শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কম্বিনেশনের খোঁজে টাইগাররা

নাজমুল সাগর
প্রকাশিত
নাজমুল সাগর
প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২৪ ১৩:১১

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের এই ছোট সংস্করণের মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে মার্তিন মুল্লুকে। ক্রিকেটের নতুন এ দেশের কন্ডিশন কিংবা উইকেট সম্পর্কে ধারণা নেই কোনো দেশেরই। তবে টাইগারদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের ঠিক আগে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের আয়োজন করেছে। যার প্রথমটি মাঠে গড়াবে আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায়। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স ‘হিউস্টনে’। ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

এ ম্যাচে বাংলাদেশের দুঃসংবাদ একটাই; পেসার তাসকিন আহমেদের অনুপস্থিতি। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগেই জানা গিয়েছিল সাইডস্টেন ইনজুরিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলা হবে ঢাকা এক্সপ্রেসের। তাসকিন মিস করতে পারেন বিশ্বকাপের শুরুর দিকের কয়েকটি ম্যাচও।

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই; মূল লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে টাইগারদের এটাই শেষ প্রস্তুতি সিরিজ। এরপর আছে শুধু দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। তাই এ সিরিজে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন দলের সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে বের করা; ১৫ সদস্যের স্কোয়াডের বাইরের কোনো ক্রিকেটারকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে।

পেস আক্রমণে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বর্তমানে টাইগারদের পেস আক্রমণ যেকোনো দলের জন্যই কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ। তাই বাংলাদেশের স্কোয়াড কিংবা বিশ্বকাপের কন্ডিশন; দুইটাই বলছে বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়েই মাঠে নামবে। বাংলাদেশ যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না যায়, তাহলে তাসকিনের অনুপুস্থিতিতে মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম আর তানজিম হাসান সাকিবকে দেখা যাবে একাদশে।

তবে এ ম্যাচে কন্ডিশন বাংলাদেশের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায়। আর সময়ের হিসাব বলছে বাংলাদেশে তখন ঘরির কাটা থাকবে ১০টার ঘরে। সাধারণত এ সময়ে কোনো সিরিজ খেলে না বাংলাদেশ। এটার কথা চিন্তা করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি রাখা হয়েছিল সকাল ১০টায়।

শক্তির বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৯তম।

তবে এ ম্যাচটা তানজিম হাসান সাকিবের জন্য হবে নিজেকে প্রমাণের বড় মঞ্চ। নতুন কন্ডিশনে তাসকিনের পরিবর্তে সুযোগ পেলে তিনি কেমন করেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

কম্বিনেশন খুঁজতে পরিবর্তন আসতে পারে ব্যাটিং অর্ডারেও। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ব্যাটিংয়ে প্রিয় তিন নম্বর পজিশনটা ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে সাকিব আল হাসানকে। এক ধাপ করে নিচে নেমে যেতে হবে সবাইকে।

এককথায় সারাংশ টানলে বলা যায়, রেজাল্ট কিংবা বড় কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সঠিক কম্বিনেশন খোঁজাটাই মূল লক্ষ্য হবে টাইগারদের।


টি-২০তে লঙ্কানদের নেতৃত্বে আসালাঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দুঃস্বপ্নের এক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পার করেছে শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে এমন ভরাডুবির দায় নিয়ে কিছুদিন আগেই টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

আগামী সপ্তাহে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ভারত-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের জন্য সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অলরাউন্ডার চারিথ আসালাঙ্কাকে।

আজ শুরু হবে ভারত-শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। চারিথ আসালাঙ্কার নেতৃত্বে আপাতত টি-টোয়েন্টির জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে লঙ্কানরা।

হাসারাঙ্গা নেতৃত্ব ছাড়লেও ভারতের বিপক্ষে ১৬ সদস্যের দলে থাকছেন তিনি। তবে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ কিংবা ডি সিলভার। তবে দল ঘোষণার পর দুই দিনে দুই ক্রিকেটারকে হারিয়েছে লঙ্কানরা। ইনজুরিতে পড়েছেন নুয়ান থুশারা আর দুশমান্থা চামিরা। থুশাররা পরিবর্তে দলে ডাকা হয়েছে দিলশান মাদুশাঙ্কাকে।

রোহিত শর্মা দায়িত্ব ছাড়ায় ভারতও নতুন অধিনায়ক নিয়ে এই সিরিজ খেলতে নামছে। তাদের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।

শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল পেরেরা, আভিস্কা ফার্নান্ডো, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ভেল্লালাগে, মাহিশ থিকশানা, চামিন্দু বিক্রমাসিংহে, মাথিশা পাথিরানা, দিলশান মাদুশাঙ্কা, দুশমান্থা চামিরা, বিনুরা ফার্নান্ডো।


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মালিক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

সেই ১৯৯৯ সালে প্রথমবার গায়ে জড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের সবুজ জার্সিটা। এরপর কেটে গেছে দুই যুগেরও বেশি সময়। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই তিনি ছিলেন দলের নিয়মিত মুখ। সাক্ষী হয়ে রয়েছেন ম্যান ইন গ্রিনদের বহু ইতিহাসের। বহু ম্যাচে নিশ্চিত হারের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেছেন। কখনো দলের বিপদে কাণ্ডারি হয়েছেন ব্যাট হাতে আবার কখনো বল হাতে।

