বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১৫তম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। কুমিল্লার পক্ষে পাকিস্তানের বাবর আজম ৩৭ ও আফগানিস্তানের আজমতুল্লাহ ওমারজাই অপরাজিত ৩৬ রান করেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে উইকেট হারায় রংপুর। ১টি করে চার-ছক্কায় শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রান্ডন কিংকে ১৪ রানে ফিরিয়ে দেন কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম। কিং ফেরার পর আরেক ওপেনার বাবর আজমকে নিয়ে রংপুরের রানের চাকা সচল রাখেন তিন নম্বরে নামা ফজলে মাহমুদ। ওয়ানডে মেজাজে খেলা বাবরকে ১১তম ওভারে বোল্ড করেন পাকিস্তানী স্পিনার খুশদিল শাহ। স্বদেশীর শিকার হওয়ার আগে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন বাবর। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ বলে ৫৫ রান যোগ করেন ফজলে-বাবর। বাবরের পর মারমুখী মেজাজে থাকা মহিমুদকে হারায় রংপুর। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২১ বলে ৩০ রান করে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন মাহমুদ। চার নম্বরে নামা শামিম হোসেন ১৪ রানে আউট হওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে কুমিল্লার বোলারদের উপর চড়াও হন দুই আফগানিস্তানী ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবি। মুস্তাফিজের করা ১৮তম ওভারে ওমারজাইর ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ২১ রান পায় রংপুর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার রেমন রেইফারের করার ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ১টি করে চার-ছক্কা মেরে তৃতীয় বলে আউট হন ৭ বলে ১৩ রান করা নবি। ওমরজাই-নবি ১৪ বলে ৩৫ রান যোগ করেন । শেষ ৯ বলে ২১ রান তুলে রংপুরকে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন ওমরজাই ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান তুলে রংপুর। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ওমরজাই ২০ বলে অপরাজিত ৩৬ এবং সোহান ১টি করে চার-ছক্কায় ৬ বলে অনবদ্য ১৫ রান করেন। কুমিল্লার রেইফার ২টি উইকেট নেন।
স্মরণকালের অন্যতম দুঃসময় পার করছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য খেলতে যাওয়া দলটির বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব উৎরানোই এখনো নিশ্চিত নয়। যাদের বিপক্ষে জয় ব্যতীত অন্য কিছুই ভাবত না সেলেসাও সমর্থকরা, তাদের বিপক্ষেই এখন হারের গ্লানি জুটছে ব্রাজিলের। বিশ্বকাপ শুরু হতে যেহেতু এখনো বাকি প্রায় দুই বছর। তাই বাজে সময় কাটিয়ে আগামী বিশ্বকাপেও জয়ের জন্যই মাঠে নামতে চান ব্রাজিলিয়ান তরুন তুর্কি রদ্রিগো। তবে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য উদীয়মান এ তারকা জানালেন, নেইমারকে তাদের লাগবেই।
ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের সফলতম গোলস্কোরার নেইমার। দলের প্রাণভোমরাও তিনিই। কিন্তু চোটের কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে তিনি মাঠের বাইরে। তাকে ছাড়া এই সময়টায় ব্রাজিল হয়ে উঠেছে আরও ছন্নছাড়া।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায় ব্রাজিল। বাছাইয়ের ইতিহাসে টানা তিন ম্যাচে হার তাদের জন্য ছিল প্রথম। টানা চার ম্যাচ জয়বিহীন থাকার পর গত শুক্রবার রদ্রিগোর গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়েছে তারা। বাছাইয়ের পয়েন্ট তালিকায় ছয় থেকে উঠে আসে চারে।
রদ্রিগোর মতে, নেইমারের ঘাটতি দলে পূরণ করা যাচ্ছে না। আগামী বিশ্বকাপ জিততে হলে নেইমারের বিকল্প তিনি দেখেন না। রদ্রিগো বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। সবাই দেখতে পাচ্ছে। এটা খুবই পরিষ্কার যে, তার অভাব কতটা অনুভূত হচ্ছে দলে। তিনি আমাদের তারকা, আমাদের সেরা ফুটবলার। বিশ্বকাপ জিততে হলে তাকে আমাদের লাগবে। সবাইকে ভালো থেকে তাকে সহায়তা করতে হবে।’
নেইমারকে ফিরে পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই নেইমারকে সুস্থ দেখতে চাই। তিনি যদি সুস্থ থাকেন… সেরে ওঠার শেষ পর্যায়ে আছেন তিনি। যত দ্রুত সম্ভব তাকে ফিরে পেতে চাই আমরা।’
গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল। সেই ম্যাচে টাইব্রেকারে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন রদ্রিগো। ম্যাচের পরে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন, ‘নেইমারকে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা থেকে বঞ্চিত করায়।’
নেইমারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের গল্পও শোনালেন রদ্রিগো। ফুটবলার হিসেবে তো তাকে আদর্শই মানেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ উইঙ্গার, পাশাপাশি মানুষ হিসেবেও তার হৃদয়ে আলাদা জায়গা নিয়ে আছেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই পরস্পরকে ম্যাসেজ পাঠাই। এখন সে দলের সঙ্গে অনুশীলনে ফেরার পথে আছে। সতীর্থ হিসেবে তিনি দারুণ। মানুষ হিসেবে তিনি যেমন… তাকে নিয়ে কেউ খারাপ কথা বললে আমার কষ্ট লাগে।’
নেইমারকে আদর্শ জানিয়ে রদ্রিগো বলেন, ‘তিনি সবসময় আমাকে নানা কিছু লেখেন, সহায়তা করেন। তাকে আমি ভালোবাসি। ফুটবলার হিসেবে তিনি তো আমার আদর্শই, মানুষ হিসেবেও সে অসাধারণ একজন।’
ফুটবল ও ক্রিকেট সরাসরি নিয়ন্ত্রিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে। এখানে সরকারি হস্তক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা আসে ফিফা এবং আইসিসি থেকে। এই দুই ফেডারেশন বাদে বাকি সব ফেডারেশনের সভাপতি সরকার থেকে মনোনয়ন পায়। তাই এগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপে কোনো বাধা নেই।
আগেই অপসারণ করা হয়েছিল বাংলাদেশ দাবা ও কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতিকে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতিকে। আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে দেশের আরও ৪২টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিদের অপসারণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এস এম হুমায়ূন কবীরের সই করা এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ এর ২২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার দেশের বিদ্যমান ফেডারেশন/ অ্যাসোসিয়েশন/বোর্ড/সংস্থার কার্যক্রম অধিকতর সক্রিয় ও সংস্কারের উদ্দেশে সভাপতিদের অপসারণ করা হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনগুলো হলো- ব্যাডমিন্টন, শুটিং, হ্যান্ডবল, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ানদো, টেবিল টেনিস, জিমন্যাস্টিকস, বাস্কেটবল, আর্চারি, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, বক্সিং, বধির ক্রীড়া, বাশাআপ, রাগবি, ফেন্সিং, বেসবল, প্যারা অলিম্পিক কমিটি, সার্ফিং, মাউন্টেনারিং, চুকবল, নেপাক টাকরো, জুজুৎসু, প্যারা আর্চারি, ভারোত্তোলন, উশু, ক্যারম, সাইক্লিং, টেরিস, রেসলিং, রোলার স্কেটিং, কান্ট্রি গেমস, থ্রোবল, ভলিবল, স্কোয়াশ, রোইং, আন্তর্জাতিক তায়কোয়ানদো অ্যাসোসিয়েশন, ঘুড়ি অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাথলেটিকস, খিউকুশিন কারাতে, খো খো, মার্শাল আর্ট।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ। এবার টাইগারদের নতুন লক্ষ্য ভারত। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আর দুই ম্যাচের টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এই দুই দলের বিপক্ষেই বাংলাদেশের খেলায় থাকে এক অন্যরকম উত্তেজনা; সেটা মাঠের ভেতর কিংবা বাহির, দুই জায়গাতেই। ভারতবধের জন্য প্রস্তুত হতেই মিরপুরে ব্যস্ত সময় পার করছে টাইগাররা। আসন্ন সিরিজ উপলক্ষ্যে সেখানেই সংবাদ সম্মেলনে কথা বললেন লিটন কুমার দাস।
ভারত কিংবা পাকিস্তান দুই দলর বিপক্ষেই খেলা চাপ নয় বরং অনুপ্রেরণার বললেন লিটন দাস। তিনি বলেন, ‘এটা আসলে অনুপ্রেরণাই দেয়। ভালো খেললে সুনাম হবে, দুজন মানুষ চিনবে। এর চেয়ে বড় পাওয়া তো আর কিছু থাকতে পারে না! আমার মনে হয় না চাপের কিছু আছে। টেস্ট ক্রিকেটটা আমরা এখন মোটামুটি ভালো খেলছি। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন।’
ভারতের বিপক্ষে অবশ্য অন্য এক চ্যালেঞ্জের কথা জানালেন লিটন দাস। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে কোকাবুরা বলে কিন্তু ভারতের বিপক্ষে খেলবেন এসজি বলে। এটা চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের। লিটন বলেন, ‘ভারত সিরিজ আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। প্রস্তুতি বলতে যতটুকু পারছি আমাদের মূল বোলারদেরই ফেইস করছি। কিছুটা চ্যালেঞ্জ তো আছেই। কারণ, কোকাবুরা বলের নতুন বলটা খেলা কঠিন, পুরাতন বলটা খেলা সহজ। তবে এসজি বলে নতুন বলটা একটু সহজ, পুরাতন বল খেলা কঠিন। এসব কিছু আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’
পাকিস্তানকে হারানোর সাফল্যে বুদ হতে চান না লিটন দাস। বরং সেটাকে অতীত বললেন তিনি, ‘দেখেন আমরা পাকিস্তানে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এটা আমার কাছে মনে হয় এটা অতীত হয়ে গেছে। এখান থেকে কনফিডেন্স পেয়েছি, যখন হোমে ইন্ডিয়ার সঙ্গে খেলব তখন ইন্ডিয়া অলওয়েজ শক্তিশালী দল। আমি বলব না যে খুব চ্যালেঞ্জিং হবে, আবার সহজ হবে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অতীমানবীয় এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছিলেন লিটন দাস। ধ্বংস্তূপের ভেতর থেকে দলকে টেনে তুলে এনেছিলেন তিনি। সে প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘আমি ৯-১০ বছর হয়ে গেছে ক্রিকেট খেলছি। ও রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার। দায়িত্ব যদি এখন না নিই, তাহলে আর কখন। সুযোগ পেলেই, আমি বলছি দায়িত্ব নেওয়ার কথা; কিন্তু তার মানে এই না যে প্রতি ম্যাচেই আমাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি মানুষ, আমার ভুল হতেই পারে।’
নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যে খুব আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছি তা না। আমার কাছে যে বলগুলো মনে হয়েছে স্কোরিং, সেগুলোতে স্কোর চেষ্টা করেছি।’
সেই যে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি, এরপর আর মাঠে ফেরা হয়নি তার। ইনজুরি থেকে ফিরতেই এখন যত ব্যস্ততা মেসির। মাঝে অনুশীলন করলেও এখনো মাঠে নামা হয়নি তার। ঠিক কবে মাঠে নামবেন মেসি সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাও যায়নি।
তবে এবার মেসির ফেরা নিয়ে সুখবর দিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। আগামী অক্টোবরে বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ডকে দলে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। অক্টোবরের উইন্ডোতে ভেনেজুয়েলা ও বলিভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টনা। সেই ম্যাচে মেসিকে পাওয়ার আশা তার।
স্কালোনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সে খেলা শুরু করবে। যখন পরবর্তী স্কোয়াডের তালিকা (অক্টোবরে) দেব, তখন সবার মতো তার সঙ্গেও যোগাযোগ করব। এরপর আমরা দেখব, সে ফেরার জন্য প্রস্তুত কি না।’
মেসিকে ছাড়াই দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ের ম্যাচে চিলিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়া যেভাবে নিজেদের মেলে ধরছেন বাকিরা, তাতে বেশ সন্তুষ্ট আর্জেন্টিনা কোচ। তিনি বলেন, ‘লিওর (মেসি) ওপর নির্ভরশীল না হওয়া একটা ফুটবল দলের জন্য কঠিন। সে যে দলেই ছিল, প্রত্যেক দলেই এমনটা হয়েছে। সে দলের অনন্য একজন ফুটবলার। (আর্জেন্টিনার) এই দলের ভালো দিক হলো, মাঠে যেই থাকুক না কেন নিজেদের খেলা নিয়ে পরিষ্কার একটা ধারণা আমাদের আছে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লিটন দাসের সঙ্গে ওই জুটি গড়তে ৭৮ রানের ইনিংস খেলা কিংবা প্রথম টেস্টের ৭৭ রান। বল হাতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ছিলেন দুর্দান্ত। দুই ম্যাচ মিলিয়ে শিকার ১০ উইকেট। সব মিলিয়ে পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের বড় কারিগর মিরাজ। এর আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হেসেছিল মিরাজের ব্যাট। দ্বিতীয় টেস্টে খেলেছিলেন ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ওই সিরিজে বল হাতে তার শিকার ৫ উইকেট। গত বছর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৫০ রান।
মিরাজের এমন পারফরম্যান্স বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার আশা দেখায় বাংলাদেশি ভক্তদের। ক্যারিয়ারে গোধুলিতে থাকা সাকিবের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবেই দেখা যাবে তাকে। মিরাজ নিজেও স্বপ্ন দেখেন সেটার। গতকাল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন নিজের কথা। মিরাজ বলেন, ‘একটা দলে যদি দুজন অলরাউন্ডার খেলে, দলের জন্য অনেক সুবিধা থাকে। যেহেতু আমার ব্যাটিংটা এখন ভালো হচ্ছে... শুরুর দিকে আমার ব্যাটিংটা সেভাবে পায়নি দল। আমি বোলার হিসেবে খেলেছি। এখন অবদান রাখছি, খুব ভালো লাগছে।’
বিশ্বসেরা হতে গেলে যে অনেক কাঠখর পোড়াতে হবে সেটা মিরাজও জানে, ‘(বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হতে) অনুশীলন করতে হবে, কষ্ট করতে হবে। এটা এক-দুই বছরে সম্ভব না। লম্বা সময় ধরে ভালো খেলতে হবে। এখন যেভাবে চলছে এটা যদি লম্বা সময় ধরে রাখতে পারি, তাহলে আশা করি একদিন (বিশ্বসেরা) অলরাউন্ডার হতে পারব।’ অভিষেকের পর থেকেই টেস্টে বোলার হিসেবে দলের নিয়মিত সদস্য মিরাজ। তবে পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে মূলত ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক হওয়ার পর থেকে। ৮ নম্বরে নেমে গত কয়েক বছর ধরেই কার্যকর সব ইনিংস খেলছেন মিরাজ। তবে ৮ নম্বরে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার ইচ্ছা নেই মিরাজের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ওপরের দিকের বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান হতে চান। তাই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কত নম্বরের সেরা হতে চান তিনি?
