বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

বাংলাদেশের ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র জাহিদ হাসান এমেলি

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৪:১৮

১৯৮৭ সালে জন্মটা পিরোজপুরের এক ফুটবল পাগল পরিবারে। বাবা চাইতেন জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলবে ছেলে। তাই ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতিই জমা সব ভালোবাসা। বাবার স্বপ্নও পূরণ করেছেন। ২০০৫ সালে সাফ ফুটবলের আসরে ভুটানের বিপক্ষে অভিষেক হয় লাল-সবুজ জার্সিতে। অভিষেক ম্যাচে মাঠে নেমে, বলে প্রথম ছোঁয়াতেই পেয়েছিলেন গোল। এরপর জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৪টি ম্যাচ। নামের পাশে যোগ করেছেন ১৫টি গোল। বলছি সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলির কথা। যিনি পায়ের নিখুঁত ছোঁয়ায় পথ দেখাতেন বাংলাদেশকে। যার পায়ের কারুকার্যে হিমশিম খেতে হতো প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের। ২০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বেশ দাপট দেখিয়েছেন ক্লাব ফুটবলেও। দেশের প্রায় সব ক্লাবের জার্সিই গায়ে জড়িয়েছেন তিনি। ক্লাব ফুটবলের ঝুলিতে আছে ৫টি শিরোপাও। ২০২১-২২ মৌসুম দিয়ে বিদায় জানান পেশাদার ‍ফুটবলকে। ফুটবলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলেছেন দৈনিক বাংলার ক্রীড়া প্রতিবেদক নাজমুল সাগর

প্রশ্ন: খেলোয়াড়ি জীবন শেষে এখন কী করছেন…?

এমিলি: খেলা শেষ করেছি বেশিদিন হয়নি। আমি শেষ ২০২১-২২ মৌসুমেও খেলেছি। একজন প্রফেশনাল খেলোয়াড় আসলে পরবর্তী সময়ে খেলার বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারে না। যেহেতু মাত্রই খেলা ছেড়েছি, তাই এখন পর্যন্ত কোনো জায়গায় জয়েন হইনি।

প্রশ্ন: খেলায়াড়ি জীবনটাকে কীভাবে মিস করছেন…?

এমিলি: দেখুন একজন প্লেয়ারের ক্যারিয়ার আসলে বেশি দিনের না। একজন খেলোয়াড়র যখন খেলা খেলা শেষ করে, তখন সেই আসলে বুঝতে পারে; ওইটার কষ্টটা কতটুকু। কিন্তু বাস্তবতা হলো, একটা সময় আপনাকে খেলা ছাড়তেই হবে। অবশ্যই ফুটবল মাঠকে প্রচণ্ডভাবে মিস করি।

প্রশ্ন: মনে দাগ কাটার মতো মজার কোনো ঘটনা…?

এমিলি: দেশের হয়ে যে গোলগুলো করেছি সেটাই আসলে মজার। বিশেষ করে ২০০৫ সালের সাফে ভুটানের বিপক্ষে আমার প্রথম গোল।

প্রশ্ন: দেশের ফুটবলকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন…?

এমিলি: মাঝখানে ফুটবলে খারাপ সময় ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভালো করছে। মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে, ছেলেরা অনেক ভালো করছে। বেশ কিছু তরুণ ‍ফুটবলার উঠে আসছে। এটা ফুটবলের একটা পজিটিভ দিক। তবে এটাকে চলমান রাখতে হবে।

প্রশ্ন: তৃণমূল থেকে ফুটবলার তুলে নাকি প্রবাসী ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়া। এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন…?

এমিলি: আমার কাছে মনে হয় দুইটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসী ফুটবলারদের দরকার আছে। তবে সবচেয়ে বেশি দরকার আমাদের ফুটবলার তৈরি করা। সেটার দিকে আমাদের নজর নেই। তৃণমূল পর্যায়ে আমাদের কাজ খুবই কম হচ্ছে। যার কারণে খুবই কম ফুটবলার তৈরি হচ্ছে। সেই জায়গায় জোর দেওয়া উচিত ছিল।

প্রশ্ন: খেলোয়াড় তৈরি না হওয়ার পেছনে দায় কাদের…?

এমিলি: দেখুন প্লেয়ার তৈরির কাজ বাফুফের না। কিন্তু তাদের কিছু গাইডলাইন থাকা উচিত। ফুটবলার তৈরি করা ক্লাবগুলোর কাজ। বড় বড় টিমগুলোর কিন্তু জুনিয়র টিম আছে। যেখান থেকে প্রতিবছর জুনিয়র প্লেয়াররা সিনিয়র দলে আসে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই কালচার নেই। এই কালচার যতদিন তৈরি করা যাবে না, ততদিন আমাদের দেশে প্লেয়ার তৈরি হবে না। এগুলো খুবই জরুরি। আমি যদি বাফুফেতে কাজ করি তাহলে ক্লাবগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক করব জুনিয়র টিম তৈরি করা।

প্রশ্ন : মাঝের সময়টাতে ফুটবল অন্ধকারে ছিল। এর পেছনে আপনি কী কারণ দেখেন…?

