বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন ম্যাচে বড় প্রেরণা প্রবাসীরা

নাজমুল সাগর
প্রকাশিত
নাজমুল সাগর
প্রকাশিত : ২০ মার্চ, ২০২৪ ১২:৫২

দেশ কিংবা দেশের বাহিরে খেলাধুলা মিশে আছে বাঙালির রক্তে। বিদেশবিভুঁইয়ে পড়ে থাকলেও বাঙালি মনে রাখে খেলার কথা। তাই তো খেলোয়াড়দের একটু কাছে পেলেই তারা আপ্লুত হয়ে পড়ে কীভাবে একটু সেবা করবে তাদের। কীভাবে মাঠে বসে অনুপ্রেরণা জোগাবে দলকে। তারই যেন বাস্তব প্রতিচ্ছবি দেখা গেলে কুয়েতে বাংলাদেশ ফুটবল দল পৌঁছানোর পরে। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে জাসাল-তপুরা কুয়েত পৌঁছালে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন তাদের।

আগামী ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে দেশটির বিপক্ষে মোট ৬ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে সুখের স্মৃতি ২০০৬ সালে ঘরের মাঠে প্রথম দেখায় শুধুই একটি ড্র। বাকি পাঁচ ম্যাচেই বাংলাদেশ ডুবেছে হারের দুঃসহ স্মৃতিতে। কিন্তু সেসব দলের তুলনায় ফিলিস্তিনের এবারের দলটা আরও শক্তিশালী। গত জানুয়ারিতে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নকআউট পর্বে গিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল দলটি। বর্তমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষেও নিয়েছিল লিড। তাই নিশ্চিতভাবেই এমন শক্তিশালী দলের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তারেক-তপুদের ডিফেন্স লাইনকে।

বিশেষ করে শক্তির দিক থেকে বেশ এগিয়ে থাকবে ফিলিস্তিন। কিন্তু কীভাবে তাদের আটকানো যায় সেটি আয়ত্ত করছে হ্যাভিয়ের কাবরেরার দল। কুয়েতে পৌঁছেই অনুশীলনে মনোযোগ দিয়েছেন রক্ষণভাগ নিয়ে।

এমনটাই জানালেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, ‘ফিলিস্তিন দলটা অনেক শক্তিশালী। তারা এশিয়ান কাপের নকআউট পর্বে খেলেছে। এ ম্যাচের আগে আমরা রক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছি। রক্ষণে আমাদের ভালো করতে হবে। কোচ এসব নিয়ে কাজ করছেন। আমরাও মুখিয়ে আছি ম্যাচটির জন্য।’

কুয়েত প্রবাসীদের খাতির-যত্নে খুশি তপু মাঠেও সমর্থন চাইলেন প্রবাসীদের থেকে, ‘এখানে আসার পর থেকে কুয়েতপ্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিমানবন্দরে নেমেই আমরা যে অভ্যর্থনা পেয়েছি, সেটি অসাধারণ। আশা করি বাংলাদেশি ভাইয়েরা মাঠে এসে দলকে সমর্থন দেবেন।’

শুধু বিমানবন্দরেই নয়, বাংলাদেশ দল বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে অনুশীলন মাঠেও। তারেক-জামালরা যেখানে অনুশীলন করছেন (আল শায়ের নামের ফুটবল ক্লাবের মাঠ), সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বেশি হওয়ায় সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়েও বাড়তি খাতিরই পাচ্ছে দল। ম্যানেজার আমের খান জানালেন সেটি, ‘আল শায়ের ফুটবল ক্লাবে অনেক বাংলাদেশি কাজ করেন। ইফতারের পরপরই আমরা অনুশীলনে নামি, এই সময় বাংলাদেশিরাই মাঠের ফ্লাডলাইট থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। চাহিদামতো দল সবকিছুই পেয়েছে।’


সালাহকে ছাড়াই ইতালিতে লিভারপুলের জয়, আতালান্তার কাছে ধরাশায়ী চেলসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাঠের পারফরম্যান্স ও তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহর বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই চ্যাম্পিয়নস লিগে স্বস্তির জয় পেয়েছে লিভারপুল। দলের অন্যতম সেরা তারকা সালাহকে স্কোয়াডের বাইরে রেখেই গতকাল রাতে সান সিরোতে ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। অন্যদিকে, একই রাতে ইতালির আরেক ক্লাব আতালান্তার মাঠে শুরুতে এগিয়ে থেকেও ২-১ ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে চেলসিকে।

ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সালাহকে বাদ দিয়েই একাদশ সাজায় লিভারপুল। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচের ফয়সালা হয় একদম শেষ মুহূর্তে। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার ডমিনিক সোবোসলাইয়ের নিখুঁত শটে জয় নিশ্চিত করে ‘অল রেড’রা। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৮ নম্বরে উঠে এসেছে ইংলিশ ক্লাবটি। হারের পরও সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে ৫ নম্বরে অবস্থান করছে ইন্টার মিলান।

অন্যদিকে, আতালান্তার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে দাপট ছিল চেলসির। ২৫ মিনিটে রিস জেমসের নিচু ক্রসে দারুণ ভলি করে দলকে এগিয়ে নেন জোয়াও পেদ্রো। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি এনজো মারোস্কার শিষ্যরা। তবে বিরতির পর পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। ৫৫ মিনিটে চার্লস দে কেতেলায়ের ক্রসে হেডে গোল করে আতালান্তাকে সমতায় ফেরান জিয়ানলুকা স্কামাকা।

সমতার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় ইতালিয়ান ক্লাবটি। গোলরক্ষক রবার্ট সানচেস অসাধারণ দক্ষতায় একবার চেলসিকে রক্ষা করলেও ৮৩ মিনিটে শেষ রক্ষা হয়নি। দে কেতেলায়ে একাই বল নিয়ে ডি–বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোল করে আতালান্তার জয় নিশ্চিত করেন। শেষ মুহূর্তে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হন পেদ্রো। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে আতালান্তা, আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানে নেমে গেছে চেলসি।


বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সিইসির সাক্ষাৎ আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি অবহিত করতে আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতের পরই সিইসি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, রেকর্ডকৃত এই ভাষণের মাধ্যমেই বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, যা পরবর্তীতে সম্প্রচার করা হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন কেবল তফসিল ঘোষণার অপেক্ষা। তিনি নিশ্চিত করেন, তফসিল ঘোষণার প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আজই পুরো কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবে এবং এরপর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এবারই প্রথম আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ব্যালট পেপারে এবার আর ‘নৌকা’ প্রতীক থাকছে না। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দল জোটবদ্ধ হলেও এবার শরিক দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পাবে না; প্রত্যেক দলকে নিজস্ব প্রতীকেই লড়তে হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এবার যুক্ত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। প্রথমবারের মতো প্রবাসী ভোটার, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা এবং কারাগারে থাকা কয়েদিদের জন্য আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন।

সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সারা দেশে ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্র ও ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এবার ভোটগ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।


ন্যু ক্যাম্পে কুন্দের জোড়া গোলে বার্সার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরল চ্যাম্পিয়নস লিগের উত্তাপ, আর সেই প্রত্যাবর্তনের রাতটা স্মরণীয় হয়ে থাকল বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়ের গল্পে। নিজেদের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ফরাসি ডিফেন্ডার জুলস কুন্দের জোড়া গোলে আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরুটা বার্সেলোনার জন্য সুখকর ছিল না। খেলার ২১ মিনিটে নাথানিয়েল ব্রাউনের পাস থেকে বার্সার রক্ষণ ভেদ করে গোল করেন ফ্রাঙ্কফুর্টের আন্সগার কানাউফ। প্রথমার্ধে এই এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে হান্সি ফ্লিকের কৌশলে বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। বিরতির পর মাঠে নামেন মার্কাস রাশফোর্ড, আর নেমেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। ৫০ মিনিটে রাশফোর্ডের নিখুঁত ক্রসে হেড করে দলকে সমতায় ফেরান জুলস কুন্দে।

সমতায় ফেরার মাত্র তিন মিনিট পরেই আবারও জ্বলে ওঠেন কুন্দে। এবার তরুণ তারকা লামিন ইয়ামালের ক্রসে ছয় গজ দূর থেকে অনায়াসে বল জালে জড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। তাঁর এই জোড়া গোলেই ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা এবং শেষ পর্যন্ত এই লিড ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

