মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

শাদাবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হোয়াইটওয়াশ এড়াল পাকিস্তান

আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৩ ১৫:৪৮
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই খুইয়েছিল পাকিস্তান। শেষ ম্যাচটা তাই তাদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই। সে লড়াইয়ে নিজেদের মেলে ধরে সান্ত্বনার জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ৬৬ রানে জিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে নিজেদের।

আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিল পাকিস্তান। করেছিল ৯২ ও ১৩০ রান। তবে এদিন গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। ৭ উইকেটে তোলে ১৮২ রান। ফিফটিশূণ্য পাকিস্তান ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করে সাইম আইয়ুব। ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৪০ বলে এই রান করেছেন তিনি।

রান তাড়াই প্রথম দুই ম্যাচের আফগানিস্তানকে দেখা যায়নি। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকউল্লাহ অতল উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ করলেও এরপর দ্রুত ৩ উইকেট হারায় আফগানরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ২১ রান করেন আজমাতুল্লাহ ওমরজাই।

বল হাতে ১৭ বলে ২৮ রান এবং বল হাতে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক শাদাব খান।


রেয়াল মাদ্রিদ থেকে বেনজেমাও বিদায় নিলেন

আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৩ ১৬:১৭
ক্রীড়া ডেস্ক

রেয়াল মাদ্রিদ যেন সুইচ গেট খুলে দিয়েছে। আর তা দিয়ে বানের জলের মতো করে বেরিয়ে আসছেন একের পর এক খেলোয়াড়। গতকাল মার্কো আসেনসিও, এদেন অ্যাঁজা, মারিয়ানো ও নাচো এরনান্দেস সবাই একে একে মাদ্রিদকে বিদায় জানিয়েছেন। এমন খবরে মাদ্রিদ সমর্থকেরা একটু আশা ফিরে পেয়েছিলেন, আক্রমণভাগের তিনজন খেলোয়াড় যেহেতু বিদায় নিয়েছে, তাহলে সম্ভব করিম বেনজেমা আর দল ছাড়ছেন না। কিন্তু একটু আগেই মাদ্রিদ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছেন বর্তমান বালন দ'র জয়ী স্ট্রাইকারও।

এক বিবৃতিতে মাদ্রিদ জানিয়েছে, 'রেয়াল মাদ্রিদ ও আমাদের অধিনায়ক করিম বেনজেমা এ ক্লাবে খেলোয়াড় হিসেবে তার দুর্দান্ত এবং অবিস্মরণীয় সময়টার ইতি টানতে একমত হয়েছেন। আমাদের সর্বকালের সেরা কিংবদন্তিদের একজনকে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চায় মাদ্রিদ।'

২০০৯ সালে মাদ্রিদে যোগ দিয়ে ১৪ বছরে ক্লাবের সবচেয়ে বেশি ২৫টি শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়েছেন বেনজেমা। এ মৌসুমেই তার চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও নতুন চুক্তি নবায়নের কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে তাকে সৌদি আরব থেকে লোভনীয় এক প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। ওদিকে মাদ্রিদও চুক্তিনবায়নের ক্ষেত্রে বেনজেমার পছন্দের বেতন দিতে রাজি হচ্ছিল না বলে জানা গেছে।


৩০ জনের দলেও মোরসালিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

গত মৌসুমে মোহামেডানে ধারে খেলে নজর কেড়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের তরুণ মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন। এ মৌসুমে নিজ দলে ওভাবে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সাফের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলেও ডাক মেলেনি তার। তবে ভাগ্যক্রমে ডাক পেয়ে দ্রুতই জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ‘গুডবুকে’ নাম তুলে ফেলেছেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য গতকাল ঘোষিত ৩০ জনের প্রাথমিক দলে জায়গা পেয়েছেন মোরসালিন।

গত মাসে ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক তালিকা সাফের কাছে জমা দেয়া হয়েছিল। তবে সাদ উদ্দিন ও মতিন মিয়া চোটের কারণে বাদ পড়ায় নেয়া হয় মোরসালিন ও মোহামেডানের স্ট্রাইকার সাজ্জাদ হোসেনকে। গতকাল ঘোষিত ৩০ জনের দলে আছেন সাজ্জাদও। বাদ পড়েছেন আবাহনীর মিডফিল্ডার মেহেদি হাসান রয়েল, শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, শেখ জামালের মিডফিল্ডার আবু সাইদ, কিংসের ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত ও মোহামেডানের ডিফেন্ডার মুরাদ হোসেন।

কাবরেরার ৩০ জনের দলে তাই নতুন মুখ এখন দুজন- ফর্টিস এফসির ফরোয়ার্ড রফিকুল ইসলাম আর মোরসালিন। ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পাওয়া এলিটা কিংসলিও।

