বিপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন তৌহিদ হৃফয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ ওভারের ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছে তার। সাহসী ব্যাটিংয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে মুগ্ধ করেছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেকও হয়ে গেল তার। মাত্র তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে ফিফটি পেয়েছেন হৃদয়।
হৃদয়ের আগে বাংলাদেশের হয়ে এ কীর্তি শুধু নাসির হোসেন ও ফরহাদ রেজার ছিল। দুজনের কীর্তিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০০৬ সালে অভিষেকে ঠিক ৫০ রান করেছিলেন রেজা। ওয়ানডে তার একমাত্র ফিফটি এটি। আর ২০১১ সালে নাসির করেছিলেন ৬৩ রান।
আজ ৫৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া হৃদয় এখন পর্যন্ত ৫টি চার মেরেছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ২১৬। ৮৯ বলে ৯৩ রান করা সাকিব ফিরে গেছেন ১৩৫ রান জুটির শেষ টেনে। ৫৬ রান অপরাজিত আছেন হৃদয়।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান আর ৬০ বলে মুশফিকুর রহিমের ফিফটি। গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই দুটি রেকর্ডের দিনে তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছুঁয়েছেন ১৫ হাজার রানের মাইলফলক। ম্যাচটি যারা দেখেছেন-এসব রেকর্ডই আছে তাদের মাথায়। তবে এই দিন অন্যরকম এক রেকর্ডেরও জন্ম দিয়েছেন মুশফিক।
সেটি কী? বাংলাদেশ যেদিন দলীয় সর্বোচ্চ রান করে, সেদিন ইনিংস সর্বোচ্চ রান আসে মুশফিকের ব্যাটে! কাল যেমন সিলেটে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া স্কোরে মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যানের অবদান হারা না মানা ১০০। ওয়ানডের বাইরে টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টির দিকেও তাকিয়ে দেখুন না! এই দুই সংস্করণেও বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানে ইনিংস সর্বোচ্চ অবদান মুশফিকের।
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে স্বাগতিকদের ৪ উইকেটে ৫৭০ রান তোলার পর বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গড়ে রানের রেকর্ড। অলআউট হওয়ার আগে তোলে ৬৩৮ রান। সেই ম্যাচের দেশের হয়ে প্রথম ব্যক্তিগত ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিক।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সর্বোচ্চ ২১৫ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৮ সালে কলম্বোয় দলের এই স্কোরেও ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭২ রান করেছিলেন মুশফিক।
টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির পর মুশফিক আউট না হলে তিন ম্যাচেই অপরাজিত থাকার কাকতালীয় একটা ব্যাপার-স্যাপার থাকত। সেটা না থাকলেও মহান স্বাধীনতার মাস মার্চ তিনটি ঘটনাকেই গেঁথেছে একই সূত্রে-তিনটি ঘটনাই যে ঘটেছে এই মাসে!
টেস্টে মুশফিক ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ১১ মার্চ, টি-টোয়েন্টির দলীয় স্কোর গড়ার ম্যাচে ইনিংস সর্বোচ্চ রান মুশফিক করেছিলেন ১০ মার্চ। আর সিলেটের ঘটনাটিও মার্চে-২০ তারিখ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য ১৬ সদস্যের দল দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই দুই ম্যাচের প্রথমটি জিতেছে বাংলাদেশ, বৃষ্টির কারণে গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচটি হয়েছে পরিত্যক্ত। আগামী ২৩ মার্চ সিরিজের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচের জন্য আজ ১৪ সদস্যের দল দিয়েছেন নির্বাচকেরা।
আগের স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আফিফ হোসেন ও শরীফুল ইসলামকে। প্রথম দুই ম্যাচের দলে থাকলেও একাদশে ছিলেন না তিনি। এদিকে চোখে ফুটবলের আঘাতে রক্ত জমে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজকে বাংলাদেশ ধরে রেখেছে শেষ ওয়ানডের জন্য। তিনিও আগের দুই ওয়ানডের একাদশে ছিলেন না।
শেষ ওয়ানডের দল-
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলি চৌধুরী, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও রনি তালুকদার।
সেই ২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে শব্দজোড়া একবার শোনা গিয়েছিল। ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পর আবার আলোচনায় শব্দগুলো – বাংলাদেশ ব্র্যান্ড। কী সেটা? খুব একটা জটিল কিছু নয় অবশ্য। একটু আগ্রাসী ক্রিকেট, পরিস্থিতি বুঝে আর নিজেদের ও প্রতিপক্ষের শক্তি-সামর্থ মাথায় রেখে ব্যাটিং-বোলিং, প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেটে জয় বের করে নেয়া... ক্রিকেটের ‘বেসিক’ই ঠিকঠাক করে যাওয়া আর কী!
