শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার যুব বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনায়?

আপডেটেড
৩০ মার্চ, ২০২৩ ১২:১৫
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৩ ১১:৩৯

নির্ধারিত সময়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ড্র না হওয়াতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, ইন্দোনেশিয়ায় টুর্নামেন্টটি হচ্ছে না। গতকাল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে ফিফা বালি থেকে সরিয়ে নিয়েছে ২০ মে ও ১১ জুন অনুষ্ঠেয় যুব ফুটবল বিশ্বকাপ।

ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে ইসরায়েলের টুর্নামেন্ট খেলা নিয়ে দেশটিতে আগাম প্রতিবাদের মুখেই এই জটিলতা। সাম্প্রতিক সময়ে জাকার্তায় বেশ প্রতিবাদ হয়েছে। ইসরায়েলকে টুর্নামেন্ট থেকে বাতিলের দাবিতে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে মানুষকে বিক্ষোভ-মিছিল দেখা গেছে মুসলমান অধ্যুষিত দেশটিতে। ইসরাইল দলের অংশগ্রহণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার প্রেক্ষিতেই টুর্নামেন্টের ড্র স্থগিত হওয়ার পর গতকাল এলো ইন্দোনেশিয়া থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত। ফিফারএক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‌‘যথাসম্ভব শিগ্রই নতুন আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে টুর্নামেন্টের সময় ও সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।’

এখন প্রশ্ন, কোথায় হবে এবারের অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ? বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা এখনও নতুন আয়োজকের নাম ঘোষণা করেনি। তবে সেটি হতে আর্জেন্টিনায় হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাই করতে পারেনি লিওনেল মেসি, দি মারিয়াদের দেশের যুব ফুটবলাররা। টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ করে নিতে আর্জেন্টিনা তাই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চায়। ফিফাকে তারা তাদের ইচ্ছার কথা জানিয়েও দিয়েছে আর্জেন্টিনা।


বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন রিচার্লিসন

স্পোর্টস বিশ্বে দিলেন বার্তা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

সদ্য সমাপ্ত ফিফা উইন্ডোতে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়রের ২৫ সদস্যের দলে ছিলেন রিচার্লিসন। তবে মাঠে নামা হয়নি কোনো ম্যাচেই। বেঞ্চে বসেই উপভোগ করেছেন সতীর্থদের পারফরম্যান্স। তবে ম্যাচ শেষে এক সাক্ষাৎকার দিয়ে রীতিমতো আলোচনায় উঠে এসেছেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। বলেছেন চমকে ওঠা কিছু কথা, স্পোর্টস বিশ্বে দিয়েছেন বিশেষ বার্তা।

মূলত ২০২২ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল ছিল সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা দল। সেই বিশ্বকাপের হটফেভারিট ছিল তারাই। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছিল সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। টাইব্রেকারে কোয়েটদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় নেইমারদের। বাদ পড়াটাকে সহজভাবে নিতে পারেনি রিচার্লিসন। এরপরই গুগলে খুঁজতে থাকে সব আজে-বাজে জিনিস, যার মধ্যে অন্যতম ছিল মৃত্যু!

বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর মানসিক অবস্থা কেমন হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘আমি তখন কেবলই নিজের সেরা অবস্থায় বিশ্বকাপ শেষ করেছি। আমার মনে হচ্ছিল, আমি নিজের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। আমি জানি না কেন, আমি নিজেকে মেরে ফেলতে চেয়েছি বলছি না, কিন্তু হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং আমি হাল ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। এমনকি আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ভাবা হলেও বিশ্বকাপের পর মনে হচ্ছিল, সব ভেঙে পড়েছে।

এরপর মনোবিদের শরনাপন্ন হন রিচার্লিসন। তিনি মনে করেন সেই মনোবিদই তার জীবন বাঁচিয়েছে, রিচার্লিসন বলেন, ‘আমার মনে হয়, থেরাপিস্টই আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। আমি তখন শুধুই বাজে ব্যাপারগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। এমনকি গুগলেও আমি সেই আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। আমি শুধু মৃত্যু নিয়ে আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজতাম।’

স্পোর্টস বিশ্বসহ সবার উদ্দেশ্যেই বার্তা দেন এ ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। তিনি বলেন, ‘আজ আমি বলতে চাই, আপনার যদি মনোবিদের প্রয়োজন হয়, তবে তার কাছে যান। কারণ, এভাবে নিজেকে মেলে ধরাটা ভালো। ফুটবল ও ফুটবলের বাইরের দুনিয়ার সামনে বিষয়টি নিয়ে আসায় আজ একজন থেরাপিস্ট আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কারণ, আমরা পছন্দ করি বা না করি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা জীবন বাঁচিয়ে দেয়।’

