বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২ আশ্বিন ১৪৩২

অদম্যকে দমিয়ে জয়ের স্পর্ধা দেখানোর ছাড়পত্র দরকার

চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত
প্রকাশিত
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত
প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর, ২০২৩ ১৩:১২

অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় প্রতিপক্ষ। তাদের বিপক্ষে খেলা সব সময় চ্যালেঞ্জের। তাদের বিপক্ষে ম্যাচটি যে বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে- তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বাংলাদেশের সামনে যে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার নতুন লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে, সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য স্বাভাবিকভাবেই দল বেশি চাপে থাকবে। সেই স্নায়ু চাপ কাটিয়ে লড়াইয়ে এগিয়ে যেতে হবে টাইগারদের। আমি মনে করি, আজ অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তি দলের রাশ টানতে হলে দলের সর্বশক্তি বিনিয়োগ করতে হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্টে খেলার টিকিট নিশ্চিত করে সম্মানজনকভাবে বিশ্বকাপ সমাপ্ত করার জন্য দলের সবাইকে একযোগে জ্বলে ওঠা ছাড়া বিকল্প দেখছি না।

অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে দলের সবচেয়ে মেধাবী খেলোয়াড় ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোটে পড়ার ঘটনা দলের জন্য বড় একটি ধাক্কা। কেননা সাকিবকে ছাড়া দলের কম্বিনেশন গঠন করা কঠিন। গত ম্যাচে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে সাকিব স্বরূপেই ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে ছাড়া যেমন বোলিংয়ে নতুন করে চিন্তা করতে হবে দলকে, ঠিক তেমনি ব্যাটিংয়েও তার অভাববোধ করবে দল। যদিও তার জায়গায় দলে নেয়া হয়েছে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার এনামুল হক বিজয়কে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সাকিববিহীন অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে আবারও ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল হবে। যেহেতু বিশ্বকাপে পুরোপুরি অফ ফর্মে রয়েছেন লিটন দাস, তাকে নিচে নামিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নতুন তানজিদ তামিমের সঙ্গে বিজয়কে উদ্বোধনী জুটিতে ভরসা করা যেতে পারে। যে আশায় বিশ্বকাপে নেয়া হয়েছিল তানজিদ তামিমকে, তা কিন্তু পূরণ হয়নি। তার শট সিলেকশনে গলদ আছে। ব্যাটিংয়ের সময় টেম্পারমেন্ট ধরে রাখতে পারছে না। বেশ কিছু জায়গায় এই তামিমকে আরও উন্নতি করতে হবে। অন্যদিকে, বিজয় পরীক্ষিত ওপেনার। তবে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে হঠাৎ দলে যোগ দিয়ে কতটা ব্যাটিংয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন বিজয়- সেটি দেখার বিষয়। তিন ও চারে লিটন ও শান্তকে ব্যাটিংয়ে দেখা যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ কিন্তু খুবই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেছেন। তাদের কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচেও রান চাই। মুশফিক আড়ালে পড়ে গেলেও তার ব্যাটে আলোর দেখা মিলতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো- ক্যারিয়ারের যে গোধূলি লগ্নে দাঁড়িয়ে আছেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক, আজ বিশ্বকাপে এই দুজনের শেষ ম্যাচ হতে পারে। তাই ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে এই ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখার দারুণ সুযোগ তাদের সামনে। দলের অন্যরাও সেরাটা নিংড়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন। চেষ্টার কোনো ক্রটি থাকবে না। তবে অস্ট্রেলিয়ার যে বিশ্বমানের বিধ্বংসী বোলিং লাইনআপ, তাদের সামনে বড় পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। মিচেল স্টার্ক, হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্সদের দ্রুতগতির বল সামলানো কঠিন হবে। নতুন বলে খুবই ভয়ংকর তারা। তাদের বিরুদ্ধে ভালো করতে হলে ব্যাটিংয়ে নিপুণ দক্ষতা দেখাতে হবে। রান বের করতে হলে ঝুঁকিমুক্ত শট খেলতে হবে। শট সিলেকশনে গরমিল হলেই বিপদ হবে। বিশেষ করে অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা টুর্নামেন্টে খুবই ভালো বোলিং করছেন। তার বোলিং যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি ধারালো ও কার্যকর। তাকে দেখে-শুনে খেলতে হবে। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ব্যাটিংয়ে নিজেদের সামর্থ্যের পুরোটা প্রমাণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিং শক্তির সেরা প্রদর্শনীটা দেখানো যায়, তাহলে ভালো কিছুর আশা করছি।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ইতিহাসের সেরা ব্যাটিং করে দেখালেন গত ম্যাচে। তার ব্যাটিং-বিস্ফোরণে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন আফগান-যোদ্ধারা। শারীরিকভাবে পুরোপুরি ফিট না হয়েও যে ব্যাটিং কীর্তি দেখালেন ম্যাক্সওয়েল, তা অতিমানবীয়, অবিশ্বাস্য এবং এককথায় অসাধারণ। অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে যে জয় উপহার দিলেন- তাতে প্রমাণ করলেন যে, সঠিক সঙ্গ পেলে সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়েও একা একা ব্যাটিং করে ম্যাচ জেতানো যায়। আজকের ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলের খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে। তবে এই বিস্ফোরক অলরাউন্ডারকে আলাদাভাবে না ভেবে সার্বিক অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে রণকৌশল সাজাতে হবে। স্পিন দিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের ঘায়েল করা যেতে পারে। তবে তাদের হতাশ করতে হলে বোলিংয়ে নতুনত্ব আনা জরুরি। মাথা খাটিয়ে বোলিং করতে হবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে উইকেটের সহযোগিতাও প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশের পেস ইউনিট কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। গত ম্যাচে নবীন পেসার তানজীম হাসান সাকিব অনেক রান খরচ করলেও ভালো বোলিং করেছেন। আজকের ম্যাচে তাকে একাদশে রাখা যেতে পারে। উইকেট বিবেচনায় একাদশে ফেরানো যেতে পারে মোস্তাফিজকেও। তবে তাসকিনের নেতৃত্বাধীন পেস ইউনিট স্বরূপে জ্বলে উঠতে পারলে অস্ট্রেলিয়া বিপাকে পড়তে পারে। তবে তাদের যে ব্যাটিং লাইনআপ, তা খুবই শক্তিশালী। তাদের ব্যর্থ করা কঠিন হবে। তবে আশা ছেড়ে দিলে হবে না। লড়াই জমিয়ে তুলতে হবে।

