মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
১১ আষাঢ় ১৪৩২

তৃণমূল থেকেই পরিবর্তন চান এনামুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৯ আগস্ট, ২০২৪ ১৯:৪৪

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পলায়ন করেছেন শেখ হাসিনা। এরপরই গাঁ-ঢাকা দিয়েছে সেই সরকারসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। ফলে শূন্য হয়েছে আছে অনেক পদই। এতে পরিবর্তনের হাওয় বইছে দেশের সব জায়গায়ই। সেই হাওয়া যে ক্রিকেট পাড়াকেও ছুঁয়ে যাবে সেটাই মনে হচ্ছে।

আগেই ক্রিকেট বোর্ডে স্বচ্ছতা ফেরানোর কথা বলেছিলেন পেসার রুবেল হোসেন ও ওপেনার ইমরুল কায়েস। এবার একই কথা জানালেন এনামুল হক বিজয়ও। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) যে সকল কাজে স্বচ্ছতা ছিল না বা নেই, সেসব জায়গায় স্বচ্ছতা ফিরবে। তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই উপকার হবে বলেও মনে করেন এই ওপেনার।

বিজয় বলেন, ‘আসলে স্বচ্ছ থাকাটা খুবই জরুরি সবার ক্ষেত্রে, আমি কেন দলে আছি, কেন বাদ পড়ছি, কোথায় খেলছি বা আমার সুযোগ-সুবিধা কতটুকু হচ্ছে, আমি কতটুকু পাচ্ছি। এই জিনিসগুলো প্রশ্নবিদ্ধ থাকে, যেগুলা আমরা সবাই চাই প্রশ্নটা সরে যাক, উত্তরটা আমরা প্রাপ্য।’

ক্রিকেট বোর্ডে ভবিষ্যতে যারা দায়িত্বে আসবে তারা ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনো দুরত্ব রাখবেন না বলেই মনে করেন ‘এ’ দলের এ ওপেনার। বিজয় বলেন, ‘আমি মনে করি ক্রিকেট বোর্ড সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। ভবিষ্যতেও যারা দায়িত্বে আসবে তারাও সহযোগিতা করবে। অবশ্যই একটা জায়গায় গ্যাপ থেকে যায়, গ্যাপগুলো পূরণ করে এগিয়ে যাব এটা আমরা সবাই আশা করব।’

পরিবর্তনটা তৃণমুল থেকে হোক সেটাই চান বিজয়। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট শুধু একক কোনো ক্রিকেটারের কথা দিয়ে পরিচালিত হয় না। এখানে আপনারা থাকবেন, সিনিয়র মানুষ থাকবে, নিচের মানুষ থাকবে। আমি মনে করি, ক্রিকেটটাকে উন্নতি করতে হলে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করতে হয়। সেটার ফল আমরা পাই। তৃণমূল পর্যায়টা মজবুত করা জরুরি। সেটা দল নির্বাচন হতে পারে, উইকেট হতে পারে, আর্থিক হতে পারে, অনুপ্রেরণা হতে পারে, চিকিৎসা হতে পারে, সুবিধাদি হতে পারে। আমাকে যদি বলেন, আমি মনে করি, তৃণমূল থেকে দারুণ গোছাল ক্রিকেট হওয়া জরুরি।’

‘ক্রিকেট খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী বা যেই হই না কেন বা সাংবাদিক বা যে পেশাতেই থাকি না কেন। আমার কাছে মনে হয় সবার আগে আমরা জনগণ। অবশ্যই আমাদের অধিকার আছে যেটা আমরা প্রাপ্য। আমরা সবাই চাইব সবকিছু গোছানোভাবে এগিয়ে যাক, ক্রিকেট বোর্ড প্রতিটা জায়গায় যেন সুবিধা পাই। দেশটা সবাই মিলে যেন আমরা এগোতে পারি।’- যোগ করেন তিনি।


জোড়া সেঞ্চুরিতে ইতিহাস পন্তের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

৯৫ রান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেছেন ২২ বল। ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশিরের বলে এক রান নিয়ে যখন সেঞ্চুরি ছুঁলেন, স্বস্তির একটা নিশ্বাসই যেন ছাড়লেন ঋষভ পন্ত। আগের ইনিংসের মতো এবার অবশ্য আর ডিগবাজি দিয়ে উদ্‌যাপন করেননি। হয়তো পরেরবারের জন্য তুলে রেখেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলিতে আজ টেস্টের চতুর্থ দিনে অনন্য এক কীর্তিই গড়ে ফেললেন পন্ত। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা অষ্টম ভারতীয় ব্যাটসম্যান তিনি, বিদেশের মাটিতে পঞ্চম। এক ম্যাচে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে সুনীল গাভাস্কারের (৩), দুবার আছে রাহুল দ্রাবিড়েও। একবার করে এমন কীর্তি আছে বিজয় হাজারে, আজিঙ্কা রাহানে, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার। পন্তের সৌজন্যে ইংল্যান্ডে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যান এই প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। তবে ভারতের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান একটা জায়গায় সব ভারতীয়ের চেয়ে আলাদা। এমনকি পুরো ক্রিকেট ইতিহাসেই তার আগে এমন অর্জন ছিল আর একজনের। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে এত দিন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ২০০১ সালে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১৪২ ও অপরাজিত ১৯৯ রান করেছিলেন। এবার তার পাশে বসলেন পন্ত। হেডিংলি টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট পাঁচটি সেঞ্চুরি দেখেছে ভারত- এর আগে দেশটির ইতিহাসে কখনো এমন কিছু দেখা যায়নি। পন্ত ছাড়াও সেঞ্চুরি করেছেন যশস্বী জয়সোয়াল, লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। চতুর্থ দিনের চা বিরতি পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করেছে ভারত, তারা এগিয়ে আছে ৩০৪ রানে। ২২৭ বলে ১২০ রান করে রাহুল দ্রাবিড় ও ১২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত আছেন করুন নায়ার। ১৪০ বলে ১১৮ রান করে আউট হয়ে গেছেন পন্ত।


প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব : উপদেষ্টা আসিফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। এটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, 'কথা দিয়েছিলাম প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। তাকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে রাজশাহীতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর নীলফামারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল। এছাড়াও পরিকল্পনায় আছে খুলনাও।'

