শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২

সেই 'ওভারথিঙ্কিং'-ই ট্রেবল জেতাল গার্দিওলাকে

এবার খালি হাতে ফেরেননি গার্দিওলা
আপডেটেড
১১ জুন, ২০২৩ ১৩:৩২
নিশাত আহমেদ
প্রকাশিত
নিশাত আহমেদ
প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২৩ ১৩:২৪

'ওভারথিঙ্কিং' বা খামোকা চিন্তা করার জন্য পেপ গার্দিওলার যথেষ্ট সুনাম আছে।

দেখা গেল দলকে পুরো মৌসুম যে ছকে খেলিয়েছেন, বড় ম্যাচের আগে হুট করে সেই পরীক্ষিত ফর্মূলা আর একাদশ থেকে সরে এসেছেন। খামোকা চিন্তা করতে গিয়ে এমন এমনভাবে দল সাজিয়েছেন, বিশ্বজোড়া দর্শক ভেবে কূল পাননি, হুট করে এমন চিন্তা করার কারণ কী হতে পারে!

আর গার্দিওলার এই বাড়তি চিন্তার খেসারত দিয়েছে কখনও বার্সেলোনা, কখনও বায়ার্ন। সবচেয়ে বেশি দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে প্রথাগত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ছাড়াই নেমে গিয়েছেন - ইলকায় গুন্দোগানকে বলেছেন রদ্রি বা ফের্নান্দিনিওর ভূমিকা পালন করতে। আবার ২০১৯-২০ মৌসুমে লিওঁর বিপক্ষে এত বেশি ডিফেন্ডার নামিয়ে দিয়েছিলেন, যে দলটা পেপ গার্দিওলার না অতিরক্ষণাত্মক জোসে মরিনিওর - বোঝা যায়নি।

সিটিতে এভাবে বারবার চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চ থেকে খালিহাতে ফিরেছেন গার্দিওলা - বাড়তি চিন্তা করার জন্যই

সেই পেপ গার্দিওলা এবারও খামোকা চিন্তা করতে যাবেন না, তা কি হয়?

ইন্তার মিলানের বিপক্ষে গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পেপ গার্দিওলা তাঁর ‘কাজ’টা ঠিকই করেছেন। তবে অন্যান্য বারের মতো সে বাড়তি চিন্তার প্রতিফলন মূল একাদশে দেখা যায়নি, এই যা। গার্দিওলার যত বাড়তি চিন্তা এবার ছিল মাঠে একজন বিশেষ খেলোয়াড়ের অবস্থান ঘিরে।

খেলোয়াড়টির নাম? জন স্টোনস।

২০১৬ সালে গার্দিওলা যখন প্রথম ইংল্যান্ডে এলেন, সিটি তেমন সুবিধে করতে পারেনি। নড়বড়ে রক্ষণের মাশুল দিচ্ছিল নিয়মিত। আর সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছিল দলে নতুন আসা ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনসকে নিয়ে। পাঁচ কোটি পাউন্ড দিয়ে আনা ডিফেন্ডার যদি একের পর এক শিশুতোষ ভুল করে, কারই বা ভালো লাগে?

সিটিভক্তদেরও লাগেনি। তবে গার্দিওলা ওসব সমালোচনা গায়ে মাখেননি। ভরা মজলিশে বাঘা বাঘা সাংবাদিকদের সামনে নির্ভয়ে বলেছিলেন, ‘এই কক্ষে এখন আমরা যতগুলো মানুষ আছি, প্রত্যেকের চেয়ে জন স্টোনসের সাহস বেশি। ক্ষমতা বেশি। বেশি দৃঢ়চেতা। আমি এমন ডিফেন্ডারদের ভালোবাসি যারা দলের জন্য ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে। এমন ডিফেন্ডাররা হাজার ভুল করলেও মানা যায়।’

স্টোনস না থাকলে হয়তো ট্রেবলই জেতা হতো না গার্দিওলার

পেপ গার্দিওলা কি বুঝেছিলেন যে এই জন স্টোনসের হাত ধরেই আসবে পরম আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ? পাওয়া যাবে অধরা ট্রেবলের স্বাদ?

হয়তো। হাজার হোক, একজন তরুণ খেলোয়াড়ের প্রতিভাকে পূর্ণতা দেওয়ার মতো কোচ তাঁর মত কজনই বা আছেন? সাত বছর পর এই স্টোনসই গার্দিওলাকে নিদান দিলেন। মেসি ছাড়া গার্দিওলা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারেন না - এই দুর্নাম থেকে দিলেন মুক্তি।

মৌসুমের শুরুতে বল পায়ে পারদর্শী ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুস-রহিম স্টার্লিং ও মিডফিল্ডার ফের্নান্দিনিও-জিনচেঙ্কোর বিদায়ের সঙ্গে জোড়া ‘নাম্বার নাইন’ আর্লিং হলান্ড আর হুলিয়ান আলভারেসের আসা নিশ্চিত করেছিল - এবার চেনা পথে হাঁটছেন না গার্দিওলা। সে নিশ্চয়তা আরও পোক্ত হয় গত মৌসুমের অন্যতম সেরা ফুলব্যাক জোয়াও কানসেলোর বিদায়ে।

সিটি ধুঁকছিল। ট্রেবল তো দূর, গত জানুয়ারিতেও যদি বলা হতো যে গার্দিওলা এই দল নিয়েই ট্রেবল জিততে চলেছেন - হাসির রোল পড়ে যেত। সেই অবিশ্বাস্য ঘটনাটাই আজ সত্যি স্টোনসের কারণে।

বলের দখল থাকা অবস্থায় ডিফেন্ডারদের ছদ্ম-মিডফিল্ডার বা ‘হাফব্যাক’ বানিয়ে দেওয়ার কাজ গার্দিওলা আজ থেকে করছেন না। বায়ার্নের ম্যানেজার থাকার সময় থেকেই এই কাজ করছেন। জার্মান প্রেসিং আর প্রতিআক্রমণের তোড়ে হাঁসফাঁস করতে থাকা গার্দিওলা ফিলিপ লাম, ডেভিড আলাবা আর ইয়োসুয়া কিমিখের মতো ফুলব্যাকদের হাফব্যাক বানিয়ে ফুটবল বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন, কীভাবে দ্রুত প্রতিআক্রমণ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

একই কাজ করেছেন সিটিতেও। গত মৌসুমে যে কৌশলের পূর্ণ বাস্তবায়ন করেছিলেন কানসেলো আর জিনচেঙ্কো। দুজনের কেউই তো এই মৌসুমে নেই। এখন?

