সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
১৯ কার্তিক ১৪৩২

তাদের পর আর কে?

টেনিস তারকা।
শাহরিয়ার ফিরোজ
প্রকাশিত
শাহরিয়ার ফিরোজ
প্রকাশিত : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:১১

প্রশ্নটা কিন্তু রোমাঞ্চ জাগায় – মেয়েদের গ্র্যান্ড স্ল্যামে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেন কে? নতুন নতুন তারকা হাজির হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতছেন ভিন্ন ভিন্ন চারজন। এমন কেউ, যারা হয়তো কিছুদিন আগেও বিশ্ব টেনিসে ছিলেন আনকোরা!

দূর অতীতে যাওয়ার দরকার নেই। এই তো ২০২২ সালের প্রথম তিন গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন তিনজন – অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অ্যাশলেই বার্টি, ফ্রেঞ্চ ওপেন ইগা শিওনতেক আর উইম্বলন এলেনা রিবাকিনা। এই তিনজনের শেষের জন প্রথমবারের মতো জিতেছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম।

২০২১ সালে বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামও গেছে ভিন্ন চারজনের ঘরে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নাওমি ওসাকা, ফ্রেঞ্চ ওপেন বারবোরা ক্রেচিকোভা, উইম্বলডন বার্টি আর ইউএস ওপেন এমা রাদুকানু। ক্রেচিকোভা ও রাদুকানুর ছিল প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম।

নতুন নতুন চ্যাম্পিয়নদের ওঠে আসা যেমন রোমাঞ্চ জাগায়, তেমনি জন্ম দেয় শূন্যতার আশঙ্কাও। ক্রিস এভার্ট, মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, স্টেফি গ্রাফরা যেভাবে কোর্ট দাপিয়ে এসেছেন, এখন তেমন দাপুটে পারফরমার নেই বলেই তো একেক গ্র্যান্ড স্ল্যামে একেক চ্যাম্পিয়ন! ছেলেদের টেনিসে এই শূন্যতা এতটা প্রকট নয়। তবু রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল কিংবা নোভাক জোকোভিচদের উত্তরসূরি হওয়ার পাইপলাইনে যারা আছেন তাদের পারফরম্যান্সও হতাশাজনক!

জার্মানির আলেক্সান্দ্রার জভেরভকে এক দশক আগে থেকেই বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের তারকা। ২০১৮ ও ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসের ফাইনাল জিতে সেটির প্রমাণও দিয়েছেন। কিন্তু গ্র্যান্ড স্ল্যামের মঞ্চে এখনো তিনি ‘নবিশ’ প্রতিযোগী; একটি শিরোপাও জিততে পারেননি। যারা শিরোপা জিতেছেন, অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিম কিংবা দানিল মেদভেদেভ, তারাও বড্ড অধারাবাহিক। এক টুর্নামেন্টে ভালো খেলছেন তো আরেক টুর্নামেন্টে কোনো খবরই নেই!

আর একটি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা মারিন চিলিচ, হুয়ান মার্তিন দেল পোত্রো কিংবা তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা স্তান ভাভরিঙ্কাদের নিয়েও খুব বেশি উল্লাস করার সুযোগ নেই। কারণ ‘বিগ থ্রি’র ছায়ায় থাকতে থাকতেই ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে পড়েছেন তারাও।

তবু তো ছেলেদের টেনিসে দাপুটে পারফরমার হিসেবে জোকোভিচ আছেন। অবসর নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দেয়া নাদাল সংসার সামলে ফিরে এলেও হয়তো হবেন অনেক প্রতিশ্রুতিশীলদের স্বপ্ন-হন্তারক। কিন্তু সেরেনার বিদায়ের পর ‘উন্মুক্ত’ মেয়েদের টেনিস আরও উন্মুক্ত হয়ে পড়ল।

ইউএস ওপেন শুরুর আগেই তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী অস্ট্রেলিয়ার বার্টি টেনিস ছেড়েছেন। তবু তিনি তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পেরেছেন, মেয়েদের বর্তমান টেনিসে তিনটি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা তারকাই আছেন আর দুজন - জাপানের নাওমি ওসাকা আর জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কারবার!

গারবিনিয়ে মুগুরুজা, ইয়েলেনা ওস্তাপেঙ্কো, স্লোন স্টিফেনস, সিমোনা হালেপ, বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু, সোফিয়া কেনিন, শিওনতেক, ক্রেচিকোভা, রাদুকানু, রিবাকিনা – যারা নতুনের কেতন ওড়াবেন বলে মনে করা হয়, তাদের কারোরই নেই তিনটি শিরোপা।

তিনটি কেন, দুটি করেই গ্র্যান্ড স্ল্যাম নেই এদের অনেকের। কোর্টে তারা এতটাই অধারাবাহিক যে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম কবে জিতবেন, সেটিও অনুমান করা কঠিন। চলতি ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রাদুকানু। শুরুতেই ঝরে গেছেন নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে ধারাবাহিক ওসাকাও।

পেশাদার সার্কিটে দাপুটে পারফরমার না থাকার প্রভাব পড়েছে খেলার ওপর। দিনকে দিন আকর্ষণহীন হয়ে পড়ছে মেয়েদের টেনিস! দাপুটে এবং ধারাবাহিক কোনো পারফরমার না থাকায় ক্ষীণ হয়ে গেছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা ব্যক্তি দ্বৈরথের অন্তহীন ধারাও।