পাকিস্তান দলে শোয়েব মালিকের সেসব এখন শুধুই স্মৃতি। পাকিস্তানের জার্সিতে দুই যুগেরও বেশি সময়ের লম্বা ক্যারিয়ারের এবার ইতি টানলেন এ অলরাউন্ডার। স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শোয়েব। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে শোয়েব মালিক। ম্যান ইন গ্রিনদের হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০২১ সালের নভেম্বরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এরপর আর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি এ অলরাউন্ডারের। মাঝখানে একবার শোয়েব বলেছিলেন আবারও জাতীয় দলে ফিরতে চান তিনি। কিন্তু তা আর হচ্ছে না।

ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময় শোয়েব জানিয়েছেন, পাকিস্তানের হয়ে আর খেলার কোনো আগ্রহ নেই তার। তিনি বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছি। মুহূর্তগুলো দারুণ উপভোগ করেছি। বর্তমান জীবন নিয়ে আমি খুব খুশি এবং সন্তুষ্ট। পাকিস্তানের হয়ে আবারও খেলার কোনো ইচ্ছা নেই।’

ক্রিকেট ছাড়ার পরে অনেক তারকাই পেশা হিসেবে বেছে নেন কোচিংকে। শোয়েব মালিকেরও তেমন ইচ্ছে আছে কি না? এমন প্রশ্নের হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়েছেন তিনি। তবে সেটা ভিন্নভাবে। শোয়েব বলেন, ‘জাতীয় দলে কোচিং করাতে আগ্রহী নই, তবে ঘরোয়া দলে মেন্টর হিসেবে কাজ করতে চাই। আশা করি, শোয়েব মালিকের স্তরের চাকরির অফার ভবিষ্যতে পাব।’

১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মালিকের। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরের টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিই পাকিস্তানের জার্সিতে তার শেষ।

টেস্টে ৩৫ ম্যাচের বেশি সুযোগ না পেলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একাদশের নিয়মিত সদস্য ছিলেন এই অলরাউন্ডার। টেস্টে ১৮৯৮ রানের পাশাপাশি ৩২ উইকেট নিয়েছেন মালিক। ৩ সেঞ্চুরির ক্যারিয়ারে তার সেরা ইনিংস ২৪৫ রান।

আর ২৮৭ ওয়ানডেতে ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৪ ফিফটিতে ৭৫৩৪ রান করেছেন তিনি। নামের পাশে উইকেট ১৫৮টি। আর সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে ১২৪ ম্যাচে ২৪৩৫ রান করেছেন শোয়েব। ফিফটি ৯টি। পাশাপাশি শিকার করেছেন ২৪ উইকেট।


ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। আজ শুক্রবার ডাম্বুলায় টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হারিয়ে মোট ৮০ রান অলআউট হন তারা। জবাবে, ভারত ৯ ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয়।

ব্যাট করতে নেমে একদমই ভালো করতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। দুই ওপেনারের কেউই দুই অঙ্ক ছুতে পারেননি। ৪ বলে ৬ রান করে দিলারা আক্তার ও ৯ বলে ৪ রান করে মুর্শিদা খাতুন আউট হন রেনুকা সিংয়ের বলে। দুজনেই হয়েছেন ক্যাচ আউট।

মুর্শিদার আগেই আউট হন তিনে খেলতে নামা ইশমা তানজিম। ১০ বলে ৮ রান করেছিলেন তিনি। ২১ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে আরও বিপদে ফেলে দেন রুমানা আহমেদ ও রাবেয়া খান। দুজনই ১ রানের বেশি করতে পারেননি।

এমন উইকেট হারানোর মিছিলে অনেকটা একাই দাঁড়িয়ে থাকেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার ব্যাটে ভর করেই দলীয় রান পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। এরপর তার সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন স্বর্ণা আক্তার। ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে জ্যোতি আউট হলে ৩৬ রানের এই জুটি ভাঙে। ৫১ বলে দুটি চার হাঁকিয়ে ৩২ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তার বিদায়ের পর শেষ ওভারটি মেডেন করেন রাধা যাদব। ১৮ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা। ভারতের পক্ষে চার ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রেনুকা সিং।

রান তাড়ায় নামা ভারতকে কোনো রকম ধাক্কাই দিতে পারেনি বাংলাদেশ। স্মৃতি মান্ধানার হাফ সেঞ্চুরিতে সহজ জয় পায় তারা। ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন স্মৃতি। ২৮ বলে ২৬ রান আসে শেফালি ভার্মার ব্যাট থেকে।


জমকালো আয়োজনে আজ পর্দা উঠছে অলিম্পিকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল হক সাগর

কেউ বলেন, ‘দ্য বিগেস্ট শো অন আর্থ’ আবার কেউ বলেন, ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ সে যাইহোক; বাক্য দুটির মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় এর মাহাত্ম। পৃথীবির সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমস। মহা জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পর্দা উঠতে যাচ্ছে অলিম্পিক গেমসের এবারের আসরের। আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা আর বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় সিন নদীতে হবে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