৩০ জনের প্রাথমিক দল

গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকু, মিতুল মারমা, শহিদুল আলম সোহেল ও মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

ডিফেন্ডার: কাজী তারিক রায়হান, রিমন হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল হোসেন, তপু বর্মণ, ইশা ফয়সাল, রহমত মিয়া, আলমগীর মোল্লা ও মেহেদি হাসান।

মিডফিল্ডার: মাশুক মিয়া, সোহেল রানা, মজিবুর রহমান জনি, সোহেল রানা, শাহরিয়ার ইমন, রবিউল হাসান, জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ হৃদয়, শেখ মোরসালিন।

ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, ফয়সাল আহমেদ, এলিটা কিংসলিও, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রফিকুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান সজীব, সাজ্জাদ হোসেন।


ছিটকে গেলেন রিবাকিনাও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মেয়েদের এককের চতুর্থ র‍্যাঙ্কিংধারী এলেনা রিবাকিনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে বিদায় নিয়েছেন ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। তার বিদায়ে শেষ ষোলোর আগেই মেয়েদের শীর্ষ দশ বাছাইয়ের পাঁচজন ছিটকে গেলেন।

গতকাল সকালে তৃতীয় রাউন্ডে স্পেনের সারা সরিবেস তোর্মোর বিপক্ষে ম্যাচ ছিল রিবাকিনার। কিন্তু কাজাখস্তানের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম বিজয়ী ম্যাচের আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি কোর্টে ১০ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে পারছি না। গতকাল ও তার আগের দিন থেকেই ভালো লাগছে না। গতকাল রাতে ঘুমাতে পারিনি।’

কোনো সেট না হেরে তৃতীয় রাউন্ডে চলে এসেছিলেন রিবাকিনা। এর পর এমন ঘটনায় হতাশ তিনি, ‘আমার দ্বিতীয় ম্যাচের পর শুরু হয়েছে। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল এর আগে। আমি জানি না কী হয়েছে। হঠাৎ আমার খারাপ লাগা শুরু করল, এবং এরপর থেকে আর ভালো হচ্ছে না।’

হঠাৎ শরীর খারাপের একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন উইম্বলডনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, ‘আমার ধারণা আমার এলার্জির কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে এবং আমি কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি। ডাক্তারও বলছিলেন, প্যারিসে এখন একটি ভাইরাস সংক্রমণ হচ্ছে।’

রিবাকিনার আগেই রোলাঁ গারোঁকে বিদায় বলেছেন আরও চার শীর্ষ বাছাই। তৃতীয় বাছাই জেসিকা পেগুলা, পঞ্চম বাছাই ক্যারোলিন গার্সিয়া। অষ্টম ও দশম বাছাই মারিয়া সাক্কারি এবং পেত্রা কেভিতোভাও বাদ পড়েছেন আগে।

কাজাখস্তানের শীর্ষ তারকার সরে দাঁড়ানোয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও শীর্ষ তারকা ইগা সিওনতেকের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। কারণ, সবকিছু ঠিক থাকলে সেমিফাইনালে রিবাকিনার মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল সিওনতকের। মাত্রই ইতালিয়ান ওপেন জিতে ফর্মে ছিলেন রিবাকিনা। ফাইনালের আগে তাই শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষ পাচ্ছেন না সিওনতেক।

এদিকে রিবাকিনা সরে দাঁড়ানোয় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো বড় টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোতে উঠেছেন স্প্যানিশ সরিবেস তোর্মো। বিশ্বের ১৩২ নম্বর খেলোয়াড় সেখানে মুখোমুখি হবেন বিয়াত্রিস মালা ও একাতেরিনা আলেক্সান্দ্রোভার মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ীর।

বিষয়:

অবসরের দিনক্ষণ ঠিক ওয়ার্নারের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সুযোগটা দেবে কি না সেটা বলা যাচ্ছে না এখনই, তবে ডেভিড ওয়ার্নার দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলেছেন টেস্ট থেকে অবসর নেয়ার। আগামী জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট খেলে সাদা পোশাককে বিদায় বলতে চান এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওয়ার্নার। সেখানেই নিজের অবসর ভাবনার কথা জানালেন, ‘আপনাকে রান করতে হবে। আমি সব সময় বলেছি (২০২৪) বিশ্বকাপই হয়তো আমার শেষ ম্যাচ। আমি যদি এখানে রান করতে পারি এবং অস্ট্রেলিয়ায় খেলা চালিয়ে যেতে পারি- আমি এটা নিশ্চিন্তে বলতে পারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেলব না। আমি যদি এটা (বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও অ্যাশেজ) শেষ করতে পারি এবং পাকিস্তান সিরিজে ডাক পাই, তাহলে সেখানেই শেষ করব।’

