শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আইপিএলে আজ কোন ম্যাচ, বায়ার্ন-সিটি ম্যাচ কোন চ্যানেলে

হলান্ডের গোলের উল্লাসও আজও দেখা যাবে? ছবি: টুইটার
আপডেটেড
১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১৭:১১
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৩ ১০:২৬

টিভি ও মোবাইলে আজ কোন খেলা কখন কোন চ্যানেলে দেখতে পাবেন, তা দেখে নিন –

ক্রিকেট

আইপিএল

রাজস্থান – লক্ষ্ণৌ । রাত ৮টা । গাজী টিভি, টি স্পোর্টস

ফুটবল

চ্যাম্পিয়নস লিগ

বায়ার্ন মিউনিখ – ম্যানচেস্টার সিটি । রাত ১টা । সনি টেন ২, টফি অ্যাপ

ইন্টার মিলান – বেনফিকা । রাত ১টা । সনি টেন ১, টফি অ্যাপ


গ্রাহকদের বিমা সুবিধা প্রদানে গার্ডিয়ান ও এগ্রিগেট নেটওয়ার্কের চুক্তি স্বাক্ষর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এগ্রিগেট নেটওয়ার্ক লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। সাম্প্রতিক এ চুক্তির অধীনে, এগ্রিগেট নেটওয়ার্কের গ্রাহকরা গার্ডিয়ান এর বিমা সুবিধা উপভোগ করবেন।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন গার্ডিয়ান এর অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ ও এগ্রিগেট নেটওয়ার্কের ডিরেক্টর সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গার্ডিয়ান এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব রিটেইল বিজনেস মাহমুদুর রহমান খান, চিফ অপারেটিং অফিসার মোঃ সাউদ ইমরান, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার সজিব হোসেন এবং প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব মাইক্রোইনস্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট আব্দুল হালিম এবং এগ্রিগেট নেটওয়ার্ক লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার ড. হাফিজুর রহমান; সিনিয়র ম্যানেজার শেফাত-উল-ইসলাম ও সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।


আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও সকল সরকারি অফিস, ব্যাংক খোলা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৭ মে, ২০২৫ ১২:৫৩
বাসস

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটির কারণে কর্ম ঘন্টা পুষিয়ে নিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আজ ১৭ মে দেশের সব সরকারি অফিস খোলা রয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ৬ মে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঈদের আগে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হবে। এর ফলে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীরা ঈদের ছুটি উপভোগ করবেন। এই টানা ছুটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই মূলত ১৭ ও ২৪ মে—এই দুই শনিবার অফিস চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সপ্তাহের এই দিনগুলোতে সরকারি অফিস বন্ধ থাকে, তবে এবার তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ছুটিকালীন সময়ে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে ১৭ ও ২৪ মে—এই দুই শনিবার সব অফিস যথারীতি চালু থাকবে। এছাড়া, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবাগুলো যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা, ডাক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মীরা ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।

একইভাবে, চিকিৎসা সেবা, হাসপাতাল এবং ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণে নিয়োজিত কর্মী ও যানবাহনও এই ছুটির বাইরে থাকবে। সরকারি দপ্তরের এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের ফলে টানা ছুটির সুবিধা যেমন মিলবে, তেমনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলোর কার্যক্রমও নির্বিঘ্নে চলবে।


জনতা ব্যাংকের নতুন পরিচালক মোঃ ওবায়দুল হককে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং এনআরবিসি ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুল হক জনতা ব্যাংক পিএলসি’র নতুন পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন। ১২ মে সোমবার এ উপলক্ষে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান। এ সময় ব্যাংকের পরিচালক বদরে মুনির ফেরদৌস, ড. মোঃ আব্দুস সবুর, আব্দুল মজিদ শেখ, এ কে এম খবির উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল আওয়াল সরকার, ড. মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ও মোঃ আহসান কবীর এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান ও কোম্পানি সেক্রেটারি মোঃ আবদুল আলীম খান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মোঃ ওবায়দুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ হতে সন্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরশুভী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।


অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হতে এখনো বাকি এক মাস। এর আগেই দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড গড়লো এই অর্থবছর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ২৫ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ২ শতাংশ বেশি এবং দেশের ইতিহাসে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।