প্যারিস অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে ভিন্ন আয়োজন; যা এর আগে অলিম্পিকসের কোনো আসরে দেখা যায়নি। আর ঠিক সেই ভিন্নতাই নজর কেড়েছে অনুষ্ঠানের। সাধারণত অলিম্পিকের উদ্বোধনী প্যারেডের জন্য প্রধান অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিক আয়োজকেরা সেটার পরিবর্তে সাহসী উদ্যোগে বেছে নিয়েছেন রাজধানীর অদুরের সিন নদীকে। স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে প্রতিবার যে কুচকাওয়াজ হয়, এবার সেটিই ভিন্নভাবে হবে নৌকায়। পারফরমাররাও থাকবেন নৌকায়, সেখানেই পারফর্ম করবেন। এবারের আসরের ভিন্ন এই আয়োজনের কারণ অলিম্পিকের মূল থিম ‘গেমস ওয়াইড ওপেন’।

জানা গেছে, ৬-৭ হাজার অ্যাথলেট আইফেল টাওয়ারের পূর্ব কোণের অস্টারলিটজ সেতু থেকে নৌকা ও বার্জে করে সিন নদীর ৬ কিলোমিটার পাড়ি দেবেন। নথু-দেম ক্যাথেড্রালের পাশ ঘেঁষে, আরও অনেক সেতুর নিচ দিয়ে অনেক গেটওয়ে ধরে প্যারিসের দর্শনীয় নানা জায়গা ছুঁয়ে আইফেল টাওয়ারের কাছে শেষ হবে এই ভ্রমণ। আর অ্যাথলেটদের এই ভ্রমণকে মনোমুগ্ধকর করতে পুরো যাত্রাপথে আকাশ ও পানিতে থাকবে রঙের খেলা। পথে দুই ধারে নদীর তীরে, সেতুর ওপরে এবং চারপশে গান, নাচসহ থাকবে অনেক ধরনের পারফরম্যান্স।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে নানা রঙের, রঙিন সাজে সেজেছে সিন নদীর দুই পাড়। অনুষ্ঠান নিয়ে যে, আয়োজকদের পরিকল্পনার কোনো কমতি নেই সেটা জানা যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় দেখলেই। অনুষ্ঠানের দুই–তৃতীয়াংশ আয়োজন দিনের আলোয় আয়োজন করা হয়েছে। আর বাকি অংশ রাখা হয়েছে গোধুলীবেলায়। সিন নদীতে সুর্যাস্তের অপরূপ মুহূর্ত প্রাণভরে উপভোগ করবেন দর্শকরা। খেলাধুলাকে বলা হয় বিনোদনের একটি খোরাক, আর পৃথীবির সবচেয়ে বড় এই আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কি বিনোদনের কমতি থাকতে পারে? তেমনটা হওয়ার সুযোগ নেই। চার ঘণ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর করবেন নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পীসহ সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার পারফরমার। তবে ঠিক কারা থাকবেন পারফরমার হিসেবে সেটি গোপন রেখেছেন আয়োজকরা। পুরো এই অনুষ্ঠানটিকে সাজানো হয়েছে ১২টি ভাগে।

অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য ৫ লাখের বেশি দর্শকের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ স্ট্যান্ড। এছাড়াও সিনের তীর ও আশপাশের ভবনের বারান্দা থেকেও উপভোগ করা যাবে বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠান। ঐতিহ্য মেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবার আগে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রিসকে। তাদের পর দেখা যাবে শরণার্থী অলিম্পিক দলকে। আর সবার শেষে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে আয়োজক দেশ ফ্রান্সকে। অন্যদিকে রাশিয়া ও বেলারুশের অ্যাথলেটরা এই আয়োজনে অংশ নেবেন ব্যক্তিগত পরিচয়ে। ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের ভূমিকার কারণে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাশিয়া ও বেলারুশকে।

এবারের অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে মোট ৫জন অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছেন। সরাসরি জায়গা করে নিয়েছেন আর্চার সাগর ইসলাম। প্যারেডে তিনিই বহন করবেন লাল-সবুজের পতাকা। ‘দ্য বিগেস্ট শো অন আর্থ’- এর উদ্বোধনকে ঘিরে যেমন আয়োজনের কোনো কমতি নেই, তেমনি আয়োজনকে সফল করতে নিরাপত্তারও কোনো কমতি রাখছেন না আয়োজকরা। পুরো এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখার কথা জানিয়েছেন তারা।


ইসরায়েলকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধের দাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় আক্রমণ ও গণহত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল ফিফার উদ্দেশ্যগুলো ক্ষুণ্ন করেছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ আইনজীবীদের একটি দল। যে কারণে ইসরায়েলকে ফুটবলসংক্রান্ত যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা।

ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার একটি প্রস্তাব গত মে মাসে দেয় ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। এ মাসে ফিফা তাদের কাউন্সিলের এক সভায় এ বিষয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি জরুরি আইনি মূল্যায়নের আদেশ দেয়।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সমর্থন দিয়েছিল। পিএফএ সভাপতি জিব্রিল আল-রাজউব বলেছেন, ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা অথবা আইন লঙ্ঘন নিয়ে ফিফা উদাসীন থাকতে পারে না।

ফিলিস্তিনের প্রস্তাবে ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএ) বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার এবং আরব খেলোয়াড়দের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও আইএফএ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিষয়:

ঘরের মাঠে নারী বিশ্বকাপ নিয়ে শঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগামী অক্টোবরেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের ভেন্যু থেকে শুরু করে সূচি; সবকিছুই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য গুঞ্জন উঠেছে, শঙ্কার মুখে পড়তে যাচ্ছে আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যদিও দেশের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

আসছে অক্টোবরে ১০টি দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে বসবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়াবে ৩ অক্টোবর। চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হওয়ার কথা।

এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়ে গত ১৯ থেকে ২২ জুলাই আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। মূলত সেই সভাতেই উঠে এসেছে বাংলাদেশে চলমান অস্থির পরিস্থিতির কথা।

সভায় অংশ নেওয়া আইসিসির একটি সূত্র ক্রিকবাজকে জানান, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদিও টুর্নামেন্টটি এখনো কিছুটা দূরেই। পরিস্থিতিও গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’

বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ক্রিকবাজ।


মুর্শিদার ব্যাটিং ঝড়ে সেমির গল্প লিখল বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে এ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া বলে সেই আশাও প্রবল ছিল বাংলাদেশি ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে। কারণ শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থান ঢের পিছিয়ে। দুই দলের সেই পার্থক্য দেখা গেল মাঠের খেলায়ও। মুর্শিদা-জ্যোতিদের কাছে পাত্তাই পায়নি মালয় নারীরা। বাংলাদেশের রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে পিষ্ঠ হয়েছে তারা।

গতকাল ডাম্বুলায় নারী এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১১৪ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। ১৯১ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা থামিয়ে দিয়েছে ৭৭ রানে। এই জয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠল বাংলাদেশের মেয়েরা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের ফেভারিট ও রেকর্ডবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।

বাংলাদেশের জয়ের ভিতটা মূলত তৈরি হয়ে যায় প্রথম ইনিংসেই। ওপেনিংয়ে নেমে মুর্শিদা খাতুনের দুর্দান্ত ব্যাটিং আর শেষদিকে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ঝোড়ো ইনিংসে ১৯১ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। এরপর বোলারদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে ১০০ রানের গণ্ডিও পার হতে পারেনি মালয়েশিয়া।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার দিলারা ও মুর্শিদা। মাত্র ৭.৪ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে ৬৫ রান জমা হয়। ২০ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন দিলারা। দ্বিতীয় উইকেটে মুর্শিদার সঙ্গে জুটি গড়ে ঝড় তোলেন জ্যোতি। ১৭তম ওভারের শেষ বলে মুর্শিদার বিদায়ের আগে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৫৪ রান। মাত্র ৫৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৮০ রান করেন মুরশিদা।

এদিন অর্ধশতকের দেখা পান অধিনায়ক জ্যোতিও। শেষের দিকে রীতিমতো ব্যাটে সাইক্লোন তোলেন তিনি। মাত্র ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এতে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১ রানের।

এরপর বোলিংয়েও দুর্দান্ত পারফর্ম করেন নাহিদা-জাহানারারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেন মালয়েশিয়ার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শুরুটা করেন দীর্ঘদিন পরে দলে সুযোগ পাওয়া অভিজ্ঞ বোলার জাহানারা। তবে আলো ছড়ান নাহিদা আক্তার। ৪ ওভারে স্রেফ ১৩ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলমের শিকার এক উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সাবিকুন নাহার জেসমিন, রাবেয়া খাতুন, রিতু মনি ও স্বর্ণা আক্তারও।


কাতালুনিয়ানদের ‘দ্য প্রেসিডেন্ট’ জেরার্ড পিকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলীয় এক জীবনে নিজের দক্ষতায় যেমন দর্শকদের ভালোবাসায় মজেছেন তেমনি নানা বিতর্কিত কাণ্ডে কুড়িয়েছেন নিন্দাও। ভালোবাসা আর বিতর্ক তার জীবনে এগিয়েছে সমান্তরাল গতিতে। জন্মটা স্পেনের কাতালুনিয়া শহরে, খেলেছেনও নিজের শহরের ক্লাব বার্সেলোনাতেই। তাই নিজ শহরের মুক্তিকামী মানুষের কাছে তিনি এক প্রিয় মানুষ ‘দ্য প্রেসিডেন্ট’। বলছি জেরার্ড পিকের কথা।

ফুটবলার পরিচয় ছাপিয়ে তিনি কখনো হয়ে উঠেছেন কাতালান মুক্তিকামী মানুষের প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। কেউ তাকে ডাকে প্রেসিডেন্ট নামে। সেসব ছাড়িয়ে পিকে রক্ষণের দুর্ভেদ্য দেয়াল। কেবল রক্ষণ সামলানো নয়, বরং প্রয়োজনের মুহূর্তে হেডে গোল করতে পিকের জুড়ি মেলা ভার। আদতে সেন্টারব্যাক হলেও বল পায়ে দক্ষ হওয়ায় বিভিন্ন পজিশনে খেলতে জানতেন তিনি। মাঝে তো কয়েক দিন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের রেখে যাওয়া বিখ্যাত লিবেরো পজিশনে খেলেছেন তিনি।

