রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ট্রাভিস হেডের মহাপ্রলয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:৩৭

এ মাসেই ইংল্যান্ড সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে নিজেদের কিছুটা ঝালিয়ে নিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে স্কটল্যান্ড সফরে গেছে অজিরা। গতকাল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ‘মহাপ্রলয়’ বইয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। রীতিমতো তুলোধুনো করেছে স্কটল্যান্ডের বোলারদের। ট্রাভিস হেড-মিচেল মার্শদের ব্যাটিং তাণ্ডবে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ১৫০ রানের ওপরের ম্যাচও জিতেছে ১০ ওভারের আগেই।

এডিনবরার গ্রেঞ্জ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯.৪ ওভারেই তাড়া করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের রেকর্ড এখন এটাই। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩২০ স্ট্রাইকরেটে তাণ্ডব চালালেন ট্রাভিস হেড। সেটাও চলল বেশ খানিকটা সময় ধরে। ততক্ষনে ট্রাভিস হেড ২৪ বল থেকেই করে ফেলেছেন ৮০ রান। পরের বলেই আউট হন তিনি। হেডের এমন মহাপ্রলয়ঙ্করী ইনিংসটি গড়া ছিল ৫ ছক্কা ও ১২ চারে। ইনিংসটি খেলার পথে হেড ১৭ বলে ফিফটি পূরণ করেছেন, যা টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যৌথভাবে দ্রুততম। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মার্কাস স্টয়নিসও ১৭ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন।

অন্যদিকে হেডকে অনুসরন করেই খেলতে থাকেন মিচেল মার্শ। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৩৯, ছক্কা ৩টি ও চার ৫টি। জশ ইংলিস অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ২৭ রান করে। একপেশে এই জয়ের পথে পাওয়ার প্লেতে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলটি ৬ ওভারেই তুলেছে ১১৩ রান। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১০২ রান; যা গত বছরের ২৬ মার্চ সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়ায় তৃতীয় বলেই জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে হারায় অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে রানের খাতাই খুলতে পারেননি আলোচিত এই তরুণ সেনসেশন। তবে সেটাকে বিপদের কারণ হতে দেননি ট্রাভিস হেড। এরপরই ঝড় শুরু করেন তিনি।

পাওয়ার-প্লের মধ্যে আর কোনো উইকেটই তুলে নিতে পারেনি স্কটল্যান্ড। এরপর সপ্তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানে স্বাগতিকরা; কিন্তু ততক্ষনে ম্যাচ অজিদের নিয়ন্ত্রণে। স্টয়নিসকে নিয়ে বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন ইংলিস। এর আগে প্রথম ৬ ওভারে ১১৩ রান তুলে ফেলে অজিরা। এর আগে টস জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজে নেই তাদের অভিজ্ঞ পেসত্রয়ী জশ হেইজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। তাদের অনুপস্থিতিতে সুযোগ কাজে লাগিয়ে দারুণ বোলিং করেন জাভিয়ার বার্টলেট, শন অ্যাবটরা। স্কটল্যান্ডের ইনিংসে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনই পান ভালো শুরু। কিন্তু কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। স্কটল্যান্ডের ইনিংসে কেউ ছুঁতে পারেননি ৩০ রানও। সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে ওপেনার জর্জ মানজির ব্যাট থেকে। তাতে কোনোমতে দেড়শ পার করে দলটি।


দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জন্য রোনালদো-মেসিই হালান্ডের আদর্শ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে দীর্ঘদিন দাপটের সঙ্গে টিকে থাকার জন্য ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড অনুপ্রেরণা খোঁজেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির মধ্যে। টিএনটি ব্রাজিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নরওয়েজিয়ান এই গোলমেশিন জানান, বিশ্বের সেরা লিগগুলোতে টানা ১৫ বছর ধরে সর্বোচ্চ মানের পারফর্ম করার যে উদাহরণ এই দুই মহাতারকা সৃষ্টি করেছেন, তা প্রতিটি ফুটবলারের জন্যই শিক্ষণীয়।