মনোবিদের কাছে যাওয়াটাকে আগে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা ভাবলেও, এটা দারুণ ব্যাপার বলে আবিষ্কার করেছেন তিনি। রিচার্লিসন বলেন, ‘আগে আমার বিষয়টা নিয়ে কুসংস্কার ছিল, ভাবতাম এগুলো বোকামি। আমার পরিবারেও এমন অনেকে আছেন, যারা মনে করেন, মনোবিদের কাছে যাওয়া মানে পাগলামি। কিন্তু আমি আবিষ্কার করি, এটা দারুণ ব্যাপার। সত্যি বলছি, এটা আমার জীবনে সবচেয়ে সেরা আবিষ্কার।’

বিষয়:

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত: সাকিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ইনজুরির থাবায় বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলো আর খেলা হয়নি তার। এরপর নির্বাচনী ব্যস্ততা শেষে চোখের সমস্যা নিয়েই খেলেছিলেন বিপিএল। ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। তবে হুট করেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে দেখা করে টেস্ট দলে ফেরার কথা জানান সাকিব। প্রথম টেস্টে লজ্জাজনক হারের পর বিসিবিও আর না করেনি, দ্বিতীয় টেস্টের দলে রেখেছেন তাকে।

বিশ্বকাপের পরিবর্তন আসে নেতৃত্বে। তিন ফরম্যাটের জন্যই দায়িত্ব দেওয়া হয় নাজমুল হাসান শান্তকে। তার নেতৃত্বেই এবার মাঠে নামবে সাকিব। দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে ঢাকার একটি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নাজমুল হাসান শান্তর নেতৃত্ব, দ্বিতীয় টেস্ট এবং নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান।

প্রথম টেস্টে হারলেও নাজমুল শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে আশা দেখছেন সাকিব। তার মতে, সময় দিলে অসাধারণ অধিনায়ক হবেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (অধিনায়কত্ব নিয়ে মন্তব্য করা)। আমি নিশ্চিত বিসিবি ওকে লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

টেস্টে সব সময়ই সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশ। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে জেতা উচিত আমাদের। সাকিব বলেন, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা সংগ্রাম করেছি, আমাদের জন্য কঠিন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

প্রায় একবছর পরে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। টাইগারদের সেরা তারকা সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন গত বছর আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রত্যাবর্তন রাঙাতে অবশ্য ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই সাকিবের। খেলতে চান দলের প্রয়োজনে। বাঁ-হাতি এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই। মনে হয় না ক্রিকেট যতদিন খেলেছি, কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা অর্জনের দিকে আমার চোখ ছিল। সব সময় চেষ্টা করেছি, দলের জন্য কীভাবে অবদান রাখা যায়। দেশের হয়ে পারফর্ম করতে পারা, দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটা সব সময় গর্বের একটা বিষয়। স্বাভাবিকভাবেই টেস্ট দলে ফিরতে পেরে আমি আনন্দিত, একই সঙ্গে গর্বিত।’


ক্রিকেটারদের মানসিক সমস্যা বড় দায়

আপডেটেড ২৯ মার্চ, ২০২৪ ১৭:১৭
নাজমুল সাগর

‘ব্যাটিং ব্যর্থতা’ শব্দটি এখন দেশের ক্রিকেটের অতিপরিচিত শব্দ। কি ছেলেদের ক্রিকেট আর কি মেয়েদের ক্রিকেট; এর বাইরে নেই কেউই। ব্যাটারদের শ্রীহীন, দৃষ্টিকটু ব্যাটিং চলমান। অবস্থাটা এমন যে, সবাই যেন ব্যাট করতেই ভুলে গেছে।

গত ছয় মাসে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে নারী ক্রিকেট দল। ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ জয় করেছে। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের সিরিজ হারিয়েছে। যেখানে এক ম্যাচে আড়াইশর ওপরে স্কোর করেছিল। কিন্তু সেই দলই কি না ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করল। তিন ম্যাচের কোনোটিতেই একশ পার করতে পারল না।

লিটন-শান্তদের ব্যাটিং বিষণ্ণতা অবশ্য আরেকটু আগের। বিশ্বকাপ থেকেই চলছে তাদের রানখরা। যে কারণে বিশ্বকাপে হয়েছে ভরাডুবি। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে ব্যর্থ ছিল বেশির ভাগ ব্যাটারই। টেস্টে গিয়ে সেটা হয়েছে পুরো দল। বিশেষ করে দৃষ্টিকটু ছিল লিটন-শান্তদের আউটের ধরনগুলো।

তাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে- ব্যাটারদের এমন পারফরম্যান্সের কারণ কী? শান্ত-লিটন কিংবা পিংকি-মুর্শিদাদের এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ের কয়েকটি কারণ সুস্পষ্ট।

ওয়ানডেতে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে লিটন দাস বাদ পড়ার পর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন, ব্যাটিং করার সময় সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারা বাজে ব্যাটিংয়ের একটি কারণ হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পর একই সুরে সুর মিলিয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। বলেছেন, এটা ব্যাটারদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। ক্রিকেটাররা ক্রিকেটাররা নিজেদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে, মানসিকভাবে ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে।

ক্রিকেটারদের শট সিলেকশন আরেকটি সমস্যা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে নাজমুল শান্ত অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ড্রাইভ করে উইকেট বিলিয়ে দিলেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে অমন বল ছেড়ে দেওয়ারই কথা। শান্ত নিজেও পরে স্বীকার করেছেন, তার শট সিলেকশনে ভুলের কথা। অনেক ক্রিকেটারই আবার শট খেলবেন নাকি ছেড়ে দেবেন, সেই দ্বিধায় পড়ে বিলিয়ে আসেন উইকেট। এমন ঘটনাও দেখা গেছে অনেক।

একটা সময় বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। এরপর ফিরে এসেছিলেন সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হয়ে। একই পথে হেঁটেছিলেন সৌম্য সরকারসহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটার। এরপর তারাও ফর্ম খুঁজে পেয়েছেন কিছুটা।

বর্তমানে অনেক বড় বড় দলেই দেখা মেলে সাইক্রিয়াটিস্টের। যারা খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেন। খেলোয়াড়দের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের যে অবস্থা তাতে এখন জাতীয় দলে একজন সাইক্রিয়াটিস্ট নিয়োগের জোর দাবি উঠেছে।


দলের বিপদে পাশে নেই হাথুরুসিংহে

আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৫৩
ক্রীড়া ডেস্ক

সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যাচ্ছেতাই পাফরম্যান্স ছিল টাইগারদের। শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং, মানসিকতা, শট সিলেকশন দেখে মনে হয়েছে, তারা যেন

অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন। মুখ থুবড়ে পড়েছে হাথুরাসিংহের সব পরিকল্পনা। ফলাফল বাংলাদেশ হেরেছে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে চট্টগ্রামে আবারও মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দলের এমন বিপদের মুহূর্তে লিটন-জয়রা পাশে পাচ্ছেন না তাদের প্রধান গুরু চন্দ্রিকা হাথুরাসিংহকে। ব্যক্তিগত কাজে হঠাৎ অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন প্রধান কোচ। তার পরিবর্তে নাজমুল হাসান শান্তদের দায়িত্ব সামলাবেন সহকারী কোচ নিক পোথাস। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

সিলেটে প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি তৈরি হয়েছে বাঁচা-মারা ম্যাচে। সিরিজ বাঁচাতে এ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই নাজমুল হোসেন শান্তদের। ড্র হলেও সিরিজ চলে যাবে লঙ্কানদের হাতে। ৩০ মার্চের আগে টেস্টের জন্য দুই দিন অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। সেই প্রস্তুতিতেও দলের সঙ্গে থাকতে পারছেন না কোচ।

প্রায় এক বছর পরে এ ম্যাচ দিয়ে টেস্টে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। চোটের জন্য চট্টগ্রামে খেলতে পারবেন না জোরে বোল করা মুশফিক হাসান। তার পরিবর্তে দলে এসেছেন হাসান মাহমুদ।


বয়স আটকাতে পারেনি রিডলি জ্যাকবসকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রিকেটাররা যে বয়সে জাতীয় দলে প্রাইম টাইম বা সেরা সময় কাটান তখন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবে আনকোরা। কারণ তার জাতীয় দলে অভিষেকটা যে অন্য সবার মতো নয়। ২৯ বছর বয়সে ‍সুযোগ পান জাতীয় দলে। তবে তিনি দমে যাওয়ার নন, পরের সময়গুলোতে পারফর্ম করে গেছেন বেশ ভালোভাবেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে উইকেটের পেছনের দায়িত্ব সামলেছেন বেশ সফলতার সঙ্গেই। হ্যাঁ তিনি উইন্ডিজ উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিডলি জ্যাকবস।

