সিলেটে ওয়ানডেতে শতভাগ জয় বাংলাদেশের। জিতেছে চার ম্যাচ সবগুলো। প্রায় তিন বছর পর সেখানে ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন তামিম ইকবালরা। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান বাংলাদেশের। যা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তো বটেই, নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসেই সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল ৩৩৩, ২০১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
বাংলাদেশের দলীয় রেকর্ডের দিনে ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েছেন সাকিব আল হাসান (৯৩) ও তৌহিদ হৃদয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৭০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানোডে ৭০০০ রান ও ৩০০ উইকেটের ডাবলের ক্লাবে নাম লেখান বাঁহাতি অলরাউন্ডার। একই সঙ্গে অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়(৯২)।
সাকিব-হৃদয় দুজনই অবশ্য ফিরেছেন সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে। সাকিব ৯ চারে ৮৯ বলে ৯৩ ও হৃদয় ৮টি চার ও ২টি ছয়ে ৮৫ বলে আউট হন ৯২ রানে। এই প্রথম একই ম্যাচে বাংলাদেশের দুজন ব্যাটসম্যান নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। ৩টি করে চার-ছয়ে ২৬ বলে ৪৪ করেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
তবে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদশের। অধিনায়ক তামিম ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৩ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি গড়লেও বড় করতে পারেননি। দুজনই থিতু হয়েও ফিরেছেন। লিটন ২৬ ও শান্ত করেন ২৫ রান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৩৫ রানের জুটি সাকিব-হৃদয়ের। শুরুতে দেখেশুনে খেললেও পরে ব্যাট চালান তারা। দুজনই ফেরেন শতকের কাছে গিয়ে।
ছয়ে নেমে ১৭০ প্রায় স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে বাংলাদেশকে তিন শ রানের পথে রাখেন মুশফিক। শেষ দিকে ইয়াসির আলী রাব্বি (১৭), তাসকিন আহমেদ (১১) ও নাসুম আহমেদের (১১*) ছোট কিন্তু কার্যকারী ইনিংসে রেকর্ড সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
তাসকিন আহমেদের ইয়র্কারে উড়ে গেল উইকেটের বেল। লরকান টাকার পেছনে না তাকিয়ে সোজা হাঁটা ধরলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের দিকে ঘুরে গেল সম্প্রচার ক্যামেরা, নিজের চেয়ারে নড়েচড়ে বসলেন ডোনাল্ড। কোচের এই নড়েচড়ে বসার কারণ বোঝা গেল খানিক পর। তাসকিন সে ওভারে ফেরালেন পল স্টার্লিং ও জর্জ ডকরেলকে। এরপর নেন হ্যারি টেক্টরের উইকেট।
ডানা মেলে উড়লেন তাসকিন, ওড়ালেন বাংলাদেশকে। ২ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং তার। তাতে আয়ারল্যান্ডকে সহজেই হারানো গেল কাল চট্টগ্রামে।
বৃষ্টি নামার আগে রনি তালুকদারের ঝোড়ো ফিফটিতে ২০৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টিতে ৮ ওভারে নেমে আসা ইনিংসে আইরিশদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৪ রান। চট্টগ্রামের মরা উইকেটে রান আটকানো সহজ নয়, তার মধ্যে প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান তুলে ফেলে আয়ারল্যান্ড।
কিন্তু তাসকিন আহমেদের তখনো বোলিংয়ে আসা বাকি!
