শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কানাডার বিপক্ষে জিতে টিকে রইল পাকিস্তান

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৪ ১০:৩৩

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান। এর আগে তারা হেরেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে।

গতকাল মঙ্গলবার কানাডার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা।

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ১০৬ রান করে সাদ বিন জাফরের দল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখেই দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান।

দলের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। আর বাবর আজম করেন ৩৩ রান।

কানাডার হয়ে দুটি উইকেট নেন ডিলন হেইলিগার। বাকি উইকেটটি নেন জেরেমি গর্ডন।

৫৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে রিজওয়ানের হাতে।


এমবাপ্পের কাছে গোল চান আনচেলত্তি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এমবাপ্পের শুরুটা প্রত্যাশা মতো না হলেও আস্তে আস্তে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করেছেন তিনি। প্রায় নিয়মিতই দেখা পাচ্ছেন গোলের। তবে এতে সন্তুষ্ট নয় রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ফরাসি তারকার কাছে আরও গোল চান তিনি।

চলতি মৌসুমে এখনও রিয়ালকে সেরা ফর্মে দেখা যায়নি। লা লিগায় তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার থেকে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় স্টুটগার্টকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসর শুরুর পর গত রাউন্ডে লিলের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায় তারা। এবার তাই মাদ্রিদের দলটির সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।

সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেন, ‘আমি চাই, এমবাপ্পে গোল করুক। প্রতিপক্ষের ওপর চাপ দেওয়ার চেয়ে সে গোল করলেই আমি খুশি হব। মাঠে সেন্টার-ফরোয়ার্ডের ভূমিকা বদলে যায়নি। আমি তার কাছে সেটাই চাই, যা (রেয়াল মাদ্রিদের সাবেক স্ট্রাইকার) করিম বেনজেমার কাছে চাইতাম।’

মাঠে এমবাপ্পের পজিশন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এমবাপ্পেকে ঠিকমতো মাঠে পজিশন নিতে হবে এবং বল দখলে নিয়ে দ্রুত পাল্টা আক্রমণের সময় তাকে স্মার্ট হতে হবে।’

গত জুনে পিএসজি ছেড়ে রেয়ালে যোগ দেওয়া এমবাপ্পে দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচে ৮টি গোল করেছেন। গত শনিবার লা লিগায় সেলতা ভিগোর বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরোয়ার্ড।


তরুণদের লড়াইয়ের পরবর্তী শিরোপা কি ইয়ামালের!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আগামী ২৮ অক্টোবর ফুটবল বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যালন ডি’অরের জন্য। তবে, এ দিন জানা যাবে আগামী দিনের সম্ভাব্য ব্যালন ডি’অর জয়ীর নামও। সে দিনই ঘোষণা করা হবে উদীয়মান তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বয়’।

ইতালীয় সংবাদপত্র তুত্তোস্পোর্ত প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবারও পুরস্কারের জন্য সম্ভাব্য ২৫ জনের নাম ঘোষণা করেছে তারা। গত বছর এ পুরস্কার জিতেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। এবার তার উত্তরসূরি হিসেবে কার হাতে পুরস্কার উঠবে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

১৮ অক্টোবর তালিকা ঘোষণার পর থেকেই চলছে নানা আলোচনা। কে হতে পারেন এবারের সেরা তরুণ ফুটবলার? ২৮ অক্টোবর প্যারিসে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীর নাম। ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্য সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নারাজ, নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন পছন্দের বিজয়ীকে। সেই তালিকায় অবশ্য ওপরের দিকেই রয়েছেন লামিনে ইয়ামাল, এনদ্রিক, আলেহান্দ্রো গারনাচো এবং কোভি মাইনুরা। গত মৌসুমের পারফরম্যান্স ও প্রভাব বিবেচনা করলেও এই নামগুলোই বিশেষভাবে সামনে আসে।

তবে অনেকেই অবশ্য বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই বেছে নিচ্ছেন ইয়ামালকে। এর পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। অভিষেকের পর থেকে একের পর এক রেকর্ডভাঙা ইয়ামালের সবচেয়ে বড় অর্জন স্পেনের হয়ে ইউরো জয়। এ ছাড়া বার্সার হয়ে যখনই মাঠে নেমেছেন আলো ছড়িয়েছেন এখনো কৈশোরের বৃত্তে থাকা এই উইঙ্গার। এরই মধ্যে অনেকে তাকে লিওনেল মেসি ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গেও তুলনা করছেন।