এই গুরুত্বপূর্ণ জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১০-এ। বাকি দুই ম্যাচের ফলাফল নিজেদের পক্ষে থাকলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলার সুযোগ পাবে কাতালানরা। আগামী ২১ জানুয়ারি স্লাভিয়া প্রাগের বিপক্ষে এবং তার এক সপ্তাহ পর ন্যু ক্যাম্পে কোপেনহেগেনের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। অন্যদিকে, ৬ ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে বড় বিপদে পড়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট; বুন্দেসলিগার সপ্তম স্থানে থাকা দলটি এখন ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে


এমএলএস-এ ইতিহাস: টানা দ্বিতীয়বার সেরা খেলোয়াড়ের মুকুট মেসির মাথায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আবারও নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগের সেরা খেলোয়াড় বা এমভিপি (মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার) নির্বাচিত হয়ে তিনি গড়লেন এক অনন্য ইতিহাস। ৩৮ বছর বয়সী এই মহাতারকাই এমএলএস-এর ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড়, যিনি পরপর দুবার এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জয়ের রেকর্ড গড়লেন।

ইন্টার মায়ামির হয়ে দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়েছেন মেসি। লিগে সর্বোচ্চ ২৯টি গোল ও ১৯টি অ্যাসিস্ট করে তিনি ছিলেন মৌসুমের অবিসংবাদিত সেরা পারফরমার। এক মৌসুমে এটি লিগের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও। মেসির জাদুকরী পারফরম্যান্সের ওপর ভর করেই ইন্টার মায়ামি ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে সাপোর্টার্স শিল্ড জয়ের পাশাপাশি এমএলএস কাপ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

টানা দ্বিতীয়বার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত মেসি বলেন, ‘এই পুরস্কার পেয়ে আমি সত্যিই খুব খুশি। এমএলএস-এর ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুবার এটি জিততে পেরে আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। তবে এই সম্মান আমি আমার সতীর্থদের সঙ্গেই ভাগ করে নিতে চাই, কারণ তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এটি সম্ভব হতো না।’

মেসির আগে এমএলএস ইতিহাসে দুবার এমভিপি হওয়ার রেকর্ড ছিল কেবল প্রেকির। তিনি ১৯৯৭ ও ২০০৩ সালে এই খেতাব জিতেছিলেন, তবে টানা জয়ের কীর্তিটি শুধুই মেসির। এর আগে ২০২৩ সালে পিএসজি থেকে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে প্রথম বছরেই দলকে লিগস কাপ জিতিয়েছিলেন মেসি। ২০২৪ মৌসুমেও তিনি ১৯ ম্যাচে ২০ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট করে এমভিপি হয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন ফুটবলের এই জীবন্ত কিংবদন্তি।


হাঁটুর চোটে অ্যাশেজ শেষ মার্ক উডের, বদলি হিসেবে ডাক পেলেন ফিশার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘ পুনর্বাসন, ইনজেকশন আর কঠোর পরিশ্রমের পরও শেষ রক্ষা হলো না। হাঁটুর পুরোনো চোট নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় চলমান অ্যাশেজ সিরিজের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেলেন ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার মার্ক উড। তার পরিবর্তে দলে ডাক পেয়েছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার ম্যাথু ফিশার, যিনি ২০২২ সালের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের একমাত্র টেস্টটি খেলেছিলেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় বাঁ হাঁটুতে চোট পাওয়ার পর অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন উড। এরপর দীর্ঘ ১৫ মাস পর অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট দিয়ে মাঠে ফিরলেও মাত্র দুই দিনে শেষ হওয়া সেই ম্যাচে ১১ ওভার বল করে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে আবারও হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ান। ইংল্যান্ড দলের আশা ছিল সিরিজের শেষ দুই টেস্টে হয়তো তাকে পাওয়া যাবে, কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শে সেই সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের হতাশার কথা জানিয়ে উড লিখেছেন, বড় অস্ত্রোপচারের পর সাত মাস লড়াই করে দলে ফিরলেও তার হাঁটু সায় দেয়নি। এত চিকিৎসার পরও এমন পরিস্থিতি হবে, তা তিনি ভাবেননি। দলকে প্রত্যাশামতো সাহায্য করতে না পারায় দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি তিনি আবারও ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং সতীর্থদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

