চক্র পূরণ করেই এসেছিলেন রেয়াল মাদ্রিদে। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে সম্ভাব্য সবকিছু জিতে তবে পা রেখেছিলেন স্পেনে। মাদ্রিদে এসে টনি ক্রুস তিন বছরেই জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ। একবার নয়, একাধিকবার।
শুধু কো্পা দেল রে বারবার হাত ফসকে যাচ্ছিল ক্রুসের। অবশেষে ৯ বছর পর স্পেনের ঘরোয়া কাপ জেতার স্বাদ পেলেন জার্মান মিডফিল্ডার।
গতকাল ওসাসুনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা দেল রে জিতেছে মাদ্রিদ। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম ঘরোয়া এই টুর্নামেন্ট জিতল স্প্যানিশ পরাশক্তিরা। মজার ব্যাপার, ২০১৪ সালের দলবদলেই মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন ক্রুস। কিন্তু ক্রুস যোগ দেয়ার পর আর কখনো কোপা দেল রের ফাইনালে ওঠা হয়নি তাদের।
অবশেষে অধরা ট্রফির স্বাদ পেয়ে তৃপ্ত ক্রুস, ‘এ ট্রফিটাই ছিল না আমার। আমার জন্য তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মাদ্রিদের হয়ে সব জিততে চেয়েছিলাম আমি। আজ আমি তাই করেছি এবং আমি অত্যন্ত খুশি। এখন উদযাপন করার পালা।’
জয়টা সহজে পায়নি মাদ্রিদ। তুলনামূলক দুর্বল দল হয়েও পুরো সময়টা মাদ্রিদের সঙ্গে লড়েছে ওসাসুনা। ক্রুসও স্বীকার করে নিলেন সেটা, ‘ফাইনাল জেতা কখনো সহজ নয়। আজও দেখেছি, কঠিন ম্যাচ ছিল। আমাদের সেরা পারফরম্যান্স ছিল না। কিন্তু যারা শেষ বিন্দু দিয়ে লড়ে এমন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এটাই স্বাভাবিক।’
দাপট দেখাতে না পারলেও জিততে পেরেই তাই খুশি ক্রুস, ‘কাপ ফাইনালে সবকিছুই হতে পারে, কিন্তু ওদের গোলের পর আমরা ধার বাড়াতে পেরেছি। ফাইনাল জেতার জন্য খেলে, সুন্দ ফুটবল খেলার জন্য না।’
গতকাল ক্রুসের মতোই মাদ্রিদের হয়ে সব ট্রফি জেতার রেকর্ড হলো এদেন আজার, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ফেদে ভালভার্দে ও রদ্রিগোসহ অনেকের। তবে এর মধ্যেও ডেভিড আলাবা ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। মাদ্রিদে যোগ দেয়ার দুই বছরের মধ্যেই সব ট্রফি জেতার স্বাদ পেয়েছেন এই দুজন। এদের মধ্যে কামাভিঙ্গার বয়স মাত্র ২০। ওদিকে আলাবাও গড়েছেন ক্রুসের কীর্তি। ভিন্ন দুটি ক্লাবের হয়ে সম্ভাব্য সব ট্রফি শুধু এ দুজনই জিতেছেন।
আঙুলের ইনজুরির কারণে দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান নেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটিতে। কিন্তু বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের অভাবটা ব্যাট হাতে না পারলেও বল হাতে বিন্দুমাত্র টের পেতে দেননি জাতীয় দলের আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
প্রথম টেস্টে কিউইদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্যে থাকা তাইজুল একাই বাগিয়ে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। আর তাতেই টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে লম্বা লাফ দিয়েছেন এই টাইগার স্পিনার।
সদ্য হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে আট ধাপ এগিয়েছেন তাইজুল। পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। বিদেশিদের ভেতর পেছনে ফেলেছেন এনরিক নরকিয়া, নেইল ওয়াগনার, কেমার রোচ, মোহাম্মদ শামি, মার্ক উডের মতো বোলারদের।
বর্তমানে তাইজুলের রেটিং পয়েন্ট ৭০৮। অবস্থান করছেন র্যাঙ্কিংয়ের ১৪ নম্বরে।
র্যাঙ্কিংয়ের ২৩ নম্বরে দ্বিতীয় বাংলাদেশি স্পিনার হিসেবে অবস্থান মিরাজের। ৫৯২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনি এগিয়েছেন দুই ধাপ। দুই ধাপ এগিয়েছেন সাকিব আল হাসানও। বর্তমানে তার রেটিং পয়েন্ট ৫৭১। অবস্থান করছেন র্যাঙ্কিংয়ের ২৭ নম্বরে।
এদিকে ৮৭৯ পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন কাগিসো রাবাদা ও রবীন্দ্র জাদেজা। এরপর যথাক্রমে রয়েছেন প্যাট কামিন্স, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও অলি রবিনসন (যৌথভাবে পঞ্চম), জেমস এন্ডারসন, নেইথন লিয়ন। সবাই এগিয়েছেন এক ধাপ করে।
র্যাঙ্কিংয়ের ৯ নম্বরে থাকা লঙ্কান বোলার প্রবাথ জয়সুরিয়া এগিয়েছেন দুই ধাপ। আর তিন ধাপ এগিয়ে সেরা দশে ঢুকে পড়েছেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক।
আগে থেকেই ধারণা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটটি হবে স্পিনবান্ধব। হয়েছেও শেষ পর্যন্ত সেটি। কিন্তু শের-ই-বাংলার ‘ধানক্ষেত’-খ্যাত এই স্লো আর লো উইকেটে ব্যাটারদের ব্যাট করতে এমন বেগ পেতে হবে- সেটি হয়তো ধারণা করতে পারেননি কেউই।