সাক্ষাৎকারে হালান্ড বিশেষ করে ৪০ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ফিটনেস ও শৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রোনালদো যেভাবে নিজের শরীরের যত্ন নেন এবং জীবনযাপন নিয়ন্ত্রণ করেন, তা অবিশ্বাস্য। ইতোমধ্যে ৯৫০টির বেশি গোল করা এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত আল নাসরের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা রোনালদোর এই দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স হালান্ডকে মুগ্ধ করে। একইসঙ্গে, ৩৮ বছর বয়সেও লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিতে এমএলএস কাপ জয় এবং টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেরা খেলোয়াড় ও গোল্ডেন বুট জেতার বিষয়টিকেও তিনি বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেন।

সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমবারের মতো গোল করে আলোচনায় এসেছেন ২৫ বছর বয়সী হালান্ড। তার পেনাল্টি গোলে ম্যানচেস্টার সিটি ২-১ ব্যবধানে জয় পায়। ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে প্রথম গোল ও জয়কে তিনি নিজের ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত ৫৪ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৫৫।

অন্যদিকে, জাতীয় দলের হয়েও স্বপ্নের ফর্মে আছেন হালান্ড। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নরওয়ে। বাছাইপর্বে প্রতি ম্যাচে গড়ে দুটি করে গোল করেছেন তিনি। আগামী বছর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে থাকা এই তারকা জানান, বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার খুশিতে তিনি নিজের অভ্যাসের বিপরীতে গিয়ে বিয়ার পান করে উদযাপন করেছিলেন, যা তার জন্য ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত।


চিন্নাস্বামীতে ম্যাচ খেলতে পারবে কোহলিদের বেঙ্গালুরু, রয়েছে শর্ত

আপডেটেড ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৩
ক্রীড়া ডেস্ক

চলতি বছর আইপিএল ট্রফি জয় উদযাপনের সময় মর্মান্তিক পদদলিত হওয়ার ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যুর পর বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠেছিল। এই ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন থেকে কার্যত নির্বাসিত ছিল এই ভেন্যু। তবে আগামী আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) তাদের ঘরের মাঠে খেলতে পারবে কি না, তা নিয়ে চলা জল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। কর্ণাটক রাজ্য মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে এখানে আইপিএল ম্যাচ আয়োজনের অনুমোদন দিয়েছে, তবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু কঠোর শর্ত।

নিরাপত্তা শঙ্কায় সম্প্রতি নারী বিশ্বকাপের ম্যাচ এই স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে মুম্বাইয়ে নেওয়া হয় এবং আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু তালিকা থেকেও চিন্নাস্বামীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত জুলাইয়ে বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহার নেতৃত্বাধীন স্বাধীন কমিশন তাদের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল, বড় মাপের ইভেন্ট আয়োজনের সক্ষমতা বা পর্যাপ্ত জননিরাপত্তা ব্যবস্থা এই মুহূর্তে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নেই।

তবে আইপিএলকে সামনে রেখে নমনীয় হয়েছে কর্ণাটক সরকার। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার জানিয়েছেন, তারা আইপিএল আয়োজনের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার (কেএসসিএ) সঙ্গে বৈঠক করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে শিবকুমার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ম্যাচ আয়োজন করতে হলে ডি’কুনহা কমিশনের সব সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।

ইতিমধ্যেই কর্ণাটক সরকারের পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে জানানো হয়েছে, স্টেডিয়ামে খেলা ফেরাতে হলে পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামোগত ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ (এনএবিএল)-এর বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা চালানো হবে। তাদের দেওয়া নিরাপত্তা ও ফিটনেস রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাৎ, ডি’কুনহা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড নিশ্চিত হলেই কেবল কোহলিদের ডেরায় ফিরবে আইপিএলের রোমাঞ্চ।


চোট ও নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত রিয়াল মাদ্রিদ, আলাভেস ম্যাচে ১২ জনকে নিয়ে শঙ্কা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লা লিগায় দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বড়সড় সংকটে পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। দলের প্রধান কোচ জাবি আলোনসোর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে চোট ও নিষেধাজ্ঞার কারণে নিয়মিত একাদশের অন্তত ১২ জন খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রবল শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিরোপার দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে যখন জয়টা খুব জরুরি, ঠিক তখনই এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হলো লস ব্লাঙ্কোসদের।