ডাক পড়ল স্টোনসের। কিন্তু স্টোনস তো কিমিখ, আলাবা, লাম, কানসেলো বা জিনচেঙ্কোর মতো ফুলব্যাক নন - সেন্টারব্যাক। তবে বল পায়ে কুশলী এই ডিফেন্ডারকে দিয়ে যে রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডারের কাজ চালানো যায়, ২০১৮ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটই সেটা দেখিয়েছিলেন।

এই মৌসুমে স্টোনসকে গার্দিওলা যতগুলো পজিশনে খেলিয়েছেন

সাউথগেটের কাছ থেকে সে কৌশল ‘ধার’ নিলেন গার্দিওলা। ফুলব্যাকদের হাফব্যাক বানানো গার্দিওলা এবার সেন্টারব্যাককে বানালেন হাফব্যাক। আর তাতেই বাজিমাত। পকেটে ঢুকল একটা লিগ শিরোপা, একটা এফএ কাপ।

বাকি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ। স্টোনস যে গত তিন মাসের মতো ফাইনালেও রদ্রির পাশে ছদ্ম-সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হয়ে খেলা শুরু করবেন - সবাই জানতেন। হয়তো জানতেন ইন্তারের কোচ সিমোনে ইনজাঘিও। সিটিকে ঘায়েল করার কৌশলও হয়তো সাজিয়েছেন সে ব্যাপারটা মাথায় রেখে।

কিন্তু ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গার্দিওলার মাথায় বাড়তি চিন্তা করার ভূত সওয়ার হবে না, তা কি করে হয়? হলও সেটা।

একাদশ দেখে যদিও বোঝার উপায় ছিল না যে গার্দিওলা ঠিক কোন জায়গায় বাড়তি চিন্তা করেছেন। সব স্পষ্ট হওয়া শুরু করল ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে। সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলা শুরু করা স্টোনস উঠতে উঠতে সেন্ট্রাল মিডে থাকা রদ্রিকে পেরিয়ে কখনও আক্রমণাত্মক মিডফিল্ড (মাঠের যে জায়গাটাকে গালভরে অনেকে ‘জোন ১৪’ বলে থাকেন), কখনও ডান উইং বা কখনও বাম উইংয়ে উঠে যাচ্ছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিল, আজীবন মেসির মতো অতি-প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে স্বাধীনভাবে খেলার লাইসেন্স দেওয়া গার্দিওলা এ ম্যাচে সে লাইসেন্স দিয়েছেন একজন ডিফেন্ডারকে! ভাবা যায়!

কখনও কখনও এমনও দেখা যাচ্ছিল, মাঠের যে জায়গায় কেভিন ডি ব্রুইনা বিচরণ করেন, স্টোনস সে জায়গাতেও উঠে যাচ্ছেন। ফলে ডি ব্রুইনার খেলতে একটু হলেও সমস্যা হচ্ছিল। সে ক্ষেত্রে ৩০ মিনিটের মাথায় চোটের কারণে ডি ব্রুইনার মাঠ থেকে উঠে যাওয়া এক অর্থে শাপেবর হয়েছে সিটির জন্য। ডি ব্রুইনার জায়গায় নামা ফিল ফোডেন স্টোনসকে উঠে আসার যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন। পেছন থেকে আক্রমণ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইন্তার তাঁদের বাঁ দিকের সেন্টারব্যাক আলেসসান্দ্রো বাস্তোনির ওপর অনেক নির্ভর করে। বাস্তোনি যেন বল পায়ে খেলার জন্য বেশি জায়গা না পান, ম্যাচের আগে এটা নিশ্চিত করা গার্দিওলার অন্যতম প্রধান ‘এজেন্ডা’ ছিল। সবাই ভেবেছিলেন, হয় বের্নার্দো সিলভা, নয় ডি ব্রুইনাকে দিয়ে বাস্তোনিকে প্রেস করার কাজ করাবেন গার্দিওলা। স্টোনস ওভাবে উপরে উঠে বাস্তোনিকে প্রেস করা শুরু করবেন, কে ভেবেছিল!

ইনজাঘির অধীনে বেদবাক্যের মতো ৩-৫-২ ছকে খেলা ইন্তার রক্ষণে ৫-৩-২ রূপ ধারণ করে। অর্থাৎ, প্রতিপক্ষ আক্রমণ করলে রক্ষণে পাঁচজনকে নামিয়ে দেয় নেরাজ্জুরিরা। ওদিকে কাগজে-কলমে ৪-৩-৩ ছকে খেলা সিটিও আক্রমণ করে ৩-২-৫ ছকে। অর্থাৎ, ইন্তার চাইলে সিটির আক্রমণে উঠে যাওয়া পাঁচজন খেলোয়াড়কে পাঁচজন দিয়ে নিশ্চিন্তে রক্ষণ করতে পারে, আক্রমণে সিটির কোনো বাড়তি খেলোয়াড় (spare man) থাকে না। ইন্তারকে হারাতে হলে আক্রমণে বাড়তি আরেকজন খেলোয়াড় লাগতই। ইন্তার যেহেতু জোড়া স্ট্রাইকার-বিশিষ্ট ছকে খেলে, তাই রক্ষণে থাকা তিনজনের মধ্যে কোনো একজনকে উপরে উঠতে বলাটা যৌক্তিক হতো না। মাঝমাঠে থাকা রদ্রি আর স্টোনসের মধ্যে একজনই এ কাজটা করতে হতো।

রদ্রি যেহেতু জাত মিডফিল্ডার, বল দখলে থাকার সময়ে ওই বাড়তি খেলোয়াড় হয়ে ডি ব্রুইনা, হলান্ড, গ্রিলিশ, বের্নার্দো, গুন্দোয়ানের পাশে উঠে যাবেন আক্রমণ করতে - এমনটাই ভাবা হচ্ছিল।

কিন্তু আর দশজনের মতো চিন্তা করলে কোচের নাম গার্দিওলা কেন!

