শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
৪-১ ব্যবধানে সিরিজ বাংলাদেশের

এখনো উন্নতির সুযোগ দেখছেন শান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২৪ ১৬:১০

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের নড়বড়ে অবস্থা যেন শেষই হচ্ছে না। দিন পাল্টায়, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ধরনও পাল্টায়; কিন্তু উন্নতির কিছু দেখা মেলে না। কোনো দিন টপঅর্ডার ব্যর্থ হয়, আবার কোনো দিন শেষ মিডলঅর্ডার থেকে লোয়ারঅর্ডার। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রানের ওপেনিং জুটির পর মাত্র ৪৩ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারিয়েছে ১০ উইকেট। গতকাল আবার দেখা গেল উল্টো চিত্র; ব্যর্থ হলো টপঅর্ডার। মিডলঅর্ডার চেষ্টা করলেও সেটা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না।

গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে সিকান্দার রাজা-বেনেটের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হার দেখতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আর এতে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চতুর্থ হোয়াইট ওয়াশের কীর্তি আর গড়া হলো না। এ দিন বাংলাদেশকে আফসোস করিয়েছে তাসকিন আহমেদের ইনজুরিও। বোলিংয়ে কিছুটা খাপছাড়াই লেগেছে টাইগারদের।

শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা আর মিডলঅর্ডারেরর লড়াইয়ে ১৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪৪ বলে ৫৪)। জবাবে সিকান্দার রাজা আর ব্রায়ান বেনেটর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে। হাফ সেঞ্চুরি করেন ব্রায়ান বেনেট (৭০) আর সিকান্দার রাজা (৭২)*।

৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতলেও দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশ ভুগতে দেখা গেছে বাংলাদেশকে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত তাই এখনো উন্নতির সুযোগ দেখছেন, ‘যেভাবে সিরিজ খেলেছি, তাতে (মনে হয়েছে) অনেক উন্নতির সুযোগ আছে। আমরা ভালো শুরু করিনি। তবে মাঝে ভালো করেছি। বিশ্বকাপে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেব। প্রস্তুতির জন্য এখনো তিন ম্যাচ বাকি আছে।’

বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজ ছিল প্রস্তুতির মঞ্চ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক জানালেন, সেটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন, ‘খুব ভালো একটা সিরিজ কেটেছে। সিরিজ জিতলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আমরা এই সিরিজে যা যা দেখতে চেয়েছি, সেটার প্রায় সবই দেখতে পেরেছি। কিছু ক্লোজ ম্যাচ জিতেছি। আজ (গতকাল) মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছে। রিশাদ পুরো সিরিজে ভালো বোলিং করেছে। যা যা চেয়েছি, প্রায় সব হয়েছে।’

তবে পুরো সিরিজেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ ছিল ব্যাটিং। দু-একজন ছাড়া সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি তারা। সে জন্য অবশ্য অধিনায়ক শান্ত দুষলেন উইকেটকে, ‘এই সিরিজে উইকেট ভালো ছিল না। সাধারণত চট্টগ্রামে খুব ভালো উইকেট থাকে। এবার নতুন বল অনেক কঠিন ছিল সেই কন্ডিশনে। পাশাপাশি বৃষ্টির কারণে আমাদের দুটি ম্যাচে অন অ্যান্ড অফ ব্যাটিং করতে হয়েছে।’


ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১০ হাজার কোটি টাকার জুয়া কেলেঙ্কারি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

কদিন আগেই জুয়া কেলেঙ্কারিতে ঝড় উঠে তুরস্কের ফুটবলে। ওই ঘটনায় বহু ফুটবলার ও রেফারিকে আজীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রাইটনের মালিকের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ক্লাবটির প্রধান মালিক ও চেয়ারম্যান টনি ব্লুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি গোপনে ৬০ কোটি পাউন্ড বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার জুয়া সিন্ডিকেট সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, বাজির কিছু হিসেব ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দল ‘রিফোর্ম ইউকে’-এর এমপি নাইজেল ফারাজের সাবেক চিফ অব স্টাফের নামে। উচ্চ আদালতের নথি অনুযায়ী, রিফোর্ম ইউকে’-এর নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জর্জ কট্রেলকে বলা হয়েছে যে তিনি একটি বড় জুয়া সিন্ডিকেট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, কট্রেল এই সিন্ডিকেটের জন্য একটি ঢাল হিসেবে কাজ করেছিলেন, যা টনি ব্লুমের সঙ্গে সম্পর্কিত।

