বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ব্রাজিলের ফুটবলে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা!

আপডেটেড
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:০৯
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:০৮

ফিফার নিষেধাজ্ঞার কালো মেঘ গুড়গুড় করছে ব্রাজিলের ফুটবলে। হ্যাঁ, দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। এমনটাই খবর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।

চলতি মাসের ৭ তারিখ ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) প্রেসিডেন্ট এডনালদো রদ্রিগেজকে ছাঁটাই করেন রিও ডি জেনেরিওর আদালত। সেই আদালতের রায় অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল সিবিএফ প্রেসিডেন্টসহ পুরো বোর্ডকে। যেটির ব্যাখ্যা চেয়ে পত্র দেওয়া হয়েছিল সিবিএফের কাছে। এরপর সেই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদলতে আপিল করেন এডনালদো। কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি। উচ্চ আদালতও নিম্ন আদালতের নির্দেশই বহাল রাখেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিএফকে আরেক দফা পত্র পাঠিয়েছে ফিফা। যেখানে বলা হয়েছে, এডনালদো রদ্রিগেজকে সরানোর জন্য বর্তমানে সব ধরনের তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। এরপরও যদি ফিফার নির্দেশ অমান্য করে প্রেসিডেন্ট রদ্রিগেজকে পদচ্যুত করা হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞার কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে।

মূলত ফুটবল খেলুড়ে দেশগুলোর ফেডারেশনে কোনো তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে সদস্য দেশগুলোকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। এই তো কয়েক দিন আগে, ভারত এবং পাকিস্তানের ফুটবল ফেডারেশনকে পড়তে হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার মুখে। এবার একই রকম নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ব্রাজিলের ফুটবলেও।

মূলত, ব্রাজলিয়ান আদালতের রায় অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট এডনালদোর শেষ দিন। অর্থাৎ সেদিনই পদত্যাগ করতে হবে তাকে। এ কথা মাথায় রেখেই এরপরের দিন অর্থাৎ ৮ জানুয়ারি বিশেষ এক বৈঠকের কথা জানিয়েছে ফিফা এবং দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।

এর আগে, ২০২১ সালে যৌন কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে পদত্যাগ করতে হয়েছিল সিবিএফের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোজেরিও ক্যাবোকলোকে। তাকে সরিয়েই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এডনালদো রদ্রিগেজকে। এরপর নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সিবিএফের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান রদ্রিগেজ, যেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্বের মেয়াদ ছিল ২০২৬ পর্যন্ত।


এমবাপ্পের কাছে গোল চান আনচেলত্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এমবাপ্পের শুরুটা প্রত্যাশা মতো না হলেও আস্তে আস্তে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করেছেন তিনি। প্রায় নিয়মিতই দেখা পাচ্ছেন গোলের। তবে এতে সন্তুষ্ট নয় রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ফরাসি তারকার কাছে আরও গোল চান তিনি।

চলতি মৌসুমে এখনও রিয়ালকে সেরা ফর্মে দেখা যায়নি। লা লিগায় তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার থেকে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় স্টুটগার্টকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরুর পর গত রাউন্ডে লিলের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায় তারা। এবার তাই মাদ্রিদের দলটির সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।

সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেন, ‘আমি চাই, এমবাপ্পে গোল করুক। প্রতিপক্ষের ওপর চাপ দেওয়ার চেয়ে সে গোল করলেই আমি খুশি হব। মাঠে সেন্টার-ফরোয়ার্ডের ভূমিকা বদলে যায়নি। আমি তার কাছে সেটাই চাই, যা (রেয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্ট্রাইকার) করিম বেনজেমার কাছে চাইতাম।’

মাঠে এমবাপ্পের পজিশন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এমবাপ্পেকে ঠিকমতো মাঠে পজিশন নিতে হবে এবং বল দখলে নিয়ে দ্রুত পাল্টা আক্রমণের সময় তাকে স্মার্ট হতে হবে।’

গত জুনে পিএসজি ছেড়ে রেয়ালে যোগ দেওয়া এমবাপ্পে দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচে ৮টি গোল করেছেন। গত শনিবার লা লিগায় সেলতা ভিগোর বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড।