অন্য সব বাবা-মায়ের মতোই জ্যাকবের মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় কিছু হবে। পাড়ার ক্রিকেটে বড়দের সঙ্গে খেলার টুকটাক সুযোগ পেতেন, সেই সঙ্গে নিজেও করতেন অনুশীলন। তবে কিপিং গ্লাভসটা পেয়েছিলেন আকস্মিকভাবেই। প্রতিদিন স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে বিকেলে মাঠে অনুশীলনে যেতেন জ্যাকবস। সিনিয়রদের সঙ্গে খেলতেনও মাঝে মধ্যে। বয়স তখন ১৭। এক দিন সিনিয়রদের সঙ্গে খেলায় সুযোগ পেলেন কিপিং করার। এরপর থেকে গ্লাভসকে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সিঁড়ি হিসেবে নেন জ্যাকবস।

তবে শুরুর দিকে জ্যাকবস জাতীয় দলে জায়গা পাননি তার ক্যাচ ধরার আনকোরা স্টাইল আর ব্যাটিং টেকনিক খারাপ বলে। তবে সেসব ঝামেলা মিটিয়ে জাতীয় দলে এসেই উইকেটের পেছনে দেখাতে শুরু করেন নিজের দক্ষতা। ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নে এক ইনিংসে সাত ক্যাচ শিকার করে, টেস্টে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচ শিকারে ওয়াসিম বারি, বব টেলর ও ইয়ান স্মিথের সঙ্গে শীর্ষে আছেন জ্যাকবস।

১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্টে অভিষেক হয় জ্যাকবসের। তার দুই বছর আগে ১৯৯৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ২০০৪ সালে বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।

জ্যাকবস ৬৫ টেস্টে ২৮.৩১ গড়ে রান করেছেন ২৫৭৭। ১২ স্টাম্পিংয়ের সঙ্গে ক্যাচ ধরেছেন ২০৭টি। ১৪ হাফ সেঞ্চুরি আর ৩ সেঞ্চুরিও আছে জ্যাকবসের নামের পাশে। দেরিতে অভিষেক হলেও আট বছর ধরে ছিলেন দলের নিয়মিত মুখ। ১৪৭ ওয়ানডেতে ২৩.৩১ গড়ে তিনি রান করেছেন ১৮৬৫। হাঁকিয়েছেন ৯টি হাফ সেঞ্চুরি। গ্লাভস হাতে ১৬০ ক্যাচ আর ২৯ স্টাম্পিংস করেছেন জ্যাকবস। জেফ ডুজনের পরে দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে ২০০ ডিসমিসাল করেছেন জ্যাকবস।

পুরো নাম : রিডলি ডেটামোর জ্যাকবস

জন্ম : ২৬ নভেম্বর, ১৯৬৭ সাল

জন্মস্থান : সুইটস ভিলেজ, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা

রাশি: তুলা

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট

প্রিয় খাবার: সামুদ্রিক মাছ

প্রিয় পানীয়: বিয়ার

প্রিয় রং: লাল, কালো

প্রিয় ক্রিকেটার: জেফ ডুজন

প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রিয় সতীর্থ: ব্রায়ান লারা

প্রিয় গাড়ি: অডি

প্রিয় শখ: গান শোনা, সিনেমা দেখা

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।


অধিনায়ক জ্যোতি বললেন মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত ছয় মাসে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জিতে এল সিরিজ, ঘরের মাঠে ভারতের সঙ্গে করল ড্র, সিরিজ জিতে নিল পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু হঠাৎই যেন বদলে গেল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে হলো ধবল ধোলাই। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯৭, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯৫ আর শেষ ম্যাচে ৮৯ রান করে বাংলাদেশ। ফলাফল হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা সঙ্গী হলো।

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। শেষ ম্যাচটি ছিল শুধুই সান্ত্বনার। কিন্তু সেখানেও ব্যাটারদের হতশ্রী পারফরম্যান্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সংগ্রহ করতে পারল মোটে ৮৯ রান। যা আগের দুই ম্যাচের চেয়েও কম। এই রান অজি মেয়েরা পেরিয়ে গেছে ৮ উইকেট আর ১৮৯ বল বাকি থাকতেই। বাংলাদেশ মূলত ম্যাচ হেরে যায় প্রথম ইনিংসেই।

এমন পারফরম্যান্সের পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বললেন সামর্থ্যের ১০ শতাংশও খেলতে পারিনি আমরা। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সামর্থ্যের ১০ শতাংশও খেলতে পারিনি। যে কারণে আমি নিজেও বিস্মিত। গত ৬ মাসে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, এটা একেবারেই তেমন না। পুরো দল ব্যর্থ। দু-একটা দিকে ভুল হলে তবুও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু পুরো দল ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলছে। মনে হচ্ছে যে ব্যাকফুটে রাখছে।’