উত্তরে নির্দিষ্ট করে কোনো ব্যাটিং পজিশনের কথা অবশ্য বলেননি মিরাজ, ‘হ্যাঁ! ৮ নম্বরের সেরা হতে চাই না। কারণ ৮ নম্বরে ব্যাটিং করা অনেক চাপ (হাসি)। অনেক সময় পরিস্থিতি থাকে, দল অনেক ভালো খেলেছে, তারপর আমার ৮ নম্বরে নামতে হয়। আবার এমন পরিস্থিতিও থাকে, দলের সব ব্যাটসম্যানরা খারাপ করেছে, তারপর আমার চাপের মধ্যে নামতে হয়। জিনিসটা ওই ইঙ্গিতে আমি বলেছিলাম, যে ৮ নম্বরের সেরা ব্যাটসম্যান হতে চাই না, ওপরের দিকের সেরা ব্যাটসম্যান হতে চাই।’
সম্প্রতি আরও একটি মাইলফলক নিজের করে নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে স্পর্শ করেছেন ৯০০ গোলের মাইলফলক। পর্তুগালের হয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে জয়সূচক গোলটি করে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন ‘সিআর সেভেন’। নতুন এই মাইলফলক অর্জন করার পর ফুটবল-বিশ্বের অভিনন্দনবার্তায় ভাসছেন রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকাকে অভিনন্দন জানানোর এই দলে আছে তার বর্তমান-সাবেক সতীর্থের অনেকে। পাশাপাশি আছে প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলা অনেক খেলোয়াড়ও।
রিয়ালের হয়ে যারা রোনালদোকে মাইলফলকের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন, তাদের অন্যতম মার্সেলো ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তালিকায় আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়াও। তবে রোনালদোকে অভিনন্দন জানানো তারকাদের মধ্যে আলাদা করে নজর কেড়েছেন তাঁর সাবেক রিয়াল সতীর্থ টনি ক্রুস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে থেকেই হাস্যরসাত্মক পোস্ট দেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন ক্রুস। এবারও রোনালদোর একটি টুইটকে শেয়ার করে মজা করতে দেখা গেছে তাকে। রোনালদোর সেই টুইট করা ভিডিওটি ছিল মূলত ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সময় তাঁর করা গোলগুলোর কোলাজ। যার ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আমি এটা স্বপ্ন দেখেছিলাম, আমার আরও অনেক স্বপ্ন আছে। ধন্যবাদ সবাইকে।’
সেই পোস্ট শেয়ার করে টনি ক্রুস লিখেছেন, ‘আমি যদি ম্যাচের এবং অনুশীলনের গোলগুলোকেও একত্রিত করি, তবুও ৯০০ গোল হবে না।’ মজা করে দেওয়া এই পোস্ট অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ক্রুস মজা করলেও তাঁর ভক্তরা অবশ্য ভিন্নভাবে এর জবাব দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘তুমি সৃজনশীল মিডফিল্ডার। ফরোয়ার্ড হিসেবে খেললে তুমি কাছাকাছি যেতে পারতে।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘তুমি মিডফিল্ডার। সেটাতে সেরাও। আমরা তোমাকে ভালোবাসি টনি।’ কেউ কেউ অবশ্য ক্রুসের হাস্যরসাত্মক মনোভাবের প্রশংসাও করেন। একজন লিখেছেন, ‘তোমার হাস্যরস তুলনাহীন।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে তুমি আমার দেখা সবচেয়ে মজার মানুষ।’
জেলা ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ আরও ১৭টি দাবি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামনে সমাবেশ করেছন দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে অ্যাকাডেমি ভবনের সামনে আজ রোববার তারা ব্যানার নিয়ে তাদের অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।
মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি, ঢাকার প্রথম শ্রেণির লিগে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এবং প্রত্যেক জেলার ক্রিকেটারদের জন্য আধুনিক অনুশীলনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।
তাদের ১৭টি দাবি হল:
১. জেলা পর্যায়ে ক্রিকেট লিগের জন্য স্থায়ী বাজেট বরাদ্দ করতে হবে এবং খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এতে করে ক্রিকেটারদের আর্থিক সমস্যা কমবে এবং তাদের পারফরম্যান্সের মান বৃদ্ধি পাবে।
২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রথম শ্রেণির, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের সব ফরম্যাটে খেলার সুযোগ তৈরি করা হবে এবং তাদের পারফরম্যান্স উন্নত হবে।
৩. প্রতিটি বিভাগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং ঢাকার বাইরেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে দেশের অন্যান্য জেলার ক্রিকেটারদের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
৪. প্রতিটি জেলায় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে মাঠ, নেট প্র্যাকটিস এবং কোচিং সুবিধা বৃদ্ধি করা জরুরি।
৫. কোয়াব স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে হবে, যেন এটি খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।
৬. ঢাকার প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই খেলার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য টিভি সম্প্রচার এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় আরও ম্যাচ প্রচার করতে হবে, যাতে দর্শকদের মধ্যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
৮. ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