এমিলি: দেখুন ৮০/৯০-এর দশকে মানুষের বিনোদনের একটা মাধ্যম ছিল ফুটবল। আমাদের সময়েও ফুটবল কিছুটা জমজমাট ছিল। এরপর ফুটবলে খারাপ সময় শুরু হয়। কারণ আমাদের জেলা লিগ হয় না, পাইওনিয়ার লিগ হয় না, আমাদের ক্লাব ফুটবলে জুনিয়র লিগগুলো হয় না। ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে গেলে এবং তৃণমূল থেকে ফুটবলার তুলে আনতে এগুলো খুবই জরুরি। এখন তো ডিজিটাল যুগ, ওই জায়গা নিয়েও আমাদের কাজ হয় না। আমরা সালাহউদ্দিন ভাই, আলফাজ ভাই, গাউজ ভাইয়ের খেলা দেখে, নাম শুনে বড় হয়েছি। আমাদের নাম শুনেও হয়তো কিছু প্লেয়ার তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন জেনারেশন তৈরি হচ্ছে না যাদের নাম শুনে পরবর্তী জেনারেশন তৈরি হবে। ক্লাব ফুটবলের কালচার আগের মতো তৈরি করতে হবে। এবং এটাতে ক্লাবগুলোর দায়িত্ব অনেক। জেলা লিগগুলো নিয়মিত করা উচিত। কারণ মূল প্লেয়ারগুলো জেলা থেকেই আসবে। এটা নিয়ে কাজ করা খুব জরুরি।

প্রশ্ন: ফরোয়ার্ডরা কেন গোল পাচ্ছে না…?

এমিলি: স্ট্রাইকার আসলে কেউ তৈরি করতে পারে না। আপনি যদি মনে করেন স্ট্রাইকার খেলবেন, তাহলে ছোটবেলা থেকেই আপনাকে নিজেকে তৈরি করতে হবে। এবং আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে আপনার মূল কাজ গোল করা। ক্লাব ফুটবলে স্ট্রাইকাররা গোল পাচ্ছে না। যে কারণে জাতীয় দলে সুযোগ তৈরি হলেও ফিনিশিংয়ের জায়গাটা হচ্ছে না।

প্রশ্ন: ক্লাব ফুটবলে কীভাবে উন্নতি করা যায়…?

এমিলি: দেখুন আমরা বলি, আমাদের দেশে প্রফেশনাল লিগ হয়। কিন্তু আসলে সেটা কতটা প্রফেশনাল আমরা তা দেখি না। বসুন্ধরা কিংস ছাড়া বাকি দলগুলো কেউই প্রফেশনালের জায়গায় নেই। কারও হোম ভেন্যুই নেই। ট্রেনিং গ্রাউন্ড নেই। এগুলো আরও আগে হওয়া উচিত ছিলো।

প্রশ্ন: কোচিং ক্যারিয়ারে আসার সম্ভাবনা কেমন…?

এমিলি: সত্যি কথা বলতে, আমার কোচ হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। আমি সংগঠক হিসেবে কাজ করতে চাই।

প্রশ্ন: ফুটবলে ছোটবেলার স্মৃতি…?

এমিলি: আমরা ৫ ভাই প্রফেশনাল ফুটবল খেলেছি ঢাকাতে। আমরা ২/৩ ভাই একসঙ্গে জাতীয় দলেও খেলেছি। আব্বা চাইতেন আমরা সবাই ফুটবল খেলি। আমরা স্পোর্টস ফ্যামিলি। তো ওইখান থেকেই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। অন্য খেলার প্রতি কখনোই আকর্ষণ ছিল না।

প্রশ্ন: ফুটবলে আমরা বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখতে পারি না…?

এমিলি: অবশ্যই, আমার কিন্তু একটা ফুটবল পাগল জাতি। হয়তো মানুষ ওইভাবে ফুটবলকে ফলো করে না। কিন্তু বিশ্বকাপ হলে ফুটবলের বাইরে মানুষ চিন্তা করতে পারে না। আমরা যদি পরিকল্পনা করে এগোতে পারি, তাহলে একসময় বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলবে।


জয় দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

সহজ জয় দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

আজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই নিয়ে চতুর্থবার পাকিস্তানকে হারাল টাইগাররা।

এর আগে ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে ৭ উইকেটে এবং ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে মিরপুরের ভেন্যুতে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

এছাড়াও ২০২৩ সালে হাংজুতে ১৯তম এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারের লজ্জা দিয়েছিল বাংলাদেশ।

এ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ বোলারদের তোপে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম পাকিস্তানকে অলআউট করে টাইগাররা। জবাবে ২৭ বল বাকী রেখে জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিটন দাসের দল।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। টি-টোয়েন্টিতে টানা নয় ম্যাচ পর টস জিতলেন লিটন।

