রোববার, ২৮ মে ২০২৩

মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে পরের বিশ্বকাপেও যাওয়ার টোটকা? পিএসজিতেই থাকা  

কাতার বিশ্বকাপই মেসি ও দি মারিয়ার শেষ বলে ধরে নিয়েছিলেন সবাই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আপডেটেড
৩০ মার্চ, ২০২৩ ১৯:২৪
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক

কাতারে বিশ্বকাপ জিতেছেন, তাতে তার ক্যারিয়ার পেয়েছে পূর্ণতা। ক্লাব ফুটবলে তো সব জেতা হয়ে গেছে আগেই, ব্যক্তিগত পুরস্কারেও তার সমতায় কেউ নেই, এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের পর বিশ্বকাপ – আর কী চাই লিওনেল মেসির!

কিন্তু আর্জেন্টিনা তাকে আরও চায়। কাতার বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা মেসিকে পরের বিশ্বকাপেও দেখতে চেয়ে আর্জেন্টিনার কোচ, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এরই মধ্যে ৩৫ পেরিয়ে যাওয়া মেসির চার বছর পরের বিশ্বকাপে খেলা তো আর সহজ কথা নয়!

সেটির একটা উপায়ও বের করেছেন ১৯৭৮-এ আর্জেন্টিনাকে তাদের প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো স্ট্রাইকার মারিও কেম্পেস। উপায়টা এই – মেসির পিএসজিতেই থাকা উচিৎ।

পিএসজিতে মেসি এই মৌসুমে চুক্তি শেষ হওয়ার পর আবার চুক্তি নবায়ন করে থাকবেন কি না, তা ঘোর সংশয়ে। কিন্তু পিএসজিতে থাকার সঙ্গে তার পরের বিশ্বকাপে খেলতে পারার সম্পর্ক কী? আর্জেন্টিনার তে ই সে স্পোর্তে কেম্পেসের উত্তর, ‘ও যদি পরের বিশ্বকাপে খেলতে চায়, তাহলে ওর জন্য সবচেয়ে ভালো হবে ফ্রান্সেই থেকে যাওয়া। সেখানে ও নিজের মতো করে খেলতে পারবে, আরও বেশি বিশ্রাম পাবে।’

কেম্পেসের এই কথাতেই ফরাসি লিগ সংশ্লিষ্টদের গায়ে লাগার কথা। তবে এতেও না লাগলে পরের কথাটাতে লাগবেই, ‘ফরাসি চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে যতটুকু দরকার, ওর মান, প্রতিভা ও উদ্যম তার চেয়েও অনেক বেশি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ক্ষেত্রে হয়তো ব্যাপারটা ভিন্ন, তবে ও আরও তিন বছর পিএসজিতে থাকলে সবকিছু একেবারে নিখুঁতই হবে।’

এসবের পরও যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোতে চার বছর পর হতে যাওয়া বিশ্বকাপে মেসি খেলার মতো অবস্থায় থাকেন কি না, সেটার আরেকটা নির্ণায়ক তো হাতের কাছেই দেখেন কেম্পেস, ‘আমরা তো ২০২৬ বাছাইপর্বে ও কেমন করে সেটা দেখতেই পাব, ওর স্ট্যামিনাও বুঝতে পারব।’

কিন্তু ৩৫-এর মেসিই তো খুব বেশি একটা রক্ষণে সাহায্য করেন না বলে সমালোচনার শেষ নেই ফ্রান্সে, ৩৯ বছরের মেসি সে কাজ কতটা আর করতে পারবেন – সে শঙ্কাও তো থাকে। কেম্পেস এ নিয়ে বিন্দুমাত্রও ভাবছেন না, ‘একটা জায়গায় মেসি সবাইকে ছাড়িয়ে যায়, সেটা হলো এখনো যখন দরকার পড়ে, ও ঠিকই দৌড়ে প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে যেতে পারে। ও রক্ষণে নামল কি না, এটা নিয়ে ভাবারই দরকার কী! বরং উল্টো, বেশি দরকার এটাই যে ও যাতে জেতার তাড়ণা নিয়ে খেলে যেতে পারে। ও এখন জাতীয় দলে যতটা উদ্যম নিয়ে খেলে, পিএসজিতেও অতটুকু উদ্যম নিয়েই কিন্তু খেলে!’


বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ভিনিসিয়ুসের যুদ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

গত রোববার মেস্তায়ায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে স্বাগতিক সমর্থকদের বর্ণবিদ্বেষী চরণের শিকার হয়েছিলেন রেয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। মাঠেই প্রতিবাদ করা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিজের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন এবং সে সুবাদে লা লিগা সভাপতির সঙ্গে তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে এরই মধ্যে প্রমাণ দিয়ে দিয়েছেন, লা লিগা বর্ণবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এরই মধ্যে ব্যাপারটি মাঠ ছাপিয়ে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল পর্যন্ত বর্ণবিদ্বেষী আচরণের জন্য সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আগের ঘটনায় ও তিনজন ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের ঘটনায় অভিযুক্ত। বিশ্বজুড়ে স্পেনের ভাবমূর্তি খারাপ হওয়ার শঙ্কা জাগতেই এমন পদক্ষেপ পুলিশের। অথচ গত রোববারের আগেও বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগগুলো কর্তৃপক্ষ খারিজ করে দিত। গত জানুয়ারিতে ভিনিসিয়ুসের এমনই এক অভিযোগে ‘মাত্র কয়েকজন সমর্থক’, ‘মাত্র কয়েক সেকেন্ড’ তাকে ‘বানর’ ডেকেছে বলে অভিযোগ বাতিল করা হয়েছিল। আগের মৌসুমে মাত্র তিনটি অভিযোগ গ্রহণ করেছিল স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ।