৯. সব জেলায় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি তৈরি করতে হবে এবং সেখানকার ক্রিকেটারদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও কোচিং দেওয়া হবে, যাতে তাদের দক্ষতা আরও উন্নত হয়।
১০. জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য উন্নত ম্যাচ ফি নিশ্চিত করতে হবে এবং এই ফি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করতে হবে, যেন তারা আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে।
১১. প্রত্যেক বিভাগে স্থায়ীভাবে অনুশীলনের সুবিধা বাড়াতে হবে এবং সেই সঙ্গে কোচদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তরুণ ক্রিকেটাররা পেশাদার স্তরে পৌঁছাতে পারবে।
১২. ঢাকায় ক্রিকেট একাডেমির পাশাপাশি জেলাতেও অনুশীলন ও কোচিং সুবিধা উন্নত করতে হবে।
১৩. বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে এবং বাংলাদেশের স্থানীয় খেলোয়াড়দের সেসব টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ দিতে হবে।
১৪. জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক টুর্নামেন্টে পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়াবে এবং তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।
১৫. বিসিবির রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সব ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের দক্ষতা ও কার্যক্রম মূল্যায়ন করা যায়।
১৬. বিপিএল এবং অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের আরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
১৭. সব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় স্থানীয় ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে, যাতে দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো আরও উন্নত হয়।
পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ক্রিকেটাররা জানান তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিসিবি। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাজমূল আবেদীন ক্রিকেটাদের বেশির ভাগ দাবিকে যৌক্তিক মনে করেন।
ক্রিকেটারদের প্রতি তার কথা, ক্রিকেট বোর্ড কী করলে আমার লাভ হবে বা তোমার লাভ হবে, সেটা নয়…কী করলে ক্রিকেটের লাভ হবে, এখন সেটা দেখা দরকার। সেটার জন্য যা যা করা দরকার, ক্রিকেট বোর্ড সামর্থ্য অনুযায়ী সেই জিনিসটা করবে।
সব প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে, সব শঙ্কার কবর রচনা করে ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসের প্যারামিটার বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল বাংলাদেশের ডিফেন্সের অন্তদ্র প্রহরী তপু বর্মণের কণ্ঠেও। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় ছাড়া বিকল্প কিছুই দেখছেন না অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলন করছেন ফুটবলাররা। কিন্তু অস্বস্তির কথা হলো- প্রথম ম্যাচে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়া রাকিব হোসেনের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। টিম ম্যানেজার আমের খানও দিতে পারলেন না স্পষ্ট বার্তা। তিনি বলেন, ‘আজ ১০-১২টা পর্যন্ত রিকভারি সেশন ছিল। ফান, গেমস, যেগুলো করলে মানসিকভাবে ছেলেরা ভালো বোধ করে, সেগুলো করা হয়েছে। রাকিব গতকাল চোট পেয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে।’
ভুটানের চ্যাংলিমিথাংয়ে আছে বাংলাদেশের একটি বাজে অভিজ্ঞতা। ২০১৬ সালে এই মাঠেই প্রথমবার ভুটানের বিপক্ষে হেরেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এরপর প্রায় দুই বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে দূরে ছিল বাংলাদেশ। তবে প্রথম ম্যাচ জিতে সেই ভয় কেটে গেছে বলেই জানালেন আমের খান। তিনি বলেন, ‘সবার মধ্যে একটা টেনশন কাজ করছিল, প্রথম ম্যাচ, অনেক দিন পর খেলা, ভুটানের এ মাঠে আগের একটা অভিজ্ঞতা ছিল। সেখান থেকে সব দুশ্চিন্তা দূর করে একটা গোল দিয়ে যে ধরে রাখতে পেরেছি, সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
পঞ্চম মিনিটে করা মোরসালিনের গোলটি আগলে রেখে প্রথম প্রীতি ম্যাচে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ওই জয়ে খেলোয়াড়দের মানসিক শক্তির সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে বলে মনে করেন তপু। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে লক্ষ্য ছিল, কোচের যে দর্শন ছিল, আমার মনে হয় আমাদের টিম ওয়ার্ক ভালো ছিল এবং সেটা আমরা প্রয়োগ করতে পেরেছি (প্রথম প্রীতি ম্যাচে)।’
‘আমরা সবচেয়ে বেশি উপকার পেয়েছি এখানে সাত দিন আগে আসায়। আবহাওয়ার সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পেরেছি। পরিকল্পনা মোতাবেক খেলতে পেরেছি। আমার মনে হয়, কাল আমাদের জয়ের জন্য এটা বড় ভূমিকা রেখেছিল।’- যোগ করেন তপু।
দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচেও জয়ের ধারায় থাকতে চান অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। প্রতিকূলতা লক্ষ্য পূরণের পথে বাধা হতে পারবে না বলেই জানালেন তিনি, ‘আমাদের এখন জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এরই মধ্যে এখানে আমরা মানিয়ে নিয়েছি। মানসিকভাবেও আমরা এখন চাঙ্গা। প্রতিটি খেলোয়াড় আত্মবিশ্বাসী। এটা পরের ম্যাচের জন্য জরুরি। আমার মনে হয়, আমরা যদি একই কাজ করতে পারি, একই নিবেদন নিয়ে মাঠে নামি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমরা জিতব।’
বয়স একটা সংখ্যা মাত্র! অন্তত পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে। সেটা না হলে কি আর এই বয়সেও এমন ফুটবল খেলা যায়। চল্লিশ ছুঁই ছুঁই বয়সেও যেন এক তরুণ রোনালদো। এখনো গোলের ক্ষুধায় ক্ষুধার্ত সিআরসেভেন; মাঠে প্রতিপক্ষের জন্য এক আতঙ্কের নাম। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পাফরম্যান্সে কিছুটা ভাটা পড়লেও আবারও ফিরে আসলেন নেশনস লিগে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্যন্য উচ্চতায়। বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোনালদো। সিআরসেভেনের এমন ইতিহাসগড়া রাতে পর্তুগালও স্বস্তির জয়ে নেশসন লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু করল।
৮৯৯ গোল নিয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রোনালদো। তার ৯০০ গোল পূরণের অপেক্ষায় ছিল ভক্ত-সমর্থকেরা; গ্যালারিতে নিয়ে এসেছিলেন ‘৯০০ রোনালদো’ লেখা প্ল্যাকার্ড। ইতিহাস গড়তে খুব একটা সময় লাগেনি পর্তুগিজ তারকার। ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলে নিখুঁত এক ভলিতে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ারে ৯০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
লিসবনে গতকাল রাতে ‘এ’ লিগের এক নম্বর গ্রুপের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রবের্তো মার্তিনেসের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যান দিয়োগো দালোত। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল। সপ্তম মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন দিয়োগো দালোত। প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জের মুখে ফার্নান্দেসের থ্রু বল বক্সে নিয়ন্ত্রণে নেন দালোত। এরপর ডিফেন্ডার বোর্না সোসাকে বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ না দিয়ে, জায়গা বানিয়ে কোনাকুনি শটে জালে বল পাঠান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুল-ব্যাক দালোত।
মাঝখানে দুই দলই কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে এসে ঐতিহাসিক গোলটি করেন রোনালদো। দূর থেকে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান নুনো মেন্দেস, বলের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রেখে, প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগাল অধিনায়ক।
আগে থেকেই আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেকর্ড গোলদাতা রোনালদো। আর এই গোল দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে তার মোট গোল হলো ১৩১টি। বাকি ৭৬৯টি গোল তিনি করেছেন পাঁচ ক্লাবের হয়ে; স্পোর্তিং (৫), ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (১৪৫), রিয়াল মাদ্রিদ (৪৫০), ইউভেন্তুস (১০১) ও আল নাস্রের (৬৮) হয়ে।
বিরতির আগেই ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পেয়ে যায় ক্রোয়াটরা। প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঠেলে দেন দালোত। তবে সেটি শেষ পর্যন্ত আর কষ্টের কারণ হয়নি। কারণ দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই জাল খুঁজে পায়নি। ফলে ২-১ গোলের হয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।
ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রীতিমতো উড়ছেন ইংলিশ ব্যাটার জো রুট। তার ব্যাটে বইছে রান বন্যা। লর্ডসে তো রুটের ব্যাট ছিল সুক্ষ্ম তলোয়ারের মতো। তাকে থামাতে শ্রীলঙ্কার কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসছে না। নানা পরিকল্পনা কিংবা ছক একেও ব্যর্থ লঙ্কান শিবির। রুটের সামনে যে কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসছে না সেটা অকপটে স্বীকার করে নিলেন না। শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দিমুথ কারুনারাত্নে।
ইংল্যান্ড সফরে দুই টেস্ট খেলে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের সিরিজে দুই ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের অপেক্ষায় আছে এখন শ্রীলঙ্কা। এর পেছনের অন্যতম নায়ক সেই জো রুট। দুই ম্যাচেই বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন তিনি। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪২ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রান করেছিলেন। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্ট ছিল তো পুরোপুরিই রুটময়। জোড়া সেঞ্চুরিতে অনেক রেকর্ডে নিজের নাম লেখান তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি শতরানের রেকর্ডে পেছন ফেলে দেন অ্যালেস্টার কুককে।
