যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঘটল সেটাই। বিএনপি পারিবাস ওপেন তথা ইন্ডিয়ান ওয়েলস মাস্টার্স সিরিজে খেলা হচ্ছে না নোভাক জোকোভিচের। গতকাল আয়োজকরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, আগের দুই বছরের মতো ইন্ডিয়ান ওয়েলসে এবারও খেলছেন না সার্বিয়ান তারকা। নাম সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
৮-১৯ মার্চ হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে জোকোভিচকে পাওয়া নিয়ে আগে থেকেই একটা অনিশ্চয়তা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দেশটির নাগরিক ও অভিবাসী ছাড়া অন্য কেউ করোনার প্রতিষেধক টিকার সনদ না দেখানো পর্যন্ত দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না ‘জোকার।’
কিন্তু জোকোভিচ তো করোনার টিকা নেননি। যে কারণে ২০২১ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারলেন না, সেবার ইউএস ওপেনেও তাকে খেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। কত নাটক হয়েছে তা নিয়ে!
এবার অবশ্য জোকোভিচের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পাওয়ার ক্ষীণ একটা আশার আলো দেখা গিয়েছিল। খবর এসেছিল, টুর্নামেন্টে জোকোভিচকে খেলার সুযোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর রিক স্কট। তাতে সই করেছিলেন ফ্লোরিডার আরেক সিনেটর মার্কো রুবিও। কিন্তু দৃশ্যত তাতে কাজ হয়নি। হলে কী আর বিবৃতিতে দিয়ে কাল জোকোভিচের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন টুর্নামেন্টের আয়োজকরা!
জোকোভিচ না থাকা টুর্নামেন্টের আকর্ষণ অনেকটাই কমে আসবে। সার্বিয়ান তারকার আগেই চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ান রাফায়েল নাদালও।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ব্যাংকিং খাতে রিজার্ভ চুরি, হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক ও এস আলম গ্রুপের ঋণ জালিয়াতিসহ ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংক খাত ‘ধ্বংসের’ অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এসব অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনজন সাবেক গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক-বর্তমান ১৯ কর্মকর্তা এবং দুজন ভারতীয় কর্মকর্তার নথি তলব করে ফের চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ব্যাংকিং খাতে ঘটে যাওয়া এসব বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে দুদকের কাছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত জুনে প্রথম দফায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদারের নথিসহ ২৩ ধরনের নথি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তবে সে দফায় কাঙ্ক্ষিত তথ্য না মেলায় গত সেপ্টেম্বরে কমিশন তৃতীয়বারের মতো আবার নথি তলব করে।
এই তলবকৃত নথির তালিকায় রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর টেকনিক্যাল দায়িত্বে থাকা দুজন ভারতীয় কর্মকর্তার নথিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে এখনও সব নথিপত্র হাতে পায়নি বলে জানিয়েছে দুদক।
জানা গেছে, সম্প্রতি গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তাদের প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর, দায়িত্বের পরিধি এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যাদের নাম তালিকায় রয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই ২০১৬ সালের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা, নীতি শিথিলতা এবং অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চলছে। দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। রিজার্ভ চুরির সময় গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ড. আতিউর রহমান, যিনি একই বছরের ১৫ মার্চ পদত্যাগ করেন।
এছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, আহমেদ জামাল এবং বিএফআইইউয়ের সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসের সম্পর্কেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহার নামও রয়েছে এ তালিকায়।
বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক (যিনি সম্প্রতি এক মাসের নোটিশে পদত্যাগ করেছেন) এবং আইসিটি বিভাগের দেবদুলাল রায়। আরও আছেন কমন সার্ভিস বিভাগ-২-এর পরিচালক মো. তফাজ্জল হোসেন, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কাউন্সিলের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ এবং আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তা মসিউজ্জামান খান ও রাহাত উদ্দিন।
দুদকের চিঠিতে মসিউজ্জামানের নাম দুইবার এসেছে—একবার অতিরিক্ত পরিচালক, আবার উপপরিচালক হিসেবে—যা একই ব্যক্তিকে নির্দেশ করে বলে জানা গেছে।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় নেওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে এবং ফিলিপাইন থেকে প্রায় দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এখনো প্রায় ছয় কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারের প্রক্রিয়া ফিলিপাইনের আদালতে চলছে।
রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা ও ছাড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাংকের চারটি বিভাগ—ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট, আইটি, পেমেন্ট সিস্টেম এবং অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং—এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। দুদকের চিঠিতে আরও দুটি ভারতীয় নাগরিকের তথ্য চাওয়া হয়েছে—নীলা ভান্নান ও রাকেশ আস্তানা। নীলা ভান্নান রিজার্ভ চুরির আগে ‘সুইফট’ সংযোগ স্থাপনের কাজ করেছিলেন, আর রাকেশ আস্তানা চুরির পর নিরাপত্তা ভেদ সংক্রান্ত তদন্তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমানের আমলে।
এদিকে গতকাল সোমবার আলাদা এক অনুসন্ধানে দুদক চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে এক দিনেই ৭৭ জন কর্মচারীকে বদলি করার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