ভিনিসিয়ুস অবশ্য আর লা লিগা বা স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের অপেক্ষায় বসে না থেকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজও অবশেষে মুখ খুলেছেন, ‘আমি ঘোষণা করছি, রেয়াল মাদ্রিদ আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আর কোনো বর্ণবাদী আচরণ সহ্য করবে না।’ তবে যেই এল চিরিঙ্গিতো অনুষ্ঠানের কারণে ভিনিসিয়ুসের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, সে অনুষ্ঠানের সঙ্গে তার সম্পর্কের ব্যাখ্যা বা সে অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কোনো ঘোষণা এখনো দেননি পেরেজ।

মাদ্রিদের বিবৃতি

গত পরশু প্রাথমিক এক বিবৃতিতে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ‘হেট ক্রাইম’ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করার কথা জানিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদ। তবে সে বিবৃতি অনেক সমর্থকেরই পছন্দ হয়নি। কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন বিবৃতিতে আরও কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছে মাদ্রিদ।

বিবৃতিতে এ ঘটনায় ভিনিসিয়ুসকে সমর্থন করায় ফিফা সভাপতি, ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট, রোনালদো নাজারিও, এমবাপ্পে, নেইমার, কাকা, রিও ফার্ডিনান্ড, জাডোন সাঞ্চ, লিনেকার এবং কাসেমিরোকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

এ ঘটনায় স্প্যানিশ ফুটবলের সমস্যা তুলে ধরায় বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মাদ্রিদ। আবার কড়া অবস্থান না নেয়ায় স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি লুইস রুবিয়াসের সমালোচনা করা হয়েছে। বারবার এমন ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি না দিয়ে ভিনিসিয়ুসের ঘাড়ে দোষ চাপানোয় শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এবং যেকোনো ধরনের ‘হেট ক্রাইম’-এর ক্ষেত্রে অতি দ্রুত শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা

স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন ও রেফারি কমিটি ছয় ভিএআর রেফারিকে বরখাস্ত করেছে। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বর্ণবাদের শিকার ভিনিসিয়ুস ম্যাচের শেষ দিকে মারামারিতে জড়ালে লাল কার্ড দেখানো হয় তাকে। ভিএআরে শুধু মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের অপরাধের অংশ দেখানো হলেও তাকে গলা চেপে ধরা ভ্যালেন্সিয়া ফুটবলারের অংশ দেখানো হয়নি।

সে ম্যাচে ভিএআরের দায়িত্বে থাকা ইগলেসিয়ায় ভিয়ানুভাকে বরখাস্ত করার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উগো দুরোর মুখে ভিনিসিয়ুসের আঘাতের ঘটনাই শুধু দেখানো হয়েছে, বাকিটা কেন দেখানো হয়নি তার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

বাস্তবতা হলো, এই ছয় রেফারিকে এই মৌসুম শেষে এমনিতেও চাকরিচ্যুত করা হতো। লা লিগা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কিছু করে না- ভিনিসিয়ুসের এমন দাবির মুখে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন তাই একটু আগেই এদের বরখাস্ত করে মানুষের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছে।

ঘুম ভেঙেছে কুম্ভকর্ণের

গতকাল স্প্যানিশ পুলিশ চার সমর্থককে আটক করেছে। গত জানুয়ারিতে মাদ্রিদ ডার্বির আগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জার্সি পরা এক পুতুলে ফাঁস পরিয়ে একটি ব্রিজ থেকে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল। সে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ নাম নির্দিষ্ট না করে বলেছে এরা মাদ্রিদভিত্তিক একটি দলের ‘খ্যাপাটে সমর্থক’। তবে স্প্যানিশ মিডিয়াগুলো সরাসরি তাদের আতলেতিকো মাদ্রিদের সমর্থক বলে জানিয়ে দিয়েছে।


রোনালদো এরপর বায়ার্নে?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও বায়ার্ন মিউনিখকে ঘিরে দলবদলের গুঞ্জন এই প্রথম নয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যখন ছাড়তে চেয়েছিলেন, তখন রোনালদোর পছন্দের তালিকার ওপরের দিকেই ছিল জার্মান পরাশক্তিরা। কিন্তু ৩৭ পেরিয়ে যাওয়া রোনালদোর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি বায়ার্ন।

এরই মধ্যে পর্তুগিজ মহাতারকা সৌদি আরবে গেছেন। সেখান আল-নাসরের জার্সিতে ১৪ ম্যাচে ১৩ গোল করেছেন। হ্যাটট্রিক করে প্রশংসা জুটিয়েছেন, আবার হতাশা প্রকাশ করে সমালোচনাও কুড়িয়েছেন। তার দলও সম্ভাব্য দুটি শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়েছে। লিগেও আছে দুইয়ে।

এরই মধ্যে আবার রোনালদোর বায়ার্নে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। সে গুঞ্জন তুলেছে জার্মান সংবাদমাধ্যম আবেনসাইটং। এ সংবাদমাধ্যমের দাবি, মার্কাস শোন নামের এক জার্মান ধনকুবের চান রোনালদো বায়ার্নে যোগ দিন। রোনালদোকে টানার যাবতীয় খরচও দিতে চান এই জার্মান ব্যবসায়ী।

রোনালদোকে কেনার জন্য ক্লাবের প্রধান নির্বাহী অলিভার কানকে নাকি মেইল দিয়েছেন শোন, যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এই দলবদলের অর্থদাতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়, তবে আমরা দলবদলের পুরো অর্থ বা স্বাভাবিক বেতনের বাকিটা দিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।

এর বিনিময়ে রোনালদোর জার্সি বিক্রির অর্থের ভাগ দাবি করেছেন শোন। সৌদি আরবে বার্ষিক ২০ কোটি ইউরো বেতন পাওয়া রোনালদোকে কি জার্মানিতে টানতে পারবেন শোন?


রিয়ালকে উড়িয়ে ফাইনালে সিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক


ম্যানচেস্টার সিটির মাঠ ইতিহাদে আগে কখনও জিততে পারেনি রেয়াল মাদ্রিদ। জিততে পারেনি গতকালও। কিন্তু গতকাল স্বাগতিক ম্যানচেস্টার সিটির সামনে এভাবে গুড়িয়ে যাবে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়নরা তা কে জানত!

