বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
১৭ আশ্বিন ১৪৩২

নারী আম্পায়ার ইস্যুতে এবার প্রশ্ন তুললেন সুজন

খালেদ মাহমুদ সুজন। ফাইল ছবি
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:১৭

ডিপিএলের নারী আম্পায়ার নিয়ে বির্তক নিয়ে ইতোমধ্যেই নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব আর মোহামেডান। কিন্তু এ ইস্যু নিয়ে বিতর্কের যেন অবসান ঘটছেই না। ক্রিকেট পাড়ায় এখনো চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সেই সমালোচনার পালে এবার হাওয়া দিলেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ও আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। বড় ম্যাচে নারী আম্পায়ার জেসিকে দেওয়ায় তিনি প্রশ্নের তীর ছুড়ে দিয়েছেন।

সুজনের মতে বড় ম্যাচে অভিজ্ঞ আম্পায়ার নির্বাচন করা প্রয়োজন অবশ্যই। তিনি বলেন, ‘বড় খেলায় আমি সবসময় মনে করি আপনাকে এমন একজন আম্পায়ার দেওয়া উচিত যার অভিজ্ঞতা আছে, মাঠের প্রেশারটা কিন্তু অনেক বড়। যদিও আজকালকার ক্রিকেটে সেই বিগত আবাহনী-মোহামেডানের সেই প্রেশার নাই। তারপরও বড় দল খেলছে, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলছে। আপনাকে এমন একজন আম্পায়ার দিতে হবে যার প্রতি খেলোয়াড়দের রেসপেক্টটা থাকে।’

সে ম্যাচের নারী আম্পায়ার জেসিকে ভালো আম্পায়ার মানলেও এখনো প্রিমিয়ার লিগের বড় ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা তার হয়নি বলে দাবি সুজনের, ‘যিনি আম্পায়ারিং করেছেন, সে খুব ভালো আম্পায়ার। বাংলাদেশের হয়ে ভবিষ্যতে খুব ভালো করবে। সে জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়। সবমিলিয়ে তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে ক্রিকেটে অবশ্যই। কিন্তু আম্পায়ার হিসেবে তার অভিজ্ঞতাটা আমার মনে হয় না প্রিমিয়ার লিগের এত বড় ম্যাচে করার মতো।’

বিসিবির সাবেক এ পরিচালক প্রশ্ন তোলেন দেশে অনেক অভিজ্ঞ আম্পায়ার থাকা সত্ত্বেও কেনো এতবড় ম্যাচে জেসিকে আম্পায়ার দেওয়া হলো। তিনি বলেন, ‘যদি আমার মত দিই, আমার মতে প্রিমিয়ার লিগের এত বড় একটা প্রেশার ম্যাচে আমার মনে হয় যে আরেকটু বিচক্ষণ হতে হবে, আম্পায়ার কারা করছে, দেখতে হবে। আমাদের দেশে এত অভিজ্ঞ আম্পায়ার থাকতে কেন জেসিকে প্রয়োজন হলো আম্পায়ারিং দেওয়ার ওই ম্যাচটাতে আমি জানি না।’

অবশ্য এমন বড় ম্যাচে সাথীরা জাকির জেসিকে আম্পায়ার দেওয়ার ব্যাখ্যা আগেই দিয়েছেন, বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। তিনি বলেন, ‘সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, তাই আমরা এসব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিচ্ছি। আমরা আমাদের নারী আম্পায়ারদের তৈরি করতে চাই। যাতে বিশ্বকাপে আইসিসি এদেরও কিছু ম্যাচ দেয়। তারাও (আইসিসি) দেখছে, ওরা কোথায়, কী করছে। এখন আমি যদি এদের লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং না করাই বাংলাদেশে, তাহলে হবে না। মেয়ে বলেন, ছেলে বলেন নতুন প্রজন্মে পাইপলাইন তৈরি করার চেষ্টা করছি।’


কাপাসিয়ায় চ্যাম্পিয়ন ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়

আপডেটেড ২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৩৪
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর ফুটবল ইভেন্টে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করে ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়।

বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যৌথ আয়োজিত এই ফুটবল টুর্নামেন্টে পুরো কাপাসিয়া উপজেলাকে ৪টি জোনে ভাগ করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঘাগটিয়া জোনে ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান মডেল স্কুলকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে পরাজিত করে জোন চ্যাম্পিয়ন হয় ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়।

গত মঙ্গলবার বিকেলে কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় উপজেলা পর্যায়ের ফাইনালে কাপাসিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজকে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে দলটি।

এ বিষয়ে ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম ফজলুল হক বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রমেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিদ্যালয়ের এই ধারাবাহিক সাফল্যে আমি গর্বিত।

কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হুমায়ূন কবির এর সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আরিফ সরকার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মোক্তার হোসেন, ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ফজলুল হক, সিনিয়র শিক্ষক আবুল হোসেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ইব্রাহীম খলিল।

এদিকে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় প্রতিযোগিতায় আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক ওসমান গণি শেখ ও সনমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক শাহজাহান আকন্দ।

এ বিজয়ে ঘাগটিয়া চালা ফ্রেন্ডশিপ ওয়েলফেয়ার গ্রুপের সভাপতি জিয়াউর হক জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক ও সাবেক ছাত্র মো.আশরাফুল আরিফ, সাবেক ছাত্র সফিকুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, শরিফ হোসেন, মো. মৃদুল আহমেদ, আদ্দিনুর রহমান, জাহিদ সরকার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।


আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে কি বড় পরিবর্তন আসছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লিটন দাস খেলবেন কি খেলবেন না—এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শেষ দুই ম্যাচের আগে এই প্রশ্নটি ঘুরেফিরে এসেছে। আজ শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অবশ্য এই প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।

লিটন চোটের কারণে আগেই দেশে ফিরেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন জাকের আলী। জাকেরের নেতৃত্বে আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ কেমন হতে পারে?

এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে তানজিদ হাসানকে একাদশের বাইরে রেখেছিল বাংলাদেশ। ওপেন করেছিলেন পারভেজ হোসেন ও সাইফ হাসান। এশিয়া কাপে দারুণ ব্যাট করায় সাইফের একাদশে থাকা মোটামুটি নিশ্চিতই। তবে তাঁর সঙ্গে তানজিদ নাকি পারভেজ ওপেন করবেন, সেটি একটি প্রশ্ন।

তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ একাদশে ফিরতে পারেন তানজিদ। এশিয়া কাপে আফগানদের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তেমন কিছু দেখা গেলে পারভেজ ব্যাটিং করবেন তিনে। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে তিনে খেলেন তাওহিদ হৃদয়, চারে মেহেদী হাসান, পাঁচে নুরুল হাসান।

এই ব্যাটিং অর্ডার বেশ সমালোচিতও হয়েছিল। হৃদয়কে তাই দেখা যেতে পারে চারে। পাঁচে নামতে পারেন জাকের, ছয়ে শামীম হোসেন। উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান নুরুল বাদ পড়তে পারেন দল থেকে।

অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের জায়গায় আজ একাদশে দেখা যেতে পারেন নাসুম আহমেদকে। বাঁহাতি এই স্পিনার লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন তো আছেনই।

পেস বোলিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে থাকবেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান। তবে এশিয়া কাপ কয়েকদিন আগেই শেষ হওয়ায় পেসারদের একটু বিশ্রাম দিতে পারে দল। সে ক্ষেত্রে সবার আগে নামটা আসবে মোস্তাফিজের। কারণ, এশিয়া কাপে সব ম্যাচ খেলেছেন। জয়ের ধারায় ফিরতে অবশ্য সেরা পেস বোলিং আক্রমণ নিয়েও মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০২২ এশিয়া কাপে শারজাতে একটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেটে। সব মিলিয়ে এই মাঠে বাংলাদেশ ৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। হেরেছে ৫টিতেই, একমাত্র জয় আরব আমিরাতের বিপক্ষে। আজ রেকর্ডটা নিশ্চয়ই ভালো করতে চাইবে বাংলাদেশ। শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী (অধিনায়ক), নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান।