আর নয় অপেক্ষা...

ম্যাচের শেষ দিকে লুকাকুর হেড, কিংবা গোটা ম্যাচে এদেরসনকে ফাঁকা পেয়েও লাওতারো মার্তিনেস দুবার গোল করার সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো এ ম্যাচটাও গার্দিওলার খামোকা চিন্তার বলি হতো। কিন্তু যে কোচ ফুটবলকে এত কিছু দিয়েছেন, এবারও তাঁর আরেকটা অভিনব কৌশল রিক্ত হাতে ফিরে এলে হয়তো বড্ড বেশি অবিচার হতো।

বিধাতা সে অবিচার মানবেন কেন?


অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশে আগামী ১১ জুলাই থেকে মাঠে গড়াবে নারীদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ, চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। ঘরের মাঠে আয়োজিত চার দলের এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বাফুফের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘোষিত দলে বেশিরভাগ খেলোয়াড়েরই জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে। তবে দলে এমন কিছু অভিজ্ঞ মুখও রয়েছেন, যারা জাতীয় দলের হয়ে ইতোমধ্যেই একাধিক ম্যাচ খেলেছেন।

এই টুর্নামেন্টের জন্য ঘোষিত দলে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন আফঈদা খন্দকার প্রান্তি। চলতি বছর থেকেই তিনি জাতীয় দলেরও অধিনায়কত্ব করছেন।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রত্যেকটি ম্যাচই গড়াবে বসুন্ধরা স্পোর্টস অ্যারেনায়। বাংলাদেশ ছাড়াও এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশ দল- স্বর্ণা রানি মণ্ডল, নবিরন খাতুন, জয়নব বিবি, আফঈদা খন্দকার, সুরমা জান্নাত, রানি বাহাদুর, স্বপ্না রানি, ঐশী খাতুন, তৃষ্ণা রানি, মোছা. সাগরিকা, উমেলা মারমা, বালা মাহাতো, রুপা আক্তার, বন্না খাতুন, মুঙ্কি আখতার, কানম আক্তার, রুমা আক্তার, পুজা দাস, সিনহা জাহান, শান্তি মারদি, নাদিয়া আক্তার, মিলি আক্তার ও ফেরদৌসি আক্তার।


গভীর রাতে ঋতুপর্ণাদের ফুলের তোড়া দিতে ২০ লাখ টাকা খরচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মিয়ানমারের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন নারী ফুটবলাররা। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। এই ইতিহাস সারা জীবন গৌরব করার মতো। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল গত শনিবার গভীর রাতে ঢাকায় ফিরে। ওই রাতেই আড়াটায় হাতিরঝিলে এম্পিথিয়েটারে নিয়ে গিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছে বাফুফে।

সবার ধারণা ছিল, বাফুফে নারী ফুটবলারদের জন্য সারপ্রাইজ রেখেছে। টানা তিনটা কঠিন ম্যাচ খেলেছেন ফুটবলাররা, ক্লান্ত ছিলেন তারা। তার ওপর ভ্রমণ ক্লান্তি খেলোয়াড়দের চেপে ধরেছিল। কিন্তু খেলোয়াড়দের মনের মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছিল-বাফুফে বড় কোনো ঘোষণা দেবে। কিন্তু তা না করে একটা ফুলের তোড়া তুলে দিয়েছে। খেলোয়াড়রা হতাশ হয়েছেন।

প্রকাশ না করলেও তারা নানাভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে বলেই দিয়েছেন ‘একটা ফুলের তোড়া দেওয়ার জন্য রাতের ঘুমটা নষ্ট না করলে কী হতো। ফুলের তোড়া বাফুফে ভবনেও দেওয়া যেত। আমরা শুনেছিলাম আমাদের সারপ্রাইজ দেবে। আমরা সারপ্রাইজ হয়েছি ফুলের তোড়া পেয়ে। বাফুফে আমাদের কিছু দিতে চায়; সেটিও ঘোষণা করেনি। তাহলে এত রাতে আমাদের খালপাড়ে (হাতিরঝিল) নেওয়ার দরকার কী ছিল।’

ঢাকায় ফিরে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে আফসোসের কথা প্রকাশ করেছেন। হতাশ হয়েছেন। কবে দেবে তার কোনো ঠিক নেই। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও বাফুফের ঘোষিত দেড় কোটি টাকা আজও পায়নি। বাফুফে ঘোষণা দিয়েছিল তারা নিজেরা পুরস্কার দেবে। হয়নি। এশিয়ান কাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর সময় নিয়ে, পরিকল্পনা করে সংবর্ধনা দেওয়া যেত। সরকারের সঙ্গে কথা বলে বড় পরিসরে সংবর্ধনার আয়োজন করা যেত। তা না করে তড়িঘড়ি করে সংবর্ধনার আয়োজন। ফুটবলারদের ঢাকায় ১ ঘণ্টার মধ্যে সংবর্ধনা দেওয়া কতটা জরুরি ছিল। একটা ফুলের তোড়া তুলে দিতে গিয়ে বাফুফেকে এখন ২০ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে বলে বাফুফে সূত্রে জানা গেছে। বাফুফের একটি সূত্রের দাবি, হাইভোল্টেজ এবং কে-স্পোর্টস নামের প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছিল বাফুফে। ২০ লাখ টাকার বিল পেয়ে বাফুফে চুপ মেরে যায়। পরশু বেতন দেওয়া হয়েছে ফুটবলারদের।