২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে এক মাসে হাতে থাকতে ২০২৪-২৫ অর্থবছর রেমিট্যান্সে এই রেকর্ড গড়ল।

এর আগে, চলতি বছরের মার্চে ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা মাসিক হিসাবে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এপ্রিলে মোট ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এদিকে, মে মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। গত বছর মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।


এইচবিএল প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর: বাণিজ্য-বিনিয়োগে নতুন অঙ্গীকার

এইচবিএল-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ নাসির সেলিম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হাবিব ব্যাংক লিমিটেড (এইচবিএল)-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ নাসির সেলিম সম্প্রতি তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন। এই সফরে তিনি আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি ব্যাংকের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বেসরকারি খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা ।

গত ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে হাবিব ব্যাংক বাংলাদেশে কাজ করছে। দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বহুজাতিক ব্যাংকটি। চীনে শক্ত অবস্থান তৈরি করা ব্যাংকটির শাখা রয়েছে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর বেইজিংয়ে। হাবিব ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীনে কাজ করা তিনটি ব্যাংকের মধ্যে একটি যারা চীনা মুদ্রায় লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা দেয়। এতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজ করতে বিশেষভাবে অবদান রেখে চলেছে ব্যাংকটি।

ঢাকায় ব্যাংকটির একটি ‘চায়না ডেস্ক’ রয়েছে যা ব্যবসায়ীদের ভাষা, নিয়মকানুন ও ব্যাংকিং সেবা নিয়ে সহায়তা করে। এতে করে চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্য আরও সহজ হচ্ছে।

কৌশলগত সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এইচবিএল সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) চালু করেছে। এর মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সেবা আরও সহজ হবে। বিশেষ করে দেশের ইকোনমিক জোন ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা থেকে রপ্তানি বাড়াতে এটি সহায়ক হবে।

মোহাম্মদ নাসির সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার। আমরা চাই বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা সহজে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করুক। চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলোতে আমরা তাদের পাশে থাকতে চাই।’

এইচবিএল তার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও অংশীদার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে ব্যবসা বাড়াতে সহায়তা করেছে। ব্যাংকটি ট্রেড ফাইন্যান্স, পরামর্শ সেবা, বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা ও বৈদেশিক মুদ্রা সেবা নিয়ে কাজ করছে।


শুক্রবার খোলা থাকবে ৪ রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের দীর্ঘ ছুটি শুরু হলেও শুক্রবার (২৮ মার্চ) ৪ রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সোনালী, জনতা, অগ্রণী এবং রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক এবং কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের আগেই বেতন-ভাতা তোলার সুবিধার্থে এসব ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা শুক্রবার খোলা থাকবে।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়াত্ত এসব ব্যাংক খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।। এ সময়ের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত জুমাতুল বিদার বিরতি থাকবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়ম অনুযায়ী ভাতা পাবেন বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


সংকটাপন্ন ৬ ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে

ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, এক্সিম ব্যাংক, ইউসিবি, আইএফআইসি ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক
প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির কারণে প্রায় ধসের মুখে থাকা ১১টি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকের মধ্যে ছয়টি ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত ছয় মাসে আমানত সংগ্রহ ও গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এসব ব্যাংক এ অগ্রগতি অর্জন করেছে। গত বছরের আগস্টে গভর্নর আহসান এচ মনসুর দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে।

ঘুরে দাঁড়ানো ছয়টি ব্যাংক হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), আইএফআইসি ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। এসব ব্যাংকের বেশির ভাগই এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল নয়। সময়োপযোগী হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতি সহায়তার ফলে এগুলো তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ সরে যাওয়ার পর দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক আমানতকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর ব্যাংকটি গত ছয় মাসে ১৭ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহ করেছে। গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাপক আমানত উত্তোলনের চাপে পড়েছিল ব্যাংকটি, যার ফলে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তারল্য সহায়তা নিতে হয়। তবে, বর্তমানে এ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, কারণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকটি পুনরায় স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা পায়। তবে, আমানতের ধারাবাহিক প্রবাহ বজায় থাকায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাংকটির আর তারল্য সহায়তার প্রয়োজন হয়নি।

এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে ব্যাংক মুক্ত হওয়ার পর চেয়ারম্যান নিযুক্ত ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান, গত ছয় মাসে ব্যাংকটিতে সাড়ে ১২ লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তিনি ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকাকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার মূল্যায়নের জন্য একটি অডিট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে এবং অতীতের অনিয়মের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পূর্বে শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রিত আইএফআইসি ব্যাংক গত চার মাসে চার হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, যা গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা আমানত হারায় ব্যাংকটি। ফলে অক্টোবরে ব্যাংকের মোট আমানত ৪৫ হাজার কোটি টাকায় নেমে আসে, যেখানে জুলাই মাসে এটি ছিল ৫০ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।

বিপুল পরিমাণ আমানত উত্তোলনের ফলে তারল্য সংকট দেখা দেয় এবং ব্যাংক আমানতকারীদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়। তবে, চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে নবনিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদ গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় আমানতের প্রবাহ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে।

পূর্বে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর আমানত উত্তোলনের চাপ কাটিয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমানত প্রবাহ বাড়ায় ব্যাংকটি নিজস্ব তারল্য দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর ব্যাংকটি দুই হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। তবে, আমানত ক্ষয় বন্ধ হওয়ায় গ্রাহকেরা এখন আবার তাদের তহবিল ফিরিয়ে দিচ্ছেন। গত ছয় মাসে ব্যাংকটি দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা নিট আমানত সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে ৯০ শতাংশ এসেছে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, যা আগে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল, জুলাই অভ্যুত্থানের পর সাত হাজার কোটি টাকা আমানত উত্তোলনের মুখে পড়েছিল। তবে তারল্য সংকট কাটিয়ে ওঠার পর ব্যাংকটি এখন স্বাভাবিক নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করায় ব্যাংকটির বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পুনরায় সচল হয়েছে। তবে, এস আলম গ্রুপের সময় খোলা এলসির বিপরীতে বড় অঙ্কের অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার কারণে ব্যাংকটি এখনো কিছুটা তারল্য সংকটে রয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পর ছয় মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটি নতুন করে ৯০০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। এছাড়া, ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত চার হাজার কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

এক্সিম ব্যাংক ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রমও বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে এবং আমানত উত্তোলনের চাপ কমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এক্সিম ব্যাংক ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া তারল্য সহায়তার একটি বড় অংশ পরিশোধ করেছে। বর্তমানে এ দুটি ব্যাংক আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তার ওপর নির্ভর করছে না।


৬ ব্যাংকের নিরীক্ষায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত দেশের ৬টি ব্যাংকের সম্পদের গুনমান মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং (ইওয়াই) ও কেপিএমজিকে নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে দেশের ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

নিরীক্ষার জন্য বাছাই ব্যাংকগুলো হলো-

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ইওয়াই গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক এবং কেপিএমজি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের নীরিক্ষা করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেন, ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) পদে ফিরতে পারবেন কিনা, তা নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।

নিরীক্ষায় যদি প্রমাণিত হয় এমডিরা আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নন, তাহলে তারা আবার তাদের ভূমিকায় ফিরে যেতে পারেন। অন্যথায় তাদের স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানান শিখা।

উল্লেখ্য, ৬টি ব্যাংকের মধ্যে চারটিই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংস্কার প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সহায়তাকারী এডিবি সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। তারা ব্যাংকগুলোর সম্পদের গুণগত মান পর্যালোচনার সুপারিশ করায় এই উচ্চ পর্যায়ের নিরীক্ষা করা হয়।

এরই মধ্যে ৬টি ব্যাংকের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিরীক্ষা দলকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ কর্মকর্তা এবং এডিবির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বৈঠকে স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক পরিদর্শনে বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের আশঙ্কাজনক নমুনা পাওয়া গেছে।


৫ ব্যাংকের এমডিকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঋণ জালিয়াতিতে আলোচিত আরও ৫ ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো- এক্সিম, গ্লোবাল ইসলামী, এসআইবিএল, আইসিবি ইসলামিক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। রোববার তাদের ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, এডিবির অর্থায়নে ৬টি ব্যাংকের ফরেনসিক অডিট শুরু করছে বিদেশি অডিট ফার্ম। স্বচ্ছতার সঙ্গে অডিট সম্পন্ন করতে তারা চায় বর্তমান এমডিরা কেউ দায়িত্বে না থাকুক। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।