দলের অন্যতম সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে অনুশীলনে ফিরলেও এই ম্যাচে তার মাঠে নামার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। হাঁটুর চোটের পাশাপাশি হাতের একটি আঙুল ভেঙে যাওয়ায় ফরাসি ফরোয়ার্ডের খেলা এখনো নিশ্চিত নয়। ইএসপিএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলন না করলেও হাঁটুর অবস্থার উন্নতি হলে হয়তো দলের সঙ্গে সফর করতে পারেন তিনি, তবে খেলার নিশ্চয়তা নেই।

রিয়ালের রক্ষণভাগেই আঘাতটা সবচেয়ে বেশি লেগেছে। চোটের কারণে এই ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকছেন ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নল্ড, দানি কার্ভাহাল, ডাভিড আলাবা, ফেরলঁ মেন্ডি ও এদের মিলিতাও। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নিষেধাজ্ঞার খড়গ; ফ্রান গার্সিয়া ও আলভারো কারেরাসও এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। ফলে মূল দলের সাতজন ডিফেন্ডারের অনুপস্থিতিতে একাদশ সাজাতে রিজার্ভ দলের খেলোয়াড়দের ওপরই ভরসা করতে হতে পারে কোচ আলোনসোকে।

দুঃসংবাদ এখানেই শেষ নয়। ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার ও ডিন হাউসেনের পাশাপাশি মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ফেদে ভালভের্দের খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে, যা দলের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে বর্তমানে চার পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। লিগে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে রোববার আলাভেসের বিপক্ষে চোট-নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত দল নিয়ে মাঠে নেমে কাঙ্ক্ষিত ফল বের করে আনাটা কোচ জাবি আলোনসোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।


ব্যর্থতার বৃত্তে আলোনসো, পরবর্তী কাণ্ডারি খুঁজছে রিয়াল মাদ্রিদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে জাবি আলোনসোর ভবিষ্যৎ এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ২০২৫-২৬ মৌসুম শুরুর মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন বায়ার লেভারকুসেন থেকে আসা ৪৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ কোচ। কার্লো আনচেলত্তির মতো কিংবদন্তি কোচের উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া আলোনসো শুরুটা দুর্দান্ত করলেও বর্তমানে ছন্দপতন ঘটেছে তার দলের। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ আট ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেয়েছে মাত্র দুটিতে, যা ক্লাবটির আকাশছোঁয়া প্রত্যাশার সঙ্গে একেবারেই বেমানান।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে এখন বিকল্প ভাবতেই হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ক্লাবের দায়িত্ব নিতে সম্ভাব্য তালিকায় উঠে এসেছে পাঁচজন হাই-প্রোফাইল কোচের নাম। এর মধ্যে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত ও জোরালো অবস্থানে রয়েছেন আলভারো আরবেলোয়া। বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ার দায়িত্বে থাকা সাবেক এই ডিফেন্ডার ক্লাবের অভ্যন্তরীণ কাঠামো সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে লজিস্টিক ও আর্থিক দিক থেকে তাকেই সবচেয়ে সহজ সমাধান মনে করা হচ্ছে।

তালিকায় রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের অন্যতম সফল কোচ জিনেদিন জিদানও। হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী এই ফরাসি কিংবদন্তি ২০২১ সালের পর থেকে কোনো দলের দায়িত্বে নেই। যদিও ধারণা করা হয় তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপের পর ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে পারেন, তবে সম্প্রতি ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে তাকে গ্যালারিতে দেখা যাওয়ায় রিয়ালে ফেরার গুঞ্জন নতুন করে ডালপালা মেলেছে। এছাড়া ক্লাবের আরেক কিংবদন্তি রাউল গঞ্জালেসের নামও আলোচনায় রয়েছে। দীর্ঘ ছয় বছর কাস্তিয়ার দায়িত্বে থাকার পর গত মৌসুমে ক্লাব ছাড়লেও, বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে মৌসুম বাঁচাতে তাকেও বিবেচনা করা হতে পারে।

তালিকায় চমক হিসেবে আছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা সেস ফ্যাব্রিগাস। ইতালিয়ান ক্লাব কোমো ১৯০৭-কে ২১ বছর পর সিরি আ-তে তুলে এনে এবং বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রেখে কোচ হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। তবে মৌসুমের মাঝপথে তিনি ইতালিয়ান ক্লাবটি ছাড়বেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে, রিয়ালের স্বপ্নের পছন্দ হিসেবে রয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। লিভারপুল ছাড়ার পর বর্তমানে তিনি রেড বুলের ‘হেড অব গ্লোবাল সকার’ পদে আছেন। তবে রেড বুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত ডাগআউটে ফেরার কোনো পরিকল্পনা ক্লপের নেই।