১৯৮৭ সালে স্পেনের কাতালুনিয়ায় জন্ম পিকের। ফুটবলের হাতেখড়িও নিজ শহরের ক্লাব বার্সেলোনা দিয়েই। মাত্র দশ বছর বয়সেই বার্সার ছোটদের ক্লাব আলেভিন বি’র হয়ে ফুটবল শুরু। সেই ছোটবেলা থেকেই বহু ক্লাব প্রস্তাব পাঠিয়েছে পিকেকে দলে টানার। কিন্তু শৈশবে ভালোবাসার ক্লাব ছাড়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি।

তবে পিকের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু বার্সেলোনা নয় বরং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দিয়ে। সেই যাত্রার শুরুটা ছিল ২০০৫ সালে এফএ কাপ দিয়ে। এরপর মাাঝখানে লোনে এক মৌসুম কাটিয়ে দেন রিয়াল জারাগোজায়। তবে পিকের মনটা পড়েছিল বার্সেলোনাতেই।

আর কত? তাই সব ছেড়ে ছুড়ে ২০০৯ সালে ফিরে আসেন নিজ শহরে। এর পরের এক যুগ কাতালান শিবিরেই কাটিয়েছেন। শুরুতে কার্লোস পুয়েল, হাভিয়ের মাসচেরানোর সঙ্গে জুটি বাঁধার পর, ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে দলের রক্ষণ সামলেছেন স্যামুয়েল উমতিতি, রোনাল্ড আরাউহোদের মতো তরুণদের সঙ্গে। এক যুগের বেশি সময়ে ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব ট্রফিই জিতেছেন বার্সার হয়ে।

বার্সার হয়ে দারুণ খেলার সুবাদে ২০০৯ সালেই জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যান তিনি। এরপর ইউরো জেতার পাশাপাশি লা রোজাদের এনে দিয়েছেন তাদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ।

ক্যারিয়ারের শুরুতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে শুরু করেছিলেন পিকে। তবে ক্রমেই তিনি বনে যান পুরোদস্তুর সেন্টারব্যাক। ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা সেখানেই কাটিয়ে দিয়েছেন রক্ষণ সামলাতে সামলাতে।

ফুটবল ইতিহাসে পিকে এক বর্ণালি চরিত্র। সমর্থকদের ভালোবাসা পাওয়ার পাশাপাশি বারবার জড়িয়েছেন বিতর্কিত সব কাণ্ডে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বার্সা রক্ষণের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবেই।


গ্লোবাল টি-২০তে যাচ্ছেন শরিফুল

অনিশ্চিত রিশাদ-সাউফউদ্দিন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ইনজুরির কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি টাইগার পেসার শরিফুল ইসলামের। তবুও তার ওপর ভরসা রাখে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) ক্যান্ডি ফ্যালকনস। শেষ মুহূর্তে দলে ডাক পান বাঁ-হাতি এ পেসার। তবে সেখানে নামের প্রতি খুব একটা সুবিচার করতে পারেননি তিনি। গ্রুপ পর্বের পাঁচ ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়েছিল শরিফুলের। এরমধ্যে বল করেছেন চার ম্যাচে, চারটি উইকেট শিকার করলেও ছিলেন বেশ খরুচে।

লঙ্কান মিশন শেষ করে কয়েক দিন আগেই দেশে ফিরেছেন বাঁ-হাতি এ পেসার। এবার তার গন্তব্য কানাডার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি (জি-২০)। সেই লক্ষ্যে কানাডার উদ্দেশে গত রাতেই ফ্লাইট ধরেছেন শরিফুল ইসলাম। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে শরিফুল খেলবেন বাংলা টাইগার্স মিসিসাগায়। সেখানে তার সতীর্থ আরেক টাইগার পেসার সাকিব আল হাসান। সাকিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগে খেলছেন লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে। এ টুর্নামেন্ট শেষ হলেই গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।

আগামী ২৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টে খেলার কথা রয়েছে আরও দুই টাইগার ক্রিকেটার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসাইন ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। শরিফুল গেলেও অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা দুজন। কোটা সংস্কার আন্দোলন আর কারফিউয়ের কারণে তাদের কেউই এখনো কানাডার ভিসা পাননি। তাই কবে নাগাদ তারা দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ড্রাফট থেকে রিশাদ হোসাইনকে দলে ভিড়িয়েছিল মন্ট্রিয়েল টাইগার্স। আর সাইফউদ্দিনের ওপর আস্থা রেখেছিল টরেন্টো ন্যাশনালস। গত আসরে দলে থাকলেও নিজের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এ দল পাননি লিটন কুমার দাস।


ডি মারিয়ার অবসরের কারণ জানালেন স্ত্রী

আপডেটেড ১৫ জুলাই, ২০২৪ ১৫:২২
ক্রীড়া ডেস্ক

২০০৮ সাল থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলে যাচ্ছেন এঞ্জেল ডি মারিয়া। অবশেষে বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে তার। কোপা আমেরিকার ফাইনালের মধ্য দিয়েই আর্জেন্টিনার হয়ে ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

আর্জেন্টিনার ইতিহাসে ডি মারিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। অলিম্পিকের ফাইনাল, কোপা আমেরিকার ফাইনাল, বিশ্বকাপের ফাইনালে তার পা থেকেই এসেছিল গোল। যা আর্জেন্টিনার অন্য কোনো ফুটবলারের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।