মাঝে কিছুদিন দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ইংল্যান্ড সফর শুরু করছেন ফর্মে থেকে। তবে ৩৬ বছর বয়সী মানেন, ২০১৯ অ্যাশেজের মতো পারফর্ম করলে ঘরের মাঠে অবসর নেয়ার ইচ্ছা পূরণ নাও হতে পারে। ইংল্যান্ডে সর্বশেষ অ্যাশেজে ১০ ইনিংসে মাত্র ৯৫ রান করেছিলেন ওয়ার্নার।

টেস্ট থেকে অবসর নিলেও টি-টোয়েন্টিতে সে ইচ্ছা নেই ওয়ার্নারের, ‘আমি ২০২৪ বিশ্বকাপ খেলতে চাই। এটা আমার মাথায় আছে। এর আগে আমাদের অনেক খেলা আছে। আমার ধারণা, ফেব্রুয়ারির পর সেটা কমবে। এরপর আইপিএল, অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে ছন্দে ফিরতে হবে যেন জুনে খেলতে পারি।’


স্কালোনিই পারেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের হাহাকার ঘুচিয়েছেন। হতাশার স্রোতে ভাসা এক দলকে জাগিয়ে তোলেন লিওনেল স্কালোনি। বিশ্বকাপজয়ী কোচের মন জিতে নেয়ার কাজটা গত ডিসেম্বরেই সম্পন্ন। তার প্রতি মুগ্ধতা আর বাড়ানো অসম্ভব বলেই মনে হতো। ভুল প্রমাণিত হলো সেটা।

আর্জেন্টিনায় একটি ফ্লাইটের বিমানে চড়ার উদ্দেশে শাটল বাসে উঠেছিলেন স্কালোনি। সে বাসে স্কালোনির সঙ্গে ছিলেন এক দম্পতিও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বাসে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধার জুতার ফিতা বেঁধে দিচ্ছেন স্কালোনি। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো আলবিসেলেস্তে’ স্কালোনির সঙ্গে সেই বৃদ্ধার কথোপকথনও প্রকাশ করেছে। স্কালোনি সেই বৃদ্ধাকে বলেছেন, ‘আমি আপনার জুতার ফিতা বেঁধে দিচ্ছি, আপনি যেন পড়ে না যান।’

স্কালোনিকে শুরুতে বৃদ্ধ মহিলা চিনতে পারেননি। পরে আর্জেন্টাইন কোচ যখন ফিতা বেঁধে দিয়ে সোজা হন, তখন মহিলার স্বামী চিনে ফেলেন স্কালোনিকে। এরপর তারা এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন স্কালোনিকে।


নেশন্স কাপে অংশ নিতে ফ্রান্স যাচ্ছে বিএলএফসি

আপডেটেড ৩ জুন, ২০২৩ ১১:৪৫
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

নেশন্স কাপ ফুটবলে অংশ নিতে ফ্রান্স যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ লইয়ার্স ফুটবল ক্লাব (বিএলএফসি)। বিশ্বের প্রায় ৪৩টি দেশের আইনজীবী এই খেলায় অংশ নিচ্ছেন।

এ উপলক্ষে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে বিএলএফসি কক্সবাজারে এক কন্ডিশনিং ক্যাম্প এর আয়োজন করেছিল। তাদের চূড়ান্ত প্রস্তুতির লক্ষ্যে প্রতি উইক এন্ডে প্রস্তুতিমূলক প্রীতি ম্যাচ খেলছে। দলের অধিনায়ক সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু। এছাড়া দলে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সিনিয়র সহসম্পাদক মাহফুজ বিন ইউসুফ, সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বাফুফের আইন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান লাজুক, সহকারী এটর্নি জেনারেল শোফিকুজ্জামান রানা ও বিনয় কুমার ঘোষ, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিকেএসপির সাবেক ফুটবলার অ্যাড. সেলিম, অ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম রানা, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ওয়ার্ড কমিশনার অ্যাড. নাজমুল হক ডিউক, কক্সবাজার বারের সাবেক সহ সম্পাদক শাহাবউদ্দিন, অ্যাড. রাজু, কুষ্টিয়া কোর্টের এপিপি অ্যাড. রাজীব, অ্যাড. সুমন, এড সোহাগ ফকির, অ্যাড. আরিফ, অ্যাড. সানাউল ইসলাম প্রমুখ।

দলের কোচ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন বি কে এস পি র সাবেক ফুটবলার এড মাহফুজুর রহমান। ম্যানেজার হিসেবে আছেন অ্যাড. শাহবাজ হোসেন খান মিল্টন।

দলটি গতবছর মরক্কোর মারাকেশে আয়োজিত আইনজীবীদের বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ২০তম আসরে অংশ নিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট বারে আয়োজিত আইনজীবীদের ফুটবল টুর্নামেন্টে বিএলএফসি টানা দুইবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।