তরুণদের লড়াইয়ের পরবর্তী শিরোপা কি ইয়ামালের!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আগামী ২৮ অক্টোবর ফুটবল বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যালন ডি’অরের জন্য। তবে, এ দিন জানা যাবে আগামী দিনের সম্ভাব্য ব্যালন ডি’অর জয়ীর নামও। সে দিনই ঘোষণা করা হবে উদীয়মান তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বয়’।

ইতালীয় সংবাদপত্র তুত্তোস্পোর্ত প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবারও পুরস্কারের জন্য সম্ভাব্য ২৫ জনের নাম ঘোষণা করেছে তারা। গত বছর এ পুরস্কার জিতেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। এবার তার উত্তরসূরি হিসেবে কার হাতে পুরস্কার উঠবে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

১৮ অক্টোবর তালিকা ঘোষণার পর থেকেই চলছে নানা আলোচনা। কে হতে পারেন এবারের সেরা তরুণ ফুটবলার? ২৮ অক্টোবর প্যারিসে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীর নাম। ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্য সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নারাজ, নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন পছন্দের বিজয়ীকে। সেই তালিকায় অবশ্য ওপরের দিকেই রয়েছেন লামিনে ইয়ামাল, এনদ্রিক, আলেহান্দ্রো গারনাচো এবং কোভি মাইনুরা। গত মৌসুমের পারফরম্যান্স ও প্রভাব বিবেচনা করলেও এই নামগুলোই বিশেষভাবে সামনে আসে।

তবে অনেকেই অবশ্য বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই বেছে নিচ্ছেন ইয়ামালকে। এর পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। অভিষেকের পর থেকে একের পর এক রেকর্ডভাঙা ইয়ামালের সবচেয়ে বড় অর্জন স্পেনের হয়ে ইউরো জয়। এ ছাড়া বার্সার হয়ে যখনই মাঠে নেমেছেন আলো ছড়িয়েছেন এখনো কৈশোরের বৃত্তে থাকা এই উইঙ্গার। এরই মধ্যে অনেকে তাকে লিওনেল মেসি ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গেও তুলনা করছেন।

গত মৌসুমে ইয়ামালের পরিসংখ্যানও বেশ উজ্জ্বল ছিল। ৫০ ম্যাচ খেলে ৭ গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেছেন ৯ গোলে। তবে পরিসংখ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ম্যাচে তার প্রভাব ছিল অসামান্য। ইয়ামালের পারফরম্যান্সের সূত্র ধরেই হয়তো ট্রান্সফারমার্কেট সম্ভাব্য পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তার কথা বলেছে। সেটি হলে সর্বকনিষ্ঠ পুরস্কার বিজয়ীও হবেন ইয়ামাল।

এর আগে ২০২২ সালে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ইয়ামালের স্পেন ও বার্সা সতীর্থ গাভি। তবে এবার গাভিকে ছাড়িয়ে ইয়ামালের জন্য সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।

মনোনীত ২৫ জনের তালিকায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি দাপট দেখা গেছে প্রিমিয়ার লিগের। বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ লিগ থেকে তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৭ ফুটবলার। এ ছাড়া অন্য লিগগুলোর মধ্যে লা লিগা থেকে ৫ জন, লিগ আঁ থেকে ৪ জন এবং বুন্দেসলিগা থেকে ৩ জন ফুটবলার জায়গা পেয়েছেন। আর ক্লাব হিসেবে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পিএসজি থেকে। এ দুই ক্লাব থেকে জায়গা পেয়েছেন ৩ জন করে ফুটবলার।


মিরপুরে সেঞ্চুরি করে গিলক্রিস্ট-ম্যাককালামদের পাশে ভেরেইনে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুরে প্রথম দিনের উইকেট দুই দলের জন্যই ছিল চরম হতাশার। বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার পরে ৬ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। প্রথম দিনে সফরকারীদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৩০ রানের। স্বীকৃত ছয় ব্যাটারের আউট হওয়ার পরে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই গুটিয়ে দেওয়ার আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি ঢেলে দেন প্রোটিয়াদের উইকেট রক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরেইনে।

ব্যাটিং ব্যর্থতার রাজ্যে ঘুরে দাঁড়ান চিলেকোঠার সেপাই হিসেবে। দুর্দান্ত দুটি জুটি গড়েন মুল্ডার আর ডেন পেটের সঙ্গে। টাইগার বোলারদের ইচ্ছামতো শাসন করেছেন ভেরেইনেরা। মিরাজ-নাঈমদের বিপক্ষে দুর্দান্ত সব সুইপশট খেলেছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও।