ব্যক্তি দ্বৈরথ সব খেলারই বাড়তি একটা আকর্ষণ। ফুটবলে লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ গত এক যুগ ছাপিয়ে ইতিহাসেরই সেরা দ্বৈরথের দাবিদার। অ্যাথলেটিকসে কার্ল লুইস-বেন জনসনের দ্বৈরথের রোমাঞ্চ কয়েক বছর আগেও ছিল উসাইন বোল্ট আর জাস্টিন গ্যাটলিনের লড়াইয়ে। মেয়েদের টেনিসেও এক সময় এই রোমাঞ্চের কোনো কমতি ছিল না। ক্রিস এভার্ট-মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, এভার্ট-ভার্জিনিয়া ওয়েড, নাভ্রাতিলোভা-পাম শ্রিভার, স্টেফি গ্রাফ-গাব্রিয়েলা সাবাতিনি, গ্রাফ-সানচেঞ্জ ভিকারিওদের রোমাঞ্চ ছড়ানো ব্যক্তি দ্বৈরথের ঝাণ্ডা সর্বশেষ উড়িয়েছেন দুই বোন সেরেনা ও ভেনাস উইলিয়ামস। এ দুজনের সঙ্গে মার্টিনা হিঙ্গিসের ত্রিমুখী লড়াইটা ছিল গত শতাব্দীর শেষ দিকের অন্যতম আকর্ষণ।

এরপর জাস্টিন হেনিন, কিম ক্লাইস্টার্স, লিন্ডসে ডেভেনপোর্ট, মারিয়া শারাপোভা, লি না, জেনিফার ক্যাপ্রিয়াতিরা উঠে এসেছিলেন। নতুন নতুন দ্বৈরথের পূর্বাভাস দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হলেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা লম্বা সময় তারা ধরে রাখতে ব্যর্থ। তাই সেরেনা-ভেনাসের পর মেয়েদের টেনিসে তেমন ব্যক্তি দ্বৈরথ দেখা যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সেরেনা-ভেনাসের লড়াইও রোমাঞ্চ হারিয়ে ফেলেছিল। ভেনাসের বয়স ৪২। আর চলতি মাসেই একচল্লিশে পড়বেন সেরেনা। সব মিলিয়ে ‘চালশে’ হয়ে উঠেছিল তাদের র‍্যাকেটও। তবু ভেনাস খেলা চালিয়ে গেলেও রণে ভঙ্গ দিলেন সেরেনা! উন্মুক্ত যুগের রেকর্ড ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম, ৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলার প্রাইজমানি জয়ের পর ‘আর কত’ উপলব্ধিতে ক্ষান্ত হলেন টেনিস সম্রাজ্ঞী।

তার জুতোয় পা গলানোর মতো কেউ আছে কি? কেউ নেই – বলতে তেমন ঝুঁকিও বোধ হয় না! বর্তমান ডব্লিউটিএ টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ১ থেকে ১০ পর্যন্ত নামগুলো দেখুন, অনেকের নামই মনে হবে এই প্রথম শুনলেন! শীর্ষে থাকা ইগা শিওনতেকের পরের চারটি স্থানে আছেন এস্তোনিয়ার আনেত কনতেভিত, গ্রিসের মারিয়া সাকারি, স্পেনের পলা বাদোসা, তিউনিসিয়ার উনস জাবির। পরের পাঁচ অবস্থান বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা, রোমানিয়ার সিমোনা হালেপ, যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলা, রাশিয়ার দারিয়া কাসাতকিনা ও স্পেনের গারবিনিয়ে মুগুরুজার।

২০০৪ সাল থেকে গ্র্যান্ড স্ল্যাম দেখেছে ২৬ জন নতুন চ্যাম্পিয়ন! ১৯৭৫ সালে ডব্লিউটিএ র‍্যাঙ্কিং চালু হওয়ার পর প্রথম ২৮ বছরে ১৩ জন ‘নাম্বার ওয়ান’ দেখেছে টেনিস। কিন্তু গত ১৮ বছরেই মেয়েদের টেনিসে নতুন ‘নাম্বার ওয়ান’ হয়েছেন ১৪ জন! যাদের অর্ধেকই এক নম্বর হয়েছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতেই!

কিম ক্লাইস্টার্স, অ্যামেলি মরেসমো, ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, সিমোনা হালেপরা পরে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ পেলেও এক নম্বরের স্বাদ পাওয়া ইয়েলেনা ইয়াঙ্কোভিচ, দিনারা সাফিনা ও ক্যারোলিনা প্লিসকোভার গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা অধরাই রয়ে গেছে।

র‍্যাঙ্কিং শীর্ষে ওঠার আগে-পরে গ্র্যান্ড স্ল্যামের স্বাদ পাওয়া কারবার, মুগুরুজা, আজারেঙ্কা, হালেপ কিংবা শিওনতেকরা ধারাবাহিক পারফরমার নন বলেই হয়তো, তারা অ্যান্ডি মারের মতো অন্য কারও মনে আক্ষেপ জাগাতে পারেন না। ফেদেরার, নাদাল কিংবা জোকোভিচের কাছে ৬টি সেমিফাইনাল আর ৪টি ফাইনাল হারের পর মারে একবার বলেছিলেন, ‘টেনিসে তারা থাকলে আমার হয়তো আর গ্র্যান্ড স্ল্যামই জেতা হবে না!’

টেনিসে ‘বিগ থ্রি’র‌ উপস্থিতিতেই শেষমেশ ৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন মারে। কিন্তু বর্তমানে পুরুষ টেনিসেরও যে অবস্থা, ফেদেরার, নাদাল, জোকোভিচ তো নয়ই, মারে হয়ে ওঠার মতোও আপাতত কাউকে দেখা যাচ্ছে না। নাদাল-ফেদেরার-জোকোভিচ আর কতদিন!