উচ্চ আদালতে দাখিল করা ১৯ পাতার নথি অনুযায়ী, এটি ব্লুম এবং তার সাবেক সহযোগী রায়ান ডাডফিল্ডের মধ্যে চলমান বিরোধের অংশ। তাদের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে বাজি থেকে প্রাপ্ত লাভ হিসেবে প্রায় ১৯ কোটি পাউন্ড পাওনার জন্যই এই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে তারা। জুয়ার এই সংস্থাটি ‘স্টারলিজার্ড বেটিং সিন্ডিকেট’ নামে পরিবিত। তাদের বার্ষিক আয় ৬০ কোটি পাউন্ড। নথি অনুযায়ী, বাজি খেলানো হয় ফুটবলার, খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে।

বাজিতে নাকি খুব একটা সফল ছিলেন না কট্রেল। নথিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কট্রেল বিশেষভাবে সফল জুয়ো খেলোয়াড় ছিলেন না এবং প্রায়ই বড় অঙ্কের টাকা হারাতেন।’ পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কট্রেল তার বাজি হিসাবগুলো ব্লুম এবং সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে বাজি খেলার জন্য সরাসরি তাকে পাঠানোর প্রয়োজন না হয়।’

কে এই ব্রাইটনের মালিক টনি ব্লুম?

ব্রাইটনের চেয়ারম্যান টনি ব্লুম বিশ্বের সবচেয়ে সফল জুয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তার আয়ের বড় অংশ আসে এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে। ব্লুম ২০০৯ সালে ব্রাইটনের চেয়ারম্যান হন এবং দ্রুত ৭৫ শতাংশ শেয়ারহ অধিগ্রহণ করে ক্লাবে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেন, যা ব্রাইটনের এমেক্স স্টেডিয়ামের উন্নয়নে কাজে খরচ করা হয়।


বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে নতুন বিড়ম্বনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরু থেকেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দেখা গেছে- শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের সাইম আয়ুব ও আবরার আহমেদও খেলেছেন এই আসরে। আসন্ন মৌসুমের নিলাম থেকেও বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি তারকাকে দলে নিয়েছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি।

তবে পুরো মৌসুমজুড়ে তাদের পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, পাকিস্তান দলের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির কারণে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন না। ফলে দলগুলো আগে থেকেই বিকল্প খোঁজার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ডিসেম্বরের আগামী ২৬ তারিখ থেকে আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিএল হওয়ার কথা। এই সময় পাকিস্তানের দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেন, ‘জানুয়ারির মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ আছে, আর জানুয়ারির শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলবে তারা। তাই পুরো মৌসুমে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না- এটা আমরা আগেই জানি।’

পাকিস্তান ৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কায় ক্যাম্পও করবে দলটি। এরপর জানুয়ারির শেষ দিকে তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেকটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।

এর পরপরই পাকিস্তান দল আবার শ্রীলঙ্কায় যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই বিশ্বকাপ, যা হাইব্রিড মডেলে যৌথভাবে আয়োজন করছে শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

এবারের বিপিএলে সাইম আয়ুব, মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, উসমান খান, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহসহ অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে জাতীয় দলের দায়িত্ব থাকায় তাদের বেশিরভাগই পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এনওসি দিচ্ছি না- এটা সত্য নয়। যারা আবেদন করেছে, আমরা তা যাচাই-বাছাই করছি। জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকলে সেটাই আগে গুরুত্ব পাবে। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম অনুসরণ করা হয়।’

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ধারণা, শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে বা শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মধ্যবর্তী বিরতিতে কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিপিএলে খেলতে পারেন। আর যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পরিকল্পনায় নেই, তারা হয়তো আরও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন।


ওমানের জালে বাংলাদেশের ১৩ গোল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