টানা ব্যাটিং ব্যর্থতার পর প্রশ্ন উঠতে পারে প্রস্তুতি নিয়ে। কিন্তু সেখানে কোনো ঘাটতি ছিল না বলেই জানালেন অধিনায়ক। জ্যোতি বলেন, ‘প্রস্তুতি অনেক ভালো নিয়েছি। অনুশীলনে এক ধরনের মেন্টালিটি নিয়ে করছেন, এসে আরেকভাবে অ্যাপ্লাই করছেন, তখন কঠিন হয়ে যায়। কোচ বলেন বা অধিনায়ক হিসেবে বলেন, যখন দেখি খেলোয়াড় আত্মবিশ্বাসী, প্রস্তুতি ম্যাচে রান করছে, অনুশীলনে নিখুঁত ব্যাটিং করছে, এরপর যখন ভিন্নভাবে খেলছে, তখন আর কিছু করার থাকে না আমাদেরও। প্রস্তুতিতে সমস্যা ছিল বলে মনে হয় না।’

নিগারদের এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ের কারণটা তাহলে কি? বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মনে করেন মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়ের মস্তিষ্কের ব্যাপারটি বুঝতে পারব না। তবে অনেক সময় নেতিবাচক ব্যাপার চলে আসে। যদি ভালো শুরু না পায়, তখন মনে করে যে, ‘না, আমার হচ্ছে না। যখন প্রথম ম্যাচে রান করতে পারেনি, পরের ম্যাচে পারেনি, তখন কিন্তু নিজে থেকেই ব্যাকফুটে চলে যায়। সেখান থেকে অনেকে ফিরে আসতে পারে, অনেকে পারে না। আমি বলব মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার।’


কোস্টারিকাকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৬:১৫
বাসস

লস অ্যাঞ্জেলেসে পিছিয়ে পড়েও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রক্ষা করেছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ও লটারো মার্টিনেজ। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এই তিন তারকার গোলে কোস্টা রিকাকে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

ইনজুরিতে থাকায় কাল মাঠে নামতে পারেননি অধিনায়ক লিওনেল মেসি। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেমোরিয়াল কোলেসিয়ামে তাদের এই জয়টা প্রাপ্য ছিল। এর মাধ্যমে কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে দুই ম্যাচের যুক্তরাষ্ট্র সফর জয় দিয়ে শেষ করলো আর্জেন্টিনা।

এর আগে শুক্রবার ফিলডেলফিয়ায় এল সালভাদোরকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছিল লিওনেল স্কালোনির দল। গতকালের ম্যাচে পুরো প্রথমার্ধই আধিপর্ত ধরে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। বেশ কিছু আক্রমনে তারা কোস্টা রিকার রক্ষনভাগকে ব্যস্ত করে তুলে। অথচ ৩৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে উল্টো কোস্টারিকাই এগিয়ে যায়। ম্যানফ্রেড উগাল্ডের পাস থেকে আলভারো জামোরার লো শট রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক ওয়াল্টার বেনিতেজ। ফিরতি বলে উগাল্ডে বল জালে জড়ান।

৫২ মিনিটে অভিজ্ঞ ডি মারিয়ার দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফিরে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছর বয়সী বেনফিকা উইঙ্গারের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক কোস্টা রিকান গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের ধরার সাধ্য ছিলনা। সেট পিস থেকে চার মিনিট পর ব্যবধান ২-১ নিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে নিকোলাস টাগলিয়াফিকোর হেড বারে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বল পোস্টের কাছে থেকে জালে জড়ান ম্যাক এ্যালিস্টার।

ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড মার্টিনেজ ৭৭ মিনিট রডরিগো ডি পলের থ্রু বল থেকে দারুন ফিনিশিংয়ে নাভাসকে পরাস্ত করলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।


অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ নারী দল।

আজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে ১১৮ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরেছিলো টাইগ্রেসরা।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষীক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল নিগার সুলতানার দল। এই প্রথমবার ঘরের মাঠে প্রথম কোন ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা। তবে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে তিন ম্যাচের সিরিজে এই নিয়ে তৃতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। এর আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিলো টাইগ্রেসরা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে সিরিজে প্রথমবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সুমাইয়া আকতার। পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার ৫ রান করা ফারজানা হক।