রেয়াল মাদ্রিদ হেরেছে ৪-০ গোলে। অসাধারণ খেলা সিটির দুর্দান্ত স্ট্রাইকার বের্নাদো সিলভা করেছেন জোড়া গোল। একটি এদের মিলিতাও'র আত্মঘাতী, বাকি গোলটি হুলিয়ান আলভারেসের। প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ইস্তাম্বুলের ফাইনালে উঠে গেল পেপ গার্দিওলার দল। ১০ জুনের সেই ফাইনালে সিটির প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান।

আগের দুই আসরে ফাইনাল ও সেমিফাইনাল খেলেছে সিটি। কিন্তু লক্ষ্য যাদের শিরোপা, তাদের শুধু সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলাতে কী আসে যায়! সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের আগে পেপ গার্দিওলা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার মনে প্রাণেই শিরোপাটা জিততে চান তারা। সেই চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই দুর্দান্ত খেলেছে সিটি। একের পর এক আক্রমণ করেছে তারা। সিরিজ আক্রমণেরই ফসল- ২৩ মিনিটে সিলভার গোল। ডি ব্রুইনের পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।

অবশ্য এই গোলের আগেও এগিয়ে যেতে পারত সিটি। কিন্তু হা হয়নি রেয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক কোর্তোয়ার কারণে। শেষ মেষ চার গোল হজম করলেও, কেউ বলবে না বাজে খেলেছে কোর্তোয়া!

গোল হজম করে কোথায় গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে রিয়াল তা নয়, উল্টো সিটির দাপুটে পারফরম্যান্সের কাছে কোন ঠাসা হয়েই থাকতে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দলকে। তাদের মূহু মূহু আক্রমণ দেখে মনে হয়েছে ম্যাচে পিছিয়ে থাকা দল সিটি, গোল পরিশোধের জন্য মরীয়া তারা!

রেয়াল মাদ্রিদ যে চেষ্টা করেনি তা নয়, করেছে। কিন্তু সিটির অতি উদ্ভাসিত পারফরম্যান্সের কাছে তাদের সে চেষ্টা আড়াল হয়ে গেছে। ৩৭ মিনিটে আবার সিলভা সিটিকে এগিয়ে দিলে উচ্ছ্বাসে ঢেউ বয়ে যায় ইতিহাদে। চিন্তার ভাঁজ বাড়তে থাকে কার্লো আনচেলত্তির কপালে।

প্রথমার্ধে সিটির প্রাধান্য কত ছিল তা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট- ৭০ শতাংশেও বেশি বল পজেশন ছিল সিটির। এ সময় তারা শট নিয়েছে ১৩ টি, যার পাঁচটি লক্ষ্যে। কিন্তু রেয়াল মাদ্রিদের লক্ষ্য শট মাত্র ১টি।

৭৬ মিনিটে কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায় মাদ্রিদের হার। বাঁ দিক থেকে ডি ব্রুইনের ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেই নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন মিলিতাও। তখনই জয়োৎসব শুরু হয়ে যায় সিটির। ম্যাচের অন্তিম সময়ে সিটির চতুর্থ গোলটি করেন আলভারেস।


সাফে বাংলাদেশের গ্রুপে লেবানন, একই গ্রুপে ভারত-পাকিস্তান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০২১ সালে পাকিস্তান ও ভুটানের অনুপস্থিতিতে মাত্র পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। তাই একটি গ্রুপেই সিঙ্গেল রাউন্ড রবিন লিগে খেলেছিল অংশগ্রহণকারীরা। তবে ২০২৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আবারও ফিরছে দুই গ্রুপের চেনা পদ্ধতিতে এবং সেখানে ২০০৩ সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের স্থান হয়েছে ‘বি’ গ্রুপে।

আজ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ড্রতে চূড়ান্ত হয়েছে জুনে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠেয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপিং। ড্র থেকে নিশ্চিত হয়ে গেল, সেমিফাইনালের আগে ভারত বা পাকিস্তানের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না বাংলাদেশের। জামাল ভূঁইয়াদের গ্রুপসঙ্গী সাফ অঞ্চলের বাইরের আমন্ত্রিত দুই দলের একটি লেবানন। ‘বি’ গ্রুপে এ দুই দলের সঙ্গী মালদ্বীপ ও ভুটান।

অন্যদিকে স্বাগতিক ভারত ‘এ’ গ্রুপে খেলবে কুয়েত, পাকিস্তান ও নেপালের সঙ্গে। লেবাননের মতোই কুয়েতও আমন্ত্রিত দল হিসেবে খেলবে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। আগামী ২১ জুন কুয়েত-নেপাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। একই দিন সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান।

বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২২ জুন, লেবাননের বিপক্ষে। এর আগে মাত্র দুবার লেবাননের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল লেবানন। ফিরতি লেগে প্রতিপক্ষকে ২-০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।

দুই গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সেমিফাইনালে। দুই সেমিফাইনালের বিজয়ী দল ৪ জুলাই শ্রী কান্তিরব স্টেডিয়ামে লড়বে সাফের শিরোপার লড়াইয়ে।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে মাথায় রেখে এরই মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছেন। টুর্নামেন্টের আগে আগামী ১৫ জুন কম্বোডিয়ার মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশ দলের।


চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে কে- মাদ্রিদ না সিটি?

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

প্রথম লেগ ১-১ সমতায়। চ্যাম্পিয়নস লিগ এখন আর ঘরের মাঠ-পরের মাঠ নিয়ে ভাবে না, ‘অ্যাওয়ে গোল’-এর নিয়ম তো এখন আর নেই। ঘর আর পরের মাঠের ব্যবধান এখন শুধু মাঠে থাকা দর্শকের গলার আওয়াজে।

তা ইতিহাদে আজ রেয়াল মাদ্রিদকে ভয় ধরানোর মতো গলার আওয়াজ ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকদের থাকবে?