পোস্টে আরো বলা হয়েছে, 'প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুতই মাঠে বল গড়াবে ইনশাআল্লাহ।'


টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ডে নাম ডু প্লেসির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে মনোযোগী হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ফাফ ডু প্লেসি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) টেক্সাস সুপার কিংসের হয়ে করেছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, তাতে বিরল এক রেকর্ডে ওঠেছে তার নাম। সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নের বিপক্ষে ১০০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলার সুবাদে ইতিহাসের তৃতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ৪১ বছরের ডু প্লেসি।

ম্যাচে সান ফ্রান্সিসকোর বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে সুপার কিংস নির্ধারিত ওভারে ৫ ‍উইকেটে ১৯৮ রান তুলে। ব্যাট হাতে ঝড় বইয়ে ৫১ বলেই পূর্ণ করেন, তিন অঙ্কের দেখা পান ডু প্লেসি। ৬টি চার ও ৭ ছক্কার সাহায্যে করেন বরাবর ১০০ রান।

তবে ১৯৯ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি ডু প্লেসির টেক্সাস। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ২৩ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সান ফ্রান্সিসকো। তবে ম্যাচের ফল পক্ষে না এলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন ডু প্লেসি। ৪০ বছর ৩৪২ দিন বয়সে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে বনে গেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ বয়সি ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান। তার ওপরে আছেন শুধু দুজন। ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার পল কলিংউড ৪১ বছর ৬৫ দিন বয়সে ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেন ২০১৭ সালে। এছাড়া দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে (৪১ বছর ৩৭ দিন) গ্রায়েম হিক ২০০৭ সালে একই কীর্তি গড়েছেন।


বোল্টার যেন কোর্টে নয়, খেলেন মৃত্যুর সঙ্গে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

গেল মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ফ্রেঞ্চ ওপেনের নারী এককের প্রথম রাউন্ডে ম্যাচটা স্বাগতিক এক টেনিস তারকাকে হারিয়ে জিতেছিলেন ব্রিটিশ টেনিস সুন্দরী কেটি বোল্টার। সেটিও প্রথম সেটে টাইব্রেকারে হারের পর কঠিন এক লড়াই শেষে দুই সেটে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছিল, যা তার জন্য ছিল বেশ আনন্দের, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনবক্সে ঢুকতেই বোল্টারের সামনে খুলে যায় এক বিভীষিকার দরজা। ইনস্টাগ্রামে তাকে দেওয়া হুমকির মেসেজগুলো ছিল ঠিক এ রকম, ‘আশা করি ক্যানসারে মরবে।’, ‘তোমার দাদির কবর খুঁড়ে ফেলব, যদি কালকের মধ্যে মারা না যান।’, ‘মরে যাও, আমার মায়ের পাঠানো টাকা তোমার কারণে উড়ে গেছে।’ ব্রিটিশ টেনিস তারকা কেটি বোল্টার হয়তো জীবনের সেরা ম্যাচগুলোর একটি খেলেছিলেন প্যারিসের কোর্টে। ফ্রেঞ্চ ওপেনের প্রথম রাউন্ডে প্রথম সেটের টাইব্রেকারে হেরে গেলেও পরের দুই সেটে দুর্দান্তে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নেন ৬-৭, ৬-১, ৬-১ স্কোরলাইনে। সেটাই ছিল তার রোলাঁ গারোর মূল পর্বে প্রথম জয়। কিন্তু সেই আনন্দের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় এক ‘অন্ধকার অধ্যায়।’ মোবাইলে ঢুকতেই ইনবক্সে একের পর এক অশ্রাব্য গালি-গালাজ, ব্যক্তিগত আক্রমণ, এমনকি পরিবারকে ঘিরে ভয়ংকর হুমকি। বোল্টারের নিজের কথায়-‘এসব এখন এত স্বাভাবিক হয়ে গেছে, যেন এটা আমার রুটিনের অংশ।’

সম্প্রতি বিবিসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টার যা বলেছেন, তা শুধু নিজের না এ যেন একটা প্রজন্মের ভয় আর বিষণ্ণতা। তিনি বলেন, ‘শুরুতে এগুলো খুব ব্যক্তিগতভাবে নিতাম। আতঙ্কে থাকতাম, মানসিকভাবে বেশ চাপ অনুভব করতাম। মাঝে মধ্যে কান্না করতাম, ডিপ্রেশনে ভুগতাম। তবে ধীরে ধীরে এটা অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন ভাবি এরা কারা? কীভাবে এত ঘৃণা তৈরি হয় একজন মানুষকে ঘিরে?’ তবে ব্রিটিশ এ টেনিস সুন্দরী এটাও জানেন, এর পেছনে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে ব্যাটিংয়ের। যারা খেলায় বাজি ধরে যারা হেরে যায়, তাদের অনেকেই রাগ ঝাড়েন সরাসরি খেলোয়াড়দের ওপর। গবেষণায় ওঠে এসেছে, ২০২৪ সালেই অন্তত ৮ হাজার হুমকিমূলক বার্তা এসেছে টেনিস খেলোয়াড়দের সামাজিক মাধ্যমে, যার প্রায় ৪০ শতাংশই এসেছে ‘রাগি জুয়াড়িদের’ কাছ থেকে।