‎‎জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের আমিরুল ইসলাম। গ্রুপ পর্বে দুই হ্যাটট্রিকের পর বৃহস্পতিবার ১৭ থেকে ২৫তম স্থান নির্ধারণীর কোয়ার্টার ফাইনালে ওমানের বিপক্ষে পাঁচ গোল করেছেন তিনি। ম্যাচটাও বাংলাদেশ জিতেছে ১৩-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। প্রথমবার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের এটাই প্রথম জয়।

‎‎ভারতের মাদুরাই ইন্টারন্যাশনাল হকি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার একের পর এক গোল উদযাপন করে বাংলাদেশ দল। আমিরুলের পাঁচ গোল ছাড়াও হ্যাটট্রিক করেছেন রাকিবুল হাসান, জোড়া গোল করেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মোহাম্মদ সাজু।

‎ওমানের বিপক্ষে প্রথম কোয়ার্টারেই স্কোর ৩-০ করে বাংলাদেশ। পেনাল্টি কর্নার থেকে তিনটি গোল করেন আমিরুল। তিন গোল হজমের পর সুবিধা করতে পারেনি ওমান। ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশকে জোড়া গোল উপহার দেন রাকিবুল হাসান।

‎৩৩ মিনিটে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ওমানের জালে বল পাঠালে পার্থক্যটা আরও বাড়ে। এর এক মিনিট পর আবারও আমিরুলের ঝলক। পেনাল্টি কর্নার থেকে নিজের চতুর্থ ও দলের সপ্তম গোলটি করেন। সেই তৃতীয় কোয়ার্টারেই বাংলাদেশের হয়ে অষ্টম গোলটি করেন ওবায়দুল হাসান। শেষ দিকে সাজু দুবার এবং আমিরুল, রাকিবুল, আবদুল্লাহ আরও একবার করে ওমানের জালে বল পাঠিয়েছেন।

বাংলাদেশের মতো ওমানও এবারই প্রথম জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে ওমান। এই তিন ম্যাচে গোল হজম করেছে ২৩টি, বিপরীতে একটি গোলও করতে পারেনি।

‎‎ ১৩ গোল হজমের ম্যাচে ওমান বাংলাদেশের গোলমুখে খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। চার কোয়ার্টারে তিনটি পেনাল্টি কর্নার পেয়েও গোলের মুখ দেখেনি তারা।

‎প্রতিপক্ষ বিবেচনায় জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব খুব খারাপ কাটেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের। তিন ম্যাচের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ড্র করেছে সিগফ্রিড আইকম্যানের দল। অন্য দুই ম্যাচের একটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরেছে ৫-৩ গোলে এবং আরেকটিতে ফ্রান্সের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে।

‎এক ড্র, দুই হারে গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ- সব গ্রুপ মিলিয়ে ষষ্ঠ সেরা তৃতীয় দল। এর ফলে বাংলাদেশের বর্তমান লড়াইটা ১৭ থেকে ২৫ স্থান নির্ধারণীর। যেখানে প্রথম ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে স্থান নির্ধারণী সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সেরা চারের বাধা পেরিয়ে ফাইনালেও জিতলে ১৭তম হবে তারা।


অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রুটের প্রথম সেঞ্চুরি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

জো রুট অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেঞ্চুরি করলেন। ব্রিসবেনে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে রুটের লাগল ৪,৩৯৬ দিন, ৩০ ইনিংস, ১৬ টেস্ট ও ১২ বছর। টেস্টে সব মিলিয়ে এটি তার ৪০তম সেঞ্চুরি।

টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে ২৯ ইনিংস অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ব্যাটিং করছেন রুট, তাতে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৮৯। আর সেই সেঞ্চুরি-খরা কাটল তার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হাজার রানও পূর্ণ করেছেন রুট।

রুট অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেঞ্চুরি পাবেন কি না, এবার অ্যাশেজের আগে বড় প্রশ্ন ছিল এটি। পার্থ টেস্টে রুট সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৮ রান। তবে ব্রিসবেনে এসেই পাল্টে দিলেন দৃশ্যপট।

ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে অবশ্য রুট একাই নায়ক হতে পারছেন না। অস্ট্রেলিয়ার গোলাপি বলের রাজা মিচেল স্টার্ক যে উইকেট নিয়েছেন ৬টি। বেন ডাকেট, ওলি পোপ, হ্যারি ব্রুক, উইল জ্যাকস, ব্রাইডন কার্স ও গাস অ্যাটকিনসনকে ফিরিয়েছেন স্টার্ক।