তবে চাইলেই তো হয় না। বেশিরভাগ সময়েই নিজেদের ব্যর্থতা, কখনো বা সামর্থের দৈন্য, আবার কখনো প্রতিপক্ষের দারুণ ব্যাটিং-বোলিং... অনেকগুলো কারণেই বাংলাদেশের কোনো কিছুতে আর ধারাবাহিক হয়ে ওঠা হয় না। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ওয়ানডে – বাংলাদেশ দলকে বেশ দাপুটে মনে হচ্ছে।
এই দাপুটে ব্যাটিংই হোক বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের পরিচয়, এমনই চাওয়া লিটন দাসের।
এমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হবে কি না – কাল ম্যাচ শেষে এ নিয়ে প্রশ্নে লিটনের উত্তর, ‘আমরা তো চাই এটা হোক। আমরা ব্যাটাররা চাচ্ছি রান করতে। যখন বড় বড় টুর্নামেন্ট হয়, তখন আসলে এরকম রানই হয়। সব ম্যাচে হয়তো ৩০০ হয় না, তবে ২৮০+ থাকেই। অবশ্যই চাইব যেন আমরাও সব সময় ভালো উইকেটে খেলি, ভালো রান করি। সেটা বেশ সাহায্য করবে।’
কাল যে উইকেটে খেললেন, আগের দিন থেকে হতে থাকা বৃষ্টির কারণে সেই উইকেটে প্রথম দশ ওভারে বল অনেক মুভ করছিল। লিটনের মনে হচ্ছিল, ‘শুরুর দিকে ব্যাটিং করাটা খুবই কঠিন ছিল। অনেকদিন পর মনে হয় বাংলাদেশে এমন উইকেটে খেললাম যেটায় মনে হলো যেন বিদেশে ক্রিকেট খেলছি। এখন যে খুব শীত তা-ও না। গ্রীষ্মের মধ্যেই বল এভাবে মুভ করছে। গত ১ দিনের বৃষ্টির কারণে তারা হয়তো কিছুটা সুবিধা পেয়েছে।’
সেই উইকেটে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর গড়া, আয়ারল্যান্ডকে ৩৫০ রানের লক্ষ্য দিতে পারা… লিটনকে তৃপ্তি দিচ্ছে সেসব। অক্টোবরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, তার আগে এমন উইকেটে এ ধরনের ব্যাটিং নিয়ে লিটনের উচ্ছ্বাস, ‘বিশ্বকাপে যখন আপনি ভালো ভালো কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলবেন, এরকম মুভমেন্ট থাকবে, এমন কোয়ালিটির বোলিং করবে। আমার মনে হয়, যখন আপনি প্রতিনিয়ত ৩০০-৩৫০ ছুঁইছুঁই একটা অবস্থায় থাকবেন, তার মানে হচ্ছে আপনি ভালো ক্রিকেট খেলছেন।’
এরকম ৩০০ ছোঁয়া স্কোরের জন্য আধুনিক যুগে যে একেবারে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করতে হয়, তা-ও নয়। বাংলাদেশের সর্বশেষ দুটি ইনিংসই তো তার প্রমাণ। ইংল্যান্ড তো ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে বলেকয়ে ৩০০-৩৫০ করেছে। এখানে শুধু মাঝের ওভারগুলোতে একেবারে রানে বাধ পড়তে না দেয়া আর শেষ দশ ওভারে আগ্রাসী ব্যাটিং – সাধারণ কৌশলের পরিকল্পিত বাস্তবায়নই দরকার। গত দুই ম্যাচে যা বাংলাদেশ করতে পেরেছে।
লিটনের ব্যাখ্যায়ও তা উঠে এল। মাঝের ওভারগুলোতে বাংলাদেশের পরিকল্পনা নিয়ে বললেন, ‘যারাই ব্যাটিং করছে মিডল ওভারগুলোতে, সবাই রান তোলার তাড়ণা নিয়েই ব্যাটিং করছে। হয়তো এমন না যে সবাই অনেক বড় বড় ছয় মারছে। তবে আমাদের (লক্ষ্য) ছিল যে, আমরা কীভাবে ১, ২, ৪ রান বের করতে পারি।’
এরপর শেষ দশ ওভারে গত দুই ওয়ানডে মুশফিকের সৌজন্যে ঝড় উঠেছে ক্রিজে। প্রতিদিন তো আর মুশফিকের ব্যাট চওড়া হবে না, তবে চাওয়াটা একই থাকবে নিশ্চিত। হাতে থাকা উইকেট, পিচের অবস্থা, প্রতিপক্ষের মান – সেসব পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলবে ঠিকই, কিন্তু চাওয়াটা যে অভিন্ন থাকবে, তা জানিয়ে দিলেন লিটনও, ‘ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশেষ করে বড় বড় দলগুলোর যখন উইকেট ভালো হয়, শেষ দিকে উইকেট হাতে থাকে, শেষ ১০ ওভারে প্রায়ই ১০০ বা ১০০ এর কাছাকাছি, ৯০ বা এমন রান করে ফেলে। এই জিনিসটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। কেবল ওয়ানডে নয়, কিছুদিন ধরেই কথা হচ্ছিল, টি-টোয়েন্টিতেও কীভাবে আমরা শেষ ১০ ওভারে ১০০ করতে পারি।’
তাতে আপাতত সাফল্য আসছে। এটা ধরে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ। না হলে ‘বাংলাদেশ ব্র্যান্ড’ নিয়ে আলোচনা আবার মিইয়ে যাবে আর কী! যেমন গিয়েছিল নিদাহাস ট্রফির পরের পাঁচ বছরে।
৬০ বল, ১৪ চার, ২ ছক্কা, অপরাজিত ১০০ রান। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে নেমেও ইনিংসের শেষ বলে পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরিতে। তা-ও যে-সে সেঞ্চুরি নয়, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরিই এটি!
