শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

গার্ডিয়ানে সাবিনাদের জয়গাথা

ব্রিটিশ দৈনিকে বাংলাদেশের মেয়েদের সাফ জয়গাথা
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ৪ অক্টোবর, ২০২২ ২২:২০

সময়টি হয়তো এর চেয়ে সুন্দর আর হতে পারত না সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা সরকার, মারিয়া মান্দাদের। সাফ ফুটবলে ইতিহাস গড়েছেন। সে সুবাদে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে গেছে তাদের নাম, ছাদখোলা বাসে শিরোপা উদ্‌যাপনে মানুষের ঢলই তা বলে গেছে। দেশ ছাড়িয়ে এখন বিশ্বেও পৌঁছে যাচ্ছে মেয়েদের সাফল্যের জয়গান।

ইংলিশ বিখ্যাত দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান কাল বাংলাদেশের মেয়েদের স্বপ্নযাত্রার গল্প তুলে ধরেছে। ‘দক্ষিণ এশিয়ার মেয়ে ফুটবলারদের রাস্তা দেখাচ্ছে বাংলাদেশ’– শিরোনামের লেখাটি যেন সাবিনাদের জয়গাথায় আরেকটি পালক।

শুধু সাফের সাফল্যই এমন প্রতিবেদনের কারণ নয়। রক্ষণশীল সমাজে সব বাধা পেরিয়েও মেয়েদের মুকুটে এই পালক তো অন্যদের জন্যও প্রেরণার। বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের মেয়েদের যাত্রায় তুলনা টেনে গার্ডিয়ান সে গল্পই বলেছে, ‘১৯৭১ সালে আলাদা পথে চলে যাওয়া বাংলাদেশ আর পাকিস্তানকে ফুটবলের উর্বরভূমি কেউ বলবে না। দুই দেশেই খেলাটি নিয়ে আগ্রহ অবশ্য বাইরের লোকের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি। তবে সেপ্টেম্বরের চিত্র যদি কিছু বলে থাকে, সেটি এই যে দুই দেশের মধ্যে প্রথমে যাদের কথা বলা হলো (বাংলাদেশ), তারাই সামনের দিকে ছুটছে।’

পথচলায় স্বপ্ন ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। সে পথে বাংলাদেশের মেয়েদের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ আর সেটির শেষে সাফে ইতিহাস রাঙানো মেয়েদের নিয়ে দেশের মানুষের উদ্‌যাপনের গল্প আছে প্রতিবেদনে। আছে আগামীর প্রত্যাশা আর প্রতিশ্রুতির গল্পও। তুলনায় পাকিস্তানের মেয়েদের পিছিয়ে থাকার গল্প টেনে গার্ডিয়ান লিখেছে, ‘...পাকিস্তানও হয়তো বাংলাদেশের এঁকে দেয়া পথটি অনুসরণ করে দেখতে পারে, যে পথে শর্টস পরে খেলা নিয়ে মন্তব্যের বদলে ছাদখোলা বাসের প্যারেড থাকে, কেক আর বোনাসের ছড়াছড়ি থাকে।’


বাংলাদেশ দলে ১৫ বছরের হাবিবা

হাবিবা ইসলাম
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৮ এপ্রিল প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। এবারের সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই সিরিজে বাংলাদেশ স্কোয়াডে রয়েছে এক নতুন মুখ। অফস্পিনার সুমাইয়া আক্তারের বদলে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন ১৫ বছর বয়সী তরুণী হাবিবা ইসলাম।

এ ছাড়া এই সিরিজে দলে ফিরেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার রুবাইয়া হায়দার। তাকে ফারজানা আক্তারের বদলে স্কোয়াডে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা দলে তেমন পরিবর্তন আনিনি। যেহেতু আমরা সিলেটে স্পোর্টিং উইকেটে খেলছি, তাই আমরা একজন অতিরিক্ত পেস বোলার নিয়েছি। আমাদের ওপেনিং ব্যাটার ও উইকেটরক্ষক রুবিয়া হায়দারও আছে, চোট কাটিয়ে ফিরেছেন। এটা একটা ভালো খবর।’

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, ‘ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজ থেকেই আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হবে। আমাদের দল গঠন, পরিকল্পনা এবং কৌশল বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। আমরা এখন থেকে অন্য কোনো ফরম্যাটে খেলছি না। আমরা এখনো বলতে পারি না যে, এটাই বিশ্বকাপের জন্য আমাদের চূড়ান্ত স্কোয়াড। আমাদের সামনে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের আগে আমরা আরেকটি হোম সিরিজ খেলার পরিকল্পনা করছি।