এদিন পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের ৪১৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড পেছনে ফেলে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন স্টার্ক।

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে উইকেটে ৩২৫ রান করে দিন শেষ করেছে। ২৬৪ রানে নবম উইকেট হারানো ইংল্যান্ড শেষ উইকেট জুটিতে তুলেছে ৬১ রান। পেসার জফরা আর্চার অপরাজিত আছেন ৩২ রানে, সেঞ্চুরিয়ান রুট ১৩৫ রানে।


ঝালকাঠিতে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শ্লোগানে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫।

ঝালকাঠি পৌর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিকেলে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের খেলোয়ারদের হাতে ট্রফি, মেডেল এবং প্রাইজ মানির প্লাকার্ড তুলে দেন।

টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রীত অতিথি ছিলেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং ক্রীড়া সংগঠকরা।

ফাইনাল ম্যাচে বিনয়কাঠি শের-ই-বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ দল টাইব্রেকারে ঝালকাঠি সরকারি কলেজ দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।

ঝালকাঠি জেলা ক্রিড়া অফিসার নরেশ গাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত এ টুর্নামেন্ট গত মঙ্গলবার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে। ঝালকাঠি জেলার চারটি উপজেলার মোট ১২ টি কলেজের টিম এতে অংশ নিয়েছে।


আইরিশদের বিপক্ষে দাপুটে সিরিজ জয় টাইগারদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আইসিসি র‍্যাংকিংয়ে ২ ধাপ পিছিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ডকে ২-১ ব্যাবধানে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল টাইগাররা। সিরিজের ১ম ম্যাচে হারের পর ২য় ম্যাচে সিরিজ ধরে রাখার অগ্নিপরীক্ষায় পড়ে লিটন দাসের দল। অতঃপর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে শেষ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে করে এক বল বাকি থাকতেই ১১৭ রানে আইরিশদের অলআউট করে দেয় স্বাগতিকরা। জবাবে নেমে ১৩.৪ ওভারে তানজিদ তামিমের ফিফটিতে সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমে আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও ভালো শুরু পায় আইরিশরা। ৪ ওভারে ৩৮ রান তুলে প্রথম উইকেট হারায় তারা। টিম টেক্টর ১০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান করে আউট হন। ষষ্ঠ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে ১০ ওভার শেষে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

ওই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেননি পল স্টার্লিংরা। অধিনায়ক স্টার্লিং দলের পক্ষে সর্বাধিক ২৭ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। মিডল অর্ডারে ডকরেল ২৩ বলে ১৯ ও ডিলানি ১২ বলে ১০ রান করেন।

ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে ফিরে তানজিদ তামিমের সঙ্গে সাইফ হাসান ৪ ওভার শেষে ৩৮ রানের জুটি দেন। সাইফ ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হন। দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। পরে লিটন দাস ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। ৭৩ রানের জুটি গড়ে তানজিদ ও পারভেজ ইমন ম্যাচ বের করে নেন। তানজিদ ৩৬ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে চারটি চার ও তিনটি ছক্কা আসে। ইমন ২৬ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৩৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।

বল হাতে একাদশে ফিরে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ ওভার করে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া পেসার শরিফুল ইসলাম ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী ও সাইফউদ্দিন।


বিপিএল-এ কে কত টাকায় বিক্রি হলেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলাম হয়েছে রোববার। নিলামে এরই মধ্যে দলগুলো তাদের পছন্দের ক্রিকেটারদের বেশিরভাগই কিনে নিয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে কোন দলে কত টাকায় গেলেন...