৮ রানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুরশিদা খাতুন ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা। কিন্তু ২৮ বলে ১৬ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দুজন। ২১ বলে ১টি চারে ৮ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন মুরশিদা।

১১তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ নম্বরে নামা রিতু মনি ১ ও ফাহিমা খাতুন খালি হাতে বিদায় নেন। এতে ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন নিগার ও স্বর্ণা আকতার। সাবধানে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তারা।

কিন্তু দলীয় ৫৩ রানে বিচ্ছিন্ন নিগার ও স্বর্ণা। ২টি চারে ৩৯ বলে ১৬ রান করেন নিগার। জুটিতে ৩৯ বলে ২১ রান যোগ করেন নিগার ও স্বর্ণা।
এরপর ১০ রানের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যাবার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৬৩ রানে নবম উইকেট পতন হয় তাদের। কিন্তু দশম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপর চড়াও হন শেষ দুই ব্যাটার সুলতানা খাতুন ও মারুফা আকতার। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১শর রানের এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুলতানা আউট হলে ৮৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে ২২ বল খেলে ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি গড়েন সুলতানা-মারুফা। ২টি চারে ১০ রানে সুলতানা আউট হলেও ১টি বাউন্ডারিতে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মারুফা। অস্ট্রেলিয়ার কিম গ্যারেথ ১১ রানে ও অ্যাশলে গার্ডনার ২৫ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।

৯০ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ বল বাকী রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া নারী দল। নবম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট শিকার করেন অফ-স্পিনার সুলতানা। ফোবি লিচফিল্ডকে ১২ রানে আউট করেন সুলতানা। ১৩তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ৩৩ রানে আউট করেন লেগ-স্পিনার রাবেয়া খান। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন এলিসা পেরি ও বেথ মুনি। পেরি ২৭ ও মুনি ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের সুলতানা ও রাবেয়া ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন গ্যারেথ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেন গার্ডনার।

সিরিজটি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিলো। এখন অবধি ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমানসংখ্যাক ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তমস্থানে আছে বাংলাদেশ। আগামী ৩১ মার্চ থেকে মিরপুরের ভেন্যুতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।


দুই পরিবর্তন, দ্বিতীয় টেস্টে ফিরেছেন সাকিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানের লজ্জার হার পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের দুই ইনিংসেই ব্যাটাররা ছিলেন নিষ্প্রভ। শুধু দ্বিতীয় ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৫ জন। দুই ইনিংস মিলিয়ে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি ১১ জন। ফলাফল ৩২৮ রানের বড় হার। এই হারে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। চলমান সিরিজটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।

অতীতকে ভুলে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে চায় টাইগাররা। তবে প্রথম ম্যাচে সবচেয়ে ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে কোনো ব্যাটারের দায়িত্ব নিতে না পারা। সেই অর্থে ছিল না তেমন কোনো অভিজ্ঞ ব্যাটারও। সেই বিষয়গুলোকে মাথায় নিয়েই দ্বিতীয় টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে গাজী আশরাফ লিপুর নির্বাচক প্যানেল।

প্রায় এক বছর পরে টেস্ট দলে ফিরলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সর্বশেষ গত বছর এপ্রিলে দেশের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন সাকিব। সেই টেস্টে সাকিবই ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

বিশ্বকাপের ইনজুরির পর বিপিএল খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হয়নি সাকিবের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। তাই সীমিত ওভারের সিরিজের পর প্রথম টেস্টের দলেও ছিলেন না সাবেক এ অধিনায়ক। এরপর প্রথম টেস্টের আগে হঠাৎ করেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের পাপনের সঙ্গে দেখা করে টেস্ট দলে ফেরার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

সাকিবকে দলে সুযোগ করে দিতে কোনো ম্যাচ না খেলেই বাদ পড়েছেন তৌহিদ হৃদয়। মুশফিকুর রহিমের ইনজুরিতে টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সিলেট টেস্টে অভিষেক হয়নি হৃদয়ের। তাই সেই অপেক্ষাটা আরও বাড়লে।

অন্যদিকে প্রথম টেস্টের দলে থাকলেও একাদশে জায়গা হয়নি পেসার মুশফিক হাসানের। বাঁ পায়ের অ্যাঙ্কেলের ইনজুরিতে ছিটকে পড়েছেন তিনি। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে এসেছেন হাসান মাহমুদ। হাসান মাহমুদ সাদা বলের ক্রিকেটে দেশের হয়ে ৩৯ ম্যাচ খেললেও টেস্ট খেলা হয়নি। ১৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪৯ উইকেট শিকার করেছেন ডানহাতি এই পেসার।