তৃতীয় ওভারে হাসান মাহমুদ ভাঙলেন আইরিশ ওপেনিং জুটি। চতুর্থ ওভারে এসে তাসকিন বোঝালেন, তিনি কেন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের নেতা। ম্যাচ হারলেও তাসকিনকে প্রাপ্ত প্রশংসা দিতে ভুল করেননি আইরিশ অধিনায়ক স্টার্লিং, ‘আমি অনেক দিন ধরে তাসকিনকে দেখছি। প্রতিবারই তাসকিনকে যখন দেখেছি, দেখেছি যে সে আগের চেয়ে অনেক অনেক উন্নতি করেছে। তার গতি বেড়েছে। আগ্রাসী মনোভাব বেড়েছে। তার বিপক্ষে খেলা সত্যিই কঠিন।’
এর পেছনের কারণ কী? তাসকিন কৃতিত্বটা বিলিয়ে দিলেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড আর সতীর্থ পেসারদের মধ্যে, ‘আমাদের স্বাধীনভাবে ক্রিকেট খেলতে বলা হচ্ছে। সবাই সবাইকে সমর্থন দিচ্ছে। সব সংস্করণেই আমাদের ভুলগুলো আগের চেয়ে কমে আসছে। আমাদের শেখার পাঠটা খুব দারুণ যাচ্ছে এবং আমরাও শিখতে আগ্রহী।’
তাসকিনের এক ওভারে বদলে যায় ম্যাচের গতিপথ। যদিও হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। সে নিয়ে ছিটেফোঁটা আক্ষেপ দেখা গেল না তাসকিনের। তার স্বপ্ন অনেক উঁচুতে। তবে একা নন, সতীর্থদের সঙ্গে নিয়েই যেতে চান তিনি।
তাসকিন বলেন, ‘যেহেতু আমাদেরও স্বপ্ন বিশ্বকাপে আমরা সেরা দল হব, সেই পদ্ধতি অনুযায়ীই আমরা ক্রিকেট খেলছি ও এগোচ্ছি। ইউনিট হিসেবে যদি সবাই বিশ্বমানের বোলার হতে পারি, তাহলে এই ইউনিটকে সামলাতে একটু সমস্যা হবেই। বড় বড় দলগুলোতে কিন্তু একজন না, চার-পাঁচজন বিশ্বমানের বোলার থাকে। আমরাও চাচ্ছি আমাদের ওরকম হোক।’
সে কারণেই মোস্তাফিজ-হাসান-ইবাদতদের সঙ্গে তাসকিনের সম্পর্কটাও অন্যরকম আন্তরিকতার। তাসকিনের কণ্ঠেই যা বোঝা গেল, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমিই। আমরা ফাস্ট বোলাররা সবাই ভাই-ভাই, পরিবারের মতো, একে অপরকে সাহায্য করি। আমরা সবাই সবার ভালো চাই।’
৩২ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক, প্রথম ম্যাচসেরাও। তবে স্বীকৃতির পুরস্কার নিজ হাতে নিতে পারেননি রনি তালুকদার। ফিল্ডিং করার সময় কাঁধে পাওয়া চোটের কারণে থাকতে পারেননি পুরস্কার বিতরণীর সময়। রনির হয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার গ্রহণ করেন সাকিব আল হাসান। নিজ হাতে পুরস্কার নিতে না পারার আক্ষেপ ভুলে অর্জনের দিনে প্রয়াত বাবাকে স্মরণ করেন রনি। ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বাবা তোমাকে অনেক মনে পড়ছে। আমি জানি তুমি ওপর থেকে আমাদের দেখছ।’
আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ওপর কাল একদমই নির্দয় ছিলেন রনি। মার্ক এডেয়ার, ক্রেইগ ইয়াংদের ব্যাট হাতে কচুকাটা করেছেন, ২৪ বলে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। যেটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক।
একসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথ ভুলে যাওয়া রনি বিপিএল দিয়ে আবার আলোচনায় এসেছেন। প্রায় আট বছর পর ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রত্যাবর্তন। তবে ইংল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পেয়ে উল্লেখ করার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। তিন ম্যাচে ওপেন করে ১০৮ স্ট্রাইক রেটে ৫৪ রান। তবু রনির ব্যাটিং ধরন নিয়ে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, ‘আমাকে ও দারুণভাবে মুগ্ধ করেছে।’
কাল চট্টগ্রামে সবাইকে মুগ্ধ করার মতোই ইনিংস খেললেন রনি। পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ইনিংস পেয়ে গেলেন ফিফটি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লিটনের সঙ্গে ৯১ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন রনি। সেটাও স্রেফ ৪৩ বলে। রনি যখন আউট হন, তখন ১৭৬.৩২ স্ট্রাইক রেটে ৩৮ বলে নামের পাশে ৬৭ রান। যেখানে সাতটি চারের সঙ্গে তিনটি ছয়।
এমন শুরু এনে দেয়া ওপেনারকেই তো চেয়েছিল বাংলাদেশ।
‘প্রাপ্তি কোনো জাদুবলে হয় না। হয় পরিশ্রমের কারণে, আপনার কী পছন্দ এবং তার পেছনে আপনি কতটা লেগে থাকছেন- তার কারণে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার কথার সঙ্গে মেলাতে পারেন বর্তমানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে। বিশেষ করে পেস বোলিং বিভাগ। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেনরা সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠছেন, প্রতিদিন নতুন করে চেনাচ্ছেন নিজেদের, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশকে।
কিন্তু এই বদলের পেছনের কারিগর কারা? তাদের চেনাও তো জরুরি!