স্পিনারদের একচেটিয়া রাজত্ব ও ব্যাটারদের উইকেটে কেবল টিকে থাকার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার দিন পতন ঘটেছে মোট ১৫ উইকেটের।
উইকেটবৃষ্টির দিনে কেবল সোয়া তিন সেশন ব্যাট করে মাত্র ১৭২ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসের চাকা। তবে কিউইরা ব্যাট করতে নেমে যে খুব স্বস্তির দিন পার করেছে, সেটি বলা যাবে না কোনোভাবেই। কেননা দিন শেষে কেবল ৫৫ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হয়েছে তারা। বিনিময়ে প্রথম দিন তাদের বিলিয়ে দিতে হয়েছে পাঁচ পাঁচটি উইকেট।
এক তাইজুল ও মিরাজেই ধসে যায় কিউই ব্যাটিং লাইন-আপ। আর সে সুবাদে ১১৭ রানে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
আলোকস্বল্পতার কারণে প্রথম দিন কিউইরা খেলতে সক্ষম হয় ১২.৪ ওভার। ১২ বলে ১০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন ড্যারিল মিচেল। উইকেটের অপর প্রান্তে ৬ বলে ৫ রান করে তাকে সঙ্গ দেন গ্লেন ফিলিপস।
হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে দিনের শুরু থেকেই ছিল বাজে আবহাওয়া ও আলোকস্বল্পতার চোখ রাঙানি। মেঘলা আবহাওয়ার কারণে দিনের শুরু থেকেই জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল ফ্ল্যাডলাইট। সেই সঙ্গে ছিল থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
এমন বিরূপ আবহাওয়ার ভেতর টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিউই পেসতোপ সামলে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকলেও খুব বেশিক্ষণ সতর্ক থাকতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটাররা।
বোলিং আক্রমণে স্পিনার আসার পর টাইগাররা ফেরে স্বরূপে। স্বাগতিকদের শিবিরে শুরু হয় প্রথাগত ও নিজেদের ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিকটু ও বাজেভাবে অকাতরে উইকেট বিলিয়ে সাজঘরে ফেরার মিছিল। যার শুরুটা হয় জাকির হোসেনকে দিয়ে।
উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাত্র ৮ রান করেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে। পরের ওভারে ফেরেন আরেক ওপেনার জয়ও। অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।
দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে হালভাঙা তরীর মতো দিশাহারা বাংলাদেশ খেই ফিরে পাওয়ার জন্য তাকিয়ে ছিল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুমিনুল হকের দিকে। কিন্তু স্যান্টনার ও অ্যাজাজ প্যাটেলের সুবাদে সেটি হয়ে ওঠেনি। দলীয় ৪১ রানের মাথায় মুমিনুল (৫) ফেরার পরের ওভারেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ৯ রানে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তকেও। আর তাতেই ৪৭ রানে চার টপ অর্ডার হারিয়ে অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার চোখ রাঙানি দেখতে থাকে স্বাগতিকরা।
তবে সেই চাপ সামলে নিয়ে দলকে অনেকটাই ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। কিন্তু দলটা যে বাংলাদেশ। ভালো সময় চলতে থাকলেও জোর করে খারাপ সময় নিয়ে আসাই যেন তাদের লক্ষ্য থাকে।
আর সে কারণেই ইনিংসের ৪১তম ওভারে বল ঠেকানোর পর সেটি হাত দিয়ে ধরে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে এমন আউটের কীর্তি গড়েছেন মুশি। একই সঙ্গে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটার হিসেবে এমন অদ্ভুতভাবে আউট হন মুশফিক। মাঠ ছাড়ার আগে ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ৩৫ রান।
মুশির বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন-আপ। দুই সেশন ব্যাট করে দলীয় সংগ্রহ ১৪৯ রানে পৌঁছানোর পর তৃতীয় সেশনে কেবল ২৩ রান যোগ করা সম্ভব হয় স্বাগতিক ব্যাটারদের পক্ষে। আর সে সুবাদে প্রথম ইনিংসে হাথুরুর শিষ্যদের পুঁজি দাঁড়ায় সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান।
কিউইরা স্পিন দাপট দেখালেও বল হাতে টাইগার স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামও ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। দলীয় ২২ রানের ভেতরই এই দুই স্পিনার তুলে নেন টম ল্যাথাম এবং ডেভন কনওয়ের উইকেট।
মাত্র ১ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হন অফফর্মে থাকা ব্যাটার হেনরি নিকোলাসও। এরপর ম্যাচের দ্বাদশ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ, ফেরান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কেন উইলিয়ামসন এবং কিউই উইকেটকিপার ব্যাটার টম ব্লান্ডেলকে।
