বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১

মেহেদীর চোখে চ্যালেঞ্জটাই বেশি

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২৪ ১৩:১৫

আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রানই আসল কথা। তাই ব্যাটাররাও চেষ্টা করেন সেভাবেই খেলার। প্রথম পাওয়ার-প্লের ছয় ওভারে ৩০ গজের বাইরে মাত্র দুই জন ফিল্ডার থাকায়, ব্যাটারদের টার্গেটটা থাকে এ সময়েই। বড় কিছু শট খেলে রান বাড়িয়ে নেওয়ার। তাই এ সময় বল করাটা স্বাভাবিকভাবেই চ্যালেঞ্জিংই হয় বোলারদের জন্য। বাংলাদেশের অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানও জানালেন সেরকম কথাই।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ কাজটা নিয়মিতই করতে হয় মেহেদীকে। এখন পর্যন্ত যে ৪৫ ইনিংসে বোলিং করেছেন, ২৭ বারই এক প্রান্ত থেকে উদ্বোধন করেছেন এ ২৯ বছর বয়সি। সফলও হয়েছেন, ক্যারিয়ারে তার ৩৮টি উইকেটের ২০টিই এসেছে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারের মধ্যে। রান আটকাতেও বেশ সফল তিনি; ক্যারিয়ারে ইকোনমি রেট ৬.৩৮ হলেও প্রথম ৬ ওভারে মেহেদী মাত্র ৫.৬৭ করে রান দিয়েছেন।

বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে পাওয়ারপ্লেতে বোলিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মেহেদী বলেছেন চ্যালেঞ্জের কথা, ‘উপভোগ করা থেকে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি সেখানে। যেহেতু পাওয়াপ্লেতে (বোলিং), (আর) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট (হচ্ছে) রানের খেলা। এখানে যত কম রানে আটকানো যায় আর কি বোলিং করে। ওই চ্যালেঞ্জটাই বেশি থাকে। উপভোগ (করা) থেকে চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকে।’

এরপরও পাওয়ারপ্লের বোলিংটা উপভোগ করতে পারলে সেটি দলের জন্যই ভালো, মনে করিয়ে দিয়ে মেহেদী বলেছেন, ‘কঠিন পরিস্থিতি থাকে পাওয়ারপ্লেতে। উপভোগ (করার সুযোগ) তো একদমই থাকে না। (এরপরও) সেখানে যদি উপভোগ করতে পারি, তাহলে দলের লাভটাই বেশি হয়।’

২০১৮ সালে অভিষেক হলেও দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে প্রায় ২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল মেহেদীকে। মেহেদী ফিরে এসেছেন আবার। তবে ফেরাটা সহজ ছিল না জানিয়ে মেহেদী বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত একটা চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে (বিশ্বকাপে)। প্রথম রাউন্ড শেষ করে পরের রাউন্ডে আগে যাওয়া।’

বলেছেন আরেকটি ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথাও, ‘আমি সাধারণত যেভাবে পারফরম্যান্স করি, ওভাবে করতে চাই না বিশ্বকাপে। এর চেয়ে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই।’

বাংলাদেশ দলের ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা এখন সামলাতে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই। পরীক্ষিত এ পারর্ফমার দলের বিপদে ইনিংস তৈরির দায়িত্ব যেমন সামলাতে পারেন, তেমনি পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষ দলের বোলিং লাইনআপ এলোমেলো করতে পারেন। তাইতো মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংকেই ভালো লাগে মেহেদীর, ‘৭-৮ নম্বরে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া ছিল, তখন থেকে ফিনিশার হিসেবে রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা খুব ভালো লাগত। শুধু এরকমই আর কী। সাকিব ভাই আইডল বলতে পারেন। রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিং ভালো লাগে।’


জ্ঞান ফিরেছে তামিমের, কথা বলেছেন পরিবারের সঙ্গে

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৪ মার্চ, ২০২৫ ২১:১৩
ইউএনবি

খেলার মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের জ্ঞান ফিরেছে।

তিনি চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সোমবার (২৪ মার্চ) ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এক কর্মকর্তা।

কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হাসান বলেন, ‘তামিমের হার্টে সুচারুভাবে রিং পড়ানো হয়েছে এবং ব্লকগুলো সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা হয়েছে।’

তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তার অবস্থা এখনো জটিল রয়েছে, তাকে এখনো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আরও কিছুটা সময় লাগবে।’

ডা. রাজিব বলেন, ‘তিনি আমাদের এখানে খুবই জটিল অবস্থায় এসেছেন। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো। তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। আমরা তার এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও রিং বসিয়েছি।’

কার্ডিওলজির ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের নেতৃত্বে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে সোমবার(২৪ মার্চ) সকালে সাভারের বাংলাদেশে ক্রীড়া শিক্ষা প্রশিক্ষণ (বিকেএসপি) মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ(ডিপিএল) ম্যাচ খেলার সময় হঠাৎ তামিম ইকবালের হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে শাইনপুকুড় ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে তামিমের নেতৃত্বে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব খেলতে নামে। মাঠে টস হয়ে যাওয়ার পর তামিম বুকে ব্যথা অনুভব করেন।

পরে তাকে প্রাথমিকভাবে মাঠেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিকটবর্তী কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।

বর্তমানে তামিম হাসপাতালের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

তামির স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকি ও তার ভাই নাফিস ইকবাল তার সঙ্গে রয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন।


চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।

আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।

আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।

আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।


রিং পরানো হয়েছে তামিমের হার্টে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালের হার্টে রিং পরানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সিসিইউতে আছেন।

সোমবার (২৪ মার্চ) ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে, আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।’
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তামিমের দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এই মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ডসভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ডসভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।


বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।

তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।

‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’

টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’

মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‌‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।


বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হলান্ডদের গোলবন্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ম্যানচেস্টার সিটিতে সময়টা ভালো কাটছিল না নরওয়ে ফরোয়ার্ড আর্লিং হলান্ডের। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে দুর্দান্ত হয়ে দেখা দিলেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নরওয়ের জার্সিতে দুর্দান্ত এক গোল করলেন ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা। শুধু ওই এক গোলই নয়, মলদোভাকে পেয়ে রীতিমত গোল উৎসব করে নিয়েছে হলান্ডের দেশ নরওয়ে।

ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচে মলদোভাকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে নরওয়ে। একটি করে গোল করেছেন হুলিয়ান রিয়ারসন, আর্লিং হলান্ড, আসগার্ড, আলেকজান্ডার সোরলথ, অ্যারোন ডোনাম।

২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে মলদোভার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল নরওয়ে। আই গ্রুপে হলান্ডদের বাকি দুই সঙ্গী ইসরায়েল এবং এস্তোনিয়া। এই গ্রুপে ইসরায়েলও জিতেছে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।

নরওয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিলো মোটে তিনবার। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে। তাও আরলিং হলান্ডের জন্মের ২ বছর আগে। এখন সেই হলান্ড দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছে আর্সেনাল মিডফিল্ডার মার্টিন ওডেগার্ড।

যে কারণে, এবার নরওয়ের ফুটবলপ্রেমীদের আশা, হলান্ডদের হাত ধরে আবারও তারা মেক্সিকো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। স্কেন্ডেনেভিয়ান দেশটি যে গ্রুপে রয়েছে, সেখান থেকে তাদের বিশ্বকাপে নাম লেখানোও অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার শুভ সূচনাটা হয়ে গেলো প্রথম ম্যাচেই।

৫-০ গোলের মধ্যে দ্বিতীয় গোলটি করেন আরলিং হলান্ড। যেটার মধ্য দিয়ে তার অসাধারণ ক্যারিয়ারে গোলের সংখ্যা হয়ে গেলো ৩৯টি। ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৪০টি।

ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডার হুলিয়ান রিয়ারসন গোলের সূচনা করেন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই। ২৩তম মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরলিং হলান্ড। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে রিয়ারসনকে প্রথম গোলে অ্যাসিস্ট করা থেলো আসগার্ড করেন তৃতীয় গোল।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার খানিক আগে আলেকজান্ডার সোরলথ করেন চতুর্থ গোল। ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে জাল খুজে নেন তিনি। ৬৯তম মিনিটে ম্যাচের ৫ম এবং শেষ গোল করেন অ্যারোন ডোনাম। বাকি সময়ে আর কোনো দলই জাল খুঁজে পাননি।