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ দলের কোচ হয়ে আসার পর থেকে বদলের হাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটে। পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান যে দুটি ক্ষেত্রে- আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের বাইরে অন্যটি পেস বোলিং বিভাগে। রাসেল ডমিঙ্গো যেখানে শুধু জাতীয় দলের আশপাশে থাকা পেসারদের খোঁজখবর রাখতেন, সেখানে হাথুরুসিংহে গোটা পেস বিভাগের ‘পুল’ নিয়ে ভাবছেন।
বাংলাদেশের পেস বিভাগের এমন সাফল্য আর পরিবর্তনের পেছনে পরিশ্রম যে আছে, তার প্রমাণ তো তাসকিনের এমন দুর্দান্ত ছন্দে এবং তার চেয়েও বড় কথা- দুর্দান্ত ফিটনেসে ফেরা। পেসাররা এখন আগের থেকে বেশি ফিটনেস-সচেতন। বাড়তি কাজ করতে গিয়ে এখানে-সেখানে চোটের সংখ্যা বাড়ছে, যে জন্য সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হচ্ছে ফিজিও-ট্রেনার ও বিশেষ করে বিসিবির মেডিকেল বিভাগকে। তবু বদলে যাওয়া বাংলাদেশের আড়ালে রয়ে যান তারা।
৭-৪-২। আইসিসির বেঁধে দেয়া নিয়মে সপ্তাহে একজন পেসার চার দিনের বেশি বল করতে পারবেন না। যেখানে সর্বোচ্চ টানা দুই দিন হাত ঘোরানো যাবে। ম্যাচ-অনুশীলন মিলিয়ে পেসাররা বল করতে পারবেন ৩২-৩৪ ওভার। বাংলাদেশের পেসারদের ‘ওয়ার্কলোড’ নিয়ন্ত্রণে রাখার এই দায়িত্ব মেডিকেল বিভাগের।
বিসিবির মেডিকেল বিভাগের চিকিৎসক মনজুর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করা না গেলে পেসারদের ইনজুরির প্রবণতা বেড়ে যায়। আমরা ধরে নিচ্ছি, একজন পেসার সপ্তাহে তিনটি ওয়ানডেতে ৩০ ওভার বল করলেন। বাকি অনুশীলনে সে বোলার সর্বোচ্চ ৩-৪ ওভার বল করতে পারবেন। যদি কোনো কারণে সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে পরের সপ্তাহে তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়।’
পেসারদের ওয়ার্কলোড কতটা হচ্ছে, সে হিসাব বের করার জন্য বিশেষ এক ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে মেডিকেল বিভাগ। যেখানে লাল, হলুদ ও সবুজ রং দিয়ে পেসারদের ফিটনেসের পরিমাপ করা হয়। ফিজিও-ট্রেনারদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কোনো পেসারের নাম লাল ঘরে এসে গেলেই তাকে নিয়ে আলাদা কাজ করে মেডিকেল বিভাগ।
পেস বোলিং বিভাগে পেসারদের তালিকা এখন বেশ লম্বা। কেউই নিজের জায়গা ছাড়তে চান না। সে কারণেই সংশয় জাগে, এখানে চোট লুকিয়ে খেলার প্রশ্ন আসে না তো! মনজুর বলেন, ‘জাতীয় দলে চোট লুকিয়ে খেলার সুযোগ নেই। কাউকে নিয়ে সংশয় থাকলে তাকে ফিটনেস টেস্ট দিয়ে তারপর খেলতে হয়।’
বিসিবি পেসারদের ফিটনেস নিয়ে কতটা সচেতন তার একটি মজার তথ্য দিলেন মনজুর, ‘কোনো ক্রিকেটার যদি ভুল করেও কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে ফেলেন, সেটার শান্তি হিসেবে তাকে কয়েক রাউন্ড দৌড়াতে হয়।’ ফিটনেস-সচেতন পেসাররা এখন ভুল করেও ভুল খাবারে মুখ তোলেন না বলেই জানালেন এই চিকিৎসক। সঙ্গে চলে কঠোর পরিশ্রম।
ব্যস, সাফল্যের রেসিপি তো হয়েই গেল!
