শৈশবেই মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ১৩ বছর বয়সী মেসির বাঁ-পায়ের জাদুতেই বুঁদ হয়ে পড়েছিল ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো। বিস্ময় জাগানীয়া এ কিশোরের দিকে তখন নজর বড় বড় ক্লাবগুলোর স্কাউট এবং স্পোর্টিং ডিরেক্টরদের। সেই তালিকায় ছিলেন বার্সেলোনার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাসও। সেদিনের কিশোর মেসির মধ্যেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন আজকের মেসিকে। এমন একটি প্রতিভাকে হারানোর দুঃসাহস তিনি করেননি। চুক্তির কাগজপত্র না থাকায় একটি ন্যাপকিন পেপারেই সারেন কাজ।
বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির সেই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার ন্যাপকিন পেপারটি তোলা হয়েছিল নিলামে। ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপারটি গড়েছে আরেক ইতিহাস; ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হলো মেসির স্বাক্ষরিত সেই ন্যাপকিন।
একটি সাধারণ ন্যাপকিন পেপার। খাওয়ার পর হাত মুছে বিনা সঙ্কোচে ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু সেই ন্যাপকিনেই যদি থাকে লিওনেল মেসির স্বাক্ষর? তাও আবার একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী বহন করছে যে পেপারটি, তার মূল্য যে আকাশছোঁয়া হবে, সেটা ছিল জানা কথা।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে মেসির বাবা হোর্হে মেসির সঙ্গে একটি হোটেলে আলোচনায় বসেছিলেন বার্সেলোনার তৎকালীন স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাস। তখনও মেসিকে সই করানোর বিষয়ে কাগজপত্র তৈরি হয়নি। কিন্তু আর্জেন্টাইন ক্ষুদে ফুটবলারের প্রতিভা বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি রেক্সাসের। কোনো মতেই এমন ফুটবলারকে সই করানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি রেক্সাস।
সেই হোটেলের একটি ন্যাপকিন পেপারেই মেসিকে দিয়ে প্রাথমিক স্বাক্ষর করিয়ে নেন। ন্যাপকিন পেপারটির লেখার বক্তব্য অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর ২০০০ সালে বার্সেলোনার হয়ে প্রথমবার কোনো চুক্তিতে সই করেছিলেন মেসি। সেখানে রেক্সাস ছাড়াও হোসে মিঙ্গুয়েলা এবং আর্জেন্টিনায় মেসির এজেন্ট হোরাসিও গ্যাগিওলি ছিলেন। রেক্সাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মেসিকে নিজের তত্ত্বাবধানে যত্নে রাখবেন।
পরে এক সাক্ষাৎকারে রেক্সাস জানিয়েছিলেন, হাতের কাছে আর কিছু না পেয়েই ন্যাপকিন পেপারে স্বাক্ষর করিয়েছিলেন মেসিকে। মেসির বাবাকে রাজি করিয়েছিলেন এই বলে যে, তার নাম থাকলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে এই স্বাক্ষরের।
এত দিন সেই ন্যাপকিন অ্যান্ডোরার একটি ভল্টে লুকিয়ে রাখা ছিল। হোরাসিও গ্যাগিওলির তত্ত্বাবধানেই ছিল পেপারটি। এর মধ্যেই মেসি বার্সেলোনার ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠেন। বেশ কয়েক বছর হলো সেই ক্লাব ছেড়েও দিয়েছেন।
এত দিনে সেই ন্যাপকিন পেপারকে ব্রিটিশ নিলাম হাউজ বোনহামসের মাধ্যমে নিলামে তুললেন গ্যাগিওলি। নিলামে এর ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছিল ৩ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা)। সেই ন্যাপকিন পেপারটি শেষ পর্যন্ত বিক্রি হলো ৭ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ডে।
ব্রিসবেন টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ৬৫ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় খুব একটা ঘাম ঝরাতে হয়নি স্টিভ স্মিথের দলকে।
ম্যাচের চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে মাইকেল নেসারের বোলিং তোপে পড়ে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসে বেন স্টোকস ও উইল জ্যাকস ৯৬ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পেসার মাইকেল নেসার জ্বলে উঠলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। জ্যাকস ৪১ এবং ফিফটি করা স্টোকসকে সাজঘরে ফেরানোর পাশাপাশি ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন নেসার। শেষ পর্যন্ত ২৪১ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