এরপর আলোকস্বল্পতায় ১৩তম ওভারে দিন ঘোষণা করা হয়। আর দিন শেষে ৫ উইকেটের খরচায় ৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারীরা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্বে দ্বিতীয় দফায় বসানো হয় শ্রীলঙ্কান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর প্রায় এক বছর পার হতে চলল। কিন্তু এখনো তিনি শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট দেখে সেটি কেমন আচরণ করবে তা বুঝে উঠতে পারেন না।
শের-ই-বাংলার উইকেট যেন হাথুরুর কাছে হিব্রু ভাষায় লেখা কোনো উপন্যাস। পাঁচ দিনের খেলায় উইকেট কেমন আচরণ করবে সেটি বুঝতেই হাথুরুর এক দিন লেগে যায়।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান লঙ্কান এই কোচ। একাদশ কেমন হবে সেটি এখনই নির্ধারণ না করে ম্যাচের আগে উইকেটের কন্ডিশন দেখে নির্ধারণ করবেন বলে এ সময় তিনি মন্তব্য করেন।
হাথুরু বলেন, ‘এটা পিচের অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। আর অবশ্যই আমাদের শক্তিমত্তার ওপরও। যেমনটা আপনি বললেন, সিলেটে আমরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ৫ দিনের প্রতিটিতেই আমরা আধিপত্য বিস্তার করেছি। ভালোভাবে লড়াই করেছি। সেখানেও আমরা আমাদের শক্তি আর সিলেটের কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করেই দলটা বানিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর মিরপুরের কথা আপনি জানেন, কখনো কখনো মাঠে নামার আগে আপনি বুঝবেন না পিচ কেমন আচরণ করতে যাচ্ছে, এমনকি কয়েকটা সেশন না খেললে বোঝা যায় না (উইকেট কেমন)। যেহেতু এখানে অনেক বেশি খেলা হয়... আমার মনে হয় না বিশ্বের আর কোনো মাঠে এত বেশি খেলা হয়, যতটা এই মাঠে হয়ে থাকে। তো আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।’
হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের উইকেট ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য। এখানে টেস্টে পেসার ছাড়াও খেলার একাধিক নজির আছে বাংলাদেশের। টার্নিং, মন্থর আর উঁচু-নিচু বাউন্সের কারণে ব্যাটারদের কাজ এখানে বরাবরই বেশ কঠিন।
কিন্তু সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দেখা গিয়েছিল ভিন্ন এক মিরপুরকে। আর সে কারণেই হাথুরুর কপালে চিন্তার কালো ভাঁজ সেটি বলার অপেক্ষাই রাখে না।
পুরো নাম- ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা
জন্ম- ৩০ অক্টোবর ১৯৬০
জন্মস্থান- লানুস, আর্জেন্টিনা
মৃত্যু- ২৫ নভেম্বর ২০২০
রাশি- বৃশ্চিক
প্রিয় খেলা- ফুটবল
প্রিয় খাবার- পাস্তা
প্রিয় রং- কালো ও সবুজ।
প্রিয় নম্বর- ১০
প্রিয় খেলোয়াড়- রিভেলিনো (ব্রাজিল), জর্জ (বায়ার্ন মিউনিখ)।
প্রিয় পানীয়- বিয়ার ও ককটেল।
প্রিয় গাড়ি- ফেরারি টেসটারোসা
প্রিয় পোষ্য জীব- কুকুর
প্রিয় ক্লাব- নাপোলি
প্রিয় কোচ/ম্যানেজার- উডো লাটেক ও সিজার লুইস মেনোত্তি।
প্রিয় লেখক- এদুয়ার্দো গালেনো।
প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড- পুমা
একটি দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়ে এসে তাদের বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রেখে উদীয়মান ক্রিকেটার তুলে আনাই একটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের একাডেমির কাজ। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষেত্রে এসে বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। একাডেমির সংজ্ঞাটাই পুরো বদলে গেছে বিসিবির কাছে এসে।
অন্যান্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও একটি একাডেমি রয়েছে। রয়েছে একাডেমি ভবনও। কিন্তু সে সবকিছুই কেবলই নামে। কাজ তাদের পুরোই ভিন্ন। বিসিবির একডেমি নামে থাকলেও কাজে মোটেও নেই।
বিসিবির একাডেমির আদতে কোনো কাজ না থাকলেও কিছুটা কাজে লাগে একাডেমি ভবনটি। যেখানে ক্রিকেটার প্রস্তুতের সব কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে দেখা মেলে ভিন্ন চিত্রের।
বর্তমানে একাডেমি ভবনটি কেবল ব্যবহার করা হচ্ছে বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটারদের থাকার জন্য। সেখানে জাতীয় দলের ঢাকার বাইরে থেকে আসা ক্রিকেটাররাও থাকেন। সেখানে রয়েছে ক্রিকেটারদের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিসিবির মার্কেটিং বিভাগের অফিস নিয়ে আসা হয়েছে এই একাডেমি ভবনে। একই সঙ্গে এই ভবনেই অবস্থান করছে দুর্নীতি দমন বিভাগের (আকসু) অফিস।
প্রতি বাজেটে এই একাডেমি ভবনের পেছনে বড় অঙ্কের বাজেট প্রণয়ন করা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার করার কথা ছিল উদীয়মান ক্রিকেটার তুলে আনার পেছনে। কিন্তু বাস্তবে সেই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে ‘হোস্টেলে’ থাকা ক্রিকেটারদের থাকা-খাওয়ার পেছনেই। কেননা এই দুই কাজ ছাড়া আর কোনো কাজের দেখা মেলে না একাডেমির।