মুশফিকুর রহিম গতকাল সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যে ইনিংস খেললেন, তাতে মুগ্ধতা সহজে কাটবে না কারও। মুশফিকের এমন ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশও গড়েছে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ আছে, তবে মুশফিকে মুগ্ধতা কাটছে না।
কাল ম্যাচ শেষে লিটন দাসের কথায় বোঝা গেল, তিনিও মুগ্ধ মুশফিকের অমন ইনিংসে। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের ইনিংস নিয়ে প্রশ্নে লিটনের উত্তর, ‘আমি যতদিন ধরে খেলছি, বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই এমন শেষের দিকে গিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারেনি। কোনো দলে কেউ এমন সেঞ্চুরি করলে অবশ্যই ভালো লাগে, আর সেটা যদি সিনিয়র কেউ করেন, তখন তো আরও বেশি ভালো লাগে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিক ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন, কিন্তু সেদিন ২৬ বলে ৪৪ রানে আউট হয়ে গেছেন। কাল সেঞ্চুরির প্রশংসায় লিটন আগের ইনিংসের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন, ‘মুশফিক ভাইয়ের ইনিংস শুধু আজকের (গতকালের) না, আগের ইনিংসটিও অসাধারণ ছিল। যদিও রান অত বেশি না, ৪০-এর মতো। তবে সেটা কিন্তু অনেক পার্থক্য গড়ে দেয় ৩০০ রান তোলার জন্য। আজকেও (গতকাল) মুশফিক ভাইয়ের ইনিংস একদম খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
শেষে আরেকবার গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের দাপুটে ব্যাটিং নিয়ে যখন প্রশ্ন হলো, আবার মুশফিকের ইনিংসের প্রসঙ্গ লিটনের কণ্ঠে। গতকাল নিজের আর শান্তর ৭০-উর্ধ্ব দুই ইনিংসের কথা টেনে বললেন, ‘মুশফিক ভাই যে ইনিংসটা খেলেছেন, এটা দেখার মতো ছিল। শান্ত এবং আমার ইনিংস থেকেও বেশি ভালো ছিল।’
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির সেমিফাইনালে কাল থাইল্যান্ডকে ৪৫-২৬ পয়েন্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ – টুর্নামেন্টে ছয় ম্যাচে ষষ্ঠ জয়। টুর্নামেন্টটিতে আগের দুবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ টানা তৃতীয়বার উঠে গেছে ফাইনালে। আর এবার ফাইনালে ওঠায় নিশ্চিত হয়ে গেল, আগামী এশিয়ান গেমস ও বিশ্বকাপ – দুটিতেই খেলবে বাংলাদেশ।
তা বিশ্বকাপে খেলা তো নিশ্চিত হয়ে গেল, এবার বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে হ্যাটট্রিক শিরোপায় চোখ বাংলাদেশের। সে লক্ষ্যে আজ ফাইনালে নামবে দল, যেখানে প্রতিপক্ষ চীনা তাইপে।
এই ম্যাচসহ আজ টিভিতে আর কী কী দেখতে পাবেন, চোখ বুলিয়ে নিন –
কাবাডি
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি: ফাইনাল
বাংলাদেশ – চীনা তাইপে
দুপুর ১২টা ১৫ মি., টি-স্পোর্টস
ক্রিকেট
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
শেখ জামাল – সিটি ক্লাব
সকাল ৯টা, ইউটিউব / বিসিবি
লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ – ব্রাদার্স
সকাল ৯টা, ইউটিউব / বিসিবি
প্রাইম ব্যাংক – শাইনপুকুর
সকাল ৯টা, ইউটিউব / বিসিবি
দক্ষিণ আফ্রিকা – ওয়েস্ট ইন্ডিজ
তৃতীয় ওয়ানডে
দুপুর ২টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু – মুম্বাই ইন্ডিয়ানস
বিকেল ৪টা, স্পোর্টস ১৮
ইউপি ওয়ারিয়র্স – দিল্লি ক্যাপিট্যালস
রাত ৮টা, স্পোর্টস ১৮
জলে গেল মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড সেঞ্চুরি। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি গড়েও জয় হাতছাড়া বাংলাদেশের। বৃষ্টির বাগড়ায় পরিত্যক্ত হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ওয়ানডে।
বেশ কয়েকদিন ধরে সিলেটের আকাশ গোমড়ামুখো। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচেও। তবে সে ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড জয়ের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি বৃষ্টি।