১৮ রানে দিন শুরু করেছিলেন ভেরেইনে। সঙ্গে ছিলেন উইয়ান মুল্ডার। মুল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১১৯ রানের জুটি। হাফসেঞ্চুরি করে মুল্ডার ফিরলে একপাশ আগলে রেখে ডেন পেটকে সঙ্গে নিয়ে আবারও পথচলা শুরু করেন তিনি। ১৩৪ বল খেলে ভেরেইনা শতরানে পা রাখেন লাঞ্চের পর। খ্যাপাটে, আবেগময় ও দীর্ঘ উদযাপনে ২৭ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান বুঝিয়ে দেন, এই সেঞ্চুরি তার কাছে বিশেষ কিছু।

সেঞ্চুরির পর ১৪ রান যোগ করতে পারেন তিনি। মিরাজের বলে লাইন মিস করলে বল চলে যায় লিটন দাসের কাছে। তিনি স্টাম্প ভাঙতে ভুল করেননি। ভেরেইনে ফেরত যান স্টাম্পড আউট হয়ে। এর আগে ১৪৪ বল থেকে করেন ১১৪ রান। ইনিংসে ৮ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কাও হাঁকান তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে থামা প্রোটিয়াদের ১১৪ রানই এসেছে ভেরেইনের ব্যাট থেকে।

এই সেঞ্চুরিতে ভেরেইনে নাম লিখিয়েছেন এক মাইলফলকে। বাংলাদেশের মাটিতে সফরকারী কোনো দলের ১০ম উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। এই কীর্তিটি প্রথম করেন জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ২০০১-০২ মৌসুমে চট্টগ্রামে অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

ভেরেইনের আগে সর্বশেষ এই কীর্তিটি ছিল লোরকান টাকারের। গত বছর মিরপুরে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন আইরিশ উইকেটরক্ষক। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্টও বাংলাদেশে এসে টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন।


নেইমারের প্রত্যাবর্তনের রাত আল হিলালের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলীয় এক জীবনে আর কতদিন! এই অল্প সময়েরও বড় একটা অংশ মাঠের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান পোস্টারবয় নেইমার জুনিয়রকে। বেশ কয়েকবার যেতে হয়েছে ডাক্তারের ছুরি-কাঁচির নিচে। ইনজুরি যেন নেইমারের নির্লজ্জ প্রিয়তমা। যাকে কোনোভাবেই পিছু ছাড়ানো যায় না। সর্বশেষ ইনজুরিতে কাঁটায় কাঁটায় এক বছর চার দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে নেইমারকে। ক্যারিয়ারের শেষ ভাগে এসে এই অপেক্ষা বেশ কঠিন ছিল নেইমারের জন্য।

নেইমারের মতোই তার ভক্তরাও অধীর আগ্রহে প্রিয় তারকার ফেরার অপেক্ষা করছিল। অপেক্ষায় ছিল ১২০ গজের সবুজ মাঠে প্রিয় তারকার পায়ের কারকার্ড দেখার। চোট সারিয়ে কবে ফিরবেন নেইমার? এই প্রশ্ন বহুবারই শুনতে হয়েছে জর্জ হেসুস কিংবা ব্রাজিলিয়ান কোচদের। সেই অপেক্ষার শেষ হলো গতকাল রাতেই। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটে আল আইনের বিপক্ষে মাঠে নামলেন নেইমার। গোল-অ্যাসিস্ট না পেলেও এদিন দলের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছেন মাঠে থেকেই।

৭৭তম মিনিটে বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন নেইমার। আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের সঙ্গে পাস আদান-প্রদান করে বক্স থেকে শট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। শট নিলেও আল আইন গোলরক্ষকের কারণে সেটায় গোল পাওয়া হয়নি নেইমারের। ম্যাচে যোগ করা ১৬ মিনিট সময়েও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। সেটিও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।

স্বাচ্ছন্দ্যে ম্যাচ শেষ করার তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়ায় ব্রাজিল জাতীয় দলের রেকর্ড গোলদাতা বলেন, ‘আমি ভালো বোধ করছি। আমি সব সময় ভালো দল পেয়েছি। আমি খুব খুশি। আমি ফিরে এসেছি! আমি ফিরে এসেছি!’