লিটনকে বোলিংয়ের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রানের বিনিময়ে পাকিস্তানের ৪ উইকেট শিকার করেন টাইগারদের তিন পেসার ও এক স্পিনার।

ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে স্পিনার মাহেদির বলে শর্ট ফাইন লেগে পাকিস্তান ওপেনার ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ফেলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

ক্যাচ ফেললেও দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে উইকেট তুলে নেন তাসকিন। ৬ রান করা সাইম আইয়ুবকে শিকার করেন তিনি। পরের ওভারে উইকেটের দেখা পান স্পিনার মাহেদি হাসান। ডিপ মিড উইকেটে শামীম হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মোহাম্মদ হারিস। ৪ রান করেন তিনি।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম আক্রমণে এসে পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান পেসার তানজিম হাসান। স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটনকে ক্যাচ দেন ৯ বলে ৩ রান করা পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আঘা।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেও বাংলাদেশকে উইকেট শিকারের আনন্দে মাতান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। রানের খাতা খোলার আগেই ডিপ থার্ডম্যানে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হাসান নাওয়াজ।

বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে পাকিস্তান। অষ্টম ওভারে নিজেদের ভুলে চাপ আরও বাড়ে পাকিস্তানের। ফখরের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৩ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ৪৬ রানে ৫ উইকেট পতনের পর বড় জুটির চেষ্টা করেন ফখর ও খুশদিল শাহ।

জুটিতে সর্বোচ্চ ২৪ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন ফখর ও খুশদিল। এবার লিটনের দক্ষতায় খুশদিলের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন ফখর। দু’বার জীবন পেয়ে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন ফখর।

৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ১শর নীচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেটি হতে দেননি খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি। সপ্তম উইকেটে ২৯ বলে ৩৩ রান যোগ করেন দলের রান তিন অংকে নেন তারা। এরমধ্যে রিশাদ ও তানজিমের দুই ওভারে ৪টি ছক্কায় ২৭ রান যোগ করেন খুশদিল ও আফ্রিদি।

১৭তম ওভারে দলীয় ১০৩ রানে খুশদিলকে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মুস্তাফিজ। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ১৭ রান করেন খুশদিল।

সপ্তম ব্যাটার হিসেবে খুশদিল ফেরার পর ৭ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩ বল বাকী থাকতে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই সর্বনিম্ন রান পাকিস্তানের।

তাসকিনের করা শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরমধ্যে একটি রান আউট ছিল।

তাসকিন ২২ রানে ৩টি, মুস্তাফিজ ৬ রানে ২টি এবং মাহেদি-তানজিম ১টি করে উইকেট নেন।

১১১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষিক্ত পেসার সালমান মির্জার বলে ওপেনার তানজিদ হাসান এবং তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটন দাস আউট হন। দু’জনই ১ রান করে করেন।

এরপর পাকিস্তান বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। অষ্টম ওভারে দলের রান ৫০এ নেন তারা।

১২ ওভার শেষে ৮০ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের ঐ স্কোরেই ১৩তম ওভারে পেসার আব্বাস আফ্রিদির বলে বোল্ড হন হৃদয়। ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন হৃদয়। পারভেজের সাথে ৬২ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন হৃদয়।

হৃদয় ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে ১৮ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন পারভেজ ও জাকের আলি। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন পারভেজ। ৩৯ বল খেলে ৩ চার ও ৫ ছক্কা মারেন পারভেজ। ৩টি বাউন্ডারিতে অনবদ্য ১৫ রান করেন জাকের। সালমান ২ উইকেট নেন।

আগামী ২২ জুলাই মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে দু’দল।


সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল শ্রীলঙ্কার জালে এবার ৫ গোল বাংলাদেশের

আপডেটেড ২০ জুলাই, ২০২৫ ২২:৩৪
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ৫-০ শ্রীলঙ্কা শিরোপা ধরে রাখতে যত বেশি সম্ভব গোল চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই শনিবার (১৯ জুলাই) সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বাংলাদেশ করতে পারে মাত্র ২ গোল। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ গড়ে গোলসংখ্যা বাড়ানো গেছে আরও ৩টি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জিতেছে ৫-০ গোলে। জোড়া গোল করেছেন পূজা দাস।

প্রথম দেখায় এই শ্রীলঙ্কাকেই ৯-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। লঙ্কান মেয়েরা অনেকটাই সংগঠিত ও প্রতিরোধ গড়ার মতো ফুটবল খেলেছে। বিশেষ করে রক্ষণভাগে তারা বাংলাদেশকে আগের ম্যাচের মতো সহজে জায়গা দেয়নি। যতটুকু দিয়েছে, বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছেন বল বাইরে মেরে।