বিদায়বেলায় আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলারের স্ত্রী জর্জেলিনা কারডোসো জানালেন ডি মারিয়ার অবসর নেওয়ার কারণ। আর্জেন্টাইন স্ট্রিমিং চ্যানেল ‘বন্দি’-তে দেওয়া এক টিভি অনুষ্ঠানে কারডোসো বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না, কারণ বলতে গেলেই আমি ব্যথিত হয়ে পড়ব। আমি তাকে ছাড়া জাতীয় দল কল্পনা করতে পারি না। শুধু এঞ্জেল বলে না সে বলেছে, সে এভাবে সামনে থেকেই বিদায় নিতে চায়।’

‘আমি তাকে বলেছিলাম, তুমি এভাবে বিদায় নিতে পারো না। কারণ তুমি এখনো অনেক ভালো খেলছো, মানুষ তোমাকে ভালোবাসে।’ সে আমাকে বলেছে, ‘না আমি এভাবেই মাথা উঁচু করে বিদায় নিতে চাই। আমি চাই না কেউ আমার থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এখন অনেক তরুণ ফুটবলার এসেছে, যারা অনেক ভালো করছে। সে জানে কী বলতে হবে এবং সে সঠিক। এটা অনেক ভালো সিদ্ধান্ত এভাবে বিদায় নেওয়া।’

কারডোসো ডি মারিয়া সম্পর্কে আরও বলেন, ‌‘আমার মনে হয়, সে কখনোই বিদায় নিতে চায়নি কিন্তু আমার মনে হয়েছে এখনই বিদায় নেওয়াটাই ভালো। তার এমন বিদায় প্রাপ্য। তার অন্য কোনোভাবে বিদায়ের সুযোগ নেই। তার বিদায়টা অনেক কষ্টকর হবে। আমরা শুধু প্রহর গুনছিলাম। তিনটা বাকি ম্যাচ, দুইটা ম্যাচ বাকি। এখন একটি বাকি। পীড়াদায়ক এটি।’

ডি মারিয়ার বেনফিকা ছেড়ে শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে আসার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরেই। এই ৩৬ বছর বয়সির স্ত্রী কারডোসো সে সম্পর্কে বলেন, ‘সে সকল সিদ্ধান্তকে পেছনে ফেলে শুধু কোপা আমেরিকা নিয়েই ভাবতে চেয়েছে।’

বিষয়:

স্ত্রী-সন্তানদের পরিত্যাগ করায় কারাদণ্ড প্যাট্রিস এভরারের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি প্যাট্রিস এভরাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন নঁতেরের ফৌজদারি আদালত। এভরার আইনজীবীর বরাত দিয়ে খবরটি দিয়েছে ফ্রান্সের পত্রিকা লা পারিসিয়ান। এই এক বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে এভরাকে আরও দুই০ বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার স্ত্রীর মানসিক ক্ষতির জন্য চার হাজার এবং আইনি লড়াইয়ের ব্যয় বাবদ আরও দুই হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে এভরাকে। ২০২১ সালের ১ মে থেকে ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পরিত্যাগ করার অভিযোগে এই শাস্তি পেয়েছেন ফ্রান্স ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার এভরা। এই শাস্তির বিরুদ্ধে অবশ্য আপিল করেছেন ৪৩ বছর বয়সি সাবেক ফুটবলার।

আদালত এভরার শাস্তি ঘোষণার পর একটি সূত্র সরকারি কৌঁসুলি নাথালিয়ে দুবোইসের বক্তব্য লা পারিসিয়ানকে জানিয়েছেন। দুবোইস বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমি আশা করছি যে এর মাধ্যমে এভরার পরিবার অবশেষে বুঝতে পারবে যে তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। একই সঙ্গে আমরা সবাই বুঝতে পারব যে আমরা হুটহাট আমাদের স্ত্রী আর সন্তানদের পরিত্যাগ করতে পারি না।’ দুবোইস যেন এরপর এভরাকে তার অতীত মনে করিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে এটা বলার চেষ্টা করেছেন যে এভরা অকৃতজ্ঞ একজন মানুষ। দুবোইস বলেছেন, ‘এমনকি তাদের (এভরা ও তার স্ত্রী সান্দ্রা) যখন পরিচয় হয়, তখন তাদের বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। এভরার ফুটবল ক্যারিয়ারকে সমর্থন জুগিয়ে যেতে সেই বয়স থেকে তিনি (সান্দ্রা) তার সঙ্গে বিশ্বের নানা প্রান্তে বিচরণ করেছেন।’