আরলিং হালান্ড এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ জয়ের স্বাদ পেয়ে গেছেন। এবার তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ দেশকে বিশ্বকাপের মত বড় কোনো টুর্নামেন্টে তুলে আনা। ২০২২ বিশ্বকাপ, ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। সামনে চ্যালেঞ্জ ২০২৬ বিশ্বকাপ।


সুপার ক্লাসিকোতে স্কালোনির চোখে ব্রাজিল ভয়ংকর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ এলেই অন্যরকম এক উত্তেজনা ছুঁয়ে যায় দর্শকদের মনে। উন্মাদনায় বুদ হয়ে যায় বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সমর্থকরা। সেই উন্মাদনা থেকে বাদ যায় না স্বয়ং ফুটবলাররাও। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথের রোমাঞ্চে ভোগেন তারাও। সেটাই যেন স্মরণ করিয়ে দিলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি ও মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পল। যদিও আসছে ক্লাসিকোতে দুই দলই ইনজুরিপ্রবণ, সঙ্গে রয়েছে হলুদ কার্ডের ফাঁড়া!

গত পরশু দিন উরুগুয়ের ছাড়াও আর্জেন্টিনা জাতীয় দল একটি চ্যারিটি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলের সঙ্গে। যার অর্থ ব্যয় হবে বন্যাকবলিত বাহিয়া ব্লাঙ্কা শহরের দুর্গত মানুষের কল্যাণে। ওই ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের বিপক্ষে আসন্ন ক্লাসিকো নিয়ে কোচ লিওনেল স্কালোনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন।

বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ প্রতিপক্ষ দলকে প্রশংসায় ভাসিয়ে বলেন, ‘ব্রাজিল মানেই ব্রাজিল। তাদের দারুণ সব ফুটবলার আছে, যারা বিশ্বের অন্যতম সেরা। আমরা জানি তারা ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ, সবাই তাদের সমীহ করে। এখন আমাদেরও পুরো মনোযোগ আসন্ন ম্যাচটির দিকে। এই লড়াইটা ভিন্ন কিছু, তবে এর বেশি এই মুহূর্তে বলার নেই, অনেক বড় প্রতিদ্বন্দ্বী তারা।’

ঘরের মাঠ বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে আসন্ন ক্লাসিকোয় সেলেসাওদের আতিথ্য দেবে আলবিলেস্তেরা। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এবারের বাছাইপর্ব শুরুর আগে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই দলেরই বেশ কয়েকজন ফুটবলার ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন। লিওনেল মেসি ও পাউলো দিবালার পর সেই দলে নাম লিখিয়েছেন লাউতারো মার্টিনেজও। শঙ্কা ছিল ডি পলকে নিয়েও। তবে উরুগুয়ে ম্যাচে না খেলা এই মিডফিল্ডার আসন্ন ম্যাচে খেলা নিয়ে আশাবাদী, ‘সিদ্ধান্তটা আমার হাতে নেই, টেকনিক্যাল বডি ঠিক করবে। আসন্ন ম্যাচটি সবচেয়ে সুন্দর ম্যাচ, আগেও এমন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আশা করি বুধবারও খেলতে পারব।’

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্লাসিকো বলেও মন্তব্য করেছেন ডি পল, ‘আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ক্লাসিকো সব দলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয়। আশা করি আমরা তাদের (ব্রাজিল) সুখ কেড়ে নিতে পারব। প্রত্যেকেই এমন ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় থাকে। বুধবার ভালো আরেকটি ম্যাচ হতে চলেছে, আমরা এই ম্যাচটি উপভোগ করতে চাই।’

চলমান বাছাইপর্বে মেসিকে মিস করছেন বলেও জানিয়েছেন ডি পল, ‘তাকে সবাই অনেক মিস করছে। আমরা দীর্ঘ সময় একসঙ্গে খেলে আসছি এবং তারচেয়েও বড় বিষয় তার সঙ্গে আমার দেখা হয় না অনেকদিন ধরে। দলে না থাকায় সে নিজেও বিস্মিত, তবে তার সেরে ওঠা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে আমরা তাকে শান্ত দেখতে চাই, তাকে দেখাতে চাই যে ক্যাপ্টেন না থাকলেও তার তরী সঠিক গন্তব্যে আছে।’


মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন দল নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম দুই ম্যাচেই বাজেভাবে হার দেখেছিল পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে ফিরে এসেছিল দুর্দান্ত প্রতাপ নিয়ে। নিজেদের প্রমাণ করেছিল ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হিসেবে। চতুর্থ ম্যাচে এসে আবারও মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল সালমান আলী আগার দল।

তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকে গিয়েছিল মাত্র ১৬ ওভারে, যা ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ২০০-র বেশি রান তাড়া করে সবচেয়ে কম ওভারে জয়ের রেকর্ড। অকল্যান্ডের ওই ম্যাচ দেখার পর ভক্তদের প্রত্যাশা, আনপ্রেডিক্টেবল হিসেবে খ্যাত পাকিস্তান হয়তো পরের ম্যাচগুলোতেও চমক দেখাবে। কিন্তু পরের ম্যাচে (চতুর্থ টি-টোয়েন্টি) রেকর্ড ব্যবধানে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের হাতে বধ হলো পাকিস্তান।

গতকাল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নির্ধারতি ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২০ রানের পাহাড় দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে সেই রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে পাকিস্তান, গুটিয়ে গেছে মাত্র ১০৫ রানে। এতে ১১৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে এটিই সবচেয়ে বড় হার পাকিস্তানের।

এর আগে ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯৫ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। তারও আগে অবশ্য ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডকে ১০৩ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান।

এদিন রেকর্ড ব্যবধানে হেরে সিরিজও খুইয়েছে পাকিস্তান। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-১ ব্যবধানে সিরিজের ট্রফি ঘরে তুলেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ম্যাচ আগামী ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে।

নিউজিল্যান্ডের বিশাল রানের পুঁজি গড়ার পথে অবদান ওপেনার ফিন অ্যালেনের দ্রুতগতির ফিফটির সঙ্গে আরও তিন ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিং। ২০ বলে ৫০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অ্যালেন। আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট ২২ বলে ৪৪, অধিনায়ক মাইকেল ব্রাসওয়েল ২৬ বলে অপরাজিত ৪৬, মার্ক চাপম্যান ১৬ বলে ২৪ ও ড্যারিল মিচেল ২৩ বলে ২৯ রান করেন।

জবাবে পাওয়ার প্লেতেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা হাসান নওয়াজ আউট হন ৪ বলে মাত্র ১ রান করে। তার মতো দ্রুত সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস (২), অধিনায়ক সালমান আলী আগা (১), শাদাব খান (১) ও খুশদিল শাহ (৬)। মাঝে কিছু রান যোগ করেন ইরফান খান (১৬ বলে ২৪)। তবুও মাত্র ৫৬ রানে পতন হয় ৮ উইকেটের।

নবম উইকেটে হারিস রউফকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের মান বাঁচান আব্দুল সামাদ। ৮০ রানের মাথায় আউট হন রউফ। ৩০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে ১০০ পার করে দেন সামাদ। পাকিস্তানের হয়ে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছে কেবল ইরফান খান আর আব্দুল সামাদই।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন জ্যাকব ডাফি। ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন জাকারি ফোকেস। পাকিস্তানের হয়ে ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ।


আজ শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ক্যাম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আগামী মাসেই পাকিস্তানে শুরু হবে নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। ৯-১৯ এপ্রিল লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো। মেগা টুর্নামেন্টটির মূল পর্বে জায়গা পাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নারী দলও বাছাইয়ে অংশ নিতে যাচ্ছে। ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে বিমান ধরবে বাংলাদেশ দল। তার আগে নিজেধের ঝালিয়ে নিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে নারী দলের ক্যাম্প।

প্রধান কোচ সারোয়ার ইমরানের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে নারী দলের ক্যাম্প। চলবে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত। যে কারণে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ছুটি পাচ্ছেন না দলে স্কোয়াডের নারী ক্রিকেটাররা। এদিকে বাছাইপর্বে দলের সঙ্গে থাকবেন না কোনো পেস বোলিং কোচ। স্পিন কোচ হিসেবে থাকবেন ধীনুকা।

বাছাইপর্বের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে বাছাইপর্ব খেলবে টাইগ্রেসরা।