এত প্রভাবশালী এক ক্রিকেট বোর্ডের একাডেমির যদি এমন বেহাল দশা থাকে, তাহলে সেই দেশের ক্রিকেট দলের কাছ থেকে এমন বেহাল পারফরম্যান্স আশা করাটা অবাস্তব কিছু যে না, সেটি চোখ বন্ধ করেই হয়তো বলে দেওয়া সম্ভব।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে সিঙ্গাপুর। আর তাদেরই ঘরের মাঠে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের দুটিতেই উড়িয়ে দিয়েছে সাবিনা-সানজিদারা। প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে জয় বাগিয়ে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগ্রেসরা জয় পেয়েছে ৮-০ ব্যবধানে।
এর ভেতর দিয়ে ২০২৩ সালের ফিফা আন্তর্জাতিক চক্র দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। সিঙ্গাপুরের জালে বাংলাদেশের করা আট গোলের ভেতর জোড়া গোল করেন তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা। একটি করে গোল করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, সুমাইয়া মাতসুমি ও জুনিয়র শামসুন্নাহার।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল বাংলাদেশ। যার ফলে ১৬ মিনিটের মাথায়ই লিড পায় বাংলাদেশ।
সাবিনার ফ্রি কিক থেকে বক্সের ভেতর থাকা তহুরা হেড থেকে বের করে আনেন প্রথম গোল।
এক মিনিট বাদেই অধিনায়ক সাবিনার নেয়া কর্নার থেকে দুর্দান্ত এক প্লেসিংয়ে স্কোরলাইন ২-০ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ২৪তম মিনিটে বক্সের মধ্য থেকে সানজিদার শট সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক গ্রিপে নিতে পারেননি। সামনে থাকা তহুরা বল জালে পাঠান।
৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়ায় স্বাগতিকরা। ৫৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ে সানজিদার সুবাদে।
চার মিনিট বাদেই সিঙ্গাপুরের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে ঋতুপর্ণা বাঁ পায়ে জোরালো শটে দলকে এনে দেন পঞ্চম গোল। ৭৫তম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের পাসে সাবিনা দারুণ প্লেসিং করে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন।
বাংলাদেশের শেষ দুটি গোল আসে দুই বদলি খেলোয়াড় মাতসুসিমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়রের সুবাদে। ৮৭তম মিনিটে বদলি মাতসুসিমা দারুণ এক সাইড ভলিতে গোল করে ব্যবধান ৭-০ তে নিয়ে যান।
আর যোগ করা সময়ে সিঙ্গাপুরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়ে বড় জয় নিশ্চিত করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপের মিশন শেষ হয়েছিল আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের। ভঙ্গ হয় বয়সভিত্তিক দলের শিরোপা খরা ঘোচানোর। তবে শিরোপা হাতছাড়া হলেও আলবেসেলেস্তিয়ানদের মিলেছে সান্ত্বনা পুরস্কার।
সেরা গোলদাতার পুরস্কার ঝুলিতে পুরেছেন দ্য জায়ান্টখ্যাত ফরোয়ার্ড আগুস্তিন রুবের্তো। বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জিতেছেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
বয়সভিত্তিক এবং মূল বিশ্বকাপ মিলিয়ে সপ্তম আর্জেন্টাইন হিসেবে তার হাতে উঠেছে সেরা গোলদাতার পুরস্কার। সদ্যসমাপ্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৮ গোল করেছেন তিনি।
বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক ম্যাচে রুবের্তো সেনেগালের বিপক্ষে গোলের পর জাপান এবং পোল্যান্ডের বিপক্ষেও একটি করে গোল করেছিলেন। এরপর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জোড়া এবং জার্মানির বিপক্ষে পায়ের দ্যুতিতে বল জালে জড়ান তিনবার। সেই হ্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনার ফাইনাল খেলার আশাও আরও কিছু সময়ের জন্য উজ্জীবিত হয়। যদিও টাইব্রেকারে সেটি পরিণত হয়েছিল দুরাশায়।
রুবের্তোর আগে ২০০৭ সালে সর্বশেষ আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক দলের হয়ে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন সার্জিও আগুয়েরো।
বয়সভিত্তিক ফুটবলে আর্জেন্টিনা সেবারই সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল। যথারীতি বিশ্বকাপের সঙ্গে ব্যক্তিগত পুরস্কারেও ছিল আর্জেন্টাইনদের দাপট। সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার (৬ গোল) পুরস্কার উঠেছিল আগুয়েরোর হাতে।