উড এখন দেশে ফিরে নতুন করে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবেন। আগামী মাসে ৩৬ বছরে পা দিতে যাওয়া এই পেসারের জন্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার টিকিয়ে রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, উডের বদলি হিসেবে ডাক পাওয়া ম্যাথু ফিশার বর্তমানে ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াতেই অবস্থান করছেন এবং তৃতীয় টেস্টের আগেই মূল দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা, জাতীয় স্টেডিয়ামের বরাদ্দ স্থগিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লাতিন-বাংলা সুপার কাপের ম্যাচ শেষে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জেরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের বরাদ্দ স্থগিত করেছে সংস্থাটি। এনএসসির এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ১১ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুই ক্লাবের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটি এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

সোমবার রাতে জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের রেড অ্যান্ড গ্রিন ফিউচার স্টারস এবং আর্জেন্টিনার অ্যাথলেটিকো চার্লোনের মধ্যকার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। কিন্তু ম্যাচ শেষে আয়োজকদের কয়েকজন সদস্য এবং নিরাপত্তকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় টি স্পোর্টস ও যমুনা টেলিভিশনসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ধাক্কা দেওয়া হয় এবং মারধর করে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলার পর এনএসসির সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) মো. রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে লাতিন-বাংলা সুপার কাপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের জন্য স্টেডিয়ামের বরাদ্দ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চুক্তির একাধিক শর্ত লঙ্ঘন করেছে। শর্ত অনুযায়ী, ম্যাচ শুরুর আগেই টিকিট বিক্রির পূর্ণাঙ্গ হিসাব ও এনএসসির প্রাপ্য ৫০ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ৫ ও ৮ ডিসেম্বরের ম্যাচে তা মানা হয়নি। এছাড়া খেলা শেষে নিজ দায়িত্বে স্টেডিয়াম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার শর্তও ভঙ্গ করেছেন আয়োজকরা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার অ্যাথলেটিকো চার্লোন ও ব্রাজিলের সাও বার্নার্দো ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের মাঠ বরাদ্দ স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার মধ্যে বিগত দুই ম্যাচের টিকিট বিক্রি, স্পন্সরশিপ ও সম্প্রচার স্বত্বের পূর্ণাঙ্গ হিসাবসহ সরকারি পাওনা অর্থ এনএসসিতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


সেল্টার কাছে হারে রিয়ালে সংকট, আলোনসোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জরুরি বৈঠক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লা লিগায় ঘরের মাঠে সেল্টা ভিগোর কাছে ২-০ গোলে হারের পর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জাবি আলোনসোর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রোববারের এই হারের পর পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয়ের পর এমন পারফরম্যান্সকে ক্লাব বোর্ড ‘উদ্বেগজনক পশ্চাদপসরণ’ হিসেবে দেখছে।

সেল্টার কাছে এই হারের ফলে লা লিগা টেবিলে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ পাঁচ লিগ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়ায় কোচের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। বোর্ড সদস্যদের মতে, এই ম্যাচটিই আলোনসোর জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হতে যাচ্ছে। সিটির বিপক্ষে ম্যাচের ফলাফলের ওপরই তার রিয়াল অধ্যায়ের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। এরই মধ্যে বিকল্প কোচ হিসেবে জিনেদিন জিদান ও যুব দল কাস্তিয়ার কোচ আলভারো আরবেলোয়ার নাম আলোচনায় উঠে এসেছে।

মাঠের বাইরের পরিস্থিতিও খুব একটা স্বস্তিদায়ক নয়। ড্রেসিংরুমে অস্থিরতা, ভিনিসিয়ুসের চুক্তি ঝুলে থাকা এবং বেলিংহাম ও ভালভার্দের ফর্মহীনতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। লুকা মদরিচ ও লুকাস ভাসকেসের বিদায় এবং দানি কারভাহালের ইনজুরিতে দলে নেতৃত্বের সংকট প্রকট হয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, অনেক খেলোয়াড় আলোনসোর কৌশল ও তার টেকনিক্যাল স্টাফদের পদ্ধতি পুরোপুরি বুঝতে পারছেন না। এছাড়া খেলোয়াড়দের প্রতি কোচের অতিরিক্ত নমনীয় মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এর মধ্যেই বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচে গুরুতর চোট পেয়ে অন্তত ৩ থেকে ৪ মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও। পরীক্ষায় তার বাইসেপস ফেমোরিস টেন্ডন ছিঁড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ইনজুরি, বাজে ফর্ম ও ড্রেসিংরুমের অস্থিরতায় চরম চাপের মুখে রয়েছেন জাবি আলোনসো। এখন ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষের ম্যাচই নির্ধারণ করে দিতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ ডাগআউটে তার ভবিষ্যৎ।