গত মৌসুমে ইয়ামালের পরিসংখ্যানও বেশ উজ্জ্বল ছিল। ৫০ ম্যাচ খেলে ৭ গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেছেন ৯ গোলে। তবে পরিসংখ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ম্যাচে তার প্রভাব ছিল অসামান্য। ইয়ামালের পারফরম্যান্সের সূত্র ধরেই হয়তো ট্রান্সফারমার্কেট সম্ভাব্য পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তার কথা বলেছে। সেটি হলে সর্বকনিষ্ঠ পুরস্কার বিজয়ীও হবেন ইয়ামাল।

এর আগে ২০২২ সালে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ইয়ামালের স্পেন ও বার্সা সতীর্থ গাভি। তবে এবার গাভিকে ছাড়িয়ে ইয়ামালের জন্য সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।

মনোনীত ২৫ জনের তালিকায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি দাপট দেখা গেছে প্রিমিয়ার লিগের। বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ লিগ থেকে তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৭ ফুটবলার। এ ছাড়া অন্য লিগগুলোর মধ্যে লা লিগা থেকে ৫ জন, লিগ আঁ থেকে ৪ জন এবং বুন্দেসলিগা থেকে ৩ জন ফুটবলার জায়গা পেয়েছেন। আর ক্লাব হিসেবে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পিএসজি থেকে। এ দুই ক্লাব থেকে জায়গা পেয়েছেন ৩ জন করে ফুটবলার।


মিরপুরে সেঞ্চুরি করে গিলক্রিস্ট-ম্যাককালামদের পাশে ভেরেইনে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুরে প্রথম দিনের উইকেট দুই দলের জন্যই ছিল চরম হতাশার। বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার পরে ৬ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। প্রথম দিনে সফরকারীদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৩০ রানের। স্বীকৃত ছয় ব্যাটারের আউট হওয়ার পরে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই গুটিয়ে দেওয়ার আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি ঢেলে দেন প্রোটিয়াদের উইকেট রক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরেইনে।

ব্যাটিং ব্যর্থতার রাজ্যে ঘুরে দাঁড়ান চিলেকোঠার সেপাই হিসেবে। দুর্দান্ত দুটি জুটি গড়েন মুল্ডার আর ডেন পেটের সঙ্গে। টাইগার বোলারদের ইচ্ছামতো শাসন করেছেন ভেরেইনেরা। মিরাজ-নাঈমদের বিপক্ষে দুর্দান্ত সব সুইপশট খেলেছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও।

১৮ রানে দিন শুরু করেছিলেন ভেরেইনে। সঙ্গে ছিলেন উইয়ান মুল্ডার। মুল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১১৯ রানের জুটি। হাফসেঞ্চুরি করে মুল্ডার ফিরলে একপাশ আগলে রেখে ডেন পেটকে সঙ্গে নিয়ে আবারও পথচলা শুরু করেন তিনি। ১৩৪ বল খেলে ভেরেইনা শতরানে পা রাখেন লাঞ্চের পর। খ্যাপাটে, আবেগময় ও দীর্ঘ উদযাপনে ২৭ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান বুঝিয়ে দেন, এই সেঞ্চুরি তার কাছে বিশেষ কিছু।

সেঞ্চুরির পর ১৪ রান যোগ করতে পারেন তিনি। মিরাজের বলে লাইন মিস করলে বল চলে যায় লিটন দাসের কাছে। তিনি স্টাম্প ভাঙতে ভুল করেননি। ভেরেইনে ফেরত যান স্টাম্পড আউট হয়ে। এর আগে ১৪৪ বল থেকে করেন ১১৪ রান। ইনিংসে ৮ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কাও হাঁকান তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে থামা প্রোটিয়াদের ১১৪ রানই এসেছে ভেরেইনের ব্যাট থেকে।

এই সেঞ্চুরিতে ভেরেইনে নাম লিখিয়েছেন এক মাইলফলকে। বাংলাদেশের মাটিতে সফরকারী কোনো দলের ১০ম উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। এই কীর্তিটি প্রথম করেন জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ২০০১-০২ মৌসুমে চট্টগ্রামে অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

ভেরেইনের আগে সর্বশেষ এই কীর্তিটি ছিল লোরকান টাকারের। গত বছর মিরপুরে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন আইরিশ উইকেটরক্ষক। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্টও বাংলাদেশে এসে টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছেন।


নেইমারের প্রত্যাবর্তনের রাত আল হিলালের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলীয় এক জীবনে আর কতদিন! এই অল্প সময়েরও বড় একটা অংশ মাঠের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান পোস্টারবয় নেইমার জুনিয়রকে। বেশ কয়েকবার যেতে হয়েছে ডাক্তারের ছুরি-কাঁচির নিচে। ইনজুরি যেন নেইমারের নির্লজ্জ প্রিয়তমা। যাকে কোনোভাবেই পিছু ছাড়ানো যায় না। সর্বশেষ ইনজুরিতে কাঁটায় কাঁটায় এক বছর চার দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে নেইমারকে। ক্যারিয়ারের শেষ ভাগে এসে এই অপেক্ষা বেশ কঠিন ছিল নেইমারের জন্য।