হংকং ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী মিতুলরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে হংকং চায়নার অবস্থান ১৪৬তম। তাদের চেয়ে ৩৮ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ের এই তফাতই বলে দিচ্ছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলের চেয়ে কতটা এগিয়ে হংকং। তবে র্যাঙ্কিংটা শুধুই একটি সংখ্যা হিসেবে মনে করছেন মিতুল মারমা-সোহেল রানারা। ৯ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে হংকং চায়নার বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে মাঠের অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দল।

গত সোমবার ক্যাম্পে ওঠেন ফুটবলাররা। বৃষ্টির কারণে গত মঙ্গলবার প্রথম দিনের প্রস্তুতিটা পুরোপুরি সারতে পারেনি বাংলাদেশ। অনুশীলন শেষ করার আগেই তুমুল বৃষ্টি। যে কারণে অসমাপ্ত রেখেই জাতীয় স্টেডিয়াম ছাড়েন তপু বর্মণ-সোহেল রানারা। এরই ফাঁকে নিজেদের প্রস্তুতি এবং লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেন মিতুল মারমা, ‘আমাদের এটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। হাতে যেটুকু সময় আছে, নিজেদের ঝালিয়ে নিয়ে সেরাটা দিতে চাই। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কোয়ালিফাই করতে হলে আমাদের এ দুটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন দল র্যাঙ্কিংয়ে কত নম্বরে আছে, সেটা দেখতে চাচ্ছি না। আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে, যেভাবেই হোক জিততে হবে।’

চোটের কারণে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলতে পারেননি মিতুল মারমা। বর্তমান দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বেড়ে গেছে। সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে হংকং ম্যাচে তাকিয়ে ঢাকা আবাহনীর এ গোলরক্ষক, ‘নেপালের বিপক্ষে যেহেতু খেলতে পারিনি, আমি চাইব হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে। প্রথমত, আমাদের সব পজিশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি। এখানে খামখেয়ালিভাবে থাকার সুযোগ নেই। সবাইকে প্রমাণ করে থাকতে হবে। আমি নিজের সর্বোচ্চটুকু দেব। হোম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করব দুই ম্যাচেরই ফল যাতে পক্ষে থাকে।’

বাছাই পর্বে গ্রুপ ‘সি’তে দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের অবস্থান টেবিলের তিন নম্বরে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে হংকং চায়না। পরের রাউন্ডে উঠতে হলে দুই লেগেই হংকংকে হারাতে হবে।

তবে সোহেল রানার চোখ ঘরের মাঠের ম্যাচ নিয়ে, ‘আমরা ফল উপহার দিতে পারি দেশকে। কোচ এটা নিয়ে কাজ করছে। হংকংয়ের ম্যাচটা চাইব ঘরের মাঠে যেন জিততে পারি। এটা অবশ্যই খেলোয়াড়দের বাড়তি প্রেরণা দেবে। সমর্থকরা যেভাবে আমাদের সমর্থন করে মাঠে আসে, তাই আমরা চাইব ম্যাচটি জিততে। কোয়ালিফাই করতে হলে এই ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

শক্তির বিচারে হংকং এগিয়ে থাকলেও সোহেল রানার বিশ্বাস, এবার তারা জিততে পারবেন, ‘হংকংয়ের বিপক্ষে যে কাজগুলো করতে হবে, সেগুলো যদি সঠিকভাবে না করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা বিশ্বাস করি, হংকংয়ের বিপক্ষে আমরা জেতার মতো দল।’

ঘরের মাঠের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। ছাড়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি হয় সাধারণ গ্যালারির ১৮ হাজার টিকিট। নিজেদের দর্শকের সামনে খেলবেন বলে আত্মবিশ্বাস বেশি সোহেল রানার, ‘তাড়াতাড়ি টিকিট বিক্রি হওয়াটা ফুটবলের জন্য ইতিবাচক এক বার্তা। একই সঙ্গে আমাদের খেলোয়াড়দের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ সিঙ্গাপুর ম্যাচেও একই জিনিস ঘটেছে। দর্শকরা চাচ্ছিলেন ম্যাচটি যেন আমরা জিততে পারি। কিন্তু পারিনি।’