লিভারপুলের দলে জায়গা হারালেন সালাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টানা তিন ম্যাচ শুরুর একাদশে জায়গা না পাওয়ার পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্কোয়াড থেকেই বাদ পড়লেন লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য ঘোষিত দলে তাকে রাখা হয়নি। সোমবার ক্লাবের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে অনুশীলনে দেখা গেলেও সান সিরোর উদ্দেশ্যে তাকে ছাড়াই দেশ ছেড়েছে আর্নে স্লটের দল।

এর আগে ওয়েস্টহ্যাম, সান্ডারল্যান্ড ও লিডসের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সালাহ। তিনি দাবি করেন, দলের সামগ্রিক বাজে ফর্মের কারণে তাকে অন্যায়ভাবে বেঞ্চে রাখা হচ্ছে। ওই সাক্ষাৎকারে কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপড়েনের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ঘটনার জের এবং মাঠের পারফরম্যান্স মিলিয়েই তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যানও সালাহর পক্ষে কথা বলছে না। লিভারপুলের হয়ে গত ১৯ ম্যাচে মাত্র ৫টি গোল করতে পেরেছেন এই মিশরীয় তারকা। ব্যক্তিগত ফর্মহীনতার পাশাপাশি দল হিসেবেও ধুঁকছে বর্তমান ইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। লিগে ১৫ ম্যাচে ৬টি হারে পয়েন্ট তালিকার নবম স্থানে রয়েছে লিভারপুল, আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের অবস্থান ১৩তম।

ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচটি মিস করার পর লিভারপুলের পরবর্তী ম্যাচ প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটনের বিপক্ষে। সেই ম্যাচ শেষে আফ্রিকান নেশন্স লিগ খেলতে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে সালাহর। তবে ব্রাইটনের বিপক্ষে তাকে দলে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।


ফার্নান্দেজের জোড়া গোলে উলভসকে উড়িয়ে দিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজের অসাধারণ নৈপুণ্যে উলভসের বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচে জোড়া গোল করার পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্টও করেছেন এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। এই দাপুটে জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে উঠে এসেছে রেড ডেভিলরা।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে ইউনাইটেড। অন্যদিকে সবশেষ আট ম্যাচে হারের তিক্ততা এবং দুই মাসের বেশি সময় গোল না পাওয়ার হতাশাজনক পরিসংখ্যান নিয়ে মাঠে নামে উলভস। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে উলভসের রক্ষণের ভুল কাজে লাগান ক্যাসেমিরো ও মাথেউস কুনহা। তাদের সহায়তায় ডি-বক্সে বল পেয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলেও উঠে দাঁড়িয়ে বল জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন ফার্নান্দেজ।

প্রথমার্ধে ব্রায়ান এমবেউমো, কুনহা এবং আমাদ দিয়ালো বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে যোগ করা সময়ে নিজেদের বক্সে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে গোল হজম করে বসে ইউনাইটেড। এই গোলের মাধ্যমে অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো লিগে জালের দেখা পায় উলভস।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৫১তম মিনিটে দিয়োগো দালোতের বাড়ানো পাস থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন ব্রায়ান এমবেউমো। এরপর ৬২তম মিনিটে ফার্নান্দেজের পাস ধরে দারুণ এক ভলিতে ব্যবধান ৩-১ করেন মেসন মাউন্ট।

ম্যাচের শেষ দিকে ৮২তম মিনিটে উলভসের ইয়েরসন মোসকেরার হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। স্পট কিক থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন ম্যানইউ অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ।