৯ গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে আল হিলালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সালেম-আল দাসারি। আল আইনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সুফিয়ান রাহিমি। দুই হ্যাটট্রিকের ম্যাচে জয়টা পেয়েছে নেইমারের দলটা। আল আইনকে হারিয়েছে ৪-৫ গোলের ব্যবধানে।

গত বছর ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। এসিএল চোটের পাশাপাশি হাঁটুর মিনিসকাসেও আঘাত পেয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শুরু হয় তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল ‘নেইমারের জন্য অপেক্ষা।’ ৩৬৯ দিন পর ঘুচল সেই অপেক্ষা।

তবে আল হিলালের সব ম্যাচে এখনই দেখা যাবে না নেইমারকে। কারণ সৌদি প্রো লিগে আল হিলাল এখনো রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেনি নেইমারকে। আগামী জানুয়ারিতে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ক্লাবকে। এর আগে অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে আরও একবার মাঠে নামবেন নেইমার।


মাহমুদুল-মুশফিকের ব্যাটে আলোর খোঁজে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও ব্যাটারদের অসহায়ত্বের দেখা মিলল। মাত্র ৪ রানের মধ্যেই নাই দুই উইকেট। এতেই জেঁকে বসল ইনিংস হারের শঙ্কা। তবে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর মুশফিকুর রহিমের লড়াইয়ে সেই শঙ্কা কিছুটা কমেছে। যদিও এখনো ম্যাচে এগিয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাই। টাইগার ব্যাটারদের যে অবস্থা তাতে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তৃতীয় দিনেই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়ে যাওয়ার।

আগের দিন ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়লেও দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। এক সেঞ্চুরিতে ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। এতে ২০২ রানের বড় লিডের চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করেছে স্বাগতিকরা। সফরকারীদের চেয়ে এখনো পিছিয়ে আছে ১০১ রানে। আলোকস্বল্পতার কারণে কিছু ওভার বাকি রেখেই দিনের খেলা শেষ হয়। অপরাজিত আছেন দুই ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় (৩৮) আর মুশফিকুর রহিম (৩১)। এ দুজনের ব্যাটেই অনেকটা নির্ভর করছে এই টেস্টে বাংলাদেশের ভাগ্য।

আগের দিন ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা এদিন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলতে থাকে টাইগার বোলারদের। আগের দিন সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা এদিন এক সেঞ্চুরির সঙ্গে পেয়েছে এক হাফসেঞ্চুরিও। মিরাজের বলে ফেরার আগে ১৪৪ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন কাইল ভেরেইনে। আর ১১২ বলে ৫৪ রান আসে মুল্ডারের ব্যাট থেকে। এতেই ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিনে দুটি করে উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ আর মেহেদী হাসান মিরাজ।

মিরপুরের কন্ডিশন বিবেচনায় ২০২ রানের লিডটা পাহাড়সমই। এই টেস্ট বাঁচাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের জন্য। যদিও শুরুটা হয় চিরাচরিত রূপেই, ৪ রানের মাথায় নেই দুই উইকেট।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই টাইগার শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কাগিসো রাবাদা। ওভারের প্রথম বলেই সাদমান ইসলামকে ফেরান এই প্রোটিয়া পেসার। প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ এ টাইগার ওপেনার (০ ও ১)। আর চতুর্থ বলে কোনো রান করার আগেই ফেরান মুমিনুল হককে (৪ ও ০)।

মাত্র ৪ রানের মাথায় দুই ব্যাটারকে হারানোর পর মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের জুটি থেকে আসে ৯৮ বলে ৫৫ রান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি শান্ত (২৩)। শান্তর বিদায়ের পর অবশ্য আর কোনো বিপদ হতে দেয়নি জয়-মুশফিক জুটি। এ জুটির রান এখন পর্যন্ত ৫০ বলে ৪২। ফলোঅন এড়াতে বড় জুটি গড়ার বিকল্প নেই বাংলাদেশের।


মিরপুরের উইকেট দেখে ‘বিস্মিত’ রাবাদা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিনবান্ধব। তবে গতকাল দিনের প্রথম সেশনে দেখা মিলেছে ভিন্ন কিছুর। প্রোটিয়া পেসারদের তোপের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সফরকারীদের দুই পেসার কাগিসো রাবাদা আর মুল্ডার মিলে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। সফরকারীদের ৬ উইকেটের পাঁচ উকেটই নিয়েছে স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মিরপুরে প্রথম দিনেই উইকেটের এমন আচরণ দেখে অবাক প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাবাদা বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা অনেক অবাক হয়েছি উইকেটের আচরণ দেখে। আমরা ভেবেছিলাম টার্নিং উইকেট হবে। তবে নতুন বলে এখানে মুভমেন্ট হয়েছে। খুব বেশি সুইং হয়নি আসলে তবে সিম মুভমেন্ট ছিল।