গেল ফেব্রুয়ারিতে অভিযান চালিয়ে দুদক রেজাউল করিমের নামে লালমাটিয়ায় ৭ কোটি টাকার দুটি ফ্ল্যাট, ধানমন্ডিতে স্ত্রীর নামে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট এবং সাতক্ষীরার তালা থানায় জমি কেনার প্রাথমিক দুর্নীতির উপাদান খুঁজে পেয়েছিল।
১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময় মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এ হিসাব চলতি বছরের ৩১ মার্চের।
তিন মাস আগে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর খেলাপি ঋণের হার ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। সে সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। আর মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
গতকাল রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের পতন পরবর্তী নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, বিগত সরকার খেলাপি ঋণ নানাভাবে লুকিয়ে রেখেছিল। এসব খেলাপি ঋণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এটা বেড়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। সেই হিসেবে প্রতি তিন মাসে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে আনার সময় এর পরিমাণ বাড়ছে।
সোমবার (১৯ মে ২০২৫) জনতা ব্যাংক পিএলসি এর আরব আমিরাতের প্রধান নির্বাহীর কার্যালয় ও আবুধাবি শাখা স্থানান্তরিত নতুন ভবনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে। এ উপলক্ষে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান ও গ্রাহক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জনতা ব্যাংক পিএলসি'র চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা ও কেক কেটে নতুন ভবনে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।
এ সময় দূতাবাসের উপপ্রধান শাহনাজ আক্তার রানু, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম এবং ইউএই জনতা ব্যাংক পিএলসি'র প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আবুধাবি রিজিওনাল ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি, গ্রাহক সেবার মান ও প্রসার বৃদ্ধির পরামর্শ দেন । এ সময় জনতা ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান আরব আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে ১৩ টি এটিএম বুথ স্থাপনের ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা চালুর ঘোষণা প্রদান করেন। তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য আহবান জানান।
বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশকে ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী জুন মাসে বাংলাদেশের জন্য ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুই কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।
ওয়াশিংটনে আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে একাধিক বৈঠকের পর বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটির সঙ্গে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
এর ফলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজের আওতায় জুন মাসে ১৩০ কোটি ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে আইএমএফ।
বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-ডলারের যে বিনিময় হার পদ্ধতি ঠিক করেছে, তার নাম ‘ক্রলিং পেগ’। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিময় হার নমনীয় করা এবং কর-জিডিপি প্রবৃদ্ধি ইস্যুতে মতানৈক্যের কারণে এতদিন ঋণ ছাড়ের এ কিস্তি আটকে ছিল বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে, ক্রিস পাপাজর্জিউর নেতৃত্বে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল গত ৬ থেকে ১৭ এপ্রিল ঢাকা সফর করে। তারা এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ), এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পর্যালোচনা সম্পন্ন করে।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে আগামী বুধবার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হবে। গভর্নর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি এতে যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কক্সবাজারে ‘ঋণ আদায় কর্ম কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নবিষয়ক ‘আউটরিচ ট্রেনিং’ গত ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজারে বিয়াম ফাউন্ডেশনের আঞ্চলিক কেন্দ্রে উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ও উপ-মহাব্যবস্থাপক ইস্কান্দার পারভেজ, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জামিল আবদুল নাছের, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. ফেরদাউস খায়ের। দিনব্যাপী আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব ব্যবস্থাপক ও অন্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি
চেন্নাইভিত্তিক হাসপাতালে ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহক এবং সহকর্মীদের আকর্ষণীয় অফার প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের চেন্নাইয়ের জীবন মিত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড উইমেন কেয়ার সেন্টারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম এবং জীবন মিত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড উইমেন কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রাম্যা রামালিঙ্গম এমডি (ওজি) ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত রোববার এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিএফও এম মাসুদ রানা, জীবন মিত্র ফার্টিলিটি অ্যান্ড উইমেন কেয়ার সেন্টারের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর আর. মালারকোডি এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই চুক্তি-স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডে গত ১৪ অক্টোবর ‘ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বার্ষিক সম্মেলন-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার একটি কনফারেন্স সেন্টারে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সব আঞ্চলিক কার্যালয়, শাখা ও উপশাখার নির্বাহী ও কর্মকর্তারা সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহমুদ হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আরিফ-উজ জামান।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান ঝুঁকি কর্মকর্তা সৈয়দ রইস উদ্দিনসহ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগীয় প্রধান ও নির্বাহীরা। প্রধান অতিথি মো. মেহমুদ হোসেন বলেন, ‘এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকের সব স্তরে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, যাতে একটি শক্তিশালী ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতি এবং অবকাঠামোর উন্নয়ন সহজতর হয়। বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবিলায় জ্ঞান আদান-প্রদানের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য।