আইপিএল নিলামে মুস্তাফিজ-রিশাদসহ ৭ বাংলাদেশি, বাদ পড়লেন সাকিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আগামী ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসন্ন আসরের নিলাম। প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ৩৫৫ জন ক্রিকেটার নাম নিবন্ধন করলেও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৩৫০ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পেয়েছেন ৭ জন ক্রিকেটার। তবে প্রাথমিক তালিকায় নাম থাকলেও চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশ থেকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নেওয়া ক্রিকেটাররা হলেন—মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, রাকিবুল হাসান ও শরিফুল ইসলাম। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের ক্যাটাগরিতে আছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এই সাতজনের মধ্যে কেবল মুস্তাফিজেরই এর আগে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে, যেখানে তিনি ৬০টি ম্যাচ খেলেছেন। বাকি ৬ বাংলাদেশি ক্রিকেটারের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ লাখ রুপি।

ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিসিআই ইতিমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে মেইল করে মিনি অকশনের সময়সূচি জানিয়ে দিয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় এবং বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নিলাম শুরু হবে। চূড়ান্ত তালিকায় থাকা ৩৫০ ক্রিকেটারের মধ্যে ২৪০ জন ভারতীয় এবং ১১০ জন বিদেশি। আসরে মোট ৭৭ জন খেলোয়াড় কেনার সুযোগ রয়েছে, যার মধ্যে ৩১টি স্লট বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ। এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ৬৪ কোটি ৩০ লাখ ভারতীয় রুপি নিয়ে মাঠে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা এখনো ৬ জন বিদেশিসহ মোট ১৩ জন খেলোয়াড় কিনতে পারবে।

নিলামের ঠিক আগমুহূর্তে নতুন করে ৩৫ জন খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে চমক হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা কুইন্টন ডি কক। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সুপারিশে তাকে তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং তার ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি রুপি, যা গত মেগা নিলামের তুলনায় অর্ধেক। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অবসর ভেঙে ফিরে এসে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এছাড়া নতুন তালিকায় শ্রীলঙ্কার ত্রাভিন ম্যাথু, বিনুরা ফার্নান্দো, কুশল পেরেরা ও দুনিথ ভেল্লালাগের নামও যুক্ত হয়েছে।

বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, নিলামের শুরুতে ক্যাপড (জাতীয় দলে খেলা) খেলোয়াড়দের নাম তোলা হবে। পর্যায়ক্রমে ব্যাটার, অলরাউন্ডার, উইকেটকিপার-ব্যাটার, ফাস্ট বোলার ও স্পিন বোলার ক্যাটাগরিতে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আনক্যাপড খেলোয়াড়দের জন্য বিডিং শুরু হবে।


‘ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হলেও রাজনীতির অংশ এখনো বাকি’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

জাতীয় দলের জার্সিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুপস্থিত সাকিব আল হাসান। অনেকের ধারণা ছিল, বাংলাদেশের হয়ে হয়তো তিনি তার শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন। তবে সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার জানালেন, এখনই থামছেন না তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগে দেশের মাটিতে তিন সংস্করণের একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে তবেই বুট জোড়া তুলে রাখতে চান।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ নামক একটি পডকাস্টে ইংল্যান্ডের সাবেক দুই ক্রিকেটার মঈন আলী, আদিল রশিদ ও ব্রডকাস্টার নুবাইদ হারুনের সঙ্গে আলাপকালে নিজের এই ইচ্ছার কথা জানান সাকিব। তিনি বলেন, তার পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে ফিরে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি— এই তিন ফরম্যাটের একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলা। ফরম্যাটগুলোর ক্রম যেভাবেই হোক না কেন, তিনি সব সংস্করণে খেলে ভক্তদের সামনে থেকে বিদায় নিতে চান। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় সমর্থকরা তার পাশে ছিলেন, তাই তাদের কাছ থেকে মাঠেই বিদায় নেওয়াটা তার কাম্য।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে সাকিব টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিলেও পরিস্থিতির কারণে তা হয়ে ওঠেনি। বিশেষ করে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চাইলেও নিরাপত্তার কারণে তখন দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ওয়ানডে ছাড়ার কথাও জানিয়েছিলেন। তবে সব জল্পনা কাটিয়ে তিনি এখন সম্মানের সঙ্গে দেশের মাটিতেই সব ফরম্যাট খেলে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান। উল্লেখ্য, গত বছরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে সাকিব দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি।