আগামী ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

বাংলাদেশ স্কোয়াড (দ্বিতীয় টেস্ট)

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাইম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।


নারী ক্রিকেটে ইতিহাস গড়লেন নাহিদা আক্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

স্পিনার নাহিদা আক্তারের অর্জনের খাতার পৃষ্ঠা ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন অর্জনে। নারী ক্রিকেটের ইতিহাস বদলে দিচ্ছেন তিনি। সবাইকে ছাড়িয়ে দেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে নাম তুলছেন রেকর্ড বইয়ে। নাহিদার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরকেটি রেকর্ড।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ নারী দলের। প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরেছে অজিদের কাছে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাগিয়ে নিয়েছে এলিসা পেরিরা। জ্যোতিদের দলীয় পারফরম্যান্স খারাপ হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল স্পিনার নাহিদা আক্তার। প্রথম ম্যাচে দুই উইকেট শিকার করে গড়েছিলেন নারীদের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড।

এবার গড়লেন আরেকটি রেকর্ড। প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আইসিসির মেয়েদের র‌্যাঙ্কিংয়ে নাহিদা চার ধাপ এগিয়ে দশ নম্বরে অবস্থান করছেন। মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো বোলারের এটাই সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং!

অজিদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৭ রান দিয়ে নাহিদা শিকার করেছিলেন ২ উইকেট। মেডেনও দিয়েছেন একটি। দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট না পেলেও মিতব্যয়ী বোলিংয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন। ৮ ওভারে দুটি মেডেনের পাশাপাশি দেন ১৯ রান।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে; প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।


দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ব্রাজিল তারকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

২১ বছর বয়সেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। ব্রাজিলের আগের কোচ তিতের অধীনে দলে ডাক পেতেন নিয়মিতই। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন বারবোসা। এরপর অবশ্য খুব একটা পাদপ্রদীপের আলোতে দেখা যায়নি তাকে। এবার ডোপ টেস্টে জালিয়াতির অভিযোগে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ফ্ল্যাম্যাঙ্গোর এই ফরোয়ার্ড।

স্থানীয় গণমাধ্যমের সূত্রে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, রিও ডি জেনিরোর রাজ্যের লিগে ফ্ল্যাম্যাঙ্গোর ম্যাচের আগের দিন ডোপ টেস্ট নিতে কর্তৃপক্ষকে অসহযোগিতা করেছিলেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। দলের অন্যান্য সতীর্থদের তুলনায় কয়েক ঘণ্টা বেশি সময় নিয়েছিলেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর পরেই তার বিরুদ্ধে ডোপিং টেস্টে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাজিলিয়ান ডোপিং কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদানের সিদ্ধান্ত আসে। এতে বলা হয়, ‘উল্লেখিত ক্রীড়াবিদের (গ্যাব্রিয়েল বারবোসা) আজ অ্যান্টি-ডোপিং স্পোর্টস কোর্ট অব জাস্টিসে (TJD-AD) বিচার করা হয়েছিল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার প্রতারণামূলক চেষ্টায় অ্যান্টি-ডোপিং নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেছে।’

তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন ব্রাজিল তারকা। টুইটে বারবোসা বলেন, ‘আমি কখনোই কোনো পরীক্ষায় প্রতারণা করতে চাইনি। আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালতে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবো।’


ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া এবং তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। ডি মারিয়ার নিজ শহর রোজারিওতে যে বাড়িতে অবস্থান করেন, সেই ফানেস হিলস মিরাফ্লোরেস কন্ডোমিনিয়ামে সোমবার শেষ রাত আড়াইটার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তির চলন্ত গাড়ি থেকে কালো নাইলনে মোড়ানো হত্যার হুমকি বার্তা সংবলিত একটি বান্ডেল ছুড়ে মারা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ডি মারিয়া যদি রোজারিও ফিরে আসে, তাহলে তার পরিবারের কাউকে হত্যা করা হবে।

ডি মারিয়া ক্লাব ফুটবলে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন। এ বছরের ৩০ জুন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এরপর ছোটবেলার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে খেলার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। দুষ্কৃতকারীদের হুমকির মূল লক্ষ্যও এটিই। চিঠিতে বলা হয়েছে, রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে খেলতে এলেই ডি মারিয়া কিংবা তার রিবারের কাউকে হত্যা করা হবে।