সেভিয়ার সপ্তম শিরোপা

উয়েফা ইউরোপা লিগে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন সেভিয়া। ছবি: টুইটার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়া কখনও হারে না। এটাই সত্য হয়ে উঠল আরেকবার। রোমার বিপক্ষে গতকাল নির্ধারিত ৯০ ও পরের ৩০ মিনিট ১-১ গোলে ড্র থাকা ফাইনাল গড়াল টাইব্রেকারে। যেখানে হোসে মরিনিওর রোমাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জিতেছে সেভিয়া। ইউরোপা লিগের এটি সপ্তম শিরোপা সেভিয়ার। এর আগে তার ইউরোপা লিগ জিতেছিল ২০০৬, ২০০৭, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০২০ সালে।

হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় গতকাল ফাইনালের ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ থেকে দিবালার গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল রোমা। সেভিয়ার ইভান রাকিতিচের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে মানচিনি দারুণ পাস দেন দিবালাকে। দুই ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে দেল পাওলো দিবালা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে সেভিয়া। এর দায় অবশ্য রোমার ডিফেন্ডার মানচিনিরও। প্রতিপক্ষের হেসুস নাভাসের একটি বিপজ্জনক ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।

এরপর ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ৯০ মিনিটের খেলা। পরের ৩০ মিনিটও। শিরোপার নিষ্পত্তির জন্য শেষমেষ আশ্রয় নিতে হয় টাইব্রেকারের। যেখানে সেভিয়ার চার জন শট নিয়ে চারজনই সফল। লুকাস ওকাম্পোস, এরিক লামেলা ও ইভান রাকিতিচের পর সফল শট নেন মন্তিয়েল। স্পট কিকে রোমার গোলটি এসেছে ব্রায়ান ক্রিস্তান্তের শটে। হোসে মরিনিওর দলের দ্বিতীয় শট অসমান্য তৎপরতায় রুখে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনু।

ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়া যেমন ছিল অজেয়, তেমনি ইউরোপীয় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালেও হারেননি কোচ হোসে মরিনিও। গতকাল আর জেতা হলো না তার। সেই দুঃখেই কি না, রানার্সআপ মেডেলটি গ্যালারির এক ক্ষুদে দর্শকের হাতে দিয়ে মাঠ ছাড়েন মরিনিও।


রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে আলফাজকেও

আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৩ ২২:৫৬
ক্রীড়া ডেস্ক

মার্চে যখন ধুঁকতে থাকা দলটার দায়িত্ব তাকে দেয়া হচ্ছিল, এতটা বোধ হয় মোহামেডানের কর্মকর্তারাও আশা করেননি। আলফাজ আহমেদ নিজেও আশা করেছিলেন কি না, কে জানে!

তখন মোহামেডান লিগে ছয়-সাতে ঘোরাঘুরি করছে, ফেডারেশন কাপে অবশ্য গ্রুপপর্ব পার হয়েছে। কিন্তু সে তো আগের ১৩ বারও অনেকবার পেরিয়েছে, শেষ পর্যন্ত যেতে তো আর পারেনি!

এবার পেরেছে, এবং সে পথে মাস্টারমাইন্ড আলফাজ আহমেদ!

লিগে এই মুহূর্তে চার নম্বরে আছে মোহামেডান, পরের ম্যাচটা জিতলেই উঠে যাবে তিন নম্বরে। এতটুকুই গত কয়েক মৌসুম ধরে ধুঁকতে থাকা– মাঝে ২০১৮-১৯ মৌসুমে একপর্যায়ে অবনমন এড়ানোরও শঙ্কায় পড়ে যাওয়া– মোহামেডানের জন্য স্বস্তির হতে পারত। কিন্তু আলফাজের মোহামেডান অতটুকু নিয়েই পড়ে থাকলে তো!

ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে যখন বসুন্ধরা কিংস সামনে পড়েছিল, মোহামেডানের হারই ধরে নিয়েছিলেন বেশির ভাগ ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে বসুন্ধরাকে বাড়ি পাঠিয়ে ১৪ বছর পর যখন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ওঠে মোহামেডান, নড়েচড়ে বসতে হয়। এরপর ফাইনালে কাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে লিখেছে ইতিহাস।

তার পুরোভাগে তিনিই ছিলেন। প্রথমার্ধে দল ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর কাউন্টার অ্যাটাক ছেড়ে আক্রমণনির্ভর কৌশলে গেছেন আলফাজ, তাতেই তো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই গোল পেল মোহামেডান। কিন্তু কৃতিত্বটুকু সব খেলোয়াড়দের বিলিয়ে দিয়েছেন আলফাজ। দিয়াবাতের চার গোল তো প্রশংসা পাচ্ছেই, হাত ভেঙেও মুজাফফরভের খেলে যাওয়া, বদলি নামা গোলকিপার আহসান হাবিব দিপুর টাইব্রেকার-বীরত্ব...বললেন সবকিছুর কথাই। এরপর থাকল মোহামেডানের জন্য প্রেরণার বাণী, ‘এই ট্রফির মাধ্যমে মোহামেডান এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।’