তবে দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির বাগড়ায় পণ্ড-ই হয়ে গেল।
টস হেরে আগে ব্যাট কয়রা বাংলাদেশ মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত সেঞ্চুরি এবং লিটন দাস ও মাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটিতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান করে বাংলাদেশ। মাত্র ৬০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে দেশের জার্সিতে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান বনে যান মুশফিক।
তবে বাংলাদেশ ইনিংস শেষের পরই শুরু হওয়া বৃষ্টি রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত না বন্ধ হওয়ায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী আইরিশদের ১৮৩ রানে হারায় বাংলাদেশ। আগামী ২৩ মার্চ সিরিজের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তামিম ইকবালের দল।
ততক্ষণে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু হয়েছে রেকর্ডবইয়ে।
মুশফিকুর রহিম একের পর চার-ছক্কা মেরেই যাচ্ছিলেন, আয়ারল্যান্ডের বোলাররা শর্ট বলের পথ ছেড়ে ফুলার লেংথ কিংবা ওয়াইড লাইনে বল করে মুশফিককে ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তাতে দু-একটা বলে হয়তো লাভ হচ্ছে, কিন্তু মুশফিককে আটকে রাখার সাধ্য আজ আইরিশদের ছিল না।
শেষ পর্যন্ত মুশফিক ওয়ানডেতে নিজের নবম সেঞ্চুরি তো পেলেনই, সে পথে রেকর্ডও গড়ে ফেললেন – ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি। মাত্র ৬০ বলে মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশও ওয়ানডেতে গড়েছে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগের রেকর্ডটা আগের ম্যাচেই গড়া। সেদিন ৩৩৮ করেছিল বাংলাদেশ, আজ আইরিশদের সামনে দাঁড় করিয়েছে ৩৪৯ রানের পাহাড়।
সে পথে লিটন দাস (৭১ বলে ৭০) আর নাজমুল হাসান শান্তর (৭৭ বলে ৭৩) দুটি সত্তর-পেরোনো ইনিংসের অবদান আছে। তাওহীদ হৃদয়ের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ফিফটি পেতে পেতেও না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও তার ইনিংসও (৪৯ রান) বড় অবদান রেখেছে। একপাশে পেটাতে থাকা মুশফিককে অন্য পাশ থেকে সঙ্গ তো তিনিই দিয়েছেন সিঙ্গেল নিয়ে নিয়ে স্ট্রাইক বদল করে, মাঝে মাঝে নিজেও চার-ছক্কা মেরে মুশফিকের ওপর থেকে চাপ সরিয়ে নিয়ে।
তবে সব ছাপিয়ে আজ সবার চোখ তো মুশফিকের ওপরই ছিল। পঞ্চম উইকেটে মুশফিক-হৃদয়ের ৭৮ বলে ১২৮ রানের অসাধারণ জুটিতে সঞ্চালক মুশফিকই তো।
৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শান্ত আউট হওয়ার পর ক্রিজে যখন গেছেন মুশফিক, কজন ভেবেছিলেন, ইনিংস শেষে তার নামের পাশে সেঞ্চুরি থাকবে! তার জন্য আগ্রাসনের পথ অবশ্য সহজ করে দিয়েছেন লিটন-শান্তরাই, মুশফিক ক্রিজে নামার সময়ই বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৯০।
তবু একটু দেখেশুনে শুরু করতে হতো। শান্ত যখন আউট হন, ক্রিজের অন্য প্রান্তে তখন হৃদয়ও তখনো ক্রিজে মানিয়ে নিচ্ছেন – ২ বলে ১ রান তখন তার। অর্থাৎ, মুশফিক আর হৃদয় – শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ালেও ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যানের দুজনই নতুন।
মুখোমুখি প্রথম বলে দুই রান নিয়ে শুরু মুশফিকের রান ডাবল ডিজিটে পৌঁছায় ১১ বলে, প্রথম চার এল ১৩তম বলে। ৩৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কার্টিস ক্যাম্ফারকে তার ১৪ চার আর ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি যখন মারলেন, ১৮ বলে ২২ রান হলো মুশফিকের। বলের আর কখনো সৌভাগ্য হয়নি মুশফিকের ইনিংসে রানের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যায়!