সব মিলিয়ে জাবি আলোনসোর বিদায় ঘণ্টা বাজলে পরবর্তী কাণ্ডারি কে হবেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর হটসিটে বসার দৌড়ে আরবেলোয়া এবং জিদানই আপাতত এগিয়ে আছেন।


মেসিকে দেখতে না পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে একনজর দেখার জন্য হাজারো ভক্ত ভিড় জমালেও, অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার কারণে তাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকেও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দ্রুত কলকাতা ত্যাগ করতে হয়েছে।

এদিন ভোররাত থেকেই স্টেডিয়ামের সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন অগণিত মেসিভক্ত। হাজার হাজার টাকা খরচ করে টিকিট কাটলেও মাঠে গিয়ে তারা চরম হতাশ হন। নির্ধারিত সময়ে মেসি স্টেডিয়ামে পৌঁছালেও আয়োজক ও বিভিন্ন মানুষের ভিড়ে তিনি কার্যত ঢাকা পড়ে যান। গ্যালারির দর্শকদের উদ্দেশে তিনি হাসিমুখে হাত নাড়লেও, তাকে ঘিরে রাখা প্রায় ৫০ জন মানুষের জটলার কারণে সাধারণ দর্শকরা তাকে দেখতে পাননি। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা।

ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দর্শকরা মাঠে বোতল ছোড়া, চেয়ার ও ব্যারিকেড ভাঙচুর এবং পোস্টার পোড়ানো শুরু করেন। অনেক ভক্তকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করতে দেখা যায় যে, চড়া দামে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখার সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হলে আয়োজকরা নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসিকে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান।

এদিকে, এই সফরে মেসির সঙ্গে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানেরও স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এর আগে তিনি হোটেল থেকে ভার্চুয়ালি মেসির ৭০ ফুট উচ্চতার একটি মূর্তি উন্মোচন করেন। কিন্তু স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হওয়ায় এবং দর্শকদের ক্ষোভের মুখে শাহরুখ বা তার ছেলে আব্রামকে আর মাঠে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, বিশৃঙ্খলার আঁচ পেয়েই তড়িঘড়ি করে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শাহরুখ খানকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং তিনি সেখান থেকে সোজা মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন। সব মিলিয়ে, বিশ্বজয়ী ফুটবলারকে ঘিরে উৎসবের আমেজ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা ভাঙচুর ও ভক্তদের হাহাকারে বিষাদময় পরিস্থিতিতে রূপ নেয়।


বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে প্যাডেল স্ল্যাম ২.০ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠেছে ‘আহসান গ্রুপ প্রেজেন্টস প্যাডেল স্ল্যাম ২.০, পাওয়ার্ড বাই অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস’ টুর্নামেন্টের। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্যাডেল গ্রাউন্ডে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন ৩৬ দল ও ১২০ জনেরও বেশি প্যাডেল খেলোয়াড়।

আমেরিকা ও ইউরোপের জনপ্রিয় র‌্যাকেটভিত্তিক এই খেলাকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে গত আসরের মতো এবারও বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করেছে বড় পরিসরের এই টুর্নামেন্ট।

আকর্ষণীয় প্রাইজপুল, সমান সুযোগ এবং তিনটি পৃথক প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি নিয়ে এবারের আসরকে সাজানো হয়েছে আরও বর্ণিলভাবে। খেলোয়াড়দের দক্ষতা অনুযায়ী রাখা হয়েছে- পুরুষদের অ্যাডভান্সড, পুরুষদের ইন্টারমিডিয়েট এবং নারীদের ডাবলস ক্যাটাগরি। প্রতিটি দলে দুজন করে খেলোয়াড় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এবং দলপ্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত ছিল ১২ হাজার টাকা।