অবসরের ঘোষণা না দিলেও গ্র্যান্ড স্ল্যামের মঞ্চে ফেদেরার আর ‘কনটেন্ডার’ নন। চোটজর্জর নাদালও হয়তো তার শেষের শুরু দেখতে শুরু করেছেন। ফেদেরার-নাদালকে নিয়ে যে শঙ্কা, সেটা হয়তো সুপারফিট জোকোভিচকে নিয়ে নেই। কিন্তু ‘জোকোভিচ-নাদাল’, ‘নাদাল-ফেদেরার’ কিংবা ‘ফেদেরার-জোকোভিচ’ দ্বৈরথহীন টেনিস কি দর্শকের কাছে আকর্ষণহীন হয়ে পড়বে না?

ধারাবাহিক দাপুটে পারফরমারশূন্য টেনিসে নতুনদের উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুশ্চিন্তা হলো, ধুমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়ে তারকারা বারবার ধুমকেতুর মতোই হারিয়ে গেলে যে আকর্ষণই হারিয়ে যাবে টেনিসের।

…………………………………

২৬

২০০৪ সাল থেকে মেয়েদের টেনিসে গ্র্যান্ড স্ল্যামের নতুন চ্যাম্পিয়নের সংখ্যা। এ সময় ছেলেদের টেনিস দেখেছে নতুন ৭ চ্যাম্পিয়ন।

মেয়েদের দাপুটে পারফরমারের এতই অভাব যে, ৭ জন এক নম্বর হয়েছেন কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতেই। ছেলেদের টেনিস দেখেছে এমন দুই চ্যাম্পিয়নকে – কিংবদন্তি ইভান লেন্ডল ও চিলির মার্সেলো রিওস কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতেই হয়েছিলেন এক নম্বর।

গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতে মেয়েদের এক নম্বর হওয়া সাত তারকার ৩ জনের এখনো জেতাই হয়নি কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম। ছেলেদের টেনিসে এমন কিছু দেখা যায়নি।

বিরল

২০০৩ সালের পর এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনালে বিগ থ্রি-র অন্তত একজন নেই।

‘আমার মনে হয় না আর বিগ থ্রি সৃষ্টি হবে। এটা হয়তো বিগ টুয়েলভ হবে।’

ফ্রান্সেস তিয়াফো


কালাইয়ে ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

আপডেটেড ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৪৭
জয়পুরহাট প্রতিনিধি 

জয়পুরহাটের কালাইয়ে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫। গত বুধবার বিকেলে কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান। উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করেন কালাই পৌরসভা বনাম পুনট ইউনিয়ন পরিষদ। খেলা শেষে এক গোলে জয়লাভ করেন কালাই পৌরসভা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নাহিদ নাজনীন ডেইজি, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবিদ আব্দুল্লাহ, কালাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন, কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বকুল, উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন। এছাড়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাত্রাই, পুনট ও কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় তিনটি মাঠে ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাঠজুড়ে ছিল তরুণদের উচ্ছ্বাস ও দর্শকদের প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা এক উৎসবমুখর পরিবেশ। এ খেলাকে কেন্দ্র করে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল দর্শকরা। উদ্বোধনী খেলা পরিচালনা করেন মেহেবুল ইসলাম তালুকদার, হানিফ প্রামাণিক ও সামছুল ইসলাম।

উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে এই প্রথম থিমসং পরিবেশন করা হয়। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী পাগল বিধান, ঐশী রানী দৃষ্টি, সৃষ্টি ও গোলাম আজম ফিতা। এছাড়া খেলা শুরুর আগে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী ইমরান ও বিধান।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন, তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণ সমাজকে মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় থেকে দূরে রাখাই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।


স্পেনকে ছাড়িয়ে টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ল মরক্কো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

কাতার বিশ্বকাপের চমক জাগানো দল মরক্কো এবার গড়ে ফেলল বিশ্বরেকর্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি এখন ‘আটলাস লায়ন্স’দের দখলে। আফ্রিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কঙ্গোকে ১-০ গোলে হারিয়ে স্পেনের গড়া টানা ১৫ জয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে তারা।

গত মঙ্গলবার রাতে কঙ্গোর বিপক্ষে এই জয়ে টানা ১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় তুলে নিল মরক্কো। এর মাধ্যমে শতভাগ জয় নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বও শেষ করল তারা। ‘ই’ গ্রুপে আট ম্যাচের সবকটিতে জিতে বেশ আগেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল আফ্রিকান দলটি।

মরক্কোর এই জয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল গত বছরের মার্চে মৌরিতানিয়ার সঙ্গে ড্র করার পর থেকে। এরপর ১৯ মাসের এই অবিশ্বাস্য ছুটে চলায় তারা ১৬ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫০টি গোল দিয়েছে এবং হজম করেছে মাত্র চারটি।

এর আগে টানা ১৫টি ম্যাচ জিতে এই রেকর্ডের মালিক ছিল স্পেন। ২০০৮ ইউরো থেকে শুরু করে ২০০৯ সালের কনফেডারেশন্স কাপ পর্যন্ত তারা এই কীর্তি ধরে রেখেছিল। এবার সেই রেকর্ড নিজেদের করে নিয়ে ফুটবল বিশ্বে নতুন ইতিহাস লেখল মরক্কো।


বিপিএল আয়োজনে সময়স্বল্পতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মেরেকেটে হাতে সময় দুই মাস, বিসিবির নতুন কমিটির পরিকল্পনায় এবারের বিপিএল আয়োজনের সময় ধরা হয়েছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু আসরটি ঢেলে সাজানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি, তাতে এখনো শুরুর ভিত তৈরি হয়নি। প্রথমত, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানা নির্ধারিত হয়নি। এরই মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঁচ বছরের জন্য নেওয়ার আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে আগ্রহী মালিকানা নেওয়ার জন্য। তার পরও তো অনেক কাজ বাকি।