ইনিংস পরাজয় এড়ালেও অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৬৫ রান। ছোট এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গাস অ্যাটকিনসনের বলে ট্রাভিস হেড (২২) ও মার্নাস লাবুশেন (৩) দ্রুত বিদায় নিলেও জয়ে তা কোনো বাধা হতে পারেনি। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ৯ বলে ঝড়ো ২৩ রান এবং জ্যাক ওয়েদারাল্ড ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এর আগে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে জো রুটের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৩৪ রান করেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে মিচেল স্টার্কের ৭৭ রান ও টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারের ফিফটিতে ৫১১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রানের বড় লিড এবং ইংলিশ ফিল্ডারদের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিসই মূলত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৭৭ রান করে ম্যাচজুড়ে আলো ছড়িয়েছেন অজি পেসার মিচেল স্টার্ক।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়ানোর আগেই বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কোচিং স্টাফ, সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ এবং মালিকানার নেপথ্য কুশীলবদের নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। দলের মেন্টর ও ম্যানেজারের পদ থেকে হাবিবুল বাশারের আকস্মিক সরে দাঁড়ানোয় এই গুঞ্জন আরও ডালপালা মেলেছে, যা নিয়ে খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তাদের মধ্যেই গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির কার্যক্রম এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিশেষ করে, ব্রাদার্স ইউনিয়নের কর্মকর্তা আমিন খানের সম্পৃক্ততা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে দুর্বার রাজশাহীর সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের ‘লাল তালিকায়’ আমিন খানের নাম রয়েছে বলে জানা যায়। বিসিবির এক পরিচালক জানিয়েছেন, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আমিন খান সন্দেহের তালিকায় আছেন এবং পরোক্ষভাবে তিনি চট্টগ্রাম দলের সঙ্গে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা ও সাপোর্ট স্টাফদের তালিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দুর্নীতি দমন বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তাদের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ বা অতীত ইতিহাস খতিয়ে দেখার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বিসিবি।
সন্দেহের তীর আরও জোরালো হয়েছে দলটির কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে। যেখানে রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, নোয়াখালী এক্সপ্রেস কিংবা সিলেট টাইটান্সের মতো দলগুলো জাতীয় পর্যায়ের কোচ নিয়োগ দিয়েছে, সেখানে চট্টগ্রাম রয়্যালস নিয়োগ দিয়েছে বিভাগীয় কোচ মমিনুল হককে। মমিনুল হক পূর্বে ব্রাদার্স ইউনিয়নের কোচ ছিলেন, যা আমিন খানের সঙ্গে দলটির সংযোগের জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
যদিও আমিন খান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তাঁর বা তাঁর কোনো আত্মীয়ের সম্পৃক্ততা নেই। ব্রাদার্সের কোচ মমিনুল হক সেখানে থাকায় হয়তো কেউ কেউ তাঁকে জড়াচ্ছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে হাবিবুল বাশারের মতো ব্যক্তিত্বের সরে যাওয়া এবং কোচ নিয়োগ নিয়ে ফিসফাস থামছে না ক্রিকেট ভক্তদের।
বিপিএলে পাঁচ বছরের জন্য এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নেওয়া হলেও শুরু থেকেই তাদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি এবং ব্যাংক জামানত ইস্যুতে দুর্বলতা থাকায় বিসিবি শুরুতে এটি বাতিল করে নিজেরা চালানোর কথা ভেবেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতসব দুর্বলতা সত্ত্বেও চট্টগ্রামকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ায় বিসিবির সিদ্ধান্তই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ইনটিগ্রিটি বা স্বচ্ছতা নিয়ে সংকটে পড়া একটি দলের পক্ষে আগামী পাঁচ বছর বিপিএলে টিকে থাকা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিসিবি দলটির ওপর কড়া নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর থেকেই কিলিয়ান এমবাপ্পে যেন থামতেই জানেন না। এবার ক্লাবের ইতিহাসের দরজায় কড়া নাড়ছেন ফরাসি সুপারস্টার। আর মাত্র চারটি গোল করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর এক বর্ষপঞ্জিকার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
