শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিশ্বকাপ জিততে নেইমারকে লাগবেই: রদ্রিগো

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৮:৩১

স্মরণকালের অন্যতম দুঃসময় পার করছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য খেলতে যাওয়া দলটির বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব উৎরানোই এখনো নিশ্চিত নয়। যাদের বিপক্ষে জয় ব্যতীত অন্য কিছুই ভাবত না সেলেসাও সমর্থকরা, তাদের বিপক্ষেই এখন হারের গ্লানি জুটছে ব্রাজিলের। বিশ্বকাপ শুরু হতে যেহেতু এখনো বাকি প্রায় দুই বছর। তাই বাজে সময় কাটিয়ে আগামী বিশ্বকাপেও জয়ের জন্যই মাঠে নামতে চান ব্রাজিলিয়ান তরুন তুর্কি রদ্রিগো। তবে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য উদীয়মান এ তারকা জানালেন, নেইমারকে তাদের লাগবেই।

ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের সফলতম গোলস্কোরার নেইমার। দলের প্রাণভোমরাও তিনিই। কিন্তু চোটের কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে তিনি মাঠের বাইরে। তাকে ছাড়া এই সময়টায় ব্রাজিল হয়ে উঠেছে আরও ছন্নছাড়া।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায় ব্রাজিল। বাছাইয়ের ইতিহাসে টানা তিন ম্যাচে হার তাদের জন্য ছিল প্রথম। টানা চার ম্যাচ জয়বিহীন থাকার পর গত শুক্রবার রদ্রিগোর গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়েছে তারা। বাছাইয়ের পয়েন্ট তালিকায় ছয় থেকে উঠে আসে চারে।

রদ্রিগোর মতে, নেইমারের ঘাটতি দলে পূরণ করা যাচ্ছে না। আগামী বিশ্বকাপ জিততে হলে নেইমারের বিকল্প তিনি দেখেন না। রদ্রিগো বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। সবাই দেখতে পাচ্ছে। এটা খুবই পরিষ্কার যে, তার অভাব কতটা অনুভূত হচ্ছে দলে। তিনি আমাদের তারকা, আমাদের সেরা ফুটবলার। বিশ্বকাপ জিততে হলে তাকে আমাদের লাগবে। সবাইকে ভালো থেকে তাকে সহায়তা করতে হবে।’

নেইমারকে ফিরে পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই নেইমারকে সুস্থ দেখতে চাই। তিনি যদি সুস্থ থাকেন… সেরে ওঠার শেষ পর্যায়ে আছেন তিনি। যত দ্রুত সম্ভব তাকে ফিরে পেতে চাই আমরা।’

গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল। সেই ম্যাচে টাইব্রেকারে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন রদ্রিগো। ম্যাচের পরে তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন, ‘নেইমারকে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা থেকে বঞ্চিত করায়।’

নেইমারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের গল্পও শোনালেন রদ্রিগো। ফুটবলার হিসেবে তো তাকে আদর্শই মানেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ উইঙ্গার, পাশাপাশি মানুষ হিসেবেও তার হৃদয়ে আলাদা জায়গা নিয়ে আছেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিতই পরস্পরকে ম্যাসেজ পাঠাই। এখন সে দলের সঙ্গে অনুশীলনে ফেরার পথে আছে। সতীর্থ হিসেবে তিনি দারুণ। মানুষ হিসেবে তিনি যেমন… তাকে নিয়ে কেউ খারাপ কথা বললে আমার কষ্ট লাগে।’

নেইমারকে আদর্শ জানিয়ে রদ্রিগো বলেন, ‘তিনি সবসময় আমাকে নানা কিছু লেখেন, সহায়তা করেন। তাকে আমি ভালোবাসি। ফুটবলার হিসেবে তিনি তো আমার আদর্শই, মানুষ হিসেবেও সে অসাধারণ একজন।’


বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে প্যাডেল স্ল্যাম ২.০ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠেছে ‘আহসান গ্রুপ প্রেজেন্টস প্যাডেল স্ল্যাম ২.০, পাওয়ার্ড বাই অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস’ টুর্নামেন্টের। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে প্যাডেল গ্রাউন্ডে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন ৩৬ দল ও ১২০ জনেরও বেশি প্যাডেল খেলোয়াড়।

আমেরিকা ও ইউরোপের জনপ্রিয় র‌্যাকেটভিত্তিক এই খেলাকে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে গত আসরের মতো এবারও বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করেছে বড় পরিসরের এই টুর্নামেন্ট।