রংপুর রাইডার্স সরাসরি চুক্তি: নুরুল হাসান সোহান, মোস্তাফিজুর রহমান। বিদেশি- খাজা নাফি, সুফিয়ান মুকিমনিলাম থেকে: লিটন কুমার দাস (৭০ লাখ), তাওহিদ হৃদয় (৯২ লাখ), নাহিদ রানা (৫৬ লাখ), রকিবুল হাসান (৪২ লাখ), আলিস আল ইসলাম (২৮ লাখ), মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি (১৮ লাখ), নাঈম হাসান (১৮ লাখ), ইরফান শুক্কুর (১৮ লাখ)

ঢাকা ক্যাপিটালস সরাসরি চুক্তি: তাসকিন আহমেদ, সাইফ হাসান। বিদেশি-উসমান খান, অ্যালেক্স হেলস। নিলাম থেকে: শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৫৬ লাখ), মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন (৬৮ লাখ), মোহাম্মদ মিঠুন (৫২ লাখ), তাইজুল ইসলাম (৩০ লাখ), সাব্বির রহমান (২৮ লাখ), নাসির হোসেন (১৮ লাখ), তোফায়েল আহমেদ (১৮ লাখ), ইরফান শুক্কুর (১৮ লাখ)

সিলেট টাইটান্স সরাসরি চুক্তি: নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ। বিদেশি-সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ আমির। নিলাম থেকে: পারভেজ হোসেন ইমন (৩৫ লাখ), সৈয়দ খালেদ আহমেদ (৪৭ লাখ), আফিফ হোসেন ধ্রুব (২২ লাখ), রনি তালুকদার (২২ লাখ), জাকির হাসান (২২ লাখ), রুয়েল মিয়া (২৩ লাখ), আরিফুল ইসলাম (২৬ লাখ), ইবাদত হোসেন চৌধুরী (২২ লাখ),

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স সরাসরি চুক্তি: নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম। বিদেশি-সাহিবজাদা ফারহান, মোহাম্মদ নওয়াজ। নিলাম থেকে: তানজিম হাসান সাকিব (৬৮ লাখ), ইয়াসির আলি চৌধুরী (৪৪ লাখ), আকবর আলি (৩৪ লাখ), রিপন মণ্ডল (২৫ লাখ), জিসান আলম (১৮ লাখ), হাসান মুরাদ (১৮ লাখ), আব্দুল গাফফার সাকলাইন (৪৪ লাখ), এসএম মেহেরব হাসান (৩৯ লাখ),

চট্টগ্রাম রয়্যালস সরাসরি চুক্তি: শেখ মেহেদি হাসান, তানভির ইসলাম। বিদেশি-আবরার আহমেদ। নিলাম থেকে: মোহাম্মদ নাঈম শেখ (১ কোটি ১০ লাখ), শরিফুল ইসলাম (৪৪ লাখ), আবু হায়দার রনি (২২ লাখ), মাহমুদুল হাসান জয় (৩৭ লাখ), মাহমুদুল হাসান জয় (২২ লাখ), সুমন খান (৩২ লাখ), জিয়াউর রহমান (৩০ লাখ), আরাফাত সানি (১৮ লাখ)

নোয়াখালী এক্সপ্রেস সরাসরি চুক্তি: হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার। বিদেশি- জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিসনিলাম থেকে: জাকের আলি অনিক (৩৫ লাখ), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩৫ লাখ), হাবিবুর রহমান সোহান (৫০ লাখ), নাজমুল ইসলাম অপু (১৮ লাখ), আবু হাশিম (১৮ লাখ), মুশফিক হাসান (১৮ লাখ), শাহাদাত হোসেন দীপু (১৮ লাখ), রেজাউর রহমান রাজা (১৮ লাখ)।


নিলামে অবিক্রিত মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলাম চলছে। নিলামে প্রথম নামটি ছিল নাইম শেখের। ভালো দামও পেয়েছেন। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস।

৫০ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের একই ক্যাটাগরির অন্য ক্রিকেটার ছিলেন লিটন দাস। বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে ৭০ লাখ টাকায় কিনেছে রংপুর রাইডার্স।

ক্যাটাগরি ‘বি’ থেকে বিক্রি হননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিম। ৩৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের এই দুই ক্রিকেটারকে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।

নিলামের প্রথম ডাকে অবিক্রিত রয়ে গেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহমান। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছে, ‘সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’

তার এখনো দল পাওয়ার সুযোগ আছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা মুশফিককে ‘সি’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিতীয়বার নিলামে তোলা হবে।


মাঠে কি শুধু ফুটবল খেলা হবে, নাকি অন্য কিছু হবে: আসিফ আকবর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা দক্ষিণ প্রতিনিধি