একজন তো একবারেই ২৬৩টি হুমকির বার্তা পাঠিয়েছেন। এমন ১৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মতো রয়েছে আরও হাজারও। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, এসব ‘ঘৃণা ব্যবসাতে’ সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রতিক্রিয়া প্রায় শূন্য। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা কোনো মন্তব্যই করেনি। অথচ বোল্টার জানাচ্ছেন, তার ইনবক্সের স্প্যামবক্সে প্রতিদিনই অশ্লীল ছবি পাঠানো হয়। তরুণীরা যারা এই পেশায় আসছে, তারা কীভাবে মানসিকভাবে সামলাবে এসব? যদিও তিনি মাঝে মধ্যে বিপরীত পথে হাঁটেন-অপমানকারীদের উত্তর দেন নম্রভাবে। সেই সময় অনেকে আবার জবাব দেন, ‘আমি আসলে তোমার বড় ভক্ত, আবেগে লিখে ফেলেছি।’ ২৮ বছর বয়সি বোল্টারের বাগদত্তো অস্ট্রেলিয়ার টেনিস তারকা অ্যালেক্স ডি মিনর। তিনিও হুমকি পান তার হবু স্ত্রীর কারণে, আবার উল্টো ঘটনাও ঘটে। ডি মিনরের ম্যাচের হুমকি আসে ব্রিটিশ সুন্দরীর ইনবক্সে। যেন দুই খেলোয়াড় এক সঙ্গে খেলছেন- তবে একপাশে টেনিস, অন্যপাশে ট্রল-টেনিস। আসন্ন উইম্বলডন সামনে রেখে বোল্টার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু সঙ্গে বাড়ছে মানসিক প্রস্তুতির চাপও। কারণ ঘরে খেলতে নামার মানে এখানে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, ইনবক্সের হুমকি/আক্রমণাত্মক বার্তাগুলো যেন প্রতিদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী।

যদিও সামাজিক মাধ্যমে হুমকি শুধু বোল্টার কিংবা ডি মিনরেই পান না। বিবিসির অনুসন্ধানে জানা গেছে বিশ্বের শীর্ষ টেনিস তারকা ইগা শিয়নটেক, জেসিকা পেগুলা, ওন্স জাবের, আরিনা সাবালেস্কার মতো খেলোয়াড়রাও জানিয়েছেন তারা প্রায় নিয়মিতভাবেই এই সাইবার সহিংসতার শিকার হন। বিশেষ করে নারী টেনিস খেলোয়াড়দের সঙ্গেই এ ঘটনা ঘটে বেশি।


নেইমারের বাসায় গিয়ে ইয়ামাল বললেন ‘আমার ভাই’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দুর্দান্ত এক মৌসুম শেষ করেছেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনা ক্লাব বিশ্বকাপে না থাকায় তার হাতে এখন অখণ্ড অবসর। আর এই অবসর সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করছেন ১৭ বছর বয়সি এই স্প্যানিশ উইঙ্গার। তবে ছুটিতেও নিজেকে আলোচনায় রাখছেন ইয়ামাল। ছুটি কাটাতে তিনি প্রথমে যান ইতালিতে। ‘আজ্জুরি’ দের দেশে ছুটি কাটানোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিও তিনি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ইয়ামাল আলোচনায় আসেন স্প্যানিশ মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার ও বিমানের ক্রু-ফাতি ভাজকেজের সঙ্গে সুইমিংপুলের পাশে ও জলাশয়ে নৌকা নিয়ে ঘোরার ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করে। সে সময় ইয়ামালের সঙ্গে ১৩ বছরের বড় ফাতির প্রেম নিয়ে গুঞ্জনও শোনা গেছে বেশ। আর এবার ইয়ামাল আলোচনায় এলেন নেইমারের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে। কদিন আগেই ইয়ামাল ব্রাজিলে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। এরই মধ্যে দুজনের এক সঙ্গে অবকাশযাপনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নেইমারের সঙ্গে ইয়ামালের ছুটি কাটানো নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ওগ্লোবো’ জানিয়েছে, সান্তোস তারকা নেইমার গত বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরোর মানগারাবিতা শহরে নিজের বাসভবনে বার্সেলোনা তারকা ইয়ামালকে স্বাগত জানিয়েছেন। নেইমার নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ইয়ামালের সঙ্গে সময় কাটানোর ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওর শুরুতে জিমে ব্যায়াম করতে দেখা যায় নেইমারকে। এরপর নেইমার যান ভলি খেলতে। নেইমারের বল অন্য প্রান্তে পাঠানোর পর দৃশ্যপটে আসেন ইয়ামাল। স্প্যানিশ তারকা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেরত পাঠান নেইমারের কাছে। কিছু সময় খেলার পর দুজনকে দেখা যায় সুইমিংপুলের ধারে। সেখানে খুনসুটিতেও মাতেন দুজন। সবশেষে নেইমারের সান্তোসের জার্সি হাতে ইয়ামাল এবং ইয়ামালের বার্সেলোনার জার্সিতে নেইমারকে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। এই ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ইয়ামাল লিখেছেন, ‘আমার ভাই।’ ইয়ামাল নিজেও স্টোরিতে নেইমারের সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে নেইমারের পাশে বসে গলফ কার্ট গাড়িতে চড়তে দেখা যায় ইয়ামালকে

ইয়ামাল অবশ্য আগে থেকেই নেইমারের বড় ভক্ত। গত বছর সান্তোসে নিজের প্রথম মেয়াদে নেইমারের পরা একটি জার্সি পরতে দেখা গিয়েছিল ইয়ামালকে। তবে ভক্ত থেকে এবার যেন আরও ভালোভাবে ভাই-বন্ধুত্বে পরিণত হলেন তারা।

২০০০ থেকে ২০২৫ সালে আটকালেও সংখ্যাটা খুব বেশি কমবে না। ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে স্কাই স্পোর্টসে দুই দেশ মিলিয়ে সেরা টেস্টে একাদশ বেছে নিতে তাই বেশ কষ্ট হয়েছে ইংল্যান্ডের দুই সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন ও মাইকেল আথারটনের। শেষমেশ কাজটা তারা করলেও একাদশ গড়তে গিয়ে বাদ দিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও জো রুটকে।

যাদের নাম সেখানে আছে, তা দেখে খুব বেশি আপত্তি নাও-ওঠতে পারে। ২০০০ সাল থেকে হিসাব করা নাসের ও আথারটনের একাদশে দুই ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও বীরেন্দর শেবাগ। তিন ও চারে খেলবেন দুজন ভারতীয়। আন্দাজ করা খুব কঠিন কিছু নয়, রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকার। পাঁচ নম্বরে সুযোগ মিলেছে কেভিন পিটারসেনের। আর ছয়ে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। স্টোকসই এই দলের অধিনায়ক। নাসের হুসেইন ও মাইকেল আথারটনের একাদশে উইকেট কিপার ঋষভ পন্ত। এই বাঁহাতির সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ম্যাট প্রায়র। শেষ পর্যন্ত পন্তকেই বেছে নেন তারা। স্পিনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। লড়াইয়ে গ্রায়েম সোয়ানকে পেছনে ফেলেন তিনি।