তবে এমন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ তো শুধু মোহামেডানেরই আনন্দের কারণ হয়নি, ফুটবলানন্দে ভাসিয়েছে সবাইকেই। আলফাজও সে তৃপ্তি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন, ‘এই ম্যাচে শুধু মোহামেডান জেতেনি, জয় হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলেরও। অবশ্যই এটা আমার জীবনের স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, কোচ হিসেবেও চ্যাম্পিয়ন হলাম। এটা স্মৃতিতে গেঁথে থাকবে।’

তৃপ্তির সে স্মৃতি বারবার আলফাজকে এটাও মনে করিয়ে দেবে, এমন অসাধারণ ম্যাচে জয়ী দল ছিল মোহামেডান, আর সে দলের কোচ ছিলেন আলফাজ।


আনন্দ মোহামেডানের, বিনোদন সবার

রুদ্ধ্বশ্বাস ফাইনালে আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ জিতেছে মোহামেডান। ছবি: বাফুফে
আপডেটেড ৩০ মে, ২০২৩ ২২:৫৮
ক্রীড়া প্রতিবেদক

সোনালি অতীত বলে, বাংলাদেশের ফুটবল মানে আবাহনী আর মোহামেডান। কুমিল্লা স্টেডিয়ামের রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল গতকাল জানিয়ে গেল, বাংলাদেশের ফুটবলের বিবর্ণ বর্তমানেও রঙের ছোঁয়া আবাহনী আর মোহামেডানের মতো করে কেউ দিতে পারে না।

১৪ বছর পর মোহামেডান যখন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ওঠে, তাতে মোহামেডান সমর্থকদের স্মৃতিমেদুরতা জেগেছে। কিন্তু আবার ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে যে যুযুধান আবাহনী আর মোহামেডান, তা রোমাঞ্চ আর উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছে ফুটবলের সঙ্গে বিন্দুমাত্রও সংশ্রব রাখা যে কাউকেই।

সে উত্তেজনা, রোমাঞ্চ আর স্মৃতিমেদুরতা মিলিয়ে তৈরি হওয়া প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে যাওয়া রুদ্ধশ্বাস এক ফাইনাল কাল দেখেছে কুমিল্লা স্টেডিয়াম! নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৮ গোল শেষেও দুই দলে ৪-৪ সমতা, এরপর টাইব্রেকারে বদলি গোলকিপারের বীরত্বে ৪-২ ব্যবধানে জিতে মোহামেডানের ৯ বছরের শিরোপাখরা ঘোচানো... শুধু এতটুকু হয়তো ম্যাচটাকে আলাদা করে রাখা বিশেষত্বের কথা বলে না।

শুধু এতটুকু বলে না, এই ম্যাচই তর্কসাপেক্ষে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসেরই সেরা ফাইনাল!

এতটুকুতে যে বলা হয় না, ফাহিম ও কলিনদ্রেসের গোলে বিরতিতে আবাহনী ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পরও মোহামেডান সমতা ফিরিয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে, এরপর আবার এমেকার গোলে আবাহনী এগিয়ে গেলে মোহামেডান সমতা ফিরিয়েছে দ্বিতীয় দফায়। এতটুকু বলে না যে অতিরিক্ত সময়ে মোহামেডান চতুর্থ গোলে প্রথমবার ম্যাচে এগিয়ে যায়, কিন্তু ১১৮ মিনিটে আবাহনী সমতায় ফেরে বক্সের বাইরে থেকে রহমতের অবিশ্বাস্য শটে।

এটুকু এটাও বলে না যে, ম্যাচে মোহামেডানের চার গোলের সবই করেছেন সুলেমান দিয়াবাতে- যেখানে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আগে কারও হ্যাটট্রিকই ছিল না!