বাংলাদেশের এই পাকিস্তান সফরে দলের সঙ্গে যাবেন পুরুষ জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পও। তিনি কাজ করবেন নারী দলের ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে। এ ছাড়া নতুন করে ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আশিক মজুমদার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির একটি সূত্র। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ প্রথম দিনের অনুশীলন দিয়ে মাঠে থাকবেন সব কোচই।

পাকিস্তানের লাহোরে আগামী ৯-১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। দ্বিতীয় দিনই (১০ এপ্রিল) নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামবে জ্যোতির দল, প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায়। বাংলাদেশের বাকি ম্যাচগুলো যথাক্রমে ১৩ এপ্রিল আয়ারল্যান্ড (দিবারাত্রি), ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ড (দিবারাত্রি), ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯ এপ্রিল স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে। দিনের ম্যাচ সকাল ১০টা এবং দিবারাত্রির ম্যাচগুলো শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।


এক শিরোপায় অর্ধশত কোটি রুপি রোহিত-কোহিলদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলেছেন রোহিত শর্মার ভারত। শিরোপা জয়ের পুরস্কার হিসেবে এবার মোটা অঙ্কের টাকা পেতে যাচ্ছে রোহিত-কোহিলরা। ট্রফিজয়ী দলটিকে ৫৮ কোটি ভারতীয় রুপি দিচ্ছে বিসিসিআই!

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রজার বিনি বলেছেন, ‘পরপর দুটি আইসিসি শিরোপা জেতা আসলেই বিশেষ কিছু। এই পুরস্কারের মধ্যদিয়ে বিশ্বমঞ্চে টিম ইন্ডিয়ার নিবেদন ও শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।’

বিনি আরও বলেছেন, ‘এই নগদ অর্থ পুরস্কার আসলে দলের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি। ২০২৫ সালে এটি আমাদের দ্বিতীয় আইসিসি ট্রফি। তার আগে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপও ঘরে তুলেছে মেয়েরা, যা মূলত আমাদের দেশের শক্তিশালী ক্রিকেট কাঠামোর প্রতিফলন।’

আইসিসি আগেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী দলের জন্য ২.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। পাশাপাশি প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য (সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ছাড়া) বরাদ্দ ছিল অতিরিক্ত ৩৪ হাজার ডলার। পুরস্কারের জন্য মোট তহবিলের পরিমাণ ছিল ৬.৯ মিলিয়ন ডলার, যা আসলে ২০১৭ আইসিসি ট্রফির তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।

টুর্নামেন্ট থেকে রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড ১.১২ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। আর সেমিফাইনালে পরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ ছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া আটটি দলই ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার নিশ্চিত অর্থ পুরস্কার পেয়েছে।


আরেকদফা পাকিস্তানের সমালোচনায় শহীদ আফ্রিদি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ বিপর্যের মধ্যে পড়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট। পরিবর্তন, রদবদল; কোনো কিছুতেই মিলছে না, কোনো সমাধান। এমন অবস্থায় নিজ দেশের ক্রিকেটের পরিবর্তন আনতে কখনো সমালোচনা আবার কখনো পরিকল্পনা বাতিয়ে দিচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সেই তালিকায় আছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। আরেকদফা পিসিবির সমালোচনা করেছেন তিনি।

বর্তমানে নিউজিল্যান্ড সফরে আছে পাকিস্তান দল। এরই মধ্যে পরপর দুটি টি-টোয়েন্টিতে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান দল। ম্যান ইন গ্রীনদের এমন পারফরম্যান্সে ভীষণ হতাশ শহীদ আফ্রিদি। এমন ব্যর্থতার পেছনে দল নির্বাচনকে দায় দিচ্ছেন তিনি। দেশটির সাবেক অধিনায়কের মতে, কন্ডিশন বিবেচনায় দল গড়তে পারেনি পাকিস্তান।

অভিজ্ঞ বাবর আজম ও নিয়মিত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দিয়ে সফরে গিয়ে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কিছুই করতে পারেনি পাকিস্তান। একটি অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় পাকিস্তান দলের বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করেন আফ্রিদি। প্রশ্ন তোলেন চলতি সিরিজের দল নির্বাচন নিয়েও।

তিনি বলেন, ‘কেবল ১০-১১ ম্যাচের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের তারা পাঠিয়েছে। যেখানে স্পিনারদের প্রয়োজন ছিল, তারা পেসার বেছে নিয়েছে।’