ক্রিকেটের পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন মাগুরা-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। তিনি মনে করেন, তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সিংহভাগ শেষ হয়ে গেলেও রাজনীতির অধ্যায় এখনো বাকি। দেশের জনগণ এবং নিজ এলাকা মাগুরাবাসীদের জন্য কাজ করার দীর্ঘদিনের যে ইচ্ছা তার ছিল, তা এখনো অটুট রয়েছে। রাজনীতির মাঠে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি সৃষ্টিকর্তার ওপরই ভরসা রাখছেন।


লজ্জার বিশ্বরেকর্ড জো রুটের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এবারের অস্ট্রেলিয়া সফর ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার জো রুটের জন্য এক অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতার জন্ম দিল। ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ১৩৮ রানের ইনিংস খেলে ‘ডাউন আন্ডারে’ সেঞ্চুরি না পাওয়ার দীর্ঘ আক্ষেপ তিনি ঘুচিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু দল হিসেবে ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হওয়ায় রুটের নামের পাশে যুক্ত হলো এক অনাকাঙ্ক্ষিত ও লজ্জার বিশ্বরেকর্ড।

পার্থের পর ব্রিসবেনেও হারের মুখ দেখেছে ইংল্যান্ড। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৬টি টেস্ট খেলে ফেললেও এখনও জয়ের দেখা পেলেন না রুট। আর এখানেই তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ভারতের কিংবদন্তি কপিল দেবকে। প্রতিপক্ষের মাটিতে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেও জয়হীন থাকার বিশ্বরেকর্ডটি এখন এককভাবে রুটের দখলে। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল কপিল দেবের, যিনি পাকিস্তানের মাটিতে ১৫টি টেস্ট খেলেও কোনো জয় পাননি।

তবে পরিসংখ্যানে কপিলের চেয়ে রুটের অবস্থা ঢের বেশি করুণ। কপিল দেব পাকিস্তানে ১৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৫টিতে হেরেছিলেন এবং বাকি ১০টি ড্র করেছিলেন। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রুট যে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন, তার মধ্যে ইংল্যান্ড ড্র করতে পেরেছে মাত্র ২টিতে, আর হেরেছে ১৪টিতেই।

এখানেই শেষ নয়, আরও একটি লজ্জার রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে রুটকে। নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষের মাঠে সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারের রেকর্ডে বর্তমানে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন জেমস অ্যান্ডারসন ও অ্যালিস্টার কুক। তারা দুজনেই অস্ট্রেলিয়ায় ১৫টি করে টেস্ট হেরেছেন। ১৪টি হার নিয়ে রুট এখন তাদের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছেন; আর একটি ম্যাচ হারলেই তিনি এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডেও সতীর্থদের সঙ্গে ভাগ বসাবেন।


বিপিএলের ধারাভাষ্যে রমিজ-ওয়াকার চমক, চূড়ান্ত সব দলের কোচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দ্বাদশ বিপিএলের দামামা বাজতে শুরু করেছে। এবারের আসরে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি গ্যালারি ও টিভি পর্দায় বাড়তি উত্তেজনা ছড়াতে কমেন্ট্রি বক্সে থাকছে বড় চমক। ধারাভাষ্য দিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার—রমিজ রাজা ও ওয়াকার ইউনুস। ছয়টি দল নিয়ে আয়োজিত এবারের আসরে মালিকানাতেও এসেছে পরিবর্তন, যেখানে চট্টগ্রাম রয়্যালসসহ একাধিক দল নতুন মালিকানায় মাঠে নামবে।

টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে দলগুলো তাদের কোচিং স্টাফও চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কোচিং প্যানেল সাজিয়েছে রংপুর। দলটির প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন মিকি আর্থার। তার সহকারী হিসেবে কাজ করবেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এছাড়া ব্যাটিং কোচ হিসেবে শাহরিয়ার নাফীস এবং স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলাবেন সাবেক তারকা মোহাম্মদ রফিক।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম রয়্যালসের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন মমিনুল হক। তার সহযোগী হিসেবে প্যানেলে থাকছেন নাজমুল হোসেন মিলন ও আশরাফুল ইসলাম জিকো। এছাড়া ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ হিসেবে টবি র‍্যাডফোর্ড, রাজশাহীতে হান্নান সরকার এবং সিলেটের দায়িত্বে থাকছেন সোহেল ইসলাম। আর নোয়াখালীর প্রধান কোচের পদে দেখা যাবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে।


banner close