ম্যাচের ২৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন কানন রানী বাহাদুর। ব্যবধান দ্বিগুণ হওয়ার সুযোগ আসে ৩৮ মিনিটে, তবে সুরমা জান্নাতের জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এই অর্ধের শেষ দিকে রাইট ব্যাক পূজা দাস দ্বিতীয় গোলটি করেন। বক্সের ওপর থেকে তার লক্ষ্যভেদ। তৃতীয় গোলটাও করেছেন পূজা। এটি প্রায় ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে। ৮৬ মিনিটে তৃষ্ণা রানী করেন চতুর্থ গোল। যোগ করা সময়ে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের পেনাল্টি গোলে হয়েছে ৫-০। ম্যাচে বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার একাদশে আনেন ৫টি পরিবর্তন। মূল একাদশে ছিলেন না আফঈদা, স্বপ্না রানী, উমেহলা ও মুনকি আক্তারের মতো নিয়মিত মুখ। পরিবর্তিত একাদশে প্রথমবারের মতো গোলপোস্টের নিচে সুযোগ পান ফেরদৌসী আক্তার। এছাড়া রুপা আক্তার, পূজা দাস, নাদিয়া আক্তার ও কানন রানীকেও একাদশে রাখা হয়। সুরমা জান্নাত অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরে নেতৃত্ব দেন প্রথমার্ধে।

প্রথমার্ধে মাত্র দুটি গোল আসায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মাঠে নামানো হয় আফঈদা, স্বপ্না রানী, উমেহলা ও মুনকিকে। তবুও গোলসংখ্যা সেভাবে বাড়েনি।

আজ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। সেই ম্যাচে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হবে স্বাগতিকরা। তবে যদি হেরে যায়, তাহলে হেড টু হেড বা মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাব আসবে বিবেচনায়। সেখানেও সমতা থাকলে দেখা হবে গোল পার্থক্যের হিসাব। প্রতিদ্বন্দ্বী নেপাল গোল পার্থক্যে বেশ এগিয়ে। ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের গোলসংখ্যা নিয়ে গেছে ৩০-এ। ৪টি গোল খাওয়া দলটির গোল পার্থক্য ‍+২৬।

আজকের শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ছিল নেপালের চেয়ে ১১ গোল পিছিয়ে। সেই ব্যবধান কমাতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছিল দল। বাংলাদেশের গোল পার্থক্য ‍ এখন +২০। অর্থাৎ ব্যবধানটা কমে এসেছে ৬-এ।


চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফাত ফুটবল টুর্নামেন্টে সিইউবি আন্ডারডগ চ্যাম্পিয়ন!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের পূর্বাচল পারমানেন্ট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হলো ‘চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফাত ট্রফি ২০২৫’ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্ব। প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে CUB Underdogs ১-০ গোলে হারিয়েছে শক্তিশালী CUB Spurs FC-কে।

চূড়ান্ত ম্যাচে দুই শক্তিশালী দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করে। পুরো আয়োজন জুড়ে ছিলো প্রাণবন্ত উৎসবের আমেজ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যান জনাব চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফাত। তিনি বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট কেবল একটি খেলার আয়োজন নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব, সহনশীলতা ও পারস্পরিক বন্ধন তৈরির একটি চমৎকার উদাহরণ হয়ে উঠেছে।


নতুন কোচ পেলেন হামজারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

গত মৌসুমে বাজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের তলানিতে নেমে গিয়েছিল লেস্টার সিটি। শেষ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে লেস্টার নেমে যায় দ্বিতীয় স্তরের ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে। দলের দুর্দশার কারণে গত ২৭ জুন কোচের দায়িত্ব ছাড়তে হয় রুদ ফন নিস্টলরয়কে।

নিস্টলরয়ের জায়গায় লেস্টারে নিয়োগ পেয়েছেন কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের সাবেক কোচ মার্তি সিফুয়ন্তেস। স্প্যানিশ এই কোচকে আগামী ৩ বছরের জন্য কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে হামজা চৌধুরীর ক্লাব লেস্টার। সিফুয়েন্তেসের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ লেস্টারকে আবার প্রিমিয়ার লিগে ফিরিয়ে আনা।

এ নিয়ে ৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে হচ্ছে লেস্টারকে। এর আগে ২০২৪ সালে এনজো মারেসকার অধীনে দ্বিতীয় স্তরের (চ্যাম্পিয়নশিপ) শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লিগে ওঠে এসেছিল লেস্টার। যদিও সে জায়গা ধরে রাখতে পারেনি তারা। পরের মৌসুমেই আবার অবনমিত হয়ে গেছে দলটি।

বারবার কোচ বদলের ধারায় সিফুয়েন্তেসের চাকরি শেষ পর্যন্ত কতদিন টিকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাকেসহ গত ২ বছরে ৬ জন স্থায়ী কোচ নিয়োগ দিয়েছে ক্লাবটি। এখন শঙ্কা দূর করে সিফুয়েন্তেস শেষ পর্যন্ত থিতু হতে পারেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