গেল বুধবার অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে লা লিগায় রিয়ালের ৩-০ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন এমবাপ্পে।
এ নিয়ে ২০২৫ সালে তার মোট গোলসংখ্যা এখন ৫৫। রোনালদো ২০১৩ সালে করেছিলেন ক্লাব রেকর্ড ৫৯ গোল।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচসহ রিয়ালের হাতে আছে আরো চারটি ম্যাচ। তাই রেকর্ড ভাঙা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছেন কোচ জাভি আলোনসো।
সংবাদ সম্মেলনে আলোনসো বলেন, ‘কিলিয়ান রিয়াল মাদ্রিদে ইতিহাস গড়ার পথে। ঠিক যেমন রোনালদো করেছিলেন। তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, তার পরিসংখ্যান… সব মিলিয়ে সে বিশেষ খেলোয়াড়দের দলে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তার মধ্যে যে শক্তি, সতীর্থদের উজ্জীবিত করার সেই ক্ষমতা—এগুলো রোনালদোর সঙ্গে মিল খুঁজে পাই।’
তবে রোনালদো আর এমবাপের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে নারাজ আলোনসো।
‘রোনালদো হল রোনালদো, আর কিলিয়ান হল কিলিয়ান। দুজনই অসাধারণ। কিলিয়ানকে পেয়ে আমরা ভাগ্যবান,’ বলেন জাভি আলোনসো।
ভারতীয় ক্রিকেটের উদীয়মান তারকা অভিষেক শর্মা আবারও রেকর্ডবইয়ে নিজের নাম লিখলেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) হায়দরাবাদে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির এলিট গ্রুপ ‘সি’-ম্যাচে সার্ভিসেসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে এক ক্যালেন্ডার বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ ছক্কা হাঁকানো প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ইতিহাস গড়লেন এই ২৩ বছর বয়সী ব্যাটার।
ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকা অভিষেক তার দ্বিতীয় ছক্কাটিই তাকে পৌঁছে দেয় অনন্য এক উচ্চতায়। সেই মুহূর্তেই নিশ্চিত হয় নতুন রেকর্ডের জন্ম।
তিনি শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
চলতি বছর অভিষেকের ছক্কা-ঝড়ের হিসাবটা আরো বিস্ময়কর। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৭ ম্যাচে ৪৭ ছক্কা, আইপিএল ২০২৫-এ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২৮ ছক্কা এবং সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে মাত্র ৬ ম্যাচেই ২৬ ছক্কা। মোট মিলিয়ে ২০২৫ সালে ৩৭ ম্যাচে অভিষেকের ছক্কার সংখ্যা ১০১।
ভারতের পূর্ববর্তী রেকর্ডটিও ছিল অভিষেকের। ২০২৪ সালে তিনি মেরেছিলেন ৮৭ ছক্কা। তার আগ পর্যন্ত জাতীয় রেকর্ড ছিল সূর্যকুমার যাদবের (৮৫ ছক্কা, ২০২২)।
বিশ্বজুড়ে এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড নিকোলাস পুরানের।
২০২৪ সালে ১৭০ ছক্কা (৭৬ ম্যাচ) মেরেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টির কিং ক্রিস গেইলই প্রথম ছুঁয়েছিলেন এই ১০০ ছক্কার ম্যাজিক ফিগার (২০১১ সালে)। এরপর আরো ছয়বার এ কীর্তি গড়েন তিনি।
চলতি বছর বিশ্বব্যাপী শীর্ষে আছেন অস্ট্রিয়ার করণবীর সিং, ৩২ ম্যাচে ১২২ ছক্কা। তবে ভারতের সামনে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সেখানে মাত্র ৩টি ছক্কা মারতে পারলেই অভিষেক হতে পারেন টেস্ট খেলুড়ে দেশের মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার, যিনি এক বছরে ৫০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছক্কা হাঁকাবেন।
গত সপ্তাহেই কনফারেন্স শিরোপা জিতেছিলেন, আর এবার ইন্টার মায়ামির শোকেসে তুললেন মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) সবচেয়ে বড় ট্রফিটি। ফাইনালে নিজে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে তার দল।
ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই ভাগ্যের সহায়তা পায় মায়ামি। ৮ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ওকাম্পোর আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় এই লিড নিয়েই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ভ্যানকুভার। ৬০ মিনিটে আলী আহমেদের গোলে সমতায় ফেরে তারা। তবে মায়ামির জাদুকর তখনো যে আসল চমক বাকি রেখেছিলেন! ৭১ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত পাসে জালের দেখা পান রদ্রিগো ডি পল, মায়ামি ফিরে পায় লিড।
ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে (৯৬ মিনিট) আর্জেন্টাইন অধিনায়কের আরেকটি নিখুঁত অ্যাসিস্টে দলের জয় ও শিরোপা নিশ্চিত করেন তাদেও আলেন্দে।
এই জয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল ইন্টার মায়ামি। আর ব্যক্তিগত অর্জনে নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেলেন মেসি। এটি তার পেশাদার ক্যারিয়ারের রেকর্ড ৪৮তম শিরোপা।
এমএলএস কাপ জয়ী এই ম্যাচটি অন্য আরেক কারণে বিশেষ ছিল, কারণ এটি ছিল বার্সেলোনার দুই কিংবদন্তি জর্ডি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। বার্সার হয়ে ১১ মৌসুমে ছয়টি লা লিগা, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং স্পেনের হয়ে ইউরো ২০১২ জিতেছেন আলবা। তিনি বিদায় নিলেন ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা লেফট-ব্যাক হিসেবেই।
অন্যদিকে বুসকেটস, যিনি বার্সেলোনার হয়ে ৭২২ ম্যাচ খেলে ৩২টি ট্রফি জিতেছেন। স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ ও ইউরো শিরোপাও তুলেছেন তিনি। তার ক্যারিয়ারেরও সুন্দর সমাপ্তি ঘটল এমএলএসে শিরোপা জিতে।
ফুটবলের মহাকাশে বর্তমানে দুই উজ্জ্বল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। মাঠের বাইরে তাদের নিয়ে চলে তুমুল চর্চা, আর মাঠে মুখোমুখি হলে তো কথাই নেই! ক্লাব ফুটবলে দুজনের দেখা হয়েছে বহুবার। ২০১৪ সালের নভেম্বরে এক প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে তারা একে-অন্যের বিপক্ষে খেলেছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপে তারা পাঁচবার অংশ নিলেও মাঠে তাদের মুখোমুখি লড়াই দেখা হয়নি। ২০২৬ সালে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছেন মেসি-রোনালদো। এটাই তাদের শেষ বিশ্বকাপ। আর এই বিদায়ী আসরে সেমিফাইনালের আগে দেখা হতে পারে তাদের দল পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনার।
আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালকে গ্রুপ পর্বে বড় কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না বলেই ধারণা। তিনটি সম্ভাব্য পথে তাদের মুখোমুখি লড়াই হতে পারে। প্রথমবার তাদের দেখা হতে পারে ১১ জুলাই কানসাস সিটিতে কোয়ার্টার ফাইনালে। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান দলকে তাদের গ্রুপ পর্বের শীর্ষে থাকতে হবে এবং শেষ ৩২ ও ১৬-এর বাধা পার করতে হবে। আর্জেন্টিনার গ্রুপে রয়েছে আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান। পর্তুগালের গ্রুপ প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, কলম্বিয়া ও আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অব জয়ী দল (নিউ ক্যালেডনিয়া, জ্যামাইকা কিংবা কঙ্গো)।
দুই দলই যদি নিজেদের গ্রুপে রানার্সআপ হয় এবং শেষ ৩২ টপকে গেলে শেষ ষোলোতে হবে তাদের লড়াই। আগামী ৬ জুলাই ডালাসে হবে ম্যাচটি। আরেক উপায়ে পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হতে পারে। পর্তুগাল যদি তাদের গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয় এবং আর্জেন্টিনা তিনে থেকে গ্রুপের খেলা শেষ করে, তাহলে শেষ ষোলোতে ওঠার ম্যাচে দুই দলের দেখা হবে ৩ জুলাই কানসাস সিটিতে।
২০০৬ সাল থেকে মেসি ও রোনালদো বিশ্বকাপে খেলছেন। কিন্তু একবারই তারা মুখোমুখি হওয়ার বেশ কাছে ছিলেন। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হতে পারত দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর; কিন্তু উরুগুয়ে পর্তুগিজদের ছিটকে দেয় এবং আর্জেন্টিনা ফ্রান্সের কাছে হেরে গিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে গতরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের ড্র। সেই আয়োজনে ফিফা শান্তি পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। নতুন করে এই পুরস্কারটি চালু করেছে ফিফা।
এমন কিছু হতে যাচ্ছে তার সম্ভাবনা অনেকদিন ধরেই ছিল। অবশেষে তা সত্যি হলো ফিফা বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে। এই পুরস্কার পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফিফাকে। তিনি বলেন, ‘এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা সম্মাননা।’