পুনের যে মাঠে খেলা হবে আজ, সেখানে আগেও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। বলা হচ্ছে, পুনের উইকেট ব্যাটিং-স্বর্গই হবে। বেশ ভালোভাবেই বল ব্যাটে আসবে। রান হবে প্রচুর। হাই-স্কোরিং ম্যাচ হবে। মাঠের বাউন্ডারি লাইন ছোট হওয়ায় চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটবে। এ ক্ষেত্রে টস জিতে আগে ব্যাটিং করা দল বেশি সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে। টস জিততে পারলে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভুল করা যাবে না। মোট কথা, আফগানিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচটি যেভাবে রাঙিয়েছিল বাংলাদেশ, একইভাবে আজ জয় দিয়ে বিশ্বকাপের শেষটা রাঙাতে হলে মাঠে টাইগারদের ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে হবে। যদি তা করা যায়, তাহলে ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনবে বাংলাদেশ। পুনের মাঠে রচিত হবে মহাকাব্যিক একটি জয়। বাংলাদেশ নতুন শক্তিতে জেগে উঠুক, জয়ের সূর্য উদিত হয়ে আলো ছড়িয়ে পড়ুক চারদিকে, আনন্দে-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠুক সবাই- এটাই প্রত্যাশা করছি।


নেপালে অস্থিরতা, বাংলাদেশ দলের অনুশীলন বাতিল

আপডেটেড ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:৪১
ক্রীড়া ডেস্ক

নেপালে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভয়াবহ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির হাজার হাজার ছাত্র-জনতার এই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শত শত বিক্ষোভকারী। এ পরিস্থিতিতে নেপালে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল অনুশীলন বাতিল করেছে।

দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে বর্তমানে নেপালে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আজ মঙ্গলবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু নেপালজুড়ে তীব্র অস্থিরতা শুরু হওয়ায় ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ম্যাচের আগেরদিন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আর অনুশীলন করতে পারেনি জামাল ভূঁইয়ার দল।

নেপালের কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দলের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব বলেন, নেপালের সময় বিকাল সোয়া ৩টায় আমাদের অনুশীলন ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে জানানো হয় যে, বাইরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ফলে এই সময়ে অনুশীলনের জন্য রওনা হওয়া যাবে না। বাংলাদেশ দল এখন নিরাপদে হোটেলেই অবস্থান করছে। গত রোববার অনুশীলন সেরেছিল নেপাল দল। তবে বিশ্রামে ছিল বাংলাদেশ। সোমবার বিকেলে অনুশীলন হওয়ার কথা থাকলেও এই পরিস্থিতিতে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আজ মঙ্গলবার ম্যাচ হলে দুই দিন অনুশীলন ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। আজকের ম্যাচ উপলক্ষে সকালে দুই দলের কোচ-অধিনায়ক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনও করেছে।


ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আম্পায়ার বাংলাদেশের মাসুদ

আপডেটেড ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:০৯
ক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের জন্য ম্যাচ অফিসিয়ালদের নাম ঘোষণা করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে হতে যাওয়া বহুল আলোচিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশের মাসুদুর রহমান। তার সঙ্গে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন শ্রীলঙ্কার রুচিরা পালিয়াগুরুগে।