জোড়া গোলে নতুন রেকর্ড মেসির, মাচেরানো বললেন, ইতিহাসেই সেরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

এমএলএসে দারুণ ফর্মে আছেন লিওনেল মেসি। টানা চার ম্যাচে করলেন দুটি করে গোল। তার জোড়া গোলে জিতেছে ইন্টার মায়ামি।

মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) সেরা ছন্দে আছেন লিওনেল মেসি। সর্বশেষ তিন ম্যাচে জোড়া গোলের পর নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের বিপক্ষেও জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ইন্টার মায়ামির ২-১ গোলে জয়ের এই ম্যাচে রেকর্ডও গড়েছেন মেসি।

এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোল করলেন মেসি। গত মে মাসে মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে শুরু হয় মেসির গোলের এই যাত্রা। এরপর কলম্বাস, আবার মন্ট্রিয়ল এবং সর্বশেষ নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি গোল করলেন। তাতে লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত মেসির দল। জয় চারটিতে, ড্র একটি।

মন্ট্রিয়ল ও কলম্বাসের বিপক্ষে ম্যাচের পর মেসিরা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেন। যেখানে মেসি চার ম্যাচে একটি গোল করলেও পিএসজির বিপক্ষে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় তার দল ইন্টার মায়ামি।

এমএলএসে মেসির গোল সংখ্যা ১৫ ম্যাচে ১৪টি। গোলদাতাদের তালিকায় দ্বিতীয় মেসি ন্যাশভিলের স্যাম সারিজের চেয়ে মাত্র দুই গোল পিছিয়ে। যদিও সারিজ মেসির চেয়ে ৬ ম্যাচ বেশি খেলেছেন। দুটি গোলই করেছেন ম্যাচের প্রথমার্ধে। জিলেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ নিয়ে বাঁপায়ের শটে প্রথম গোলটি করেন। এরপর ৩৮তম মিনিটে সের্হিও বুসকেটসের লম্বা পাস ধরে দারুণ এক শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়েছেন।

ইন্টার মায়ামির অভিজ্ঞ গোলরক্ষক অস্কার উস্তারিও এদিন জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেছেন এই গোলরক্ষক। তবে নিউ ইংল্যান্ডের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কার্লেস গিল ৭৯তম মিনিটে একটি গোল শোধ করেন।

এই জয়ে ইন্টার মায়ামি ইস্টার্ন কনফারেন্সে ষষ্ঠ স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে ওঠে এসেছে। তাদের পয়েন্ট ৩৫, শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির চেয়ে ৭ পয়েন্ট কম। তবে মায়ামি তাদের চেয়ে তিন ম্যাচ কম খেলেছে।

ম্যাচ জেতানো ৩৮ বছর বয়সি মেসিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ হাভিয়ের মাচেরানো। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, লিওনেল (মেসি) বিশেষ খেলোয়াড়। আমার দৃষ্টিতে ফুটবলের ইতিহাসেই সেরা। এই বয়সেও ও যেভাবে খেলছে, সেটা অবিশ্বাস্য। অনেক বছর আগে যা কল্পনাও করা যেত না, আজ সে মাঠে সেটা করে দেখাচ্ছে। আমরা ভাগ্যবান, মেসিকে আমাদের দলে পেয়েছি।’


কোচিং কোর্সে নাম লেখালেন সানজিদারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

দুটি সাফজয়ী দলের সদস্য অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তার কোচিং কোর্স করছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) শুরু হয়েছে এএফসি বি-কোচেস লাইসেন্স কোচিং।

এতে অংশ নিচ্ছেন সানজিদা, শিউলি আজিমসহ পাঁচ নারী ফুটবলার। সব মিলিয়ে ২৪ জন কোচ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।

ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন সানজিদা। খেলছেন ভুটান নারী লিগে ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে।

এখন খেলা নেই। তাই কোচিং কোর্স করছেন। সানজিদার কথা, ‘ভুটানে আমার খেলায় দীর্ঘ বিরতি। বাফুফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি কোর্স করার জন্য। আমাকে অনুমোদন দেওয়ায় কোর্সটি করতে এসেছি।’

এই মিডফিল্ডার জানালেন, খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিংয়ে আসতে চান। সে কারণেই এই কোর্সে আসা। তিনি যোগ করেন, ‘কতদিন আর খেলব। তাই কোর্স করে রাখছি। সামনে কোচিং পেশায় আসতে পারি। তখন এই কোর্স কাজে দেবে।’

২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য সানজিদা ২০২২-২৪ দুই সাফ চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন। ভারতের ইস্টবেঙ্গলের হয়েও খেলেছেন। বি-লাইসেন্স কোচিং কোর্সের ফি ৫০ হাজার টাকা।

নারী ফুটবলারদের কোচিংয়ে উৎসাহিত করতে তাদের কাছ থেকে অর্ধেক ফি নেওয়া হয়েছে। এবারের বি-লাইসেন্সের প্রথম অংশ ৭-১৭ জুলাই ও দ্বিতীয় অংশ ১৯-২৭ আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কোর্স পরিচালনা করছেন।


১৮.৫ বিলিয়ন ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়েছে আইপিএলের সর্বোচ্চ দাম বেঙ্গালুরুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিকেটের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের মধ্যে সামনের সারিতেই থাকবে আইপিএল। অর্থবিত্ত, ব্র্যান্ড ভ্যালু ও নানা সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে ভারতীয় এই প্রতিযোগিতার ধারেকাছে নেই অন্য কোনো লিগ। দিন দিন আইপিএলের সেই অর্থমূল্য আরও বেড়েই চলেছে। টুর্নামেন্টটির ব্যবসায়িক মূল্য ১২.৯ শতাংশ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক হুলিহান লোকি। যা পৌঁছেছে ১৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