নেইমারের মতোই তার ভক্তরাও অধীর আগ্রহে প্রিয় তারকার ফেরার অপেক্ষা করছিল। অপেক্ষায় ছিল ১২০ গজের সবুজ মাঠে প্রিয় তারকার পায়ের কারকার্ড দেখার। চোট সারিয়ে কবে ফিরবেন নেইমার? এই প্রশ্ন বহুবারই শুনতে হয়েছে জর্জ হেসুস কিংবা ব্রাজিলিয়ান কোচদের। সেই অপেক্ষার শেষ হলো গতকাল রাতেই। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটে আল আইনের বিপক্ষে মাঠে নামলেন নেইমার। গোল-অ্যাসিস্ট না পেলেও এদিন দলের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছেন মাঠে থেকেই।

৭৭তম মিনিটে বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন নেইমার। আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের সঙ্গে পাস আদান-প্রদান করে বক্স থেকে শট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। শট নিলেও আল আইন গোলরক্ষকের কারণে সেটায় গোল পাওয়া হয়নি নেইমারের। ম্যাচে যোগ করা ১৬ মিনিট সময়েও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। সেটিও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।

স্বাচ্ছন্দ্যে ম্যাচ শেষ করার তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়ায় ব্রাজিল জাতীয় দলের রেকর্ড গোলদাতা বলেন, ‘আমি ভালো বোধ করছি। আমি সব সময় ভালো দল পেয়েছি। আমি খুব খুশি। আমি ফিরে এসেছি! আমি ফিরে এসেছি!’

৯ গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে আল হিলালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সালেম-আল দাসারি। আল আইনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সুফিয়ান রাহিমি। দুই হ্যাটট্রিকের ম্যাচে জয়টা পেয়েছে নেইমারের দলটা। আল আইনকে হারিয়েছে ৪-৫ গোলের ব্যবধানে।

গত বছর ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। এসিএল চোটের পাশাপাশি হাঁটুর মিনিসকাসেও আঘাত পেয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শুরু হয় তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল ‘নেইমারের জন্য অপেক্ষা।’ ৩৬৯ দিন পর ঘুচল সেই অপেক্ষা।

তবে আল হিলালের সব ম্যাচে এখনই দেখা যাবে না নেইমারকে। কারণ সৌদি প্রো লিগে আল হিলাল এখনো রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেনি নেইমারকে। আগামী জানুয়ারিতে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ক্লাবকে। এর আগে অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে আরও একবার মাঠে নামবেন নেইমার।


মাহমুদুল-মুশফিকের ব্যাটে আলোর খোঁজে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও ব্যাটারদের অসহায়ত্বের দেখা মিলল। মাত্র ৪ রানের মধ্যেই নাই দুই উইকেট। এতেই জেঁকে বসল ইনিংস হারের শঙ্কা। তবে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর মুশফিকুর রহিমের লড়াইয়ে সেই শঙ্কা কিছুটা কমেছে। যদিও এখনো ম্যাচে এগিয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাই। টাইগার ব্যাটারদের যে অবস্থা তাতে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তৃতীয় দিনেই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয়ে যাওয়ার।

আগের দিন ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়লেও দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। এক সেঞ্চুরিতে ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। এতে ২০২ রানের বড় লিডের চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করেছে স্বাগতিকরা। সফরকারীদের চেয়ে এখনো পিছিয়ে আছে ১০১ রানে। আলোকস্বল্পতার কারণে কিছু ওভার বাকি রেখেই দিনের খেলা শেষ হয়। অপরাজিত আছেন দুই ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় (৩৮) আর মুশফিকুর রহিম (৩১)। এ দুজনের ব্যাটেই অনেকটা নির্ভর করছে এই টেস্টে বাংলাদেশের ভাগ্য।

আগের দিন ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা এদিন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলতে থাকে টাইগার বোলারদের। আগের দিন সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা এদিন এক সেঞ্চুরির সঙ্গে পেয়েছে এক হাফসেঞ্চুরিও। মিরাজের বলে ফেরার আগে ১৪৪ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন কাইল ভেরেইনে। আর ১১২ বলে ৫৪ রান আসে মুল্ডারের ব্যাট থেকে। এতেই ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিনে দুটি করে উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ আর মেহেদী হাসান মিরাজ।