রোজারিও পুলিশের বরাত দিয়ে আর্জেন্টিনার ক্রীড়া বিষয় পোর্টাল টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, ডি মারিয়ার বাড়ির বাইরে যে গাড়ি থেকে কালো নাইলনে মোড়ানো বস্তুটি ছুড়ে মারা হয়, তখন চারটি গান শটের আওয়াজ শোনা গেছে। তবে গাড়িটি তীব্র গতিতে ছিল বলে, সেই শটগুলো ছিল এলোমেলো এবং কোনো ক্ষতি হয়নি।


অজিদের রঙিন পোশাকের রঙিন তারকা টম মুডি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

পার্থের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্ম। বাবা ছিলেন কড়া হেডমাস্টার, তাই বেড়ে ওঠাটাও ছিল কড়া শাসনের মধ্যেই। পড়ালেখায় ফাঁকি দেয়ার জো নেই, কিন্তু তাই বলে কি খেলাধুলা থেমে থাকবে। খাতা-কলমের পাশাপাশি খেলার মাঠেও ছিলেন সমান দুরন্ত। স্কুল দলের হয়ে ক্রিকেটের পাশাপাশি চুটিয়ে খেলেছেন হাইজাম্প এবং অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল। বলছি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুই-দুইবার বিশ্বকাপ জেতা ক্রিকেটার টম মুডির কথা।

ক্রিকেটার না হলে হয়তো হাইজাম্প কিংবা ফুটবলকেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারতেন মুডি। কিন্তু তিনি সেসব পথে হাঁটেননি। ১৩ বছর বয়সে এসে ব্যাট-প্যাড আর হেলমেটকেই বেছে নেন ক্যারিয়ার হিসেবে। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমেই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকটাও হয়ে যায় মুডির। পাঁচ ম্যাচ খেলে সেবার প্রায় ৩৪ গড়ে সংগ্রহ করেন ৩০২ রান। মুডির সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ৯৪ রানের। দলের প্রয়োজনে হাত ঘুরিয়েছেন বল হাতেও।

ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্মের সুবাদে খুলে যায় জাতীয় দলের দরজাও। সুযোগ পান ১৯৮৭ বিশ্বকাপ দলে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি, ব্যর্থ হয়েছেন ৩ ম্যাচের ৩টিতেই। তাই বিশ্বকাপ জিতলেও পরের সিরিজেই কাটা পড়েন মুডি।

তবে কয়েক বছর পরে ফিরে এসেছিলেন ভয়ংকর রূপে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন নম্বরে নেমে ৬১ রানের ইনিংস গড়েন। টেস্টের পারফরম্যান্সে পরের বছরই ডাক পড়ে ওয়ানডে ক্রিকেটেও।

মুডি বিখ্যাত ছিলেন তার মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য। লম্বা-চওড়া হওয়ায় খুব সহজেই বল সীমানা ছাড়া করতে জানতেন। কাউন্টিতে একবার ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। সেদিন বিধ্বংসী ছিলেন এই ব্যাটার, মাত্র ১১ মিনিটে ফিফটি এবং ২৬ মিনিটে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান তিনি।

ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে তার করা এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখনো ভাঙতে পারেনি কেউই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাট হাতে ৪৬ গড়ে ২১ হজার রান এবং ৬৪ সেঞ্চুরি থাকার পরও লাল বলের ক্রিকেটে ক্যারিয়ার এগোয়নি মুডির। থেমেছেন মাত্র ৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেই। তবে রঙিন পোশাকে রাঙিয়েছেন অজিদের জার্সি। ৭৬ ম্যাচে ১,২১১ রানের পাশাপাশি তুলে নেন ৫২ উইকেট। তিনবার বিশ্বকাপ খেলে দুইবার স্বাদ পেয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ের। পিঠের ইনজুরির কারণে ২০০১ সালেই বিদায় বলে দেন সব ধরনের ক্রিকেটকে। তবে এরপর ফিরেছেন সফল কোচ হয়ে।

পুরো নাম- টমাস ম্যাসন মুডি।

জন্ম- ২ অক্টোবর ১৯৬৫ সাল।

জন্মস্থান- অ্যাডিলেড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া।

রাশি: তুলা।

প্রিয় খেলা: ক্রিকেট।

প্রিয় খাবার: ফ্রাইড চিকেন।

প্রিয় পানীয়: বিয়ার।

প্রিয় রং: সাদা।

প্রিয় ক্রিকেটার: স্যার ডোনাল্ড ব্রাডম্যান।

প্রিয় ক্রিকেট দল: অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল।

প্রিয় সতীর্থ: স্টিভ ওয়াহ।

প্রিয় গাড়ি: অডি।

প্রিয় শখ: ফুটবল খেলা।

প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।


banner close