এ জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য আমাদের সব নির্বাহী ও কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে ঝুঁকি সম্পর্কে কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে এবং সেগুলো কাটিয়ে উঠতে উপায় খুঁজে বের করার ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এতে বিভিন্ন ঝুঁকির রেটিং যেমন-ক্যামেলস রেটিং, কোর রিস্ক রেটিং এবং সামগ্রিকভাবে ব্যাংকের ঝুঁকি রেটিংও উন্নত হবে। বিজ্ঞপ্তি
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড বিশেষ সিএসআর ফান্ডের আওতায় কৃষি খাতে নতুন প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে। সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার কাছে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড ‘ডেভেলপমেন্ট অব ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড ইনোভেশন ইন অরগানাইজেশনাল সার্ভিস ডেলিভারি : সাকসেসফুল কেইস স্টাডি ফ্রম ফাইন্যান্সসিয়াল অ্যান্ড ব্যাংকিং সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কনফারেন্সের আয়োজন করে।
ওই কনফারেন্সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। কনফারেন্সে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসাইন।
তিনি বর্তমান সময়ে আর্থিক ও ব্যাংকিং সেক্টরে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি এর আরও উৎকর্ষতা সাধনের ওপর জোর দেন। বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ‘সাসটেইনেবল রেটিং-২০২২’-এর সম্মাননা পেয়েছে যমুনা ব্যাংক। সম্প্রতি বিআইবিএম আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা প্রদান করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ও বিআইবিএমের ইমেরিটাস ফ্যাকাল্টি ফজলে কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আক্তারুজ্জামান। বিজ্ঞপ্তি
সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিবিধ ফি ও চার্জ আদায়ের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল রোববার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ মিলনায়তনে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক পিএলসির সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, সোনালী ব্যাংক পিএলসির জেনারেল ম্যানেজার মো. নূরুন নবী ও গোপাল চন্দ্র গোলদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুপ্রভাত হালদার।
এই চুক্তির ফলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে তাদের যাবতীয় ফি ও চার্জ পরিশোধ করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তি
উন্নততর সেবা প্রদানের প্রত্যয় নিয়ে নতুনভাবে সজ্জিত শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাতমসজিদ রোড শাখা গতকাল রোববার থেকে নতুন ঠিকানায় (গ্রিন সিটি সেন্টার, ৫৮ সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা) ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই স্থানান্তরিত শাখার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ। একই দিনে ব্যাংকের শাখা প্রাঙ্গণে একটি এটিএম বুথের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার ব্যবস্থাপক এফ এম নেওয়াজ আলী, ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রধান মো. সামছুদ্দোহা, ব্যাংকের সাধারণ সেবা বিভাগের প্রধান মাহমুদুল শামীম তালুকদার, সাতমসজিদ রোড শাখার মোহাম্মদ হাসিব উদ্দিন, কলেজ কারওয়ান বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. ইফতেখার শহীদ, কলেজ গেইট শাখার ব্যবস্থাপক এ এইচ এম শাহরিয়ারসহ ব্যাংকের গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্থানান্তরিত শাখার কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে ব্যাংকের সমৃদ্ধি কামনা করে ব্যাংকের শাখা প্রাঙ্গণে পবিত্র কোরআন খতম, দরুদ এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধান অতিথি ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই গ্রাহকদের আন্তরিকভাবে সেবা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ১৪০টি শাখা, ৪টি উপশাখা, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এটিএম বুথ ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিরলসভাবে সেবা প্রদান করে আসছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সেবার মানের কারণে এই ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই ব্যাংকটির সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি, আর্থিক ভিত মজবুত হচ্ছে, শাখা সম্প্রসারিত হচ্ছে, গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকটি সাধ্যমতো অবদান রাখছে। বর্তমানে এই ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা ৯ লক্ষাধিক। গ্রাহকদের চাহিদা ও তাদের সুবিধার্থে এই সাতমসজিদ রোড শাখাটিকে সু-পরিসর স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টরে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে একটি আস্থার নাম। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান করে আসছে। আধুনিক প্রযুক্তির সকল সুবিধা এই ব্যাংকে রয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে আসছেন। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক সে লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই, আমাদের তারল্য অনেক উদ্বৃত্ত রয়েছে। উন্নয়নমূলক ও সম্ভাবনাময় খাতে আমরা অধিক বিনিয়োগে আগ্রহী।’ বিজ্ঞপ্তি