ঘরের মাঠে ম্যাচ বলে ম্যান সিটির কিছুটা আশার জোর বাড়তে পারে ঘরের মাঠে তাদের সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে ইতিহাদে হারেনি পেপ গার্দিওলার দল, এই ১৪ ম্যাচে ৪৯ গোল করার বিপরীতে খেয়েছে মাত্র ৭টি।

আর হিসাবটা যদি হয় পরের মাঠে রেয়াল মাদ্রিদের রেকর্ডের, তা হলে ম্যান সিটির জন্য আশাও জোগাবে, শঙ্কাও জাগাবে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ড্র করে দ্বিতীয় লেগে পরের মাঠে নেমেছে- চ্যাম্পিয়নস লিগে মাদ্রিদের এমন অভিজ্ঞতা ৯ বারের। তার মধ্যে ৭ বারই অভিজ্ঞতাটা সুখকর নয়, বাদ পড়েছে মাদ্রিদ- এটা ম্যান সিটির জন্য আশার বাণী।

আর শঙ্কা- বাকি যে দুবার মাদ্রিদ পরের লেগে গেছে, দুবারই দ্বিতীয় লেগটা ছিল ম্যানচেস্টারে, ২০০০ ও ২০০৩ সালে। ম্যান সিটি তো তখন ইউরোপে অচ্ছুত ছিল, মাদ্রিদের ওই দুবারের উদযাপনের ঘটনা তাদের প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে।

অবশ্য এত রেকর্ড-টেকর্ড ঘাঁটার কী দরকার! ম্যান সিটি শুধু একটা তথ্যেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে- এবার দ্বিতীয় লেগটা তো আর মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে খেলতে হচ্ছে না। কারণ? আরে, গত মৌসুমের কথা ভুলে গেলে চলবে? সেটাও তো সেমিফাইনালই ছিল। সেবার দ্বিতীয় লেগের ৮৯ মিনিটেও ৫-৪ গোলে এগিয়ে ছিল ম্যান সিটি, কিন্তু ফাইনালে উঠে শিরোপাও জিতে যায় মাদ্রিদই। বের্নাব্যু সেদিন রেঙেছিল রদ্রিগোর ছোঁয়ায়!

এবার ইতিহাদ রাঙাবে কে?

রদ্রিগো নাজারিও

রোনালদো নাজারিওকে তিনি আদর্শ মানেন। গতকাল প্রস্তুতির সময়ও রোনালদো লেখা ব্রাজিলের ৯ নম্বর জার্সি পরেই জিম করেছেন রদ্রিগো। আর এই ‘রদ্রিগো নাজারিও’কেই চাইবে মাদ্রিদ। অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলের হিসাবে তো রোনালদোকে ছাড়িয়েই গেছেন রদ্রিগো। রোনালদোর চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল ছিল ১৪টি, রদ্রিগোর এরই মধ্যে ১৫ গোল হয়ে গেছে!

ভয় দেখাও

প্রথম লেগে আর্লিং হলান্ডকে বোতলবন্দি করেই রেখেছিল রেয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় লেগেও নিশ্চয়ই ম্যান সিটি স্ট্রাইকারের জন্য আলাদা পরিকল্পনা আছে তাদের। এর মধ্যেও বাড়তি একটা পরামর্শ মাদ্রিদের জন্য দিয়ে রেখেছেন আর্সেনালের সাবেক ডিফেন্ডার মার্টিন কিওন, ‘ওদের জার্মান ডিফেন্ডারকে (রুডিগার) দাপট দেখাতে হবে। হলান্ডের এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে ও যে কাউকে টেক্কা দিতে পারবে, কিন্তু আপনাকে ওর মনে সংশয় ঢোকাতে হবে। সে ক্ষেত্রে এভারটনের ইয়েরাই মিনার মতো দরকারে ডার্ক আর্টের আশ্রয়ও নিতে হতে পারে। সেটা গুঁতো দিয়ে হোক, ‘ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনায়’ ওর পা মাড়িয়ে হোক। আপনাকে ওর মাথার ভেতরে ঢুকে যেতে হবে। ওকে ভয় দেখাতে হবে।’

ভিনিকে আলিঙ্গনের কারণ...

প্রথম লেগে ম্যাচের পর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে আলিঙ্গনে বেঁধেছিলেন ম্যাচজুড়ে প্রায় পুরোটা সময় তাকে চোখে-চোখে রাখা ম্যান সিটি ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার। কারণটা ওয়াকার জানালেন কাল সংবাদ সম্মেলনে, ‘ও আমার ওপর রেইনবো (পেছনে থাকা বলকে পায়ের নাচনে প্রতিপক্ষের মাথার ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া) করার চেষ্টা করেছিল। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে, ‘এমনটা আর কোরো না প্লিজ।’

অবশ্য ভিনিকে হুঁশিয়ারও করে দিলেন ওয়াকার, ‘আগামীকাল খেলার সুযোগ পেলে ম্যাচ শেষে ওকে আবার এই সম্মানটা আমি দেখাব। তবে এর আগে ম্যাচে... কুকুরের মাংস কুকুরে খাবে!’


আবারও হার মিলানের, ফাইনালে ইন্টার

লাওতারো মার্তিনেসের গোল উদযাপন। ছবি: এএফপি
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৩ ১৩:২৪
ক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে এসি মিলান। কিন্তু সেই মিলানের সঙ্গে বর্তমান মিলানের বেশ ফরাক। তাই তো মিলান ডার্বির রূপ নেয়া চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম এবং দ্বিতীয়- কোনো লেগেই জিততে পারেনি এসি মিলান। প্রথম লেগে ২-০ গোলে জয়ী ইন্টার গতকাল দ্বিতীয় লেগেও ১-০ গোলে মিলানকে হারিয়ে উঠে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।

২০০৯-১০ মৌসুমের পর প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল ইন্টার। সেবারই নিজেদের তৃতীয় শিরোপাটি জিতেছিল তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো ইতালিয়ান ক্লাবের সবশেষ সাফল্যে হয়ে আছে সেটিই।