আসিফ আকবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হলেন।

আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন। তার আগে বুধবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়, এর মধ্যে তামিম ইকবালসহ ১৬ জন পরিচালক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মীর হেলাল উদ্দিন। এতে চট্টগ্রাম বিভাগে বৈধ প্রার্থী থাকেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর আসিফ আকবর ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহসান ইকবাল চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিভাগে দুই পরিচালক পদের বিপরীতে অতিরিক্ত প্রার্থী না থাকায় তারা দুজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে চারটি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। যাচাই-বাছাইয়ে চাঁদপুরের শওকতের মনোনয়ন বাতিল হয়। তিনটি মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর আজ একজন প্রত্যাহার করায় এই বিভাগে ভোটাভুটির প্রয়োজন নেই। গত তিন মেয়াদে বিসিবির এই বিভাগে পরিচালক ছিলেন আকরাম খান ও আজম নাসির।

যে ১৫ জন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন

ক্যাটাগরি ১

মীর হেলাল (চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা)

তৌহিদ তারেক (পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা)

ক্যাটাগরি ২

তামিম ইকবাল (ওল্ড ডিওএইচএস)

রফিকুল ইসলাম বাবু (ইন্দিরা রোড ক্রীড়াচক্র)

মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান)

সাঈদ ইব্রাহীম আহমেদ (ফেয়ার ফাইটার্স)

সৈয়দ বুরহান হোসেন পাপ্পু (তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি)

ইসরাফিল খশরু (এক্সিউম ক্রিকেটার্স)

সাব্বির আহমেদ রুবেল (প্রগতি সেবা সংঘ)

অসিফ রাব্বানী (শাইনপুকুর)

ইয়াসির আব্বাস (আজাদ স্পোর্টিং)

ফাহিম সিনহা (সুর্যতরুণ)

সাইফুল ইসলাম সপু (গোপীবাগ ফ্রেন্ডস)

ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান (বাংলাদেশ বয়েজ)

ক্যাটাগরি ৩

সিরাজউদ্দিন আলমগীর (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।


আলমাতির মাঠে রিয়ালের দাপট, এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক

আপডেটেড ১ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:১৯
ক্রীড়া ডেস্ক

সাড়ে ৬ কিলোমিটার ভ্রমণ শেষে কাজাখস্তানের আলমাতিতে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দীর্ঘ এই ভ্রমণের ছাপ পড়েনি ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাবটির খেলায়। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে গত মঙ্গলবার কাজাখস্তানের নবীন দল কাইরাত আলমাতিকে ৫-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে এমবাপ্পে-ভিনিসিয়ুসরা।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য চমকে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। খেলা শুরুর মাত্র ১৩ সেকেন্ডেই রিয়ালের রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় নবাগত আলমাতির দাস্তান সাতপায়েভ। গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার দৃঢ়টায় অবশ্য সে যাত্রায় রক্ষা পায় লস ব্লাঙ্কোরা। এর এক মিনিট পরই জর্জিনিওর শটও সামলাতে হয় তাকে।

তবে শুরুর ধাক্কা সামলে ২৫ মিনিটে মোড় ঘোরে ম্যাচের।

ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোকে বক্সে আলমাতির শেরখান কালমুরজা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় অতিথিরা। স্পটকিক থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পে সহজেই দলকে এগিয়ে দেন।

প্রথমার্ধে আরো সুযোগ পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি ফরাসি তারকা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ছন্দে ফেরেন তিনি।

৫২ মিনিটে কোর্তোয়ার দীর্ঘ ক্লিয়ারেন্সে আলমাতির ডিফেন্স ভেঙে দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপ্পে। ৫৮ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করলেও ৭৩ মিনিটে আর্দা গুলেরের সহায়তায় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি।