আবেদন পর্যালোচনা করা, আইনের মধ্যে থেকে আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করে মালিকানার বৈধতার দেওয়ার মতো জটিল প্রক্রিয়া রয়েছে। তাতে অন্তত কয়েক সপ্তাহ লেগে যাওয়ার কথা। এরপর রয়েছে চুক্তি, বিপণন, পৃষ্ঠপোষকতা, সম্প্রচার স্বত্ব, বিদেশি ক্রিকেটারদের ড্রাফট, নিরাপত্তাব্যবস্থা, ভেন্যু সংস্কার, সরঞ্জাম ও হোটেল ব্যবস্থাপনা। তড়িঘড়ি করে এসব সম্পন্ন করে আসরটি মাঠে নামাতে গেলে কী হতে পারে, তা ভালো জানা আছে ফারুক আহমেদের।

গতবার সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিসিবির নতুন বোর্ডের সহসভাপতি ফারুক আহমেদ। ‘সময় কিন্তু দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। অনেক কাজ বাকি। বোর্ড চেষ্টা করছে বিপিএলের সব গুছিয়ে আনতে কিন্তু সময় বড্ড কম।’ গত রোববার সিলেটে সংবাদমাধ্যমের সামনে এভাবেই নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ফারুক আহেমদ। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমানও মেনে নিয়েছেন সময়স্বল্পতার ব্যাপারটি। ‘নেক্সট টু-ইম্পসিবল, খুবই কঠিন। তার পরও আমরা চেষ্টা করব।’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এভাবেই বিপিএল আয়োজনের শঙ্কার মেঘ ফুটে এসেছে ইফতেখার রহমানের কণ্ঠে।

২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতে টি-২০ বিশ্বকাপ। এর মাঝামাঝিতেই বিপিএল আয়োজন করতে হবে। কিন্তু এই কাছাকাছি সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিগব্যাশ (১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি), লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (২৭ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর), আমিরাতে আইএল টি-২০ (২ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি) এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ টি-২০ (২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।

এই চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সূচি নির্ধারিত থাকায় বিদেশি ক্রিকেটাররা সেখানে নথিভুক্ত হয়ে আছেন। তা ছাড়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে তাদের ক্রিকেটারদের বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। তাহলে কোন বিদেশিদের নিয়ে হবে বিপিএল? এই প্রশ্নের উত্তর যেমন মিলছে না, তেমনি কয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে এবারের আসর হতে পারে, তার উত্তরও কেউ জানে না। সব মিলিয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে বিসিবি।


অধিনায়ক হিসেবে ‘প্রথম’ স্বাদ গিলের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আহমেদাবাদের পর দিল্লি টেস্টেও ভারতের জয় অনুমিতই ছিল। মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষ দিন জয়ের জন্য স্বাগতিকদের দরকার ছিল স্রেফ ৫৮ রান। ৭ উইকেটের জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। দলের লাল বলের অধিনায়ক হিসেবে এটিই শুবমান গিলের প্রথম সিরিজ জয়।

জয়ের জন্য গত সোমবার চতুর্থ দিন ১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ভারত। সেদিন ১ উইকেটে ৬৩ রানে খেলা শেষ করেন লোকেশ রাহুল ও সাই সুদর্শন। মঙ্গলবার শেষ দিন ৫৮ রান তুলতে আরও ২ উইকেট হারার স্বাগতিকরা। ১১তম ওভারে রোস্টন চেজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন সুদর্শন (৩৯)। অধিনায়ক গিল আউট হন দ্রুতই, ১৩ রান করে। আরেক প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি করে দলকে জিতিয়েই ফিরেন রাহুল (৫৮*)। আরেক অপরাজিত ব্যাটার ধ্রুভ জুরেল (৬*)।

জয়ের পর গিল জানান, অধিনায়কের দায়িত্বে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন তিনি। এ ডানহাতি ব্যাটার বলেন, ‘ভারতকে নেতৃত্ব দিতে পারা অনেক বড় সম্মানের। বলতে পারেন, এখন এসবে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। দলকে সামলানো, অধিনায়কত্ব করা, এসব বড় প্রাপ্তি।’ এ বিষয়ে গিল আরও বলেন, ‘‘অধিনায়কত্বের ব্যাপারটি হলো, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। ম্যাচের অবস্থা বুঝে আমি সেরা বিকল্পটি বেছে নিতে চেষ্টা করি। কখনো কখনো সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ রান করতে পারে বা উইকেট নিতে পারে, সেটি ঠিক করতে হয়।’’

আহমেদাবাদে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১৪০ রানের ব্যাবধানে হার দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে হিসেবে দ্বিতীয় টেস্টে ভালো পারফর্ম করেছে ক্যারিবিয়ানরা। এখানে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০০ ওভারের বেশি ব্যাট করেছে রোস্ট চেজের দল। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ফলো অনে পড়া সফরকারীরা ব্যাট করে ১১৮.৫ ওভার। ১১৫ রান করেন ওপেনার জন ক্যাম্পবেল। ১০৩ রান আসে শেই হোপের ব্যাট থেকে। ফিফটি করে অপরাজিত থাকেন জাস্টিন গ্রিভস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় সবগুলো উইকেটের বিনিময়ে ৩৯০। তবে ভারতের প্রথম ইনিংসে করা ৫ উইকেটে ৫১৮ রানের জন্য সেটিও যথেষ্ট হয়নি। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ছিল ২৪৮।

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিতে ম্যাচসেরা কুলদিপ যাদব। আর দুই টেস্টের এক ইনিংস ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েই অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকানো রবীন্দ্র জাদেজা সিরিজসেরা। দুই টেস্টে ৮ উইকেট নেন এ অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।