অতটুকু বলেও পুরোপুরি বোঝানো যায় না দুই দলের দারুণ সব আক্রমণ আর সেসবকেও ছাপিয়ে যাওয়া দুর্দান্ত কিছু সেইভের গল্প। আর সেইভের প্রসঙ্গ যখন আসে, মোহামেডানের বদলি গোলকিপার আহসান হাবিব বিপু ক্লাবটার ইতিহাসেই আলাদা জায়গা করে নেয়ার কথা। প্রথম পছন্দের গোলকিপার সুজন অতিরিক্ত সময়ে একটা শট ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যথা পেলেন কাঁধে, এরপর বিপু নামতেই চতুর্থ গোলটা পেয়ে যায় আবাহনী। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এরপর? মোহামেডানের পাঁচ শটের চতুর্থটিতে শুধু শাহরিয়ার ইমনের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন আবাহনী গোলকিপার সোহেল, উল্টোদিকে আবাহনীর দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছেন বিপু।

আবাহনীর প্রথম শটে রাফায়েল অগুস্তো আর চতুর্থ শটে- সোহেল যখন ইমনের শট ঠেকিয়ে আবাহনীকে আশা দেখিয়েছেন, তার ঠিক পরের শটেই- কলিনদ্রেসের শটও ঠেকিয়ে দিয়েছেন বিপু। প্রসঙ্গত, কলিনদ্রেস আর রাফায়েল- আবাহনীর সবচেয়ে বড় ভরসার দুই বিদেশি!

একটা ম্যাচে পরতে পরতে আর কত গল্প, কত সাব-প্লট থাকতে পারে!

গল্পের তো অনুষঙ্গও লাগে, কুমিল্লায় কাল অনুষঙ্গ হয়ে ছিলেন দুই দলের গ্যালারি রাঙানো হাজার দশেক সমর্থক। আবাহনীর গ্যালারির সৌজন্যে বাংলাদেশের ফুটবলে ইউরোপের ছোঁয়া হয়ে ‘পাইরো’র দেখাও মিলেছে!

সব মিলেই কুমিল্লা স্টেডিয়ামের ফাইনাল কাল অনুচ্চারে জানিয়ে গেল, বাংলাদেশের ফুটবলের বিজ্ঞাপন হতে পারে আবাহনী আর মোহামেডানের এমন চোখধাঁধানো ম্যাচ। ম্যাচে আবাহনীই ফেবারিট ছিল। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝেই হয়তো মোহামেডান লড়েছে চোখে চোখ রেখে! মার্চে মো. আলফাজ আহমেদ দায়িত্ব নেয়ার পর বদলে যাওয়া মোহামেডান প্রথমার্ধে কাউন্টার অ্যাটাকে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই ঝাঁপিয়েছে আক্রমণে। তাতে ম্যাচটা পেয়েছে ইতিহাসে ঠাঁই পাওয়ার মতো সব গল্প, বাংলাদেশের ফুটবলের বিজ্ঞাপন হওয়ার দাবি।

বসুন্ধরা বাংলাদেশের ফুটবলে পেশাদারত্বের বিজ্ঞাপন, নবাগত ফর্টিসও সে পথে হাঁটার স্বপ্ন দেখে। সাইফ তেমন কিছুর স্বপ্ন দেখিয়েও হারিয়ে গেছে। ব্রাদার্স আর মুক্তিযোদ্ধা তো এখন ফুটবলে দাপটের গল্পেই অপ্রাসঙ্গিক। আবাহনী তবু বসুন্ধরার সঙ্গে যা কিছুটা শিরোপার লড়াইয়ে থাকে, মোহামেডানের সাদা-কালো তো দিনে দিনে ধূসর হওয়ার পথেই ছিল। তাদের জাগিয়ে তুলতে হয়তো এমন একটা শিরোপার দরকার ছিল।

আর বাংলাদেশের ফুটবলের দরকার ছিল এমন একটা ম্যাচের।


বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ভিনিসিয়ুসের যুদ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

গত রোববার মেস্তায়ায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে স্বাগতিক সমর্থকদের বর্ণবিদ্বেষী চরণের শিকার হয়েছিলেন রেয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। মাঠেই প্রতিবাদ করা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিজের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন এবং সে সুবাদে লা লিগা সভাপতির সঙ্গে তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে এরই মধ্যে প্রমাণ দিয়ে দিয়েছেন, লা লিগা বর্ণবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এরই মধ্যে ব্যাপারটি মাঠ ছাপিয়ে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল পর্যন্ত বর্ণবিদ্বেষী আচরণের জন্য সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আগের ঘটনায় ও তিনজন ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের ঘটনায় অভিযুক্ত। বিশ্বজুড়ে স্পেনের ভাবমূর্তি খারাপ হওয়ার শঙ্কা জাগতেই এমন পদক্ষেপ পুলিশের। অথচ গত রোববারের আগেও বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগগুলো কর্তৃপক্ষ খারিজ করে দিত। গত জানুয়ারিতে ভিনিসিয়ুসের এমনই এক অভিযোগে ‘মাত্র কয়েকজন সমর্থক’, ‘মাত্র কয়েক সেকেন্ড’ তাকে ‘বানর’ ডেকেছে বলে অভিযোগ বাতিল করা হয়েছিল। আগের মৌসুমে মাত্র তিনটি অভিযোগ গ্রহণ করেছিল স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ।