শেষ দিকে বদলি নেমে গোলের উৎসবে নাম লেখান তরুণ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ব্রাহিম দিয়াজ। যোগকরা সময়ে ব্রাহিমের গোলে নিশ্চিত হয় রিয়ালের ৫-০ গোলের বড় জয়। গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইতালির আতালান্তা ২-১ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজকে।


হার্দিককে পেছনে ফেলে শীর্ষে সাইম আইয়ুব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আইসিসির সাপ্তাহিক টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে বড় চমক দেখা গেছে। ভারতের হার্দিক পান্ডিয়াকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে গেছেন পাকিস্তানের সাইম আইয়ুব।

সাইম চার ধাপ এগিয়ে ২৪১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে আসেন। অন্যদিকে, ২৩৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নেমে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেন হার্দিক।

এশিয়া কাপ ২০২৫-এ ব্যাটিংয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করলেও (৭ ইনিংসে মাত্র ৩৭ রান, চারটি শূন্য) বোলিংয়ে সাইম ছিলেন অসাধারণ। সাত ম্যাচে তিনি ৮ উইকেট নিয়েছেন, গড় ১৬ এবং ইকোনমি মাত্র ৬.৪০।

অন্যদিকে, ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে হার্দিকের খুব বেশি প্রয়োজন হয়নি। বল হাতে ছয় ম্যাচে তিনি মাত্র চার উইকেট নিয়েছেন এবং চোটের কারণে ফাইনালেও খেলতে পারেননি।


বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। পরিচালক পদের প্রার্থিতা বাতিলের শেষ দিনে হঠাৎ বিসিবিতে উপস্থিত হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তিনি।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খোলা হয় বিসিবির নির্বাচনী কার্যালয়। আর তামিম সেখানে উপস্থিত হন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে।

নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে তামিম কিছু জানাননি তিনি। তবে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন তিনি।

আজ দুপুর ১২টায় পরিচালক পদের প্রার্থীতা বাতিলের শেষ সময়। আর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে দুপুর ২টায়।

এই সময়ের মধ্যে তামিম ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে, জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।

ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।


মাঠে আঘাত পেয়ে গোলরক্ষকের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

স্পেনে একটি ম্যাচ চলাকালীন মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছেন গোলরক্ষক রাউল রামিরেস। তার বয়স হয়েছিল ১৯ বছর।

কান্তাব্রিয়া ফুটবল ফেডারেশন (আরএফসিএফ) তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। পঞ্চম বিভাগের ক্লাব কলিন্দ্রেসের হয়ে রেভিলার বিপক্ষে খেলার সময় রামিরেস মাথায় আঘাত পান। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর, ওই আঘাতের ফলে তার একাধিক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং ‘ব্রেইন ডেড’ হয়ে যায়। আরএফসিএফ তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে এবং জানিয়েছে, রামিরেসের স্মরণে আগামী সপ্তাহে সকল ম্যাচে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।


বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সব নারী আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল, রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি এবারের নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনেক দিক থেকেই অন্য রকম।

আইসিসি বলছে, এই বিশ্বকাপ দিয়ে নারী ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের শুরু হবে, যা খেলাটিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে। কেউ কেউ অনুমান করছেন, এই বিশ্বকাপ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার একচেটিয়া আধিপত্যেরও অবসান ঘটতে পারে।

যদি তা না হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল মেয়েদের ফুটবলের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনের চেয়েও বেশি টাকা পাবে!

ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। স্বাগতিক দুই দেশ, বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড।

কলম্বোয় আগামীকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। প্রথম পর্বে নিগার সুলতানার দল খেলবে আরও ছয় ম্যাচ। ২০২২ সালে সর্বশেষ আসর নিয়ে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। সেবার তারা একমাত্র জয়টা পেয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। দেশ ছাড়ার আগে এবার আরও বেশি ম্যাচ জয়ের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে গেছেন অধিনায়ক নিগার। বাংলাদেশ দল এবার প্রথম পর্বে একটি ম্যাচ জিতলেই পাবে ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এমনকি তারা যদি কোনো ম্যাচ নাও জিতে; তবুও অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে পাবে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। এবারের বিশ্বকাপে মোট প্রাইজমানি ১৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা মেয়েদের যেকোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ।