এ জয়ে কোনো এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা সর্বোচ্চ সিরিজ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পাশে বসেছে ভারত। ১৯৯৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই লাল বলের টানা ১০ সিরিজ জিতে প্রোটিয়ারা। আর ২০০২ থেকে এ পর্যন্ত সেই ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গেই টানা ১০টি টেস্ট সিরিজ জিতল ভারতীয়রা। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের পর ব্যস্ততা কমছে না গিলের। আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবে ভারত। সেখানে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নতুন পথচলা শুরু হবে ২৬ বছর বয়সি গিলের।


মেসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্কালোনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফিফা আন্তর্জাতিক বিরতিতে আজ বুধবার ভোরে মাঠে নামছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় আজ ভোর ৬টায় ফ্লোরিডার লডারহিলে চেইজ স্টেডিয়ামে পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে মাঠে নামবে আলবিসেলেস্তেরা। আগের ম্যাচে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে খেলেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। দেশটির সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন, পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে কিছু সময়ের জন্য হলেও মাঠে নামবেন বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকা। মেসির খেলার প্রসঙ্গে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেছেন, মেসির সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

কোচ বলেন, ‘গত শনিবার মেসিকে খেলতে (মায়ামির ম্যাচে) দেখেছি। যতটা জানি, ম্যাচটি সে ভালোভাবেই শেষ করেছে। তবে তার সঙ্গে এখনো কথা হয়নি আমার। এখন আজকের ম্যাচের আগে শেষ অনুশীলন সেশন আমাদের এবং প্রস্তুতির শেষ ধাপে সবসময়ই যেটা করি, তার (মেসি) সঙ্গে কথা বলব আমি। সে যদি ভালো অবস্থায় থাকে, তাহলে অবশ্যই সে খেলবে আজ।’


ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল ৫ লাখ জনসংখ্যার দেশ কেপ ভার্দে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আটলান্টিক মহাসাগরে ১০টি দ্বীপ মিলে গঠিত রাষ্ট্র কেপ ভার্দে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, যাদের জনসংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজারেরও কম। সেই দেশটি ইতিহাস গড়ে ফুটবল বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। এসওয়াতিনিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পায় ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটি।

রাজধানী প্রাইয়ায় কেপ ভার্দে প্রথমার্ধে গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দলকে এগিয়ে দেন ডেইলন লিভ্রামেন্তো। ছয় গজ বক্সে প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলে পাওয়া বল জালে পাঠান। এর কিছু পরেই উইলি সেমেদো দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। আর অতিরিক্ত সময়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার স্টোপিরা গোল করে ব্যবধান তিনে উন্নীত করলে ১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় উল্লাসের বন্যা।

আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে (আফকন) সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চমক দেখিয়েছে কেপ ভার্দে। ২০১৩ সালে অভিষেকেই তারা খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৭০ নম্বরে আছে তারা।

কেপ ভার্দের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় গত মাসে। ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারানোর পর থেকেই বিশ্বকাপের সুবাস পাচ্ছিল তারা। এ জন্য বাকি দুই ম্যাচে একটিতে জিতলেই চলত। এর মধ্যে লিবিয়ার মাঠে গত বুধবার ৩-৩ গোলে ড্র করে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। সেদিন শেষ মুহূর্তে সম্ভাব্য জয়সূচক গোলটি বাতিল হয় বিতর্কিত অফসাইডের কারণে।

তবে এসওয়াতিনির বিপক্ষে প্রাইয়ায় দ্বিতীয় সুযোগটি আর হাতছাড়া করেনি তারা। দারুণ এক জয়ে আফ্রিকা থেকে ষষ্ঠ দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে কেপ ভার্দে। দেশের এমন গৌরবময় মুহূর্তে মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট জোসে মারিয়া নেভেসও।


২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল ঘানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

২০২৫ আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে জায়গা না পেয়ে যে ব্যর্থতায় ঘানা স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল, সেই আঘাত ভুলে তারা অবশেষে ফুটবল বিশ্বের মঞ্চে ফিরেছে দুর্দান্তভাবে। গত রোববার রাতে কমোরোসের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে ঘানা। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহ্যামের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ কুদুসের একমাত্র গোলে জয় নিশ্চিত করে ‘ব্ল্যাক স্টার্সরা’। এর আগে আলজেরিয়া, মিসর, মরক্কো তিউনিসিয়ার পর পঞ্চম আফ্রিকান দেশ হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত হলো ঘানার।

ঘানার রাজধানী আক্রায় এই জয়ে গ্রুপ ‘আই’ থেকে ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে কোয়ালিফায়ার শেষ করল ঘানা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মাদাগাস্কার থেকে ছয় পয়েন্ট বেশি তাদের। আর ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে কমোরোস।

এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, কানাডা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা দেশের সংখ্যা হলো ২১টি। ৪৮ দলের বিশ্বকাপে এখনো বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টুর্নামেন্টে জায়গা পাওয়ার অপেক্ষায় আছে ২৭টি দেশ।

প্রথমার্ধে অনেকটা নিষ্প্রাণ ফুটবল খেলে ঘানা। আগের নয়টি ম্যাচে ২২টি গোল করলেও এদিন কমোরোসের গোলরক্ষককে তেমন একটা পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেনি ওটো অ্যাডোর দল। তবে বিরতির পরই বদলে যায় দৃশ্যপট। থমাস পার্টের পাস থেকে কাছ থেকে সহজ ফিনিশে কুদুস গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এটি ছিল তার বাছাই পর্বের দ্বিতীয় গোল।

আগের দুবারের দেখাতেই ঘানাকে হারিয়েছিল কমোরোস। ২০২২ আফ্রিকান নেশন্স কাপে কুদুসের দলকে হারায় তারা। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডেও ঘানার মাটিতে ১-০ গোলে জিতে ছিল কমোরোস। তবে এবার সবশেষ দুই হারের শোধ তুলল ঘানা।