প্রথম লেগে হেরে যাওয়ায় দ্বিতীয় লেগে জয়ের বিকল্প ছিল না এসি মিলানের। জিততেই হবে এমন একটা তাগিদ ছিল তাদের শুরুর পারফরম্যান্সে। ম্যাচের ৫ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা। বেশ খানিকটা দূর থেকেই গোলে শট নিয়েছিলেন থিও হার্নান্দেজ। কিন্তু তার জোরাল শট ক্রসবার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। আরও পাঁচ মিনিট পর গোল পোস্ট ফাঁকা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ ব্রাহিম দিয়াজ। কিছু সময় পর গোলের আরও ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন দিয়াজ। তার শট অসমান্য তৎপরতায় আটককে দেন ইন্টার গোলরক্ষক মাইক ম্যাগনান।

প্রতিআক্রমণ থেকেই প্রথম লেগে সাফল্য পেয়েছিল ইন্টার। এদিনও সুযোগের অপেক্ষায় ছিল তারা। কয়েকবার কাঁপিয়েও দিয়েছিল মিলানের রক্ষণকে। তবে ৭৪ মিনিটে আর শেষ রক্ষা হয়নি মিলানের। গোলদাতা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাওতারো মার্তিনেস।
দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনালে উঠে যায় ইন্টার সিমোনে ইনজাগির দল।


তিন মৌসুম পর লিগ শিরোপা ফিরে পেল বার্সা

শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাস বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৫ মে, ২০২৩ ১৩:০১
ক্রীড়া ডেস্ক

এস্পানিওলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। চার ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচ পর লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা। এর আগে সবশেষ তারা শিরোপা জিতেছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে।
শিরোপার সুবাস পেতে থাকা বার্সাকে আটকানোর ক্ষমতা ছিল না নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের। তারওপর রবাট লেভানদফস্কি আবির্ভূত হয়েছিলন স্বরূপে। দলের চার গোলের দুটিই করেছেন পোলিশ এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ১১তম মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে দেন লেভানদফস্কি। ২০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলেহান্দ্রো বালদে। ৪০তম মিনিটে রাফিনিয়ার পাস থেকে বাঁ পায়ের দর্শনীয় শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন লেভানদফস্কি। চলতি লিগে এটি তার ২১তম গোল।
৩-০ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করা বার্সেলোনাকে ৫৩ মিনিটে দলের চতুর্থ গোলটি উপহার দেন জুল কুন্দে। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের পাস থেকে দূরের পোস্টে গোল করেন তিনি। ৭৩ ও যোগ হওয়া সময়ে এস্পানিওল দুটি গােল পরিশোধ করলেও তা বার্সার শিরোপা উৎসব মাটি করতে পারেনি। এটি লা লিগায় বার্সার ২৭তম শিরোপা।
এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট বার্সেলোনার। সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুয়ে রেয়াল মাদ্রিদ।


হলান্ডকে ৪০ লাখে পেয়েও নেয়নি ইউনাইটেড

সুলশারের অধীনে যখন খেলতেন হলান্ড। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১৪ মে, ২০২৩ ১৭:৫৭
ক্রীড়া ডেস্ক

উলে গুনার সুলশার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব ছেড়েছেন প্রায় দেড় বছর আগে। এত দিন সাবেক ক্লাব নিয়ে কোনো কথা না বললেও অবশেষে ইউনাইটেডের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশার কথা শোনালেন নরওয়েজিয়ান সাবেক স্ট্রাইকার। মূল হতাশা, তার স্বদেশি আর্লিং হলান্ডকে কিনতে ইউনাইটেডের রাজি না হওয়া।

এ মৌসুমেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়েছেন হলান্ড। এরই মধ্যে ৫১ গোল করে ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন। অথচ, ইউনাইটেডের জার্সিতেই খেলতে পারতেন এই গোলমেশিন, সেটাও পাঁচ বছর আগেই।

২০১৮ সালে সুলশার তখনো ইউনাইটেডের দায়িত্ব পাননি। নরওয়েতে মোল্ডের দায়িত্বে নিজের অধীনে পেয়েছিলেন হলান্ডকে। এমন প্রতিভা পেয়ে নিজের প্রাণের ক্লাবকে জানিয়েছিলেন সে খবর। কিন্তু ইউনাইটেড পাত্তা দেয়নি তখন।

এন ইভেনিং উইথ উলে গুনার সুলশার- অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রাণ খুলে কথা বলেছেন সাবেক ইউনাইটেড কোচ। দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, সেখানে এই ইউনাইটেডের ‘ভুলের’ কথা জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি ইউনাইটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কারণ, আমাদের কাছে প্রতিভাবান এক স্ট্রাইকার আছে, যাকে ওদের দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওরা কানে তোলেনি। আমি মাত্র ৪০ লাখ চেয়েছিলাম। কিন্তু নিল না। মাত্র ৪০ লাখ। জিজ্ঞেস করবেন না (এখন ওর দাম কত হবে)। ও এত ভালো...’

হলান্ডের দলবদলের মতোই আরও অনেক কিছু নিয়ে ইউনাইটেডের মালিকপক্ষ গ্লেজার পরিবারের ওপর বিরক্ত সুলশার। নিজের সাবেক ক্লাবে নতুন মালিক দেখতে চান তিনি, ‘এটা দরকার (নতুন মালিক)। ওল্ড ট্রাফোর্ড অবহেলিত। অনুশীলন মাঠকেও অবহেলা করা হয়েছে। অন্য দলগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে আমাদের।’


রেফারিং নিয়ে অসন্তুষ্ট আনচেলত্তি, মাদ্রিদকে চেনেন বলেই অস্বস্তিতে গার্দিওলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এ নিয়ে ৯ বার মুখোমুখি হয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি ও পেপ গার্দিওলা। গতকালই প্রথম কোনো ম্যাচে ড্র নিয়ে ফিরলেন দুজন। তবে রেয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তি তাতে খুব একটা খুশি হতে পারছেন না। তার চোখে, রেফারি ভুল না করলে ম্যান সিটি গোলই পায় না।

উল্টোদিকে সিটি কোচ গার্দিওলা আছেন স্বস্তিতে। সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে কাল চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়, সে কারণে নিজেদের মাঠে আগামী বুধবার দ্বিতীয় লেগে 'ফাইনালে'র প্রত্যাশায় আছেন গার্দিওলা। পাশাপাশি ড্রয়ে স্বস্তি জানিয়ে বললেন, 'মাদ্রিদের ক্ষেত্রে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ার চেয়ে ড্রটা তো অন্তত ভালো!'