লেস্টারের প্রত্যাশা স্প্যানিশ কোচ সিফুয়েন্তেস ক্লাবে ‘আধুনিক ও অগ্রসরমান ফুটবল দর্শন’ নিয়ে আসবেন। ক্লাবের চেয়ারম্যান আয়াওয়াত শ্রীভাদ্ধানাপ্রভা বলেছেন, ‘সিফুয়েন্তেস ক্লাবের জন্য দারুণভাবে উপযুক্ত একজন কোচ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তাকে ক্লাবে আনা আমাদের ভবিষ্যতে সেই সাফল্য গড়তে সাহায্য করবে, যা আমরা সবাই চাই।’

লেস্টার সিটির খেলোয়াড় হলেও হামজা অবশ্য অনেকটা সময় ধারে খেলেই কাটিয়েছেন। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ধারের চুক্তিতে শেফিল্ডে যান তিনি। এরপর ক্লাবটির হয়ে সব মিলিয়ে ১৬ ম্যাচ খেলেছেন বাংলাদেশ মিডফিল্ডার। ২৯ জুন ধারের চুক্তির মেয়াদ শেষ করে আবারও লেস্টারের ফিরেছেন হামজা।

তবে আগামী মৌসুমে হামজা কী লেস্টারেই থাকবেন নাকি অন্য কোথাও যাবেন, তা নিশ্চিত নয়। গুঞ্জন আছে, হামজাকে দলে টানতে চায় চ্যাম্পিয়নস লিগে সুযোগ পাওয়া গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোস। এখন হামজা লেস্টারে থেকে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার জন্য দলকে সাহায্য করবেন নাকি অলিম্পিয়াকোসে গিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষা।


ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে ঘোষণা, ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে উচ্ছ্বাস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক স্পোর্টস (ই-স্পোর্টস) এখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে স্বীকৃতি পেল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অ্যাক্ট-২০১৮-এর ২(২) ও ৬ ধারা অনুযায়ী ই-স্পোর্টসকে এই স্বীকৃতি দেয়। এ ঘোষণায় উচ্ছ্বাস দেখা গেছে দেশের গেমার এবং ই-স্পোর্টস সংশ্লিষ্ট কমিউনিটিতে।

ই-স্পোর্টসকে স্বীকৃতি দিলেও এর পরিচালনা ও নীতিমালা নির্ধারণে গঠিত হয়েছে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি। এই কমিটি আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. সাইফুল ইসলামকে। সদস্য হিসেবে থাকছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির একজন অধ্যাপক, এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া), যিনি সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির গাইডলাইন অনুসরণ করে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করবে। সেইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মতামতসহ সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিমালা, নির্দেশনা ও সরকারি আদেশ পর্যালোচনা করবে। প্রয়োজনে তারা কোনও বিশেষজ্ঞ সদস্য কো-অপটও করতে পারবেন।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান গিগাবাইট বাংলাদেশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একটি নতুন ই-স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন গঠনের উদ্যোগ। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গেমিং কমিউনিটির জন্য এক বিশাল মাইলফলক, যা তরুণ ই-স্পোর্টস প্রতিভাদের জন্য খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে তরুণ গেমাররা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে এবং ই-স্পোর্টস একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। গিগাবাইটের পক্ষ থেকে ই-স্পোর্টস কমিউনিটিকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-স্পোর্টসকে ক্রীড়া হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত তরুণরা যেমন স্বীকৃতি পাবেন, তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ ও সরকারি সহায়তার পথও খুলে যাবে।


টেস্ট অধিনায়ক হতে চান তাইজুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হতেই হুট করেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর থেকেই জল্পনা চলছে, কে হবেন টাইগারদের পরবর্তী লাল বলের নেতা। এখন পর্যন্ত বিসিবি নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেনি। এর মধ্যেই নিজের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজকে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাইজুল বলেন, ‘অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দল যখন অধিনায়কের ওপর আস্থা রাখে, তখন ফলাফল ভালো হয়। যদি (নেতৃত্বের) সুযোগ আসে, আমি কেন না বলব? আমার অভিজ্ঞতা আছে, এমন কোনো দিক নেই যেটা আমার মধ্যে অনুপস্থিত।’

তবে নেতৃত্বের বিষয়ে প্রলুব্ধ নন জানিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘আমি বলছি না যে অধিনায়কত্ব চাই, তবে যদি দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেটা পালনে আমি প্রস্তুত।’

নেতৃত্ব কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়েও মত দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বলেছেন, ‘টেস্ট অধিনায়কত্ব কোনো গ্ল্যামারাস কিছু নয়। একজন অধিনায়কের দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার, সে কেমন দল চায়, ২ বছর পর দলকে কোথায় দেখতে চায় এই লক্ষ্য ঠিক করাই আসল।’ তবে সিদ্ধান্তটি টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ড কর্মকর্তাদের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন তাইজুল।


সাকিবের জন্য দরজা খোলা সবসময়- বলছে বিসিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। একই দিনে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়ান সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলের জয়ের পাশাপাশি ম্যাচসেরা হন এই টাইগার অলরাউন্ডার।

ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। বল হাতেও ছিলেন অনন্য। মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলেছেন তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত খেললেও লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন সাকিব। দেশের জার্সিতে অনেকেই তার শেষটা দেখে ফেলেছেন।

তবে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু জানিয়েছেন, সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলা। শনিবার (১২ জুলাই) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠু বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রেটেস্ট ক্রিকেটার হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এখানে কোনো সেকেন্ড চয়েস নেই। তার জন্য দরজা সবসময় খোলা। কিন্তু এটা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নির্ভর করছে।’

সাকিবের ফেরা নিয়ে মিঠু বলেন, ‘আগে কীভাবে চলেছে জানি না কিন্তু এখন বর্তমান সভাপতি পুরো দায়িত্ব ক্রিকেট অপারেশন, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের ওপর দিয়েছেন। তাদেরও নজরে এসেছে। সেটা দেখা হবে। তারা অবশ্যই এই ব্যাপারটি দেখবে।’


যুব হকির এশিয়া কাপে প্রথমবারেই পদক জিতল বাংলাদেশের মেয়েরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

‎অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে এবারই প্রথম অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নারী হকি দল। প্রথম অংশগ্রহণেই ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে মেয়েরা। আজ চীনের দাজহুতে কাজাখস্তানকে ৬-২ গোলে হারিয়ে এই অর্জন নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ‎হ্যাটট্রিক করে ম্যাচসেরা হয়েছেন আইরিন আক্তার। মেয়েদের মতো পদক জয়ের সুযোগ ছিল ছেলেদের সামনেও। তবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে ৫-২ গোলে হেরেছে পুরুষ হকি দল। এর আগে হংকংকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা দলটি সেমিফাইনালে জাপানের কাছে ৬-৪ গোলে হারে।

মহাদেশীয় এই প্রতিযোগিতায় মেয়েদের শুরুটা ভালো ছিল না। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে ১১-০ গোলে হার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে উজবেকিস্তানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় মেয়েরা। এরপর একই ব্যবধানে হংকংকে হারিয়ে জায়গা করে নেয় শেষ চারে। ‎ফাইনালে ওঠার পথে প্রথমে চীনের কাছে ৯-০ গোলে হার, এরপর কাজাখস্তানের সঙ্গে ২-২ ড্র করে বাংলাদেশ। যে কারণে আজ তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে নামতে হয়েছে তাদের।

‎ শুক্রবার (১১ জুলাই) যে কাজাখস্তানের সঙ্গে ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল, আজ তাদের গুনে গুণে ৬ গোল দিয়েছেন মেয়েরা। ৯ মিনিটে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে ১২ মিনিটে সমতায় ফেরান আইরিন। ১৮ থেকে ২০ এই দুই মিনিটে আরও দুই গোল করে দলের স্কোরলাইন ৩-১ করে ফেলেন তিনি।

‎‎৩৫ মিনিটে বাংলাদেশকে চতুর্থ গোল উপহার দেন অধিনায়ক শারিকা রিমন। বাকি দুই গোলের একটি করেন কণা আক্তার, অপরটি রিয়াশা রিশি। ৫৯ মিনিটে কাজাখস্তান এক গোল শোধ করলেও সেটি শুধুই ব্যবধান কমিয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েরা গোল হজম করেছে ২৪টি। বিপরীতে গোল দিয়েছে ১৪টি। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ গোল করেছেন আইরিন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ গোল করেন কণা আক্তার।

অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে মেয়েদের বিভাগে ফাইনাল খেলবে জাপান ও চীন। আর ছেলেদের বিভাগের সোনার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে জাপান ও পাকিস্তান।


একদিকে বাংলাদেশের ভরাডুবি, অন্যদিকে ব্যাটে-বলে আলো ছড়ালেন সাকিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

একদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ, অন্যদিকে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়ালেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়ে নিজের অভিষেককে রাঙিয়ে তুললেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্টসের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ২২ রানের জয় পায় সাকিবের দল দুবাই ক্যাপিটালস। ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৭ বলে হার না মানা ৫৮ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে মাত্র ১৩ রানে শিকার করেন ৪টি উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।

ম্যাচ শেষে দুবাই ক্যাপিটালসে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘লাস্ট মিনিট কল ছিল। তাদের একজন প্লেয়ার চোটে ছিল। বদল হিসেবে আমাকে আসতে হয়েছে। আমি দারুণ গর্বিত দুবাই ক্যাপিটালস দলের অংশ হতে পেরে।’

ক্যারিবিয়ানের কন্ডিশন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে আমি এখানে খেলছি। এটা আমার সেকেন্ড হোমের মতো। এখানকার কন্ডিশন আমি ভালোভাবে জানি, কিভাবে বল করতে হয় তা জানি। অ্যামাজনে খেলার অভিজ্ঞতাও কাজে দিয়েছে। আমার জন্য এটা ভালো ম্যাচ ছিল। যেভাবে দলে অবদান রাখতে পেরেছি, দারুণ খুশি।’

বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘দুটোই জরুরি ছিল। বিশেষ করে উইকেটে টিকে থাকা। কারণ অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ছিল। আমরা ১৬০ এর ওপর স্কোর করতে পেরেছি। গায়ানার কন্ডিশনে এমন স্কোর থাকলে জেতার ভালো সম্ভাবনা থাকে। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আশা করি এখান থেকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারব।’

দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স সাকিবকে যেমন আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে, তেমনি দুবাই ক্যাপিটালসও পেয়েছে দুর্দান্ত এক শুরু।


প্রথম দিন শেষে ৯৯ রানে অপরাজিত রুট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৮৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫১ রান করেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ৯৯ রানে অপরাজিত আছেন রুট।

লর্ডসে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানের সূচনা পায় ইংল্যান্ড। এরপর ১ রান ও ৪ বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেন ইংলিশ দুই ওপেনার।

একই ওভারে জ্যাক ক্রলিকে ১৮ ও বেন ডাকেটকে ২৩ রানে আউট করেন ভারতীয় পেসার নিতিশ কুমার রেড্ডি।

৪৪ রানে ২ উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে ২১১ বলে ১০৯ রানের জুটি গড়েন ওলি পোপ ও রুট। ৪ চারে ৪৪ রান করা পোপকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।

আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা হ্যারি ব্রুক এবার ১১ রানে পেসার জসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হন।
দলীয় ১৭২ রানে ব্রুক ফেরার পর ১৭০ বলে ৭৯ রানের জুটিতে দিন শেষ করেছেন রুট ও অধিনায়ক বেন স্টোকস।

টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৭তম সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে ৯টি চারে ১৯১ বল খেলে ৯৯ রানে অপরাজিত আছেন রুট। ৩ বাউন্ডারিতে ১০২ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত আছেন স্টোকস।

ভারতের রেড্ডি ২টি, বুমরাহ ও জাদেজা ১টি করে উইকেট নেন।


অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশে আগামী ১১ জুলাই থেকে মাঠে গড়াবে নারীদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ, চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। ঘরের মাঠে আয়োজিত চার দলের এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বাফুফের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘোষিত দলে বেশিরভাগ খেলোয়াড়েরই জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে। তবে দলে এমন কিছু অভিজ্ঞ মুখও রয়েছেন, যারা জাতীয় দলের হয়ে ইতোমধ্যেই একাধিক ম্যাচ খেলেছেন।

এই টুর্নামেন্টের জন্য ঘোষিত দলে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন আফঈদা খন্দকার প্রান্তি। চলতি বছর থেকেই তিনি জাতীয় দলেরও অধিনায়কত্ব করছেন।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রত্যেকটি ম্যাচই গড়াবে বসুন্ধরা স্পোর্টস অ্যারেনায়। বাংলাদেশ ছাড়াও এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশ দল- স্বর্ণা রানি মণ্ডল, নবিরন খাতুন, জয়নব বিবি, আফঈদা খন্দকার, সুরমা জান্নাত, রানি বাহাদুর, স্বপ্না রানি, ঐশী খাতুন, তৃষ্ণা রানি, মোছা. সাগরিকা, উমেলা মারমা, বালা মাহাতো, রুপা আক্তার, বন্না খাতুন, মুঙ্কি আখতার, কানম আক্তার, রুমা আক্তার, পুজা দাস, সিনহা জাহান, শান্তি মারদি, নাদিয়া আক্তার, মিলি আক্তার ও ফেরদৌসি আক্তার।


গভীর রাতে ঋতুপর্ণাদের ফুলের তোড়া দিতে ২০ লাখ টাকা খরচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মিয়ানমারের মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন নারী ফুটবলাররা। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। এই ইতিহাস সারা জীবন গৌরব করার মতো। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল গত শনিবার গভীর রাতে ঢাকায় ফিরে। ওই রাতেই আড়াটায় হাতিরঝিলে এম্পিথিয়েটারে নিয়ে গিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছে বাফুফে।

সবার ধারণা ছিল, বাফুফে নারী ফুটবলারদের জন্য সারপ্রাইজ রেখেছে। টানা তিনটা কঠিন ম্যাচ খেলেছেন ফুটবলাররা, ক্লান্ত ছিলেন তারা। তার ওপর ভ্রমণ ক্লান্তি খেলোয়াড়দের চেপে ধরেছিল। কিন্তু খেলোয়াড়দের মনের মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছিল-বাফুফে বড় কোনো ঘোষণা দেবে। কিন্তু তা না করে একটা ফুলের তোড়া তুলে দিয়েছে। খেলোয়াড়রা হতাশ হয়েছেন।

প্রকাশ না করলেও তারা নানাভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে বলেই দিয়েছেন ‘একটা ফুলের তোড়া দেওয়ার জন্য রাতের ঘুমটা নষ্ট না করলে কী হতো। ফুলের তোড়া বাফুফে ভবনেও দেওয়া যেত। আমরা শুনেছিলাম আমাদের সারপ্রাইজ দেবে। আমরা সারপ্রাইজ হয়েছি ফুলের তোড়া পেয়ে। বাফুফে আমাদের কিছু দিতে চায়; সেটিও ঘোষণা করেনি। তাহলে এত রাতে আমাদের খালপাড়ে (হাতিরঝিল) নেওয়ার দরকার কী ছিল।’

