শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঈদের আনন্দ ডাবল হতে পারে বাংলাদেশের জয়ে

চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত
প্রকাশিত
চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত
প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২৪ ২১:৩৯

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। প্রস্তুত শেষ সমীকরণের মঞ্চও। নেপালের বিপক্ষে বড় অঘটন না ঘটলেই সুপার এইচে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশ। ডি-গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে। যে মাঠে বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল। খেলার চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

বিশ্বকাপের শুরুতে বাংলাদেশকে নিয়ে যতটা সমালোচনা হয়েছিল, তার সবটাই মিলিয়ে গেছে বিশ্বকাপে টাইগারদের পারফরম্যান্স দেখে। প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পরের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে জিততেও হেরে গিয়েছিল। অবশ্য সে ম্যাচে আম্পায়ারদেরও কিছুটা দায় ছিল। পরের ম্যাচেই আবারও বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।

সবশেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সুপার এইটের আরও কাছে চলে গেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের এবারের আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলা টাইগারদের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ম্যাচে নেপালকে হারালেই সেই স্বপ্ন পূরণ হবে বাংলাদেশের। হারলেও সম্ভাবনা থাকবে কিন্তু তখন হিসাব মেলাতে হবে নেট রানরেটের। সেখানেও অবশ্য বাংলাদেশই এগিয়ে আছে। আর শেষ ম্যাচে যদি নেদারল্যান্ডস শ্রীলঙ্কার কাছে হারে তাহলে কোনো হিসাবই কষতে হবে না বাংলাদেশের।

নেপালের চেয়ে হিসাব-নিকাশে এগিয়েই আছে বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে এখনো কোনো জয়ের দেখা পায়নি নেপালিরা। অন্যদিকে দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ আছে সুপার এইটের কাছে। শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারানোয় আরও আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।

বাংলাদেশের চিন্তার একটাই কারণ ব্যাটিং সমস্যা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান রানে ফেরায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে টাইগার শিবির। কিন্তু লিটন-শান্তর অফফর্ম এখনো পুরোপুরি চিন্তামুক্ত করতে পারছে না। বিশেষ করে সুপার এইটের আগে অন্তত তাদের রানে ফেরাটা জরুরি।

বোলিংয়ে বাংলাদেশ যোজন যোজন এগিয়ে নেপালের চেয়ে। কারণ এই মুহূর্তে সেরা ছন্দে আছে বাংলাদেশের বোলাররা। গতির আগুন ঝড়াচ্ছে পেসার তাসকিন আহমেদ। তার সঙ্গে স্লোয়ার-বাউন্সারে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছে তানজিম হাসান সাকিব। স্পিনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসাইন। তাকে সহযোগিতা করছে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। ফিল্ডিংয়েও অন্য সময়ের চেয়ে ভালো করছে টাইগাররা। চোখ রাঙানি দিচ্ছে প্রতিপক্ষকে। মাঠে জয়ের ক্ষুধার জানান দিচ্ছে শরীরি ভাষায়।

তবে নেপালকে ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই; দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেটা করেছে সেটা দেখার পর অন্তত। প্রোটিয়া ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছিল নেপালি বোলাররা। আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে মাত্র ১১৫ রানেই আটকে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের। পরে সেই রান তাড়া করে জয়ের কাছেও চলে গিয়েছিল তারা। কিন্তু নীল হয়েছে সেই স্পিন বিষেই। তাবরিজ শামসির এক ওভারেই সব এলোমেলো হয়ে গেছে তাদের। এক রানে হেরেছে নেপাল।

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস, নেপাল-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দেখে বোঝার বাকি নেই আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামের আচরণ। স্পিনারদের সহায়তা করতে জুড়ি মেলা ভার তার। সেক্ষেত্রে এ ম্যাচেও বোলিংয়ে বাংলাদেশের কাণ্ডারি হতে পারেন রিশাদ হোসাইন। একাদশেও আসতে পারে পরিবর্তন। উইকেটের কথা চিন্তা করে, সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন জাকির হোসাইন। তার বদলে দেখা যেতে পারে শেখ মাহেদীকে। এ ম্যাচে স্পিন আক্রমণে নেপাল যদি হয় কাটা। তবে বাংলাদেশ সেই কাটা দিয়েই বের করবে কাটা। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচটি হবে ঈদের ভোরে। নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকদের ঈদের খুশিকে আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। জয় দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করার লক্ষ্যই থাকবে টাইগারদের। অবশ্য বাংলাদেশকেও হুমকি দিয়ে রেখেছেন নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাডকৌল। বাংলাদেশকে হারিয়েই গ্রুপ পর্ব শেষ করতে চায় তারা।