প্রথমার্ধে ভিনিসিয়ুসের গোলা, দ্বিতীয়ার্ধে দে ব্রুইনার বুলেট - বের্নাব্যুতে কাল ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে এই দুই গোল। তবে দুটি গোলই এসেছে এমন সময়ে, যখন প্রতিপক্ষ ম্যাচে দাপুটে অবস্থায়। গার্দিওলা সোজাসুজিই বললেন, 'খেলার মান শুধু গোল দিয়ে বোঝা যায় না। আমরা শুরুতে ভালো খেলেছিলাম। আবার মাদ্রিদ যখন ভালো খেলছিল, তখন আমরা গোল পেয়েছি।'

দ্বিতীয় লেগে এখন ফাইনালের অপেক্ষায় গার্দিওলা, 'দ্বিতীয় লেগ...একটা ফাইনাল সেটা। আমরা অপেক্ষায় আছি। তবে এই ম্যাচগুলো মোটেও সহজ নয়।'

মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ কেন সহজ নয়, তা গার্দিওলার চেয়ে ভালো আর কে বোঝেন। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালেই তো, দ্বিতীয় লেগে ৮৯ মিনিটের সময়ও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে ছিল সিটি। সেখান থেকে দুই মিনিটে দুই গোলে ম্যাচটা গেল অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে হেরে যায় গার্দিওলার দল!

মাদ্রিদ যে যেকোনো সময় কিছু একটা করে ফেলার ক্ষমতা রাখে, তা জানেন বলেই গার্দিওলা কাল বললেন, 'মাদ্রিদ কী - সেটা আমি জানি। গত বছরের মুখগুলোকেই তো দেখছি আমি।'

উল্টোদিকে মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি ম্যাচের পর ছিলেন কিছুটা বিরক্তিতে। ম্যাচ ড্র হওয়ায় তার অনুভূতি, 'জয়টা আমাদেরই প্রাপ্য ছিল, তবে আমাদের এবং ম্যান সিটির দুই দলের জন্যই ড্র ভালো ফল।'

কিন্তু সিটি যে গোলের কারণে ড্র নিয়ে বাড়ি ফিরছে, তা নিয়ে আপত্তি আছে মাদ্রিদ কোচের। সোজাসুজিই বলে দিলেন, 'আমার কাছে মনে হয়েছে বল বাইরে চলে গিয়েছিল। এর ঠিক আগেই একটা কর্নার দেয়নি। রেফারি সতর্ক ছিলেন না।'

আনচেলত্তির আপত্তির জায়গাটা এই যে, দে ব্রুইনার গোলের কিছুক্ষণ আগে বল মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিল। সে হিসেবে তখন থ্রো ইন দিতে হতো। কিন্তু মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়াদৈনিক মার্কার বিশ্লেষণ, 'লস ব্লাঙ্কোস দাবি করছে দে ব্রুইনার গোলের আগে বল মাঠের বাইরে গেছে। কিন্তু ভিএআর ওটা রিভিউ করার ক্ষমতা নেই। কারণ, বল বাইরে যাওয়ার ঘটনার আরও পরে সিটির গোলের আগের আক্রমণ শুরু হয়েছে, কামাভিঙ্গার পা থেকে বল কেড়ে নেয়ার পর থেকে। সে কারণে এর চেয়ে পিছিয়ে (কামাভিঙ্গার বলের দখল হারানো) গিয়ে ভিএআর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার যৌক্তিকতা নেই।'


ভিনির গোলা, দে ব্রুইনার বুলেট - মাদ্রিদে শোনা গেল 'ফাইনালের' ডাক

আপডেটেড ১০ মে, ২০২৩ ১১:১৬
ক্রীড়া ডেস্ক

ফলের দিক থেকে বিবেচনা করলে ম্যাচটা একেবারে বিশেষ কিছু হয়ে মনে গেঁথে থাকবে না। প্রথমার্ধে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলায় এগিয়ে যাওয়া রেয়াল মাদ্রিদকে সমতায় নামিয়ে আনে দ্বিতীয়ার্ধে কেভিন দে ব্রুইনার বুলেট! ১-১ সমতা নিয়েই কাল মাদ্রিদ থেকে ফিরেছে ম্যানচেস্টার সিটি, আগামী বুধবার দ্বিতীয় লেগই সব ঠিক করে দেবে - কে যাবে ফাইনালে।

তবে ৯০ মিনিটজুড়ে কাল যে দারুণ ফুটবলের প্রদর্শনী হলো, সেটা চোখ ধাঁধিয়ে গেছে। সিটির বল দখলে রাখার চেনা চিত্র দেখা গেল, মাদ্রিদের অবিশ্বাস্য কাউন্টার অ্যাটাকও, দ্বিতীয়ার্ধে বলের দখলে মাদ্রিদের দাপটের মাঝে সিটির পাল্টা গোল...গোল দুটিও কী অসাধারণ! গোলকিপারদের ব্যস্ত থাকতে হলো দুই পোস্টেই। সবকিছুই যেন ছিল সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে।

যার শেষে থাকল ফাইনালের আগে 'ফাইনালের' আবাহন। নকআউট পর্বে প্রত্যেক ম্যাচই তো আসলে 'ফাইনাল', তবে দুই দলের শক্তি আর ফর্মের বিচারে মাদ্রিদ আর সিটি ম্যাচটাই এবার সত্যিকারের ফাইনাল হলে বুঝি বেশি মানাত। সেটা তো আর হচ্ছে না, তবে যে সমীকরণ নিয়ে হাজির হচ্ছে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ, তাতে দুই দলের কাছে সেটাই তো ফাইনাল। জিতলে শিরোপার হাতছানি, হারলে বাড়ি!