তারও আগে ১৯৩০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বপ্রথম টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন গিলের্মো স্তাবিলে। সে আসরে তিনি করেছিলেন ৮ গোল। ফাইনালে উঠলেও স্বাগতিক উরুগুয়ের কাছে হেরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা হয়নি।
পুরো নাম- লুইস লিওনেল আন্দ্রেস মেসি
জন্ম- ২৪ জুন, ১৯৮৭ সাল
জন্মস্থান- রোসারিও, আর্জেন্টিনা
রাশি- কর্কট রাশি
প্রিয় খেলা- ফুটবল ও হ্যান্ডবল
প্রিয় খাবার- আসাদো (মাংসের গ্রিল), মিলানসা (মাংস দিয়ে বানানো আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী খাবার), পাস্তা, চকোলেট, আইসক্রিম, সালাদ ও সব ধরনের মিষ্টি খাবার।
প্রিয় রঙ- লাল
প্রিয় ফুটবলার- পাবলো এইমার, জাভি ফার্নান্দেজ, নেইমার জুনিয়র, সার্জিও বুসকেটস, স্যামুয়েল ইতো, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ডেভিড ভিয়া, জলাতান ইব্রাহিমোভিচ ও রোনালদিনহো।
প্রিয় পানীয়- ইয়ারবা মেট (এক প্রকারের চা যেটি কি না ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ) ও কোকাকোলা।
প্রিয় গাড়ি- রেঞ্জ রোভার স্পোর্টস, ফেরারি ৩৩৫৫ স্ক্যাগিলিটি স্পাইডার
প্রিয় চলচিত্র- বেবিজ ডে আউট, নাইন কুইনস, সন অব দ্য ব্রাইড
প্রিয় টিভি সিরিজ- প্রিমিসিয়াস
প্রিয় ফুটবল দল- চেলসি
প্রিয় প্রতিপক্ষ- জার্মানি
প্রিয় কোচ/ম্যানেজার- পেপ গার্দিওলা
প্রিয় সঙ্গীতশিল্পী- সার্জিও টরেস
প্রিয় গান- কুম্বিয়া
প্রিয় বই- এল মার্টিন ফিরেরো; লেখক- জর্জ লুইস বোর্গেস
পছন্দের কাজ- গান শোনা, ভিডিও গেমস খেলা, ঘুমানো, পরিবারকে সময় দেয়া
প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড- এডিডাস
প্রতিটি বিশ্বকাপের আগে প্রত্যাশার বুলি আউড়ে টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু কোনোবারই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করে দেখানোর যে স্বপ্ন ক্রিকেটাররা দেখান, দেশের ক্রিকেটভক্তদের সেটি পূরণ হয় না কোনোবারই।
গেল কয়েকটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ, নির্বাচক প্যানেলের আওড়ানো বুলি আর মাঠের পারফরম্যান্সের ভেতর ফারাক কতটা।
প্রতি বিশ্বকাপ ও বড় কোনো টুর্নামেন্টে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় কাউকে না কাউকে। কখনো সমালোচিত হতে হয় ক্রিকেটারদের, কখনো দায় পড়ে কোচদের ওপর, কখনোবা নির্বাচকদের। আর এমনটা হয়ে আসছে লম্বা সময় ধরেই।
বাজে পারফরম্যান্সের কারণে কমিটি গঠন করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। কিন্তু ব্যর্থতার কারণ কোনোবারই বের করে আনতে পারেন না তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কোনো সমস্যাই যেন তারা খুঁজে পান না।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর এমনই এক তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। কিন্তু সেই কমিটির রিপোর্ট আরেকটি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি। হয়তো পুরো বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব সহকারে নেন না তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তা না হলে হয়তো কোনো না কোনো প্রতিবেদন অন্তত বেরিয়ে আসত তাদের কাছ থেকে।
প্রতিবারের মতো সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপেও বাজে পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৯ ম্যাচের ভেতর কেবল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের দেখা মিলেছে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের। বাকি ৭ ম্যাচেই টাইগাররা দেখিয়েছে তাদের অসহায়ত্ব।
আর সে কারণেই আরও একবার বিশ্বকাপের ব্যর্থতার কারণ বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার থেকে শুরু হয়েছে তদন্ত কমিটির কাজ। শুরুতে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের তলব করা হয়েছে। বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে নির্বাচকদের নিয়ে বৈঠকে বসবে তদন্ত কমিটি। এরপর ধাপে ধাপে কোচ, অধিনায়ক সবার কাছ থেকেই ব্যাখ্যা চাইবে তদন্ত কমিটি।
তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে আছেন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান। তার মধ্যে এনায়েত হোসেন সিরাজকে আহ্বায়ক এবং মাহবুব আনাম ও আকরাম খানকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রতিটি বিশ্বকাপের আগে প্রত্যাশার বুলি আউড়ে টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু কোনোবারই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করে দেখানোর যে স্বপ্ন ক্রিকেটাররা দেখান, দেশের ক্রিকেটভক্তদের সেটি পূরণ হয় না কোনোবারই।