ফিফা আগেই জানিয়েছিল, ফুটবল বিশ্বজুড়ে শান্তি ও একতার প্রতীক, আর মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তুলতে যারা ভূমিকা রাখেন, তাদেরই সম্মান জানাতে এই উদ্যোগ। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘পৃথিবী যখন নানা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন মানুষকে আরও কাছে টেনে আনতে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
পুরস্কার প্রদানের মঞ্চে ট্রাম্পকে ইনফান্তিনো বলেন, ‘এটা তোমার পুরস্কার, এটা তোমার শান্তি পুরস্কার।’
বিশ্বকাপ ড্রয়ে তুলনামূলক সহজ গ্রুপেই পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। গ্রুপ ‘জে’-তে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডানের মতো দল। বুয়েন্স এইরেসে সমর্থকদের অনেকে এই ড্রকে অনুকূল বললেও আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি অবশ্য সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সহজ প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই।’
স্কালোনি জানিয়েছেন, আগামী বিশ্বকাপেও তারা একই পরীক্ষিত ছকে খেলবে। গতবার কাতারে শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। স্ক্যালোনি বলেছেন, ‘আমরা সর্বোচ্চটুকু দেব এবং আগের বিশ্বকাপে যেমন করেছি, ঠিক সেভাবে প্রতি বলের জন্য লড়াই করবে।’ শিরোপাধারী দলের কোচ হিসেবে ট্রফি হাতে নিয়েই ড্র মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন স্ক্যালোনি।
গ্রুপিং যেভাবে হয়েছে, তাতে করে ফাইনালে পৌঁছানোর পথটা আর্জেন্টিনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। শেষ ৩২-এ তাদের অপেক্ষায় গ্রুপ ‘এইচ’-এর কোনো দল। যে গ্রুপে রয়েছে স্পেন, উরুগুয়ে, সৌদি আরব ও কেপ ভার্দে। স্ক্যালোনিও মানছেন সেটা, ‘২০২২ সালেও বলেছিলাম সহজ প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। ম্যাচ খেলতে হবে। যদি (এইচ গ্রুপের) কারও সঙ্গে মুখোমুখি হতে হয়, সেটা কঠিনই হবে। তবে আগে তো আমাদের গ্রুপ পার হতে হবে, তারপর দেখা যাবে।’
আলজেরিয়াকে নিয়ে স্ক্যালোনি বলেছেন, ‘চমৎকার খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া ভালো দল।’ তাদের কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচ আবার স্ক্যালোনির সাবেক হেড কোচ। ইতালিয়ান ক্লাব লাৎজিওতে একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাদের।
অস্ট্রিয়ারও প্রশংসা করেছেন তিনি, ‘বাছাইপর্বে দারুণ খেলেছে।’ গ্রুপসেরা হয়েই বিশ্বকাপে এসেছে দলটি। আর প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে আসা জর্ডানকে নিয়ে তথ্য কম থাকলেও স্ক্যালোনি ভীষণ সতর্ক। দলটাকে তারা হালকাভাবে নিচ্ছেন না। কারণ, কাতারে সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের স্মৃতি যে এখনো তাজা। স্ক্যালানি বলেছেন, ‘সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তাই খেলতে হবে, লড়তে হবে।’
টস জেতার পর আবেগ লুকাতে পারেননি ভারতের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। টানা ২০ ম্যাচ টস হারা ভারতের অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডেতে ভাগ্য ফিরল। বিশাখাপত্তমে টস জেতার পরই রাহুলকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যায়। টসের পর ক্যামেরায় ধরা পড়ে- তিনি উচ্ছ্বাস ভরা ভঙ্গিতে ‘ইয়েস!’ বলে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে উদযাপন করছেন। এর আগে ভারত শেষ টস জিতেছিল ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বিরাট কোহলির ১৩৫ রানের উপর ভর করে ভারত তুলেছিল ৩৪৯ রান। বড় সংগ্রহ দাঁড় করালেও স্বাগতিকদের জিততে হয়েছিল মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি- ১০২ রান। সেঞ্চুরি করেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ও, খেলেন ১০৫ রানের ইনিংস। ৩৫৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়েও ভারত থামাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে; প্রোটিয়ারা জিতে যায় ৪ উইকেট হাতে রেখে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১০ রান করেন এইডেন মার্করাম।