ভিনিসিয়ুস অবশ্য আর লা লিগা বা স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের অপেক্ষায় বসে না থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজও অবশেষে মুখ খুলেছেন, ‘আমি ঘোষণা করছি, রেয়াল মাদ্রিদ আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আর কোনো বর্ণবাদী আচরণ সহ্য করবে না।’ তবে যেই এল চিরিঙ্গিতো অনুষ্ঠানের কারণে ভিনিসিয়ুসের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, সে অনুষ্ঠানের সঙ্গে তার সম্পর্কের ব্যাখ্যা বা সে অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কোনো ঘোষণা এখনো দেননি পেরেজ।

মাদ্রিদের বিবৃতি

গত পরশু প্রাথমিক এক বিবৃতিতে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ‘হেট ক্রাইম’ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার কথা জানিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদ। তবে সে বিবৃতি অনেক সমর্থকেরই পছন্দ হয়নি। কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন বিবৃতিতে আরও কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে মাদ্রিদ।

বিবৃতিতে এ ঘটনায় ভিনিসিয়ুসকে সমর্থন করায় ফিফা সভাপতি, ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট, রোনালদো নাজারিও, এমবাপ্পে, নেইমার, কাকা, রিও ফার্ডিনান্ড, জাডোন সাঞ্চ, লিনেকার এবং কাসেমিরোকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

এ ঘটনায় স্প্যানিশ ফুটবলের সমস্যা তুলে ধরায় বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মাদ্রিদ। আবার কড়া অবস্থান না নেয়ায় স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি লুইস রুবিয়াসের সমালোচনা করা হয়েছে। বারবার এমন ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি না দিয়ে ভিনিসিয়ুসের ঘাড়ে দোষ চাপানোয় শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এবং যেকোনো ধরনের ‘হেট ক্রাইম’-এর ক্ষেত্রে অতি দ্রুত শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা

স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন ও রেফারি কমিটি ছয় ভিএআর রেফারিকে বরখাস্ত করেছে। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বর্ণবাদের শিকার ভিনিসিয়ুস ম্যাচের শেষ দিকে মারামারিতে জড়ালে লাল কার্ড দেখানো হয় তাকে। ভিএআরে শুধু মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের অপরাধের অংশ দেখানো হলেও তাকে গলা চেপে ধরা ভ্যালেন্সিয়া ফুটবলারের অংশ দেখানো হয়নি।

সে ম্যাচে ভিএআরের দায়িত্বে থাকা ইগলেসিয়ায় ভিয়ানুভাকে বরখাস্ত করার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উগো দুরোর মুখে ভিনিসিয়ুসের আঘাতের ঘটনাই শুধু দেখানো হয়েছে, বাকিটা কেন দেখানো হয়নি তার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

বাস্তবতা হলো, এই ছয় রেফারিকে এই মৌসুম শেষে এমনিতেও চাকরিচ্যুত করা হতো। লা লিগা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কিছু করে না- ভিনিসিয়ুসের এমন দাবির মুখে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন তাই একটু আগেই এদের বরখাস্ত করে মানুষের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছে।

ঘুম ভেঙেছে কুম্ভকর্ণের

গতকাল স্প্যানিশ পুলিশ চার সমর্থককে আটক করেছে। গত জানুয়ারিতে মাদ্রিদ ডার্বির আগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জার্সি পরা এক পুতুলে ফাঁস পরিয়ে একটি ব্রিজ থেকে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল। সে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ নাম নির্দিষ্ট না করে বলেছে এরা মাদ্রিদভিত্তিক একটি দলের ‘খ্যাপাটে সমর্থক’। তবে স্প্যানিশ মিডিয়াগুলো সরাসরি তাদের আতলেতিকো মাদ্রিদের সমর্থক বলে জানিয়ে দিয়েছে।


রোনালদো এরপর বায়ার্নে?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও বায়ার্ন মিউনিখকে ঘিরে দলবদলের গুঞ্জন এই প্রথম নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যখন ছাড়তে চেয়েছিলেন, তখন রোনালদোর পছন্দের তালিকার ওপরের দিকেই ছিল জার্মান পরাশক্তিরা। কিন্তু ৩৭ পেরিয়ে যাওয়া রোনালদোর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি বায়ার্ন।

এরই মধ্যে পর্তুগিজ মহাতারকা সৌদি আরবে গেছেন। সেখান আল-নাসরের জার্সিতে ১৪ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন। হ্যাটট্রিক করে প্রশংসা জুটিয়েছেন, আবার হতাশা প্রকাশ করে সমালোচনাও কুড়িয়েছেন। তার দলও সম্ভাব্য দুটি শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়েছে। লিগেও আছে দুইয়ে।