জামাল ভূইয়াঁকে স্বাক্ষরিত জার্সি পাঠিয়েছেন নেইমার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার তার জার্সি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়াঁকে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জার্সি তুলে দেওয়া হয়েছে জামালের হাতে। জাপানি মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হোন্ডা বাংলাদেশ ফুটসাল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। ৩২টা দল খেলবে দ্বিতীয় আসরে।

টুর্নামেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ট্রফি উন্মোচণ করা হয়, সব দলের লোগো প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে মোটো হোন্ডা দ্য অ্যামোজেনিয়া ব্রাজিলের পক্ষ থেকে নেইমার স্বাক্ষরিত ব্রাজিলের জার্সি পাঠানো হয়েছে। সেটি কাল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জামালের হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশ হোন্ডা লিমিটেডের এমডি ও সুসুমু মরিসাওয়া এবং চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।

জার্সিতে ব্রাজিলের ভাষায় নেইমার লিখেছেন ‘টু ডিয়ার জামাল ভূইয়াঁ।’ একটি ভিডিওতে ব্রাজিলের হোন্ডা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানিয়েছেন বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সি স্বাক্ষর করেছেন নেইমার। তিনিও হোন্ডা কোম্পানির দূত হয়ে কাজ করছেন, বাংলাদেশে কাজ করছেন জামাল ভূইয়াঁ। জামাল গত বছরও হোন্ডা কোম্পানি আয়োজিত ফুটসালে গিয়েছিলেন। তার মতে, প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের চেয়েও হোন্ডার ফুটসালে ভালো লড়াই হয়।


সাকিবের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন তাইজুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

শেষ ব্যাটার ম্যাথিউ হামফ্রেসের উইকেটের পতনের সঙ্গে সঙ্গে লাঞ্চের ৮২ মিনিট পর শেষ হলো আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। এরই সাথে বাংলাদেশ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের ঝুলিতে জমা পড়ল ৪ উইকেট।

এই ৪ উইকেট পাওয়ার মধ্য দিয়ে সাকিব আল হাসানকে ছুঁয়ে ফেললেন তাইজুল। দুই বাঁহাতি সাকিব ও তাইজুলেরই এখন টেস্ট উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ২৪৬ করে।

তবে একটা বড় পার্থক্য আছে। সাকিবের ২৪৬ উইকেট পেতে খেলতে হয়েছে ৭১ টেস্ট। আর তাইজুল সমান উইকেট শিকারি হলেন ১৪ ম্যাচ কম খেলে ৫৭ টেস্টে।

টেস্টে সাকিবের ৪ উইকেট আছে ১১ বার। তাইজুল তার চেয়ে ১ বার এগিয়ে ছিলেন আগেই। ৪ উইকেটসহ এখন তাইজুল ৪ উইকেটের পতন ঘটালেন ১৩ বার।

তার মানে টেস্টে সাকিব আল হাসানকে টপকে বাংলাদেশের সর্বাধিক উইকেট শিকারি হতে তাইজুলের দরকার আর একটি উইকেট। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসেই বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল টপকে যাবেন সাকিবকে।

৫৬ টেস্টে ২০৯ উইকেট নিয়ে এই তালিকায় তিন নম্বরে মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৩ টেস্টে ১০০ উইকেট শিকারি মোহাম্মদ রফিক চার নম্বরে। ৩৬ টেস্টে ৭৮ উইকেট নিয়ে সেরা পাঁচে এখনো মাশরাফি বিন মর্তুজা।


আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আগামী ২৭ নভেম্বর ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে নারী আইপিএলের মেগা নিলাম। ওই নিলামের জন্য বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার নিজেদের নাম নিবন্ধন করেছেন।

সবশেষ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত বল করে আলোচনায় আসেন পেসার মারুফা আক্তার। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত দুই ডেলিভারিতে পাকিস্তানের ব্যাটার ওমাইমা সোহেল ও সিদরা আমিনকে আউট করেছিলেন তিনি। তার সেই ইনসুইং ডেলিভারিতে ওমাইমাকে বোল্ড করার ভিডিও ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। সে সময় মারুফাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।