একটি নয়, বাংলাদেশের ফুটবলে আজ দুটি ম্যাচ। কমলাপুরে বাংলাদেশের মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ দল নামবে নেপালের মেয়েদের বিপক্ষে, এর কিছুক্ষণ পরই সিলেটে বাংলাদেশের ছেলেদের জাতীয় দল নামবে সিশেলসের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। এর মধ্যে মেয়েদের ম্যাচটি দেখা যাবে ইউটিউবে, ছেলেদের ম্যাচটি টি-স্পোর্টসের টিভির পাশাপাশি ইউটিউবেও।
এর বাইরে ইউরো বাছাইপর্বের ম্যাচ তো আছেই, ক্রিকেটে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের অমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর সিরিজটা নিয়েও যে বাড়তি আকর্ষণ থাকবে, তা আর বলতে!
সব মিলিয়ে আজ টিভিতে কিংবা ইউটিউবে কোন চ্যানেলে কোন খেলা, তা একবার চোখ বুলিয়ে নিন...
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট
আবাহনী-রূপগঞ্জ টাইগার্স
ব্রাদার্স-অগ্রণী ব্যাংক
সিটি ক্লাব-ঢাকা লেপার্ডস
সকাল ৯টা, ইউটিউব/bcbtigercricket
দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি
রাত ১০টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১
অ-১৭ মেয়েদের সাফ
বাংলাদেশ-নেপাল
বেলা ৩টা ১৫মি, ইউটিউব/Sportzworkz
রাশিয়া-ভারত
সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মি., ইউটিউব/Sportzworkz
প্রীতি ম্যাচ
বাংলাদেশ-সিশেলস
বেলা ৩টা ৪৫মি., টি স্পোর্টস, ইউটিউব/@bff.football
ইউরো ২০২৪ বাছাই
জর্জিয়া-নরওয়ে
রাত ১০টা, সনি স্পোর্টস টেন ২
স্কটল্যান্ড-স্পেন
রাত ১২টা ৪৫ মি., সনি স্পোর্টস টেন ২
তুরস্ক-ক্রোয়েশিয়া
রাত ১২টা ৪৫ মি., সনি স্পোর্টস টেন ১
সুইজারল্যান্ড-ইসরায়েল
রাত ১২টা ৪৫ মি., সনি স্পোর্টস টেন ৫
প্রীতি ম্যাচ
জার্মানি-বেলজিয়াম
রাত ১২টা ৪৫ মি., সনি স্পোর্টস টেন ৩
সেঞ্চুরিয়নে কাল যা হলো, সেটাকে কী বলবেন? পাগলামি? সম্ভবত তা-ই বলতে হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে করল ২৫৮ রান, দক্ষিণ আফ্রিকা তা পেরিয়ে গেল ৭ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে। প্রসঙ্গত, ম্যাচটা টি-টোয়েন্টি! একের পর এক রেকর্ড চুরমার যে হয়ে গেছে, তা আর বলতে!