এছাড়া টাটা গ্রুপ আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে তাদের চুক্তি ২০২৮ পর্যন্ত বাড়িয়েছে- ৫ বছরের এই চুক্তির মূল্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মূল্যে যা প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি রুপি)। ২০২৫ আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিরাট কোহলি-রজত পাতিদারের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। স্বভাবতই তাই বেঙ্গালুরু ব্র্যান্ড ভ্যালুতেও শীর্ষে ওঠে গেছে। বর্তমানে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ব্র্যান্ড ভ্যালু ২৬৯ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ২২৭ মিলিয়ন ডলার।

ব্যবসায়িক মূল্যের দিক থেকে বেঙ্গালুরুর পরেই অবস্থান মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। দুইয়ে থাকা হার্দিক-রোহিতদের দলটি গত বছরের ২০৪ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে এবার হয়েছে ২৪২ মিলিয়ন ডলার। এবার চেন্নাই সুপার কিংসের অবস্থান তিনে নেমে গেছে, তাদের বাজার মূল্য ২৩৫ মিলিয়ন ডলার। এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়েছে পাঞ্জাব কিংসের। সর্বশেষ আসরে দারুণ ফর্মে থাকা দলটি যদিও রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। শ্রেয়াস আইয়ারের এই দলের ব্র্যান্ড ভ্যালু ৩৯.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪১ মিলিয়ন ডলারে।


টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ম্যাচের সূচি প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে গত আসরে ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স দল। এ বছরে হাই পারফরম্যান্সের জায়গায় ‘এ’ দলকে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী আগস্টে ১১ দল নিয়ে আয়োজিত হতে যাওয়া টুর্নামেন্টের সূচি প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য নর্দার্ন টেরিটরির আঞ্চলিক ক্রিকেট বোর্ড।

বাংলাদেশ ‘এ’ দল ছাড়াও টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে খেলবে পাকিস্তান শাহীনস, নেপাল, অ্যাসিটি কমেট, অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স, দ্য কিংসমেন, হোবার্ট হারিকেন্স, মেলবোর্ন রেনেগেডস, পার্থ স্কোচার্স ও মেলবোর্ন স্টারস। যদিও সবার সঙ্গে সবার খেলার সুযোগ নেই। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দলই ছয়টি করে ম্যাচ খেলবে।

পাকিস্তান শাহীনস, নেপাল, পার্থ স্কচার্স, নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক, মেলবোর্ন স্টারস এবং অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বিসিবির প্রতিনিধিরা। আগামী ১৪ আগস্টে পর্দা উঠবে টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

আগামী ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ ‘এ’ দলের প্রতিপক্ষ নেপাল। পরদিন অর্থাৎ ১৭ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের প্রতিপক্ষ বিগ ব্যাশের পার্থ স্কচার্স। ১৯ আগস্ট বাংলাদেশের ম্যাচ স্বাগতিক নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইকের সঙ্গে। ২১ আগস্ট প্রতিপক্ষ বিগ ব্যাশের আরেক দল মেলবোর্ন স্টারস। বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচই হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টা)।

গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ‍২টায় খেলতে নামবে তারা। পয়েন্ট টেবিলের সেরা চার দল সুযোগ পাবে সেমিফাইনালে। সেরা চার পেরিয়ে আসা সেরা দুই দল ফাইনাল খেলবে আহামী ২৪ আগস্ট।


সাড়া মেলেনি ইউরোপের, নেপালের সঙ্গে খেলবেন হামজারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

জাতীয় ফুটবল দলে এখন বেশ কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার খেলছেন। তাদের অনেকেই ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। তাদের অন্তর্ভুক্তিতে খেলার মানও বেড়েছে। তাই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সামনের আন্তর্জাতিক উইন্ডোতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টায় ছিল। বিশেষ করে করে ইউরোপীয় কোনো দেশের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত ইউরোপ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে হামজাদের। সোমবার (০৭ জুলাই) বাফুফের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত নেপাল রাজি হওয়ায় বাংলাদেশ দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
এদিকে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুটি ম্যাচ শেষ করেছে ভারত ও সিঙ্গাপুর। বাকি আছে আরও চারটি ম্যাচ। অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে এবং নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচগুলো খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া আগামী বছর শেষ ম্যাচ খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ড্র করে আশা জাগালেও ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে বিদায়ের প্রহর গুনছে। বাকি সব ম্যাচ জিতলেই কেবল বাংলাদেশের সামনে ২০২৭ সালে সৌদি আররে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ বেঁচে থাকবে।


টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ শান্ত, ফিরলেন সাইফউদ্দিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে জায়গা পাননি সাবেক টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে ছোট ফরম্যাটে শান্তর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে সমালোচনা চলছিল। পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা না থাকায় আগেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। এবার বাদ পড়লেন দল থেকেও।

দীর্ঘ ১ বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার সঙ্গে দলে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান এবং নাসুম আহমেদ।

অন্যদিকে, শান্ত ছাড়াও গত পাকিস্তান সিরিজের দলে থাকা সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ, তানভীর ইসলাম, নাহিদ রানা ও খালেদ আহমেদকে এই দফায় স্কোয়াডে রাখা হয়নি।

আগামী ১০ জুলাই তিন ম্যাচের সিরিজটি শুরু হবে ক্যান্ডিতে। বাকি দুই ম্যাচ হবে ১৩ ও ১৬ জুলাই, যথাক্রমে ডাম্বুলা ও কলম্বোয়।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড (শ্রীলঙ্কা সিরিজ):

লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম হোসেন পাটোয়ারি, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।


ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা প্রচারে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সঙ্গে এমওইউ সই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের (ডব্লিউইইউ) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সাক্ষর হয়েছে। আজ শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে এই এমওইউ সাক্ষরিত হয়।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সভাপতি নেজমেদ্দিন বিলাল এরদোয়ান নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এমওইউ স্বাক্ষরের আগে, উভয় নেতা অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তারা সভ্যতা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধকরণে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন এবং দেশীয় খেলাধুলা প্রচারে পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