সহজাত ইনসুইং ডেলিভারিতে সবার নজর কাড়া মারুফা নাম লিখিয়েছেন নারী আইপিএলে। মারুফার পাশাপাশি আইপিএলে নাম নিবন্ধন করিয়েছেন স্বর্ণা আক্তার। বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ১১৬ রান করার পাশাপাশি বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নাম দিয়েছেন রাবেয়া খানও। ৭ ম্যাচে ৭ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৮৭ রান করেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারেরই ভিত্তিমূল্য ৩০ লাখ রুপি। আইপিএলের মেগা নিলামের জন্য ২২৭ ক্রিকেটার নিবন্ধন করেছেন। যাদের মধ্যে ৮৩ জন বিদেশি ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে মাত্র ২৩ জন বিদেশি ক্রিকেটার মেগা নিলাম থেকে দল পাবেন।


অ্যাশেজে বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টিভির স্ক্রিনে একবার দেখাল শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদকে। পার্থে টিভি আম্পায়ারের কক্ষে খুব মনোযোগ দিয়ে স্ক্রিনে চোখ সেঁটে আছেন। দৃশ্যটি দেখে বাংলাদেশের যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরা গর্ব হতে পারে। অ্যাশেজে বাংলাদেশি আম্পায়ার!

শরফুদ্দৌলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই এমন গর্বিত করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। গত বছরের মার্চে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে জায়গা করে নেন আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সংস্করণের বিশ্বকাপেই মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন এ বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তবে শরফুদ্দৌলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবার নজরে আসেন সম্ভবত গত বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে।

সেবার মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টে টিভি আম্পায়ার হিসেবে প্রযুক্তি এড়িয়ে নিজের চোখে যা দেখেছেন, সেটির ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত দিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন শরফুদ্দৌলা। তখন তার সেই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিলেন সাইমন টফেল, রিকি পন্টিং, রবি শাস্ত্রী ও মাইকেল ভন।

অস্ট্রেলিয়ায় সেবার আম্পায়ারিংয়ে প্রশংসা কুড়ানোর কারণেই এবার অ্যাশেজে শরফুদ্দৌলাকে দেখা যাচ্ছে কি না, কে জানে! বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা অন্তত এমন ভাবতে পারেন। তবে ৮ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ নিজেদের এক প্রতিবেদনে এর কারণ ব্যাখ্যা করে। ডিআরএসে এ বছর সেরা পারফর্ম করা এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের একটি তালিকা করে সংবাদমাধ্যমটি। তাদের মধ্যে সেরা আম্পায়াররা কেন এবার অ্যাশেজে নেই?

তার ব্যাখ্যায় বলা হয়, এই তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যালেক্স হোয়ার্ফ (ইংল্যান্ড), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড) ও রিচার্ড কেটেলবরোকে (ইংল্যান্ড) অ্যাশেজে দেখতে না পারার কারণ আইসিসির একটি নিয়ম- সিরিজের অংশ নেওয়া দুই দেশের কোনো আম্পায়ারকে নিয়োগ দেওয়া হয় না।

তালিকাটিতে থাকা নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা, আল্লাহুদেইন পালেকার এখন নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ব্যস্ত। নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানে আছেন ভারতে। সেখানে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলছে। আইসিসির এলিট প্যানেলের ১২ জন আম্পায়ারের মধ্যে শুধু ভারতের নিতিন মেনন, দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক ও বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলাকেই শুধু পাওয়া গেছে অ্যাশেজের জন্য। পার্থে নামার আগে এ বছর টেস্টে শরফুদ্দৌলার বিপক্ষে ২৯টি রিভিউয়ে ১০-বার তাকে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এই তালিকায় সবার শেষে (১২তম) শরফুদ্দৌলা।

পার্থে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিতিন মেনন ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক। শরফুদ্দৌলা আছেন টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে। তবে ব্রিসবেনে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে পাল্টে যাবে তার ভূমিকা। ব্রিসবেনে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দেখা যাবে তাকে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা চাইলে শরফুদ্দৌলাকে নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেই পারেন। অ্যাশেজের মতো কুলীন সিরিজে বাংলাদেশের আম্পায়ারকে দেখা যাবে-এই ব্যাপারটাই তো অন্যরকম। শরফুদ্দৌলা সেখানে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে পা রেখেছেন অ্যাশেজে। সিরিজের বাকি তিন টেস্টে অবশ্য শরফুদ্দৌলাকে দেখা যাবে না। ব্রিসবেন টেস্ট শেষে অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনিতে দেখা যাবে, নিতিন মেনন, জেফ ক্রো, আহসান রাজা ও ক্রিস গ্যাফানিকে।


মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরির পর মিরপুরে বোলারদের দাপট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অলআউট করেও তৃপ্তি পেল না আয়ারল্যান্ড। দেড় দিন ফিল্ডিং করার পর নিজেরা ব্যাটিংয়ে নেমে নেই স্বস্তিতে। অবস্থা এমন ফলো অনের শঙ্কায় পড়েছে। সঙ্গে হারও চোখ রাঙাচ্ছে তাদের।

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন দলীয় ৯৮ রানে শেষ করেছে আয়ারল্যান্ড। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এই রান করতে ইতোমধ্যে অর্ধেক উইকেট হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশের থেকে এখনো ৩৭৮ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। আজ আইরিশদের হয়ে তৃতীয় দিন শুরু করবেন লরকান টাকার (১১) ও স্টেফেনি ডোহেনি (২)।

নিজেদের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল আইরিশরা। তবে দলীয় ৪১ রানে পল স্টার্লিং আউট হতেই ব্যাটিং ধসে পড়ে তারা। ব্যক্তিগত ২৭ রানে আয়ারল্যান্ডের ওপেনারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে উইকেটের দরজা খোলেন খালেদ আহমেদ। পরে উইকেট উদযাপনে যোগ দেন তিন স্পিনার হাসান মুরাদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ। অন্যদিকে তৃতীয় উইকেট নেওয়া মিরাজের বিপরীতে দিনের পঞ্চম উইকেটটি নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

দিনের শুরুতে স্বপ্নের সেঞ্চুরি পান মুশফিকুর রহিম। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া থেকে এক রানের দূরত্ব নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। দিনের দ্বিতীয় ওভারে জর্ডান নিলের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি।

তাতে ইতিহাসে ঠাই পান। বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি। মমিনুল হকের সঙ্গে এখন টেস্টে যৌথভাবে ১৩ সেঞ্চুরির মালিক তিনি।

সেঞ্চুরি করার পর অবশ্য ইনিংস লম্বা করতে পারেননি মুশফিক। ৫টি চারে ১০৬ রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। তবে তাকে ফিরিয়েও শান্তি পাননি আয়ারল্যান্ডের বোলাররা। তাদের ওপর শাসন করে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন লিটন দাস। ৮টি চার ও ৪ ছক্কায় ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তার ১২৮ রানের ইনিংসটি প্রথম শ্রেণির ১০০তম ম্যাচে এসেছে।

লিটনের আগে ৪৭ রানে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনই দলীয় ৪৩৩ রানে আউট হন। তাদের আউটের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লেজের ব্যাটিং অর্ডার। শেষ ৫ উইকেট ৪৩ রানে হারায় বাংলাদেশ। সে যাই হোক সব মিলিয়ে মিরপুর টেস্টে এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি জুটি গড়েছে বাংলাদেশ। যা রেকর্ড। তিন সেঞ্চুরি জুটিতে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৪৭৬ রানে। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।


দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে শততম টেস্টের সেঞ্চুরি উৎসর্গ মুশফিকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় টেস্ট খেলছেন মুশফিকুর রহিম। মিরপুর টেস্ট যে তার ক্যারিয়ারের শততম। বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটারের এমন কীর্তি নেই। বিশ্বের হিসাব কষলে, টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০ বছরের ইতিহাসে মাত্র ৮৪ জন এই মাইলফলক অর্জন করেছেন।

বিশেষ টেস্টকে আবার দারুণ এক সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন মুশফিক। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া ১১তম ব্যাটার তিনি। ক্যারিয়ারের স্মরণীয় সেঞ্চুরিটি বৃহস্পতিবার উৎসর্গ করেছেন দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে। তার মতে, তাদের দোয়াতেই বৃহস্পতিবারের অবস্থানে আসতে পেরেছেন তিনি।

দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন মুশফিক। ১০৬ রানের ইনিংস খেলা ব্যাটার বলেছেন, ‘আমার দাদা-দাদি আর নানা-নানিকে উৎসর্গ করছি। কারণ যখন বেঁচে ছিলেন, তারা আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান ছিলেন। মারা যাওয়ার আগে যখন তারা অসুস্থ ছিলেন, আমার এখনো মনে আছে, দাদা-দাদি, নানা-নানি বলেছিলেন- ভাই, তোমার খেলা দেখার জন্যও আমরা আরও কয়েকটা দিন বেঁচে থাকতে চাই।

খুব কম নাতি-নাতনির ভাগ্যে এমন কিছু জোটে। আমি এখন বলতে চাই যে তাদের দোয়ার কারণেই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। আমার সেঞ্চুরি উৎসর্গ করার মতো আরও অনেক মানুষ আছেন। কিন্তু আমি দাদা-দাদি আর নানা-নানিকে উৎসর্গ করতে চাই।’


সারাদেশে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে আমরা এসেছি: আসিফ আকবর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক এবং এজ গ্রুপ কমিটির চেয়ারম্যান শিল্পী আসিফ আকবর বলেছেন, শুধু ঢাকাকেন্দ্রীক না সারাদেশে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে আমরা এসেছি। এটাই আমাদের পরিকল্পনা। এর জন্য যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার আমরা করব।

বৃহস্পতিবার সকালে স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাচ্চারা খেলাধুলায় আসুক যেন মাদকাসক্ত না হয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে বেরিয়ে প্রত্যেক জেলায় আলাদা করে জেলা ক্রিকেট সংস্থা গড়ে তোলা হবে। এতে করে জেলার ক্রিকেট কার্যক্রম আরও পরিকল্পিত ও গতিশীল হবে।

বিসিবির এই পরিচালক বলেন, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গত ১০ বছর থেকে হচ্ছে। যেটার কোনো আউটকাম আমরা খুঁজে পাইনি। আমরা এটাকে নতুন আঙ্গিকে নিয়ে এসেছি।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের কোচ ও ঠাকুরগাঁও ক্রিকেট একাডেমির সভাপতি রাশেদ ইকবালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হাসানুজ্জামান, মেম্বার সেক্রেটারি আরমানুল ইসলাম ও বিসিবির আম্পায়ার সাকিরসহ স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক, ক্রিকেটার ও আম্পায়াররা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আসিফ আকবর ঠাকুরগাঁও স্টেডিয়ামের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।


ভারতকে হারিয়ে ফিরে গেলেন হামজা, শামিত যাবেন শুক্রবার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘ ২২ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভারতকে হারানোর প্রধান নায়ক হামজা দেওয়ান চৌধুরী। অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানো এই সুপারস্টার তার ক্লাব লেস্টার সিটিতে যোগ দিতে বুধবার সকালে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।

আরেক প্রবাসী তারকা ফুটবলার শামিত সোম ফিরে যাবেন ২১ নভেম্বর। শামিত পরিবার-পরিজনের সাথে দুইদিন সময় কাটাতে সিলেটে থাকবেন। তারপর এই মিডফিল্ডার তার কানাডার প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবে যোগ দেবেন।

গত মঙ্গলবার ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ফুটবলামোদীদের উৎসবমুখর রাত উপহার দিয়েছেন হামজারা। ২০০৩ সালের পর ভারতকে হারিয়ে উদযাপন করেছেন লাল সবুজ জার্সিধারী ফুটবলাররা।

আগামী মার্চে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। ওই ম্যাচটি খেলার জন্য আবার আসবেন হামজা চৌধুরী। ম্যাচের পর হামজা সংবাদ সম্মেলন বলছিলেন, ‘আবার দেখা হবে মার্চে।’

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটি সিঙ্গাপুরের মাটিতে। তাই হামজা কবে নাগাদ ঢাকায় এসে অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন, তা নির্ভর করবে লেস্টার সিটির ম্যাচ শিডিউলের ওপর।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে হামজা দেওয়ান চৌধুরীর অভিষেক হয়েছিল এ বছর ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে। মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল জাতীয় দলে তার সপ্তম।

অন্যদিকে শামিত সোমের ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল। এ পর্যন্ত জাতীয় দলে হামজা দেওয়ান চৌধুরী সাতটি ম্যাচ খেলে ৪ গোল করেছেন। শামিত সোম পাঁচ ম্যাচে গোল করেছেন ১টি।


বিশ্বকাপে জায়গা করে নিলো বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ কুরাসাও

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্যারিবিয়ান সাগরে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ঠিক উত্তরে অবস্থান কুরাসাওয়ের। মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার। কুরাসাও নামের এই দেশটিই কিনা জায়গা করে নিলো ফুটবল ২০২৬ বিশ্বকাপে!