‘আইপিএল জেতাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং’

রিকি পন্টিং। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এবারের আইপিএল নতুন নতুন রেকর্ডের জন্ম দিচ্ছে। শুরুর দিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২৭৭ রান তুলে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গত পরশু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের সেই রেকর্ড ভেঙে হায়দরাবাদ তুলেছে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান। জবাবে বেঙ্গালুরু করেছে ২৬২ রান। দুই দলের সম্মিলিত ৫৪৯ রান যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই সর্বোচ্চ। ওভারপ্রতি এই মৌসুমেই রান উঠছে সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ বোলারদের নিস্তার নেই। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ও দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং মনে করেন, এবারের আইপিএল জয়ের মূল চাবিকাঠি হতে পারে এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং।

এবার আইপিএলে এখন পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে ৩১টি। যেখানে রান উঠেছে ওভারপ্রতি ৯.৪৮ করে। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ২০২৩ সালে, ওভারপ্রতি ৮.৯৯ রান করে। গতকাল রাজস্থান কলকাতার ২২৩ রানও তাড়া করেছে, যা আইপিএলে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিনটি দলীয় স্কোর এসেছে এ বছর, সর্বোচ্চ পাঁচটির মধ্যে অবশ্য চারটিই এ বছর এসেছে। কেন এমন রান উঠছে- সেই প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইপিএলের ইমপ্যাক্ট-সাব বা ইমপ্যাক্ট-বদলির নিয়ম ভালোভাবে কাজে লাগানোর ফলেই এমন রানপ্রসবা মৌসুম দেখা যাচ্ছে।

গতকাল ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে পন্টিংও তেমন কথাই বলেছেন। পন্টিংয়ের দাবি, আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবার শিরোপা এনে দিতে পারে। আর এই কৌশলে ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারছেন ইমপ্যাক্ট-সাব নিয়মের কারণে।

পন্টিং বলেছেন, ‘দু-একট বড় সংগ্রহের কারণ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কলকাতা আমাদের বিপক্ষে ২৬০ (২৭২/৭)-এর মতো করেছিল। আমার মনে হয়, দলগুলো যেভাবে ব্যাটিং করছে এর পেছনে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের বড় প্রভাব আছে। গতকাল (পরশু) দেখেছেন কীভাবে ট্রাভিস হেড ব্যাটিং করেছে। পরের ব্যাটসম্যানদের ওপর আত্মবিশ্বাস না থাকলে এভাবে ব্যাটিং করা যায় না।’

অধিনায়ক হিসেবে দুবার বিশ্বকাপজয়ী পন্টিং ব্যাখ্যা করেন, ‘আইপিএল কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশের মতো টুর্নামেন্টে প্রায়ই সেরা রক্ষণাত্মক বোলিং বিভাগের দলই জিতেছে। তবে এবার নতুন নিয়মে যেভাবে আইপিএল এগোচ্ছে, মনে হচ্ছে যারা বোলারদের ওপর বেশি আক্রমণ করতে চায়, বড় সংগ্রহ তুলতে চায়, তারাই জিতবে। আমার মনে হয়, এবার রক্ষণাত্মক বোলিংয়ের চেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়েই আইপিএল জেতার সম্ভাবনা বেশি।’

বিষয়:

অবহেলা দমাতে পারেনি দিপক প্যাটেলকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

দিপক প্যাটেলের নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা ছিল বেশ নাটকীয়। ১৯৫৮ সালে প্যাটেলের জন্ম কেনিয়াতে। তার ১০ বছর পরেই পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। সেখানেই শুরু করেন ক্রিকেট খেলা। আট বছর পরে ১৯৭৬ সালে ওরচেস্টারশায়ারের হয়ে অভিষেক হয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। সেখান দ্যুতি ছড়াতে থাকেন ব্যাট এবং বল হাতে। ১০ বছরে ২৩৬টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাঠে নেমে ২৯ এর বেশি গড়ে ব্যাট হাতে করেন প্রায় দশ হাজার রান। পাশাপাশি বল হাতে ৩৬.৬৬ গড়ে শিকার করেন ৩৫৭টি উইকেট।

তবে প্যাটেলের এমন পারফরম্যান্স মন গলাতে পারেনি ব্রিটিশ নির্বাচকদের। সুযোগ হয়নি ইংল্যান্ড জাতীয় দলে। তাই ১৯৮৬ সালে পাড়ি জমান নিউজিল্যান্ডে। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে অকল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয় নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে। অভিষেক ম্যাচেই খেলেন ১৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সেই ইনিংসেই নজর কাড়েন কিউই নির্বাচকদের। এরপর আর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ছয় মাস পড়েই সুযোগ পেয়ে যান কিউইদের জার্সিতে।