আসলে সত্যি কথা বলতে গেলে নেটেও এরকম উইকেট ছিল। সাধারণত নেট আর ম্যাচের পিচ কাছাকাছিই থাকে। স্পিনারদের জন্য টার্ন হচ্ছে সিমারদের জন্য সিমও হচ্ছে। আমাদের এর ফলে বেশ অবাক লেগেছে। তবে আমরা তো আর পিচ বানাই না। এমন পিচই তৈরি করা হয়েছে এবং এরকমই ছিল পিচ।’

মিরপুরের এই মাঠে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখেছিলেন রাবাদা। সেই স্মৃতির কথা আবারও মনে করলেন তিনি। রাবাদা বলেন, ‘ঢাকায় আমার ভালো কিছু খেলার স্মৃতি রয়েছে। আমার মনে হয় এই মাঠ পেসারদের সাহায্য করে থাকে, তাই না?’


চেলসিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান উদ্ধার করল লিভারপুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে শীর্ষস্থানের লড়াই। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি আর লিভারপুলের মাঝে চলছে ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতা। এখনো অবশ্য শীর্ষে আছে মোহামেদ সালাহর লিভারপুলই। সিটির কাছে জায়গা হারালেও সেটা মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানেই আবার উদ্ধার করেছে।

লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে গতকাল রাতে প্রিমিয়ার লিগে চেলসিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্না স্লটের দল। মোহামেদ সালাহর গোলে লিভারপুল এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন নিকোলাস জ্যাকসন। পরে স্বাগতিকদের জয়সূচক গোলটি করেন কার্টিস জোন্স। ৮ ম্যাচে ৭ জয় আর ১ হারে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৬ জয় আর ২ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সিটি। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে মাঠে নামে ম্যানসেচস্টার সিটি। শুরুতেই পিছিয়ে পড়া সিটি শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। ৩৩ মিনিটে গাভারদিওল সমতা ফেরানোর পরে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে (৯৫তম মিনিট) জয়সূচক গোলটি করেন স্টোনস। এ জয়ে কিছু সময়ের জন্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় সিটি। তবে নামতে হয় লিভারপুল চেলসিকে হারানোয়।

লিভারপুল আর চেলসির লড়াইয়ে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। একটু একটু করে চাপ বাড়ানো লিভারপুল ২৯তম মিনিটে সালাহর সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায়। বক্সে কার্টিস জোন্সকে চেলসির ডিফেন্ডার লিভাই কলউইল ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় স্বাগতিকরা। নিজের সাবেক দল চেলসির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে ১৪ ম্যাচ খেলে এই নিয়ে পাঁচ গোল করলেন সালাহ। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে তার মোট গোল হলো ১৬২টি। বিরতির আগে বক্সে ইংলিশ মিডফিল্ডার জোন্স গোলরক্ষক রবের্ত সানচেসের বাধায় পড়ে গেলে ফের পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআর মনিটরে দেখে এবার সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই সমতায় ফেরে চেলসি। কাইসাদোর থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সেনেগালের জ্যাকসন। শুরুতে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

লক্ষ্যে এটাই ছিল চেলসির প্রথম শট। তাদের সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য তিন মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। সালাহর ক্রস বক্সে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, দ্বিতীয় ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে লিভারপুলকে ফের এগিয়ে নেন জোন্স। বাকিটা সময় ব্যবধান ধরে রেখে লিগে টানা চতুর্থ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। আট ম্যাচে সাত জয়ে তাদের পয়েন্ট ২১।


গোল উৎসবে ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সাড়ল বার্সেলোনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

লা-লিগার দুরন্ত ঘোড়া বার্সেলোনা। ক্লান্তিহীনভাবে ছুটে চলছে তাদের জয়রথ। হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় পুরোটাই বদলে গেছে স্পেন জায়ান্টরা। আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে এবার সেভিয়ার জালে গোল উৎসব করলো কাতালুনিয়ারা। দুর্দান্ত রবার্ট লেভানদোভস্কি সঙ্গে ‘সুপার সাব’ পাবলো তোরে। দুজনের পায়ের জাদুতে এল-ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সেরে রিয়ালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়ালো বার্সেলোনা।