৩৯তম ওভারে ম্যাকব্রাইনকে চার মারলেন, পরের ওভারে ক্যাম্ফারকে। কিন্তু তখনো যেন ‘হাত মকশো’ই করছেন মুশফিক। সে থেকে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ৪২তম আর ৪৭তম ওভার দুটিই শুধু মুশফিকের ব্যাট থেকে কোনো বাউন্ডারি দেখেনি। ওই দুই ওভারে মুশফিক বলই অবশ্য খেলতে পেরেছেন মাত্র তিনটি।
৪৩তম ওভারে অ্যাডায়ারকে দুই চার-এক ছক্কায় প্রথম আগ্রাসী রূপ দেখানো ইনিংসে, এর মধ্যে পঞ্চম বলে ছক্কাতেই ইনিংসে ফিফটি হয়ে গেল (৩৩ বলে)। এরপর আর পিছু ফিরে তাকায় কে! ৪৪তম ওভারে ক্যাম্ফারকে তিন চার, এর মধ্যে দ্বিতীয়টি তার পছন্দের স্কুপে। তার পরের ওভারে হিউমকে দুই চার, এখানেও দ্বিতীয়টি স্কুপে। ৪২ বলে ৭৪ হয়ে গেল মুশফিকের।
শুরু হয়ে গেল হিসেব-নিকেশ। কত বল বাকি, মুশফিকের সেঞ্চুরি হতে আর কত বাকি...। বাংলাদেশের হয়ে তো দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা সাকিব আল হাসানেরই, ২০০৯ সালের আগস্টে ৬৩ বলে সে সেঞ্চুরি এসেছে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তার দুই মাস পর মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৬৮ বলেও সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব।
মুশফিকের নিজেরও তো কাছাকাছি গতির একটা সেঞ্চুরি আছে! সেটি বরং একটু ‘তাজা’ স্মৃতি – ২০১৫ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুশফিক সেঞ্চুরি করেছিলেন ৬৯ বলে। কিন্তু আজ সেঞ্চুরি হলে অত বল যে লাগবে না, তা বোঝাই যাচ্ছিল। মুশফিক যে ‘মুডে’ ছিলেন।
৪৬তম ওভারে ক্যাম্ফারকে ‘মাত্র’ একটা চার মারলেন। পরের ওভারে হৃদয় আউট, মুশফিক সে ওভারে বলই খেলতে পেরেছেন মাত্র একটি, কোনো বাউন্ডারি তার ব্যাট থেকে এল না। লড়াই তখন বাকি থাকা ওভারের সঙ্গে মুশফিকের সেঞ্চুরি পাওয়া-না পাওয়ার হিসেবের। ৪৭তম ওভার শেষেও মুশফিকের রান ৪৭ বলে ৭৯। সেঞ্চুরি হবে তো? হলে যে তা দ্রুততম সেঞ্চুরিই হবে সেটা নিয়ে সংশয় বোধ হয় তেমন নেই। বাকি বল আছে ১৮টি, তার ১৫টির বেশি না লাগলেই হলো। আর ১৫ বল খেলতে পারলে মুশফিকের ২১ রান যে হয়ে যাবে তা বোঝাই যাচ্ছিল।
৪৮তম ওভারের প্রথম বলে হিউমকে চার মেরে মুশফিক কিছুটা সংশয় কমিয়ে দিলেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে ইয়াসির আলী মাত্রই নেমে ঠিক হৃদয়ের মতো করে তাল মেলাতে পারার কথা ছিল না, প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে তা না হওয়ায় সে ওভারে রান তেমন এল না, মুশফিকও দুই বল পেয়ে তাতে তুলে নিলেন দুই রান।
৪৯তম ওভারটা আবার অ্যাডায়ার করেছেন দারুণ। এতক্ষণ আইরিশদের হাফ ভলি আর খাটো লেংথ বলগুলোকে মুশফিক বাউন্ডারিতে আছড়ে ফেলেছেন ইচ্ছেমতো, অ্যাডায়ার ওই ওভারে ফুলার লেংথ আর ইয়র্কারে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেন মুশফিককে। ওভারে পাঁচ বল খেলেছেন মুশফিক, কিন্তু এক বাউন্ডারির বাইরে কোনো রানই নিতে পারেননি।
শেষ ওভারে সমীকরণ তখন এই – ৫৬ বলে ৯১ রান মুশফিকের। আর ৯ রান দরকার, তা পেয়ে গেলে রেকর্ড ভাঙা নিশ্চিত। ওভারের প্রথম বলে ইয়াসির আউট, দ্বিতীয় বলে তাসকিন নেমেই সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিককে স্ট্রাইকে দিলেন।
এবার হবে? আর ৪ বল আছে হাতে, রান লাগবে ৯...।
ওভারের তৃতীয় বলে ২ হলো, পরের বলে শর্ট থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত স্কুপে চার! সিলেটের গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস, তার চেয়েও বেশি চোখের সামনে রেকর্ড হতে দেখার সম্ভাবনায় ভরা রোমাঞ্চ। পরের বলে ফ্লিক করে দিয়েই ২ রান। ৯৯!
এক বল, এক রান...! উত্তেজনা!
হিউম করলেন লো ফুলটস, তা-ও মিডল আর লেগ স্টাম্পের মাঝে। ডিপ মিডউইকেটে সহজেই সেটিকে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল মুশফিকের। দুই হাত ছড়িয়ে, ব্যাট উঁচিয়ে উদ্যাপন করতে থাকা মুশফিকের হাসিমুখই বলে দিচ্ছিল এ আনন্দ অনির্বচনীয়। একই অনুভূতির অনুরণন সিলেটের গ্যালারিতেও।
রেকর্ড গড়ার আনন্দ এমনই তো হয়!
রেকর্ড আর রেকর্ড!