পেস বিভাগে জেমস অ্যান্ডারসন ও বুমরা অবধারিত। তৃতীয় পেসার নিয়ে ছিল দোটানা। জহির খানের নামটা এসেছিল বারবার। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সুযোগ দিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রডকে। নিজেদের একাদশ নিয়ে নাসের বলেছেন, ‘এটা তো দুর্দান্ত এক দল, এমনটাই তো আশা করা যায়। দুই দেশের সেরা খেলোয়াড়দেরই রাখা হয়েছে। এ নিয়ে কেই বা হতাশ হতে পারে? কোহলি হতাশ হবে। রুটও।’

আথারটন এরপর যোগ করেন, ‘এ দলটাই প্রমাণ করে, গত ২৫ বছরে ভারত ও ইংল্যান্ড কতটা অসাধারণ মানের ক্রিকেটার তৈরি করেছে।’ আজ শুরু হবে দুই দলের পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। এই সিরিজে ভারতের টেস্ট দলে নেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। দুজনেই এ সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন। তাদের কেউ ভারতের টেস্ট দলে নেই, এমন কিছু দেখা গেছে ১৪ বছর আগে।

দ্য টেলিগ্রাফে লেখা কলামে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জিওফ বয়কট এই দুজনের না থাকা নিয়ে লিখেছেন। বয়কটের মতে, রোহিত নয়, ভারত বেশি মিস করবে কোহলিকে। তিনি বলেছেন, ‘রোহিত দারুণ ব্যাটসম্যান। সেরা ছন্দে থাকলে ও দারুণ স্ট্রোক খেলোয়াড়। তবে কোহলির মতো রোহিতকে ভারত ততটা মিস করবে না। কারণ, রোহিতের টেস্ট রেকর্ড ভালো হলেও অসাধারণ নয়। গত কয়েক বছরে তার ব্যাটিং কিছুটা অধারাবাহিক ছিল, যা ৩০-এর শেষ দিকে খুব একটা অবাক করার মতো নয়।’


মেসির পায়ে যাদুর ছোঁয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবলটি বলা যায়। প্রতিপক্ষ দলের বক্সের মাথায় যে ছোট্ট ‘ডি’, তার নিশ্বাস লাগোয়া দূরত্বে বলটি বসানো। সেখান থেকে কয়েক পা দূরে দাঁড়িয়ে গোলাপি কিংবা আকাশি-সাদা জার্সি পরা ৩৭ বছর বয়সি রক্তমাংসের যে মানুষটি, তার নাম হতে পারে ‘অমরত্ব’। লোকে তাকে ডাকেন লিওনেল মেসি, কেউ কেউ শুধু মেসি। তার অর্জনের ডালিতে তাকিয়ে কেউ কেউ হয়তো সংগোপনে ওই নামেও ডাকেন, ‘ইম্মর্টাল’ কিংবা অমর।

ফুটবলে প্রায় এমন কোনো শিরোপা নেই, যা তার নেই। বয়সের ডালপালা গজিয়ে ক্রমে মহিরুহ হয়ে এখন পাতাঝরার ঋতুতে নামলেও তবু তার ‘সবুজ’ থাকার কী ক্ষুধা। এ সবুজ মানে তরতাজা, এ সবুজ মানে যত দিন সম্ভব সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতো টিকে থাকার নেশা। মানুষ এটাই চায়। পার্থক্য হলো, অন্যদের চাওয়াটা হয়তো নিজের জীবনকেন্দ্রীক, মেসির ফুটবলে। আর তাই, তার মাঠে নামার প্রতিটি দিনের ক্যানভাসেই নতুন নতুন ছবির জন্ম হয়। যেমনটা হলো গতকাল রাতে আটলান্টায় ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে। পোর্তোর বিপক্ষে তখন ১-১ গোলের সমতায় মায়ামি। ফ্রি-কিক (৫৩ মিনিট) পায় স্বাগতিকেরা। কে শটটি নিতে পারেন, সবার জানাই ছিল। বক্সের মাথায় ছোট্ট ‘ডি’-র সামনে বসানো বলটি থেকে কয়েক পা দূরে দাঁড়িয়ে মেসি যখন বুক ভরে শ্বাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় অনেক দর্শকই হয়তো আন্দাজ করে নিয়েছিলেন, এরপর কী ঘটতে যাচ্ছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে এমন সব মুহূর্ত ও দৃশ্য তো তাদের পরিচিত।

তারপর সেই চিরায়ত বাঁ-পায়ের কিক ও বলের ধনুকের মতো বাঁক নিয়ে জালে আশ্রয় নেওয়া- এ পরিচিত দৃশ্যের পর দেখা মিলল আরও এক চেনা দৃশ্যের। দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে শিশুর মতো ছুটে নারালেন মেসি- এ পর্যন্ত এসে একটু পেছন ফিরে তাকাতে পারেন। সাফল্যের উপচে পড়া ডালি নিয়েই মায়ামিতে এসেছেন মেসি।

ক্যারিয়ারে চাওয়া-পাওয়া বলে তার আর কিছুই থাকার কথা নয়। কিন্তু ওই যে সবুজ, তরতাজা হয়ে টিকে থাকার নেশা, যার পাল্লায় পড়ে এই জনারণ্যে সাধারণ ও অসাধারণের পার্থক্য গড়ি আমরা- সেই নেশায় ডুবেই এখনো গোল করে শিশুর মতো আনন্দে ছুট লাগানো, দলের জয়ে চোখেমুখে ভর করে অন্য রকম এক দীপ্তি। অন্য চোখে তা আনন্দ, মেসিকে দেখার আনন্দ। আর যখন সবাই জানেন, এই আনন্দ আর বেশি দিন অবশিষ্ট নেই, তখন অবচেতন মনেই তার সবকিছুকে অমরত্ব দেওয়া শুরু হয়। মাঠে তার হাঁটা থেকে দৌড়, পাস থেকে ড্রিবলিং, শট থেকে সেটপিস সবকিছু, সবকিছুই চিরকালীন ফ্রেম পেতে থাকে। যেমন ধরুন, মেসির গোলে পোর্তোর বিপক্ষে মায়ামির জয়টি। পর্তুগিজ ক্লাবটি এক সময়ের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। পর্তুগালের সবচেয়ে সফল দুটি (অন্যটি বেনফিকা) ক্লাবেরও একটি। ফুটবল দলীয় খেলা, তাই প্রতিপক্ষ দলে যতই মেসি থাকুন এ ম্যাচে পোর্তোর জয়ই ছিল প্রত্যাশিত। ধারে-ভারে কোথায় ৭ বছর আগে ফুটবল সেভাবে জনপ্রিয় নয়, এমন এক দেশে জন্ম নেওয়া এক ক্লাব, আর কোথায় ১৩১ বছর আগে জন্ম নেওয়া ৮৬টি বড় ট্রফিজয়ী ক্লাব।