তা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশকেও নাকি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার অমন ইনিংস। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তা-ই বললেন তাসকিন।
বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রানের দেখা হয়েই যেত বলে ধারণা সম্ভবত দেশের সকল ক্রিকেটপ্রেমীর। তবে তা না হলেও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান করা প্রথম দল ঠিকই বনে গেল বাংলাদেশ।
সে পথে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দুই ওপেনার লিটন দাস আর রনি তালুকদারের। ৪৩ বলে ৯১ রানের জুটির পথে পাওয়ার প্লে-তেই বাংলাদেশ তোলে ৮১ রান। টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এটি।
তা নিয়ে তাসকিন ম্যাচ শেষে বললেন, ‘খুবই ভালো লাগছিল (ব্যাটিং দেখে)। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার খেলায় ৬ ওভারে ১০০ রান দেখে আমরা ভাবছিলাম, এ রকম কিছু হতে যাচ্ছে নাকি! লিটন আউট হয়ে আসার পর ওকে বললাম, ‘কিরে তুই কি কালকের ম্যাচ দেখে এরকম পিটাচ্ছিলি?’ ও বলে, ‘হ্যাঁ, ওরা পারলে আমিও পারব।’
এমন ব্যাটিং নিয়ে তাসকিনের তৃপ্তি, ‘এটাই ইতিবাচক দিক, আমরা সবাই উপভোগ করছিলাম। এরকম ব্র্যান্ড অব ক্রিকেট খেলতে থাকলে অনেক ভালো হবে।’
নতুন পরিকল্পনা, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার আভাস – টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে আইরিশ ক্রিকেটার, কোচদের মুখে নতুন শুরুর প্রত্যয় উচ্চারিত হয়েছিল। তবে মাঠে নামতেই যে লাউ সে কদু। ওয়ানডে সিরিজের সেই শীর্ণকায় আয়ারল্যান্ডের দেখা মিলল টি-টোয়েন্টিতেও। বৃষ্টিবাধাও হতে পারল না আইরিশদের ত্রাতা। রনি-লিটনদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর তাসকিন আহমেদের আগুনঝরা বোলিংয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ডিএলএস পদ্ধতিতে ২২ রানে হেরে গেল আয়ারল্যান্ড।
ওয়ানডের মতো প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও টস ভাগ্য পক্ষে ছিল সফরকারীদের। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি সিরিজে আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিং। তবে এবারও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে হাড়গোড় বেরিয়ে যায় আইরিশ বোলারদের। তাদের ছাতু বানিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন রনি তালুকদার (৬৭)।
বিস্ফোরক ব্যাটিং করেছেন লিটন দাস (৪৭) এবং চারে নামা শামিম হোসেনও (৩০)। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান দেখল চট্টগ্রাম। নির্ধারিত ২০ ওভারের ৪ বল আগে বৃষ্টিতে খেলা থেমে গেলেও বাংলাদেশ করেছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে তাঁদের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর, ৫ উইকেটে ২০৭ রান।
বৃষ্টির কারণে খেলা প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আয়ারল্যান্ডের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ ওভারে ১০৪ রান। কঠিন লক্ষ্য হলেও আইরিশরা শুরুটা মন্দ করেনি। দুই ওপেনার স্টার্লিং এবং এডেয়ার হাত খুলে ব্যাট করলে ২ ওভারেই ৩২ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। তৃতীয় ওভারে এডেয়ারের (১৩) স্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে আইরিশ ঝড় থামান হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে আইরিশদের রান তাড়ার ক্ষীণ সম্ভাবনাও নস্যাৎ করে দেন তাসকিন।
শেষ পর্যন্ত ২ ওভার বোলিং করে ১৬ রানে ৪ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই ডানহাতি পেসার। তার আগুনে বোলিংয়ে ৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৮১ রানের বেশি তুলতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ৭ চার এবং ৩ ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ওপেনার রনি তালুকদার।
০, ০, ০, ০ – শেষ চার টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আব্দুল্লাহ শফিকের স্কোর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা চার ম্যাচে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান এখন তিনি।