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জ্যামাইকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে কুরাসাও। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আয়তনের দেশটি এখন খেলবে বিশ্বকাপ।

ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার কাছাকাছি হলেও খেলাধুলায় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে। দেশটি প্রধানত দুইটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত-একটি হলো মূল কুরাসাও দ্বীপ, আর অন্যটি জনবসতিহীন ‘লিটল কুরাসাও’।

গত ১৪ নভেম্বর হ্যামিল্টনে বারমুডাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পরই তৈরি হয়েছিল সম্ভাবনা। সমীকরণ ছিল, ১৯ নভেম্বর জ্যামাইকার বিপক্ষে ড্র করতে পারলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বিশ্বকাপ। সেই লক্ষ্য পূরণ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশটি।

ডিক অ্যাডভোকাট কুরাসাওয়ের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই মূল কারিগর কুরাসাওয়ের বিশ্বকাপ স্বপ্ন বাস্তব করার। এর আগে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম রেঞ্জার্স ও সান্ডারল্যান্ডের মতো ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।


নিজেদের ভুলে জিততে না পারলেও চিন্তিত নন ব্রাজিল কোচ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সেনেগালের পর তিউনিসিয়াকে হারানোর সুযোগও তৈরি হয়েছিল ব্রাজিলের কাছে। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে গত রাতে পিছিয়ে থাকার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় কালো আনচেলত্তির দল। পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরার পর মুহুর্মুহু প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আক্রমণ করে ব্রাজিল। কিন্তু নিজেদের ভুলেই জয়হীন থেকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আনচেলত্তির দলকে।

ফ্রান্সের লিগ ওয়ান ক্লাব লিলের মাঠ ডেকাথলন স্টেডিয়ামে গত রাতে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল-তিউনিসিয়া। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রেখেও ব্রাজিলের ফুটবলারদের মধ্যে দেখা গেছে সমন্বয়ের অভাব। ব্রাজিলের এলোমেলো ফুটবলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৩ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে গোল করেন তিউনিসিয়ার ফরোয়ার্ড হাজেম মাসতৌরি। সমতায় ব্রাজিল ফিরেছে প্রথমার্ধের শেষেই। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতাসূচক গোল করেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড এস্তেভাও।

১-১ গোলের সমতায় প্রথমার্ধ শেষের পর ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল ব্রাজিলের কাছে। তবে ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লুকাস পাকেতা। এই গোল করলে ব্রাজিলের জয়ের সমূহ সম্ভাবনা হতো। কিন্তু পাকেতার এই মিসই যে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, ম্যাচ শেষে তো সেটা স্পষ্ট। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল-তিউনিসিয়া। এদিকে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোতে শুরু হবে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ সামনে রেখে দল ঠিক পথে এগোচ্ছে আছে বলে মনে করেন কার্লো আনচেলত্তি। তিউনিসিয়া ম্যাচ শেষে ব্রাজিল কোচ বলেন, ‘বিশ্বকাপে সেরা অবস্থায় থেকে যেতে চাচ্ছি আমরা। দল সঠিক অবস্থাতেই আছে। সেনেগালের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলেছি। গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়ার বিপক্ষে খেলাটা কঠিন ছিল।’

সমতায় থাকা ম্যাচে এগিয়ে যেতে তিউনিসিয়া প্রতি-আক্রমণে বেশ কিছু গোলের সুযোগও তৈরি করে। তারা গোল না পেলেও ব্রাজিলের সামনে গোল করার সহজ সুযোগ এসেছিল। কিন্তু পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আক্রমণগুলো অনেকটাই ছিল লক্ষ্যহীন। সেখানে একটা পেনাল্টি মিস তো ব্রাজিলের জন্য অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর আনচেলত্তি বলেন, ‘তিউনিসিয়ার খেলার ধরন আলাদা। তারা দারুণ ব্লক করেছে। এমন রক্ষণভাগ চিড়ে গোল করাটা সত্যিই অনেক কঠিন।’