আগামী ২ নভেম্বর ফাইনালে জয়ী দল পাবে ৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা মেয়েদের ফুটবলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের চেয়ে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বেশি। সর্বশেষ ২০২৩ সালে ফিফা নারী বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেন। প্রাইজমানি হিসেবে আলেক্সিয়া পুতেয়াস, আইতানা বোনমাতি, হেনি হেরমোসোরা পেয়েছিলেন ৫১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

২০২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়ে এবারের বিশ্বকাপে মোট প্রাইজমানি বেড়েছে ২৯৭ শতাংশ! এই অর্থ ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ছেলেদের সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি। সেই আসরের প্রাইজমানি ছিল ১২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।


পিসিবির হঠাৎ সিদ্ধান্ত, বিদেশি লিগে খেলতে পারবেন না বাবর, রিজওয়ান, আফ্রিদিরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দেওয়া সব ধরনের অনাপত্তিকরপত্র (এনওসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে এই সিদ্ধান্তের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।

পিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুমাইর আহমেদ সৈয়দ সোমবার একটি নোটিশের মাধ্যমে খেলোয়াড় এবং তাদের এজেন্টদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘পিসিবি চেয়ারম্যানের অনুমোদনসাপেক্ষে, বিদেশি লিগ ও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের সব অনাপত্তিকরপত্র পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।’

হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, তার কোনো কারণ পিসিবি জানায়নি। তবে ইএসপিএন-ক্রিকইনফোকে পিসিবির কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, পিসিবি নাকি পারফরম্যান্সভিত্তিক একটি নতুন নীতিমালা তৈরি করছে, যার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে এনওসি দেওয়া হবে। বোর্ডের উদ্দেশ্য, খেলোয়াড়রা যেন বিদেশি লিগের চেয়ে জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার প্রতি বেশি মনোযোগ দেন। কিন্তু এই মূল্যায়নপ্রক্রিয়া কত দিন চলবে বা কবে নাগাদ এনওসি দেওয়া শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।

সিবির এই সিদ্ধান্ত অনেক খেলোয়াড়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। আগামী ডিসেম্বরে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ লিগে (বিবিএল) বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদিসহ মোট সাতজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের খেলার কথা ছিল। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএলটি-টোয়েন্টির নিলামের জন্যও সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ১৮ জন পাকিস্তানি খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে আছেন নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানের মতো তারকারা।


সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না: ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে পাকিস্তান হারের পর এমন একটি সিদ্ধান্ত আসায় তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। যদিও সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের আগেই পাকিস্তান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে।

অক্টোবরে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট কায়েদে আজম ট্রফি শুরু হওয়ার কথা। যদিও টুর্নামেন্টটি গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে সেটা পিছিয়ে আগামী অক্টোবরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


ক্যারিয়ারের শায়ান্নে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর ৩৯ বছর বয়সে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছেন। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় বলে চার মেরে শুরু। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রেকর্ড গড়েন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

২০২৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে গত রোববার বতসোয়ানার বিপক্ষে ৪৬ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ৫৪ বলে ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন টেইলর। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তার ইনিংসটি ১৬ চার ও ৫ ছক্কায় সাজানো।

৩৯ বছর ২৩৪ দিন বয়সে ইনিংসটি খেললেন টেইলর। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরির কীর্তি এখন তার।

আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে, অবসর ভেঙে প্রায় চার বছর পর গত আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা টেইলর ভেঙে দিলেন স্বদেশি সিকান্দার রাজার রেকর্ড।

গত বছর গাম্বিয়ার বিপক্ষে সিকান্দার রাজা অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ৩৮ বছর ১৮২ দিন বয়সে। জিম্বাবুয়ের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে এই দুজন ছাড়া সেঞ্চুরি নেই আর কারও।

সব দেশ মিলিয়ে এই সংস্করণে টেইলরের চেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরি আছে কেবল একজনের। ২০২১ সালে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ৩৯ বছর ২৭২ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন জিব্রাল্টারের আভিনাশ পাই।