১৯৮৭ সালে সাদা পোষাকের ক্রিকেট টেস্টে অভিষেক হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সে ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তবুও সেই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই গায়ে জড়ান ওয়ানডের রঙিন পোশাকের জার্সিও। অভিষেকের পাঁচ বছর পড়ে এসে ক্যারিয়ার সেরা ৯৯ রানের ইনিংসটি খেলেন। সে বছরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা বোলিং ফিগার ৫০ রানে ৬ উইকেট নেন।

প্যাটেল বল হাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ছিলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপে। তৎকালীন অধিনায়ক মার্টিন ক্রো তাকে সঠিকভাবে ব্যবহার। ১৯৯২ সালে এই ডানহাতি অলরাউন্ডার বিদায় বলেন ক্রিকেটকে। তবে ক্রিকেট থেকে দূরে সরে জাননি। শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার।

এর আগে ৩৭টি টেস্ট ম্যাচে ব্যাট হাতে করেন ১ হাজার ২০০ রান। বল হাতে শিকার করেন ৭৫টি উইকেট। ৭৫টি ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাট হাতে করেন ৬২৩ রান। বল হাতে শিকার করেন ৪৫টি উইকেট।

পুরো নাম: দিপক নরশিভাই প্যাটেল।

জন্ম: ২৫ অক্টোম্বর, ১৯৫৮ সাল।

জন্মস্থান: নাইরোবি, কেনিয়া।

রাশি: বৃষ

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট।

প্রিয় খাবার: চিকেন।

প্রিয় পানীয়: ফ্রুট জুস।

প্রিয় রং: কালো, সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: মার্টিন ক্রো।

প্রিয় ক্রিকেট দল: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।

প্রিয় অলরাউন্ডার: স্যার ইয়ান বোথাম, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি।

প্রিয় সতীর্থ: রস টেইলর

প্রিয় গাড়ি: মার্সিডিজ, বিএম ডব্লিউ

প্রিয় স্টেডিয়াম: বেসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটন।

প্রিয় শখ: গান শোনা, ওয়ার্ক আউট।

প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড: পিউমা।


মুশতাক আহমেদ টাইগারদের নতুন স্পিন কোচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক তারকা লেগস্পিনার মুশতাক আহমেদকে টাইগারদের স্পিন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি শেষ হয় গত ৩০ নভেম্বর। এরপর থেকে টাইগাররা স্পিন বোলিং কোচ ছাড়াই এতদিন সিরিজ খেলে আসছিল। অবশেষে নতুন করে স্পিনারদের অভিভাবক বেছে নেওয়ার কাজ সেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিসিবি। চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু করবে বাংলাদেশ। ওই সময় থেকেই টাইগার শিবিরে যোগদানের কথা রয়েছে মুশতাকের। টাইগারদের নতুন এই স্পিন কোচের চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই আন্তর্জাতিক আসর।

এর আগে ৫৩ বছর বয়সী সাবেক এই পাকিস্তানি তারকা বেশ কয়েকটি জাতীয় দলের স্পিন বিভাগ সামলেছেন। ২০০৮–১৪ ইংল্যান্ড, ২০১৮-১৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০২০-২২ পাকিস্তান জাতীয় দলের স্পিন কোচ ছিলেন মুশতাক আহমেদ। এছাড়া ২০১৪-১৬ সময়কালে তিনি বোলিং পরামর্শক ছিলেন পাকিস্তানের।

বিসিবির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হওয়া আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের। আমি আমার দায়িত্ব পালনের দিকে পুরো মনোযোগ দিচ্ছি এবং অর্জিত অভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি তারা (বাংলাদেশ) বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর দলগুলোর একটি।’

বাংলাদেশকে নিয়ে মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘তারা যেকোনো দলকেই হারাতে পারে, কারণ তাদের সেই সামর্থ্য, সম্পদ ও প্রতিভা আছে। আমি চেষ্টা করব আমার এই বিশ্বাসটাই তাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি বেশ রোমাঞ্চিত।’

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক মুশতাক আহমেদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪৪ ওয়ানডে খেলে তার শিকার ১৬১ উইকেট। এছাড়া ৫২ টেস্ট খেলে এই লেগস্পিনার ১৮৫ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩০৯ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ১ হাজার ৪০৭টি। ইনিংসে চার উইকেট নিয়েছেন ১০৪ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট ৩২ বার।