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভার। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ততক্ষণে আবারও নতুন করে লেখা হয়ে গেছে। সে কীর্তি গড়ার অন্যতম নায়ক মুশফিকুর রহিমের সামনে তখন দেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাতছানি। তার জন্য শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন মুশফিকের। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে দুই রান নিলেন মুশফিক। পরের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের নিচু ফুল টসে ব্যাটের মধুর সংযোগে বল সীমানাছাড়া। ইনিংসের শেষ দুই বলে যথাক্রমে ২ এবং ১ রান নিয়ে দেশের জার্সিতে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া হয়ে যায় তার। ৬০ বলে ঠিক ১০০* রান পূর্ণ করে মুশফিক যখন বীরের বেশে মাঠ ছাড়ছেন, স্কোরবোর্ডে তখন বাংলাদেশের রান দেখাচ্ছে ৬ উইকেটে ৩৪৯।
১৮৩ রানে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারা আইরিশদের সিরিজে ফিরতে হলে করতে হবে ঠিক ৩৫০ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে হয় বাংলাদেশকে। ফর্ম হাতড়ে বেড়ানো অধিনায়ক তামিম ইকবাল আরও একবার ভালো শুরুর পর ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন উইকেট। ব্যক্তিগত ২৩ রানে পড়েছেন রানআউটের ফাঁদে। লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশকে এনে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। তাদের ৯৬ বলে ১০১ রানের জুটিতেই আবারও রেকর্ড গড়ার স্বপ্নের শুরু।
লিটন-শান্ত দুজনই অবশ্য কাটা পড়েছেন ৭০-এর ঘরে। ব্যক্তিগত ৭০ রান যে ঢংয়ে অন সাইডে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন, সেটাকে উইকেট উপহার দেয়া বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না। ৭৭ বলে ৭৩ রান করা শান্ত আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। এই দুজনের মাঝে প্যাভিলিয়নের পথ ধরা সাকিব ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি।
১৯০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে রেকর্ড রানের দিকে এগিয়ে নিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা অবশ্য অভিজ্ঞ মুশফিকের সঙ্গে মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নাম তাওহীদ হৃদয়ের জুটির। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৭৮ বলে ১২৮ রানের বিস্ফোরক জুটিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিন শ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। এডেইরের বলে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক থেকে এক রান দূরে থাকা হৃদয় ফিরলেও মুশফিক ব্যক্তিগত এবং দলীয় রেকর্ড দুটি নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছাড়েন।
মুশফিকের ৬০ বলে করা রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ছিল ১৪টি চার এবং দুটি ছক্কার মার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে সাত হাজারি ক্লাবেও নাম উঠিয়েছেন বাংলাদেশের ‘লিটল মাস্টার’।
প্রথম টেস্টের মীমাংসা হতে শেষ দিনের শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল সবাইকে। দ্বিতীয় টেস্টে অত নাটকীয়তার ধার ধারেনি নিউজিল্যান্ড। একদিন বাকি থাকতেই শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ৫৮ রানে হারিয়েছে ওয়েলিংটনে।
ম্যাচ অবশ্য প্রথম দুইদিনেই একপেশে করে ফেলেছে স্বাগতিক দল। কেইন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৫৮০ করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে বিপদ ডেকে আনে শ্রীলঙ্কা।
দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য লড়েছে দলটি। অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নের ফিফটিতে ২ উইকেটে ১১৩ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা।
অবশ্য আজ দিনের প্রথম ওভারেই বিদায় নিয়েছেন কুশন মেন্ডিস (৫০)। ২ ওভার পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসও (২) ছুটি নিয়েছেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে লড়াই করেন দিনেশ চান্ডিমাল ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
১২৬ রানের জুটিটা থামে চান্ডিমালের (৬২) বিদায়ে। ধনঞ্জয়া অবশ্য হাল ছাড়েননি। নিশান মাদুশকাকে নিয়ে ৭৬ রানের আরেকটি জুটিতে দলকে ৩০০ পার করান। কিন্তু মাদুশকাও বিদায় নেন চা-বিরতির ঠিক আগমুহূর্ত।
বিরতি থেকে ফেরার পঞ্চম বলেই আবার ড্রেসিংরুমে ধনঞ্জয়া। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন। ৪০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনেই ম্যাচ শেষ করেছে লঙ্কানরা। টিম সাউদি ও ব্লেয়ারটিকনার ৩ উইকেট করে পেয়েছেন। ম্যাচসেরা অবশ্য মাত্র ২৪০ বলে ২০০ রান করে লঙ্কানদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়া নিকোলস।
প্রথম ম্যাচে টসে জিতেও ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি। সে সুযোগে বাংলাদেশ রেকর্ড সংগ্রহ পেয়েছিল। জিতেছিল রেকর্ড ব্যবধানে। তবু দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন বলবার্নি।