এমন দুটি ক্লাবের মুখোমুখিতে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসেও পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন যিনি, সেটাও তরুণ বয়সে যেভাবে ছবির মতো সুন্দর ফ্রি-কিক নিয়েছেন, এই ভারি বয়সে এসেও ঠিক তেমন কিছুরই কার্বন কপি যিনি জন্ম দিতে পারেন, তাকে অমরত্ব না দেওয়াই তো অপরাধ। অবশ্য আমাদের দেওয়া না-দেওয়ায় তার কিছু যায় আসে না। ইতিহাস তাকে সেই বরমাল্য দিয়েছে সম্ভবত ২০২২ বিশ্বকাপেই। এবার ক্লাব বিশ্বকাপেও হলো। উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চল মিলিয়ে কনক্যাকাফ কনফেডারেশনের প্রথম দল হিসেবে অফিশিয়াল ফিফা টুর্নামেন্টে ইউরোপিয়ান দলকে হারাল মায়ামি। এরপর এমন ঘটনা হয়তো আরও অনেকবারই ঘটবে, কিন্তু প্রথমবার তো কখনো মুছে ফেলা যাবে না। আর সেই প্রথমবার যিনি এই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, তিনি এমনিতেই অমর। যেমনটা এখন ফিফা টুর্নামেন্টেও। ফিফার সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোল এখন মেসির। এই পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন ব্রাজিলের ‘স্কার্ট পরা পেলে’ খ্যাত মার্তাকে। ছেলে ও মেয়েদের ফুটবল মিলিয়ে ফিফা আয়োজিত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল এখন মেসির। পোর্তোর জালে ফ্রি-কিক থেকে করা গোলটির মাধ্যমে মার্তাকে পেছনে ফেললেন মেসি। তার গোল সংখ্যা ২৫, মার্তার ২৪।


বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন জায়ান হাকিমের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। তার খেলায় আছে স্কিল, গতি আর গোলের ক্ষুধা। ইংল্যান্ডের অষ্টম টায়ারের ক্লাব অ্যান্সটে নোম্যাডসের জার্সি গায়ে গত মৌসুমে ৫৫ ম্যাচে করেছেন ১৮ গোল। ইংলিশ ফুটবলের পেশাদার ঘরানায় বেড়ে ওঠা এ লেফট ফুটেড সেন্টার ফরোয়ার্ডকে নিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। বাংলাদেশ জাতীয় দলে নম্বর নাইনের পজিশনে বহুদিনের আক্ষেপটা জায়ান মোহাম্মদ জুনায়েদ হাকিমের মাধ্যমে ঘুচবে বলে মনে করছেন ফুটবলবোদ্ধারা। হামজা দেওয়ান চৌধুরী-শমিত সোমদের পাস থেকে ২৬ বছর বয়সি জায়ান প্রতিপক্ষের জাল কাঁপাবেন- এমন স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

তাদের সেই স্বপ্নপূরণে কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ইংলিশ প্রবাসী এ ফুটবলারকে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। হামজা চৌধুরীর বন্ধু জায়ান ইতোমধ্যে বাংলাদেশে খেলার আগ্রহ দেখিয়ে পাসপোর্ট করার জন্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পাঠিয়েছেন বাফুফের কাছে। লেস্টারে জন্ম নেওয়া জায়ানের ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল আরও উজ্জ্বল। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের তৃতীয় টায়ারের ক্লাব ম্যান্সফিল্ড টাউনের মধ্য দিয়ে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা তার। উচ্চতা ও খেলায় আক্রমণাত্মক উপস্থিতির কারণে ডিফেন্ডারদের ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারেন জায়ান। আগামী ৯ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ সামনে রেখে আলোচনায় চলে আসা জায়ানই হতে পারেন বাংলাদেশের ফুটবলের পারফেক্ট নম্বর নাইন। জায়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তার নানার হাত ধরে। তার নানার বাড়ি নোয়াখালী, তিনি বিয়ে করেছেন স্প্যানিশ নারীকে। জায়ানের মা বিয়ে করেছেন অ্যান্টিগার এক নাগরিককে। বাবার সূত্র ধরে ২০২৩ সালে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারমুডার হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন। একই সঙ্গে বারমুডা অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে সাত ম্যাচ খেলে গোল করেছেন চারটি।

ফিফার নিয়মে থেকে নানার পরিচয়ে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন জায়ান। এ জন্য তাকে পার হতে হবে বেশ কয়েকটি ধাপ। শুরুতে হবে জন্ম নিবন্ধন। এরপর তার ইংল্যান্ড ও বারমুডার ডুয়েল সিটিজেনশিপ সার্টিফিকেটের পর বাংলাদেশের পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হবে। পাসপোর্ট হলে ইংল্যান্ড এফএ, ক্লাব ও ফিফা থেকে ছাড়পত্র লাগবে। প্রক্রিয়া যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বাংলাদেশি হয়ে যেতে পারেন জায়ান। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচেই রয়েছে তার অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা। সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান, ‘জায়ান হাকিমের পাসপোর্ট করার জন্য সব কাগজপত্র আমরা হাতে পেয়েছি। সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি।’


সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি: মেসির সঙ্গে আছেন এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও

লিওনেল মেসির সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার কাভান সুলিভান
আপডেটেড ১৯ জুন, ২০২৫ ২১:২৩
ক্রীড়া ডেস্ক

২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে লিওনেল মেসি ইন্টার মায়ামিতে নাম লেখানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল অর্থনীতি আমূল্য বদলে গেছে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে টিকিট বিক্রিও।

প্রত্যাশিতভাবে মেসির জার্সিও বিক্রির শীর্ষে। সব মিলিয়ে টানা তিন মৌসুম আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের জার্সি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। গত রাতে এমএলএসের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমএলএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ মৌসুমে ১ জানুয়ারি থেকে ১ মে পর্যন্ত লিগটিতে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে মেসির জার্সি সবচেয়ে বেশি কিনেছেন ভক্তরা। এ সময়ে এমএলএস স্টোর থেকে বিক্রি হওয়া জার্সির ওপর ভিত্তি করে র‍্যাঙ্কিং করেছে ক্রীড়া সামগ্রীর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ফ্যানাটিকস। এ মৌসুমে মেসির পর সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি হয়েছে তার সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের। শীর্ষ বিশে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারও আছেন। তিনি কাভান সুলিভান। ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের ১৫ বয়সি এই মিডফিল্ডার সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রির তালিকায় ১৮তম। ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার ও বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিতে খেলা অলিভিয়ের জিরুর (১৯) চেয়েও কাভান সুলিভানের জার্সি বেশি বিক্রি হয়েছে। লিগে সবচেয়ে কম বয়সি ফুটবলারদের মধ্যে কাভানের জার্সিই সমর্থকেরা বেশি কিনেছেন। চলমান ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে থাকা ইন্টার মায়ামি ও সিয়াটল সাউন্ডার্সের চারজন করে মোট আট ফুটবলারের নাম আছে শীর্ষ ২৫-এর তালিকায়। সব মিলিয়ে ১২টি ক্লাবের ফুটবলার শীর্ষ ২৫-এ জায়গা করে নিয়েছেন।

এমএলএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘মেজর লিগ সকার ভক্তদের মন জয় করেই চলেছেন মেসি। টানা তৃতীয় মৌসুমে এমএলএস জার্সির সর্বাধিক বিক্রীত তালিকায় তিনি শীর্ষে।’

সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রির তালিকায় মেসি ও সুয়ারেজের নাম শীর্ষ দুইয়ে থাকাটা ইন্টার মায়ামির জন্য বড় সুখবর। তবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে মাঠ থেকে মেসির সমর্থকদের জন্য ভালো খবর বয়ে আনতে পারেননি। গত রোববার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মিসরীয় ক্লাব আল আহলির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মায়ামি। ‘এ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে এফসি পোর্তো-পালমেইরাসও ড্র করার পর মায়ামি নেমে গেছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। গতকাল রাতে এফসি পোর্তোর বিপক্ষে ম্যাচের আগে ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে এসেছিল আরেক দুঃসংবাদ। অনুশীলনের সময় বাম পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন মেসি। সেই মুহূর্তে মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানোর সঙ্গে একান্তে আলাপ করতে দেখা যায় মেসিকে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের মনে তৈরি হয় উৎকণ্ঠা। তবে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মাচেরানো মজা করে বলেছেন, ‘একজন মানুষ আরেক জনকে মাঝে মধ্যে স্পর্শ করতেই পারে।’ এরপর সমর্থকদের মন থেকে উৎকণ্ঠা দূর করেছেন, ‘লিওনেল ভালো আছে। সে পুরো সময় অনুশীলন করেছে। পোর্তোর বিপক্ষে খেলবে।’


দুই মৌসুম পর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সাকিব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দুই মৌসুম পর আবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলার হাতছানি সাকিব আল হাসানের সামনে। ত্রয়োদশ আসরের জন্য বাংলাদেশের অলরাউন্ডারকে দলে নিয়েছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুদা ফ্যালকন্স। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে গত বুধবার সাকিবকে নিয়েছে টুর্নামেন্টের নবীনতম ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। জ্যামাইকা তালাওয়াহসের জায়গায় গত আসর দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে দলটি। এই দলে সতীর্থ হিসেবে সাকিব পাচ্ছেন ইমাদ ওয়াসিম, জাস্টিন গ্রেভস, জেডেন সিলস, রাকিম কর্নওয়ালদের। এখন পর্যন্ত সিপিএলের পাঁচটি আসরে সাকিব খেলেছেন তিনটি দলের হয়ে- বারবাডোজ ট্রাইডেন্টস, জ্যামাইকা তালাওয়াহস ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। সবশেষ ২০২২ আসরে খেলেছেন গায়ানার জার্সিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সব মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে ১০৯ দশমিক ৫ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৪৪৮। সর্বোচ্চ ইনিংস ৫৪। বাঁহাতি স্পিনে উইকেট ৩৭টি।

গত বছরের ১ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের শেষ দিনের পর বাংলাদেশের জার্সিতে আর দেখা যায়নি সাকিবকে। চলতি বছরের গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতে পিএসএল স্থগিত হওয়ার পর নতুন করে শুরু হলে বদলি হিসেবে তিনি জায়গা পান লাহোর কালান্দার্সে। দলটির হয়ে আসরে তিনটি ম্যাচ খেলে যদিও ভালো করতে পারেননি ৩৮ বছর বয়সি ক্রিকেটার। এবারের সিপিএল শুরু হবে আগামী ১৪ আগস্ট। চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।


১৭ বছরের ইয়ামালের ৩০ বছরের গার্লফ্রেন্ড নিয়ে সমালোচনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যাওয়ায় চড়েছে কথা। ডালপালাও ছড়িয়েছে বহুদূর। ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্ট ও ইনফ্লুয়েন্সার ফাতি ভাস্কেসের সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক চলছে লামিনে ইয়ামালের। সমস্যা এখানে নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা ওঠছে, অসম প্রেমের জন্য। বার্সেলোনার তারকা লামিনের বয়স ১৭, ওদিকে যার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন তার বয়স ৩০ ছাড়িয়েছে।