পাকিস্তান জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের এখন অফ-স্পিন খেলা শেখাচ্ছেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফ। যা দৃষ্টিকটু লাগছে আফ্রিদির কাছে। তার ভাষায়, ‘পাকিস্তান দলের এই পর্যায়ে এটা শেখানো উচিত নয়।’

বাবর, রিজওয়ানদের দলের বাইরে রাখাকে অবশ্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আফ্রিদি। সাবেক এই অলরাউন্ডারের মতে, চাপ কমানোর জন্য হলেও বিরতি প্রয়োজন যেকোনো ক্রিকেটারের, ‘ক্রিকেটারদের বিরতি দেওয়া প্রয়োজন, হোক সে বাবর আজম কিংবা অন্য কেউ।’

পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন ও কিপার ব্যাটসম্যান উসমান খানকে না খেলানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আফ্রিদি। পাকিস্তান দলের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি, ‘সবাই আফ্রিদির মতো খেলার চেষ্টা করছে। কেউ প্রতি ম্যাচে ২০০ রান করতে পারে না।’


সবার আগে বিশ্বকাপে জাপান

গোলের পর উদযাপন করছেন জাপানের ফুটবলাররা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

৪৮ দলকে নিয়ে বসবে ২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। মহাদেশগুলোতে চলছে বাছাইয়ের মহোৎসব। সেই উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে সবার আগে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করল জাপান। গতকাল সাইতামা স্টেডিয়ামে বাহরাইনকে ২-০ গোলে হারিয়ে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া এ আসরে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে এশিয়া মহাদেশের দেশটি। এ নিয়ে টানা ৮টি ফুটবল বিশ্বকাপ আসরে খেলার সুযোগ পাচ্ছে জাপান।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এশিয়া অঞ্চল থেকে মোট ৯টি দল আসরের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। এর মধ্যে তৃতীয় রাউন্ডে ৬টি করে দল নিয়ে গঠিত ৩টি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল কোয়ালিফাই করবে, আর তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারী দল দুটি আরও একটি রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুটি অতিরিক্ত স্থান অর্জনের সুযোগ পাবে। জাপান কোয়ালিফাই করেছে তৃতীয় রাউন্ডের ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে।

বাহরাইনের বিপক্ষে ঘরের মাঠ সাইতামাতে দুটি গোলই দ্বিতীয়ার্ধে করেছে জাপান। ৬৬ মিনিটে দায়চি কামাদা ও ৮৭ মিনিটে তাকেফুসা কুবোর গোল করেন।


এখনো স্কোয়াড চূড়ান্ত করতে পারেননি ক্যাবরেরা

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে ভারত যাওয়ার আগে বিমান বন্দরে বাংলাদেশ দল। ছবি: বাফুফে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ থেকে সকাল ৯টার ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয় বাংলাদেশ ফুটবল দল। কলকাতায় কয়েক ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর আরেক ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় শিলং বিমানবন্দর পৌঁছেছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে এখন ভারতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল।

ভারত সফরের দল নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশ দলের। স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা শুরুতে ৩৮ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেন। কিন্তু ক্যাম্পে না ডেকেই বাদ দেওয়া হয় আটজনকে। সেখান থেকেই শুরু বিতর্কের। এরপর সৌদি আরবে ক্যাম্প করে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকেই ফেরত পাঠানো হয় ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলামকে। এতে স্কোয়াড দাঁড়ায় ২৯ সদস্যের। ইনজুরির কারণ দেখিয়ে বাদ দেওয়া হয় আরও দুই জনকে।

বাকি থাকা ২৭ সদস্যকে নিয়েই দেশে ফিরে ফটোসেশন, সংবাদ সম্মেলন, অনুশীলন; সবই শেষ করেছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তবে এতকিছুর পরও নিশ্চিত করতে পারেননি চূড়ান্ত স্কোয়াড। ভারত যাওয়ার আগে পিয়াস নোভা, আরিফ হোসেন এবং তাজউদ্দিনকে রেখে গেছেন ক্যাবরেরা। ২৩ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণার কথা থাকলেও ২৪ জনকে নিয়েই ভারতের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ দল। আগামী ২৪ মার্চ ম্যানেজার মিটিংয়ে বাদ পড়বেন আরও একজন।