আলোচনায় বিলাল এরদোয়ান বাংলাদেশের কাবাডি, কুস্তি, বলিখেলা ও নৌকা বাইচের মতো ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে এসব খেলাধুলা বিশ্বব্যাপী প্রচারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তিনি আগ্রহী বলে জানান।

তুরস্কে শিক্ষামূলক কার্যক্রমে তার সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে এরদোয়ান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি এবং বিষয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতার প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে তিনি তার সংস্থার একটি স্কুল বাংলাদেশে স্থাপনের আগ্রহও ব্যক্ত করেন। কক্সবাজারে তার মায়ের সঙ্গে করা সফরের স্মৃতিচারণ করে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা আয়োজনে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যাতে খেলাধুলার মাধ্যমে শরণার্থীদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করা যায়।

বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের কথা পুনরায় উল্লেখ করে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে তরুণ সমাজ ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন এবং সাংস্কৃতিক ও জাতীয় পরিচয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বে তুরস্ক তার সাংস্কৃতিক মর্যাদা ও বৈশ্বিক অবস্থান পুনরুদ্ধারে কাজ করছে।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশ তার প্রকৃত ও বিশ্বস্ত অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যেখানে তুরস্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ইতিহাসে বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে তুরস্ক সব সময় বঙ্গোপসাগরীয় জনপদের জনগণের পাশে থেকেছে। তিনি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং সভ্যতাগত রূপান্তরের প্রতি আগ্রহ জাগিয়েছে, যা অনেকটা তুরস্কের নিজস্ব গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবনের মতো।

উপদেষ্টা গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের নৈতিক অবস্থান এবং বিশ্বের নিপীড়িত মুসলিম জনগণের প্রতি তার সমর্থনের প্রশংসা করেন। তিনি এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর আন্তর্জাতিক জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণের আশ্বাস দেন।

আসিফ মাহমুদ বাংলাদেশের কাবাডি, দাঁড়িয়াবান্ধা, বলিখেলা, কুস্তি ও নৌকা বাইচসহ ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর আন্তর্জাতিকীকরণে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈঠকের শেষে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বিলাল এরদোয়ানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই সফর যুব ও ক্রীড়া খাতসহ উভয় দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার ও গতিশীল করবে।


বাংলাদেশে ‘ইংলিশ মাস্টারক্লাস’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

‘যে কোনো পরিস্থিতিতে সঠিক কাজটা করো। যেটি সবার জন্য ভালো।’ বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সূত্র মতে, এটিই কোচ পিটার বাটলারের সিগনেচার ট্যাগ লাইন!

দলীয় সভা বা ঋতুপর্ণা চাকমা, আফেইদাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনায় কথাটি বারবার স্মরণ করিয়ে দেন ইংলিশ এই কোচ। তার সিগনেচার টাইপ বাক্যে ‘সবাই’ কারা? আর ‘সবার জন্য ভালো’ বলতেই বা কী বোঝায়? দুটি প্রশ্নের উত্তরই তো আমার-আপনার জানার কথা!

পিটার বাটলারের কাছে ‘সবার’ হলো বাংলাদেশ দল আর ‘সবার জন্য ভালো’ মানে বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো। হয়তো এই দুটি বিষয়ের সঙ্গে আপস করেন নাই বলেই বাটলার আর বাটলারের বাংলাদেশ নিয়ে লিখতে বাধ্য হওয়া।

টানা দুটি সাফ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারদের জয়গান সবার মুখে মুখে। কিন্তু সারা জীবন কি ফুটবল মানচিত্রে তলানিতে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের গর্ব নিয়েই বুক ফুলিয়ে হাঁটবে বাংলাদেশ? সেই গণ্ডি পার হওয়ার তরিকাটাই বা কী? তাই নিজের চাকরির মায়া না করে সাফের বাইরে শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে চাইলেন বেশি করে ম্যাচ। দ্রুতই ধরা দিল ফলাফল।

গত বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণের সেই মানচিত্র থেকে বের হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ার বুকে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে দিল বাটলারের বাংলাদেশ।

কত অবলীলায় বলে ফেললাম বাটলারের বাংলাদেশ! হ্যাঁ, এই মেয়েরা আগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এশিয়ান মঞ্চে গিয়ে এমন দাপুটে বাংলাদেশকে কি আগে কখনও দেখা গিয়েছে? অবশ্যই না।

আগে দুবার বাছাইপর্বে অংশ নিয়েও ন্যূনতম ড্র ছিল না। এবার ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশের শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপ খেলার ছাড়পত্র আদায় করে নেওয়া। রক্ষণভাগ, মিডফিল্ড, আক্রমণভাগ– প্রতিটি ডিপার্টমেন্টই এখন পরবর্তী স্টেজের জন্য তৈরি। এই সাহসী ও দুর্দান্ত বাংলাদেশকে আলাদা করে বাটলারের বাংলাদেশ না বলে উপায় আছে!

বাফুফের এলিট একাডেমির দায়িত্ব নিয়ে গত বছরের শুরুতে বাংলাদেশে আসেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই কোচ। একই বছর চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচকে সামনে রেখে মে মাসে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় নারী দলের দায়িত্ব। অতীতে আফ্রিকার লাইবেরিয়া ও বতসোয়ানার দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা থাকায় জাতীয় দলকে হ্যান্ডেল করার পাঠটা তার ভালোই জানা। বাংলাদেশ দলেও নিজের প্রসেসের ওপর আস্থা রাখলেন ইংলিশ মাস্টারক্লাস।

শুরুতেই বুঝিয়ে দেন দলে কারো জায়গা নিশ্চিত নয় আর পুরো ৯০ মিনিট সমান তালে খেলতে না পারলে তার তো জায়গায় নেই। তার বিপক্ষে বিদ্রোহ করা খেলোয়াড়দের সঙ্গে আপস করলেন না। আবার ঠেলে দিলেন না দূরেও। ব্রিটিশ মানেই নাক উঁচু বলে যে একটা আপ্ত বাক্য আছে, তার ছিঁটেফোঁটাও বাটলারের মধ্যে নেই বলে বিদ্রোহীদের মধ্যে থেকে প্রয়োজনীয় খেলোয়াড়দের দলে টেনে নিলেন। পরে শৃঙ্খলা ও পারফরম্যান্সের মানদণ্ডের ওপর ভর করেই গড়ে তুললেন এশিয়ান মঞ্চের দল।