মিরপুরের কন্ডিশন বিবেচনায় ২০২ রানের লিডটা পাহাড়সমই। এই টেস্ট বাঁচাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের জন্য। যদিও শুরুটা হয় চিরাচরিত রূপেই, ৪ রানের মাথায় নেই দুই উইকেট।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই টাইগার শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কাগিসো রাবাদা। ওভারের প্রথম বলেই সাদমান ইসলামকে ফেরান এই প্রোটিয়া পেসার। প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ এ টাইগার ওপেনার (০ ও ১)। আর চতুর্থ বলে কোনো রান করার আগেই ফেরান মুমিনুল হককে (৪ ও ০)।

মাত্র ৪ রানের মাথায় দুই ব্যাটারকে হারানোর পর মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের জুটি থেকে আসে ৯৮ বলে ৫৫ রান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি শান্ত (২৩)। শান্তর বিদায়ের পর অবশ্য আর কোনো বিপদ হতে দেয়নি জয়-মুশফিক জুটি। এ জুটির রান এখন পর্যন্ত ৫০ বলে ৪২। ফলোঅন এড়াতে বড় জুটি গড়ার বিকল্প নেই বাংলাদেশের।


মিরপুরের উইকেট দেখে ‘বিস্মিত’ রাবাদা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিনবান্ধব। তবে গতকাল দিনের প্রথম সেশনে দেখা মিলেছে ভিন্ন কিছুর। প্রোটিয়া পেসারদের তোপের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সফরকারীদের দুই পেসার কাগিসো রাবাদা আর মুল্ডার মিলে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। সফরকারীদের ৬ উইকেটের পাঁচ উকেটই নিয়েছে স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মিরপুরে প্রথম দিনেই উইকেটের এমন আচরণ দেখে অবাক প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাবাদা বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা অনেক অবাক হয়েছি উইকেটের আচরণ দেখে। আমরা ভেবেছিলাম টার্নিং উইকেট হবে। তবে নতুন বলে এখানে মুভমেন্ট হয়েছে। খুব বেশি সুইং হয়নি আসলে তবে সিম মুভমেন্ট ছিল।

আসলে সত্যি কথা বলতে গেলে নেটেও এরকম উইকেট ছিল। সাধারণত নেট আর ম্যাচের পিচ কাছাকাছিই থাকে। স্পিনারদের জন্য টার্ন হচ্ছে সিমারদের জন্য সিমও হচ্ছে। আমাদের এর ফলে বেশ অবাক লেগেছে। তবে আমরা তো আর পিচ বানাই না। এমন পিচই তৈরি করা হয়েছে এবং এরকমই ছিল পিচ।’

মিরপুরের এই মাঠে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখেছিলেন রাবাদা। সেই স্মৃতির কথা আবারও মনে করলেন তিনি। রাবাদা বলেন, ‘ঢাকায় আমার ভালো কিছু খেলার স্মৃতি রয়েছে। আমার মনে হয় এই মাঠ পেসারদের সাহায্য করে থাকে, তাই না?’


চেলসিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান উদ্ধার করল লিভারপুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হতে না হতেই শুরু হয়ে গেছে শীর্ষস্থানের লড়াই। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি আর লিভারপুলের মাঝে চলছে ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতা। এখনো অবশ্য শীর্ষে আছে মোহামেদ সালাহর লিভারপুলই। সিটির কাছে জায়গা হারালেও সেটা মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানেই আবার উদ্ধার করেছে।

লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে গতকাল রাতে প্রিমিয়ার লিগে চেলসিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্না স্লটের দল। মোহামেদ সালাহর গোলে লিভারপুল এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন নিকোলাস জ্যাকসন। পরে স্বাগতিকদের জয়সূচক গোলটি করেন কার্টিস জোন্স। ৮ ম্যাচে ৭ জয় আর ১ হারে ২১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৬ জয় আর ২ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সিটি। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে মাঠে নামে ম্যানসেচস্টার সিটি। শুরুতেই পিছিয়ে পড়া সিটি শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। ৩৩ মিনিটে গাভারদিওল সমতা ফেরানোর পরে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে (৯৫তম মিনিট) জয়সূচক গোলটি করেন স্টোনস। এ জয়ে কিছু সময়ের জন্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় সিটি। তবে নামতে হয় লিভারপুল চেলসিকে হারানোয়।

লিভারপুল আর চেলসির লড়াইয়ে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। একটু একটু করে চাপ বাড়ানো লিভারপুল ২৯তম মিনিটে সালাহর সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায়। বক্সে কার্টিস জোন্সকে চেলসির ডিফেন্ডার লিভাই কলউইল ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় স্বাগতিকরা। নিজের সাবেক দল চেলসির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে ১৪ ম্যাচ খেলে এই নিয়ে পাঁচ গোল করলেন সালাহ। ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে তার মোট গোল হলো ১৬২টি। বিরতির আগে বক্সে ইংলিশ মিডফিল্ডার জোন্স গোলরক্ষক রবের্ত সানচেসের বাধায় পড়ে গেলে ফের পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআর মনিটরে দেখে এবার সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই সমতায় ফেরে চেলসি। কাইসাদোর থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে নিচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সেনেগালের জ্যাকসন। শুরুতে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