টেইলরের সেঞ্চুরির দিন ৩৩ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ব্রায়ান বেনেট। ২০ ওভারে ২৫৯ রানের পাহাড় গড়ে জিম্বাবুয়ে।

টার্গেট তাড়ায় বতসোয়ানা ৮ উইকেটে ৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি। ১৭০ রানের বড় জয় পায় জিম্বাবুয়ে, এই সংস্করণে রানের হিসাবে তাদের দ্বিতীয় বড় জয় এটি।


রিয়ালকে টপকে শীর্ষে বার্সেলোনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এদিনের জয়ে ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ওঠে এসেছে বার্সা। সমপরিমাণ ম্যাচে ১ পয়েন্ট কমে দুয়ে রিয়াল। নতুন মৌসুমে কাতালানরা ড্র করেছে এক ম্যাচে, আর অল হোয়াইটদের হার ওই শেষ ম্যাচেই। ঘরের মাঠ এস্তাদি অলিম্পিক লুইস স্টেডিয়ামে আধিপত্য বিস্তার করে ফ্লিকের ছেলেরাই। পুরো ম্যাচে ৭৫ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রাখা বার্সা গোলের দিকে ২২টি শটের মধ্যে লক্ষ্যেই রাখে ১২টি। আর সোসিয়েদাদের ৭টির মধ্যে লক্ষ্যে থাকে স্রেফ ২টি শটই। প্রথম থেকেই দাপুটে পারফরম্যান্সে সফরকারীদের চেপে ধরে বার্সা। তবে ৩১তম মিনিটে এক আচমকা গোলে লিড নেয় সোসিয়েদাদ।

ডি বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থের ক্রস পেয়ে দারুণ এক ট্যাপইনে বল জালে জড়ান রিয়ালেরই সাবেক আলভারো ওদ্রিওজোলা। কিছুক্ষণ পর আত্মঘাতী গোল করতে যাচ্ছিল সোসিয়েদাদ। সে যাত্রায় দলকে বাঁচান গোলকিপার অ্যালেক্স রোমিরো। ফিরতি বলে সুযোগ পায় বার্সা, তবে পেদ্রির নেওয়া শটটি রক্ষণে প্রতিহত হয়ে ফিরে যায়। বিরতির বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগে সমতা টানে স্বাগতিকরা। মার্কাস রাশফোর্ডের কর্নার থেকে হেডে জাল খুঁজে নেন জুল কুন্দে।

বিরতির পর মাঠে ফিরে ৫৮তম মিনিটে রুনি বার্দগিকে তুলে ইয়ামালকে নামান ফ্লিক। মাঠে আসার স্রেফ এক মিনিটের মধ্যে প্রতিদানও দেন ১৮ বছর বয়সি এ স্প্যানিশ তারকা। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ইয়ামালের বাড়ানো ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। ৭৪তম মিনিটে নিজেও একবার গোল করেন ইয়ামাল। তবে সামান্য ব্যবধানের অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সে গোল। ম্যাচের শেষ দিকে দুটি ভালো সুযোগ খোয়ায় দুদলই। প্রথম আক্রমণে সোসিয়েদাদের হয়ে তাকেফুসো কুবোর শট ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। আবার প্রতি-আক্রমণে লেভার শটও বাধা পায় পোস্টে। শেষপর্যন্ত জয় নিয়েই ম্যাচ শেষ করে বার্সা।

চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি ইয়ামাল। মাঠে ফিরে এসে রাখলেন জয়সূচক গোলে অবদান। প্রিয় শিষ্যকে ফিরে পেয়ে বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেন, ‘তার ফিরে আসা সত্যিই আনন্দের। লামিন কতটা প্রতিভাবান, তা সকলেই দেখতে পেরেছেন।’ পুরো দলের প্রশংসা করে বার্সা বস আরও বলেন, ‘দলের সবাই অসাধারণ কাজ করেছে। শেষ ম্যাচ থেকে মাত্র ৬৮ ঘণ্টা বিশ্রাম পেয়েছি, তবুও সবাই সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলেছে। এটি সত্যিই অভাবনীয়।’


banner close