বাটলার নিজে ব্রিটিশ হলেও তার দলের খেলায় প্রথাগত ‘ডিরেক্ট স্টাইলে’ ব্রিটিশ ফুটবলের ছাপ নেই। ‘হাই প্রেসিং’ করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে, বল দখলে এলে বিল্ডআপ, কখনও ‘ওয়ান টু ওয়ান’, আবার কখনও ‘উইং প্লে’ করে ঝড়ের গতিতে আক্রমণে ওঠেন ঋতুপর্ণা, শামসুন্নাহার জুনিয়ররা। বাটলারযুগের আগে থেকেই বাংলাদেশের ফুটবলাররা টেকনিক্যালি ভালো।

এখন যোগ হয়েছে ট্যাকটিক্যাল আর ফিজিক্যালি সক্ষমতা। ফুটবলে ‘থ্রি এস’ বলে একটা মৌলিক বিষয় আছে- স্পিড (গতি), স্ট্রেংথ (শক্তি) ও স্ট্যামিনা (দম)। তারুণ্যনির্ভর বাটলারের দলের খেলোয়াড়দের ‘থ্রি এস’ তুঙ্গে। তবে উন্নতির জায়গাও আছে অনেক। প্রত্যাশামাফিক উন্নতি করতে পারলে এশিয়ান মঞ্চ ছাপিয়ে ধরা দিতে পারে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নও।

লেখক: রাশেদুল ইসলাম, সাবেক ফুটবলার, জাতীয় দল


বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই আগামীকাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

তিন ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল শনিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে সফরকারী বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায়।

একই ভেন্যুতে শ্রীলংকার কাছে প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ইনিংসে ২৬ বলে ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। দলের এমন অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধস ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ভক্তদেরও হতাশ করেছে।

ব্যাটিং ধসের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আমি ড্রেসিংরুমে কফি খাচ্ছিলাম এবং হঠাৎ করেই পাঁচ উইকেট পড়ে গেল। আশা করি, পরের ম্যাচেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব এবং সবাই ভুল থেকে শিক্ষা নেবে।’

শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেওয়া ২৪৫ রানের টার্গেটে ১ উইকেটে ১০০ রান তুলে ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এরপর ২৬ বলে ৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর রান আউট দিয়ে টাইগাদের ব্যাটির ধস শুরু হয়।

এরপর নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট শিকার করেন শ্রীলংকার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। লিটন দাসকে শূন্য হাতে এবং বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা তানজিদ হাসান তামিমকে(৬২) থামান ডি সিলভা।

হাসারাঙ্গার সাথে অন্য প্রান্ত দিয়ে কামিন্দু মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে হারের মুখে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। তানজিদের আউটের পরই বাংলাদেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান তাসকিন।

৪৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলংকাকে ২৪৪ রানে গুটিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা তাসকিন বলেন, ‘দুর্দান্ত শুরুর পর, আমরা কিছুটা স্বস্তিতে ছিলাম। সবকিছু আমাদের পক্ষেই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ সেই রান আউট এবং ক্রিজে সেট ব্যাটার তানজিদ আউট হয়ে গেল। এরপর আমরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারিনি এবং চাপের মুখে ভেঙে পড়েছিলাম। পরিসংখ্যান মতে এটি লো স্কোরিং মাঠ। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে এবং ম্যাচ হারার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তারপরও ম্যাচটি আমাদের হাতে ছিল এবং আমরা আরও ভাল করতে পারতাম।’

সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের খেলায় উন্নতি দরকার বলে মনে করেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পারফরমেন্সের উন্নতি ঘটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজে টিকে থাকতে হলে এটি অপরিহার্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সেরা ১৫-২০ জন খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠিত। বোলিং-ব্যাটিং মিলিয়ে ও খেলার সচেতনতার অভাবে আমরা শীর্ষ দলগুলোর থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছি। আমরা একটি ভালো পরিবেশ এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে এটি উন্নত করার চেষ্টা করছি।’

এখন পর্যন্ত শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫৮ ম্যাচ খেলে মাত্র ১২টি জিতেছে বাংলাদেশ। ৪৪টিতে হার ও দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।

ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বশেষ সাত ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ। গত বছর আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারা সিরিজে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ঐ সিরিজের শেষ ম্যাচে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টানা তিন ওয়ানডে এবং এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে তারা।

টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাবার পর শ্রীলংকার কাছে হারে বাংলাদেশ।

শ্রীলংকার মাটিতে বাংলাদেশের ওয়ানডে রেকর্ড হতাশাজনক। ২৫ ম্যাচ খেলে মাত্র ২টিতে জয়, ২১টিতে হার ও ২টি পরিত্যক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে শ্রীলংকার মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টাইগাররা।

পক্ষান্তরে, সর্বশেষ পাঁচ সিরিজের চারটিতেই জিতেছে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে আরও একটি সিরিজ জয় নিশ্চিত করার লক্ষ্য থাকবে লংকানদের।

বাংলাদেশ দল : মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মোহাম্মদ নাইম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলী, শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।

শ্রীলংকা দল : চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, আভিস্কা ফার্নান্দো, নিশান মাধুশকা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, কামিন্দু মেন্ডিস, জেনিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলালাগে, হাসারাঙ্গা ডি সিলভা, মহেশ থিকশানা, জেফরি ভান্ডারসে, মিলান রত্নায়েকে (ফিট থাকা সাপেক্ষে), দিলশান মাধুশঙ্কা, আসিথা ফার্নান্দো ও ইশান মালিঙ্গা।


ফুটবলের পর এবার হকিও সুখবর দিল বাংলাদেশকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