লক্ষ্যে এটাই ছিল চেলসির প্রথম শট। তাদের সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য তিন মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। সালাহর ক্রস বক্সে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, দ্বিতীয় ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে লিভারপুলকে ফের এগিয়ে নেন জোন্স। বাকিটা সময় ব্যবধান ধরে রেখে লিগে টানা চতুর্থ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। আট ম্যাচে সাত জয়ে তাদের পয়েন্ট ২১।


গোল উৎসবে ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সাড়ল বার্সেলোনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

লা-লিগার দুরন্ত ঘোড়া বার্সেলোনা। ক্লান্তিহীনভাবে ছুটে চলছে তাদের জয়রথ। হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় পুরোটাই বদলে গেছে স্পেন জায়ান্টরা। আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে এবার সেভিয়ার জালে গোল উৎসব করলো কাতালুনিয়ারা। দুর্দান্ত রবার্ট লেভানদোভস্কি সঙ্গে ‘সুপার সাব’ পাবলো তোরে। দুজনের পায়ের জাদুতে এল-ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সেরে রিয়ালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়ালো বার্সেলোনা।

গতকাল রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে লা লিগায় সেভিয়াকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। লেভানদোভস্কি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পরে ব্যবধান বাড়ান পেদ্রি এরপর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেভানদোভস্কি। শেষ দিকে বদলি নেমে জোড়া গোল করেন পাবলো তোরে। শেষদিকে সেভিয়ার হয়ে সান্তনার গোল করেন ইদুম্বো। ১০ ম্যাচে ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করলো বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ।

বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করলেও শুরুতে আক্রমণে অতটা ধারাল হতে পারছিল না বার্সেলোনা। ২২তম মিনিটে রাফিনিয়াকে সেভিয়ার ফের্নান্দেস বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট-কিকে দলকে এগিয়ে নেন লেভানদোভস্কি।

এরপরই বিধ্বংসী হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। ২৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে পেদ্রির দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতালুনিয়ারা। ইয়ামালের পাস থেকে বল নিয়ে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

৩৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যান লেভানদোভস্কি। বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার জোরাল শটে স্রেফ পা ছুঁয়ে দিক পাল্টে দেন পোলিশ তারকা। জার্ড মুলারকে (৩৬৫) ছাড়িয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের হিসাবে সর্বোচ্চ লিগ গোলের তালিকায় তিন নম্বরে উঠে গেলেন লেভানদোভস্কি (৩৬৬)। তার ওপরে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (৪৯৫) ও লিওনেল মেসি (৪৯৬)। এবারের লা লিগায় ১০ ম্যাচে তার গোল হলো সর্বোচ্চ ১২টি। আর মৌসুমের গোল ১৪টি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেভিয়ার জালে রাফিনিয়া বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ৭২তম মিনিটে লুকবাকিও বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।

৭৬তম মিনিটে ইয়ামাল ও ফাতিকে তুলে তোরে ও জেরার্দ মার্তিনকে নামানো হয়। পাঁচ মিনিট পরই গোলের দেখা পেয়ে যান তোরে। বক্সে তার শট প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। পরের মিনিটে দর্শকদের তুমুল করতালির মাঝে প্রায় এক বছর পর মাঠে ফেরেন গাভি। তাকে জায়গা দিতে উঠে যান যিনি, সেই পেদ্রি অধিনায়কের আর্মব্যান্ডও পরিয়ে দেন এই সতীর্থকে। ৮৭তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠান ইদুম্বো। পরের মিনিটেই নিজের দ্বিতীয় গোলে চার গোলের লিড পুনরুদ্ধার করেন তোরে।


বাফুফে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান ক্রীড়া উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর শুধু বিসিবিতেই দেখা গেছে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। বিসিবির বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তেও জড়িয়েছেন তিনি। দিন চারেক পরই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। এমন সময়ই হঠাৎই বাফুফেতে গেলেন উপদেষ্টা।

ক্রীড়া উপদেষ্টার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন না বাফুফের বিদায়ী নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্য। তিনি বাফুফের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে বাফুফের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। কর্মকর্তাদের না থাকার ব্যখ্যা দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘কর্মকর্তাদের অনেককে নিয়ে দুদক কাজ করছে। এজন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় আসিনি।’