গতকাল রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে লা লিগায় সেভিয়াকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। লেভানদোভস্কি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পরে ব্যবধান বাড়ান পেদ্রি এরপর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেভানদোভস্কি। শেষ দিকে বদলি নেমে জোড়া গোল করেন পাবলো তোরে। শেষদিকে সেভিয়ার হয়ে সান্তনার গোল করেন ইদুম্বো। ১০ ম্যাচে ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করলো বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ।

বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করলেও শুরুতে আক্রমণে অতটা ধারাল হতে পারছিল না বার্সেলোনা। ২২তম মিনিটে রাফিনিয়াকে সেভিয়ার ফের্নান্দেস বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট-কিকে দলকে এগিয়ে নেন লেভানদোভস্কি।

এরপরই বিধ্বংসী হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। ২৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে পেদ্রির দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতালুনিয়ারা। ইয়ামালের পাস থেকে বল নিয়ে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

৩৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যান লেভানদোভস্কি। বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার জোরাল শটে স্রেফ পা ছুঁয়ে দিক পাল্টে দেন পোলিশ তারকা। জার্ড মুলারকে (৩৬৫) ছাড়িয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের হিসাবে সর্বোচ্চ লিগ গোলের তালিকায় তিন নম্বরে উঠে গেলেন লেভানদোভস্কি (৩৬৬)। তার ওপরে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (৪৯৫) ও লিওনেল মেসি (৪৯৬)। এবারের লা লিগায় ১০ ম্যাচে তার গোল হলো সর্বোচ্চ ১২টি। আর মৌসুমের গোল ১৪টি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেভিয়ার জালে রাফিনিয়া বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ৭২তম মিনিটে লুকবাকিও বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।

৭৬তম মিনিটে ইয়ামাল ও ফাতিকে তুলে তোরে ও জেরার্দ মার্তিনকে নামানো হয়। পাঁচ মিনিট পরই গোলের দেখা পেয়ে যান তোরে। বক্সে তার শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। পরের মিনিটে দর্শকদের তুমুল করতালির মাঝে প্রায় এক বছর পর মাঠে ফেরেন গাভি। তাকে জায়গা দিতে উঠে যান যিনি, সেই পেদ্রি অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও পরিয়ে দেন এই সতীর্থকে। ৮৭তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠান ইদুম্বো। পরের মিনিটেই নিজের দ্বিতীয় গোলে চার গোলের লিড পুনরুদ্ধার করেন তোরে।


বাফুফে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ক্রীড়া উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর শুধু বিসিবিতেই দেখা গেছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। বিসিবির বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তেও জড়িয়েছেন তিনি। দিন চারেক পরই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। এমন সময়ই হঠাৎই বাফুফেতে গেলেন উপদেষ্টা।

ক্রীড়া উপদেষ্টার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন না বাফুফের বিদায়ী নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য। তিনি বাফুফের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে বাফুফের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। কর্মকর্তাদের না থাকার ব্যখ্যা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কর্মকর্তাদের অনেককে নিয়ে দুদক কাজ করছে। এজন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় আসিনি।’

ক্রীড়া উপদেষ্টা বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারকে পাশে রেখে বলেন, ‘বিসিবিতে গিয়েছিলাম। বাফুফে নির্বাচন চলছে। এ নিয়ে অনেক কিছুই শুনছি, অভিযোগও আছে। এজন্য আজ বাফুফেতে আসা। এ নিয়ে কথা বললাম।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাফুফে নির্বাচনই প্রথম। এই নির্বাচন নিয়ে গোটা ক্রীড়াঙ্গনই তাকিয়ে রয়েছে। তবে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সন্দিহান খোদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ‘বাফুফের নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় এ নিয়ে আমি সন্দিহান। আগের অনেক কাউন্সিলরই এখনো স্ব-পদে বহাল রয়েছেন। যাদের অনেকে পলাতক ও আসামি- এ রকমটা শুনেছি। ফিফার বাধ্যবাধকতা, বাফুফের নিয়মের দিকে সম্মান রাখতে হচ্ছে।’