আফগানিস্তানের সঙ্গে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচে কোনো রান আসেনি শফিকের ব্যাট থেকে। রবিবার রাতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বলেই আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েও হয়নি শেষরক্ষা।
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন শফিক। চলমান সিরিজের আগে পাকিস্তানের জার্সিতে মোটে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন, যার সর্বশেষ দুটি ছিল ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সে দুই ম্যাচে দুটি করে বল খেললেও রানের খাতা খোলা হয়নি তার।
Last four T20I inns of Abdullah Shafique
— Cricket Pakistan (@cricketpakcompk) March 26, 2023
0 (1) vs AFG
0 (2) vs AFG
0 (2) vs NZ
0 (2) vs NZ#AFGvPAK pic.twitter.com/ZolaJddWEL
আফগানদের বিপক্ষে শফিকের দুঃস্বপ্নের সিরিজে মাথা কুটে মরছে তার দল পাকিস্তানও। এই প্রথম যে প্রতিবেশি আফগানিস্তানের টানা দুই টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ খোয়াতে হয়েছে তাদের।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
বৃষ্টি এসে ঝামেলা পাকিয়ে দিল। ১৯.২ ওভারেই ৫ উইকেটে ২০৭ রান করে ফেলেছিল বাংলাদেশ, আর চার বলে কোথায় যেত কে জানে! চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগ্রাসনই ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের স্লোগান।
কিন্তু বৃষ্টিতে এরপর খেলা থেমে যায়। এখন নতুন খবর এসেছে, বৃষ্টি শেষে আবার খেলা শুরু হবে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের আর সুযোগ নেই। বরং আয়ারল্যান্ডের জন্য নতুন লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে - ৮ ওভারে ১০৪ রান। খেলা শুরু হবে ৫টা ৪০ মিনিটে।
বৃষ্টি নামার আগে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ ঝড় উঠেছিল। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস জিতেও বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আয়ারল্যান্ড। ফল? দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার মিলে পাওয়ার প্লে-তেই এনে দেন বাংলাদেশের রেকর্ড ৮১ রান। অষ্টম ওভারে লিটন (২৩ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭) আউট হয়ে গেলেও রনির ঝড় অব্যাহত ছিল। ২৪ বলে ফিফটি পাওয়া রনি ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করে যখন আউট হচ্ছেন, ১৪তম ওভারেই ততক্ষণে দলের রান ১৫৪। বাংলাদেশের ইনিংস এরপর গতি হারিয়েছে।
শামীম পাটোয়ারী (৩০) ও সাকিব আল হাসানের (২০*) ছোট ইনিংস দুই শ পার করিয়ে দেয়। ১৯ ওভার ২ বলে ২০৭ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশের ইনিংস ওখানেই শেষ হয়।
জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আজ ঝড় উঠেছিল। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আয়ারল্যান্ড। সে আমন্ত্রণ দুহাতে লুফে নিয়েছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের রেকর্ড ৮১ রান তুলেছেন দুজন।
শুরুর সে ঝড় পরে স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল একটু। অষ্টম ওভারে লিটন আউট হয়ে যান ৪৭ রানে। ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারা লিটনের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত একটু ধীরগতিতে এগিয়েছেন। রনি অবশ্য ২৪ বলে ফিফটি পেয়ে গেছেন। পরে ১৪তম ওভারে দলকে ১৫৪ রানে রেখে ফিরেছেন তিনিও। ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করা রনি ফেরার পর বাংলাদেশ ইনিংসের গতি হারিয়েছে।
শামীম পাটোয়ারী (৩০) ও সাকিব আল হাসানের (২০*) ছোট ইনিংস দুই শ পার করিয়ে দেয়। ১৯ ওভার ২ বলে ২০৭ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশের ইনিংস ওখানেই শেষ হয়।
চট্টগ্রামে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
ওয়ানডে সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল সফরকারীরা। সিলেটে সে আমন্ত্রণে দুই ম্যাচেই ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ স্কোরের রেকর্ড নতুন করে লিখেছে বাংলাদেশ। আজ জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামের উইকেটও ব্যাটিং সহায়ক বলে জানা গেছে। আজও কি তেমন কিছু হবে?
