ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ বিখ্যাত ছিলেন শিবনারায়ন চন্দরপল। কিন্তু আজ হয়তো ধীরগতির জন্য সাবেক ক্যারবীয় ব্যাটসম্যান উল্টো ত্যাগনারায়নকে খোঁচা দিয়েছেন! চন্দরপলের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ধীরগতির ডাবল সেঞ্চুরিটি ছিল ৩৭০ বলে। বুলাওয়েতে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্যাগনারায়ন ছক্কা মেরে দ্বিশতক ছুঁয়েছেন ৪৬৫ বলে।
টেস্টে ৩০টি সেঞ্চুরি থাকলেও প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পেতে ৮১তম টেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল শিবনারায়নকে। আর বুলাওয়েতে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকে ডাবলে রূপ দেয়া ত্যাগনারায়নের এটি মাত্র তৃতীয় টেস্ট। ১৬৪ ম্যাচে বাবার সর্বোচ্চ স্কোর যেখানে ২০৩*, পঞ্চম ইনিংসেই তাকে ছাড়িয়ে গেছেন ছেলে। তবে যে রেকর্ডের জন্ম হয়েছে তাতে দুজনের অবদানই সমান। টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো বাবার পর ছেলেকেও ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেখা গেল।
ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ২০৭* রানে অপরাজিত ছিলেন ত্যাগনারায়ন। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের সঙ্গে তার প্রথম উইকেট জুটিটা থেমেছিল ৩৩৬ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওপেনিং জুটির রেকর্ডটি আজ থেকে আর তাই গর্ডন গ্রিনিজ আর ডেসমন্ড হেইন্সের (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯৮) থাকল না।
ত্যাগনারায়নের ডাবল সেঞ্চুরির একটু পরই ৬ উইকেটে ৪৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারীরা। ৪৬৭ বলে ২০৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৬টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল। তৃতীয় দিন শেষে ৩৩৩ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে, হাতে আছে ৭ উইকেট।
সেঞ্চুরিয়নে কাল যা হলো, সেটাকে কী বলবেন? পাগলামি? সম্ভবত তা-ই বলতে হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে করল ২৫৮ রান, দক্ষিণ আফ্রিকা তা পেরিয়ে গেল ৭ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে। প্রসঙ্গত, ম্যাচটা টি-টোয়েন্টি! একের পর এক রেকর্ড চুরমার যে হয়ে গেছে, তা আর বলতে!
তা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশকেও নাকি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার অমন ইনিংস। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তা-ই বললেন তাসকিন।
বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রানের দেখা হয়েই যেত বলে ধারণা সম্ভবত দেশের সকল ক্রিকেটপ্রেমীর। তবে তা না হলেও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান করা প্রথম দল ঠিকই বনে গেল বাংলাদেশ।
সে পথে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দুই ওপেনার লিটন দাস আর রনি তালুকদারের। ৪৩ বলে ৯১ রানের জুটির পথে পাওয়ার প্লে-তেই বাংলাদেশ তোলে ৮১ রান। টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এটি।
তা নিয়ে তাসকিন ম্যাচ শেষে বললেন, ‘খুবই ভালো লাগছিল (ব্যাটিং দেখে)। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার খেলায় ৬ ওভারে ১০০ রান দেখে আমরা ভাবছিলাম, এ রকম কিছু হতে যাচ্ছে নাকি! লিটন আউট হয়ে আসার পর ওকে বললাম, ‘কিরে তুই কি কালকের ম্যাচ দেখে এরকম পিটাচ্ছিলি?’ ও বলে, ‘হ্যাঁ, ওরা পারলে আমিও পারব।’
এমন ব্যাটিং নিয়ে তাসকিনের তৃপ্তি, ‘এটাই ইতিবাচক দিক, আমরা সবাই উপভোগ করছিলাম। এরকম ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট খেলতে থাকলে অনেক ভালো হবে।’
নতুন পরিকল্পনা, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার আভাস – টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে আইরিশ ক্রিকেটার, কোচদের মুখে নতুন শুরুর প্রত্যয় উচ্চারিত হয়েছিল। তবে মাঠে নামতেই যে লাউ সে কদু। ওয়ানডে সিরিজের সেই শীর্ণকায় আয়ারল্যান্ডের দেখা মিলল টি-টোয়েন্টিতেও। বৃষ্টিবাধাও হতে পারল না আইরিশদের ত্রাতা। রনি-লিটনদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর তাসকিন আহমেদের আগুনঝরা বোলিংয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ডিএলএস পদ্ধতিতে ২২ রানে হেরে গেল আয়ারল্যান্ড।
ওয়ানডের মতো প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও টস ভাগ্য পক্ষে ছিল সফরকারীদের। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি সিরিজে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিং। তবে এবারও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে হাড়গোড় বেরিয়ে যায় আইরিশ বোলারদের। তাদের ছাতু বানিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন রনি তালুকদার (৬৭)।