এবারের এশিয়া কাপে মাসুদুর রহমানের পাশাপাশি বাংলাদেশ আরেক আম্পায়ার গাজী সোহেলও ম্যাচ পরিচালনা করবেন। তাকে দেওয়া হয়েছে ১০ সেপ্টেম্বরের ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচের দায়িত্বে। আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হতে চলা এশিয়া কাপে অংশ নিচ্ছে মোট ৮টি দল। দুই ভাগ হয়ে দলগুলো গ্রুপ পর্বে খেলবে মোট ১২ ম্যাচ। এই ম্যাচগুলোর জন্য মোট আটজন রেফারি নিযুক্ত করেছে এসিসি। বাংলাদেশের মাসুদুর ও সোহেল ছাড়া অন্যরা হচ্ছেন আফগানিস্তানের আহমাদ পাকতিন ও ইজাতউল্লাহ শফি, পাকিস্তানের আসিফ ইয়াকুব ও ফয়সাল আফ্রিদি, শ্রীলঙ্কার রবীন্দ্র ভিলমালসিরি ও রুচিরা পালিয়াগুরুগে এবং ভারতের রোহান পন্ডিত ও বীরেন্দর শর্মা।

এই আটজনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দায়িত্ব পড়েছে মাসুদুর ও পালিয়াগুরুগের কাঁধে। এই ম্যাচে টিভি আম্পায়ার দুই আফগান পাকতিন ও শফি। ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে অ্যান্ডি পাইক্রফট। বাংলাদেশের মাসুদুর আগেও ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ২০২২ এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্ব এবং সুপার ফোর দুটিতেই ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে দেখা গিয়েছিল তাকে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৪টি ম্যাচে মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন ৫০ বছর বয়সি মাসুদুর। সাধারণত, যেকোনো টুর্নামেন্টে প্রথম পর্বের ম্যাচের আম্পায়ার তালিকাই আগে চূড়ান্ত করা হয়। পরের ধাপের আম্পায়ার নিয়োগ করা হয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ ও আম্পায়ারের পারফরম্যান্স দেখে। এবারও সুপার ফোর পর্বের আম্পায়ার চূড়ান্ত করা হবে পরে।


চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে গেল বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের তৃতীয় এশিয়া কাপ মাঠে গড়াচ্ছে কিছু দিন পরই। এই এশিয়া কাপ খেলতে বাংলাদেশ দল দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তার প্রথম ভাগ রোববার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দেশ ছেড়েছে।

অধিনায়ক লিটন দাস আছেন এই বহরে। এই ফ্লাইটে তার সঙ্গী জাকের আলি অনিক, সাইফ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, শামীম হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেনরা। এছাড়া এই বহরে আছেন ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট, স্ট্রেংথ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি এবং বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামও।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আরেক বহরে যাবেন বাকিরা। এই তালিকায় আছে নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নাম। তাদের সঙ্গে সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ, পেস কোচ শন টেইট, ম্যানেজার নাফিস ইকবাল, ট্রেনার বায়েজিদুল ইসলাম খান ও চিকিৎসক দেবশীষ চৌধুরীও যাবেন।

তবে এই দুই বহরে যাবেন না ফিল সিমন্স। তিনি রাত ১২.৩০ মিনিটের একটি ফ্লাইটে যাবেন আমিরাতে।

যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে জাকের আলি বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই দেশ ছাড়ছে দল। তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে যদি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমরা ধাপে ধাপে ভালো খেলে ভালো একটা টুর্নামেন্ট খেলার জন্য যাচ্ছি।’


মেসিকে টপকে রেকর্ডের খুব কাছে রোনালদো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফুটবলে আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। দুজনেই একে অপরকে ছাড়িয়ে নতুন নতুন মাইলফলক গড়েছেন। এবার আবারও এগিয়ে গেলেন রোনালদো। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গোলের তালিকায় মেসিকে পেছনে ফেললেন তিনি।

আর্মেনিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ ‘এফ’-এর প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করেন রোনালদো। তার দুই গোলে ভর কয়ে পর্তুগাল সহজেই ৫-০ ব্যবধানে জিতে যায়। এর ফলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তার ব্যক্তিগত গোলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৮-এ। মেসির গোলসংখ্যা থেমে গেছে ৩৬-এ, তিনি তার শেষ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচটা খেলে ফেলেছেন, তাই এই সংখ্যা আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

রোনালদোর সামনে এখন আরেকটি ইতিহাস গড়ার সুযোগ। গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজের দখলে আছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা। তিনি আছেন সবার উপরে ৩৯ গোল নিয়ে। রোনালদো যদি আরও একটি গোল করেন, তবে রেকর্ডে ভাগ বসাবেন। আর দুই গোল করলে একাই হয়ে যাবেন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর হাঙ্গেরির বিপক্ষে নামবে পর্তুগাল। সেই ম্যাচেই রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেতে পারেন রোনালদো। আর যদি না হয়, তাহলেও ক্ষতি নেই। তার সামনে আরও অন্তত চারটি ম্যাচ রয়েছে তার সামনে।