মুস্তাফিজকে পুরো সময় আইপিএলে চান আকরাম খান

পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ ফর্মে আছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৫ ম্যাচ থেকে ১০ উইকেট নিয়ে আছেন উইকেট শিকারিদের তালিকার ৩ নম্বরে। প্রথম ম্যাচেই হয়েছিলেন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচও’। বোলারদের শ্মশানঘাটখ্যাত আইপিএলে মুস্তাফিজের এমন পারফরম্যান্স বেশ ভালোভাবেই দেখছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। ফিজের এমন পারফরম্যান্স বেশ কাজে দেবে এ বছরই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

তবে বিপত্তি বেধেছে আগামী মাসে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের জন্য মুস্তাফিজকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর দেশে ফিরে ফিজকে খেলতে হবে জাতীয় দলের হয়ে। তবে অনেকেই মনে করেন বিশ্বকাপের জন্য সঠিক প্রস্তুতি নিতে মুস্তাফিজকে জিম্বাবুয়ে নয় আইপিএলে খেলতে দেওয়া উচিত। সেজন্য এ বাঁহাতি পেসারের অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ বাড়ানো উচিত বিসিবির।

যদিও একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়েছে ফিজের ছুটি। তবে মুস্তাফিজকে পুরো সময়ের জন্যই আইপিএলে খেলানোর পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খান। তার মতে, মোস্তাফিজ আইপিএলে থাকলে বাংলাদেশই লাভবান হবে। গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমকে বলেন আকরাম খান।

তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, সে চেন্নাইয়ের হয়ে যত ম্যাচ খেলবে, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবে, তার সঙ্গে বাংলাদেশও লাভবান হবে। কারণ, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলার চেয়ে সেখানে খেললে অনেক কিছু শিখতে পারবে। ড্রেসিংরুমের ব্যাপার আছে, বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলবে। সেখানকার মান ভালো, বিভিন্ন উইকেট, বিভিন্ন মানের খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলবে। আমার মনে হয়, ওর সুযোগ পাওয়া উচিত।’

আকরাম খান আরও বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হচ্ছে, মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। কারণ, সে গত এক বছর ধরে ধুঁকছিল। আইপিএলে কিন্তু ওর পারফরম্যান্স ভালোর দিকেই যাচ্ছে, একদম যে ভালো হচ্ছে, তা না।’

সাবেক এ অধিনায়কের মতে, ‘যেহেতু সে (মুস্তাফিজ) লঙ্গার ভার্সনে খেলে না, আইপিএলে গিয়ে যদি এ রকম ভালো করতে থাকে তাহলে বিশ্বকাপে আমরা বেশি লাভবান হব। এই জিনিসটা চিন্তা করতে পারে বোর্ড। তারপরও এটা নির্ভর করছে কোচিং স্টাফ, নির্বাচকদের চিন্তা-ভাবনার ওপর। কিন্তু সে যে ভালো করছে, এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো।’


চট্টগ্রামে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজার বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান।

তিনি জানান, দুপুর একটা ২০ মিনিটে আগুন ধরার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীটির ৯টি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা আরও জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর এ বিষয়ে জানানো যাবে।


১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জিতল লেভারকুসেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

১২০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বায়ার লেভারকুসেন। রোববার ওয়ার্ডার ব্রেমেনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের শিরোপার আধিপত্য ভাঙতে সক্ষম হয়েছে লেভারকুসেন।

জাভি আলোসনোর দল পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছে। পুরো মৌসুমে দারুন ফর্মে থাকা লেভারকুসেন এখনো পর্যন্ত লিগে অপরাজিত রয়েছে।

ফ্লোরিয়ান রিটজের হ্যাটট্রিক ও ভিক্টর বোনিফেস এবং গ্রানিত জাকার গোলে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় লেভারনকুসেনের ৪৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকার ধারা অব্যাহত থাকলো।

এ পর্যন্ত পাঁচবার দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি। এই শিরোপার মাধ্যমে লেভারকুসেনর তাদের কুখ্যাত ‘নেভারকুসেন’ তকমা থেকেও সড়ে আসতে সমর্থ হয়েছে। শিরোপা জয়ের আনন্দে কাল ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগেই উচ্ছসিত সমর্থকরা উদযাপন শুরু করে দেয়। একে একে তারা সাইডলাইনে জড়ো হতে শুরু করে। যদিও ম্যাচ তখনো চলছিল। লেভারকুসেনের খেলোয়াড়রা এক পর্যায়ে তাদের অনুরোধ জানায় গ্যালারিতে ফিরে যেতে। ৯০ মিনিটে পর পুরো স্ট্যান্ডই খালি হয়ে যায়, তখন সবাই ছিল মাঠের ভিতর। আবেগ আপ্লুত সমর্থকরা এ সময় খেলোয়াড়দের সাথে তাদের এই বিজয় উৎসব উপভোগ করতে থাকে।