ক্রীড়া উপদেষ্টা বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারকে পাশে রেখে বলেন, ‘বিসিবিতে গিয়েছিলাম। বাফুফে নির্বাচন চলছে। এ নিয়ে অনেক কিছুই শুনছি, অভিযোগও আছে। এজন্য আজ বাফুফেতে আসা। এ নিয়ে কথা বললাম।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাফুফে নির্বাচনই প্রথম। এই নির্বাচন নিয়ে গোটা ক্রীড়াঙ্গনই তাকিয়ে রয়েছে। তবে এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে সন্দিহান খোদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। ‘বাফুফের নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় এ নিয়ে আমি সন্দিহান। আগের অনেক কাউন্সিলরই এখনো স্ব-পদে বহাল রয়েছেন। যাদের অনেকে পলাতক ও আসামি- এ রকমটা শুনেছি। ফিফার বাধ্যবাধকতা, বাফুফের নিয়মের দিকে সম্মান রাখতে হচ্ছে।’

ফুটবলে মাঠের অভাব দীর্ঘদিনের। অন্যদিকে কয়েকদফা পিছিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংষ্কারের কাজ। ১১ অক্টোবর থেকে ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, মাঠের অভাবে সেটি দেড় মাস পিছিয়েছে। তবে মাঠ নিয়ে আশার কথাই শোনালেন উপদেষ্টা। ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রাথমিক বাজেট ছিল ৯৮ কোটি। সেটা বেড়ে এখন ১৫৫। আমার কাছেও ফাইল এসেছিল। আমি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছি। ফ্লাডলাইটে একটু সময় লাগতে পারে। এই স্টেডিয়ামে এত ব্যয়ের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই সেভাবে হয়নি। চট্রগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ফুটবলের জন্য ডেডিকেট করব।’

দেশে একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল ফুটবল। এখন ফুটবলের আগের সেই অবস্থা না থাকলেও ফুটবলের জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ‘প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১০ সালের পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেই জনপ্রিয়তা নেই। এজন্য অনেকাংশে দায়ী যারা বাফুফের দায়িত্বে ছিলেন। এমনও শুনেছি, এখানে পৃষ্ঠপোষকতা এলে ৭০% ব্যয় হয়, বাকি ৩০% পকেটে যেত।’


তাইজুলের ফাইফারের পরও এগিয়ে প্রোটিয়ারা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

মিরপুরের চেনা মাঠেও দেখা মিলল অচেনা বাংলাদেশের। একেবারে অচেনা বললে বোধহয় কিছুটা ভুলই হবে। গত বছর খানিক সময়জুড়ে ব্যাটারদের এমন ছন্নছাড়া অবস্থা অনেকটা চেনা-ই হয়ে গেছে দর্শকদের কাছে।

গতকাল মিরপুরে সেটারই আরেকবার মঞ্চায়ন হলো। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ব্যাটিং লাইনআপ। টপঅর্ডার থেকে মিডল অর্ডার; প্রতিরোধ গড়ার সক্ষমতা হয়নি কারোরই। এমন অবস্থায় লেজের ব্যাটারদের ওপর ভরসা করাটা একটু বেশিই বিলাসিতা হয়ে যায়। তবে শেষ বিকেলে নিজেদের প্রধান কাজটা ঠিকঠাক মতোই করেছে বোলাররা। তাতে একটু স্বস্তিও ফিরেছে বটে।

বাংলাদেশকে স্বস্তির সুবাস দেওয়া বোলারটা তাইজুল ইসলাম। প্রোটিয়া ব্যাটারদের গলার কাঁটা হয়ে যিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। প্রোটিয়াদের ছয় ব্যাটারের মধ্যে পাঁচজনকে তিনি একাই ফিরিয়েছেন। তার ফাইফারে ব্যাটারদের ব্যর্থতা কিছুটা ঘুচেছে। তবে, প্রথম দিনে এগিয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাই।

মিরপুর টেস্টে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪ রানে এগিয়ে আছে সফরকারীরা। এর আগে ৪১ ওভারে ১০৬ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।

বাংলাদেশকে দ্রুত অলআউট করে প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগারদের মতোই সফরকারীদেরও শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারে এইডেন মার্করামকে (৬) সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সাঁড়াশি আক্রমণ চালান স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রোটিয়াদের কোনো ব্যাটারকেই ইনিংস লম্বা করতে দেননি তিনি। তাইজুলের প্রথম শিকার তিনে নামা ট্রিস্টান স্টাবস (২৩)। চারে নামা ডেভিড বেডিংহামকেও ফিরিয়েছেন দ্রুতই (১১)।