২০২৪ সালের নভেম্বরে আফ্রিকা কাপের ফাইনাল পর্বে জায়গা না পাওয়ায় দেশজুড়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে- ২০০৪ সালের পর এমন ব্যর্থতা আর দেখেনি ঘানা। তখন কোচ অটো অ্যাডোর পদত্যাগ দাবি ওঠে নানা মহল থেকে। কিন্তু দৃঢ়চেতা অ্যাডো জানিয়ে দেন, ‘আমি এমন মানুষ নই যে ব্যর্থতায় হাল ছেড়ে দেই। যদি এমন করতাম, তাহলে কখনো ফুটবলার বা কোচ হতে পারতাম না,’-বলেন তিনি। ‘যে পথ পেরিয়ে আমি এখানে পৌঁছেছি, তা জানলে কেউ পদত্যাগের কথা বলত না।’

প্রথম মেয়াদে কাতার বিশ্বকাপ ২০২২- এ দলকে তোলার পর দ্বিতীয় মেয়াদেও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন অ্যাডো। নতুন কোচিং স্টাফের সহায়তায় তিনি দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন। ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘গ্রুপ আইয়ে’ শীর্ষে থেকে ঘানা এবারও জায়গা করে নিয়েছে ফুটবলের মহাযজ্ঞে।

শেষ দিন পর্যন্ত মাদাগাস্কার লড়াই চালিয়ে গেলেও কোমোরোসের বিপক্ষে মোহাম্মদ কুদুসের গোলই ঘানার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে দেয়। এই অভিযানে সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিলেন জর্ডান আয়ু- পুরো বাছাই পর্বে সাত গোল করে তিনি হয়ে উঠেছেন দলের ভরসা।

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ হবে ঘানার পঞ্চম উপস্থিতি বিশ্ব মঞ্চে। ২০০৬ সালে জার্মানিতে অভিষেকের পর দলটি সর্বোচ্চ সাফল্য পায় দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০-এ, যখন মিলোভান রাজেভাচের কোচিংয়ে তারা পৌঁছে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে।

সেই টুর্নামেন্টে আসামোয়া গিয়ান ছিলেন অনুপ্রেরণার প্রতীক। শেষ ষোলোয় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে তার দুর্দান্ত গোল ঘানাকে পাঠায় কোয়ার্টারে, যেখানে উরুগুয়ের বিপক্ষে নাটকীয় সেই ম্যাচ এখনো ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় অধ্যায়।


ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ভারতের স্মৃতি মান্ধানা এবার গড়েছেন অনন্য এক কীর্তি। নারীদের ওয়ানডেতে এক পঞ্জিকাবর্ষে এক হাজার রান করা প্রথম ব্যাটার তিনি। গত রোববার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচে ৬৬ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮০ রান করেন ভারতের বাঁহাতি ওপেনার।

মেয়েদের ওয়ানডেতে এক বছরে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডটি আগের ম্যাচেই নিজের করে নেন মান্ধানা। সেটিকে এবার আরও সমৃদ্ধ করলেন তিনি। চলতি বছর ১৮ ওয়ানডে খেলে তার রান হলো ১ হাজার ৬২। ২০২৫ সালে ওয়ানডেতে চারটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে এই রান করেছেন তিনি। এই বছর সংস্করণটিতে তার ব্যাটিং গড় ৫৯, স্ট্রাইক রেট ১১২.৮৫।

মেয়েদের ওয়ানডেতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানে মান্ধানার পরেই আছেন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক বেলিন্ডা ক্লার্ক। ১৯৯৭ সালে ১৬ ওয়ানডে খেলে ৯৭০ রান করেছিলেন মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ব্যাটার ও অধিনায়কদের একজন ক্লার্ক। এক বছরে ৯০০ রানও করতে পারেননি আর কেউ। ২০২২ সালে ৮৮২ রান করে তালিকায় এখন তিনে দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট।

ভিসাখাপাত্নামে এই ইনিংসে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করলেন মান্ধানা। ১১২ ইনিংসে এই সংস্করণে তার রান এখন পাঁচ হাজার ২২। মেয়েদের ওয়ানডেতে যা দ্রুততম। ১২৯ ইনিংসে পাঁচ হাজার রান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টেফানি টেইলর।

পুরুষ ও নারী ওয়ানডে মিলিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম পাঁচ হাজার রান করার রেকর্ড গড়লেন মান্ধানা। এতদিন রেকর্ডটি ছিল কোহলির, ১১৪ ওয়ানডে ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তিনি।

আর সব দেশ মিলিয়ে মান্ধানা এই তালিকায় তৃতীয়। ৯৭ ইনিংসে পাঁচ হাজার রান করে রেকর্ডটি পাকিস্তানের বাবর আজমের। দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ১০১ ইনিংসে পা রেখেছিলেন এই ক্লাবে। বছরে এক হাজার রানের মাইলফলক থেকে ১৮ রান কম নিয়ে ম্যাচটি খেলতে নামেন মান্ধানা। ম্যাচের অষ্টম ওভারে সোফি মলিনিউকে চারের পর ছক্কায় উড়িয়ে মাইলফলকটি স্পর্শ করেন তিনি।

চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৪৬ বলে ফিফটিতে পা রাখেন মান্ধানা। এই সময়ে ৭টি চারের সঙ্গে মারেন একটি ছক্কা। দুই ওভার পর কিম গার্থকে ছক্কা মেরে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি। নামের পাশে চার হাজার ৪২ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন এই ক্রিকেটার।

ইনিংসের ২৫তম ওভারে থামে মান্ধানার পথচলা। মলিনিউকে স্লগ সুইপে ছক্কার চেষ্টায় ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। আরেক ওপেনার প্রাতিকা রাওয়াল ১ ছক্কা ও ১০ চারে করেন ৯৬ বলে ৭৫ রান। সঙ্গে বাকিদের অবদানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩০ রানের বড় পুঁজি গড়ে ভারত।