অবশেষে টানা ২০ ম্যাচ পর সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডেতে টস জিতল ভারত। এখন দেখার বিষয়- টস জয়ের পর সিরিজটাও নিজেদের করে নিতে পারে কি না স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরে খেলা কেবল দুটি দল এবারও টিকে আছে। যার একটি ঢাকা ক্যাপিটালস। বিসিবির হাই-পারফরম্যান্স বিভাগে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা টবি রেডফোর্ডকে তারা কোচিং প্যানেলের প্রধান পদে নিয়োগ দিয়েছে। এবার সহকারী কোচ হিসেবে যুক্ত হলেন, গোলাম মুর্তজা। এর আগে তিনি দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের দলে কোচিং করিয়েছেন।
রাজশাহীর সাবেক ক্রিকেটার গোলাম মুর্তজার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি। এছাড়া সিনিয়র সহকারী হিসেবে আগেই নিয়োগ পেয়েছিলেন মাহবুব আলি জ্যাকি। ঢাকা ক্যাপিটালসের আগে চমক দিয়েছিল মেন্টর হিসেবে পাকিস্তানি কিংবদন্তি শোয়েব আখতারের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে।
এদিকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে পর্দা উঠতে যাওয়া দ্বাদশ বিপিএলের জন্য স্কোয়াড সাজিয়েছে ঢাকা। নিলামের আগে তারা তাসকিন আহমেদ, অ্যালেক্স হেলস, সাইফ হাসান ও উসমান খানের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছিল। পরে নিলাম থেকে দলে নেয় শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ, মারুফ মৃধা, ইরফান শুক্কুর ও দাসুন শানাকার মতো ক্রিকেটারদের।
নিলাম থেকে- শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ, ইরফান শুক্কুর, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মারুফ মৃধা, জায়েদ উল্লাহ, মইনুল ইসলাম, দাসুন শানাকা, জুবাইরউল্লাহ আকবরি।
ফুটবলের মহাকাশে বর্তমানে দুই উজ্জ্বল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। মাঠের বাইরে তাদের নিয়ে চলে তুমুল চর্চা, আর মাঠে মুখোমুখি হলে তো কথাই নেই! ক্লাব ফুটবলে দুজনের দেখা হয়েছে বহুবার। ২০১৪ সালের নভেম্বরে এক প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে তারা একে-অন্যের বিপক্ষে খেলেছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপে তারা পাঁচবার অংশ নিলেও মাঠে তাদের মুখোমুখি লড়াই দেখা হয়নি। ২০২৬ সালে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলতে চলেছেন মেসি-রোনালদো। এটাই তাদের শেষ বিশ্বকাপ। আর এই বিদায়ী আসরে সেমিফাইনালের আগে দেখা হতে পারে তাদের দল পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনার।
আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালকে গ্রুপ পর্বে বড় কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না বলেই ধারণা। তিনটি সম্ভাব্য পথে তাদের মুখোমুখি লড়াই হতে পারে। প্রথমবার তাদের দেখা হতে পারে ১১ জুলাই কানসাস সিটিতে কোয়ার্টার ফাইনালে। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান দলকে তাদের গ্রুপ পর্বের শীর্ষে থাকতে হবে এবং শেষ ৩২ ও ১৬-এর বাধা পার করতে হবে। আর্জেন্টিনার গ্রুপে রয়েছে আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান। পর্তুগালের গ্রুপ প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, কলম্বিয়া ও আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অব জয়ী দল (নিউ ক্যালেডনিয়া, জ্যামাইকা কিংবা কঙ্গো)।
দুই দলই যদি নিজেদের গ্রুপে রানার্সআপ হয় এবং শেষ ৩২ টপকে গেলে শেষ ষোলোতে হবে তাদের লড়াই। আগামী ৬ জুলাই ডালাসে হবে ম্যাচটি। আরেক উপায়ে পর্তুগাল ও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হতে পারে। পর্তুগাল যদি তাদের গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয় এবং আর্জেন্টিনা তিনে থেকে গ্রুপের খেলা শেষ করে, তাহলে শেষ ষোলোতে ওঠার ম্যাচে দুই দলের দেখা হবে ৩ জুলাই কানসাস সিটিতে।
২০০৬ সাল থেকে মেসি ও রোনালদো বিশ্বকাপে খেলছেন। কিন্তু একবারই তারা মুখোমুখি হওয়ার বেশ কাছে ছিলেন। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হতে পারত দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর; কিন্তু উরুগুয়ে পর্তুগিজদের ছিটকে দেয় এবং আর্জেন্টিনা ফ্রান্সের কাছে হেরে গিয়েছিল।