শনিবার আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করার মাধ্যমে রোনালদোর ক্যারিয়ার গোল দাঁড়িয়েছে ৯৪২-এ। জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে এই সংখ্যা। ৪০ বছর বয়সেও তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এখন তার লক্ষ্য ১ হাজার গোলের মাইলফলক ছোঁয়া।


এশিয়ার সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে সাকিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপের। সে আসর শুরুর আগে এশিয়ার সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ বেছে নিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি সাকিব আল হাসান।

বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা ওই দলে ভারত থেকে সর্বোচ্চ চারজন, শ্রীলংকা থেকে তিনজন, পাকিস্তান থেকে দুইজন এবং আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে একজন করে ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে।

ক্রিকইনফোর ওই একাদশে ইনিংস শুরু করবেন শ্রীলংকার সনৎ জয়সুরিয়া ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। তিন নম্বরে ভারতের বিরাট কোহলি, চার নম্বরে সুর্যকুমার যাদব এবং পাঁচ নম্বরে অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনি।

ছয় নম্বরে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। এরপর আছেন শহীদ আফ্রিদি।

এশিয়ার সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে আট নম্বরে আছেন আফগান অলরাউন্ডার রশিদ খান। দলের পেস আক্রমণে থাকছেন পাকিস্তানের উমর গুল, ভারতের জাসপ্রীত বুমরাহ ও শ্রীলংকার লাসিথ মালিঙ্গা। দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের স্পিনার সাঈদ আজমলকে।

এশিয়ার সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ

সনৎ জয়সুরিয়া, মাহেলা জয়াবর্ধনে, বিরাট কোহলি, সুর্যকুমার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), সাকিব আল হাসান, শহীদ আফ্রিদি, রশিদ খান, উমর গুল, জাসপ্রীত বুমরাহ ও লাসিথ মালিঙ্গা। দ্বাদশ ব্যক্তি- সাঈদ আজমল।

আবারও ইউএস ওপেন জিতে সেরেনার কীর্তি ছুঁলেন ‘হার্ডকোর্টের রানি’ সাবালেঙ্কা

আরিনা সাবালেঙ্কা আবারও প্রমাণ করলেন কেন তাকে আধুনিক হার্ডকোর্টের রানি বলা হয়। শনিবার ইউএস ওপেনের নারী এককে ফাইনালে তিনি ৬-৩, ৭-৬ (৩) গেমে হারালেন যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম বাছাই আমান্ডা আনিসিমোভাকে। এর মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার ইউএস ওপেন জিতলেন বেলারুশিয়ান এই তারকা।

২৭ বছর বয়সী সাবালেঙ্কার এটি ক্যারিয়ারের চতুর্থ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। তিনি ২০২২ সালের পর থেকে কোনো হার্ডকোর্ট গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনাল মিস করেননি। সেরেনা উইলিয়ামসের পর প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুটি ইউএস ওপেন জিতলেন তিনি। সেরেনা ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত টানা তিনবার শিরোপা জিতেছিলেন।

খেলার পর সাবালেঙ্কা বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা এসেছেন, যারা উড়ে এসে আমার বক্সে বসেছেন। আমি আরও অনেক ফাইনালে খেলব, আর পৃথিবীর যেখানেই থাকেন না কেন, আমি চাই আপনাদের আমার বক্সে দেখতে।’

অন্যদিকে দ্বিতীয়বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলা ২৪ বছর বয়সী আনিসিমোভার জন্য দিনটি ছিল হতাশার। দর্শকরা ছিলেন তার পক্ষেই, কিন্তু তিনি ম্যাচে ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। ম্যাচ শেষে আবেগঘন কণ্ঠে আনিসিমোভা বলেন, ‘এটা দারুণ একটা গ্রীষ্ম ছিল। টানা দুই ফাইনাল খেলা ভালো, কিন্তু এটা একইসঙ্গে খুব কঠিনও। আমি আজ আমার স্বপ্নের জন্য যথেষ্ট লড়াই করতে পারিনি।’

ফাইনালে সাবালেঙ্কা ছিলেন প্রায় নিখুঁত, মাত্র ১৫টা আনফোর্সড ইরোর ছিল পুরো খেলায়। অন্যদিকে আনিসিমোভার ভুলের সংখ্যা ছিল ২৯টি। এই জায়গাতেই সাবালেঙ্কা এগিয়ে যান দারুণভাবে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে দাপট দেখিয়ে শিরোপা ধরে রাখেন তিনি।


এশিয়া কাপ হকিতে আবারও ৬ষ্ঠ স্থানে বাংলাদেশ

আপডেটেড ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:০২
ক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপ হকিতে বাংলাদেশ আগের মতো এবারও ষষ্ঠ স্থানেই অবস্থান করছে। রাকিবুল হাসান ও আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল ভারতের রাজগিরের বিহার স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি হকি স্টেডিয়ামে পঞ্চম–ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জাপানের কাছে ৬-১ গোলে হেরে ফিরেছে। বাংলাদেশের একমাত্র গোলটি করেন আমিরুল ইসলাম।

ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ প্রথম আট মিনিটে তিনটি পেনাল্টি কর্নার পেয়েও গোল করতে পারেনি। নবম মিনিটে জাপান প্রথম গোল করে এবং প্রথম কোয়ার্টারের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশ জাপানের গোল রোধ করলেও তৃতীয় ও চতুর্থ কোয়ার্টারে আরও চারটি গোল হজম করে।

ষষ্ঠ হওয়ায় সরাসরি বিশ্বকাপ বাছাই খেলার সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন (এফআইএইচ) বিশেষ নিয়ম অনুসারে, টুর্নামেন্টের শীর্ষ পাঁচে থাকা দলই সরাসরি বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে পারবে। ষষ্ঠ দলকে পাকিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের প্লে-অফ খেলতে হবে।

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল রিয়াজুল হাসান (অব.) জানিয়েছেন, ‘আমরা চেষ্টা করব এই সিরিজ ঢাকায় আয়োজন করতে। তবে আমাদের টার্ফ পুরনো, এশিয়ান হকির পর্যবেক্ষক সন্তুষ্ট হলে সমস্যা নেই।’

১৯৮২ সাল থেকে এশিয়া কাপ হকিতে ১২ বার অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ সাফল্য পঞ্চম স্থান। এবার ষষ্ঠ হওয়ায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ জেতার প্রয়োজন হবে।


ফাইনাল হারের পর কাণ্ড করে এখন অনুতাপে ভুগছেন সুয়ারেজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লিগস কাপ ফাইনালে সিয়াটল সাউন্ডার্সের কাছে হেরেছিল লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজের দল ইন্টার মায়ামি। সে ম্যাচের পর মেজাজ হারিয়ে এক কর্মীর দিকে থুতু দেওয়ার মতো কাণ্ড করে বসেছিলেন তিনি। সে ঘটনায় এবার ক্ষমা চেয়েছেন সুয়ারেজ। গত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে তিনি এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন।

৩৮ বছর বয়সি উরুগুইয়ান তারকা লিখেছেন, ‘এটা ছিল অনেক দুশ্চিন্তা আর হতাশার মুহূর্ত। ম্যাচের পর কিছু ঘটনা ঘটে যা ঘটানো উচিত ছিল না। কিন্তু এ জন্য আমার প্রতিক্রিয়াকে বৈধতা দেওয়া যায় না। আমি ভুল করেছি এবং আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত।’

লুমেন ফিল্ডে ফাইনালে সাউন্ডার্স ৩-০ গোলে হারায় লিওনেল মেসির দলকে। শেষ বাঁশির পর সুয়ারেজ সাউন্ডার্সের তরুণ মিডফিল্ডার ওবেড ভার্গাসকে হেডলকে ধরে ফেলেন। এতে মাঠে দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ক্যামেরায় ধরা পড়ে, মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সুয়ারেজ সিয়াটলের এক নিরাপত্তা কর্মীর দিকে থুতু ছুড়ে দেন।

সুয়ারেজ বলেন, ‘যা ঘটেছে তার জন্য আমি খুব খারাপ অনুভব করছি। আমি চাইনি সুযোগ হাতছাড়া হোক, তাই সবাইকে জানাতে চাই এবং ক্ষমা চাই যারা আমার কারণে কষ্ট পেয়েছেন।’

তবে সেসব পেছনে ফেলে তিনি এখন সামনের দিকে তাকাচ্ছেন। তার কথা, ‘আমরা জানি মৌসুমের এখনো অনেকটা পথ বাকি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব এই ক্লাব এবং এর সমর্থকদের প্রাপ্য সাফল্য এনে দিতে।’

ইন্টার মিয়ামি গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এ ধরনের আচরণ আমাদের খেলাধুলার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না। মাঠে ও মাঠের বাইরে আমরা সর্বোচ্চ ক্রীড়াসুলভ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ঘটনার পর কী শাস্তি হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বিতর্কিত ঘটনার জন্য আগে একাধিকবার শাস্তি পেয়েছেন সুয়ারেজ। ২০১৪ বিশ্বকাপে তিনি ইতালির জর্জিও কিয়েলিনিকে কামড় দেওয়ার ঘটনায় ৪ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়া ক্লাব ফুটবলেও কামড়ের জন্য শাস্তি ভোগ করেছেন তিনি। ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড় প্যাট্রিস এভরাকে বর্ণবাদী গালি দেওয়ার অভিযোগে ইংল্যান্ডে তাকে আট ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপেও বিতর্কে জড়ান সুয়ারেজ। ঘানার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে গোললাইন থেকে ইচ্ছাকৃত হাতে বল ঠেকিয়ে দেন তিনি, যা আফ্রিকান দলটির নিশ্চিত জয় কেড়ে নিয়েছিল।