চার ইনিংসে ১১৬.৬৬ গড়ে রুটের রান এখন ৩৫০। সিরিজে রানের তালিকায় তার পেছনে থাকা কামিন্দু মেন্ডিসের রান কেবল ২০৩। এ সিরিজেই প্রথম নয়, গত কয়েক বছরে বরাবরই শ্রীলঙ্কাকে পেলে রুট হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। সবশেষ ১১ ইনিংসেই লঙ্কানদের চোখের জল নাকের জল এক করে তিনি সেঞ্চুরি করেছেন ৫টি। তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই, ১২ টেস্টে ৬৭.৫৫। সব দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ব্যাটিং গড় তার শ্রীলঙ্কাতেই। সেখানে তার গড় ৬৫.৫০, অথচ নিজ দেশে গড় ৫৫.৬৪। সব মিলিয়ে রুট যে লঙ্কানদের জন্য ভয়ঙ্কর এক মাথাব্যথার নাম, সেটি ফুটে উঠল তৃতীয় টেস্টের আগে কারুনারাত্নের কথায়। তিনি বলেন, ‘জো রুটেক থামাতে বেশ কিছু চেষ্টা আমরা করেছি, কিন্তু সবকটিই ব্যর্থ হয়েছে। এই ম্যাচগুলির টার্নিং পয়েন্ট ছিল জো রুটের ইনিংসগুলোই। এমনকি গলে যখন আমরা খেলেছি, তখনও সে বড় ইনিংস খেলেছে। অন্য ব্যাটাররা এত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তার রান যতটা সম্ভব কমাতেই হবে আমাদের।’
রুটকে থামানোর সম্ভাব্য একটি পথ বাতলে দিলেন ৯৩ টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যান করুনারাত্নে। তিনি বলেন, ‘তার অতীতের পারফরম্যান্স আরও নিবিড়ভাবে দেখতে হবে আমাদের। খেয়াল করতে হবে কীভাবে সে আউট হয়েছে, ক্রিজে সে কোন ধরনের কাজ করে। এসবের ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা গড়তে হবে আমাদের।’ ‘কখনো কখনো আমরা হয়তো তাকে একটু বেশি আক্রমণ করি, সে সেটার ফায়দা নেয়। অনেক ব্যাটসম্যানই মাঝেমধ্যে কম আগ্রাসী হতে পছন্দ করে না। কখনও কখনও ব্যাটসম্যানদের বিরক্ত করে তোলাও একটি কার্যকর কৌশল।’- যোগ করেন করুণারাত্নে।
এ মাসেই ইংল্যান্ড সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে নিজেদের কিছুটা ঝালিয়ে নিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে স্কটল্যান্ড সফরে গেছে অজিরা। গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ‘মহাপ্রলয়’ বইয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। রীতিমতো তুলোধুনো করেছে স্কটল্যান্ডের বোলারদের। ট্রাভিস হেড-মিচেল মার্শদের ব্যাটিং তাণ্ডবে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ১৫০ রানের ওপরের ম্যাচও জিতেছে ১০ ওভারের আগেই।
এডিনবরার গ্রেঞ্জ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯.৪ ওভারেই তাড়া করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের রেকর্ড এখন এটাই। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩২০ স্ট্রাইকরেটে তাণ্ডব চালালেন ট্রাভিস হেড। সেটাও চলল বেশ খানিকটা সময় ধরে। ততক্ষনে ট্রাভিস হেড ২৪ বল থেকেই করে ফেলেছেন ৮০ রান। পরের বলেই আউট হন তিনি। হেডের এমন মহাপ্রলয়ঙ্করী ইনিংসটি গড়া ছিল ৫ ছক্কা ও ১২ চারে। ইনিংসটি খেলার পথে হেড ১৭ বলে ফিফটি পূরণ করেছেন, যা টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যৌথভাবে দ্রুততম। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মার্কাস স্টয়নিসও ১৭ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন।
অন্যদিকে হেডকে অনুসরন করেই খেলতে থাকেন মিচেল মার্শ। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৩৯, ছক্কা ৩টি ও চার ৫টি। জশ ইংলিস অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৭ রান করে। একপেশে এই জয়ের পথে পাওয়ার প্লেতে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলটি ৬ ওভারেই তুলেছে ১১৩ রান। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১০২ রান; যা গত বছরের ২৬ মার্চ সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়ায় তৃতীয় বলেই জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে হারায় অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে রানের খাতাই খুলতে পারেননি আলোচিত এই তরুণ সেনসেশন। তবে সেটাকে বিপদের কারণ হতে দেননি ট্রাভিস হেড। এরপরই ঝড় শুরু করেন তিনি।
পাওয়ার-প্লের মধ্যে আর কোনো উইকেটই তুলে নিতে পারেনি স্কটল্যান্ড। এরপর সপ্তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানে স্বাগতিকরা; কিন্তু ততক্ষনে ম্যাচ অজিদের নিয়ন্ত্রণে। স্টয়নিসকে নিয়ে বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন ইংলিস। এর আগে প্রথম ৬ ওভারে ১১৩ রান তুলে ফেলে অজিরা। এর আগে টস জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজে নেই তাদের অভিজ্ঞ পেসত্রয়ী জশ হেইজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। তাদের অনুপস্থিতিতে সুযোগ কাজে লাগিয়ে দারুণ বোলিং করেন জাভিয়ার বার্টলেট, শন অ্যাবটরা। স্কটল্যান্ডের ইনিংসে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনই পান ভালো শুরু। কিন্তু কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। স্কটল্যান্ডের ইনিংসে কেউ ছুঁতে পারেননি ৩০ রানও। সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে ওপেনার জর্জ মানজির ব্যাট থেকে। তাতে কোনোমতে দেড়শ পার করে দলটি।