এরপর উইকেটে থিতু হওয়া ওপেনার টনি ডি জর্জিকে ফিরিয়েছেন তাইজুল ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই (৩০)। প্রথম দিনে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের স্কোর। একই ওভারে ব্রিটজেকে ফিরিয়েছেন বোকা বানিয়ে। অফ স্টাম্পের ওপর পিচ করা ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। এই উইকেট নিয়ে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাইজুল।

এরপর ইনিংসের ৩২তম ওভারে রায়ান রিকেলটনকে ফিরিয়ে ফাইফার তুলে নেন তাইজুল। এ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৩ বার এক ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট শিকার করলেন তাইজুল ইসলাম।

এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে টিকতে পেরেছে কেবল দুই সেশন। চারজন বাদে ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেনি আর কেউ। ওপেনার সাদমান ইসলাম শুরু করেন যাওয়া-আসার মিছিল। এরপর একে একে সবাই যোগ দেন সেই মিছিলে। মুমিনুল (৪), শান্ত (৭), মুশফিক (১১), লিটন (১) হাল ধরতে পারেনি কেউই।


৫ আগস্টের পরিবর্তন মেনেই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে: তৌহিদ হোসেন

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য অচলাবস্থা নিরসনের ব্যাপারে ঢাকা আশাবাদী
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য মন্দার একটি সমাধান আশা করছে, যা গত দুই থেকে তিন মাস ধরে অব্যাহত রয়েছে।

রোববার সার্কের ৪০তম সনদ দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সার্ক : দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ সহযোগিতা কামনা করে’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ‘সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম’ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মন্দা শুধু বাংলাদেশ নয়- ভারতকেও প্রভাবিত করছে। এতে কলকাতার ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা আশা করি এমন অচলাবস্থার দ্রুত সমাধান হবে।’

তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) জন্য আগামী (সোমবার) ঢাকায় আসছেন। এ সফরকালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সমস্যা এবং পারস্পরিক উদ্বেগের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেশীদের মধ্যে খোলামেলা সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে হোসেন বলেন, ‘আমরা যদি সমস্যার সমাধান করতে চাই, আমাদের প্রথমে তাদের অস্তিত্ব স্বীকার করতে হবে। ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের গুণগত পরিবর্তন হয়েছে, সেটা মেনে নিয়েই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে।’

সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এ সেমিনারের আয়োজন করে, যা আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করতে বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে।

আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক পুনরায় শুরু করার আশা প্রকাশ করেন, যা এক দশক ধরে স্থগিত রয়েছে।

তিনি পরামর্শ দেন যে এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার পথ প্রশস্ত এবং শেষ পর্যন্ত একটি সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

আঞ্চলিক ব্লককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করার জন্য একজন ভারতীয় কূটনীতিকের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সার্ক মৃত বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু এটিকে কবর দেওয়া উচিত নয়।’

উপদেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং এই অঞ্চলের সম্মিলিত সুবিধার জন্য সদস্য দেশগুলোকে দ্বিপক্ষীয় মতপার্থক্য কাটিয়ে উঠার আহ্বান জানান।

তৌহিদ উল্লেখ করেন যে, সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ১০ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। মূলত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণেই এটি স্থবির হয়ে পড়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।


ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ। ফাইনালে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে রোববার ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিল যুবা টাইগাররা।

গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মত যুব এশিয়া কাপ জিতেছিলো বাংলাাদেশ।

এছাড়া ২০১৯ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে ফাইনালে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরেছিলো বাংলাদেশ। পাঁচ বছর পর ফাইনালের মঞ্চে তারই প্রতিশোধ নিলো আজিজুল হাকিমের দল।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারে ১৭ রান তুলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও কালাম সিদ্দিকি। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন কালাম।

এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আবরার ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম। উইকেটে সেট হয় ছোট ইনিংস খেলেই বিদায় নেন তারা। আবরার ২০ ও ইনফর্ম হাকিম ১৬ রানে আউট হন।

৬৬ রানে ৩ উইকেট পতনের পর হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে বাংলাদেশের রান তিন অংকে নেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। দলীয় ১২৮ রানে জেমসের আউটে ভাঙ্গে জুটি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৭ বলে ৪০ রান করেন জেমস।

জেমসের আউটে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় স্কোরের আশা শেষ হয়ে যায় তাদের। ৩টি চারে ৬৫ বলে রিজানের ৪৭ এবং উইকেটরক্ষক ফরিদ হাসানের ৩টি চারে ৩৯ রানে কল্যাণে ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। যুধাজিত গুহ, চেতন শর্মা ও হার্ডিক রাজ ২টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ১৯৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ওপেনার আয়ুশ মাত্রেকে ১ রানে বোল্ড করেন বাংলাদেশ পেসার আল ফাহাদ।