বের্নাব্যুতে কাল রেয়াল মাদ্রিদ কী কৌশল নেয়, সেটিই ছিল দেখার। গার্দিওলা তো গত মাস দুয়েকে এই মৌসুমের 'কম্বিনেশন' পেয়েই গেছেন - চার সেন্টারব্যাক রক্ষণে রেখে এর মধ্যে স্টোনসকে 'ইনভার্টেড রাইটব্যাক' বানিয়ে দেয়া। আক্রমণের সময়ে তিনি মাঝমাঠের পেছন দিকে রদ্রির সঙ্গে থাকবেন, আর তাদের সামনে ডাবল নাম্বার টেন গুন্দোয়ান ও দে ব্রুইনার। ৩ ডিফেন্ডার, মাঝমাঠে চারজনের 'বক্স' আর সামনে দুই উইঙ্গার ও স্ট্রাইকার - ইউরোপে এখন বল দখলে রাখতে চাওয়া অনেক দলেরই কৌশল এটি। মাদ্রিদে কালও সেই কৌশলেই নেমেছেন গার্দিওলা।

কিন্তু টনি ক্র্যসকে রক্ষণের সামনে 'পিভটে' রেখে পাল্টা আক্রমণনির্ভর যে কৌশলে নামলেন মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি, সেটিই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। দুই সেন্টারব্যাক রুডিগার ও আলাবা বলতে গেলে হলান্ডের গায়ে গায়েই লেগে ছিলেন। যে কারণে ম্যাচজুড়ে হলান্ড পড়ে পাওয়া দু-তিনটি সুযোগও কাজে লাগানোর মতো জায়গা পাননি।

শুরুতে সিটিরই বলের দখল বেশি ছিল, কিন্তু মাদ্রিদের 'ন্যারো শেইপের' কারণে বক্সে ঢোকা হচ্ছিল না গার্দিওলার দলের। এর মধ্যে দি ব্রুইনা ও রদ্রি বক্সের বাইরে থেকে দুটি শটে শুধু মাদ্রিদ গোলকিপার কোর্তোয়ার পরীক্ষা নিলেন, এই যা! কিন্তু উল্টো দিকে মাদ্রিদের বেনজেমা-ভিনিসিয়ুস-কামাভিঙ্গাদের দু-তিন চোখধাঁধানো স্পর্শে সিটির মাঝমাঠ আর রক্ষণ পেরোনো দুর্ধর্ষ পাল্টা আক্রমণের ঝাঁঝ ঠিকই ছিল।

৩৬ মিনিটে তেমন এক পাল্টা আক্রমণের ফসল - ভিনিসিয়ুসের গোল। নিজেদের অর্ধ থেকে কামাভিঙ্গা বল নিয়ে ছুটলেন, মদরিচের সঙ্গে একবার দেয়া-নেয়া করে দিলেন ভিনিসিয়ুসের পায়ে। নিজেদের অর্ধ থেকে সিটি বক্স...মাত্র ১২ সেকেন্ডে! এরপর? ৩০ গজ দূর থেকে ভিনিসিয়ুসের দুর্দান্ত শট ঠেকানোর সাধ্য ছিল না সিটি গোলকিপার এদেরসনের।

বিরতির পর আবার উল্টো চিত্র। এবার মাদ্রিদেরই বলের দখল বেশি, সিটি তখন হয়তো প্রমাদ গুনছিল। মাদ্রিদের হঠাৎ একটি-দুটি গোল বের করে নেয়ার সামর্থ তো সবার জানা, তা হয়ে গেলে সিটির আর দ্বিতীয় লেগ নিয়ে আশা থাকতো না! কিন্তু তা তো হয়ইনি, হলো উল্টো। ৬৭ মিনিটে সিটির গোল!

ঠিক পাল্টা আক্রমণ নয়, মাদ্রিদের অর্ধেই কামাভিঙ্গার পাস আটকে দেন রদ্রি, তার কাছ থেকে বল গুন্দোয়ানের পায়ে। তার পাস যখন মাদ্রিদ বক্সের সামনে পড়ল দে ব্রুইনার সামনে, শুধু দেখার ছিল দে ব্রুইনার শটটা কেমন হয়। গত মৌসুম দুয়েকে, বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগে, শট একেবারে নিখুঁত না হলে মাদ্রিদ গোলকিপার কোর্তোয়াকে যে হার মানানো যাচ্ছে না! দে ব্রুইনার শটটা হলো যেন শতভাগের চেয়েও বেশি নিখুঁত! রীতিমতো বুলেটের গতিতে জড়িয়ে গেল জালে!

শেষদিকে বেনজেমার হেড একহাতে ফিরিয়ে সিটিকে সমতায় রেখেছেন এদেরসন, এখন অপেক্ষা দ্বিতীয় লেগ কী রোমাঞ্চ জমিয়ে রেখেছে তা দেখার।


সেই সিটির সামনে আবার মাদ্রিদের ‘মি. চ্যাম্পিয়নস লিগ’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

রদ্রিগো গোয়েস। নামটা ম্যানচেস্টার সিটির কোনো সমর্থকের এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়ার কথা নয়। সেই চ্যাম্পিয়নস লিগ, সেই সেমিফাইনাল, সেই রেয়াল মাদ্রিদ যখন সামনে, রদ্রিগো নামটা আবার সিটিজেনদের কপালে ভাঁজ না ফেলে পারে না। দেজা ভ্যু- হবে না তো আবার?

মাত্রই পাঁচ দিন আগে বর্ষপূর্তি হলো সে দিনটার। মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ, ৮৯ মিনিট শেষেও দুই লেগ মিলিয়ে সিটি ৫-৩ গোলে এগিয়ে। টিভি পর্দায় দেখাচ্ছিল, সিটির ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা ৯৯%, মাদ্রিদের ১%। পরের দুই মিনিটে রদ্রিগোর দুই গোল!