গেল কয়েকটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ, নির্বাচক প্যানেলের আওড়ানো বুলি আর মাঠের পারফরম্যান্সের ভেতর ফারাক কতটা।
প্রতি বিশ্বকাপ ও বড় কোনো টুর্নামেন্টে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় কাউকে না কাউকে। কখনো সমালোচিত হতে হয় ক্রিকেটারদের, কখনো দায় পড়ে কোচদের ওপর, কখনোবা নির্বাচকদের। আর এমনটা হয়ে আসছে লম্বা সময় ধরেই।
বাজে পারফরম্যান্সের কারণে কমিটি গঠন করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। কিন্তু ব্যর্থতার কারণ কোনোবারই বের করে আনতে পারেন না তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কোনো সমস্যাই যেন তারা খুঁজে পান না।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর এমনই এক তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। কিন্তু সেই কমিটির রিপোর্ট আরেকটি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি। হয়তো পুরো বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব সহকারে নেন না তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তা না হলে হয়তো কোনো না কোনো প্রতিবেদন অন্তত বেরিয়ে আসত তাদের কাছ থেকে।
প্রতিবারের মতো সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপেও বাজে পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৯ ম্যাচের ভেতর কেবল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের দেখা মিলেছে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের। বাকি ৭ ম্যাচেই টাইগাররা দেখিয়েছে তাদের অসহায়ত্ব।
আর সে কারণেই আরও একবার বিশ্বকাপের ব্যর্থতার কারণ বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার থেকে শুরু হয়েছে তদন্ত কমিটির কাজ। শুরুতে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্যদের তলব করা হয়েছে। বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে নির্বাচকদের নিয়ে বৈঠকে বসবে তদন্ত কমিটি। এরপর ধাপে ধাপে কোচ, অধিনায়ক সবার কাছ থেকেই ব্যাখ্যা চাইবে তদন্ত কমিটি।
তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে আছেন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান। তার মধ্যে এনায়েত হোসেন সিরাজকে আহ্বায়ক এবং মাহবুব আনাম ও আকরাম খানকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পরিসংখ্যানটা যেমন রংধনুর মতো রঙিন, ঠিক তার বিপরীত চিত্র ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে। বড় দলের বিপক্ষে সাদা পোশাকে টাইগারদের পারফরম্যান্সটা বিবর্ণ-ধূসর। অবস্থাটা এমন দাঁড়ায়- মাঝে মধ্যে যে পাঁচ দিন টিকে থাকাই যেখানে দুষ্কর, সেখানে জয়ের আশা করাটা বিলাসিতা ছাড়া কিছুই না।
এমন হতশ্রী অবস্থা যে দলের, তারা যদি নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করে, তবে সেটি যে অনন্য এক মাইলফলক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ব্ল্যাকক্যাপদের বিপক্ষে প্রথমবার বনেদি ফরম্যাটের লড়াইয়ে বাংলাদেশ নেমেছিল ২০০১ সালে। ১৫ টেস্ট পর ২০২০ সালে এসে মাউন্ট মঙ্গাইনুতে। ঐতিহাসিক সেই জয়ের মাধ্যমে অবসান ঘটেছিল টাইগারদের দুই দশকের আক্ষেপের।
ইতিহাস গড়া সেই জয়ের পর টাইগারদের চোখ ছিল ঘরের মাঠে কিউই বধের। সেটিরও পালা চুকেছে ২০২৩ সালের শেষ দিকে এসে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দলপতি নাজমুল হাসান শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিং আর তাইজুলের স্পিনবিষে নীল হতে হয়েছে সফরকারীদের। ১৫০ রানের জয় বাগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি স্বাগতিকরা পেয়েছে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো কিউই বধের স্বাদ।
তবে এক বছরের ব্যবধানে দুটি ঐতিহাসিক জয় বাগিয়ে নিলেও পরিসংখ্যানের দিক থেকে বাংলাদেশ যোজন পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড থেকে। এখন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ১৮ টেস্টের ভেতর কেবল দুটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৩ হারের বিপরীতে বাংলাদেশের বড় অর্জন তিন ড্র। দুর্দান্ত এই জয়ে চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
পয়েন্ট টেবিলে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় বাগিয়ে নেয়া পাকিস্তান শীর্ষস্থানে রয়েছে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে। কিউই বধে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারপরই অবস্থান টাইগারদের। ভারত দুই ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র নিয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তিনে। অস্ট্রেলিয়া চারে রয়েছে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে।