বিস্ফোরক ব্যাটিং করেছেন লিটন দাস (৪৭) এবং চারে নামা শামিম হোসেনও (৩০)। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান দেখল চট্টগ্রাম। নির্ধারিত ২০ ওভারের ৪ বল আগে বৃষ্টিতে খেলা থেমে গেলেও বাংলাদেশ করেছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে তাঁদের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর, ৫ উইকেটে ২০৭ রান।
বৃষ্টির কারণে খেলা প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আয়ারল্যান্ডের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ ওভারে ১০৪ রান। কঠিন লক্ষ্য হলেও আইরিশরা শুরুটা মন্দ করেনি। দুই ওপেনার স্টার্লিং এবং এডেয়ার হাত খুলে ব্যাট করলে ২ ওভারেই ৩২ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। তৃতীয় ওভারে এডেয়ারের (১৩) স্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে আইরিশ ঝড় থামান হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে আইরিশদের রান তাড়ার ক্ষীণ সম্ভাবনাও নস্যাৎ করে দেন তাসকিন।
শেষ পর্যন্ত ২ ওভার বোলিং করে ১৬ রানে ৪ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই ডানহাতি পেসার। তার আগুনে বোলিংয়ে ৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৮১ রানের বেশি তুলতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ৭ চার এবং ৩ ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ওপেনার রনি তালুকদার।
০, ০, ০, ০ – শেষ চার টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আব্দুল্লাহ শফিকের স্কোর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা চার ম্যাচে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান এখন তিনি।
আফগানিস্তানের সঙ্গে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচে কোনো রান আসেনি শফিকের ব্যাট থেকে। রবিবার রাতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বলেই আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েও হয়নি শেষরক্ষা।
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন শফিক। চলমান সিরিজের আগে পাকিস্তানের জার্সিতে মোটে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন, যার সর্বশেষ দুটি ছিল ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সে দুই ম্যাচে দুটি করে বল খেললেও রানের খাতা খোলা হয়নি তার।
Last four T20I inns of Abdullah Shafique
— Cricket Pakistan (@cricketpakcompk) March 26, 2023
0 (1) vs AFG
0 (2) vs AFG
0 (2) vs NZ
0 (2) vs NZ#AFGvPAK pic.twitter.com/ZolaJddWEL
আফগানদের বিপক্ষে শফিকের দুঃস্বপ্নের সিরিজে মাথা কুটে মরছে তার দল পাকিস্তানও। এই প্রথম যে প্রতিবেশি আফগানিস্তানের টানা দুই টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ খোয়াতে হয়েছে তাদের।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
বৃষ্টি এসে ঝামেলা পাকিয়ে দিল। ১৯.২ ওভারেই ৫ উইকেটে ২০৭ রান করে ফেলেছিল বাংলাদেশ, আর চার বলে কোথায় যেত কে জানে! চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগ্রাসনই ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের স্লোগান।
কিন্তু বৃষ্টিতে এরপর খেলা থেমে যায়। এখন নতুন খবর এসেছে, বৃষ্টি শেষে আবার খেলা শুরু হবে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের আর সুযোগ নেই। বরং আয়ারল্যান্ডের জন্য নতুন লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে - ৮ ওভারে ১০৪ রান। খেলা শুরু হবে ৫টা ৪০ মিনিটে।
বৃষ্টি নামার আগে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ ঝড় উঠেছিল। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতেও বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আয়ারল্যান্ড। ফল? দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার মিলে পাওয়ার প্লে-তেই এনে দেন বাংলাদেশের রেকর্ড ৮১ রান। অষ্টম ওভারে লিটন (২৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭) আউট হয়ে গেলেও রনির ঝড় অব্যাহত ছিল। ২৪ বলে ফিফটি পাওয়া রনি ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করে যখন আউট হচ্ছেন, ১৪তম ওভারেই ততক্ষণে দলের রান ১৫৪। বাংলাদেশের ইনিংস এরপর গতি হারিয়েছে।
শামীম পাটোয়ারী (৩০) ও সাকিব আল হাসানের (২০*) ছোট ইনিংস দুই শ পার করিয়ে দেয়। ১৯ ওভার ২ বলে ২০৭ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশের ইনিংস ওখানেই শেষ হয়।
জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ ঝড় উঠেছিল। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আয়ারল্যান্ড। সে আমন্ত্রণ দুহাতে লুফে নিয়েছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রেকর্ড ৮১ রান তুলেছেন দুজন।
শুরুর সে ঝড় পরে স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল একটু। অষ্টম ওভারে লিটন আউট হয়ে যান ৪৭ রানে। ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারা লিটনের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত একটু ধীরগতিতে এগিয়েছেন। রনি অবশ্য ২৪ বলে ফিফটি পেয়ে গেছেন। পরে ১৪তম ওভারে দলকে ১৫৪ রানে রেখে ফিরেছেন তিনিও। ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করা রনি ফেরার পর বাংলাদেশ ইনিংসের গতি হারিয়েছে।
শামীম পাটোয়ারী (৩০) ও সাকিব আল হাসানের (২০*) ছোট ইনিংস দুই শ পার করিয়ে দেয়। ১৯ ওভার ২ বলে ২০৭ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশের ইনিংস ওখানেই শেষ হয়।
চট্টগ্রামে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
ওয়ানডে সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল সফরকারীরা। সিলেটে সে আমন্ত্রণে দুই ম্যাচেই ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ স্কোরের রেকর্ড নতুন করে লিখেছে বাংলাদেশ। আজ জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামের উইকেটও ব্যাটিং সহায়ক বলে জানা গেছে। আজও কি তেমন কিছু হবে?
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল নির্বাচনে খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষায় যায়নি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দলে থাকা তানভীর ইসলাম নেই আজ। তবে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের অভিষেক হচ্ছে না আজ। তানভীরে জায়গায় ঢুকেছেন নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ দল: লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড দল: পল স্টার্লিং, রস অ্যাডেইর, লরকান টাকার, হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্পফের, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডেইর, ক্রেইগ ইয়ং, গ্রাহাম হিউম, বেন হোয়াইট।
চোটের কারণে মাঝে কিছুদিন খেলতে পারেননি রবীন্দ্র জাদেজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার আগে তাই ছন্দ ফেরাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে হাত ঘুরিয়েছেন। বুদ্ধিটা দুর্দান্ত কাজে লেগেছে তার। চোট থেকে ফেরার পর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে জাদেজা। ভারতকে একের পর এক ম্যাচ জেতাচ্ছেন– কখনো ব্যাটে, কখনো বলে। সে পুরস্কার মিলল কাল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে শীর্ষ স্তরে নাম উঠেছে তার।
এতদিন ‘এ+’ ক্যাটাগরিতে শুধু রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও যশপ্রীত বুমরা ছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ক্যাটাগরিতে জাদেজাও বেতন পাবেন। চুক্তি অনুযায়ী ‘এ+’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা বার্ষিক ৭ কোটি রুপি পান। গত বছরের চুক্তিতে এ ক্যাটগরিতে ৫ কোটি রুপি বেতন পেতেন জাদেজা।
বেতন বৃদ্ধিতে অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। হঠাৎ করেই সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন পান্ডিয়া। রোহিত শর্মার বিশ্রামের সুবাদে অধিনায়কত্ব পেয়ে দারুণ করছেন এই অলরাউন্ডার। সে সুবাদে গত চুক্তিতে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা পান্ডিয়া এবার ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ঢুকে পড়েছেন। অর্থাৎ বার্ষিক ১ কোটি রুপি এবার থেকে ৫ কোটি রুপি হয়ে যাচ্ছে তার। বাংলাদেশি মূল্যমানে ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার।
অক্ষর প্যাটেলও নতুন করে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ঢুকেছেন। আগের চুক্তিতে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। গত বছরের চুক্তিতে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ শামি ও ঋষভ পন্ত।
ওদিকে গত কিছুদিন ফর্ম নিয়ে ভোগা লোকেশ রাহুল ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে বাদ পড়ে চলে গেছেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। সেখানে তার সঙ্গী চেতশ্বর পূজারা, শ্রেয়াস আইয়ার, মোহাম্মদ সিরাজ, সূর্যকুমার যাদব ও শুবমান গিল। এদের মধ্যে যাদব ও গিল ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে উঠে এসেছেন। ওদিকে শার্দুল ঠাকুর নেমেছেন ‘সি’তে। আর নতুন করে ছয়জন ক্রিকেটার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ঢুকেছেন এবার।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ বলে ৩৮ রান করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন মোহাম্মদ নবী। গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আফগানদের দুই সর্বোচ্চ স্কোরার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৪৪) ও ইব্রাহিম জাদরানের (৩৮) স্ট্রাইকরেট এক শর নিচে।