স্থানীয় প্যাডেল ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ আকর্ষণ হিসেবে এবারে মোট প্রাইজপুল রাখা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনটি ক্যাটাগরিতেই চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ হাজার টাকা করে, আর রানার-আপ দল পাবে ২৫ হাজার টাকা। এতে প্রতিযোগিতার উত্তেজনা যেমন বেড়েছে, তেমনি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পুরুষদের জন্য দুটি স্তর—অ্যাডভান্সড ও ইন্টারমিডিয়েট—রাখায় বিভিন্ন দক্ষতার খেলোয়াড়েরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাচ্ছেন। একইসঙ্গে নারীদের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি রাখাকে আয়োজকরা দেখছেন বাংলাদেশের প্যাডেল খেলায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে। আসরে স্পন্সর হিসেবে রয়েছে দৌড়, ব্রুভানা, শেয়ারট্রিপ, লোটো, গোল্ডস জিম ও জুলকানসহ আরও কয়েকটি পরিচিত ব্র্যান্ড।

উৎসবমুখর প্রথম দিনের খেলা শেষে আয়োজকরা জানিয়েছেন, আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ সামনে অপেক্ষা করছে। আজ শনিবার ফাইনাল ম্যাচের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ বছরের প্যাডেল স্ল্যাম ২.০।

ব্রডকাস্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে টি-স্পোর্টস চ্যানেল ও তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো, যা মাঠের বাইরেও প্যাডেলপ্রেমীদের মাঝে এই খেলার পরিচিতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আয়োজকদের আশা, এ ধরনের আয়োজন প্যাডেলকে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যোগ করবে নতুন মাত্রা।


জেরার্ড মার্তিন অনুশীলনে ফিরেছেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ওসাসুনার বিপক্ষে ম‍্যাচের আগের দিন বার্সেলোনার অনুশীলনে ফিরলেন জেরার্দ মার্তিন। অসুস্থতার জন‍্য আগের দিন অনুশীলনে ছিলেন না এই তরুণ ডিফেন্ডার।

সুস্থ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই স্কোয়াডে থাকবেন মার্তিন। লা লিগার ম‍্যাচে একাদশে জন‍্যও হান্সি ফ্লিকের বিবেচনায় ভালোভাবেই থাকতে পারেন তিনি। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওসাসুনার মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। সাম্প্রতিক সময়ে বাম দিকের সেন্টার ব‍্যাক হিসেবে খেলছেন মার্তিন। ওসাসুনার বিপক্ষে সেই পজিশনেই দেখা যেতে পারে তাকে।

প্রাক মৌসুমে এশিয়া সফরে দিয়ে বাম দিকের সেন্টার ব‍্যাক হিসেবে খেলা শুরু করেন মার্তিন। নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতির পর পাও কুবার্সির সঙ্গে রক্ষণে শুরুর একাদশে জায়গা পাকা করে ফেলেছেন তিনি। অনুশীলনে ফেরার পর ছয় ম‍্যাচের পাঁচটিতেই শুরুর একাদশে ছিলেন মার্তিন। একমাত্র যে ম‍্যাচে ছিলেন না, সেটায় চেলসির বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারে বার্সেলোনা। স্ট‍্যামফোর্ড ব্রিজে তিনি মাঠে নামেন ৭৯তম মিনিটে।


ব্রাদার্সকে হারিয়ে আরামবাগের চমক, ফর্টিস হারাল রহমতগঞ্জকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অবশেষে জয়খরা কাটাল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল লিগে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারা। মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে ১৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাদার্স। কিন্তু পেনাল্টি মিস করে বসেন মার্কোস রুদওয়েরে জেনার সিলভা।

৩২ ‍মিনিটে কাজী রাহাদ মিয়ার লং থ্রো মোহাম্মদ শাওনের গায়ে লেগে সরাসরি খুঁজে নেয় জাল। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আবারও লং থ্রোয়ে গোল পায় আরামবাগ। এবারও থ্রো নেন রাহাদ। তা ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই বল ফেলে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক ইশাক আলী। বিরতির পর কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি।

মুন্সীগঞ্জের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ফর্টিস এফসি।

৫০ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে ফর্টিসের ওকাফরের শট যায় পোস্টের উপর দিয়ে। খানিক পর অন্য প্রান্ত দিয়ে বিপদসীমায় ঢুকে পড়েন পা ওমর বাবু। তবে তাকে আটকে দেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার। ৫৭ মিনিটে গোললাইন ক্লিয়ার করে এ যাত্রায় বেঁচে যায় রহমতগঞ্জ।