এই জয়ে লেভারকুসেনের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯। জার্মান লিগ ইতিহাসে ২৯ ম্যাচ পর এটাই সর্বোচ্চ পয়েন্ট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন ও স্টুটগার্টের থেকে লেভারকুসেন ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে।

ম্যাচের হ্যাটট্রিকম্যান রিটজ বলেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আমি বলতে পারবো না আমরা কি করেছি। আমার এখন ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়ে শান্ত হয়ে বসতে হবে। ইতোমধ্যেই আমরা সমর্থকদের সাথে পার্টি শুরু করে দিয়েছি।’

ম্যাচ শুরুর ৯০ মিনিট আগে স্টেডিয়ামে এসে উপস্থিত হয় লেভারকুসেনের বাস। ৩০ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ঘরের মাঠ বে এরেনাতে কাল পুরোটা জুড়েই ছিল কালো-লাল জার্সিধারীদের আধিপত্য। ক্লাব কোচ জাভি আলোনসোর সম্মানে শহরের বিমসার্ক স্ট্রিটটি সমর্থকরা সাময়িক ভাবে ‘জাভি আলোনসো স্ট্রিট’ নামে আখ্যায়িত করেছে।

শিরোপা জয় নিশ্চিত হবার পর আলোনসোর এখন মূল লক্ষ্য বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগে লন্ডনে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ম্যাচটি। ঐ ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল মূল একাদশে সাতটি পরিবর্তন এনেছিলেন আলোনসো। এ কারনে বদলী বেঞ্চে ছিলেন রিটজ, জেরেমি ফ্রিমপং ও এ্যালেক্স গ্রিমালডো। এদের মধ্যে মৌসুমে এই প্রথম শুরুতে খেলার সুযোগ পাননি গ্রিমালডো। তার পরিবর্তে মাঠে নামা পিয়েরো হিনকেপি শুরুতেই গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। ব্রেমেনের জুলিয়ান মালাতিনির বিপক্ষে জোনাস হফম্যানের আদায় করা পেনাল্টি থেকে বোনিফেস লেভারকুসেনকে এগিয়ে দেন। রেফারি সরাসরি পেনাল্টির নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে ভিএআর পরীক্ষা করে তা নিশ্চিত হতে হয়েছে। বিরতির ঠিক আগে হফম্যান আবারো গোলের সুযোগ তৈরী করেছিলেন। কিন্তু তার পাস থেকে আমিনে আদলির শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে খেলা শুরু করে ব্রেমেন। কিন্তু ৬০ মিনিটে বোনিফেসের পাস থেকে জাকার শক্তিশালী শটে লেভারকুসেনের ব্যবধান দ্বিগুন হলে ব্রেমেনর সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।

আদিলের পরিবর্তে মাঠে নামা রিটজ আট মিনিট পর জাকার মত প্রায় একইভাবে বল জালে জড়ান। ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে রিটজ তার দ্বিতীয় গোল করেন। এরপর ৯০ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রিটজ।


দেশবাসীকে সাকিব-জ্যোতি-তামিমদের ঈদের শুভেচ্ছা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে দেশবাসী তথা ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব-তামিম-জ্যোতিরা।

নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব লিখেছেন, ‘আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ঈদ মোবারক। এই আনন্দের দিন আপনার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অফুরন্ত রহমত নিয়ে আসুক।’

শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক! সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’

ফেসবুকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক। এই বিশেষ দিনটি ভালবাসা, আনন্দ এবং আশীর্বাদে ভরে উঠুক।’

দলের অন্য সেরা পেসারদের একজন তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘এই শুভ দিনে, আল্লাহর রহমত আপনার পথকে আলোকিত করুক এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে সুখ বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক।’

স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ লিখেছেন, ‘ঈদের এই শুভ দিনে আমার সকল শুভাকাঙ্খীদের আন্তরিকভাবে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আসুন সকল ভেদাভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে, ঈদ মোবারক।’

নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেছেন, ‘ঈদ-উল-ফিতরের এই বরকতময় উপলক্ষে আল্লাহর রহমতে আপনার জীবন আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। ঈদ মোবারক!’