কিন্তু দুই ম্যাচেই ভাগ্য গড়ে দিল এমন ইনিংসগুলো। সে সুবাদে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো হারানোর পর সিরিজ জেতারও স্বাদ পেল আফগানিস্তান। কাল শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হারের পর পাকিস্তানের মানুষদের বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানদের কথা মনে করে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শাদাব খান।
টি-টোয়েন্টি গত তিন বছর ধরে অবিশ্বাস্য ধারায় রান নিচ্ছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার, গড়টাও তাদের অবিশ্বাস্য। কিন্তু তাদের স্ট্রাইকরেট আধুনিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে যায় না। পাওয়ার প্লেতে টুক টুক করে রান তোলার ধরণটাও পছন্দ হয় না অনেকের। এজন্য প্রচুর সমালোচনাও হয় তাদের। কিন্তু শারজার কঠিন উইকেটে তাদের প্রয়োজনীয়তা টের পেয়েছে পাকিস্তান।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০ ওভারে ৯২ রান তোলা পাকিস্তান কাল করেছে ১৩০ রান। প্রথম ওভারেই ফজলহক ফারুকী দুই উইকেট তুলে নেয়ার পর পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন মোহাম্মদ হারিস। কিন্তু চতুর্থ ওভারে তিনিও বিদায় নেন। বাবর বা রিজওয়ানের ভূমিকাটা নিতে হয় পাঁচে নামা ইমাদ ওয়াসিমকে। তার ৫৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংস পাকিস্তানকে ১২০ পার করায়।
কিন্তু পিএসএলে নিয়মিত ঝড় তোলা ব্যাটসম্যানরা ইমাদের অন্য পাশে তাদের কাজটা করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩২ রান অধিনায়ক শাদাব খানের।
বাবর-রিজওয়ানের ভূমিকাটা আফগান দলে পালন করেছেন রহমানউল্লাহ ও ইব্রাহিম। তাদের ধীরস্থির শুরুতে শেষ দিকে প্রয়োজনীয় রানরেট ১০ এর ওপরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু নাজিবুল্লাহ জাদরান (১২ বলে ২৩ রান) ও মোহাম্মদ নবীর (৯ বলে ১৪) চতুর্থ উইকেট জুটি ১৫ বলেই ৩১ রান এনে দেয়। ১ বল হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে আফগানিস্তান।
এমন জয়ে গর্বিত আফগান অধিনায়ক রশিদ খান, ‘এমন দুর্দান্ত দলের নেতৃত্ব দেয়া দারুণ আনন্দের ও সম্মানের।’
ওদিকে প্রথম পাকিস্তানি অধিনায়ক হিসেবে আফগানিস্তানের কাছে ম্যাচ ও সিরিজ হারের স্বাদ পাওয়া শাদাব খান দলের দুই সিনিয়রের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন সবার কাছে, ‘বাবর ও রিজওয়ান ভালো খেলুক বা খারাপ খেলুক, মানুষ সমালোচনা করে। স্ট্রাইক রেট নিয়ে তাদের সমালোচনা চলতেই থাকে। পাকিস্তানের মানুষ অবশেষে বুঝবে অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। পারফরম্যান্স বিবেচনায় আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা প্রাপ্য শ্রদ্ধা পায়নি। এই সিরিজের পর সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ তাদের আরও বেশি শ্রদ্ধা করবে।’
জাতীয় দলের খেলা চলাকালীন সাকিব আল হাসান, লিটন দাসরা আইপিএল খেলার ছাড়পত্র পাবে না বলে আগেই জনিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমু হাসান পাপন। আজ বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানালেন, প্রায় একই সুরে কথা বললেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে আজ চট্টগ্রামে হাথুসুসিংহে বলেন, ‘বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো- আগে তোমার দেশের জন্য খেলো। বোর্ড তাদের এই কথা এনওসি চাওয়ার আগে এমনকি আইপিএল নিলামে নাম দেওয়ার আগেই বলেছে। এখনো তা-ই থাকছে।’
আইপিএলের এবারের মৌসুম শুরু হবে আগামী ৩১ মার্চ। সেই দিন শেষ হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর ৪ এপ্রিল একমাত্র টেস্টে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সে হিসেবে টেস্টে না থাকায় মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়পত্র পেলেও শুরুর দিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন না সাকিব-লিটন।
যেখানে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের তারকা ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের খেলা বাদ রেখে আইপিএল খেলেন, তার ওপর চলতি বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সে অর্থে সাকিব-লিটনকে আইপিএলে খেলতে না দেওয়া কতটা বাস্তবসম্মত?