বিএবির ভাইস চেয়ারম্যান ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে অডিট সম্পন্ন করার জন্য এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারও দায় প্রমাণিত না হলে তিনি আবার ফিরতে পারবেন। এর আগে শনিবার ফার্স্টসিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তাকে আগামী তিন মাসের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়। এ সময়ে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করবেন ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার ৬ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করে। সেখানে এসব ব্যাংকে অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে এস আলম ঘনিষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক শনিবার পরিচালনা পর্ষদের জরুরি বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদের জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোর উচ্চ পদে শিগগিরই পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে। ২০১৭ সালে এস আলম ইসলামী ব্যাংক দখলের সময় আব্দুল মান্নানকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পদত্যাগ করানো হয়।


নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ

দুদকের মামলা, স্ত্রী ও ছেলেও আসামি
নসরুল হামিদ বিপু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৮১ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্যও পেয়েছে দুদক। এসব অভিযোগে নসরুল হামিদ বিপু, তার স্ত্রী সীমা হামিদ ও ছেলে জারিফ হামিদের নামেও আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আক্তার হোসেন জানান, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় দুদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরেক মামলায় নসরুল হামিদ বিপু ও তার ছেলে জারিফ হামিদকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ছেলে জারিফের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ২০টি ব্যাংক হিসাবে ২৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা জমা এবং ১৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

ছেলে জারিফের লেনদেনকে ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ উল্লেখ করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ এবং পিতার প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার ছেলে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

তৃতীয় মামলায় নসরুল হামিদ বিপু ও তার স্ত্রী সীমা হামিদকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় সীমার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া তার ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা এবং ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনসহ ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।

গত ২২ আগস্ট নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওইদিন তার প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রুপে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এ ছাড়া রাজধানীর বনানীর নসরুল হামিদের ‘প্রিয় প্রাঙ্গণ’ নামে ভবনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি ভল্টে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ২০০ তুর্কি মুদ্রা উদ্ধার এবং অস্ত্র-গুলিসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।


এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আলোচিত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধকরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক ইব্রাহীম মিয়া এ নির্দেশ দেন।

এদিন দুদকের উপপরিচালক (টিম লিডার) মো. আবু সাঈদ এ আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ১২৫ টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধকরণের নির্দেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ০১ (এক) বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বিভিন্ন শাখার ১২৫টি হিসাবে জমাকৃত বাইশ কোটি পয়ষট্টি লাখ ঊনপঞ্চাশ হাজার একশত একানব্বই টাকা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। এসব হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।

আবেদনে আরও বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন উদ্দেশ্যে ব্যাংক হিসাবসমূহে জমা রেখেছেন। যেকোনো সময় এ অর্থ উত্তোলন করে বিদেশে পাচার বা গোপন করার আশঙ্ক্ষা রয়েছে।


ব্যাংকে চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকগুলোতে প্রবেশ স্তরের চাকরির জন্য নতুন বয়সসীমা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমা আগের ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত ১৮ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় এমন সরকারি করপোরেশন এবং স্ব-শাসিত সংস্থার জন্য সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘অধ্যাদেশের আলোকে এখন ব্যাংকগুলোকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছর নির্ধারণের নির্দেশনা দেওয়া হলো।’

২০১৩ সালের ২৩ জুন বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ০৮-এ বর্ণিত পূর্বের নির্দেশনাও বাতিল করা হয়। তবে, প্রত্যাহার করা নির্দেশিকাগুলোর অধীনে পূর্বে নেওয়া পদক্ষেপগুলো বৈধ থাকবে।


৬ ব্যাংকের ঋণপত্রের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:৩৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সংকটে পড়া ছয় ব্যাংকের ঋণপত্র (এলসি) খোলার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ঋণপত্র খোলার সময় এসব ব্যাংককে আর শতভাগ মার্জিন বজায় রাখতে হবে না। এর আগে চলতি বছরের আগস্টে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।

সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর এই উদ্যোগ নেওয়া হলো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক চিঠির মাধ্যমে এসব ব্যাংককে এখন থেকে শতভাগ মার্জিন শর্ত না মেনে আগের নিয়মে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়।

এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আগে সমালোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের দখলে ছিল।


banner close