৭০ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সে ওকাফরের হেডে ফিরতি শট নেন মুরশেদ আলী। তার নিচু শট গোলকিপার মামুন আলিফ নিয়ন্ত্রণে নেন। পরের মিনিটে আরও একবার গোলপোস্টের সামনে দারুণ সেভ করেছেন এই গোলকিপার।

৮২ মিনিটে ম্যাচে সবচেয়ে ভালো একটি আক্রমণ শানায় রহমতগঞ্জ, সেখান থেকে গোলেরও সুযোগ ছিল। তবে প্রতি আক্রমণে ওঠা আদু ক্লেমেন্তো শট নেওয়ার আগে বক্সে মাটিতে পড়ে যান। উঠে শট নেওয়ার আগে ফর্টিসের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা ঘানার ফরোয়ার্ডকে রুখে দেন।

শেষ বাশি বাজির আগে পা ওমরের পাস থেকে বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের শটে নেন ওকাফর। তার শট লাফিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার। তবে তিনি নাগাল পাননি, বল পোস্টে লেগে সরাসরি জাল কাঁপায়।


রিয়ালের তিন ফুটবলার ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

স্প্যানিশ লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন রিয়ালের তিন খেলোয়াড়। এর মধ্যে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দুই ডিফেন্ডার ফ্রান গার্সিয়া ও আলভারো ক্যারেরাস।

অন্যদিকে শেষ বাঁশি বাজার পর বেঞ্চ থেকে লাল কার্ড দেখেন এনদ্রিক। লা লিগার শৃঙ্খলা কমিটি গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) তিন খেলোয়াড়কে দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করে।

তবে কারভাহালের শাস্তি পাওয়া বেশ অদ্ভূত। সেল্টা বিপক্ষে ম্যাচে স্কোয়াডেও ছিলেন না তিনি। তবে ‘রেফারির ওপর চড়াও হওয়ায়’ দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। রিয়ালকে ওই রাতে অনেকটা সময় ১০ জন ও শেষের কিছু সময় ৯ জন নিয়ে খেলতে হয়।

এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ফ্রান গার্সিয়া। সেল্টার বিপক্ষে ম্যাচে পরপর দুই মিনিটে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন আলভারো কারেরাস। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। রেফারিকে এই ডিফেন্ডার বলেছিলেন, ‘আপনি খুব বাজে। চলতি বছর লা লিগায় আর খেলা হচ্ছে না তার।

একই ম্যাচে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে লাল কার্ড দেখেছিলেন বেঞ্চে থাকা এন্দ্রিকও। বেঞ্চ থেকে উঠে অনেকটা দূর গিয়ে ম্যাচের চতুর্থ অফিসিয়ালকে লক্ষ্য করে চিৎকার করেছিলেন তিনি। পরে তাকে থামান কোচিং স্টাফরা। এজন্য দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি।

স্প্যানিশ ফুটবলের ক্ষেত্রেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য। চ্যাম্পিয়নস লিগ বা অন্য কোনো প্রতিযোগিতার জন্য নয়। লা লিগায় ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে শিরোপাধারী বার্সেলোনা।

লা লিগায় আগামী রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) আলাভেসের মাঠে নামবে রিয়াল। এই ম্যাচে এনদ্রিক, ক্যারেরাস, ফ্রান গার্সিয়া ও কারবাহালকে পাবেন না কোচ জাবি আলোনসো। গার্সিয়া লাল কার্ড দেখায় এমনিতেই এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। বাকি তিন খেলোয়াড়কে আলাভেস ম্যাচের পাশাপাশি ২১ ডিসেম্বর সেভিয়ার বিপক্ষেও মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

১৬ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে রিয়াল।


সালাহকে পেতে মরিয়া সৌদি ক্লাবগুলো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমারদের আগমনের পর তারকার হাটে পরিণত হওয়া সৌদি প্রো লিগের নজরে এবার লিভারপুলের মিসরীয় সুপারস্টার মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের জেরে অ্যানফিল্ডে সালাহর ভবিষ্যৎ যখন অনিশ্চিত, ঠিক তখনই তাকে দলে ভেড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের একাধিক ক্লাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোদ সৌদি প্রো লিগের প্রধান নির্বাহী ওমর মুঘারবেল।

রিয়াদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটে মুঘারবেল জানান, মোহাম্মদ সালাহ তাদের অন্যতম প্রধান টার্গেট এবং তাকে লিগে স্বাগত জানাতে তারা প্রস্তুত। তবে সালাহর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোর ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল-ইত্তিহাদ ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিশাল প্রস্তাব দিলেও তখন লিভারপুল তা ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সম্প্রতি লিভারপুলের হয়ে সালাহর সময়টা ভালো যাচ্ছে না। গত শনিবার লিডসের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্রয়ের পর কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সালাহ অভিযোগ করেন, দলের বাজে ফর্মের দায় অন্যায়ভাবে তার ওপর চাপানো হচ্ছে। এই বিবাদের জেরে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্কোয়াডেই রাখা হয়নি ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। যদিও কোচ স্লট বিবাদের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, তবে গত এপ্রিলে দুই বছরের নতুন চুক্তি করলেও জানুয়ারিতেই সালাহর ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে।

অবশ্য সব সৌদি ক্লাবই যে সালাহকে পেতে আগ্রহী, এমনটি নয়। আল-খালুদ ক্লাবের চেয়ারম্যান বেন হারবার্গ স্পষ্ট জানিয়েছেন, সালাহ তাদের খেলার ধরনের সঙ্গে মানানসই নন। তাদের আগ্রহ বরং রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের প্রতি। তবে লিভারপুলের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সৌদি লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলো যে সালাহকে পেতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে, তা বলাই বাহুল্য।


বিয়ে স্থগিতের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে স্মৃতি: ‘ক্রিকেটের চেয়ে বেশি প্রিয় কিছু নেই’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দেওয়া ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটার ও সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন। সংগীত পরিচালক পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে বিয়ে স্থগিত হওয়ার ঘটনার পর এই প্রথম জনসমক্ষে কথা বললেন তিনি। ‘অ্যামাজন সম্ভব’-এর এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি জানালেন, ব্যক্তিগত জীবনের ঝড় ঝাপটার মাঝে ক্রিকেটই তার সবচেয়ে বড় আশ্রয় এবং ভালোবাসার জায়গা।

গত ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের সাংলিতে পলাশ ও স্মৃতির বিয়ের আসর বসার কথা ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবেই সব আয়োজন বন্ধ হয়ে যায়। শুরুতে স্মৃতির বাবার অসুস্থতার কথা শোনা গেলেও পরবর্তীতে পলাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। গত রোববার ইনস্টাগ্রামে একই সময়ে বিবৃতি দিয়ে উভয়েই বিয়ে বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সামনে এসে স্মৃতি বলেন, “গত ১২ বছরে একটি সত্য পরিষ্কার হয়েছে যে, ক্রিকেটের চেয়ে বেশি ভালোবাসি এমন কিছু আছে বলে মনে হয় না। ভারতের জার্সি পরাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রেরণা। ব্যক্তিগত জীবনে আপনি যাই পার করুন না কেন, এই একটি চিন্তাই সবকিছু ভুলিয়ে দেয়।”

শৈশব থেকেই ব্যাটিং নিয়ে এক ধরনের মগ্নতা কাজ করত স্মৃতির মধ্যে। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, যা আশেপাশের অনেকেই তখন বুঝতে পারতেন না। সম্প্রতি ঘরের মাঠে ভারতের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। এই অর্জনকে তিনি বছরের পর বছর করা কঠোর পরিশ্রম ও হতাশা মোকাবিলার ফলাফল হিসেবে বর্ণনা করেন। স্মৃতি বলেন, “এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খেলছি, মাঝেমধ্যেই পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে ছিল না। কিন্তু এই বিশ্বকাপ ট্রফি হলো সেই সবকিছুর সুমিষ্ট পরিণতি, যেগুলোর জন্য আমরা দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছি।”