টেবিলের পাঁচে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচে দুটি দুই জয় পাওয়ায় তাদের পয়েন্ট ৯। একটি করে ড্র ও হার নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগে ৪ পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচ ও কিউইরা এক ম্যাচ খেলে জয় না পাওয়ায় এখনো খুলতে পারেনি পয়েন্টের খাতা।
সিলেটের উইকেটে প্রথম ইনিংসে এক প্রকার সংগ্রাম করেই ব্যাটিং করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের ৩১০ রানের পুঁজি পাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস।
এরপর বল হাতে তাইজুল কিউইদের টুটি চেপে ধরলেও কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির সুবাদে ৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক শান্তর ১০৫, মুশফিকের ৬৭, মেহেদী হাসান মিরাজের ৫০ রানে ভর করে ৩৩৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। আর সেই সুবাদে কিউইদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩৩১ রানের।
সিলেটের উইকেট সে সময়টাতে পুরোপুরি রূপ নিয়েছে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে; কিন্তু টাইগারদের পারফরম্যান্সের মতোই রহস্যময় হয়ে উঠেছিল সেই উইকেট। ভানুমতির খেল দেখিয়ে সেটি চলে যায় বাংলাদেশের পক্ষে।
ইতিহাস গড়ার মঞ্চটা বাংলাদেশ সাজিয়ে রেখেছিল চতুর্থ দিনেই। শেষ দিনে এসে অপেক্ষা ছিল কেবল নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটারকে মাঠছাড়া করার। আর সেই অপেক্ষার অবসানে লাগেনি বেশি সময়।
এক তাইজুলের স্পিনবিষে নীল হয়ে মাত্র ১৮১ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। আর তাতেই বাংলাদেশ লাভ করে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এই জয়ের স্বাদ।
কিউই বধের দিনে তাইজুল দ্বিতীয়বারের মতো ঝুলিতে পুরেছেন ১০ উইকেট। এর আগে ২০১৮ সালে এই সিলেটের মাটিতেই প্রথমবারের মতো এক টেস্টে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরার স্বাদ পেয়েছিলেন টাইগার এই স্পিনার। এতে করে তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এক টেস্টে দ্বিতীয়বার ১০ উইকেট শিকারি বনে গেছেন তিনি। এর আগে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ গড়েছিলেন অনন্য এই কীর্তি।
এদিকে পিছিয়ে থাকেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। তিনি নাম লিখিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের পাশে। ম্যাশ ও সাকিবের মতো শান্তও জয় বাগিয়ে নিয়েছেন নিজের অধিনায়কত্বের অভিষেক টেস্টে।
পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসুমকে চড় মারার ঘটনা তদন্ত করে জাতীয় দলের হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এবং ই-মেইলযোগে বিসিবির সভাপতি সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনকে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাহিদুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান।
নোটিশে চড় মারার ঘটনা তদন্ত করে দোষ প্রমাণ হলে হাথুরু সিংহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশকারি আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান বলেন, ‘বিশ্বকাপ চলাকালে ১২ অক্টোবর ভারতে অবস্থানকালে আমাদের জাতীয় দলের হেড কোচ হাথুরু সিং ক্রিকেটার নাসুমকে চড় মারেন। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা এ তথ্য জানতে পারলেও বিসিবিকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু থাপ্পড় মারা একটি ফৌজদারি অপরাধ, তাই আমরা বিসিবির সভাপতিকে একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে যেন এ ঘটনার সত্যতার প্রেক্ষিতে হাথুরু সিংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করা হয়েছে। প্রয়োজনে যেন তাকে বরখাস্ত করা হয় সে দাবিও করা হয়েছে। অন্যথায় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মানেই ক্রিকেটভক্তদের পাশাপাশি বিশ্বের ক্রিকেটারদের ভেতরও চলে উন্মাদনা। অর্থের ঝনঝনানির কারণে ক্রিকেটাররা মুখিয়ে থাকে টুর্নামেন্টের ড্রাফটে নিজেদের নাম লেখাতে। ড্রাফটের পর তীর্থের কাকের মতো বসে থাকে দল পাওয়ার আশায়।