চলতি বছরে দেশের ফুটবলে অর্জনের খাতাটা শুণ্যই রয়ে গেছে। চারটি ম্যাচ খেলে সব ম্যাচেই হেরেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। সেই তিক্ত গল্প থেকে বের হয়ে আসার সুযোগ জামাল-তপুদের সামনে। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আজ স্বাগতিক ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ভুটানের চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ভুটানের বিপক্ষে এ ম্যাচে প্রতিপক্ষের চেয়েও বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা কন্ডিশন। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ভুটানের অনেক উচ্চতার কারণে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ ভুগছেন ফুটবলাররা। উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে শুরু থেকে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল জামালদের। তবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন ফুটবলাররা।
বাংলাদেশ ফুটবলের বড় দুর্বলতা ফিনিশিং নিয়ে। ৯০ মিনিট প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার মহা চেষ্টার মাঝে ফিকে থাকে গোল করার চেষ্টা। যার একটি উদাহরণ দেখা যায় এবছরের ম্যাচগুলোতে। এ বছর খেলা চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালের নাগালই পায়নি বাংলাদেশ। সবশেষ গোলের দেখা মিলেছিল গত বছর, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লেবাননের বিপক্ষে।
ভুটানে ম্যাচেও সেই গোল দুর্ভাবনার কথাই শোনালেন ফরোয়ার্ড মোরসালিন। বললেন, ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার কিংবা ফরোয়ার্ড- কে গোলদাতা, সেটা তার কাছে মুখ্য নয়, গুরুত্বপূর্ণ শুধু গোল পাওয়া।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার পর প্রায় দীর্ঘ তিন মাস পরে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল দেশের ঘরোয়া ফুটবলও। সুতরাং এক রকম খেলার বাইরেই ছিল ফুটবলাররা। তার ওপর ভুটানে খেলা হবে টার্ফে। যেখানে মানিয়ে নেওয়ায় বড় একটা চ্যালেঞ্জ ফুটবলারদের জন্য। তবে নানা প্রতিকুলতার মাঝেও জয়ের আশা করছেন মোরসালিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন খেলার বাইরে ছিলাম, ছুটিতে ছিলাম। তবে কিছুদিন আগে আমাদের জুনিয়র টিম (অনূর্ধ্ব-২০ দল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তো আমাদের কাছেও দেশের মানুষের একটা প্রত্যাশা আছে। আমরা চেষ্টা করব তাদের আশাহত না করতে।’
টার্ফে খেলা নিয়ে মোরসালিন বলেন, ‘শুরুর দিকে টার্ফে খেলতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। তবে আস্তে আস্তে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছি। খুব একটা সমস্যা… আসলে এখানে কোনো অজুহাত দেওয়া যাবে না। ওরাও খেলবে, আমরাও খেলব। আমাদের ৯০ মিনিট খেলতে হবে।’ নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেছেন, যেকোনোভাবে আমাদের ম্যাচ দুটো জেতাটাই গুরুত্বপূর্ণ।
একই সুরে কথা বলেছেন অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়াও। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, দুটি ম্যাচই ভীষণ কঠিন হবে। কেননা, আমরা তিন মাস কোনো ম্যাচ খেলি না। আমরা ক্যাম্প করেছি, কিন্তু ভুটানের খেলোয়াড়দের মতো একই পর্যায়ে নেই। আমার ধারণা দুটি কঠিন এবং দারুণ ম্যাচ হবে।’
প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ভুটানের মুখোমুখি হতে যে প্রস্তুত বাংলাদেশ সেটাও জানিয়েছেন জামাল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন লজ্জার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। তখনই দলের হাল ধরেন লিটন কুমার দাস। প্রতিরোধ গড়ে তুলে নেন চোখধাঁধানো এক সেঞ্চুরি। সেটার পুরস্কার পেলেন এবার ডানহাতি এ ব্যাটার। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পুরস্কারও পেয়েছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানা। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন তারা।
পুরুষ ক্রিকেটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদে টেস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিটনের অবস্থান এখন ১৫তম। ক্যারিয়ার সেরা ১২ নম্বরের আরও কাছে পৌঁছে গেলেন তিনি। ২০২২ মে ও ডিসেম্বরে দুবার ১২তে ওঠেন তিনি। অন্যদিকে দুই টেস্ট মিলিয়ে ১৩৭ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ ধাপ এগিয়ে তার অবস্থান এখন ৭৫তম।
বোলারদের মধ্যে ১৬ ধাপ এগিয়ে ৫৭তম স্থানে উঠে এসেছেন হাসান মাহমুদ। অন্যদিকে গতির ঝড় তোলা নাহিদ রানা এগিয়েছেন ২৩ ধাপ। ঢুকে পড়েছেন শতকের ঘরে; ৯৭তম অবস্থানে।
বাংলাদেশের আর কারও উন্নতি হয়নি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে। মুশফিকুর রহিম আগের মতো ১৭তম স্থানে। মুমিনুল হক (৪৯) ও নাজমুল হোসেন শান্তর (৬৬) অবনতি ৩ ধাপ করে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লর্ডসে জোড়া সেঞ্চুরি করা জো রুট শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছেন। তার রেটিং পয়েন্ট এখন ৯২২। পরের দুই স্থানে আগের মতোই আছেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারেল মিচেল।