ঢাকায় ফিরে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে আফসোসের কথা প্রকাশ করেছেন। হতাশ হয়েছেন। কবে দেবে তার কোনো ঠিক নেই। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও বাফুফের ঘোষিত দেড় কোটি টাকা আজও পায়নি। বাফুফে ঘোষণা দিয়েছিল তারা নিজেরা পুরস্কার দেবে। হয়নি। এশিয়ান কাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর সময় নিয়ে, পরিকল্পনা করে সংবর্ধনা দেওয়া যেত। সরকারের সঙ্গে কথা বলে বড় পরিসরে সংবর্ধনার আয়োজন করা যেত। তা না করে তড়িঘড়ি করে সংবর্ধনার আয়োজন। ফুটবলারদের ঢাকায় ১ ঘণ্টার মধ্যে সংবর্ধনা দেওয়া কতটা জরুরি ছিল। একটা ফুলের তোড়া তুলে দিতে গিয়ে বাফুফেকে এখন ২০ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে বলে বাফুফে সূত্রে জানা গেছে। বাফুফের একটি সূত্রের দাবি, হাইভোল্টেজ এবং কে-স্পোর্টস নামের প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছিল বাফুফে। ২০ লাখ টাকার বিল পেয়ে বাফুফে চুপ মেরে যায়। পরশু বেতন দেওয়া হয়েছে ফুটবলারদের।


জোড়া গোলে নতুন রেকর্ড মেসির, মাচেরানো বললেন, ইতিহাসেই সেরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

এমএলএসে দারুণ ফর্মে আছেন লিওনেল মেসি। টানা চার ম্যাচে করলেন দুটি করে গোল। তার জোড়া গোলে জিতেছে ইন্টার মায়ামি।

মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) সেরা ছন্দে আছেন লিওনেল মেসি। সর্বশেষ তিন ম্যাচে জোড়া গোলের পর নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের বিপক্ষেও জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ইন্টার মায়ামির ২-১ গোলে জয়ের এই ম্যাচে রেকর্ডও গড়েছেন মেসি।

এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোল করলেন মেসি। গত মে মাসে মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে শুরু হয় মেসির গোলের এই যাত্রা। এরপর কলম্বাস, আবার মন্ট্রিয়ল এবং সর্বশেষ নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি গোল করলেন। তাতে লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত মেসির দল। জয় চারটিতে, ড্র একটি।

মন্ট্রিয়ল ও কলম্বাসের বিপক্ষে ম্যাচের পর মেসিরা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেন। যেখানে মেসি চার ম্যাচে একটি গোল করলেও পিএসজির বিপক্ষে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় তার দল ইন্টার মায়ামি।

এমএলএসে মেসির গোল সংখ্যা ১৫ ম্যাচে ১৪টি। গোলদাতাদের তালিকায় দ্বিতীয় মেসি ন্যাশভিলের স্যাম সারিজের চেয়ে মাত্র দুই গোল পিছিয়ে। যদিও সারিজ মেসির চেয়ে ৬ ম্যাচ বেশি খেলেছেন। দুটি গোলই করেছেন ম্যাচের প্রথমার্ধে। জিলেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ নিয়ে বাঁপায়ের শটে প্রথম গোলটি করেন। এরপর ৩৮তম মিনিটে সের্হিও বুসকেটসের লম্বা পাস ধরে দারুণ এক শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি পেয়েছেন।

ইন্টার মায়ামির অভিজ্ঞ গোলরক্ষক অস্কার উস্তারিও এদিন জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেছেন এই গোলরক্ষক। তবে নিউ ইংল্যান্ডের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কার্লেস গিল ৭৯তম মিনিটে একটি গোল শোধ করেন।

এই জয়ে ইন্টার মায়ামি ইস্টার্ন কনফারেন্সে ষষ্ঠ স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে ওঠে এসেছে। তাদের পয়েন্ট ৩৫, শীর্ষে থাকা সিনসিনাটির চেয়ে ৭ পয়েন্ট কম। তবে মায়ামি তাদের চেয়ে তিন ম্যাচ কম খেলেছে।

ম্যাচ জেতানো ৩৮ বছর বয়সি মেসিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ হাভিয়ের মাচেরানো। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, লিওনেল (মেসি) বিশেষ খেলোয়াড়। আমার দৃষ্টিতে ফুটবলের ইতিহাসেই সেরা। এই বয়সেও ও যেভাবে খেলছে, সেটা অবিশ্বাস্য। অনেক বছর আগে যা কল্পনাও করা যেত না, আজ সে মাঠে সেটা করে দেখাচ্ছে। আমরা ভাগ্যবান, মেসিকে আমাদের দলে পেয়েছি।’


banner close