এভরার আইনজীবী মে জেরম বুরসিকান তার মক্কেলের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, জনাব প্যাট্রিস এভরা একটি আপিল করেছেন। সেই আপিলে তিনি জানিয়েছেন যে দক্ষিণ ফ্রান্সে স্ত্রীকে একটি ফ্ল্যাট, সুইমিংপুলসহ একটি বাড়ি এবং দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০ লাখ ইউরো দিয়েছেন। এ অর্থ তিনি ফেরত দিতে অস্বীকার করেছেন। আইনি ঝামেলায় পড়া এভরার জন্য অবশ্য এটাই প্রথম নয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমকামিতা নিয়ে একজনকে অপমান করে প্যারিসের পুলিশি আদালতের মুখোমুখি হয়েছিলেন এভরা। এ কারণেই হয়তো জেল-জরিমানার শাস্তিকে তিনি ভয় পান না। নঁতেরের আদালত তার শাস্তি ঘোষণার পর এভরা ইনস্টাগ্রামে যে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, সেটাতেও এটাই স্পষ্ট হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, দুই হাতে হাতকড়া লাগিয়ে এবং জেলের পোশাক পরে এভরা বাস্কেটবল খেলছেন। বল বাস্কেটে ফেলে একটি র‌্যাপ গানের সঙ্গে নেচেছেনও। ভিডিওটি দিয়ে এভরা লিখেছেন, ‘এই বাজে খবরটা আমায় বন্ধ করতে দিন; দেখুন, কারাগারে আমি কতটা উপভোগ করেছি।’ এরপর হাসির তিনটি ইমোজি দিয়েছেন এভরা।


প্রতিশোধের ফাইনালে ইতিহাসেরও হাতছানি জোকোভিচের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

উইম্বলডনের প্রথম সেমিফাইনালে কার্লোস আলকারাজের জয়ের পরই তৈরি হয় এই সম্ভাবনা। অপেক্ষা ছিল পরেরটিতে নোভাক জোকোভিচেরও জিতে আসার। ইতালির লরেনৎসো মুসেত্তিকে হারিয়ে সেই কাজও ঠিকঠাক সেরে নেন জোকোভিচ। এ দুজনের জয়ে গত বছরের ফাইনালেরই এখন পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে উইম্বলডনে। রোববারের ফাইনালটা জোকোভিচের জন্য প্রতিশোধেরও। গত বছর যে ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর আলকারাজের কাছে হেরে গিয়েছিলেন সার্বিয়ান টেনিস মহাতারকা।

গতকাল রাতে সেন্টার কোর্টে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ মুসেত্তিকে কোনো প্রতিরোধই গড়তে দেননি জোকোভিচ। ৬-৪,৭-৬ (৭ /৬),৬-৪ গেমে জিতে নিশ্চিত করেছেন উইম্বলডনের তার দশম ফাইনাল। সব মিলিয়ে এটি জোকোভিচের ৩৭তম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল। ফাইনালে আলকারাজকে হারাতে পারলে নতুন ইতিহাসও গড়বেন জোকোভিচ। নারী ও পুরুষ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা মার্গারেট কোর্টকে পেছনে ফেলে এককভাবে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা খেলোয়াড় হবেন তিনি। দুজনেরই এখন সমান ২৪টি করে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। পাশাপাশি জোকোভিচের সামনে সুযোগ উইম্বলডনে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ে কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের পাশে বসারও। উইম্বলডনের ৮টি শিরোপা জিতে এখন সবার ওপরে আছেন ফেদেরার, জোকোভিচের উইম্বলডন শিরোপা ৭টি। সেমির লড়াই জিতে ফাইনালের প্রতিপক্ষ আলকারাজকে নিয়ে কথা বলেছেন জোকোভিচ। ফাইনালের আগে আলকারাজের প্রশংসাই বেশি শোনা গেল জোকোভিচের কণ্ঠে, ‘সে সবদিক থেকে ভারসাম্যপূর্ণ খেলোয়াড়ের দারুণ এক উদাহরণ। আলকারাজের দারুণ একটি কোচিং দল আছে এবং তার মূল্যবোধও দারুণ। এ কারণে সে বেশ জনপ্রিয়ও। ২১ বছর বয়সিদের মধ্যে সে আমার দেখা সর্বকালের সেরাদের একজন। ভবিষ্যতে আমরা তার অনেক কীর্তি দেখব। সে আরও অনেক গ্র্যান্ড স্লাম জিতবে।’

বিষয়:

লরেনৎসো কি আর্জেন্টিনার ‘বিভীষণ’ হবেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

শাস্ত্রীয় সংগীতে গুরু-শিষ্য পরম্পরার মর্যাদা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। আর এই পরম্পরা থেকেই তৈরি হয় ঘরানার। যুগের পর যুগ ধরে আবর্তিত হয় সে ধারা। এই ধারায় শিষ্য হয়তো সাফল্য, অর্জন কিংবা জনপ্রিয়তায় ছাড়িয়ে যেতে পারেন গুরুকেও। কিন্তু গুরু তবু গুরুই থেকে যান। যে কারণে পণ্ডিত রবিশঙ্কর সেতার বাজিয়ে পৃথিবী জয় করলেও তাতে গুরু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর মর্যাদা একটুও কমে না। শাস্ত্রীয় সংগীতের মতো ফুটবলেও গুরু-শিষ্য পরম্পরার অবস্থান আলাদা। এই পরম্পরা কোচ ও খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচদের নিজেদেরও মধ্যে চলে আসছে অনেক বছর ধরে। আর্জেন্টিনার ফুটবলে তেমনি এক ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হোসে পেকারম্যানের হাত ধরে। বলা হয়, আধুনিক আর্জেন্টাইন ফুটবলের যে ধারা, তার অন্যতম পথপ্রদর্শক হলেন পেকারম্যান। আজকের লেখার মূল চরিত্র অবশ্য পেকারম্যান নন। তবে যাকে নিয়ে এই প্রতিবেদন, তিনি পেকারম্যানের দর্শন থেকে বেরিয়ে আসা এক কোচ, নেস্তর লরেনৎসো। গুরু-শিষ্যের জটিল সমীকরণে যিনি আবার ঘটনাচক্রে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি ও লিওনেল মেসির গুরুও বটে।