আর্জেন্টিনায় নিজের ‘শেষ ম্যাচ’ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ডে ভাগ বসালেন মেসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আর্জেন্টিনার জার্সিতে ঘরের মাঠে নিজের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এই ম্যাচে আবেগে ভাসতে দেখা গেছে তাকে। ওয়ার্মআপের সময় তার চোখের কোণে উঁকি দিচ্ছিল জল। পরে অবশ্য ম্যাচে শুধুই হেসেছেন মেসি। জোড়া গোল করেছেন, গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড।

এদিন মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ব রেকর্ডে নাম ওঠে যায় আর্জেন্টিনার অধিনায়কের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল এতদিন এককভাবে ইকুয়েডরের ইভান হুর্তাদোর দখলে ছিল।

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের তথ্যমতে, তিনি ৭১টি বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছেন। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে ৭২তম ম্যাচ খেললেন মেসি। এর মধ্যে ৪৫ বার তিনি ঘরের মাঠে নেমেছিলেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৭২ ম্যাচের মধ্যে মেসির দল জিতেছে ৪০টিতে। এছাড়া ২০ ম্যাচ ড্র এবং ১২টিতে হেরেছে।

যদিও লাতিন আমেরিকার কনমেবল বলছে হুতার্দো ও মেসি সমান ৭২ ম্যাচ খেলেছেন বাছাইপর্বে।

এদিকে ভেনেজুয়েলা ম্যাচের পর ফের ২০২৬ বিশ্বকাপে নিজের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে মেসিকে। তিনি বলেছেন, ‘আগেও বলেছি, হয়তো আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না। বয়সের কারণে সেটা স্বাভাবিক। তবে আমরা প্রায় পৌঁছে গেছি, তাই খেলতে পারার সম্ভাবনা আছে।’

‘আমি সবকিছু দিন ধরে দেখি, শরীর কেমন যাচ্ছে সেটা বোঝে সিদ্ধান্ত নেই। আমি যখন ভালো থাকি, উপভোগ করি। কিন্তু ভালো না লাগলে খেলাটা আমার জন্য কষ্টের হয়ে যায়। তখন মাঠে না থাকাই ভালো। তাই দেখা যাক সামনে কী হয়’-যোগ করেন মেসি।


পেনাল্টি ঠেকিয়ে মাঠেই প্রাণ গেল ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবল বিশ্বে ব্রাজিলের পরিচিতি ‘পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে। তবে ফুটসালে তাদের দাপট আরও প্রবল। সে মঞ্চেই এবার ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। একটি অপেশাদার ফুটসাল টুর্নামেন্টে প্রাণ হারালেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডসন।

ঘটনাটি ঘটে ব্রাজিলের প্যারা প্রদেশে, একটি স্থানীয় ফুটসাল টুর্নামেন্টে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের একটি শক্তিশালী পেনাল্টি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ৩৮ বছর বয়সি এডসন। বলটি সরাসরি তার বুকের মাঝ বরাবর আঘাত হানে।

শট ঠেকানোর আনন্দে কয়েক কদম এগিয়ে সতীর্থদের দিকে যেতে গিয়েই হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ে যান তিনি। উপস্থিত মেডিকেল টিম দ্রুত এগিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তাতে অবস্থার উন্নতি হয়নি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে হেরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গোলরক্ষক এডসন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নির্ধারিত হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে মাঠে থাকা একজন অ্যাথলেটের এমন মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে ব্রাজিল ক্রীড়াঙ্গনে।


মেসিকে নিয়ে স্ত্রী রোকুজ্জোর আবেগঘন পোস্ট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সম্ভাব্য শেষবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে দেশের মাটিতে খেললেন লিওনেল মেসি। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে তার জোড়া গোলেই আর্জেন্টিনা জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে। মেসিকে ঘিরে বুয়েনস আয়ার্সের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে ৮০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে তৈরি হয় এক আবেগঘন দৃশ্যের। ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো।

স্লোভাকিয়ার কাছে হেরে শিষ্যদের কঠোর হুঁশিয়ারি জার্মানি কোচেরস্লোভাকিয়ার কাছে হেরে শিষ্যদের কঠোর হুঁশিয়ারি জার্মানি কোচের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি ছিল ৩৮ বছর বয়সি মেসির ক্যারিয়ারের ১৯৪তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার গোলসংখ্যা ১১৪টি। এদিন সন্তানদের হাত ধরে মাঠে নামেন মেসি। গ্যালারির গর্জনে ভেসে যাচ্ছিল আকাশ, সমর্থকদের চোখেমুখে বিদায়ের আবেগ। জাতীয় সংগীতের সময় চোখের জল আটকাতে পারেননি ৩৮ বছর বয়সি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। কাঁদছিলেন অসংখ্য দর্শক-সমর্থকরাও।