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল নির্বাচনে খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষায় যায়নি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দলে থাকা তানভীর ইসলাম নেই আজ। তবে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের অভিষেক হচ্ছে না আজ। তানভীরে জায়গায় ঢুকেছেন নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ দল: লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড দল: পল স্টার্লিং, রস অ্যাডেইর, লরকান টাকার, হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্পফের, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডেইর, ক্রেইগ ইয়ং, গ্রাহাম হিউম, বেন হোয়াইট।
চোটের কারণে মাঝে কিছুদিন খেলতে পারেননি রবীন্দ্র জাদেজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার আগে তাই ছন্দ ফেরাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে হাত ঘুরিয়েছেন। বুদ্ধিটা দুর্দান্ত কাজে লেগেছে তার। চোট থেকে ফেরার পর থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে জাদেজা। ভারতকে একের পর এক ম্যাচ জেতাচ্ছেন– কখনো ব্যাটে, কখনো বলে। সে পুরস্কার মিলল কাল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে শীর্ষ স্তরে নাম উঠেছে তার।
এতদিন ‘এ+’ ক্যাটাগরিতে শুধু রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও যশপ্রীত বুমরা ছিলেন। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ক্যাটাগরিতে জাদেজাও বেতন পাবেন। চুক্তি অনুযায়ী ‘এ+’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়েরা বার্ষিক ৭ কোটি রুপি পান। গত বছরের চুক্তিতে এ ক্যাটগরিতে ৫ কোটি রুপি বেতন পেতেন জাদেজা।
বেতন বৃদ্ধিতে অবশ্য হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। হঠাৎ করেই সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন পান্ডিয়া। রোহিত শর্মার বিশ্রামের সুবাদে অধিনায়কত্ব পেয়ে দারুণ করছেন এই অলরাউন্ডার। সে সুবাদে গত চুক্তিতে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা পান্ডিয়া এবার ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ঢুকে পড়েছেন। অর্থাৎ বার্ষিক ১ কোটি রুপি এবার থেকে ৫ কোটি রুপি হয়ে যাচ্ছে তার। বাংলাদেশি মূল্যমানে ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার।
অক্ষর প্যাটেলও নতুন করে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ঢুকেছেন। আগের চুক্তিতে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। গত বছরের চুক্তিতে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ শামি ও ঋষভ পন্ত।
ওদিকে গত কিছুদিন ফর্ম নিয়ে ভোগা লোকেশ রাহুল ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে বাদ পড়ে চলে গেছেন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। সেখানে তার সঙ্গী চেতশ্বর পূজারা, শ্রেয়াস আইয়ার, মোহাম্মদ সিরাজ, সূর্যকুমার যাদব ও শুবমান গিল। এদের মধ্যে যাদব ও গিল ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে উঠে এসেছেন। ওদিকে শার্দুল ঠাকুর নেমেছেন ‘সি’তে। আর নতুন করে ছয়জন ক্রিকেটার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ঢুকেছেন এবার।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ বলে ৩৮ রান করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন মোহাম্মদ নবী। গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আফগানদের দুই সর্বোচ্চ স্কোরার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৪৪) ও ইব্রাহিম জাদরানের (৩৮) স্ট্রাইকরেট এক শর নিচে।
কিন্তু দুই ম্যাচেই ভাগ্য গড়ে দিল এমন ইনিংসগুলো। সে সুবাদে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো হারানোর পর সিরিজ জেতারও স্বাদ পেল আফগানিস্তান। কাল শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হারের পর পাকিস্তানের মানুষদের বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানদের কথা মনে করে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শাদাব খান।