এমএলএস যেন মেসির রাজত্ব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ২০২৫ মৌসুম শেষের পথে। আগামী ১৯ অক্টোবর ভোরে নাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিয়মিত মৌসুমের শেষ ম্যাচটি খেলবে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। এবারের নিয়মিত মৌসুমটা ইন্টার মায়ামির জন্য খানিকটা হতাশারই বলা যায়। গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগে সবার ওপরে থেকে সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছিল তারা। কিন্তু এবার সেই শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। মায়ামিকে পেছনে ফেলে শিরোপা জিতেছে ফিলাডেলফিয়া।

দল হিসেবে মায়ামি শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে মেসি ছিলেন বরাবরের মতোই উজ্জ্বল। মৌসুমজুড়েই আলো ছড়িয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ম্যাচের পর ম্যাচে দলকে সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন।

গোল করা এবং গোলে সহায়তার পাশাপাশি অনেক নৈপুণ্যের সূচকে চূড়ায় অবস্থান করছেন মেসি। এমএলএসে এখনো অবশ্য একটি করে ম্যাচ বাকি আছে দলগুলোর। কিন্তু তারপরও খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, মেসি নিজেকে এতটাই সামনে নিয়ে গেছেন।

মৌসুমে এখন পর্যন্ত হওয়া ৩৩ ম্যাচের ২৭টিতে মাঠে নেমেছেন মেসি। এই ২৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৬ গোল করেছেন মেসি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির ডেনিস বুয়াংগার চেয়ে ২ গোল বেশি। গ্যাবন উইঙ্গার অবশ্য মেসির চেয়ে ৩ ম্যাচ (৩০) বেশি খেলেছেন।

গোলে সহায়তায়ও সবার ওপরে মেসি। এই তালিকায় মেসির মতো ১৮ গোলে সহায়তা করে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন ডেনিশ উইঙ্গার আন্দ্রেস ড্রেয়ের। কিন্তু ড্রেয়ের মেসির চেয়ে ৬ ম্যাচ বেশি খেলেছেন। মূল দুই পরিসংখ্যানের বাইরে ম্যাচে একাধিক গোল, সুযোগ তৈরি এবং সফল ড্রিবলসহ বেশ কিছু পরিসংখ্যানে সবার ওপরে মেসি।

শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে অবশ্য মেসিকে মাপার সুযোগ নেই। নিউক্লিয়াস হয়ে পুরো মায়ামিকে অনেকটা একাই এগিয়ে নিয়েছেন মেসি। রক্ষণ থেকে আক্রমণভাগ সব জায়গায় মেসি ছিলেন সূত্রধরের ভূমিকায়। যখন যেখানে প্রয়োজন হয়েছে দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।

তবে মেসির জন্য দলকে শিরোপা জেতানোর স্বপ্ন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। শিল্ড না জিতলেও মায়ামিকে এমএলএসের প্লে-অফে নিয়ে গেছেন মেসি। এখন সুযোগ আছে প্রথমবারের মতো দলকে এমএলএস কাপ জেতানোর। সেটি জিততে পারলে শিল্ড হারানোর যন্ত্রণা অনেকটাই ভুলে যেতে পারবেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।


এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে চ্যাম্পিয়ন রংপুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জিতল রংপুর বিভাগ। প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের শিরোপাও তারা জিতেছিল। দাপুটে ক্রিকেটে এবার খুলনা বিভাগকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো রংপুর।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগ ৮ উইকেটে ১৩৬ রান করে। জবাবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৩ ওভার আগে জয় নিশ্চিত হয় রংপুরের।

ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার জাহিদ ও নাসির কোন চাপ না নিয়ে অনায়েসে রান করেন। ৭ ওভারে ৬১ রান আসে ওপেনিং জুটি থেকে। জাহিদ ২৭ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি। সঙ্গী হারানোর পর নাসির এগিয়ে যান ফিফটির পথে। কিন্তু ৪ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। নাসির ৩১ বলে ৪৬ রান করেন ৫টি চার ও ১টি ছক্কায়।

তাতে জয় নাগালে চলে আসে। বাকি কাজ সারেন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম ও আকবর আলী। ৫ চারে ৩২ বলে ৪০ রান করেন নাঈম। ১৫ বলে ১৯ রান আসে আকবরের ব্যাট থেকে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা বিভাগ বড় পুঁজির খোঁজে ছিল। তাদের ব্যাটিং লাইন আপও ছিল লম্বা। কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি কেউ। সৌম্য সরকার মাত্র ৮ রান করেন ২২ বল খেলে। এনামুল হক বিজয় ১৫ বলে করেন ১২ রান। হতাশ করেন আসিফ হোসেন ধ্রুব৷ ২টি ছক্কা মেরে ভালো কিছুর আশা দেখালেও ১০ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান। এছাড়া ওপেনার ইমরানুজ্জামান রানের খাতা খুলতে পারেননি। শেখ পারভেজ হোসেন জীবন করেন ৮ রান। ৬৯ রান তুলতেই তাদের ৫ ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে।

অধিনায়ক মিথুন সেখানে কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে। দুজনের ব্যাটে কিছুটা আশার আলো দেখতে পায় খুলনা বিভাগ। ৪৪ রান যোগ করেন তারা ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। মিথুন ৩২ বলে ৪৪ রান করেন ১টি চার ও ৩টি ছক্কায়। মৃত্যুঞ্জয় ১৩ বলে ২৪ রান করেন ২টি করে চার ও ছক্কায়।