হাথুরুর জবাব, ‘আইপিএল খেললে দক্ষতায় উন্নতি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা অনেক উঁচু দরের টুর্নামেন্ট। তবে দেশের হয়ে খেলাই সবচেয়ে প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচের পর চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে আফিফ হোসেনের কথোপকথনের বিষয়বস্তু কী ছিল সেটা বোঝা না গেলেও দুজনের শরীরী ভাষাতেই অসন্তুষ্টি টের পাওয়া গেছে। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডের দলে থাকলেও একাদশে ছিলেন না আফিফ। বাদ পড়েছেন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে।
এ প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে সে দলের বাইরে আছে। অন্য কেউ দল থেকে বাদ পড়লে যা করতে হয়, আফিফকেও তাই করতে হবে। তাকে আরও কাজ করতে হবে, রান করতে হবে। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে- এসব নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে ভালো করলে আর দলে জায়গা খালি থাকলে অবশ্যই ফিরতে পারবে। অবশ্যই সে পারফরম্যান্সের কারণেই দলের বাইরে। চেহারার কারণে নয়। যে-কেউ বাদ পড়লে পারফরম্যান্সের জন্য পড়ে, অথবা কখনো কখনো যদি টেকনিক্যালি আমরা কিছু করতে চাই, অন্য কাউকে বাজিয়ে দেখতে চাই।’
টি-টোয়েন্টিতে ২৫৮ রান অনেক বড় সংগ্রহ। অনেক ছোট ছোট দল খেলে বলে এখন টি-টোয়েন্টির অনেক রেকর্ডই স্বাভাবিক ক্ষেত্রে হাতের নাগালে। তবু ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ যখন ২৫৮ রান তুলল, টি-টোয়েন্টিতে সেটা যৌথভাবে ষষ্ঠ সংগ্রহ। সে রানকেই মামুলী বানিয়ে ফ্লেওল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিক দল! রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ড তো হয়েছেই। পরে ব্যাট করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও ভেঙেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তৃতীয় বলেই ১ উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সে ধাক্কাকে পাত্তা না দিয়ে ঝড় তোলেন তিনে নামা জনসন চার্লস ও কাইল মেয়ার্স। ২৭ বলে ৫১ রান করেছেন মেয়ার্স। ওদিকে ৩৯ বলেই সেঞ্চুরি পাওয়া চার্লস থেমেছেন ১১৮ রানে। ১০ চার ও ১১ ছক্কার ইনিংসটি ছিল ৪৬ বলের। ১৪ ওভারে দলকে ১৭৯ রানে রেখে ফিরেছেন চার্লস। রোভমান (২৮*) ও রোমারিও শেপার্ডের (৪১*) শেষদিকের ঝড় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রেকর্ড ২৫৮ রান এনে দেয়।
এই বিশাল সংগ্রহও মামুলী করে তুলেছিলেন কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেনড্রিকস। মাত্র ১০.৫ ওভার স্থায়ী ওপেনিং জুটিতে ১৫২ রান তুলেছেন দুজন। সেঞ্চুরির পরের বলেই কক বিদায় নিলেও ১২ ওভারেই ১৮০ তুলে ফেলে স্বাগতিক দল। হেনড্রিকসের (৬৮) পর মিলারও দ্রুত বিদায় নিলেও এইডেন মার্করাম (৩৮*) বিশ্বরেকর্ড গড়ে তবে ফিরেছেন। এই জয়ে ফিরল ১৭ বছর আগের স্মৃতি। ২০০৬ সালে এই দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪/৪ স্কোর তাড়া করে গড়েছিল ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড।
৩৯ বল
টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি জনসন চার্লসের।
১৫ বল
টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম ফিফটি কুইন্টন ডি ককের। পরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৪৩ বলে।
২২ ছক্কা
টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছক্কা মেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ।
১০২
পাওয়ার প্লেতে ১০২ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম কোনো দল পাওয়ার প্লেতে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে।
২৫৮/৫
টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ স্কোর তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ শেষে অবশ্য সেটা সাতে নেমেছে!