খেলোয়াড় থেকে কোচ সফলতার কমতি নেই জন রাইটের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৯৭৭ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে রানের ফুলঝুরি ফুটাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের এক তরুণ ওপেনার। নিউজিল্যান্ডও তখন খোঁজ করছে একজন নির্ভরশীল ওপেনারের। যিনি কিউইদের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করে দিয়ে আসবেন। সেই তরুণের ওপর নজর পড়ে তৎকালীন নির্বাচক দলের। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ক্যারিয়ারে গড়েছেন কত কত যে রেকর্ড। তিনি সাবেক কিউই ওপেনার জন রাইট।

কাউন্টির সেই পারফরম্যান্সের জন্য পরের বছরই কিউইদের হয়ে ডাক পড়ে টেস্ট দলে। ইংলিশদের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে ২৪৪ বলে খেলেন ৫৫ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। সেই বোলিং উইকেটে প্রায় সাড়ে তিনশো মিনিট ক্রিজে ছিলেন তিনি। তার ইনিংসে ভর করেই ৪৮ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় পায় নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন জন রাইট। কিউইদের হয়ে ৮২ টি টেস্ট খেলে তিনি করেছিলেন ৫৩৩৪ রান। ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৮৫ রানের একটি ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি। তার নামের পাশে আছে ১২টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ২৩টি হাফ সেঞ্চুরি।

সাদা পোষাকের ক্রিকেটে উজ্জল জন রাইট অবশ্য অতটা উজ্জল ছিলেন না রঙিন পোষাকের ওয়ানডে ক্রিকেটে। এ ফরম্যাটে ১৪৯ ম্যাচে করেন ৩ হাজার ৮৯১ রান। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন ২৪টি হাফসেঞ্চুরি।

১৯৯৩ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি। তবে প্রিয় এ খেলাকে ছেড়ে দুরে থাকতে পারেননি তিনি। ১৯৯৭ সালে শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। খেলোয়ারি জীবনের মতো জন রাইটের কোচিং ক্যারিয়ারও ছিলো সাফল্যে মোড়ানো।

সে সময় ভারতের মতো দলকে কোচিং করিয়ে এনে দিয়েছেন সেরা সাফল্য। টানা পাঁচ মেয়াদে উপমহাদেশটির কোচ ছিলেন তিনি। এরপর নিউজিল্যান্ডকে তুলেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে জেতান প্রথম আইপিএল শিরোপা।

এসবের ভিড়ে চাপা পড়ে যায় ব্যাটসম্যান রাইটের কত মহাকাব্য। এই ব্যাটসম্যানের হাত ধরেই আশির দশকে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

পুরো নাম- জন জিওফ্রে রাইট।

জন্ম- ৫ জুলাই ১৯৫৪ সাল।

জন্মস্থান- ডারফিল্ড, নিউজিল্যান্ড।

রাশি: কর্কটরাশি।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট।

প্রিয় খাবার: ফ্রাইড চিকেন, বিরিয়ানি।

প্রিয় পানীয়: চা।

প্রিয় রং: কালো, সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: গ্রাহাম এডওয়ার্ডস ।

প্রিয় ক্রিকেট দল: নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: ক্রিস হ্যারিস।

প্রিয় গাড়ি: অডি।

প্রিয় স্টেডিয়াম: ম্যাকলিন পার্ক স্টেডিয়াম, নিউজিল্যান্ড।

প্রিয় শখ: গলফ খেলা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।


আইপিএলে আজ খেলবেন মোস্তাফিজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে শুরু থেকেই নিয়মিত মোস্তাফিজুর রহমান, খেলেছেন প্রথম তিন ম্যাচের সবকটি। তবে চেন্নাইয়ের র্সবশষে ম্যাচটিতে তিনি খেলতে পারনেনি। মোস্তাফিজ বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ-যাত্রার জন্য ভিসা-সংক্রান্ত কাজ সারতে ঢাকায় এসেছিলেন।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা–প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট র্বোড (বিসিবি)। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছিলেন মোস্তাফিজ। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর সেটি ফেরত পেতে এই কদিন দেশে থাকতে হয়েছে তাকে। রোববার পাসপোর্ট ফেরত পেয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেন মোস্তাফিজ।

দেশে থাকার সময় আইপিএলে চেন্নাইয়ের একটি ম্যাচ মিস করেছেন। শুক্রবারের ম্যাচটিতে মোস্তাফিজের সাবেক দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। চেন্নাই সুপার কিংস তাদের পরের ম্যাচটি খেলবে আজ ঘরের মাঠে। প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইর্ডাস।

এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে ৭ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালঞ্জার্সের বিপক্ষে ২৯ রানে ৪ উইকটে নিয়ে হয়েছিলেনে ম্যাচসেরাও।

বিষয়:

ক্যারিবীয় স্বর্ণযুগের শেষ তারকা রিচি রিচার্ডসন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্যারিয়ারটা শুরু করেছিলেন ডিফেন্সিভ ব্যাটার হিসেবে; কিন্তু তার ব্যাটিংয়ের এ ধরন পছন্দ হলো না গাই ইয়ারউড নামের এক কোচের। তার প্রতিভা বিমোহিত করেছিল এ কোচকে। তাই কাজ শুরু করলেন তরুণ এ ব্যাটারকে নিয়ে। গড়ে তুললেন ২২ গজের এক আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবে। ভিভ রিচার্ডসের পরে তিনিই ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে। বশ্য পরবর্তীতে নিজের সময়ের সেরা ব্যাটার হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন রিচি। তিনি ক্যারিবিয়ানদের স্বর্ণযুগের সবশেষ অধিনায়ক রিচি রিচার্ডসন।

১৯৮৩ সালে ভারতের বিপক্ষে মুম্বাইয়ে ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্টে অভিষেক হয় রিচির। কিন্তু অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তিনি। শূন্য রানেই আউট হয়ে যান। সে সময় ক্যারিবীয় দলে তারকাদের ভিড়ে ঠিকমতো অনুশীলনের সুযোগও পাচ্ছিল না রিচি। ব্যাপারগুলো নজর এড়ায়নি রবার্টসের। তরুণ এই প্রতিভা যাতে শুরুতেই কোনো আঘাত না পান তাই রবার্টস নিজেই রিচিকে নেটে বোলিং করে অনুশীলন করতে সাহায্য করেন।

ওই সফরেই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও অভিষিক্ত হন রিচি। আর অভিষেকেই করেন ৪৬ রান। রঙিন জার্সিতে অবশ্য অভিষেকটা উজ্জ্বল করতে পেরেছিলেন এই ব্যাটার। পরের বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে দেখা পান মেইডেন ওয়ানডে ফিফটি। পরের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে করেন তিন ফিফটি! টেস্টেও ছিলেন দুর্দান্ত! অজিদের বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে দুই সেঞ্চুরি করেন তিনি! ওই বছরের শেষে অজিদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন রিচি।

রিচি টেস্টে ৮৬ ম্যাচে ৪৪ গড়ে ৫৯৪৯ রান করেন। ২৭ ফিফটির পাশাপাশি আছে ১৬ সেঞ্চুরি। ২২৪ ওয়ানডেতে ৩৩ গড়ে ৬২৪৮ রান করেন রিচি। ৫ সেঞ্চুরির সাথে আছে ৪৪ হাফ সেঞ্চুরি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫৪৭ ম্যাচে ২৩ হাজারেরও বেশি রান করেছেন এই তারকা। জানুয়ারী ১৯৮৭ থেকে ১ নভেম্বর, ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল মোট ওয়ানডে খেলেছিল ১৩২টি। এই সময়ের মধ্যে ১৩২ টি ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের একাদশে ছিলেন রিচি। টানা সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে চারে আছেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা।

ভিভ রিচার্ডসের মাহাত্ম্য কিংবা ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা নায়ক এসব নিয়ে কারোই সংশয় নেই। তবে রিচির অসাধারণ ক্যারিয়ার যে ভিভের ছায়াতলে ছিলো তাও অস্বীকার করার কারণ নেই। রিচির সময়ে তিনিই ছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে ওই সময়ের সেরা তারকা। রিচির অবসরের সাথে সাথেই যেন নিভে গেছে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের সেই আলো!


জিম্বাবুয়ের ‘দ্য গ্রেট ক্যাপ্টেন’ অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

জিম্বাবুয়ে সেরা অধিনায়কের নাম করলে সবার ওপরে যার নাম আসবে তিনি অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল। তাকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের কাতারে নিয়ে গেছে এ অধিনায়কত্বই।

