শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তানজিম সাকিব: বিসিবি

তানজিম হাসান সাকিব
আপডেটেড
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:০৩
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:৪১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্টের কারণে পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বপ্নের মত অভিষেকের একদিন পর তার পুরানো পোস্টগুলো ভাইরাল হয়।

সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় তানজিম সাকিবের। অভিষেকের দ্বিতীয় বলেই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে শূন্য হাতে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়ে ভারতের বিপক্ষে ৬ রানের জয়ে বড় অবদান রাখেন তানজিম।

মঙ্গলবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফেসবুকে তানজিমের দেয়া বির্তকিত পোস্টগুলোর বিষয়ে আমরা তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি বলেছেন, অন্য কাউকে আঘাত করার জন্য এমন পোস্ট করেননি, নিজ থেকেই এমন পোস্ট করেছেন এবং যদি এটি কাউকে আঘাত করে তাহলে তার জন্য দুঃখিত তানজিম।’

ইউনসু আরও বলেন, ‘বিতর্কিত পোস্টের জন্য তানজিম দুঃখ প্রকাশ করায় আমরা তাকে সতর্ক করেছি। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের পোস্ট দেবেন না এবং এই ধরনের সমস্যা তৈরি করা থেকে দূরে থাকবেন।’

ইউনুস জানিয়েছেন, ফেসবুক দেওয়া সব পোস্ট ইতোমধ্যে মুছে ফেলেছেন তানজিম। এটিও স্পষ্ট করা হয়েছে, তার আচরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে বিসিবি।


আইসিসির মাসসেরার মনোনয়নে তাইজুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

গত মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ। এই সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেন বাংলাদেশ স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের জন্য আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল। বাঁহাতি এ স্পিনারের সঙ্গে মনোনয়ন পাওয়া বাকি দুজনও স্পিনার- দক্ষিণ আফ্রিকার সাইমন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নেওয়াজ।

আইসিসির ওয়েবসাইটে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত তালিকায় তাইজুলকে নিয়ে লেখা হয়, ‘ঘরের মাঠে নির্ভরযোগ্য ম্যাচজয়ী হিসেবে সুনাম বজায় রেখেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার।’ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে এই সংস্করণে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও হন তাইজুল। ৫৭ টেস্টে তার শিকার ২৫০ উইকেট।

ভারতের মাটিতে গত মাসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাও স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করে। এই সিরিজে অবিশ্বাস্য ৮.৯৪ গড়ে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নেন অফ স্পিনার হারমার। প্রথম টেস্টে ৮ এবং পরের টেস্টে ৯ উইকেট নেন। গত মাসে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নেন নেওয়াজ। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা ছিল তার।

অন্যদিকে মেয়েদের ক্রিকেটে নভেম্বরের সেরা ক্রিকেটারের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন ভারতের শেফালি বর্মা, থাইল্যান্ডের থিপাটচা পুত্থাওং ও আরব আমিরাতের এশা ওজা। গত ২ নভেম্বর মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের জয়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন শেফালি। মেয়েদের ইমার্জিং নেশনস ট্রফিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট নেন থাই স্পিনার থিপাচা। গত মাসে ৭ টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৩৭.৫০ স্ট্রাইকরেটে ১৮৭ রান করেন ওজা।

বাংলাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে গত মে মাসে আইসিসির এপ্রিলের সেরা খেলোয়াড় হন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার আগে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম এ পুরস্কার জিতেছেন।


ব্রাদার্সকে ৫ গোল দিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস

আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:২০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিনে একটিই ম্যাচ ছিল। মুন্সিগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ৫-১ গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছে। এতে পাঁচ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে কিংস নিজেদের শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে।

সাত পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাদার্স ইউনিয়ন শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) হেরে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ফর্টিজ ঢাকা আবাহনীকে হারাতে পারলে ১০ পয়েন্টে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠবে। রহমতগঞ্জ আরামবাগের বিপক্ষে জিতলে তাদেরও ১০ পয়েন্ট হবে। যদি রহমতগঞ্জ ও ফর্টিজ দুই দলই পয়েন্ট হারায় আজ শনিবার, তাহলে বসুন্ধরা কিংস তিন পয়েন্টের বেশি এগিয়ে থাকবে। কিংস ম্যাচে ৫ গোল করলেও প্রথম গোলের জন্য ৪১ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েল্টন গোলসূচনা করেন। ইনজুরি সময়ে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরে কিংস।

দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটের মধ্যে দুই গোল পায় বসুন্ধরা। নাইজেরিয়ান এমানুয়েল ৫০ ও সোহেল ৫৪ মিনিটে গোল করেন। ডরিয়েল্টন ৭৭ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করলে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় কিংস। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্রাদার্সের মোজাম্মেল এক গোল শোধ দেন।

জাতীয় দলের এক সময়ের নির্ভরযোগ্য গোলরক্ষক ছিলেন আনিসুর রহমান জিকো। জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অপছন্দ ও ব্যক্তিগত কিছু কারণে তিনি নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। সাম্প্রতিক সময়ে জিকো আবার ক্লাবে নিয়মিত খেলা শুরু করেছেন। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে কিংসের হয়ে কুয়েতে ম্যাচে খেলেছেন। এবার লিগেও দুটি ম্যাচ খেললেন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) কয়েকটি ভালো সেভও করেছেন।


শুরুর আগেই বিপিএলে চট্টগ্রামের দায়িত্ব ছাড়লেন বাশার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিপিএলের আসন্ন ১২তম আসরে অংশ নেবে ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। যার মধ্যে নতুন মালিকানায় আসছে চট্টগ্রাম রয়েলস। আসর শুরুর আগেই চট্টগ্রাম শিবির ছাড়লেন হাবিবুল বাশার সুমন।

চট্টলার ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ম্যানেজার এবং মেন্টর হিসেবে কদিন আগে হাবিবুল বাশার সুমনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আসর শুরুর আগেই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমকে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে থাকছেন না তিনি।

এদিকে, দলটির প্রধান কোচ হিসেবে থাকছেন মমিনুল হক। এ ছাড়া কোচিং প্যানেলে আরও রয়েছেন নাজমুল হোসেন মিলন এবং আশরাফুল ইসলাম জিকো।

অন্যদিকে, শেষ মুহূর্তে ঘর গোছাচ্ছে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও। দলগুলোর কোচিং লাইন-আপও চূড়ান্ত। রংপুর কোচিং স্টাফে প্রধান কোচ হিসেবে আছেন মিকি আর্থার, সহকারী কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল, ব্যাটিং কোচ শাহরিয়ার নাফিস, স্পিন বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিক।

রাজশাহী দলের প্রধান কোচ হিসেবে রয়েছেন হান্নান সরকার। ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ টবি রাদারফোর্ড। অন্যদিকে সিলেটের প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন সোহেল ইসলাম। নোয়াখালীর দায়িত্বে খালেদ মাহমুদ সুজন।


বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নতুন করে যা বললেন মেসি

আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:২১
ক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্র শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকো বিশ্বকাপে আলাদা করে দৃষ্টি ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ান আর্জেন্টিনার দিকে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ট্রফি পেয়েছে আর্জেন্টিনা, লিওনেল মেসির দারুণ পারফরম্যান্সে। তখনই অবসরের ঘোষণা দেননি। এখনও ফুটবল উপভোগ করে যাচ্ছেন। আর্জেন্টিনা কিংবা ইন্টার মায়ামির হয়ে।

এখন বড় প্রশ্ন- আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপ কী আদৌ খেলবেন মেসি? ইএসপিএনের কাছে এ নিয়ে নতুন করে নিজের ভাব প্রকাশ করেছেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী। তবে উত্তরে এবারও নতুনত্ব নেই। ওয়াশিংটন ডিসি-তে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) হয়েছে বিশ্বকাপের ড্র। এর আগে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে ৩৮ বছর বয়সি তারকা বলেছেন, ‘আশা করি আমি সেখানে (বিশ্বকাপ) থাকতে পারবো। আগেও বলেছি, সেখানে থাকতে আমি ভীষণ চাই।’ তবে এরপরই যা বললেন তাতে করে শঙ্কা থাকছেই, ‘পরিস্থিতি যদি কোনোভাবে খুব প্রতিকূল হয়, সবচেয়ে খারাপ হয়, যদি খেলতে নাও পারি, অন্তত দর্শক হিসেবেই দেখবো- তবু তা হবে এক বিশেষ অনুভূতি।’ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকার সেরা দল হয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সতীর্থদের নিয়ে মেসির কণ্ঠে প্রশংসা, ‘সত্যি বলতে, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে এবং এটা অনেক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সবার যে উদ্দীপনা ও আগ্রহ, সেটা আরও স্পষ্ট।’

মেসি এরপর যোগ করেন, ‘সবার মানসিকতাই দুর্দান্ত। এটা পুরোপুরি বিজয়ীদের দল- মানসিকভাবে শক্ত, আরও জিততে চায়, আর সেই তাগিদটা খুব ছোঁয়াচে। অনুশীলনে, ম্যাচে- সব জায়গায় সেটা চোখে পড়ে। ওদের অনুশীলন করতে দেখলেই বোঝা যায়, তারা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেয়।’


৩ বছরের শিশুর বিশ্বরেকর্ড

আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:২২
ক্রীড়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থা (ফিদে)-এর আনুষ্ঠানিক রেটিং অর্জন করে ইতিহাস গড়েছেন ভারতের এক শিশু। দাবার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে ফিদে রেটিং পাওয়া খেলোয়াড়ের তকমা পেয়েছেন এ ক্ষুদে দাবাড়ু। তার নাম সর্বজ্ঞ সিংহ কুশওয়াহা। মাত্র তিন বছর সাত মাস ২০ দিন বয়সে তিনি ফিদে রেটিং অর্জন করেন।

এর আগে এই রেকর্ড ছিল ভারতেরই অন্যান্য প্রতিভাবান খেলোয়াড় অনীশ সরকারের। রেটিং পাওয়ার সময় তখন তার বয়স ছিল তিন বছর আট মাস ১৯ দিন।

মধ্যপ্রদেশের নার্সারি-শ্রেণির ছাত্র কুশওয়াহার বর্তমান র‍্যাপিড রেটিং ১,৫৭২। ফিদে রেটিং পেতে হলে অন্তত একজন রেটেড খেলোয়াড়কে পরাজিত করতে হয়। কুশওয়াহা রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে তিনজন রেটেড খেলোয়াড়কে পরাজিত করে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন।

কুশওয়াহার বাবা সিদ্ধার্থ সিংহ ইটিভি-ভারতকে বলেন, আমাদের ছেলের এই অর্জন অত্যন্ত গর্বের এবং সম্মানের। আমরা চাই সে একদিন গ্র্যান্ডমাস্টার হোক। র‍্যাপিড দাবায় বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর স্থানে আছেন ম্যাগনাস কার্লসেন। তার র‍্যাপিড রেটিং ২,৮২৪।


ম্যাচ শুরুর আগেই লাল কার্ডের বিরল ঘটনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ভারতের এআইএফএফ সুপার কাপের সেমিফাইনালে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। তখনও খেলা শুরু হতে বাকি বেশ কয়েক মিনিট। মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগেই টানেলে লাল কার্ড দেখেছেন এফসি গোয়ার অধিনায়ক ইকার গুয়ারোক্সেনার। এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মারগাওয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে।

ম্যাচ শুরুর আগে টানেলের শেষ প্রান্তে মাঠে প্রবেশ করার আগমুহূর্তে শুরু হয় হইচই। খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা জড়িয়ে পড়েন তর্কে। পরে জানা যায়, অসন্তোষ প্রকাশের কারণে রেফারি প্রতিক মন্ডল লাল কার্ড দেখিয়েছেন গোয়ার অধিনায়ককে।

গুয়ারোক্সেনাকে রেফারি তার ইনার শর্টসটি পরিবর্তন করতে বলেন। সেটির রং দুই দলের কিটের রঙের উপাদানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ করায় ম্যাচ শুরুর আগেই তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

এফসি গোয়ার কোচ মানোলো মার্কুয়েজ বলেন, ‘আমি দেখেছি রেফারি তাকে পোশাক বদলাতে বলছেন এবং ভেবেছিলাম সেখানেই বিষয়টি মিটে যাবে। আমি মাঠে চলে যাই এবং দুই মিনিট পরে কেউ এসে জানায় ইকারকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল না, তবে আমরা ১১ জন নিয়ে খেলতে পেরেছি। সমস্যা হলো এখন ইকার ফাইনালে খেলতে পারবে না। এই কারণে লাল কার্ড দেখানো একটু বেশি কঠোর, কিন্তু যাই হোক।’

যেহেতু লাল কার্ডের ঘটনা কিক-অফের আগে ঘটেছে, তা গোয়া সুযোগ পেয়েছিল বদলি নামানোর। বেঞ্চে থাকা হাভি সিভেরিওকে নামানো হয় মাঠে।

ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড গ্রহণ করা বোরহা হেরেরা বলেন, ‘আমার জীবনে এমন কিছু কখনো দেখিনি। তবে এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি দেখবে এবং সমাধান খুঁজে বের করবে।’ ম্যাচ শুরুর আগে লাল কার্ড দেখানোর এমন ঘটনা খুবই বিরল ফুটবলে। গোয়া এই প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ২-১ গোলে মুম্বাই সিটিকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে ফাইনালে জায়গা করে নেয়।


ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১০ হাজার কোটি টাকার জুয়া কেলেঙ্কারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

কদিন আগেই জুয়া কেলেঙ্কারিতে ঝড় উঠে তুরস্কের ফুটবলে। ওই ঘটনায় বহু ফুটবলার ও রেফারিকে আজীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রাইটনের মালিকের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ক্লাবটির প্রধান মালিক ও চেয়ারম্যান টনি ব্লুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি গোপনে ৬০ কোটি পাউন্ড বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার জুয়া সিন্ডিকেট সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, বাজির কিছু হিসেব ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দল ‘রিফোর্ম ইউকে’-এর এমপি নাইজেল ফারাজের সাবেক চিফ অব স্টাফের নামে। উচ্চ আদালতের নথি অনুযায়ী, রিফোর্ম ইউকে’-এর নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জর্জ কট্রেলকে বলা হয়েছে যে তিনি একটি বড় জুয়া সিন্ডিকেট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, কট্রেল এই সিন্ডিকেটের জন্য একটি ঢাল হিসেবে কাজ করেছিলেন, যা টনি ব্লুমের সঙ্গে সম্পর্কিত।

উচ্চ আদালতে দাখিল করা ১৯ পাতার নথি অনুযায়ী, এটি ব্লুম এবং তার সাবেক সহযোগী রায়ান ডাডফিল্ডের মধ্যে চলমান বিরোধের অংশ। তাদের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে বাজি থেকে প্রাপ্ত লাভ হিসেবে প্রায় ১৯ কোটি পাউন্ড পাওনার জন্যই এই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে তারা। জুয়ার এই সংস্থাটি ‘স্টারলিজার্ড বেটিং সিন্ডিকেট’ নামে পরিবিত। তাদের বার্ষিক আয় ৬০ কোটি পাউন্ড। নথি অনুযায়ী, বাজি খেলানো হয় ফুটবলার, খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে।

বাজিতে নাকি খুব একটা সফল ছিলেন না কট্রেল। নথিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কট্রেল বিশেষভাবে সফল জুয়ো খেলোয়াড় ছিলেন না এবং প্রায়ই বড় অঙ্কের টাকা হারাতেন।’ পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কট্রেল তার বাজি হিসাবগুলো ব্লুম এবং সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে বাজি খেলার জন্য সরাসরি তাকে পাঠানোর প্রয়োজন না হয়।’

কে এই ব্রাইটনের মালিক টনি ব্লুম?

ব্রাইটনের চেয়ারম্যান টনি ব্লুম বিশ্বের সবচেয়ে সফল জুয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তার আয়ের বড় অংশ আসে এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে। ব্লুম ২০০৯ সালে ব্রাইটনের চেয়ারম্যান হন এবং দ্রুত ৭৫ শতাংশ শেয়ারহ অধিগ্রহণ করে ক্লাবে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেন, যা ব্রাইটনের এমেক্স স্টেডিয়ামের উন্নয়নে কাজে খরচ করা হয়।


বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে নতুন বিড়ম্বনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরু থেকেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দেখা গেছে- শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের সাইম আয়ুব ও আবরার আহমেদও খেলেছেন এই আসরে। আসন্ন মৌসুমের নিলাম থেকেও বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি তারকাকে দলে নিয়েছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি।

তবে পুরো মৌসুমজুড়ে তাদের পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, পাকিস্তান দলের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির কারণে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন না। ফলে দলগুলো আগে থেকেই বিকল্প খোঁজার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ডিসেম্বরের আগামী ২৬ তারিখ থেকে আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিএল হওয়ার কথা। এই সময় পাকিস্তানের দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, ‘জানুয়ারির মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ আছে, আর জানুয়ারির শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলবে তারা। তাই পুরো মৌসুমে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না- এটা আমরা আগেই জানি।’

পাকিস্তান ৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কায় ক্যাম্পও করবে দলটি। এরপর জানুয়ারির শেষ দিকে তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেকটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।

এর পরপরই পাকিস্তান দল আবার শ্রীলঙ্কায় যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই বিশ্বকাপ, যা হাইব্রিড মডেলে যৌথভাবে আয়োজন করছে শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

এবারের বিপিএলে সাইম আয়ুব, মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, উসমান খান, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহসহ অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে জাতীয় দলের দায়িত্ব থাকায় তাদের বেশিরভাগই পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এনওসি দিচ্ছি না- এটা সত্য নয়। যারা আবেদন করেছে, আমরা তা যাচাই-বাছাই করছি। জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকলে সেটাই আগে গুরুত্ব পাবে। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম অনুসরণ করা হয়।’

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ধারণা, শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে বা শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মধ্যবর্তী বিরতিতে কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিপিএলে খেলতে পারেন। আর যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পরিকল্পনায় নেই, তারা হয়তো আরও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন।


ওমানের জালে বাংলাদেশের ১৩ গোল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

‎‎জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের আমিরুল ইসলাম। গ্রুপ পর্বে দুই হ্যাটট্রিকের পর বৃহস্পতিবার ১৭ থেকে ২৫তম স্থান নির্ধারণীর কোয়ার্টার ফাইনালে ওমানের বিপক্ষে পাঁচ গোল করেছেন তিনি। ম্যাচটাও বাংলাদেশ জিতেছে ১৩-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। প্রথমবার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের এটাই প্রথম জয়।

‎‎ভারতের মাদুরাই ইন্টারন্যাশনাল হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার একের পর এক গোল উদযাপন করে বাংলাদেশ দল। আমিরুলের পাঁচ গোল ছাড়াও হ্যাটট্রিক করেছেন রাকিবুল হাসান, জোড়া গোল করেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মোহাম্মদ সাজু।

‎ওমানের বিপক্ষে প্রথম কোয়ার্টারেই স্কোর ৩-০ করে বাংলাদেশ। পেনাল্টি কর্নার থেকে তিনটি গোল করেন আমিরুল। তিন গোল হজমের পর সুবিধা করতে পারেনি ওমান। ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশকে জোড়া গোল উপহার দেন রাকিবুল হাসান।

‎৩৩ মিনিটে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ওমানের জালে বল পাঠালে পার্থক্যটা আরও বাড়ে। এর এক মিনিট পর আবারও আমিরুলের ঝলক। পেনাল্টি কর্নার থেকে নিজের চতুর্থ ও দলের সপ্তম গোলটি করেন। সেই তৃতীয় কোয়ার্টারেই বাংলাদেশের হয়ে অষ্টম গোলটি করেন ওবায়দুল হাসান। শেষ দিকে সাজু দুবার এবং আমিরুল, রাকিবুল, আবদুল্লাহ আরও একবার করে ওমানের জালে বল পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশের মতো ওমানও এবারই প্রথম জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে ওমান। এই তিন ম্যাচে গোল হজম করেছে ২৩টি, বিপরীতে একটি গোলও করতে পারেনি।

‎‎ ১৩ গোল হজমের ম্যাচে ওমান বাংলাদেশের গোলমুখে খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। চার কোয়ার্টারে তিনটি পেনাল্টি কর্নার পেয়েও গোলের মুখ দেখেনি তারা।

‎প্রতিপক্ষ বিবেচনায় জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব খুব খারাপ কাটেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের। তিন ম্যাচের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ড্র করেছে সিগফ্রিড আইকম্যানের দল। অন্য দুই ম্যাচের একটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরেছে ৫-৩ গোলে এবং আরেকটিতে ফ্রান্সের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে।

‎এক ড্র, দুই হারে গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ- সব গ্রুপ মিলিয়ে ষষ্ঠ সেরা তৃতীয় দল। এর ফলে বাংলাদেশের বর্তমান লড়াইটা ১৭ থেকে ২৫ স্থান নির্ধারণীর। যেখানে প্রথম ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে স্থান নির্ধারণী সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সেরা চারের বাধা পেরিয়ে ফাইনালেও জিতলে ১৭তম হবে তারা।


অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রুটের প্রথম সেঞ্চুরি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

জো রুট অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেঞ্চুরি করলেন। ব্রিসবেনে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে রুটের লাগল ৪,৩৯৬ দিন, ৩০ ইনিংস, ১৬ টেস্ট ও ১২ বছর। টেস্টে সব মিলিয়ে এটি তার ৪০তম সেঞ্চুরি।

টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে ২৯ ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ব্যাটিং করছেন রুট, তাতে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৮৯। আর সেই সেঞ্চুরি-খরা কাটল তার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হাজার রানও পূর্ণ করেছেন রুট।

রুট অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেঞ্চুরি পাবেন কি না, এবার অ্যাশেজের আগে বড় প্রশ্ন ছিল এটি। পার্থ টেস্টে রুট সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৮ রান। তবে ব্রিসবেনে এসেই পাল্টে দিলেন দৃশ্যপট।

ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে অবশ্য রুট একাই নায়ক হতে পারছেন না। অস্ট্রেলিয়ার গোলাপি বলের রাজা মিচেল স্টার্ক যে উইকেট নিয়েছেন ৬টি। বেন ডাকেট, ওলি পোপ, হ্যারি ব্রুক, উইল জ্যাকস, ব্রাইডন কার্স ও গাস অ্যাটকিনসনকে ফিরিয়েছেন স্টার্ক।

এদিন পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের ৪১৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড পেছনে ফেলে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন স্টার্ক।

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে উইকেটে ৩২৫ রান করে দিন শেষ করেছে। ২৬৪ রানে নবম উইকেট হারানো ইংল্যান্ড শেষ উইকেট জুটিতে তুলেছে ৬১ রান। পেসার জফরা আর্চার অপরাজিত আছেন ৩২ রানে, সেঞ্চুরিয়ান রুট ১৩৫ রানে।


ঝালকাঠিতে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শ্লোগানে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫।

ঝালকাঠি পৌর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিকেলে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের খেলোয়ারদের হাতে ট্রফি, মেডেল এবং প্রাইজ মানির প্লাকার্ড তুলে দেন।

টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রীত অতিথি ছিলেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং ক্রীড়া সংগঠকরা।

ফাইনাল ম্যাচে বিনয়কাঠি শের-ই-বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ দল টাইব্রেকারে ঝালকাঠি সরকারি কলেজ দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।

ঝালকাঠি জেলা ক্রিড়া অফিসার নরেশ গাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত এ টুর্নামেন্ট গত মঙ্গলবার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে। ঝালকাঠি জেলার চারটি উপজেলার মোট ১২ টি কলেজের টিম এতে অংশ নিয়েছে।


আইরিশদের বিপক্ষে দাপুটে সিরিজ জয় টাইগারদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আইসিসি র‍্যাংকিংয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ডকে ২-১ ব্যাবধানে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল টাইগাররা। সিরিজের ১ম ম্যাচে হারের পর ২য় ম্যাচে সিরিজ ধরে রাখার অগ্নিপরীক্ষায় পড়ে লিটন দাসের দল। অতঃপর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে করে এক বল বাকি থাকতেই ১১৭ রানে আইরিশদের অলআউট করে দেয় স্বাগতিকরা। জবাবে নেমে ১৩.৪ ওভারে তানজিদ তামিমের ফিফটিতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমে আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও ভালো শুরু পায় আইরিশরা। ৪ ওভারে ৩৮ রান তুলে প্রথম উইকেট হারায় তারা। টিম টেক্টর ১০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান করে আউট হন। ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে ১০ ওভার শেষে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেননি পল স্টার্লিংরা। অধিনায়ক স্টার্লিং দলের পক্ষে সর্বাধিক ২৭ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। মিডল অর্ডারে ডকরেল ২৩ বলে ১৯ ও ডিলানি ১২ বলে ১০ রান করেন।

ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে ফিরে তানজিদ তামিমের সঙ্গে সাইফ হাসান ৪ ওভার শেষে ৩৮ রানের জুটি দেন। সাইফ ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হন। দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। পরে লিটন দাস ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। ৭৩ রানের জুটি গড়ে তানজিদ ও পারভেজ ইমন ম্যাচ বের করে নেন। তানজিদ ৩৬ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে চারটি চার ও তিনটি ছক্কা আসে। ইমন ২৬ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৩৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।

বল হাতে একাদশে ফিরে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ ওভার করে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া পেসার শরিফুল ইসলাম ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী ও সাইফউদ্দিন।


বিপিএল-এ কে কত টাকায় বিক্রি হলেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলাম হয়েছে রোববার। নিলামে এরই মধ্যে দলগুলো তাদের পছন্দের ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই কিনে নিয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে কোন দলে কত টাকায় গেলেন...

রংপুর রাইডার্স সরাসরি চুক্তি: নুরুল হাসান সোহান, মোস্তাফিজুর রহমান। বিদেশি- খাজা নাফি, সুফিয়ান মুকিমনিলাম থেকে: লিটন কুমার দাস (৭০ লাখ), তাওহিদ হৃদয় (৯২ লাখ), নাহিদ রানা (৫৬ লাখ), রকিবুল হাসান (৪২ লাখ), আলিস আল ইসলাম (২৮ লাখ), মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি (১৮ লাখ), নাঈম হাসান (১৮ লাখ), ইরফান শুক্কুর (১৮ লাখ)

ঢাকা ক্যাপিটালস সরাসরি চুক্তি: তাসকিন আহমেদ, সাইফ হাসান। বিদেশি-উসমান খান, অ্যালেক্স হেলস। নিলাম থেকে: শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৫৬ লাখ), মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন (৬৮ লাখ), মোহাম্মদ মিঠুন (৫২ লাখ), তাইজুল ইসলাম (৩০ লাখ), সাব্বির রহমান (২৮ লাখ), নাসির হোসেন (১৮ লাখ), তোফায়েল আহমেদ (১৮ লাখ), ইরফান শুক্কুর (১৮ লাখ)

সিলেট টাইটান্স সরাসরি চুক্তি: নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ। বিদেশি-সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ আমির। নিলাম থেকে: পারভেজ হোসেন ইমন (৩৫ লাখ), সৈয়দ খালেদ আহমেদ (৪৭ লাখ), আফিফ হোসেন ধ্রুব (২২ লাখ), রনি তালুকদার (২২ লাখ), জাকির হাসান (২২ লাখ), রুয়েল মিয়া (২৩ লাখ), আরিফুল ইসলাম (২৬ লাখ), ইবাদত হোসেন চৌধুরী (২২ লাখ),

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স সরাসরি চুক্তি: নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম। বিদেশি-সাহিবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ নওয়াজ। নিলাম থেকে: তানজিম হাসান সাকিব (৬৮ লাখ), ইয়াসির আলি চৌধুরী (৪৪ লাখ), আকবর আলি (৩৪ লাখ), রিপন মণ্ডল (২৫ লাখ), জিসান আলম (১৮ লাখ), হাসান মুরাদ (১৮ লাখ), আব্দুল গাফফার সাকলাইন (৪৪ লাখ), এসএম মেহেরব হাসান (৩৯ লাখ),

চট্টগ্রাম রয়্যালস সরাসরি চুক্তি: শেখ মেহেদি হাসান, তানভির ইসলাম। বিদেশি-আবরার আহমেদ। নিলাম থেকে: মোহাম্মদ নাঈম শেখ (১ কোটি ১০ লাখ), শরিফুল ইসলাম (৪৪ লাখ), আবু হায়দার রনি (২২ লাখ), মাহমুদুল হাসান জয় (৩৭ লাখ), মাহমুদুল হাসান জয় (২২ লাখ), সুমন খান (৩২ লাখ), জিয়াউর রহমান (৩০ লাখ), আরাফাত সানি (১৮ লাখ)

নোয়াখালী এক্সপ্রেস সরাসরি চুক্তি: হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার। বিদেশি- জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিসনিলাম থেকে: জাকের আলি অনিক (৩৫ লাখ), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩৫ লাখ), হাবিবুর রহমান সোহান (৫০ লাখ), নাজমুল ইসলাম অপু (১৮ লাখ), আবু হাশিম (১৮ লাখ), মুশফিক হাসান (১৮ লাখ), শাহাদাত হোসেন দীপু (১৮ লাখ), রেজাউর রহমান রাজা (১৮ লাখ)।


banner close