বিসিবি সভাপতিকে নজিরবিহীন হুমকি; সশস্ত্র নিরাপত্তার আবেদনবিসিবি সভাপতিকে নজিরবিহীন হুমকি; সশস্ত্র নিরাপত্তার আবেদন ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় রোকুজ্জো লিখেছেন, ‘তোমার জন্য গর্বিত। প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি অর্জনে, যা তুমি ভালোবাসা ও কঠোর পরিশ্রম দিয়ে গড়ে তুলেছ, আমরা তার সাক্ষী। আমরা কতটা সৌভাগ্যবান, তোমার এই পথচলায় তোমার সঙ্গে থাকতে পেরে! আমরা তোমাকে ভালোবাসি মেসি।’

খেলা শেষে আবেগঘন কণ্ঠে মেসি বলেছিলেন, ‘এটা খুব আবেগময় মুহূর্ত। এই মাঠে আমি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আর্জেন্টিনায় আমাদের জনগণের সঙ্গে খেলা সবসময়ই আনন্দের। আমরা বহু বছর ধরে একের পর এক ম্যাচ উপভোগ করে আসছি। আমি খুব খুশি। এখানে এভাবে শেষ করতে পারাটাই আমার স্বপ্ন ছিল। বার্সেলোনায় আমি বহু বছর ধরে ভালোবাসা পেয়েছি, স্বপ্ন ছিল আমার দেশের জনগণের থেকেও এটা পাব।’


কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ থেকে হকি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপ হকিতে কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে হকি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভারতে বসবে হকি বিশ্বকাপের আসর। ওই আসরে জায়গা পেতে বাছাইপর্বের জন্য উন্নীত হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

গত বুধবার ভারতের রাজগীর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বিহার ইউনিভার্সিটি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ার্টারে ১-০ গোলের লিড নেয় বাংলাদেশ। প্রথম গোলটি করেন আশরাফুল ইসলাম। ১৫ মিনিট করে চলা দ্বিতীয় কোয়ার্টারে দুই গোল করে বাংলাদেশ। লিড দাঁড়ায় ৩-০।

দ্বিতীয় কোয়ার্টারের প্রথম গোলটি পেনাল্টি থেকে পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় গোলটি করেন রোমান সরকার। পরে তিনি নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। যে গোলটি আসে তৃতীয় কোয়ার্টারে ৩২ মিনিটে। পরেই তায়েব আলী পঞ্চম গোল করে কাজাখস্তানের ম্যাচে ফেরার সুযোগ শেষ করে দেয়।

বাংলাদেশ বড় লিড নেওয়ার পর একটি গোল শোধ করে কাজাখস্তান। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোল করে তারা। চতুর্থ কোয়ার্টারে হয়নি কোনো গোল। এই জয়ে এশিয়া কাপের টেবিলে পাঁচে থাকায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পেল বাংলাদেশ।

অথচ এবারের হকির এশিয়া কাপে খেলারই কথা ছিল না বাংলাদেশের। নিরাপত্তা উদ্বেগ ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়। সেখানে জায়গা পায় বাংলাদেশ। আর্থিক সংকটের কারণে ওমানও খেলতে আসেনি। তাদের জায়গায় সুযোগ পেয়েছিল কাজাখস্তান।

বুয়েনস আয়ার্সের এএফএ সদর দপ্তরে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন গঞ্জালো গার্সিয়া। তিনি রেসিং ক্লাবের ষষ্ঠ বিভাগের বর্তমান কোচ। সঙ্গে এনেছিলেন একটি বিশেষ জার্সি, যা উপহার দেন মেসিকে।

এ জার্সিটি ছিল ‘লা ক্রেমা’ নামের এক অপেশাদার ক্লাবের। ক্লাবটি ২০২৪ সালের কোপা পোত্রেরো জয়ী দল, যেটি আয়োজন করেছিলেন মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধু সার্জিও আগুয়েরো।


মেসির ‘বিদায়ের’ আগে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সাংবাদিক, চোখে পানি স্কালোনিরও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি লিওনেল মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচকে ঘিরে আবেগাপ্লুত পুরো দেশ। আগামীকাল বুয়েনস আয়ার্সে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে নামবে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে চোখের পানি আটকাতে সেখানে হাজির হওয়া এক সাংবাদিক, চোখের পানি ফেলেছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিও।

সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি মেসির বিদায় নিয়ে কথা বলছিলেন, ঠিক তখনই ঘটল ঘটনাটা। এক সাংবাদিক মেসিকে নিয়ে আবেগে ভেসে যান, কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

তখন স্কালোনি হালকা গলায় বলতে চান, ‘আপনি কাঁদছেন? এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’ সাংবাদিক তখন জবাব দেন, ‘আপনি আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দটা দিয়েছেন।’