প্রথম ম্যাচের দল থেকে একটি পরিবর্তন করে আজ মাঠে নেমেছে দুই দল। মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রামে পাঠিয়ে আজ হাসান মাহমুদকে নামিয়েছে স্বাগতিক দল। সফরকারীরা লেগ স্পিনার গ্যারেথ ডেলানির বদলে নামিয়েছে অভিষিক্ত ম্যাথু হাম্ফ্রেসকে।
বাংলাদেশ দল:
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলী, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, ইবাদত হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ডের ক্রিকেট।
২০১৮ নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ওঠার পথে বাংলাদেশ দলে শব্দগুলো বেশ জোর আওয়াজ পেয়েছিল। তখন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চুক্তির মেয়াদ পূরণের আগে বাংলাদেশ দল ছেড়ে শ্রীলঙ্কা দলে যোগ দিয়েছিলেন, শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে সে নিদাহাস ট্রফিতে হাথুরুসিংহেকে দেখিয়ে দেয়ার একটা অনুচ্চারিত প্রত্যয় বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে হয়তো ছিলই। তা টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জেতার পর আওয়াজ পেয়েছিল বাংলাদেশ ব্র্যান্ড।
পাঁচ বছর পর হাথুরুসিংহে শ্রীলঙ্কা-নিউ সাউথ ওয়েলস ঘুরে আবার বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে। এসেই ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করিয়েছেন। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রেকর্ডে মোড়ানো অমন জয়। আবার ‘বাংলাদেশ ব্র্যান্ড’ শব্দগুলো আওয়াজ পেতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের কণ্ঠে যা গতকাল শোনা গেল। ঠিক সরাসরি বাংলাদেশ ব্র্যান্ড বলেননি, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সাকিব, তাওহীদ, মুশফিকরা যেভাবে আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন, তার প্রশংসায় হেরাথ বললেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আমাদের ক্রিকেটের ব্র্যান্ডটা দেখাচ্ছি। আশা করি, আগামীকালও (আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে) একই কাজ করতে পারব।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং আর শরীরী ভাষায় একটা নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন চোখে পড়েছে ঠিকই, যার জের ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও। ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডে তুলনা চলে না, তবু আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের (৩৩৮/৮) পর রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের (১৮৩) জয়ের রেকর্ডগুলো প্রথম ম্যাচকে ঘিরে উচ্ছ্বাস বাড়ায় ঠিকই।
তা একই ভেন্যুতে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে আইরিশরা নিশ্চয়ই ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে নামবে। নিজেদের দুর্বলতা কীভাবে ঢেকে রাখা যায়, বাংলাদেশকে কীভাবে একটু দমিয়ে রাখা যায়- সেসব যে আইরিশদের ‘থিংক ট্যাংকের’ ভাবনায় অগ্রাধিকার পাবে, তা বুঝতে আইনস্টাইন হতে হয় না। তবে হেরাথ এসব নিয়ে ভাবছেন না, ‘ওরা একটা পরিকল্পনা নিয়ে নামবে। কিন্তু এসব তো আর আমাদের হাতে নেই। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা নিয়েই এগোব।’
তা পরিকল্পনা তো উইকেটের ওপরই অনেকটা নির্ভর করবে, কিন্তু আজ দ্বিতীয় ওয়ানডের উইকেটটা হবে কেমন? প্রথম ওয়ানডের মতোই, নাকি কোনো বদল আসবে? গতকাল ৪৫তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা হেরাথ এসবেও নির্বিকার, ‘জানি না কোন ধরনের উইকেট পাব। আর বিশেষ করে বিশ্বকাপ যখন সামনে, আমাদের যেকোনো উইকেটের জন্যই প্রস্তুত হতে হবে। (প্রথম ওয়ানডের পিচে) স্পিনারদের জন্য খুব বেশি কিছু ছিল না, তবু আমরা ভালো বোলিং করেছি।’
প্রথম ওয়ানডেতে নাসুম আহমেদকে একাদশে রেখেছে বাংলাদেশ, ৮ ওভারে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও দলে জায়গার দাবি জানিয়ে রেখেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাইজুল ইসলামের জায়গা পাওয়ার পর ‘নাসুম নাকি তাইজুল’ প্রশ্নটা তো বাংলাদেশের ক্রিকেটে ধীরে ধীরে বড় হয়ে দেখা দিচ্ছেই। এ নিয়েও অবশ্য হেরাথের ব্যাখ্যা আছে এবং তা যুক্তিযুক্ত, ‘তাইজুল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ভালো করেছে। এখন আমরা নাসুমকে সুযোগ দিচ্ছি। বিশ্বকাপের আগে আমরা স্কোয়াডটা বড় করে দেখছি।’
স্পিনারদের পাশাপাশি বাংলাদেশের পেস বোলিংও গত কিছুদিনে বেশ মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। তাসকিন তো বছর দেড়েক ধরেই দারুণ করছেন, মোস্তাফিজের ঝলক দেখা গেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে। হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেনরা সুযোগ পেলে তা নেয়ার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে তৃপ্তি আছে হেরাথেরও, ‘পেসারদের দেখে অনুপ্রাণিত হই আমরা। এই মুহূর্তে বেশ ভালো একটা পেস বোলিং বিভাগ আছে আমাদের।’
তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
‘অস্ট্রেলিয়া, তোমরা আমাদের সন্ধ্যাবেলার পরিকল্পনাই মাটি করে দিলে!’