গত মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ। এই সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেন বাংলাদেশ স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের জন্য আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন তাইজুল। বাঁহাতি এ স্পিনারের সঙ্গে মনোনয়ন পাওয়া বাকি দুজনও স্পিনার- দক্ষিণ আফ্রিকার সাইমন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নেওয়াজ।
আইসিসির ওয়েবসাইটে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত তালিকায় তাইজুলকে নিয়ে লেখা হয়, ‘ঘরের মাঠে নির্ভরযোগ্য ম্যাচজয়ী হিসেবে সুনাম বজায় রেখেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার।’ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে এই সংস্করণে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও হন তাইজুল। ৫৭ টেস্টে তার শিকার ২৫০ উইকেট।
ভারতের মাটিতে গত মাসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাও স্বাগতিকদের ধবলধোলাই করে। এই সিরিজে অবিশ্বাস্য ৮.৯৪ গড়ে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নেন অফ স্পিনার হারমার। প্রথম টেস্টে ৮ এবং পরের টেস্টে ৯ উইকেট নেন। গত মাসে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নেন নেওয়াজ। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা ছিল তার।
অন্যদিকে মেয়েদের ক্রিকেটে নভেম্বরের সেরা ক্রিকেটারের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন ভারতের শেফালি বর্মা, থাইল্যান্ডের থিপাটচা পুত্থাওং ও আরব আমিরাতের এশা ওজা। গত ২ নভেম্বর মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের জয়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন শেফালি। মেয়েদের ইমার্জিং নেশনস ট্রফিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট নেন থাই স্পিনার থিপাচা। গত মাসে ৭ টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৩৭.৫০ স্ট্রাইকরেটে ১৮৭ রান করেন ওজা।
বাংলাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে গত মে মাসে আইসিসির এপ্রিলের সেরা খেলোয়াড় হন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার আগে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম এ পুরস্কার জিতেছেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিনে একটিই ম্যাচ ছিল। মুন্সিগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস ৫-১ গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছে। এতে পাঁচ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে কিংস নিজেদের শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে।
সাত পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাদার্স ইউনিয়ন শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) হেরে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ফর্টিজ ঢাকা আবাহনীকে হারাতে পারলে ১০ পয়েন্টে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠবে। রহমতগঞ্জ আরামবাগের বিপক্ষে জিতলে তাদেরও ১০ পয়েন্ট হবে। যদি রহমতগঞ্জ ও ফর্টিজ দুই দলই পয়েন্ট হারায় আজ শনিবার, তাহলে বসুন্ধরা কিংস তিন পয়েন্টের বেশি এগিয়ে থাকবে। কিংস ম্যাচে ৫ গোল করলেও প্রথম গোলের জন্য ৪১ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েল্টন গোলসূচনা করেন। ইনজুরি সময়ে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরে কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটের মধ্যে দুই গোল পায় বসুন্ধরা। নাইজেরিয়ান এমানুয়েল ৫০ ও সোহেল ৫৪ মিনিটে গোল করেন। ডরিয়েল্টন ৭৭ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করলে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় কিংস। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্রাদার্সের মোজাম্মেল এক গোল শোধ দেন।
জাতীয় দলের এক সময়ের নির্ভরযোগ্য গোলরক্ষক ছিলেন আনিসুর রহমান জিকো। জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার অপছন্দ ও ব্যক্তিগত কিছু কারণে তিনি নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। সাম্প্রতিক সময়ে জিকো আবার ক্লাবে নিয়মিত খেলা শুরু করেছেন। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে কিংসের হয়ে কুয়েতে ম্যাচে খেলেছেন। এবার লিগেও দুটি ম্যাচ খেললেন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) কয়েকটি ভালো সেভও করেছেন।