ওই নিয়েই যত কাণ্ড। লামিনকে মেসেজ করা হচ্ছে, বেপরোয়া চলছেন বলে বিব্রত করা হচ্ছে, একই সঙ্গে তার ক্যারিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ওদিকে ফাতি শুধু বিব্রতকর মেসেজই নয়, রীতিমতো হত্যার হুমকি শুনেছেন। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হওয়ার শুরু মূলত লামিনের কয়েকটি ছবি প্রকাশের পর। ইতালিতে হেলিকপ্টার, রিসোর্ট, সুইমিং পুল এবং বোট- সব জায়গার ছবি প্রকাশ করেছেন লামিন। ঠিক একই সিনারিওতে একই জায়গার ছবি ছেড়েছেন ফাতিও। তাতেই চড়ে গুঞ্জন। স্পেনের বেশ কিছু গণমাধ্যমের দাবি, ইনফ্লুয়েন্সার ফাতির সঙ্গে নাকি ইয়ামাল বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফাতির বয়স নাকি ৩০ বছর। এখানেই শুরু জল্পনা। কেউ কেউ রোনালদিনহো, নেইমারের মতো তারকার নাম টেনে ইয়ামালকে মিলিয়েছেন। কেউ কেউ অল্পতেই প্রতিভাবান ফুটবলারকে হারানোর শঙ্কা করছেন। তবে বিষয়টির সত্যতা এখনো আসেনি।

ইয়ামাল দাবি করেছেন, তিনি একা সেখানে যাননি। তার সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন স্পেন টিমের অন্য সতীর্থও। কিন্তু ইয়ামাল যে ছবিগুলি পোস্ট করেছেন, তাতে অন্য কোনো ফুটবলারকে দেখা যায়নি। একটি ছবি পোস্ট করেছেন ডাইনিং টেবিলের। সেখানে আবার লিখেছেন, ‘আমার বোন দারুণ রান্না করে।’ কিন্তু এই তত্ত্বে বিশ্বাস করছে না মিডিয়ার এক অংশ।

জাভি ডে হাওস নামের একজন সাংবাদিক ইয়ামালের কাছে বিষয়টির সত্যতা জানতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ঘটনা সত্য। তবে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। একই সঙ্গে তিনি হাওসকে বলেছেন, ফাতি তার সঙ্গে যায়নি, ইতালিতে গিয়েই তাদের দেখা।

এদিকে ফাতি অবশ্য ওয়াটার বোটের ছবি বা একই স্থানে তোলা দৃশ্য নিয়ে কিছু বলেননি। ৩০ বর্ষী ইনফ্লুয়েন্সার ইয়ামালের সঙ্গে রোমান্সের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাতি বলেছেন, ‘মানুষ কতটা অজ্ঞতা নিয়ে চলতে পারে যে কোনো একজনের মৃত্যু কামনা করতে পারে, অথচ জানেই না তার অপরাধ কী।’ তবে তিনি ইয়ামালের ব্যাপারে কিছু বলেননি।

এত গুজব যখন চলছে, ইয়ামাল তখন ইতালি ছেড়ে ব্রাজিলে চলে এসেছে। বিখ্যাত সাফারিং তারকা গ্যাব্রিয়েল মাদিনার এক ছবিতে দেখা যায়, সাফারিং করছেন ইয়ামাল। একটি ছবিতে দেখা যায় ইয়ামাল সার্ফার বোর্ড ও পোশাক পরে পোজ দিচ্ছেন ইয়ামাল। ক্যাপশনে লেখা, শহরে নতুন সার্ফার। সেই ছবির স্কিনশট আবার নিজের স্টোরিতে দিয়েছেন ইয়ামাল।

গত বছর স্পেন ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে যখন মাঠে সেলিব্রেশন চলছে, সেই সময়ে ইয়ামালকে দেখা গিয়েছিল তার বান্ধবীর সঙ্গে। সেই বান্ধবী ছিলেন স্পেনের টিকটক স্টার আলেক্স পাদিয়া। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। তার পরেই নাকি ৩০ বছরের ফাতির সঙ্গে সম্পর্ক ইয়ামালের। সত্যও হতে অসম প্রেমের এই গুজবণভ।


ম্যাক্সওয়েলের ১৩ ছক্কায় সেঞ্চুরি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ইনিংসের প্রথম ১৫ বলে করলেন ১১। বাউন্ডারি নেই। এ আবার কোন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। হয় ম্যাক্সওয়েল শুরুতেই আউট হবেন, নয়তো ১৫ বলে ৩৫-৪০ রান করবেন, টি–টোয়েন্টিতে এটাই তো হওয়ার কথা।

‘বিগ শো’ খ্যাত এই ক্রিকেটার পরে ঠিকই হাত খুলেছেন। ইনিংসে নিজের শেষ ৩৪ বলের মধ্যে ছক্কাই মেরেছেন ১৩টি, চার ২টি। প্রথম চারটি যখন মেরেছেন তখন তার ব্যক্তিগত রান ৭৮। এভাবে মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) ওয়াশিংটন ফ্রিডমের হয়ে আজ ক্যারিয়ারের অষ্টম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পেয়েছেন ম্যাক্সওয়েল।

লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে পাওয়া সেঞ্চুরিটি ম্যাক্সওয়েলের জন্য বিশেষ কিছু হওয়ার কথা। কারণ, শুরুর দিকে বেশ চাপেই ছিলেন। দলের রান যখন ১৩ ওভার ৫ উইকেটে ৯৮, তখন ম্যাক্সওয়েলের রান ১৫ বলে ১১। রয়েসয়ে খেলে পরে ঝড় তুলেছেন। স্বদেশি স্পিনার তানভীর সাংহার পরের ওভারে টানা তিন ছক্কা দিয়ে যার শুরু, আর শেষ হয় জেসন হোল্ডারের করা ইনিংসের ২০তম ওভারে দুই ছক্কা মেরে। তাতে দলের রানও ২০০ পেরিয়ে যায়, ৫ উইকেটে ২০৮।