মাঠ ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবর। তিনি বলেন, ‘মাঠে কি শুধুই ফুটবল খেলা হবে, নাকি অন্যান্য খেলারও আয়োজন করা যাবে- এ বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা জানতে চাই। ৭ দিনের মধ্যে জবাব না পেলে আমরা উচ্চ আদালতে রিট করতে বাধ্য হব। গত শনিবার বিকেলে নিজ জেলা কুমিল্লায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটার, কোচ ও ক্লাব সদস্যদের সাথে ‘আপনজন আড্ডায় বক্তৃতাকালে তিনি এ ঘোষণা দেন। কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ আড্ডার আয়োজন করে।

বিসিবি পরিচালক হওয়ার পর প্রথমবার মাঠ পরিদর্শনে এসে উচ্ছ্বসিত আসিফ আকবর। এ সময় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে ওঠেন এবং সেলফি ও ছবি তোলেন।

আড্ডায় তিনি বলেন, ‘সমঝোতা করেই আমাদের মাঠে খেলতে হয়। সব খেলাই আমাদের। কিন্তু কিছু জায়গায় স্বেচ্ছাচারিতা চলছে- ক্লাব ফুটবলের নামে বা অন্য কারণে মাঠ ব্যবহারে একচেটিয়াত্ব দেখা যাচ্ছে। কুমিল্লার প্রেক্ষাপটে জানতে চাই- মাঠ কি শুধু ফুটবলের জন্য, নাকি সব খেলার জন্য? স্পষ্ট উত্তর প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আগামী ২০ বছর দেশকে এগিয়ে নেবে, তাদের খেলাধুলার ফ্যাসিলিটিজ নেই। কিছু জেলায় মাঠ থাকলেও নেই পৃষ্ঠপোষকতা, লীগ বা টুর্নামেন্ট। একাডেমির দিকে নজর দেওয়া জরুরি। ১১টি জেলা ঘুরে দেখেছি বাচ্চাদের খেলার সুযোগ নেই, মাঠ ভঙ্গুর অবস্থায়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য বদরুল হুদা জেনু, কাজী গোলাম কিবরিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ, আফিস তরুণাভ, মাহির তাজওয়ার ওহী, সাবেক জাতীয় ক্রিকেট কোচ এমদাদুল হক ইমদু, সাবেক ক্রিকেটার ফখরুল আলম উল্লাস, ক্লাব অফিসিয়াল আল আমিন ভূঁইয়া, জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খায়রুল আলম সোহাগ এবং কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কোচ ও বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট সদস্য হাবীব মোবাল্লেক।


ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

নলছিটির হর্স রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

‘বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ এই স্লোগানে ঝালকাঠিতে অনুষ্ঠিত হলো পুলিশ সুপার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫। এতে ঝালকাঠি সদর, রাজাপুর, নলছিটি এবং কাঠালিয়া থানার মোট ৪টি দল অংশগ্রহণ করছে।

জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে শুক্রবার বিকালে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইলাল ম্যাচে নলছিটি থানার টিম হর্স রাইডার্স বনাম কাঠালিয়া থানার টিম এলিভেন টাইগার্স এর মধ্যাকার খেলায় নির্ধারিত সময়ে গোলশুণ্য ড্র হলে নিয়মানুযায়ী টাই ব্রেকার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে নলছিটি থানার হর্স রাইডার ৩-৫ গোলে কাঠালিয়ার এলিভেন টাইগার্সকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। এ টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন সদর থানার টিম রয়েল হান্টার্স। খেলা শেষে চ্যম্পিয়ন ও রানার আপ দলের খেলোয়ারদের হাতে ট্রফি তুলে দেন পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়।

প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, খেলা-ধুলা হলো বিনোদনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যম। এতে মানসিক বিকাশ ও শরীর সুস্থ থাকে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. শাহ আলম এবং থানার অফিসার ইনচার্জসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জগতে নিউ জিল্যান্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের জয়জয়কার অনেক বছর ধরেই। আলো-ঝলকানির খেলা, দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়, বিদেশি বিনিয়োগ, দর্শকদের আগ্রহ- সব মিলিয়ে আইপিএলের পথ ধরে টেস্ট খেলুড়ে প্রায় প্রতিটি দেশেই চালু হয়েছে নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ।