সেই কথার পর স্কালোনির চোখ ভিজে ওঠে, কণ্ঠও কাঁপছিল। স্কালোনি বলেন, ‘আমি ওর সঙ্গে খেলেছি, শুধু বলটা পাস করাটাই ছিল বিশেষ কিছু। ওর সঙ্গে বিশ্বকাপে থাকা, আর তাকে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে দেখা- এটা সত্যিই আবেগের বিষয়। সময়ের সঙ্গে সবাই আরও ভালোভাবে বোঝতে পারবে এটার মানে কী।’

‘কালকের দিনটা সুন্দর আর আবেগঘন হবে। আমি মনে করি এটা তার শেষ ম্যাচ নয় আর্জেন্টিনায়। আমরা নিশ্চিত করব সে আবার খেলুক, যদি সে চায়। কারণ এটা তার পাওনা।’

মেসির প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করে স্কালোনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি এই অবস্থানে না থাকেন তাহলে এটা বোঝা কঠিন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সে আজ আমাদের সঙ্গে আছে, আর আমরা তাকে উপভোগ করি। আমি প্রতিদিন তাকে কোচ করার আনন্দ উপভোগ করি।’

মেসি এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৩ ম্যাচে খেলেছেন। গোল করেছেন ১১২টি। জাতীয় দলের হয়ে তিনি জিতেছেন চারটি শিরোপা- বিশ্বকাপ, দুটি কোপা আমেরিকা ও একটি ফিনালিসিমা।

স্কালোনি নিশ্চিত করেছেন ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সে খেলবে, না খেলার কোনো প্রশ্নই আসে না।’ তবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে পরের ম্যাচে খেলবেন কি না, তা নির্ভর করছে ভেনেজুয়েলা ম্যাচ শেষে তার শারীরিক অবস্থার ওপর।

মেসির পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা থাকবেন এই ম্যাচে। তাই বুয়েনস আয়ার্সের মাঠে মেসির সম্ভাব্য বিদায়ী ম্যাচ হতে যাচ্ছে ইতিহাসের অংশ।


রায়ানের বিশ্ব দাবায় খেলার স্বপ্নে বাধা অর্থসংকট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

গত জানুয়ারিতে অনলাইন দাবায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল ১০ বছর বয়সি বাংলাদেশের দাবাড়ু রায়ান রশিদ। রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এই ছাত্রের বিশ্ব দাবায় খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রতিভাবান এই খুদে দাবাড়ুর ওয়ার্ল্ড ক্যাডেট চেস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া অনিশ্চিত। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর কাজাখস্তানে শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। অনূর্ধ্ব-১০ বছর বিভাগে টানা তিনবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন রায়ান এরই মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করেছে। স্পন্সর না পাওয়ায় কাজাখস্তানে যাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ২ বছর আগে কিরগিজস্তানে ওয়েস্টার্ন এশিয়ান ইয়ুথ চেস চ্যাম্পিয়নশিপের অনূর্ধ্ব-১০ বিভাগে ব্রোঞ্জজয়ী রায়ান বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড রেটিংয়ে অনূর্ধ্ব-১০ বছর বয়সিদের মধ্যে ১৭তম, এশিয়ায় সপ্তম। র‌্যাপিডে দ্বিতীয়। তার বর্তমান স্ট্যান্ডার্ড রেটিং ২০৭০, র‌্যাপিড রেটিং ২১৭৫।

রায়ানের চাচা মাকসুদুর রশীদ বলেন, ‘রায়ানের মেধা বিকাশের জন্য নিয়মিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া জরুরি। পারিবারিক উদ্যোগে তাকে এর আগে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সব খরচ পরিবার থেকে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য আমরা পৃষ্ঠপোষকতা খুঁজছি। যদি কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসত তাহলে সে হয়তো বিশ্ব দাবায় দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারত।’

ওয়ার্ল্ড ক্যাডেট চেস চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৮, অনূর্ধ্ব-১০ এবং অনূর্ধ্ব-১২ ক্যাটাগরির স্ট্যান্ডার্ড, র‌্যাপিড এবং ব্লিৎজ- এই তিন বিভাগে খেলা হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য কোচ নাঈম হকের অধীনে প্রায় ৩ মাস প্রস্তুতি নিচ্ছে রায়ান। বয়স কম হওয়ায় অভিভাবক হিসেবে কাজাখস্তানে তার সঙ্গে কোচকে পাঠাতে আগ্রহী পরিবার। কিন্তু দুজনের কারোর জন্যই স্পন্সর জোগাড় করা যায়নি।

রায়ানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যাওয়ার ব্যাপারে দাবা ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ সুজাউদ্দিন বলেন, ‘আমি আসলে এসব বিষয় দেখি না। এগুলো দেখেন সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান ও আন্তর্জাতিক আরবিটর হারুন উর রশিদ। রায়ানের খেলার ব্যাপারে আমি অনুমোদন দিয়েছি। এর বেশি কিছু জানি না।’ তার চাচা মাকসুদুর রশীদের দাবি, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার ব্যাপারে কোনো সাড়া মিলেনি।


banner close