২৪ সদস্যের যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা সেটিও জানা গেছে দল উড়াল দেওয়ার আধাঘণ্টা আগে। অবশ্য ক্যাবরেরা দল নির্বাচন নিয়ে এমন নাটকীয়তা এবং পরিকল্পনাহীনতা এর আগেও দেখা গেছে।

ক্যাবরেরা ঘোষিত ২৪ সদস্যের এই স্কোয়াডে রয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী। দেশের হয়ে প্রথমবার প্রতিনিধিত্ব করবেন লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

২৪ সদস্যের স্কোয়াডে তিন গোলরক্ষকের সঙ্গে সাত ডিফেন্ডার রেখেছেন ক্যাবরেরা। মিডিফিল্ডের দায়িত্বের জন্য আস্থা রেখেছেন নয়জনের ওপর।

উল্লেখ্য, এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে আগামী মঙ্গলবার ভারতের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে ম্যাচ ভেন্যুতে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। আক্রমণভাগে ভরসা পাঁচজনের ওপর।

ভারত সফরে বাংলাদেশ দল:

গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ডিফেন্ডার: শাকিল আহাদ, রহমত মিয়া, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, ঈসা ফয়সাল, শাকিল হোসেন।মিডফিল্ডার: চন্দন রায়, সোহেল রানা, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবুর রহমান জনি, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি, শেখ মোরছালিন, জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী। ফরোয়ার্ড: ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শাহরিয়ার ইমন, আল আমিন, রাকিব হোসেন।


ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের কাছে ফাইনাল হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ব্যাটিং ব্যর্থতায় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শিরোপা জিততে পারলো না বাংলাদেশ দল।

আজ টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের কাছে ৪১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতকে ৭ উইকেটে ১১৭ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। জবাবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৮.৩ ওভারে ৭৬ রানে অলআউট হয় সুমাইয়া আকতারের দল। ৩২ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রানের সূচনা করে ভারত। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় ও ষষ্ঠ বলে ভারত শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন পেসার ফারজানা ইয়াসমিন।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ৪১ রানের জুটি গড়েন ভারতের ওপেনার গঙ্গাদী তৃষা ও অধিনায়ক নিকি প্রসাদ। ১২ রান করা প্রসাদকে থামিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার হাবিবা ইসলাম।

ভারতের রানের চাকা সচল রেখে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নন তৃষা। ১৬তম ওভারে দলীয় ৮৪ রানে তৃষাকে থামান ফারজানা। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৫২ রান করেন তৃষা।

শেষ দিকে মিথালি ভিনোদের ১২ বলে ১৭ এবং আয়ুশি শুক্লার ১০ রানের কল্যাণে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৭ রান করে ভারত।

৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার ফারজানা। এছাড়াও নিশিতা আকতার নিশি ২টি ও হাবিবা ইসলাম ১টি উইকেট নেন।

১১৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। খালি হাতে ফিরেন ওপেনার মোসাম্মত ইভা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সুমাইয়া আকতারকে নিয়ে ১৬ ও তৃতীয় উইকেটে জুয়াইরিয়া ফেরদৌসের সাথে ২০ রান যোগ করে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রাখেন ওপেনার ফাহমিদা ছোঁয়া।

দলীয় ৪৪ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ছোঁয়া সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশের। ৩২ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা। ১৮.৩ ওভারে ৭৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

ছোঁয়া ও জুয়াইরিয়া ছাড়া বাংলাদেশের কেউই দুই অংকে পা রাখতে পারেনি। জুয়াইরিয়া ৩টি চারে ৩০ বলে সর্বোচ্চ ২২ ও ছোঁয়া ২টি বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ১৮ রান করেন। ভারতের স্পিনার শুক্লা ১৭ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ভারতের তৃষা।

টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার ফোরে উঠেছিলো বাংলাদেশ। শ্রীলংকাকে ২৮ রানে ও স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে ১২০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিলো তারা।

সুপার ফোরের শুরুতেই হোচট খায় বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছিলো তারা। সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে নেপালকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় বাংলাদেশ।

গত ৮ ডিসেম্বর অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ওয়ানডে ফরম্যাটের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের যুবারা। এবার এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পড়ার সুযোগ ছিলো নারীদের। কিন্তু শিরোপা জয়ের আনন্দ নিয়ে বছর শেষ করতে পারলো না নারীরা।


banner close