এ গুরু-শিষ্যই আগামী সোমবার ভোরে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জয়ের দ্বৈরথে একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়াবেন। অর্থাৎ লরেনৎসোর সামনে চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে শিষ্যদের হারিয়ে নিজের দেশের বিপক্ষে কলম্বিয়াকে শিরোপা এনে দেওয়ার। এককথায় লরেনৎসোকে হতে হবে রামায়ণের বিভীষণ। রাবণের ছোট ভাই বিভীষণ যুদ্ধক্ষেত্রে ভাইয়ের বদলে রামের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং রামের সীতা উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। নিজ দেশের বিরুদ্ধে কলম্বিয়ার পক্ষে দাঁড়িয়ে একই কাজ করতে হবে লরেনৎসোকেও। তবে বিভীষণ হয়ে শিরোপা জেতার চ্যালেঞ্জটাকে দূরে সরিয়ে রাখলেও লরেনৎসোর এই পর্যন্ত আসাটা অনন্য এক গল্পই বটে। খেলোয়াড় হিসেবে লরেনৎসোর ক্যারিয়ার মোটেই আহামরি ছিল না। জাতীয় দলের হয়ে যা শেষ হয়েছে মাত্র ১৩ ম্যাচেই। তবে এই কটি ম্যাচেই লরেনৎসোর কাছে বলার মতো এমন গল্প আছে, যা হয়তো এক শ ম্যাচ খেলা অনেক কোচের ক্যারিয়ারেও পাওয়া যাবে না। আর্জেন্টিনার ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলা দলটির সদস্য ছিলেন লরেনৎসো। শেষ পর্যন্ত জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা জিততে না পারলেও, বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতাটুকুই তো যে কারও আমৃত্যু গল্প করার সম্বল হতে পারে। আর সেই ফাইনালের সতীর্থ যদি হন ডিয়েগো ম্যারাডোনার মতো কেউ, তবে তা তো সোনায় সোহাগা। ম্যারাডোনাকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে লরেনৎসো বলেছিলেন, ‘সে প্রতিদিন বিশেষ কিছু করে দেখাত।’

সেই লরেনৎসোর সামনে এবার সুযোগ ৩৪ বছরের সেই পুরোনো গল্পকে পেছনে ফেলে নতুন এক গল্প শুরুর। কোপা আমেরিকার ফাইনালে প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কলম্বিয়াকে কোপার শিরোপা এনে দিতে পারলে, সেটি নিশ্চিতভাবেই লরেনৎসোর ক্যারিয়ারে অনবদ্য এক গল্প হয়েই থাকবে। লরেনৎসোর কলম্বিয়া ইতিহাস গড়ার শেষ ধাপটি পেরোতে পারবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ের হাতেই থাকল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কলম্বিয়ার ডাগআউটে নিজের পারফরম্যান্সের দিকে ফিরে তাকালে, শান্ত স্বভাবের মানুষটি তৃপ্তির হাসি হাসার অনেক রসদই পাবেন।

২০২২ সালের রেইনালদো রুয়েদাকে সরিয়ে লরেনৎসোকে যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়, কলম্বিয়ার অনেকেই তাকে সেই পদে দেখতে চাননি। যে তালিকায় দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার কার্লোস ভালদেরামাও ছিলেন। তাদের চাওয়া ছিল মূলত দেশীয় কোনো কোচ। পাশাপাশি কলম্বিয়ানরা তাকে চিনত পেকারম্যানের সহকারী হিসেবে। ফলে এমন কোচ কলম্বিয়ার ফুটবলকে আদৌ সাফল্য এনে দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কাও ছিল কলম্বিয়ানদের। লরেনৎসো অবশ্য নিজের আদর্শ ও দর্শন নিয়ে সব সময় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এরপরও তার জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে সময় লাগেনি। যার শুরুটা হয় হামেস রদ্রিগেজকে দলে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার পর।

‘না, না, না’-রদ্রিগেজের ফেরার খবরে কলম্বিয়ানদের শুরুর প্রতিক্রিয়া ছিল এমন। তবে হাল ছাড়েননি লরেনৎসোও। শুরু করেন রদ্রিগেজকে কলম্বিয়া জাতীয় দলে ফেরানোর মিশন, যা একই সঙ্গে কোচ হিসেবে এবং দল ব্যবস্থাপনায় লরেনৎসোর হার না মানা মনোভাবকেও তুল ধরে। লরেনৎসো যখন দায়িত্ব নেন, রদ্রিগেজ তখন খেলছিলেন কাতারের আল রায়ান ক্লাবে। অর্থাৎ শীর্ষ সারির ফুটবল থেকে রদ্রিগেজ তখন অনেক দূরে। অনেকেই তখন সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের এপিটাফও লিখে ফেলেছিল। কিন্তু রদ্রিগেজের সামর্থ্য পেকারম্যানের সহকারী হিসেবে খুব কাছ থেকেই দেখেছিলেন লরেনৎসো। ফলে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন আর্জেন্টাইন এই কোচ।

বিষয়:

banner close