২৫৯/৪
রান তাড়ায় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির বিশ্বরেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ স্কোরও এটি।
রাসেল ডমিঙ্গো প্রধান কোচ থাকা অবস্থায় আলোচনায় ছিল বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচের মনমালিন্যের বিষয় অনেকটা খোলামেলা ছিল। বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের অবস্থা যে ভালো না, বিরাজ করছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ— সে কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই জানিয়েছিলেন।
পরিবেশ ঠিক করতেই কিনা ডমিঙ্গোর জায়গায় ‘কড়া হেডমাস্টার’ নামে পরিচিত চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে আবার হেড কোচের দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। লঙ্কান কোচ ফেরায় মাঠের ক্রিকেটে ধারাবাহিক বাংলাদেশ। হাথুরুসিংহের দাবি, ড্রেসিংরুমের পরিবেশও বদলে গেছে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে আজ রোববার চট্টগ্রামে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আগের খেলোয়াড়, আগের স্কিল। আমার মনে হয় না কিছু পরিবর্তন হয়েছে, শুধু ড্রেসিংরুমের ভেতরে পরিবেশ একটু বদলেছে। কথা-বার্তা, আলোচনা বদলেছে।’
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাইয়ের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ফল যাইহোক, খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে সমর্থন দিচ্ছেন হাথুরু।
এই কোচ বলেন, ‘আমি দলের মধ্যে মানসিক নিরাপত্তা নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তাদের এটা নিশ্চিত করতে চাই, ফলাফল যাইহোক, তারা ব্যর্থ হোক, তাদের মূল্য কমে যাচ্ছে না। খেলোয়াড়দের আমরা আগের মতো করেই চাচ্ছি। তাদের স্কিল আছে বলেই দলে নির্বাচন করা হয়েছে। আমার মনে হয় না আর কিছু পরিবর্তন হয়েছে। অথবা আমি জানি না আগে কী হতো। তবে স্কিল আগের মতোই আছে।’
তবে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হলে যে দলে জায়গা নেই সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন আফিফ হোসেনের উদাহরণ টেনে, ‘অন্য কাউকে দল থেকে বাদ পড়লে যা করতে হয় আফিফকেও তাই করতে হবে। তাকে আরও কাজ করতে হবে, রান করতে হবে। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে, এসব নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে ভালো করলে আর দলে জায়গা খালি থাকলে অবশ্যই দলে ফিরতে পারবে। অবশ্যই সে পারফরম্যান্সের কারণেই দলের বাইরে। চেহারার কারণে নয়।’
আগামীকাল ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। দু’দলে ভাগ হয়ে বাংলাদেশ লাল ও বাংলাদেশ সবুজ দলের হয়ে মাঠে নামবেন দেশের সাবেকরা।
বাসস জানিয়েছে, ম্যাচটি সামনে রেখে শনিবার লাল ও সবুজ নামে দুটি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
টি-টেন ফরম্যাটের প্রীতি ম্যাচটি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে।
লাল দলে আছেন মেহরাব হোসেন অপি, জাভেদ ওমর বেলিম, তুষার ইমরান, হাবিবুল বাশার, আব্দুর রাজ্জাকদের মত সাবেক ক্রিকেটার।
সবুজ দলে আছেন আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ রফিক ও খালেদ মাহমুদ সুজনের মত সাবেক ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ লাল দল : মেহরাব হোসেন অপি, জাভেদ ওমর বেলিম, তুষার ইমরান, হাবিবুল বাশার, রাহুল নাইমুর রশিদ, সানোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম, মোরশেদ আলী খান, হাসানুজ্জামান ঝড়, এহসানুল হক সিজান, তালহা জুবায়ের, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, আব্দুর রাজ্জাক, দিপু রায় চৌধুরি ও মোহাম্মদ আলী।
বাংলাদেশ সবুজ দল : হান্নান সরকার, শাহরিয়ার নাফিস, আতহার আলী খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, আনোয়ার হোসেন, খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ রফিক, রাজিন সালেহ, নাজমুল হোসেন, মিজানুর রহমান বাবুল, ফাহিম মুস্তাসির সুমিত, হাসিবুল হোসেন শান্ত, রবিউল ইসলাম ও রকিবুল হাসান।