টি-টোয়েন্টিতে ম্যাক্সওয়েল এখন যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ক্রিস গেইলের, ২২টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাবর আজমের ১১টি, ৯ সেঞ্চুরি নিয়ে রাইলি রুশো ও বিরাট কোহলি তৃতীয়। ৮টি করে সেঞ্চুরি রোহিত শর্মা, মাইকেল ক্লিঙ্গার, ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ, জশ বাটলার ও ম্যাক্সওয়েলের। এমন দিনে আবার গ্যালারিতে ছিলেন ম্যাক্সওয়েলের মা ও বাবা। স্বাভাবিকভাবেই অষ্টম সেঞ্চুরিটির মাহাত্ম্য তাই আরও বেড়েছে। ইনিংস শেষে ম্যাক্সওয়েল নিজেও এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন, ‘দারুণ লাগছে। আমি রান করেছি- এমন কিছু তারা খুব একটি দেখতে পান না, তাই এমন একটি কিছু তাদের সামনে করতে পেরে ভালো লাগছে।’ ইনিংসের পরিকল্পনা নিয়ে ওয়াশিংটনের অধিনায়ক বলেছেন, ‘কিছুটা কঠিন পরিস্থিতিতে উইকেটে এসেছিলাম। ভিন্নভাবে ব্যাটিং করতে হয়েছে। শুরুটা বেশ ধীরগতির ছিল; কিন্তু যখন বুঝলাম আরও কিছু রান দরকার, তখন মারার সিদ্ধান্ত নিই- আর শটগুলো কাজে লেগে গেছে। ওই সময় আমাদের সময় নিয়েই ব্যাটিং করা দরকার ছিল।’

২০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স ১১ ওভারে ৬৫ রানে হারায় ৭ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৯৫ রানে অলআউট হয়ে ১১৩ রানে হেরেছে দলটি। ফ্রিডমের হয়ে ৩টি করে উইকেট জ্যাক এডওয়ার্ডস ও মিচেল ওয়েনের।


পার্টটাইম ফুটবলারদের জালে বায়ার্নের গোল উৎসব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার রাতে ‘সি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে বায়ার্ন মিউনিখ ও অকল্যান্ড সিটি। ম্যাচে ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিজয়ী দল অকল্যান্ড সিটির জালে গোল উৎসব করেন সাচা বোয়ে, মাইকেল ওলিস মুসিয়ালা, থমাস মুলাররা। ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে হ্যারিকেইনের বদলি হিসেবে নেমে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন ২২ বছর বয়সি জামাল মুসিয়ালা। এছাড়া অকল্যান্ডের জালে বল জড়ানোর মধ্যদিয়ে বায়ার্নের হয়ে ২৫০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন জার্মান তারকা থমাস মুলার। পুরো ম্যাচে বায়ার্ন ১৭টি শর্ট গোলবারে রাখে। অন্যদিকে মাত্র একটি শট বায়ার্নে গোলবারে রাখতে পেরেছিল নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটি। তাও সেই শট রুখে দেন জার্মান তারকা গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার। এমন ম্যাচের পর ইউরোপ ফুটবল এবং ওশেনিয়া ফুটবলের মধ্যে যে বিস্তার ফারাক আরও পরিষ্কার হয়। এছাড়া ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে এত গোল দেখল ফুটবল বিশ্ব। যদিও এর আগে একাধিক বার দুই অঙ্কের গোলের দেখা পেয়েছিল জার্মান জায়ান্ট ক্লাবটি। এর আগে ১৯৭১ সালে বুন্দেসলিগায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ১১-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এছাড়া ২০২১ সালে আঞ্চলিক লীগের দল ব্রেমার এসভিকে ১২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল বায়ার্ন।

তবে জার্মান জায়ান্টদের সবচেয়ে বড় জয় ডিজেকে ওয়াল্ডবার্গের বিপক্ষে। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে ডিএফবি কাপে দলটির বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখ জয় পেয়েছিল ১৬-১ ব্যবধানে। রোববার রাতে অকল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের একটা সময় মনে হচ্ছিল সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন মুলার-মুসিয়ালরা। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে পূর্বের দলগুলোতে সবার পেশাদার ফুটবলার হলেও অকল্যান্ড সিটির খেলোয়াড়রা ছিলেন পার্টটাইম ফুটবলার। দলটির একজন ফুটবলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এছাড়া একজন ছিলেন বিমা কর্মীর, একজন নরসুন্দর, একজন কোকা-কোলার বিক্রয় প্রতিনিধি, একজন গাড়ি বিক্রেতা এবং বেশ কয়েক জন ছাত্র।


৬ বছর পর আবার শীর্ষে মান্ধানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘদিন পর শীর্ষস্থানে ফিরলেন স্মৃতি মান্দানা। ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার ২০১৯ সালের নভেম্বরে শেষবার ছিলেন শীর্ষে। আইসিসি নারীদের ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে মান্দানা। দক্ষিণ আফ্রিকার লরা ভলভার্টকে (৭১৭ রেটিং পয়েন্টে) সরিয়ে শীর্ষস্থানটি নিজের করে নিয়েছেন মান্ধানা (৭২৭ পয়েন্ট)। ভলভার্টের সমান পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে ২ নম্বরে আছেন ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রান্ট।

মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীঙ্কাকাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো পারফর্ম করার পুরস্কার পেয়েছেন স্মৃতি। ওই সিরিজে সব মিলিয়ে ৫ ম্যাচ খেলে ১ সেঞ্চুরি ও সমান ফিফটিতে ২৬৪ রান করেন তিনি।

আরেক দিকে ভলভার্টের সময়টিও ভালো কাটছে না। এ বছরের শুরু থেকে পাঁচটি ওয়ানডে খেলে ২৮.২০ গড়ে রান করেছেন, সর্বোচ্চ ৪৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের শেষ দুটি ম্যাচে যথাক্রমে ২৭ ও ২৮ রান করেছেন। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দুইয়ে নেমে যেতে হয়েছে ভলভার্টকে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা বিশেও নেই কেউ। ২২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।

নারীদের ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে বোলারদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ইংল্যান্ডের সোফি একলেস্টোনই যথারীতি শীর্ষে আছেন। ২ ও ৩ নম্বরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার ও মেগান শুট। অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানেও কোনো বদল আসেনি। ১ নম্বরে আছেন গার্ডনার, দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মারিজান কাপ।


banner close