প্রতি বছরের মতো আইপিএলের আসন্ন আসরের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। আগামী আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটও সম্পন্ন হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন আসরের নিলাম। আসরকে সামনে রেখে বিশ্বের ১ হাজার ১১৬ জন ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন প্লেয়ার্স ড্রাফটে।
বাংলাদেশ থেকে ড্রাফটে জায়গা করে নিয়েছেন ৬ ক্রিকেটার। এরা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
আসন্ন এই আসর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ভেতর সবচেয়ে বেশি বার আইপিএলে খেলা সাকিব আল হাসান। একই পথে হেঁটেছেন লিটন কুমার দাসও। কিছুদিন আগেই কলকাতা নাইট রাইডার্স সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এ দুজনের সঙ্গে। সে কারণেই ড্রাফটে নিজেদের নাম দেননি সাকিব-লিটন। সাকিব-লিটনের মতো আসন্ন আইপিএলকে ‘না’ বলেছেন জোফরা আর্চার ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
বাংলাদেশি ছয় ক্রিকেটারের ভেতর সর্বাধিক ভিত্তিমূল্য মুস্তাফিজের। কাটার মাস্টারের বেইজ ভ্যালু ধরা হয়েছে ২ কোটি রুপি।
এদিকে প্লেয়ার্স ড্রাফটে বরাবরের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি নাম লিখিয়েছে ভারতের ক্রিকেটাররা। ড্রাফটে নাম নিশ্চিত করা ১ হাজার ১১৬ ক্রিকেটারের ভেতর ৮৩০ জনই ভারতীয়। বিদেশি রয়েছেন ৩৩৬ জন।
এবারের ড্রাফটে জায়গা করে নেয়া ৯০৯ ক্রিকেটারের কোনো অভিজ্ঞতাই নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার।
সর্বোচ্চ ভিত্তিমূল্যে দুই কোটি রুপি ধরা বিদেশি ক্রিকেটাররা হলেন, মুজিব-উর রহমান, শন অ্যাবট, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেড, ড্যারিল মিচেল, রাচিন রবীন্দ্র, জশ ইংলিশ, মিচেল স্টার্ক, স্টিভ স্মিথ, মুস্তাফিজুর রহমান, টম ব্যান্টন, হ্যারি ব্রুক, বেন ডাকেট, জেমি ওভারটন, আদিল রশিদ, ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, লকি ফার্গুসন, জেরাল্ড কোয়েটজে, রাইলি রুশো, রসি ভ্যান ডার ডুসেন ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
দেড় কোটি রুপি ভিত্তি ধরা হয়েছে মোহাম্মদ নবি, মইসেস হেনরিকস, ক্রিস লিন, কেইন রিচার্ডসন, ড্যানিয়েল স্যামস, ড্যানিয়েল ওরাল, টম ক্যারান, মার্চেন্ট ডি ল্যাঙ্গ, ক্রিস জর্ডান, ডাওয়িড মালান, টাইমাল মিলস, ফিল সল্ট, কোরি অ্যান্ডারসন, কোলিন মুনরো, জিমি নিশাম, টিম সাউদি, কলিন ইনগ্রাম, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, জেসন হোল্ডার ও শেরফেন রাদারফোর্ডের।
এদিকে এক কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য ধার্য করা ক্রিকেটারদের ঘরে আছেন অ্যাশটন এইগার, রিলে মেরেডিথ, ডি’আরকি শর্ট, অ্যাশটন টার্নার, গাস অ্যাটকিনসন, স্যাম বিলিংস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্টিন গাপটিল, কাইল জেমিসন, অ্যাডাম মিলনে, ড্যারিল মিচেল, ওয়েইন ফার্নেল, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস, আলজেরি জোসেফ, রভম্যান পাওয়েল ও ডেভিড উইজ।
আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি মোট ৭৭ ক্রিকেটারকে কিনতে পারবেন। এর ভেতর ৩০ জন থাকবেন বিদেশি ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো খেলোয়াড় কেনার পেছনে সব মিলিয়ে ২৬২.৯৫ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ করতে পারবে।
বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ বাংলাদেশ ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে। আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ের পর শক্তি বিবেচনায় বড় দলের বিপক্ষে রানের হিসেবে এটিই সবচেয়ে বড় জয় টাইগারদের। সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিল সাকিব আল হাসান-তাসকিন আহমেদ বিহীন বাংলাদেশ।
সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দেয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তোলে দলটি। পঞ্চম দিনে এসে ১৮১ রান করে গুটিয়ে যায় কিউইরা।
টাইগারদের হয়ে কিউই শিবিরকে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নিউজিল্যান্ডের ছয় ব্যাটার। ২২ রান করা ডেভন কনওয়ে, ১১ রান করা কেইন উইলিয়ামসন, ছয় রান করা টম ব্লান্ডেল, ৯ রান করা কাইলি জেমিসন, ২২ রান করা ইশ সোধি ও ৩৪ রান করা টিম সাউদিকে ফেরান তাইজুল।
দলের হয়ে বাকি চারটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান। তাদের মধ্যে শরিফুল ও মিরাজ একটি করে এবং নাইম নেন দুটি উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করতে পারলেও দ্বিতীয়টিতে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে কিউইরা।