ফুটবলে মাঠের অভাব দীর্ঘদিনের। অন্যদিকে কয়েকদফা পিছিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংষ্কারের কাজ। ১১ অক্টোবর থেকে ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, মাঠের অভাবে সেটি দেড় মাস পিছিয়েছে। তবে মাঠ নিয়ে আশার কথাই শোনালেন উপদেষ্টা। ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রাথমিক বাজেট ছিল ৯৮ কোটি। সেটা বেড়ে এখন ১৫৫। আমার কাছেও ফাইল এসেছিল। আমি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছি। ফ্লাডলাইটে একটু সময় লাগতে পারে। এই স্টেডিয়ামে এত ব্যয়ের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই সেভাবে হয়নি। চট্রগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ফুটবলের জন্য ডেডিকেট করব।’

দেশে একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল ফুটবল। এখন ফুটবলের আগের সেই অবস্থা না থাকলেও ফুটবলের জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ‘প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১০ সালের পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেই জনপ্রিয়তা নেই। এজন্য অনেকাংশে দায়ী যারা বাফুফের দায়িত্বে ছিলেন। এমনও শুনেছি, এখানে পৃষ্ঠপোষকতা এলে ৭০% ব্যয় হয়, বাকি ৩০% পকেটে যেত।’


তাইজুলের ফাইফারের পরও এগিয়ে প্রোটিয়ারা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

মিরপুরের চেনা মাঠেও দেখা মিলল অচেনা বাংলাদেশের। একেবারে অচেনা বললে বোধহয় কিছুটা ভুলই হবে। গত বছর খানিক সময়জুড়ে ব্যাটারদের এমন ছন্নছাড়া অবস্থা অনেকটা চেনা-ই হয়ে গেছে দর্শকদের কাছে।

গতকাল মিরপুরে সেটারই আরেকবার মঞ্চায়ন হলো। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ব্যাটিং লাইনআপ। টপঅর্ডার থেকে মিডল অর্ডার; প্রতিরোধ গড়ার সক্ষমতা হয়নি কারোরই। এমন অবস্থায় লেজের ব্যাটারদের ওপর ভরসা করাটা একটু বেশিই বিলাসিতা হয়ে যায়। তবে শেষ বিকেলে নিজেদের প্রধান কাজটা ঠিকঠাক মতোই করেছে বোলাররা। তাতে একটু স্বস্তিও ফিরেছে বটে।

বাংলাদেশকে স্বস্তির সুবাস দেওয়া বোলারটা তাইজুল ইসলাম। প্রোটিয়া ব্যাটারদের গলার কাঁটা হয়ে যিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। প্রোটিয়াদের ছয় ব্যাটারের মধ্যে পাঁচজনকে তিনি একাই ফিরিয়েছেন। তার ফাইফারে ব্যাটারদের ব্যর্থতা কিছুটা ঘুচেছে। তবে, প্রথম দিনে এগিয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাই।

মিরপুর টেস্টে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪ রানে এগিয়ে আছে সফরকারীরা। এর আগে ৪১ ওভারে ১০৬ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।

বাংলাদেশকে দ্রুত অলআউট করে প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগারদের মতোই সফরকারীদেরও শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারে এইডেন মার্করামকে (৬) সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সাঁড়াশি আক্রমণ চালান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রোটিয়াদের কোনো ব্যাটারকেই ইনিংস লম্বা করতে দেননি তিনি। তাইজুলের প্রথম শিকার তিনে নামা ট্রিস্টান স্টাবস (২৩)। চারে নামা ডেভিড বেডিংহামকেও ফিরিয়েছেন দ্রুতই (১১)।

এরপর উইকেটে থিতু হওয়া ওপেনার টনি ডি জর্জিকে ফিরিয়েছেন তাইজুল ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই (৩০)। প্রথম দিনে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের স্কোর। একই ওভারে ব্রিটজেকে ফিরিয়েছেন বোকা বানিয়ে। অফ স্টাম্পের ওপর পিচ করা ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। এই উইকেট নিয়ে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাইজুল।

এরপর ইনিংসের ৩২তম ওভারে রায়ান রিকেলটনকে ফিরিয়ে ফাইফার তুলে নেন তাইজুল। এ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৩ বার এক ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট শিকার করলেন তাইজুল ইসলাম।

এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে টিকতে পেরেছে কেবল দুই সেশন। চারজন বাদে ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেনি আর কেউ। ওপেনার সাদমান ইসলাম শুরু করেন যাওয়া-আসার মিছিল। এরপর একে একে সবাই যোগ দেন সেই মিছিলে। মুমিনুল (৪), শান্ত (৭), মুশফিক (১১), লিটন (১) হাল ধরতে পারেনি কেউই।


সাফজয়ী মেয়েদের দেড় কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা বাফুফের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুবার শিরোপা জেতা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলদের অসাধারণ নৈপুণ্যের স্বীকৃতিস্বরুপ এবার দেড় কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

আজ শনিবার বাফুফের নতুন কমিটির প্রথম সভা হয়। রেকর্ড সংখ্যক ২৮টি এজেন্ডা থাকলেও সভা খুব বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া সভার ব্রিফিং হয়েছে দুপুর আড়াইটার দিকে। যেখানে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলকে এ দেড় কোটি টাকা পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে মিডিয়া কমিটির প্রধান আমিরুল ইসলাম বাবু গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলকে বাফুফের পক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা প্রদান করা হবে। আমরা খুব শিগগিরই একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনাদের সামনে এটি প্রদান করব।’

শুধু খেলোয়াড় নয়, দলের সঙ্গে থাকা সবাই এই পুরস্কারের আওতায় আছেন জানিয়ে বাবু বলেন, ‘যারা এই দলের সঙ্গে ছিল, প্রতিটি সদস্য বাফুফের এই পুরস্কার পাবে।’

এর আগে সাফ শিরোপা জেতায় চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকেও এসেছিল পুরস্কারের ঘোষণা। তবে অপেক্ষা ছিল বাফুফে থেকে কেমন পুরস্কারের ঘোষণা আসে, সেটি দেখার। অবশেষে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের নতুন কমিটি মেয়েদের এই পুরস্কার ঘোষণা করলো।


সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা  

নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে : আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলটি।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন নারী দলের ২৩ সদস্য। বেলা ১১টায় সাফজয়ীদের সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।

ফুটবলারদের বাইরে সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধান কোচ পিটার বাটলার ও দলের ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারী দলের পক্ষ থেকে ফুটবলারদের অটোগ্রাফ সংবলিত অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয় ড. ইউনূসকে। পরে নারী দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা।

এদিকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা খুব ধৈর্য সহকারে নারী ফুটবলারদের কথা শুনেছেন। বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সেগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য বলেছেন। সেগুলো আমরা লিখিত পেলে খুব দ্রুত ব্যবস্থা যাতে নিতে পারি। নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী ফুটবলাররা প্রত্যেকের সাইন করা জার্সি এবং ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে গিফট করেছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ আমরা সবাই নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছি।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর স্বাগতিক নেপালকে শরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এরপর বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন সাফজয়ীরা। ছাদখোলা বাসে তাদের বিমানবন্দর থেকে আনা হয় বাফুফে ভবনে। সেখানে ফুটবলারদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সেই সঙ্গে পুরস্কার হিসেবে সাফজয়ীদের হাতে এক কোটি টাকা পুরস্কার তুলে দেন তিনি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) নবনির্বাচিত সভাপতি তাবিথ আউয়াল তাদের অভিনন্দন জানান।


উষ্ণ অভ্যর্থনায় নারী ফুটবল দল, ছাদ খোলা বাসে চ্যাম্পিয়নদের যাত্রা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি নিয়ে ঢাকায় ফেরায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দলটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমানবন্দরের সামনে থেকে বাংলাদেশ নারী সাফজয়ী দলটা রওনা হয়েছে বিশেষ ছাদ খোলা বাসে। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে চ্যাম্পিয়নরা এসে নেমেছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে। এরপর বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন কোচ বাটলার আর অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।

দলটি এখন যাচ্ছে বাফুফে ভবনের দিকে। যেখানে জড়ো হয়েছেন সমর্থকরা। আছেন সাংবাদিকরাও। বাংলাদেশ ফুটবলের কেন্দ্রবিন্দু যে ভবনকে ঘিরে সেই ভবনেই চলবে বাকি আনুষ্ঠানিকতা।

বাফুফে ভবনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিকেলে চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস নারী দলকে একদিন সংবর্ধনা জানাবেন বলেও এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) নারী চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয় করেছে।


banner close