আরেক ওপেনার বৈভব সূর্যবংশীকে ৯ রানে আউট করেন আরেক পেসার মারুফ মৃধা। ২৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় ভারত।

জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের দারুন বোলিং নৈপুন্যে ধসে পড়ে ভারতের মিডল অর্ডার। ২৩তম ওভার ৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ভারত। এসময় ৩ উইকেট নেন ইমন।

লোয়ার-অর্ডারে বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন হার্দিক ও চেতন। কিন্তু দু’জনকে শিকার করে ভারতকে ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা নিশ্চিত করেন হাকিম। ভারতের পক্ষে অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান সর্বোচ্চ ২৬ ও হার্দিক ২৪ রান করেন।

হাকিম ৮ রানে এবং ইমন ২৪ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া ফাহাদ ২টি, মারুফ ও রিজান ১টি করে উইকেট নেন।

দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে ফাইনালের ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইমন। টুর্নামেন্টে ১৩ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন ইমনই।

যুব এশিয়া কাপে নয়বার ফাইনাল খেলে এবারই প্রথম শিরোপা জিততে পারলো না ভারত।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এক অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং ভবিষ্যতেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিজয়ের মাসে আন্তর্জাতিক বিজয়ের জন্য গর্বিত জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।'


পাকিস্তানকে উড়িয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাজমুল সাগর

টস জিতে বোলিং করাকেই বেছে নিলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের পেসাররা। যুব টাইগারদের পেস আগুনের সামনে দাঁড়াতেই পারল না পাকিস্তানের যুবরা। ২২ গজে দাপট দেখিয়ে অল্প রানেই বেঁধে রাখল পাকিস্তানকে। এরপর সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ জয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আর এক ম্যাচ দূরে যুব টাইগাররা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত।

শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৬ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২ ওভার ১ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলল বাংলাদেশ।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় দুবাইয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের যুবারা। কাকতালীয়ভাবে দুই দলই চলতি আসরের গ্রুপপর্বে রানারআপ হয়েছিল। অর্থাৎ তিনটি করে ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা বিদায় নিয়েছে যুব এশিয়া কাপ থেকে।

এর আগে ২০১৯ আসরের ফাইনালে প্রথমবার খেলতে নেমে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। গত আসরের সেমিফাইনালে অবশ্য সেই প্রতিশোধ তুলে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। পরে আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছিল যুব টাইগাররা। ভারতের বিপক্ষে এবার লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা।

ম্যাচের শুরু থেকেই পাকিস্তানের ব্যাটারদের ওপর দাপট দেখাতে থাকেন বাংলাদেশের পেসাররা। মারুফ-ইমনদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট। পুরো ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র চারজন ব্যাটার।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে কাঁচি চালান মারুফ মৃধা। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান ওপেনার উসমান খানকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান আরেক ওপেনার শাহজাইব খানকেও।

এরপর শুরু করেন ইকবাল হোসেন ইমন। অধিনায়ক সাদ বেগকে (১৮) ফিরিয়ে ভাঙেন প্রতিরোধ। থিতু হওয়া মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহকেও (২৮) ফেরান তিনিই। ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করা ফারহান ইউসুফকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ধ্বংসস্তূপে ফেলে দেন দেবাশীষ সরকার। ৩২ বল থেকে ৩২ রান করেন তিনি। এরপর বাকিরাও ফিরেছেন দ্রুতই।

বাংলাদেশের হয়ে ৭ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন ইকবাল হোসেন ইমন। ৬ ওভারে ২৩ রান খরচায় ২টি উইকেট নেন মারুফ মৃধা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করা বাংলাদেশ হোঁচট খায় সপ্তম ওভারে। কাটা পড়েন ওপেনার কালাম সিদ্দিকী (০)। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। একটু পরই ফিরে যান আরেক ওপেনার জাওয়াদও (১৭)। তবে শিহাব জেমসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তামিম। দুজনে মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি।

২৬ রান করে শিহাব জেমস ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ততক্ষণে অবশ্য বাংলাদেশ ফাইনাল ছুঁয়ে ফেলেছে। পরে রিজান হোসেনকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেই মাঠ ছাড়েন তামিম। খেলেন ৪২ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ৭ চার আর ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল তামিমের ইনিংস।

অন্যদিকে, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ১৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। লক্ষ্য তাড়ায় ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে আসন্ন আইপিএলে দল (রাজস্থান রয়্যালস) পাওয়া ব্যাটার বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ৩৬ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় তিনি ৬৭ রান করেন। এ ছাড়া মহাত্রে ৩৪, অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান ২৫ ও আন্দ্রে সিদ্ধার্থ ২২ রান করলে ২১.৪ ওভারেই ভারতের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।


banner close