তবে এত দিন ব্যতিক্রম ছিল নিউজিল্যান্ড। এবার সেই পথ ধরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জগতে ঢুকছে কিউইরাও। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মডেলে ২০২৭ সাল থেকে নিজেদের নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করার লক্ষ্য দেশটির।

বর্তমানে একমাত্র নিউ জিল্যান্ডে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা সুপার স্ম্যাশ। আন্তর্জাতিক তারকা না থাকা আর দর্শক আকর্ষণে ব্যর্থতার কারণে লিগটির গুরুত্ব দিন দিন কমছে। তাই দেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় পরিবর্তনের আভাস দিলেন এনজেড-২০ প্রকল্পের প্রধান ডন ম্যাককিনন।

তার মতে, এখন সময় এসেছে সুপার স্ম্যাশের বাইরে ভাবার। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ভাবনা জানান ম্যাককিনন।

‘আন্তর্জাতিক বাজারে সফল হতে নিউজিল্যান্ডকে নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ তৈরি করতে হবে। যেখানে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মতো মডেলেই নতুন লিগ পরিচালিত হতে পারে। টুর্নামেন্টের লাইসেন্স থাকবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেসি) কাছে, তবে লিগ পরিচালনা হবে স্বতন্ত্রভাবে।’

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য এখনো সবুজ সংকেত দেয়নি। তবে অনুমোদন মিললে নতুন লিগটি সুপার স্ম্যাশের জায়গা নেবে বলে মনে করছেন ম্যাককিনন।

এর আগে ২০১৪ সালে এনজেসি এ ধরনের একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল। তখন বোর্ড মনে করেছিল, আইপিএল বা বিগব্যাশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা কঠিন হবে।

ম্যাককিননের বিশ্বাস, এখন সময় বদলেছে ও নিউজিল্যান্ডের নিজস্ব টি–টোয়েন্টি ব্র্যান্ড তৈরির সুযোগ এসেছে। স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মতো কিংবদন্তিরাও বেসরকারি মালিকানার লিগের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানান ম্যাককিনন। খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৭ সালের জানুয়ারিতেই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। গত দুই-তিন মাস ধরে বোর্ডের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় আছেন প্রকল্প প্রধান।

তবে নতুন লিগের সবচেয়ে বড় বাধা সময়সূচি নির্ধারণ। যাতে বিগব্যাশ (বিবিএল), আইপিএল, এসএ২০ বা আইএলটি২০ এর সঙ্গে সংঘাত না হয়। কারণ এসব লিগে নিয়মিত খেলেন বহু কিউই ক্রিকেটার।


‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ এর কোচ হলেন সুজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আসন্ন বিপিএলে যুক্ত হলো নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নোয়াখালী। দলটি খেলবে ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’ নামে। যেহেতু প্রথমবার বিপিএলে অংশ নিতে যাচ্ছে নোয়াখালী, স্বাভাবিকভাবে এলাকার মানুষদের উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে। একই সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমীদেরও কৌতূহল—নোয়াখালী এক্সপ্রেসের মালিক কারা, ম্যানেজমেন্টে আছেন কে, নিলামের আগে সরাসরি দলে কারা যোগ দিচ্ছেন—এসব প্রশ্ন নিয়েই আলোচনা চলছে।

এ অবস্থায় গত বুধবার সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসে একটি খবর—নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচ হচ্ছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও সফল এই কোচ এর আগেও বিপিএলে ঢাকাকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন এবং একাধিকবার দলকে ফাইনালে তুলেছেন।

সাম্প্রতিক প্রিমিয়ার লিগেও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে তার কোচিংয়ে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়েই সুপার লিগে তুলেছেন এবং দলটি লিগ শেষ করেছে পঞ্চম স্থানে—যা ছিল অনেক প্রত্যাশার বাইরে।