টি-টোয়েন্টি গত তিন বছর ধরে অবিশ্বাস্য ধারায় রান নিচ্ছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার, গড়টাও তাদের অবিশ্বাস্য। কিন্তু তাদের স্ট্রাইকরেট আধুনিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে যায় না। পাওয়ার প্লেতে টুক টুক করে রান তোলার ধরণটাও পছন্দ হয় না অনেকের। এজন্য প্রচুর সমালোচনাও হয় তাদের। কিন্তু শারজার কঠিন উইকেটে তাদের প্রয়োজনীয়তা টের পেয়েছে পাকিস্তান।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০ ওভারে ৯২ রান তোলা পাকিস্তান কাল করেছে ১৩০ রান। প্রথম ওভারেই ফজলহক ফারুকী দুই উইকেট তুলে নেয়ার পর পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন মোহাম্মদ হারিস। কিন্তু চতুর্থ ওভারে তিনিও বিদায় নেন। বাবর বা রিজওয়ানের ভূমিকাটা নিতে হয় পাঁচে নামা ইমাদ ওয়াসিমকে। তার ৫৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংস পাকিস্তানকে ১২০ পার করায়।
কিন্তু পিএসএলে নিয়মিত ঝড় তোলা ব্যাটসম্যানরা ইমাদের অন্য পাশে তাদের কাজটা করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩২ রান অধিনায়ক শাদাব খানের।
বাবর-রিজওয়ানের ভূমিকাটা আফগান দলে পালন করেছেন রহমানউল্লাহ ও ইব্রাহিম। তাদের ধীরস্থির শুরুতে শেষ দিকে প্রয়োজনীয় রানরেট ১০ এর ওপরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু নাজিবুল্লাহ জাদরান (১২ বলে ২৩ রান) ও মোহাম্মদ নবীর (৯ বলে ১৪) চতুর্থ উইকেট জুটি ১৫ বলেই ৩১ রান এনে দেয়। ১ বল হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে আফগানিস্তান।
এমন জয়ে গর্বিত আফগান অধিনায়ক রশিদ খান, ‘এমন দুর্দান্ত দলের নেতৃত্ব দেয়া দারুণ আনন্দের ও সম্মানের।’
ওদিকে প্রথম পাকিস্তানি অধিনায়ক হিসেবে আফগানিস্তানের কাছে ম্যাচ ও সিরিজ হারের স্বাদ পাওয়া শাদাব খান দলের দুই সিনিয়রের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন সবার কাছে, ‘বাবর ও রিজওয়ান ভালো খেলুক বা খারাপ খেলুক, মানুষ সমালোচনা করে। স্ট্রাইক রেট নিয়ে তাদের সমালোচনা চলতেই থাকে। পাকিস্তানের মানুষ অবশেষে বুঝবে অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। পারফরম্যান্স বিবেচনায় আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা প্রাপ্য শ্রদ্ধা পায়নি। এই সিরিজের পর সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষ তাদের আরও বেশি শ্রদ্ধা করবে।’
জাতীয় দলের খেলা চলাকালীন সাকিব আল হাসান, লিটন দাসরা আইপিএল খেলার ছাড়পত্র পাবে না বলে আগেই জনিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমু হাসান পাপন। আজ বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানালেন, প্রায় একই সুরে কথা বললেন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে আজ চট্টগ্রামে হাথুসুসিংহে বলেন, ‘বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো- আগে তোমার দেশের জন্য খেলো। বোর্ড তাদের এই কথা এনওসি চাওয়ার আগে এমনকি আইপিএল নিলামে নাম দেওয়ার আগেই বলেছে। এখনো তা-ই থাকছে।’
আইপিএলের এবারের মৌসুম শুরু হবে আগামী ৩১ মার্চ। সেই দিন শেষ হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর ৪ এপ্রিল একমাত্র টেস্টে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সে হিসেবে টেস্টে না থাকায় মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়পত্র পেলেও শুরুর দিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন না সাকিব-লিটন।
যেখানে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের তারকা ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের খেলা বাদ রেখে আইপিএল খেলেন, তার ওপর চলতি বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সে অর্থে সাকিব-লিটনকে আইপিএলে খেলতে না দেওয়া কতটা বাস্তবসম্মত?
হাথুরুর জবাব, ‘আইপিএল খেললে দক্ষতায় উন্নতি হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা অনেক উঁচু দরের টুর্নামেন্ট। তবে দেশের হয়ে খেলাই সবচেয়ে প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ।’