোম্পানি মাই ট্রিপস, মসজিদ মার্ট ও কোরিয়া মুসলিম ফুড।
সচেতন ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, কোরিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিপদে পাশে দাঁড়ানো।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি ইসলাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ইয়াসিন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সদস্য সুজন মাহমুদ, হোসেন আলী, আল আমিন, তোজাম্মেল হক, হাবিবুর রহমানসহ সচেতন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত হলো বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব। গত রোববার জেনেভায় বসবাসরত বাঙালি পরিবারগুলোর অংশগ্রহণে উৎসবমুখর এ আয়োজনে হরেকরকম পিঠার পাশাপাশি ছিল চমৎকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পুনর্গঠিত বাংলা সুইস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসসিএ) আয়োজনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি রিয়াজুল হক ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক।
এ ছাড়া আরিনুল হক ও ফারানা হকের সার্বিক সহায়তায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে বাংলা পাঠশালার শিক্ষার্থী মাদিহা, নিতু, আফসার, দিলারা, সুনিষ্কা, বিভোর, রোদেলা এবং অতিথি শিল্পীরা।
জেনেভা পাঠশালা ২০১৩ সাল থেকে প্রবাসী বাঙালি পরিবারের শিশুদের বাংলা ভাষার পাঠদানসহ নিয়মিত সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও কার্যক্রমের আয়োজন করে আসছে। বাংলা পাঠশালার ১০ বছর পূর্তিতে মূল সংগঠন বাংলা সুইস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলাভাষীদের সমন্বয়ে নতুন রূপে পুনর্গঠিত হয়ে বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে।