সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

দুর্দান্ত জয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি

খেলার প্রথমার্ধে বাংলাদেশ দলের এ হাসি অটুট ছিল ম্যাচ শেষেও। ছবি: সংগৃহীত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২২:৪৭

বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

গৌহাটিতে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করেন লিটন-মিরাজরা।

শুরু থেকেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই তামিম ইকবাল, চোটের কারণে প্রস্তুতি ম্যাচে নামা হয়নি সাকিব আল হাসানেরও। দুজনের অনুপস্থিতিতে টাইগারদের সবচেয়ে বড় স্বস্তির বিষয় ওপেনিংয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া। লিটন দাস ও তরুণ তানজিদ হাসান তামিমই যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন। এরপর মেহেদী মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমরা বাকি কাজ সেরেছেন, ফলে বাংলাদেশ ৭ উইকেটের দাপুটে এক জয় পেয়েছে।

সাকিববিহীন ম্যাচে অধিনায়কত্ব পাওয়া মিরাজ আজ ব্যাটে-বলে দারুণ অবদান রেখেছেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের (৩২/১) পর ব্যাট হাতেও পেয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তার আগে প্রতিভা দেখিয়ে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া তানজিদ তামিম ম্যাচটিতে সেঞ্চুরির আশাও জাগিয়েছিলেন। একই সঙ্গে রানে ফিরেছেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। তিনিও দীর্ঘ সময় পর ফিফটি পেয়েছেন, যা মূল ম্যাচের আগে অনেকটা ফুরফুরে রাখবে বাংলাদেশকে।

শুরু থেকেই দারুণ বোঝাপড়া দেখিয়েছেন লিটন-তামিম। দুজনের ওপেনিং কেমন করবে, সর্বত্র যখন এই আলোচনা চলছিল তখন তারা জবাবটা দিলেন মাঠে, যা বিশ্বকাপের মতো মূল আয়োজনেও নিশ্চয়ই তারা ধরে রাখতে চাইবেন। কাসুন রাজিথা ও মাথিশা পাথিরানাদের এশিয়া কাপে খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল টাইগার ব্যাটারদের। তাদের সঙ্গে লাহিরু কুমারা ও দিলশান মাদুশাঙ্কা যোগ দিলেও লিটন-তামিমদের ভড়কে দিতে পারেননি।

প্রথম পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে এই ওপেনিং জুটি ৫৪ রান এনে দেয়। লঙ্কান পেসারদের একের পর এক সীমানাছাড়া করে সেটি টিকে থাকে দলীয় ১৩১ রান পর্যন্ত। এরপর স্পিনার দুশান হেমন্থের বলে লেগে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন লিটন। ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ে নড়বড়ে দেখানো এই ক্রিকেটার এদিন প্রায় সবদিকে বাউন্ডারি খেলেছেন, ১০ চারের মারে করেছেন ৬১ রান। অন্যদিকে তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে তার মতোই ক্লাসিক্যাল সব শট খেলেছেন তাকে আইডল মানা তানজিদ তামিম। জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো নিজের আত্মবিশ্বাস অর্জনের ম্যাচে তিনি থেমেছেন ৮৪ রানে। ৮৮ বলের ইনিংসটি তিনি ১০টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজিয়েছেন।

লিটনের বিদায়ের পর এদিন ওয়ানডাউনে নেমে যান অধিনায়ক মিরাজ। অবশ্য তার প্রতিদানও দিয়েছেন তিনি। মুশফিকের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটিতে তিনি দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। এদিন কেবল রান পাননি তরুণ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। প্রথম বলেই রাউন্ড দ্য উইকেটে অনেক দূর এগিয়ে গিয়ে তিনি আউট হয়েছেন।

এর আগে ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কাকে ৫৫ বলে ৬৪ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাঁধের ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন ৩৪ রান করা পেরেরা।

কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দলের রান ১০০ পার করেন নিশাঙ্কা। মেন্ডিসকে ২২ রানে থামিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।

এরপর দলীয় ১৬৪ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কার আরও ৩ উইকেট তুলে নেন স্পিনার মেহেদি হাসান। সাদিরা সামারাবিক্রমা ২, নিশাঙ্কা ৬৮ ও চারিথ আসালঙ্কা ১৮ রান করে মেহেদির শিকার হন।

দলীয় ১৭৭ রানে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ৩ রানে শিকার করে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এ অবস্থায় লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে ছোট ছোট জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

৫৫ রানের ইনিংস খেলে এ ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হন ধনাঞ্জয়া। শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতে ২৬৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান ৩৬ রানে ৩টি, তানজিম হাসান সাকিব-শরিফুল-নাসুম ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।


টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়ন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে হেরেছে বাংলাদেশ। ভারত কাপ্তান সূর্যকুমার যাদব টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

ভারতের হয়ে দুই জনের অভিষেক হয়েছে আজ। পেসার মায়াঙ্ক যাদব ও অলরাউন্ডার নিতিশ কুমার প্রথমবার ভারতের জার্সিতে খেলবেন।

এদিকে বাংলাদেশের একাদশেও এসেছে পরিবর্তন। গত ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন সৌম্য সরকার, তানজিম সাকিব, তানজিদ হাসান তামিম ও সাকিব আল হাসান। একাদশে ফিরেছেন পারভেজ ইমন, জাকের আলি, মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম।

ভারতীয় একাদশ

সাঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, নিতিশ কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, রিংকু সিং, ওয়শিংটন সুন্দর, বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ সিং, মায়াঙ্ক যাদব।

বাংলাদেশের একাদশ

পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।


এক দিনে ১৩ ক্যাচ মিস, সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের

আপডেটেড ৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:২৩
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মেয়েদের ক্রিকেটে ক্যাচ মিস প্রায়ই দেখা যায়। এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও যে ব্যতিক্রম হবে না, সে চিত্র ফুটে উঠেছে প্রথম দিনেই। বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে হয়েছে দুটি ম্যাচ। বাংলাদেশ খেলেছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে, পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।

এ দুই ম্যাচের চার ইনিংসে ক্যাচ মিস হয়েছে মোট ১৩টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ দল। যদিও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ রানে জিতেছে নিগার সুলতানার দল।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ডের ম্যাচে মিস হয়েছে মোট ৭টি ক্যাচ। এর মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে স্কটিশরা ফেলে ৩টি ক্যাচ। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে মিডউইকেটে মুরশিদা খাতুনের সহজ ক্যাচ ফেলেন র‍্যাচেল স্ল্যাটার। মুরশিদা অবশ্য ‘নতুন জীবন’ কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারে নিজের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান।

বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে অপর দুটি ‘জীবন’পেয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। একটি ষোলতম ওভারে, আরেকটি বিশতম ওভারে। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়া নিগারের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৮ রান।

বাংলাদেশের ১১৯ রান তাড়া করতে নেমে স্কটল্যান্ড অবশ্য ফিল্ডারদের কাছ থেকে আরও বেশি ‘সহযোগিতা’ পেয়েছে। বাংলাদেশের ফিল্ডাররা মোট ৪টি ক্যাচ মিস করেন। এর মধ্যে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা সারাহ ব্রাইসের ক্যাচ একবার মিস করেন সোবহানা মোশতারি, আরেকবার রাবেয়া খাতুন। এ ছাড়া এইলসা লিস্টারকে স্বর্ণা আক্তার আর সাসকিয়া হরলিকে নিগার ‘নতুন জীবন’ দেন।

বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচের মতো একের পর এক ক্যাচ মিস হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানের মেয়েরা তোলেন ১১৭ রান। এই ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা ‘জীবন’দেন ফাতিমা সানা, নিদা দার ও সিদরা আমিনকে। তাঁদের মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন সানা। রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদেরও তিনটি ক্যাচ ছাড়ে পাকিস্তান। নতুন জীবন পান সাচিনি নিসানসালা, নীলাক্ষী ডি সিলভা ও সঞ্জীবনী। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার ৮৫ রানের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ২২ রান করেন নীলাক্ষী।


একটি ‘ভুলে’ মুরালিকে ছাড়াতে পারেননি অশ্বিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

উইকেট নিয়েছেন ১১টি। রান ১১৪। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে এমন পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১১ বার সিরিজসেরার পুরস্কার জিতলেন অশ্বিন, যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। সমান ১১ বার জিতেছেন কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন। তবে ১১ বার নয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজসেরার পুরস্কারটি দিয়ে মুরালিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিল অশ্বিনের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি, কর্তৃপক্ষের ভুলে তা হয়নি।

ভুলটা কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ফিরতে হবে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত বছরের জুলাইয়ে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে ভারত। ১-০ ব্যবধানে জেতা সেই সিরিজে ১৫ উইকেট নেন অশ্বিন, একটি ইনিংস ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে রান করেন ৫৬।

সেই সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট ছিল রবীন্দ্র জাদেজার-মাত্র ৭টি। তাতেই বোঝা যায় সেই সিরিজে অশ্বিনের দাপট। স্বাভাবিকভাবেই সেবার সিরিজসেরা হতে পারতেন অশ্বিন। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, সিরিজ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিরিজসেরার পুরস্কারই দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা জানিয়েছে, ভারতের একটি সংস্থা সিরিজের স্পনসরশিপের দায়িত্বে ছিল।

এরপর ভারতীয় সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। কিন্তু তারা উল্টো বল ঠেলে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কোর্টে। সেই সংস্থাটি জানায়, তারা শুধু সিরিজের অর্থনৈতিক বিষয়গুলোই দেখেছে, সিরিজসেরার পুরস্কার এর অধীনে পড়ে না। এই পুরস্কার দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের।

কেন সেই সিরিজে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার দেওয়া হয়নি, সেটি আসলে স্পষ্ট নয়। যদি তারা ভুলে যেত, তাহলে পরে ভারতীয় দলকে দেওয়াটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু তা-ও করা হয়নি। অশ্বিন যদিও মুরালিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সামনেও পাবেন। ১৬ অক্টোবর থেকেই শুরু হবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এটিও হতে পারে অশ্বিনের সিরিজ।


স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে শুভ উদ্বোধন বাংলার নারীদের

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:৫২
ক্রীড়া প্রতিবেদক

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ। শারজায় ১৬ রানে তারা হারিয়েছে স্কটল্যান্ডকে। টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং নেয় বাঘিনীরা। ব্যাটার ও বোলারদের সম্মিলিত অবদানে ম্যাচ জিতে টানা ১৬ ম্যাচ হারার কলঙ্ক ঘোচাল।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২২ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় জয়। দীর্ঘ এক দশক পর এই প্রতিযোগিতায় কোনো ম্যাচ জিতল তারা। তাদের আগের দুটি জয়ই ছিল ২০১৪ সালের আসরে। সেবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়ায় স্কটিশ মেয়েরা নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১০৩ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে। ফলে ১৬ রানের জয় দিয়ে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই আনন্দ দ্বিগুণ হতে পারত জ্যোতি-নাহিদাদের। বিশ্বকাপের আয়োজক হলেও, রাজনৈতিক পালাবদলের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

এর আগে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী দল প্রথমবার খেলতে নেমে দুই ম্যাচে জিতেছিল। যা ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে টাইগ্রেসদের সর্বশেষ জয়। এরপর আরেকটি জয় পেতে বাংলাদেশকে আরও ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। নাহিদা আক্তার, মারুফা খাতুন ও রিতু মনিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বার্থক হয়েছে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির মাইলফলক ম্যাচটি। বাংলাদেশের প্রথম কোনো নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার এদিন শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামেন।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। এর আগে তাদের এই মাঠে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল না। প্রথমবার খেলতে নেমে সোবহানা মোস্তারির ৩৪ এবং সাথী রানির ২৯ রানের সুবাদে ১১৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকে স্কটল্যান্ড ব্যাটারদের তেমন চড়াও হওয়ার সুযোগ না দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রেখে বোলিং করেছেন নাহিদা-মারুফারা।

লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় মাত্র ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। সাসকিয়া হরলিয়াকে (৮) ফিরিয়ে ফাহিমা খাতুন প্রথম আঘাতটা হানেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়তে থাকে স্কটল্যান্ড শিবিরে। একে একে ক্যাথরিন ব্রাইস (১১), এইলসা লিস্টার (৫), প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জিদের (৫) ফিরিয়েছেন মারুফা-রিতুরা। ফলে এক প্রান্ত আগলে রাখলেও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে দলের বিপদ কাটাতে পারেননি সারাহ ব্রাইস।

তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই স্কটিশ ওপেনার। তার ভরসায় হয়তো জয়ের স্বপ্নও দেখছিল প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা স্কটল্যান্ডের মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত সারাহ অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানে। ৫২ বলের ইনিংসে একটি চারের বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া বলার মতো রান পাননি আর কোনো ব্যাটারই।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন রিতু মনি। এ ছাড়া একটি করে শিকার ধরেছেন মারুফা, রাবেয়া, ফাহিমা ও নাহিদা। স্বর্ণা আক্তার বাদে বাকি সবাই মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন।


টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের নারীরা

শারজায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:০৩
ক্রীড়া প্রতিবেদক

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শারজাহতে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।

রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ মাঠে গড়াচ্ছে এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ।

২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫টি বিশ্বকাপে ২১টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে। তবে এবারের বিশ্বকাপে বড় স্বপ্ন নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছে টাইগ্রেসরা।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), মারুফা আক্তার, দিপা বিশ্বাস, সাথী রানী, মুর্শিদা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মণি, নাহিদা আক্তার, সুলতানা খাতুন, সুবহানা মুস্তারি, ফাহিমা খাতুন, জাহানারা আলম, দিলারা আক্তার, তাজ নাহার, রাবেয়া খান।


আবারও টেস্ট বোলিংয়ে এক নম্বর বুমরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অনেক দিন ধরেই আইসিসি টেস্ট বোলিংয়ের শীর্ষস্থান নিয়ে লড়াই করছেন বুমরা ও অশ্বিন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশাখাপট্টনম টেস্টে ৯ উইকেট নেওয়ার পর ভারতের প্রথম পেসার হিসেবে আইসিসি টেস্ট বোলারদের শীর্ষে উঠেছিলেন বুমরা। শীর্ষস্থান থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন অশ্বিনকে। এরপর মার্চে আবার বুমরাকে সরিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেন অশ্বিন। এরপর চলেছে অশ্বিনের একচ্ছত্র দাপট। বাংলাদেশের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট শেষে আবারও অশ্বিনকে সরিয়ে শীর্ষে উঠেছেন বুমরা, সেটাও মাত্র এক রেটিং পয়েন্ট এগিয়ে থেকে।

কানপুরে টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো করেছেন দুজনই। বুমরা নিয়েছেন ৬ উইকেট, অশ্বিন ৫টি। তবে ৬ উইকেট নেওয়া বুমরার রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ১৬, বর্তমানে তার রেটিং পয়েন্ট ৮৭০। আর কানপুরে ৫ উইকেট নেওয়ার পরও ২ রেটিং পয়েন্ট কমেছে অশ্বিনের। তাতে এই স্পিনারের রেটিং পয়েন্ট হয়েছে ৮৬৯।

শ্রীলঙ্কান স্পিনার প্রবাত জয়াসুরিয়া এগিয়েছেন ১ ধাপ। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়নের সঙ্গে যৌথভাবে টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে আছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গল টেস্টে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন জয়াসুরিয়া। দুই ম্যাচের সিরিজে ১৮ উইকেট নিয়ে হন সিরিজসেরা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে কানপুরে টেস্টে ম্যাচসেরা হন যশস্বী জয়সোয়াল। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে জয়সোয়াল করেন ৫১ বলে ৭২। আর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ৪৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস। টেস্টের দুই ইনিংসেই ১০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ফিফটি করা প্রথম ভারতীয়ও জয়সোয়াল। এমন দারুণ এক টেস্ট কাটানোর পর দুই ধাপ এগিয়েছেন জয়সোয়াল। আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে আছেন ক্যারিয়ারসেরা অবস্থান ৩ নম্বরে। তাঁর রেটিং পয়েন্ট এখন ৭৯২, এটিও ক্যারিয়ারসেরা।

শীর্ষ দশে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের ৪৭ ও অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলে ৬ ধাপ এগিয়েছেন কোহলি, উঠে এসেছেন ৬ নম্বরে। গলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ১৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা কামিন্দু মেন্ডিস এগিয়েছেন ৫ ধাপ। আছেন ক্যারিয়ারসেরা ১১ নম্বরে। মাত্র ৮ টেস্ট খেলেই শীর্ষ দশের খুব কাছে এখন কামিন্দু।


সাকিব ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব

সাকিব আল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পাশাপাশি তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের ব্যাংক হিসাবও তলব করেছে সংস্থাটি।

আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে সব ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। চিঠিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নাম, কোম্পানি বা সংগঠনের নামে থাকা সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) ও ডিপোজিট প্লাস স্কিম (ডিপিএস) হিসাবের তথ্য দিতে বলেছে বিএফআইইউ।

সাকিব আল হাসান বর্তমানে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন। তার নামে মামলা থাকার কারনে তিনি দেশের মাটিতে আসতে অনিহা প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি সাবিক খোলামেলা আলোচনা করলেও বোর্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছে ‘সাকিবকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব বোর্ডের নয় বরং সরকারের।’


রোহিতদের ট্যাকটিকস পছন্দ হয়নি গাভাস্কারের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টি-টোয়েন্টি, নাকি টি-টেন- কোনটি খেলছে ভারত? গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারতের ব্যাটিং দেখে এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে। এমন ব্যাটিং করে দলীয়ভাবে টেস্টে দ্রুততম ৫০, ১০০ ও ১৫০, ২০০ ও ২৫০ রান তোলার রেকর্ড গড়েছে ভারত। শেষ পর্যন্ত ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা। নিয়েছে ৫২ রানের লিড। বৃষ্টির কারণে আড়াই দিনের বেশি সময় খেলা না হওয়ার পর গতকাল চতুর্থ দিনে বল মাঠে গড়ায়। কার্যত সোয়া দুই দিনে নেমে আসা টেস্টে ফল বের করে আনার জন্যই ভারতের অমন ঝোড়ো ব্যাটিং। তা টি-টেনসুলভ ব্যাটিংয়ের জন্য ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ব্যাটিং লাইনআপে কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। রোহিত তথা ভারত দলের সেই ট্যাকটিকস খুব একটা ভালো লাগেনি কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের।

উদ্বোধনী জুটিটা ঠিক রেখেছিল ভারত। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন রোহিত ও যশস্বী জয়সোয়াল। তিন নম্বরেও যথারীতি শুবমান গিলই ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে চার নম্বরে বিরাট কোহলিকে না নামিয়ে ভারত ব্যাট করতে পাঠায় ঋষভ পন্তকে। উদ্দেশ্য ছিল, টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং করে পন্ত দ্রুত রানের চাকা ঘোরাবেন।

কিন্তু পন্ত সেটা পারেননি। সাকিব আল হাসানের বলে হাসান মাহমুদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১১ বলে ৯ রান করেছেন পন্ত। কোনো চার বা ছয় মারতেও পারেননি তিনি। পন্তের আউটের পর পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন কোহলি। সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪টি চার ও ১ ছয়ে ৪৭ রান করেছেন তিনি।

দিনের খেলা শেষে জিওসিনেমায় ভারতের ট্যাকটিকসের সমালোচনা করে গাভাস্কার কথাটা বলেছেন এভাবে, ‘কথা হচ্ছে এমন একজনকে নিয়ে, যে কি না চার নম্বরে ব্যাট করে টেস্টে ৯০০০ রান করেছে।’

গতকালের ৪৭ রানের ইনিংসের পর ১১৫ টেস্টে ৪৮.৭৩ গড়ে কোহলির রান হয়েছে ৮৯১৮। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে পাঁচ, ছয় বা সাত নম্বরেও ব্যাটিং করেছেন কোহলি। কয়েকটা ম্যাচে তিনি তিন নম্বরেও ব্যাট করেছেন। ২০১১ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়া কোহলি চার নম্বরে প্রথম ব্যাটিং করেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর এই পজিশনেই নিয়মিত ব্যাট করে আসছেন কোহলি। জোহানেসবার্গের ওই ইনিংসের পর গতকাল নিয়ে মাত্র ১২টি ইনিংসে কোহলি ৫ নম্বরে ব্যাট করেছেন।


রোনালদোর ৯০৪ নম্বর গোলটি বাবার জন্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো কাঠামোয় পরিবর্তন এসেছে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগেও। শুধু কাঠামোই নয়, টুর্নামেন্টের নামও বদলে গেছে আংশিক। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের নাম এখন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিট। বদলে যাওয়া সেই ‘এলিট’ টুর্নামেন্টে কাল নিজের প্রথম গোলটি পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জিতেছে তার দল আল নাসরও। কাতারের আল রাইয়ানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আল নাসর। দলের দ্বিতীয় গোলটি করার পর সেটি প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।

রিয়াদের কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে কাল আল নাসরের হয়ে প্রথম গোলটি করেছেন সেনেগাল তারকা সাদিও মানে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সুলতান আল গান্নানের দারুণ এক ক্রসে হেডে গোলটি করেন লিভারপুল ও বায়ার্নের এই সাবেক খেলোয়াড়।

বদলে যাওয়া এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে আল নাসরের প্রথম ম্যাচটি খেলেননি ভাইরাল ইনফেকশনে ভোগা রোনালদো। সেই ম্যাচটি ইরাকের আল শর্তার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল আল নাসর। কাল ‘এলিট’ চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম খেলতে নামা রোনালদো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একবার আল রাইয়ানের জালে বল পাঠিয়েছিলেন। অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেটি।

পাঁচবার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রোনালদো ‘এলিট’ চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম গোলটি পেয়ে যান ৭৬ মিনিটে। আবদুলরহমান গারিবের পাস থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে গোলটি করেছেন সিআরসেভেন। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে করা ক্যারিয়ারে ৯০৪তম গোলের পর দুহাত আকাশের দিকে তুলে প্রয়াত বাবাকে স্মরণ করেন রোনালদো।

বেঁচে থাকলে কাল ৭১তম জন্মদিন পালন করতেন রোনালদোর বাবা। ম্যাচ শেষে রোনালদো নিজেই জানিয়েছেন সেটি, ‘কালকের গোলটার অন্যরকম মানে আছে। বাবা বেঁচে থাকলে কী দারুণ ব্যাপারই না হতো, গতকাল তার জন্মদিন।’

৮৭ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় রজার গেদেসের গোলে ব্যবধান কমায় আল রাইয়ান। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেল আল নাসর। রোনালদোদের জয়ের দিনে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে আরেক সৌদি ক্লাব আল আহলি। দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের লিগ চ্যাম্পিয়ন আল ওয়াসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে দলটি। আলজেরিয়ান তারকা রিয়াদ মাহরেজ ও ব্রাজিলের রজার ইবানিয়েজ করেছেন গোল দুটি।


সাকিবের শেষ টেস্ট নিয়ে ধারণা দিলেন তামিম ইকবাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট কোনটি আর কোথায় হবে-আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই এটা এখন বড় প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নটি গতকাল উঠেছে কানপুর টেস্টের ধারাভাষ্যকক্ষেও। কানপুর টেস্টের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। অবসরের ঘোষণায় সাকিব ছোট্ট একটি পাদটীকা রেখেছিলেন- ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট তিনি খেলতে চান দেশের মাটিতে। তবে তিনি যে দেশে আসবেন এবং দেশ থেকে আবার বিদেশে যাবেন, এই গোটা প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নিশ্চয়তাও দিতে হবে।

সাকিবের এই ঘোষণার পর বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিসিবি নেবে না। সাকিবের নিরাপত্তার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন ফারুক।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গতকাল বলেন, ‘খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।’ সব মিলিয়ে অনেকেই ধরে নিয়েছেন সাকিবের হয়তো দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি খেলা হবে না। হয়তো কানপুরের বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টই হয়ে থাকবে সাদা পোশাকে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। সাকিব যখন ভারতের প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে আসেন, তামিম ইকবালকে প্রশ্নটি করেছেন তার সতীর্থ এক ধারাভাষ্যকার। উত্তরে তামিম ধারণা করেন, ‘হয়তো এটাই তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।’ তামিম এরপর সাকিবের প্রশংসা করে বলেন, ‘কী অসাধারণ এক খেলোয়াড় সে। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় দূত সে। দেশে বা দেশের বাইরে টেস্ট, ওয়ানডে অথবা টি-টোয়েন্টি-সব সংস্করণেই দারুণ সব কীর্তি আছে তার।’

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় সাকিব একটি হত্যা মামলার আসামিও। এ কারণেই দেশে আসা এবং দেশ থেকে নির্বিঘ্নে বিদেশে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ আছে সাকিবের।


ফ্রান্সের জার্সি তুলে রাখার ঘোষণা বিশ্বকাপজয়ী গ্রিজমানের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছর মার্চের আগপর্যন্ত তাঁকে ছাড়া কখনো মাঠে নামেনি ফ্রান্স। এর মধ্যে গড়েছিলেন টানা ৮৪ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার দুর্দান্ত এক রেকর্ডও। গত এক দশকে ফ্রান্সের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে পড়া সেই আঁতোয়ান গ্রিজমান গতকাল বিদায় বলে দিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ফ্রান্সের জার্সির তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সি এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। বিদায়বেলায় গ্রিজমান নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘ভরপুর স্মৃতি নিয়ে আমি আমার জীবনের এই অধ্যায়টি শেষ করছি। দুর্দান্ত এই তিনরঙা অভিযানের জন্য ধন্যবাদ। আবার দেখা হবে।’

গ্রিজমানের বিদায়ের খবর নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবলও (এফএফএফ)। দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১০ বছরের নিবেদন ও আনুগত্যের পর গ্রিজি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিচ্ছে। নিখুঁত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ, প্যাশনের জন্য ধন্যবাদ এবং স্মৃতিগুলোর জন্যও ধন্যবাদ।’

ফ্রান্সের হয়ে ১৩৭ ম্যাচ খেলে ৪৪ গোল করেছেন গ্রিজমান। জাতীয় দলের জার্সিতে ২০১৮ বিশ্বকাপের পাশাপাশি জিতেছেন এবং ২০২০-২১ মৌসুমের উয়েফা নেশনস লিগও। ২০২২ সালেও ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলেন গ্রিজমান। তবে শিরোপা লড়াইয়ে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফরাসিরা। এর আগে ২০১৬ সালের ইউরোতে রানার্সআপ হওয়া ফরাসি দলের সদস্য ছিলেন আতলেতিকো মাদ্রিদের এই তারকা ফুটবলার। ফ্রান্সের হয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতা গ্রিজমান দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার এবং গোল করার দিক থেকেও তার অবস্থান ৪ নম্বরে।

এ ছাড়া ব্যক্তিগত অর্জনেও গ্রিজমানের ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ২০১৬ হয়েছিলেন ফ্রান্সের বর্ষসেরা ফুটবলার। ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের শিরোপা জেতার পথে গ্রিজমান জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ বল এবং সিলভার বুট। ২০২২ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি গোলে সহায়তাকারী ফুটবলারদের একজনও ছিলেন তিনি। গত মার্চে চোটের কারণে বাদ পড়ে রেকর্ড দৌড় থামলেও দ্রুতই দলে ফেরেন গ্রিজমান। ছিলেন ফ্রান্সের ইউরোর দলেও। এরপর সেপ্টেম্বরে নেশনস লিগের দলেও রাখা হয়েছিল গ্রিজমানকে। ইতালির বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারা ম্যাচে একাদশেও ছিলেন তিনি। তবে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে গ্রিজমান মাঠে নামেন বদলি হিসেবে। সেই ম্যাচটিই এখন গ্রিজমানের ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল।


বাংলাদেশকে সবুজ সংকেত: টেস্ট সিরিজ খেলতে আগ্রহী দক্ষিণ আফ্রিকা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:১৪
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশে টেস্ট সিরিজ খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় প্রথমদিকে প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল দুই দলের খেলা।

সম্প্রতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জরুরি প্রোটোকল খতিয়ে দেখতে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছে। সফর শেষে তারা খেলতে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার অপারেশন্স ম্যানেজার, টিম সিকিউরিটি ম্যানেজার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ও সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন।

এরই মধ্যে সিরিজের সূচি ঘোষণা করেছে বিসিবি। আনুষ্ঠানিক সূচি অনুযায়ী, ২১ অক্টোবর থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টকে সামনে রেখে ১৬ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ২৯ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

এর আগে নিরাপত্তা শঙ্কায় আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।


ফের মাশরাফীর বিরুদ্ধে মামলা

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ফাইল ছবি
আপডেটেড ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন ও ফাস্ট বোলার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বিরুদ্ধে আবারও মামলা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ এনে আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলাটি করেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সারোয়ার গোলাম চৌধুরী। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্ব কেনার সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

মামলায় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসান, অজ্ঞাত (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেল, বাবলু ও অজ্ঞাতসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জোরপূর্বক তার (সারোয়ার) কাছ থেকে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মাশরাফীর কার্যালয়ে বসে হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র নামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সহ-মালিক সারোয়ার চৌধুরীর মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে ছিলেন। রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির এক কর্মকর্তা সারোয়ারকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই স্বাক্ষর নিতে শুরু করেন। এমনকি তার পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছিল। এ সময় তিনি যেন কারো সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা না বলেন সেই হুমকিও শুভ্র দিয়েছিলেন।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে গত ১০ সেপ্টেম্বর মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।

বিষয়:

banner close