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে এক ভারতীয় সমর্থকের কপট রাগ। ১০০ ওভারের ম্যাচের মধ্যে ৭৩ ওভারই বাকি! ভিশাখাপত্তনমে স্টেডিয়ামে যাওয়া দর্শকের পয়সা উশুল তো হলোই না, টিভিতে ম্যাচ দেখা দর্শকেরও এখন সন্ধ্যায় কী করবেন সে পরিকল্পনা নতুন করে করতে হবে।
ভারত ২৬ ওভারে অলআউট, অস্ট্রেলিয়া জিতে গেল ৩৯ ওভার বাকি রেখে। আর ২৩৪ বল বাকি রেখে যে জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া, এর চেয়ে বেশি বল বাকি থাকা অবস্থায় আর কোনো দলের কাছে ওয়ানডেতে কখনো হারেনি ভারত! ভিশাখাপত্তনমে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোহিত-কোহলিদের একের পর এক লজ্জার রেকর্ডে ভাসিয়ে ১০ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
মাত্র ১১৭ রানে ভারত অলআউট – অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর। রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার – মিচেল স্টার্ক, শন অ্যাবট ও ন্যাথান এলিস। বিশেষ করে স্টার্ক। প্রথম ওয়ানডেতে ভারত কষ্টেসৃষ্টে জিতলেও সেদিন অনেকদিন পর স্টার্কের বলে পুরোনো ঝাঁঝ দেখা গেছে, ভিশাখাপত্তনমে আজ বাঁহাতি অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার মনে করিয়ে দিলেন, কেন তিনি গত কয়েক বছরের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন।
ওয়ানডেতে নবমবারের মতো ম্যাচে ৫ উইকেট স্টার্কের – সে পথে ৮ ওভারে তার খরচ অবশ্য ৫৩ রান। তবে এই পাঁচ উইকেটের চারটিতেই শিকার কোহলি বাদে ভারতের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের বাকি চারজন। স্টার্ক ভারতের টপ অর্ডার গুঁড়িয়েছেন, অ্যাবট দায়িত্ব নিয়েছেন লোয়ার অর্ডারের – ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। কোহলির উইকেটটিসহ বাকি দুই উইকেট এলিসের।
৩৫ বলে ৩১ রান করা কোহলিই ভারতের সর্বোচ্চ স্কোরার, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অক্ষর প্যাটেলের – ২৯ রানে অপরাজিত। এর বাইরে ভারতের ইনিংসে তিন অঙ্ক আছে তিনটি নামের পাশে, এর দুজন ব্যাটসম্যান – রোহিত শর্মা (১৩) ও রবীন্দ্র জাদেজা (১৬)। বাকি দুই অঙ্কের স্কোর অতিরিক্ত রানের (১৪)।
আগের ম্যাচে ভারত ১৮৮ রানে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে জিতেছিল ৫ উইকেটে, যদিও সেদিন ভারতের ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ৩৯ রানেই। আজ অস্ট্রেলিয়া আর সে সুযোগ দেয়ইনি। বরং বলা ভালো, দুই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ আইপিএলের জন্য ব্যাটিং প্র্যাকটিস করেছেন! ওভারপ্রতি ১১ করে রান নিয়ে ১১ ওভারেই হিসেবনিকেশ চুকিয়ে দিয়েছেন, সে পথে ঝোড়ো ফিফটি দুজনেরই।
ছক্কাগুলো সব মার্শের – হার্দিক পান্ডিয়ার এক ওভারে তিন ছক্কাসহ তার ৩৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে ৬টি ছক্কা। চারের মার বেশি ছিল হেডের ইনিংসে – ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংসে চার ১০টি, মার্শের ইনিংসে চার ৬টি।
প্রথম ইনিংসেই রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান ওয়ানডেতে শুধু দেশের মাটিতেই নয়, সব ভেন্যু মিলিয়েই সর্বোচ্চ স্কোর বাংলাদেশের। সে রান তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ১৯.১ ওভার আগেই গুটিয়ে গেছে ১৫৫ রানে। ১৮৩ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় এটি। আগের রেকর্ডটি ছিল ১৬৯ রানের, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেটিও সিলেটে, ২০২০ সালে।
আয়ারল্যান্ডকে গুড়িয়ে দিতে অবদান রেখেছেন ইবাদত হোসেন ও নাসুম আহমেদ।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা সে অর্থে ভালো হয়নি বাংলাদেশের। জ্বর থেকে সুস্থ হলেও রান পাননি তামিম। ৩ রানে ফেরেন অধিনায়ক। আরেক ওপেনার লিটন দাস ও তিনে নামা শান্ত থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান তোলা বাংলাদেশ ৮১ রানে হারায় ৩ উইকেট।
লিটন ২৬ ও শান্ত ২৫ করে আউট হওয়ার পর চতুর্থ উইকেটে ১৩৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে টেনে তোলেন সাকিব-হৃদয় জুটি। শুরুতে দেখেশুনে খেলা দুই ব্যাটসম্যান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলে খেলেন। তবে দুজনই কাটা পড়েন ‘নার্ভাস নাইন্টিজে’। নয়টি চারে ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৩ রান সাকিবের। ৯২ রানে ফেরেন হৃদয়। যেখানে আটটি চারের সঙ্গে দুটি ছয়। এমন ব্যাটিংয়ে অভিষেকে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন হৃদয়।
প্রায় ছয় বছর পর ব্যাটিং লাইনআপে পাঁচের নিচে খেলে তাণ্ডব চালান মুশফিক। তার ২৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে চেপেই রেকর্ড স্পর্শ করে বাংলাদেশ। সেটি টপকানো সাধ্য হয়নি আয়ারল্যান্ডের। তবে বোলারদের আগলে রেখে বলবার্নি দুষলেন নিজেদের ব্যাটিং বিভাগকে, ‘আমরা নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি এবং জুটি গড়তে ব্যর্থ হয়েছি।’
শুরুটা বাংলাদেশের থেকে অনেক ভালো পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে সফরকারীরা তোলে ৫১ রান। স্টিফেন ডোহানিকে ফিরিয়ে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব। এরপর তাসের ঘরে পরিণত হয় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। পরের ১৬ রানে হারায় আরও চার ব্যাটসম্যানকে। ৭৬ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আইরিশরা।
পরের অংশটুকু পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চ্যালেঞ্জ। সেখানেও তাদের খুব বেশি সফল হতে দেননি নাসুম-ইবাদতরা। ১৫৫ রানে থামে সফরকারীর দৌড়। ইবাদত ৪২ রানে ৪ ও নাসুম ৪৩ রানে নেন ৩ উইকেট। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে বাংলাদেশ।