এরই মধ্যে আবার রোনালদোর বায়ার্নে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। সে গুঞ্জন তুলেছে জার্মান সংবাদমাধ্যম আবেনসাইটং। এ সংবাদমাধ্যমের দাবি, মার্কাস শোন নামের এক জার্মান ধনকুবের চান রোনালদো বায়ার্নে যোগ দিন। রোনালদোকে টানার যাবতীয় খরচও দিতে চান এই জার্মান ব্যবসায়ী।

রোনালদোকে কেনার জন্য ক্লাবের প্রধান নির্বাহী অলিভার কানকে নাকি মেইল দিয়েছেন শোন, যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এই দলবদলের অর্থদাতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, তবে আমরা দলবদলের পুরো অর্থ বা স্বাভাবিক বেতনের বাকিটা দিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।

এর বিনিময়ে রোনালদোর জার্সি বিক্রির অর্থের ভাগ দাবি করেছেন শোন। সৌদি আরবে বার্ষিক ২০ কোটি ইউরো বেতন পাওয়া রোনালদোকে কি জার্মানিতে টানতে পারবেন শোন?


চ্যাম্পিয়ন বার্সাকে হারিয়ে দিল সোসিয়েদাদ

লিগ জয়ের উৎসব বার্সেলোনার। ছবি: টুইটার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আগেই লা লিগার শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছিল বার্সেলোনা। তাই রেয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য নিছক আনুষ্ঠানিকতার। কিন্তু নির্ভার হয়ে খেলার এই ম্যাচে বার্সেলোনা এতটাই নির্ভার ছিল যে তাদের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। বার্সার ঘরের মাঠে কাতালানদের ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে রেয়াল সোসিয়েদাদ।
গতকাল এই হারের পর ৩৪ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৩৫ ম্যাচে ৮৫। আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত হওয়ায় তাদের এই হারে কিছু আসে যায় না। কিন্তু গতকালের ম্যাচে পাওয়া তিন পয়েন্টে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার স্বপ্ন আরও জোরাল হয়েছে সোসিয়েদাদের।
ম্যাচ শুরুর পর স্বাগতিক দর্শকদের হচচকিয়ে দিয়ে ৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় সোসিয়েদাদ। গোল করেন মিকেল মেরিনো। এই এক গােলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চ্যাম্পিয়নরা। বিরতির পর গোল পরিশোধের জন্য বার্সা চড়াও হয়ে খেলা শুরু করলেও তা কাজে আসেনি। উল্টো ৭২ মিনিটে আরও এক গোল হজম করে বসে তারা।গোল করেন আলেক্সান্ডার সোরলোথ। তবে শেষ মুহূর্তে বার্সার পক্ষে একটি গোল পরিশোধ করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। চলতি লা লিগায় এটি পোলিশ স্ট্রাইকারের ২২তম গোল। যা চলতি লিগে সর্বোচ্চ।
ম্যাচের ফলাফল লিগ শিরোপার ট্রফি নিয়ে বার্সার উৎসবে কোনো প্রভাব ফেলেনি। খেলা শেষে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস ট্রফি তুলে দেন বার্সার হাতে।


পাঁচ ‘ডাক’-এর লজ্জ্বা বাটলারের

আপডেটেড ২১ মে, ২০২৩ ১৬:৪৭
ক্রীড়া ডেস্ক

গত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন জস বাটলার। ১৭ ম্যাচে করেছিলেন ৮৬৩ রান। সেই বাটলার চলতি আইপিএলের মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখে ফেললেন। পারলে ভুলে যেতে চাইবেন এমনই এক রেকর্ড গড়ে ফেললেন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান। আর সে রেকর্ডটি হলো-আইপিএলের এক আসরেই পাঁচ বার শূন্য রানে আউট হওয়া।
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে শুক্রবার কাগিসো রাবাদার বলে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লুউর শিকার হয়ে যান বাটলার। আর তাতেই বিব্রতকর এক রেকর্ড, আইপিএলের এক আসরেই পঞ্চম ‘ডাক’ -এর মালিক হয়ে যান বাটলার।
আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম এক আসরে কোনো ব্যাটসম্যানের পাঁচ বার শূন্য রানে আউট হওয়া। এর আগে ছয়জন ব্যাটসম্যানের চার বার করে ডাক মারার রেকর্ড আছে। তারা হলেন- হার্শেল গিবস (হায়দরাবাদ, ২০০৯), মিথুন মানহাস (পুনে, ২০১১), মনীষ পান্ডে (পুনে,২০১২), শিখর ধাওয়ান (দিল্লি, ২০২০), এউইন মরগান (কলকাতা, ২০২১) ও নিকোলাস পুরান (পাঞ্জাব, ২০২১)। তবে বাটলার আরও একবার বেশি শূন্য রানে আউট হয়ে সবার লজ্জ্বা আড়াল করে গড়েছেন পাঁচ ‘ডাক’-এর রেকর্ড|


banner close