খুলনার ব্যাটিং প্রতিরোধ এতটুকুই। বাকিটা সময় ছিল রংপুরের বোলারদের দাপট। ২ উইকেট নিয়ে তাদের সবচেয়ে সফল বোলার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ফাইনাল সেরা হয়েছেন নাসির হোসেন। টুর্নামেন্ট সেরা আকবর আলী।


এশিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসেবে যে কীর্তি গড়লেন বাবর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়ার প্রথম ব্যাটার হিসেবে দারুণ এক কীর্তি গড়লেন বাবর আজম। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৩০০০ রানের কীর্তি। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির নামের পাশে এমন মাইলফলক নেই। মাইলফলকটা যে গড়বেন বাবর তা নিশ্চিতই ছিল।

শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। কেননা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৩০০০ রান স্পর্শ করার জন্য পাকিস্তানের ব্যাটারের মাত্র ২ রান প্রয়োজন ছিল। লাহোর টেস্টের নিজের মুখোমুখি প্রথম ৬ বলে ১ রান নেওয়ার পর সপ্তম বলে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার সেনুরান মুথুসামিকে বাউন্ডারি মেরে মাইলফলকে পৌঁছান। লাহোর টেস্ট পর্যন্ত ২৩ রানে অপরাজিত আছেন বাবর।

এতে তার মোট রান দাঁড়িয়েছে ৩০২১। ম্যাচ খেলেছেন ৩৭টি। টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ায় এই মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ নেই রোহিত (২৭১৬)-কোহলির (২৬১৭)। এখনো খেলছেন এমন এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাবরের পরে আছেন শুবমান গিল (২৮২৬) ও ঋষভ পন্ত (২৭৩১)।

এশিয়ার প্রথম হলেও বাবরের আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ৭ জন। তার মধ্যে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ৬ হাজার রান করেছেন জো রুট। ইংল্যান্ডের ব্যাটারের রান ৬০৮০। তার পরে থাকা ৪ হাজার রান করা দুই অস্টেলিয়ান ব্যাটার স্টিভেন স্মিথ (৪২৭৮) ও মারনাস লাবুশানে (৪২২৫)। এরপরে যথাক্রমে আছেন বেন স্টোকস (৩৬১৬), ট্রাভিস হেড (৩৩০০), উসমান খাজা (৩২৮৮) ও জ্যাক ক্রলি (৩০৪১)।


ইনজুরিতে এমবাপ্পে, ফিরে গেছেন মাদ্রিদে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের একদম দ্বারপ্রান্তে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। গত শুক্রবার রাতে প্যারিসে আজারবাইজানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপীয় বাছাইপর্বে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জয় পেয়েছে দিদিয়ের দেশমের দল। তবে এই জয়ের মধ্যেই দুঃসংবাদ পেয়েছে ফ্রান্স। কারণ ম্যাচে চোট পেয়েছেন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। যার কারণে তিনি ফিরে গেছেন মাদ্রিদে। এই রিয়াল ফরোয়ার্ডের খেলা হচ্ছে না আইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ।

ডান পায়ের গোড়ালিতে ইনজুরি নিয়ে ফরাসি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ম্যাচ খেলার মতো ফিট ছিলেন তিনি। খেলেছেন আজারবাইজানের বিপক্ষে ম্যাচে, করেছেন গোলও। তবে ম্যাচে চোট পান এমবাপ্পে। যার কারণে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে মাঠ ছেড়েছেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

তাতে লম্বা হলো ফ্রান্সের ইনজুরির তালিকা। উসমান ডেম্বেলে, ডিজায়ার ডু, মার্কাস থুরাম ও ব্র্যাডলি বারকোলার পর এই তালিকায় যোগ দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফ্রান্স ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এমবাপ্পেকে নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইনজুরির কারণে আজ সোমবার আইসল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন না এমবাপ্পে। তিনি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে ফিরে গেছেন এবং তার বিকল্প হিসেবে কাউকে দলে নেওয়া হবে না।

এছাড়া এমবাপ্পের চোট নিয়ে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম বলেন, ‘তার গোড়ালিতে ব্যথা আছে এবং সেটি আগের চোটের জায়গাতেই। ব্যথা উল্লেখযোগ্য, তাই ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না।’ এর আগে এমবাপ্পের চোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাবি আলোনসো। এমবাপ্পে না খেললেও আজ সোমবার বিশ্বকাপ টিকিট সম্ভাবনা আছে জয় পেলে ২০২৬ নিশ্চিত হওয়ার ফরাসিদের।


জুনিয়র হকি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ভারতের তামিলনাডুতে আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-২১) হকি বিশ্বকাপের খেলা। বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে হকি ফেডারেশন।

ঘোষিত ২০ সদস্যের এই দলে নেই ওমানে বাছাই পর্বে খেলা ৬ খেলোয়াড়। বাদ পড়েছেন গোলকিপার নয়ন, সুমন্ত চাকমা, শহীদুল ইসলাম, তৈয়ব আলী, সাদ্দাম হোসেন ও শিমুল ইসলাম। মালয়েশিয়ায় চারটি ম্যাচেই চূড়ান্ত হয়ে যায় ২০ সদস্যের দল।

এবারের আসরে ২৪টি দেশ ছয়টি গ্রুপে খেলবে। এফ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও দক্ষিণ কোরিয়া। ২৯ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া, ৩০ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়া এবং ২ ডিসেম্বর ফ্রান্সের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা।

বাংলাদেশ দল: মাহমুদ হাসান, আশরাফুল হক, মেহরাব হোসেন সামিন, রামিন হোসেন, এনাম শরীফ, মুন্না ইসলাম, রাহি হাসান, আজিজার রহমান, সাব্বির হোসেন কনক, দ্বীন ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, ইসমাইল হোসেন, আমিরুল ইসলাম, হোজিফা হোসেন, ওবায়দুল হোসেন, তানভীর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, আবদুল্লাহ ও সাহিদুর রহমান।


banner close