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে বাড়তি দুশ্চিন্তাও তৈরি হয়েছে ব্রাজিলের। লিগামেন্টের চোট নিয়ে এই প্রীতি ম্যাচেও খেলেছেন এদের মিলিতাও। তবে ৬০ মিনিটে মিলিতাও পাস দেওয়ার পর হঠাৎ থেমে গেছেন। বেশ অস্বস্তি নিয়েই তিনি মাঠ ছেড়েছেন। এর আগে এ সপ্তাহের শনিবার রাতে সেনেগালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকার পাঁচে থেকে শেষ করেছিল সেলেসাওরা। বিশ্বকাপের আগে আনচেলত্তির দলের আর কোনো ম্যাচ নেই।


২৭ বছর পর বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ড, বেলজিয়ামের ৭ গোলের জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ডেনমার্ককে ৪-২ গোলে হারিয়ে ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। সবশেষ তারা বিশ্বকাপ খেলেছিল ১৯৯৮ সালে।

এদিকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লিচেনস্টাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বেলজিয়াম। এই জয়ে তারা নিশ্চিত করেছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বও।

ম্যাচে জোড়া গোল করেন জেরেমি ডোকু ও চার্লস ডি কেটেলেরে। একটি করে গোল হেন্স ভেনাকেন, ব্রেন্ডন মেশেলে আর অ্যালেক্সিস সাইলেমেকারসের।


প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

রূপায়ন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানীর জলসিঁড়ি গলফ ক্লাবে শুরু হয়েছে প্রথম রূপায়ণ আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট। সারা দেশের বিভিন্ন গলফ ক্লাবের ৬ শতাধিক গলফার তিন দিন ব্যাপী এই টুর্ণামেন্টে অংশ নিচ্ছে।
৯ হোলের পার-৩৬ গফল কোর্সে প্রথম দিন অংশ নিয়েছে ১০০ জন গলফার। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী ও ৫ জন জুনিয়ার গলফার।
তিন দিনে সব গলফারের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে চারটি বিভাগ- সিনিয়র, জুনিয়র, রেগুলার, লেডিস-এ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে।
গতকাল প্রতিযোগিতা শুরু হলেও শনিবার শেষ দিনের সকালে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল হাসান উজ জামান। এরপর বিকেলে পুরস্কার বিতরণ করবেন জলসিঁড়ি গলফ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল রেজাউল মজিদ।

অনুষ্ঠানে রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খান রাতুল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।


স্টাম্পে আঘাত করে কত টাকা জরিমানা দিলেন বাবর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আইসিসি আচরণবিধির লেভেল–১ ভঙ্গ করায় ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে বাবর আজমকে।

বাবর আজম একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার জন্য ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। সেই হিসেবে দশ শতাংশ টাকা হলে বাবর আজমের কাটা হবে ২৭ হাজার ৭০০ টাকা।

আইসিসির খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের আচরণবিধির ২.২ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের দায়ে বাবরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে- যা ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে ক্রিকেট সরঞ্জাম বা পোশাক, মাঠের যন্ত্রপাতি কিংবা স্থাপনাগুলোর অপব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত’। এছাড়া বাবরের শৃঙ্খলার রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ করা হয়েছে। গত ২৪ মাসে এটিই ছিল তার প্রথম অপরাধ।

গত রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাবর শাস্তিযোগ্য অপরাধটি করেন পাকিস্তানের ইনিংসে ২১তম ওভারে। আউট হওয়ার পর ক্রিজ ছাড়ার আগে ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেন। পরবর্তী সময়ে বাবর নিজের অপরাধ স্বীকার করেন এবং আইসিসি আন্তর্জাতিক প্যানেলের ম্যাচ রেফারি আলী নকভির প্রস্তাবিত শাস্তিও মেনে নেন। এ কারণে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আনেন অনফিল্ড আম্পায়ার অ্যালেক্স ওয়ার্ফ ও রশিদ রিয়াজ, তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ এবং চতুর্থ আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি।

সাধারণত লেভেল-১ ভঙ্গের শাস্তি হিসেবে ন্যূনতম সতর্কবার্তা থেকে শুরু করে ম্যাচ ফির সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানা এবং একটি বা দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সিরিজটা দারুণ কেটেছে বাবর আজমের। তিন ম্যাচে ৮২.৫০ গড়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৬৫ রান করেন বাবর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাবর অপরাজিত ছিলেন ১০২ রানে। এই সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান।


banner close