ক্যাম্পবেলের জন্ম জিম্বাবুয়ের হারারের একটি ক্রিকেটীয় পরিবারে। বাবা ইয়াইন ছিলেন ক্রিকেট কোচ। ছোট ভাই ডোনাল্ডও হাঁটেন একই পথে। নিজেদের ছিল একটি ক্রিকেট স্কুলও (লিলফোর্ডিয়া প্রাইমারি স্কুল)। তাই ক্যাম্পবেলের ক্রিকেটে আসাটা ছিল অনুমেয়ই। নিজেদের স্কুল থেকে বাবার হাত ধরেই তার ক্রিকেটের হাতেখড়ি। শুরুর দিকে ডানহাতে ব্যাট করতেন ক্যাম্পবেল। কিন্তু বাবার চাওয়াতেই পুরোদস্তুর বাঁহাতি ব্যাটার হয়ে যান তিনি।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিয়েই বিচ্ছুরণ ঘটান ক্যাম্পবেল। জিম্বাবুয়ের কনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে করেন সেঞ্চুরি। ১৯৯২ সালে জিম্বাবুয়ের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের দিন অভিষেক হয় ক্যাম্পবেলেরও। মাত্র ২০ বছর বয়সে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ৩ নম্বরে খেলতে নেমেই করেন ৪৫ রান।

১৯৯৬ সালে ক্যাম্পবেলকে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। মাত্র তিন বছর এ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই তিনটা বছরই ছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে ভালো সময়। ১৯৯৮ সালে তার দল নিজেদের মাটিতে শক্তিশালী ভারতকে টেস্টে হারায়। এর পরের মাসেই পাকিস্তানে গিয়ে স্বাগতিকদের ১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারিয়ে আসেন ক্যাম্পবেলরা। এটা জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়।

ক্যাম্পবেল ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সুদিন অব্যাহত থাকে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপেও। সে সময় ‘ছোট দল’ হয়ে খেলতে গিয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে সুপার সিক্সে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।

৬০টি টেস্ট আর ১৮৮টি ওয়ানডে ম্যাচের ক্যারিয়ার নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ক্যাম্পবেলকে। অধিনায়ক ছিলেন ২১টি টেস্ট ও ৮৬টি ওয়ানডেতে। ব্যাটসম্যান ক্যাম্পবেল টেস্টের চেয়ে ওয়ানডেতেই বেশি ধারাবাহিক ছিলেন। টেস্টে তার ১৮টি হাফসেঞ্চুরির পাশে সেঞ্চুরির সংখ্যা মাত্র দুটি। অন্যদিকে, ওয়ানডেতে ৩০টি হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার ছুঁয়েছেন সাতবার।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের শেষ ম্যাচটাই ছিল ক্যাম্পবেলের ক্যারিয়ারেরই শেষ ম্যাচ।

পুরো নাম: অ্যালিস্টেয়ার ডগলাস রস ক্যাম্পবেল

জন্ম: ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২।

জন্মস্থান: সলসবারি, রোডেশিয়া।

রাশি: তুলা।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট

প্রিয় খাবার: ফ্রাইড চিকেন, সামুদ্রিক মাছ

প্রিয় পানীয়: ফ্রুটস জুস

প্রিয় রং: কালো, সাদা

প্রিয় ক্রিকেটার: অ্যান্ডি পাইক্রফট

প্রিয় ক্রিকেট দল: জিম্বাবুয়ে

প্রিয় সতীর্থ: অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার

প্রিয় গাড়ি: মার্সিডিজ বেঞ্জ।

প্রিয় শখ: বিশ্লেষণ করা, গান শোনা, ভ্রমণ।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: নাইকি।


নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বকাপ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আর মাত্র কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে ২০ ওভার ক্রিকেটের বিশ্ব মহারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারই প্রথমবারের মতো ২০টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফর‌ম্যাটের বিশ্বকাপ। জুনে এবারের আসর মাঠে গড়াবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই দুঃসংবাদ শুনতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ব্যবস্থাপনাজনিত অনিয়মের কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসএসি)।

যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি) যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের চলমান পরিস্থিতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই কারণে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও। ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে।

ইউএসএসির চলমান অস্থিরতার কারণ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মুরাদের অব্যাহতি। মুরাদকে প্রধান নির্বাহী হিসেবে আইসিসিই সুপারিশ করেছিল। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাকি থাকতে তাকে সরিয়ে দেওয়ায় আইসিসি পুনর্বহাল করতে বলেছিল। কিন্তু ইউএসএ ক্রিকেটের পরিচালনা পর্ষদ সে নির্দেশনায়ও কর্ণপাত করেনি।

অলিম্পিক কমিটি মনে করে, ইউএসএসির বোর্ড পরিচালকেরা বোর্ডের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন। নুর মুরাদকে সরিয়ে দেওয়া যার সর্বশেষ নজির। গত ১৫ মার্চ বোর্ড মিটিংয়ের পর আইসিসিও ইউএসএ ক্রিকেটকে শৃঙ্খলা বহালের বিষয়ে কড়া সতর্কতা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ তাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।


banner close