নারী ফুটবলে বুধবার (০২ জুলাই) বড় এক সুখবর পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম বারের মতো নিশ্চিত হয়ে গেছে এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ। এবার বাংলাদেশ সুখবর পেল হকি থেকেও। অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছে হংকংকে। শুরু থেকে দাপট ধরে রেখে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে কোচ মউদুদুর রহমানের শিষ্যরা।

চীনের দাজু হকি ট্রেইনিং সেন্টারে বুধবার (০২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় হংকংয়ের। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম কোয়ার্টারে অবশ্য গোলের দেখা পায়নি দলটা।

গোলের দেখা মিলেছে ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে। ২০ মিনিটে দ্বীন ইসলাম পেয়ে যান ফিল্ড গোল। ম্যাচে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরের দুটি গোলই এসেছে পেনাল্টি কর্নার থেকে। ২৬ মিনিটে আবারও গোলের খাতায় নাম লেখান দ্বীন ইসলাম।

৪৩ মিনিটে ওই পেনাল্টি কর্নার থেকেই আবারও গোল পায় বাংলাদেশ। এবার লক্ষ্যভেদ করেন হাসান অমিত। তাতেই হংকংয়ের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে যায়। বাংলাদেশ শেষে মাঠ ছাড়ে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে। দুই গোল করে ও দারুণ খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা জেতেন দ্বীন ইসলাম।

বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে আছে পুল ‘এ’-তে। এই পুলে বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গী হংকং ছাড়াও আছে স্বাগতিক চীন ও বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দ্বীন ইসলামদের পরবর্তী ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আগামী ৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩-৩০ মিনিটে এই লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।

চীনে একই সময়ে মাঠে গড়াচ্ছে নারী অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপও। সেখানেও বাংলাদেশ খেলছে। আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় জাপানের মুখোমুখি হবে দলটি।


ঋতুপর্ণার অসাধারণ ২ গোলে বাংলাদেশের মিয়ানমার-জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এবার ঋতুপর্ণাদের শিকার ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমার।

ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের প্রথমার্ধে ঋতুপর্ণা চাকমার গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৭১ মিনিটে অসাধারণ এক গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেই ঋতুপর্ণাই। মিয়ানমার যদিও শেষ দিকে ১ গোল শোধ করেছে, তাতে বাংলাদেশের জয় আটকায়নি। ম্যাচটা ২-১ গোলে জিতে এশিয়ান কাপের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল মেয়েরা। ৫ জুলাই গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে না হারলেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠে যাবে পিটার বাটলারের দল।

মিয়ানমারের ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে স্বাগতিক দর্শকদের গর্জনে প্রকম্পিত থাকে থুউন্নার গ্যালারি। কিন্তু সেই গর্জনও থামাতে পারেনি বাংলাদেশকে। ১৮ মিনিটে পুরো স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেন ঋতুপর্ণা, বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। বিরতিতে যাওয়ার আগপর্যন্ত স্কোরলাইন সমান করার অনেক চেষ্টা করেও পারেনি মিয়ানমার, উল্টো বিরতির পর ঋতুপর্ণার চোখধাঁধানো শটে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা।

প্রথমার্ধে একটু এলমেল ছিল বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। ম্যাচের ১১ ও ১২ মিনিটে দুবার বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে আক্রমণ শাণায় মিয়ানমার। দুটি আক্রমণই পোস্ট ছেড়ে রুখে দেন গোলকিপার রুপনা চাকমা। এর মধ্যে ১৭ মিনিটে ড্রিবল করে ডি-বক্সে ঢোকার পথে ফাউলের শিকার হন শামসুন্নাহার জুনিয়র। তাতেই ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। ১৮ মিনিটে সেই ফ্রি-কিক থেকে বাঁপায়ের নিখুঁত শটে মিয়ানমারের জালে বল জড়ান ঋতুপর্ণা। প্রথম দফায় ঋতুপর্ণার শট প্রতিপক্ষের রক্ষণে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি শটে পোস্টের কোনাকুনি দিয়ে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড।

১ গোলে এগিয়ে থাকার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ২৩ মিনিটে পেয়ে যায় গোলের আরেকটি সুযোগ। কিন্তু বাঁ-প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠার পর ঋতুপর্ণার ক্রসে শট নিলেও বল পোস্টে রাখতে পারেননি শামসুন্নাহার জুনিয়র। মিয়ানমারও থেমে ছিল না। সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ করে। ৩৫ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদে না পড়লে স্কোর সমান হয়ে যেত। এর এক মিনিট পর বাংলাদেশের ছেঁড়া রক্ষণের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় মিয়ানমার। আর ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক পাওয়া মিয়ানমার তিন-তিনবার বাংলাদেশের গোলমুখে শট নিয়েও লক্ষ্যে বল পৌঁছাতে পারেনি।

বিরতির পর আরও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করে মিয়ানমার। ৫৭ ও ৫৮ মিনিটে স্বাগতিক দলের দুই আক্রমণ রুখে দেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। ৬০ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আশা জাগালেও গোলদাতা ঋতুপর্ণার শট খুঁজে পায়নি কাঙ্ক্ষিত নিশানা। এরপর ৬৫ মিনিটে কর্ণার পায় বাংলাদেশ, তবে সেই কর্ণার থেকে আশানুরূপ সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি অতিথিরা। ৭১ মিনিটে আরও একবার মিয়ানমার দেখে ঋতুপর্ণার ঝলক। এবার প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে পেনাল্টি বক্সের বাঁ-প্রান্ত থেকে বাঁপায়ের শটে দারুণ এক গোল পেয়ে যান ঋতুপর্ণা। বাঁক খেয়ে জালে ঢুকে যাওয়া সেই শট চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না প্রতিপক্ষ গোলকিপার মিয়ো মায়ার। দেরিতে হলেও ১ গোল শোধ করে মিয়ানমার। ৮৯ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোলটা করেন উইন উইন।


banner close