শেষ পর্যন্ত শিরোপাই জিতে নেয়া মাদ্রিদের সামনে আজ আবার যখন সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতেই নামছে ম্যান সিটি, রদ্রিগো নামটা আলোচনায় এমনিতেই আসার কথা। ২২ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকার আলোচনায় আসছেন ফর্মের কারণেও। গত পরশু মাদ্রিদের কোপা দেল রে শিরোপা জয়ের পথে ফাইনালে দলের দুই গোলই তো করেছেন রদ্রিগোই!

এতটুকুই যদি ম্যান সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার কপালে বাড়তি ভাঁজ ফেলে দেয়, সে ক্ষেত্রে বাড়তি তথ্য- চ্যাম্পিয়নস লিগটা রদ্রিগোর ‘প্রিয়’ টুর্নামেন্ট। পরিসংখ্যান তা-ই বলে। এমনই যে, একসময়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নামের সঙ্গে সেঁটে যাওয়া ‘মিস্টার চ্যাম্পিয়নস লিগ’ উপমা এখন লেগে গেছে রদ্রিগোর গায়ে!

ইউরোপে অন্য রূপে

  • ইউরোপে প্রতি ৭৩ মিনিটে এক গোল রদ্রিগোর। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা- দুই টুর্নামেন্টেই ৫টি করে গোল ব্রাজিলিয়ান তরুণের, অথচ চ্যাম্পিয়নস লিগের চেয়ে লিগে ১৮টি ম্যাচ বেশি খেলেছেন।
  • শুধু এই মৌসুমেই নয়, সব মিলিয়েই রেয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩৭ ম্যাচে ১৬ গোল রদ্রিগোর, যেখানে লিগে ১২ গোল করেছেন ১০০ ম্যাচে!
  • চ্যাম্পিয়নস লিগে গড়ে প্রতি ১১৪ মিনিটে একটি গোল রদ্রিগোর। মাদ্রিদের জার্সিতে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বসূচক টুর্নামেন্টটিতে ‘গোলপ্রতি গড় মিনিটে’ এর চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু আলফ্রেদো দি স্তেফানো ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।


রোনালদোর পর মেসিরও সৌদি যাওয়া ‘নিশ্চিত’ হলো

প্যারিস ছেড়ে সৌদির পথে মেসি/এএফপি
আপডেটেড ৯ মে, ২০২৩ ১৭:৫৭
ক্রীড়া ডেস্ক

রোনালদোর পর সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছেন লিওনেল মেসিও। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সৌদি আরবের একটি ক্লাবের সঙ্গে কথা পাকাপাকি হয়ে গেছে মেসির। এখন শুধু চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষা। মেসি 'বড় অঙ্কের' চুক্তিতে সৌদি ক্লাবে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।

চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র এএফপিকে বলেছে, 'চুক্তিটি ব্যতিক্রমী। বিরাট চুক্তি। আমরা এখন খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি।'

এ বিষয়ে পিএসজির কাছে জানতে চাইলে তারা বলেছে, মেসি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এর চেয়ে বেশিকিছু জানাতে রাজি হয়নি ক্লাবটি।

গত সপ্তাহে পিএসজির অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরবের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দেশটিতে সফর করেন মেসি। সে সফরের কারণে মেসিকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল পিএসজি। এরপরই ক্লাবটির সঙ্গে মেসির চুক্তি নবায়নের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।

গত মাসে মেসিকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো বার্ষিক বেতনে দলে টানার প্রস্তাব দেয় সৌদি ক্লাব আল-হিলাল। মেসি এই প্রস্তাবটিই গ্রহণ করছেন নাকি অন্য কোনো ক্লাব মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে যোগ দিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি এএফপি।


গোল না পাওয়া রোনালদোরই জার্সি নিয়ে কাড়াকাড়ি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

চেষ্টা কম করেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, কিন্তু আজীবনের 'সঙ্গী' গোল যেন কাল রাতে আড়ি পেতেছিল পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের সঙ্গে। গোল পেলেনই না! ৫৮ মিনিটে একবার বল জালেও জড়িয়েছিলেন, কিন্তু অফসাইডে গোল বাতিল। রোনালদো গোল না পাওয়ার রাতে তার ক্লাব আল-নাসরও সৌদি লিগে আরও পিছিয়ে গেল। আল-আওয়াল পার্কে কাল পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকের দল আল-খালিজের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে রোনালদোর আল-নাসর।

তবে ম্যাচের পর রোনালদোকে নিয়ে হয়েছে আবেগের আতিশয্যের প্রদর্শনী। রোনালদো প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় হতে পারেন, কিন্তু তিনি তো রোনালদোই। তার জার্সি পেতে ম্যাচের পর কাড়াকাড়ি লেগে যায় আল-খালিজের খেলোয়াড়দের। এর মধ্যে আল-খালিজের এক কর্মকর্তা এসে সেলফিও তুলতে চাইলেন রোনালদোর সঙ্গে। সব মিলিয়ে কিছুটা বিরক্ত রোনালদো এক পর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন ওই আল-খালিজ কর্মকর্তাকে।

রোনালদোর মেজাজ ভালো না থাকার কারণ খুঁজতে বেশি দূর যেতে হয় না। একে তো নিজে গোল পাননি, দলও জেতেনি। তারওপর দিনের অন্য ম্যাচে লিগশীর্ষে থাকা আল-ইত্তিহাদ ৪-০ গোলে হারিয়েছে আভাকে, এতে রোনালদোদের চেয়ে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে আল-ইত্তিহাদ। লিগে দুই দলের আর ম্যাচ বাকি ৪টি করে। তিন শিরোপার মধ্যে আগেই দুটি হারানো রোনালদোর সৌদি লিগও এবার বুঝি আর জেতা হচ্ছে না!

অবনমন বাঁচাতে লড়তে থাকা আল-খালিজ চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায়, ১৭ মিনিটে আল-নাসরকে সমতায় ফেরান আলভারো গনসালেস। এরপর শত চেষ্টায়ও আর গোল পাননি রোনালদোরা।

বিষয়:

banner close