গত আসরে ঢাকার কোচ ছিলেন সুজন। তবে তুলনামূলক দুর্বল দল নিয়ে খুব বেশি সাফল্য পাননি। তাই এবারে তিনি কোন দলের দায়িত্ব নেবেন—এ নিয়ে ছিল ব্যাপক জল্পনা। এমন সময়ই ছড়িয়ে পড়ে নোয়াখালীর নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ হচ্ছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে শুরুতে সুজন কিংবা নোয়াখালী কর্তৃপক্ষ কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি।

বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন ২৮ নভেম্বর দেশে ফিরবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নিশ্চিত করেছেন—হ্যাঁ, তিনি এবারের বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, তিনি বর্তমানে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক ক্রিকেট একাডেমির প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেন এবং সপ্তাহে ৩–৪ দিন সেখানে সময় দেন। জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় বিপিএলে কোচিং করানোর জন্য তার হাতে প্রয়োজনীয় সময়ও রয়েছে।

সুজন বলেন, ‘আমি এখন খুব একটা ব্যস্ত না। তাই নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রস্তাব গ্রহণে কোনো বাধা ছিল না। ফ্রি থাকায় নোয়াখালীর কোচিংয়ের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।’

তিনি আরও জানান, ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সব আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এবারের বিপিএলে নোয়াখালীর কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করব।’


এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে, ৭ গোলের ম্যাচে রিয়ালের জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সব প্রতিযোগিতা মিলে ৩ ম্যাচে জয়হীন ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এসে জয়ের ধারায় ফিরেছে লস ব্লাঙ্কোস। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চার গোল করে একাই জয়ের নায়ক ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি তারকার নৈপুণ্যে অলিম্পিয়াকোসকে ৪–৩ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

গ্রিসে ম্যাচের শুরুতেই দলীয় আক্রমণ থেকে লিড নেয় অলিম্পিয়াকোস। ২০ গজ দূর থেকে নিশানা ভেদ করেন চিকিনহো। এরপর পুরো মঞ্চটাই দখলে নেন এমবাপ্পে।

২২ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুর্দান্ত থ্রু–বলে দৌড়ে গিয়ে অলিম্পিয়াকোস গোলরক্ষক কস্তাস জোলাকিসের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল করে সমতায় ফেরান ফরাসি অধিনায়ক। দুই মিনিট পর আর্দা গুলেরের ক্রস থেকে নিচু হেডে দ্বিতীয় গোলও তুলে নেন তিনি।

এরপর মাত্র ছয় মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ব্যবধানে ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপ্পে। রক্ষণ ভেদ করে এগিয়ে গিয়ে দুর্দান্ত ফিনিশে জোলাকিসকে আবারও পরাস্ত করেন তিনি। এ প্রতিযোগিতায় এর চেয়ে দ্রুত হ্যাটট্রিক আছে শুধু লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহর। সেটি রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২০২২ সালে করেছিলেন তিনি।

তার পর প্রথমার্ধে চোটগ্রস্ত চিকিনহোর বদলি হিসেবে নেমে ৫২ মিনিটে জোরালো হেডে ব্যবধান কমান মেহদি তারেমি। থিবো কুর্তোয়া অসুস্থতার কারণে না থাকায় রিয়ালের গোলপোস্ট সামলাচ্ছিলেন আন্দ্রি লুনিন।

অ্যাওয়ে ম্যাচে আগে সাত সফরে গ্রিক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কখনো জিতেনি রিয়াল। এবার সেই ইতিহাস বদলেছে রিয়াল। যার নায়ক ছিলেন এবাপ্পে। দ্বিতীয়ার্ধে বাম দিক দিয়ে ভিনিসিয়ুসের দারুণ কারিকুরির পর নিজের চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। এতে পাঁচ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়টি।

শেষ দিকে নয় মিনিট বাকি থাকতে আয়ুব এল কাবি ব্যবধান কমিয়ে রোমাঞ্চের জন্ম দিলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়।

রিয়ালের জয়ের দিনে হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে গত বুধবার পিএসভি আইন্দোভেনের কাছে ৪–১ গোলে হেরে নিজেদের দুর্দশা আরও বাড়িয়েছে তারা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১২ ম্যাচে এটি লিভারপুলের নবম হার। ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমের পর এবারই তারা এতটা বাজে সময় কাটাচ্ছে।

অপর দিকে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩–১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আসরে নিজেদের শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রেখেছে আর্সেনাল।


banner close