প্রতিপক্ষের মাঠে পিএসজি হোঁচট খেলেও উড়ছে আর্সেনাল: শতভাগ জয়ে শীর্ষে গানাররা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই পরাশক্তির দুই ভিন্ন রূপ দেখা গেল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পিএসজি যেখানে প্রতিপক্ষের মাঠে একচেটিয়া দাপট দেখিয়েও পয়েন্ট হারিয়েছে, সেখানে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আর্সেনাল জয়রথ অব্যাহত রেখেছে। বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজের মাঠে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে মিকেল আর্তেতার দল। অন্যদিকে, স্পেনের অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও গোলশূন্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লুইস এনরিকের পিএসজিকে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হারের ধাক্কা সামলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্বরূপে ফিরেছে আর্সেনাল। ক্লাব ব্রুজের মাঠে ম্যাচের ২১ মিনিটে ননি মাদুয়েকের দূরপাল্লার শটে লিড নেয় গানাররা। প্রথমার্ধে একাধিক সেভ করে আর্সেনালকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। বিরতির পরপরই মার্টিন জুবিমেন্দির ক্রস থেকে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মাদুয়েকে, যা গত জুলাইয়ে চেলসি থেকে আসার পর তার তৃতীয় গোল। এরপর ৫৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। এই গোলের মাধ্যমে আর্সেনালের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়লেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

অন্যদিকে, সান ম্যামেসে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেও গোলহীন থাকতে হয়েছে পিএসজিকে। বল দখলের লড়াইয়ে ৭১ শতাংশ এগিয়ে থাকা ফরাসি জায়ান্টরা ১৭টি শট নেয়, যার ৮টিই ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু খিচা কাভারৎস্খেলিয়া, গঞ্জালো রামোস ও ফ্যাবিয়ান রুইজদের গোছালো আক্রমণগুলো শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পায়নি। বিপরীতে স্বাগতিক বিলবাও একটি শটও পিএসজির লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ তিন ম্যাচে এটি পিএসজির দ্বিতীয়বার পয়েন্ট হারানোর ঘটনা।

পয়েন্ট টেবিলের চিত্রে দেখা যায়, লিগ পর্বে এখন পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে ৬ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর এই ড্রয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিএসজি; তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ও আটালান্টা।


এগিয়ে গিয়েও সিটির কাছে হারল রিয়াল, চাপে কোচ জাবি আলোনসো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত এই লড়াইয়ে স্বাগতিকরা ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে। গত শনিবার লা লিশায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এই পরাজয় রিয়ালের কোচ জাবি আলোনসোর ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চোটের কারণে তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে বেঞ্চে থাকায় তার অভাব এদিন মাঠে স্পষ্টভাবে অনুভব করেছে মাদ্রিদ।

ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। শুরুতে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ওপর ফাউলের কারণে রেফারি রিয়ালকে পেনাল্টি দিলেও ভিএআর চেকে দেখা যায় ফাউলটি বক্সের বাইরে ছিল। এরপর বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করার পর ২৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। জুড বেলিংহ্যামের পাস থেকে রদ্রিগো তার ট্রেডমার্ক শটে সিটির গোলরক্ষক দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দেন। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। কর্নার থেকে গাভার্দিওলের হেড কোর্তুয়া ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ডে তরুণ ও’রাইলি বল জালে জড়িয়ে সমতা ফেরান। এরপর ডি-বক্সে আর্লিং হাল্যান্ডকে ফাউল করেন অ্যান্টোনিও রুদিগার। ভিএআর পর্যালোচনার পর পাওয়া পেনাল্টি থেকে নিখুঁত শটে গোল করে সিটির জয় নিশ্চিত করেন হাল্যান্ড।

প্রায় ছয় বছরের মধ্যে এটি ছিল দুই পরাশক্তির ১১তম সাক্ষাৎ। চেনা প্রতিপক্ষ হলেও লড়াইয়ের ঝাঁজ বিন্দুমাত্র কম ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোল করার চেষ্টা চালালেও আর কোনো গোল হয়নি। বিরতির ঠিক আগে হাল্যান্ড ও শেরকির দুটি নিশ্চিত গোল সেভ করে ব্যবধান বাড়তে দেননি থিবো কোর্তুয়া। তবে শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হারের স্বাদ পেলেন কোচ আলোনসো, যা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য ম্যাচে জয়রথ অব্যাহত রেখেছে আর্সেনাল। আগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হারের পর একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ মিকেল আর্তেতা। তার আস্থার প্রতিদান দিয়ে ননি ম্যাডুয়েকে জোড়া গোল করেন এবং অপর গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। ক্লাব ব্রুগাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্বের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে গানাররা। অন্যদিকে, বর্তমান ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি তাদের ম্যাচে অ্যাথলেতিক ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। লুইস এনরিকের দল পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকলেও ২৮তম স্থানে থাকা অ্যাথলেতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে।


banner close