আকর্ষণীয় প্রাইজপুল, সমান সুযোগ এবং তিনটি পৃথক প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি নিয়ে এবারের আসরকে সাজানো হয়েছে আরও বর্ণিলভাবে। খেলোয়াড়দের দক্ষতা অনুযায়ী রাখা হয়েছে- পুরুষদের অ্যাডভান্সড, পুরুষদের ইন্টারমিডিয়েট এবং নারীদের ডাবলস ক্যাটাগরি। প্রতিটি দলে দুজন করে খেলোয়াড় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এবং দলপ্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত ছিল ১২ হাজার টাকা।

স্থানীয় প্যাডেল ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ আকর্ষণ হিসেবে এবারে মোট প্রাইজপুল রাখা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনটি ক্যাটাগরিতেই চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ হাজার টাকা করে, আর রানার-আপ দল পাবে ২৫ হাজার টাকা। এতে প্রতিযোগিতার উত্তেজনা যেমন বেড়েছে, তেমনি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পুরুষদের জন্য দুটি স্তর—অ্যাডভান্সড ও ইন্টারমিডিয়েট—রাখায় বিভিন্ন দক্ষতার খেলোয়াড়েরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাচ্ছেন। একইসঙ্গে নারীদের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি রাখাকে আয়োজকরা দেখছেন বাংলাদেশের প্যাডেল খেলায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে। আসরে স্পন্সর হিসেবে রয়েছে দৌড়, ব্রুভানা, শেয়ারট্রিপ, লোটো, গোল্ডস জিম ও জুলকানসহ আরও কয়েকটি পরিচিত ব্র্যান্ড।

উৎসবমুখর প্রথম দিনের খেলা শেষে আয়োজকরা জানিয়েছেন, আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ সামনে অপেক্ষা করছে। আজ শনিবার ফাইনাল ম্যাচের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ বছরের প্যাডেল স্ল্যাম ২.০।

ব্রডকাস্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে টি-স্পোর্টস চ্যানেল ও তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো, যা মাঠের বাইরেও প্যাডেলপ্রেমীদের মাঝে এই খেলার পরিচিতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আয়োজকদের আশা, এ ধরনের আয়োজন প্যাডেলকে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যোগ করবে নতুন মাত্রা।


জেরার্ড মার্তিন অনুশীলনে ফিরেছেন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ওসাসুনার বিপক্ষে ম‍্যাচের আগের দিন বার্সেলোনার অনুশীলনে ফিরলেন জেরার্দ মার্তিন। অসুস্থতার জন‍্য আগের দিন অনুশীলনে ছিলেন না এই তরুণ ডিফেন্ডার।

সুস্থ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই স্কোয়াডে থাকবেন মার্তিন। লা লিগার ম‍্যাচে একাদশে জন‍্যও হান্সি ফ্লিকের বিবেচনায় ভালোভাবেই থাকতে পারেন তিনি। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ওসাসুনার মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। সাম্প্রতিক সময়ে বাম দিকের সেন্টার ব‍্যাক হিসেবে খেলছেন মার্তিন। ওসাসুনার বিপক্ষে সেই পজিশনেই দেখা যেতে পারে তাকে।

প্রাক মৌসুমে এশিয়া সফরে দিয়ে বাম দিকের সেন্টার ব‍্যাক হিসেবে খেলা শুরু করেন মার্তিন। নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতির পর পাও কুবার্সির সঙ্গে রক্ষণে শুরুর একাদশে জায়গা পাকা করে ফেলেছেন তিনি। অনুশীলনে ফেরার পর ছয় ম‍্যাচের পাঁচটিতেই শুরুর একাদশে ছিলেন মার্তিন। একমাত্র যে ম‍্যাচে ছিলেন না, সেটায় চেলসির বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারে বার্সেলোনা। স্ট‍্যামফোর্ড ব্রিজে তিনি মাঠে নামেন ৭৯তম মিনিটে।


ব্রাদার্সকে হারিয়ে আরামবাগের চমক, ফর্টিস হারাল রহমতগঞ্জকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অবশেষে জয়খরা কাটাল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল লিগে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে তারা। মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে ১৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাদার্স। কিন্তু পেনাল্টি মিস করে বসেন মার্কোস রুদওয়েরে জেনার সিলভা।

৩২ ‍মিনিটে কাজী রাহাদ মিয়ার লং থ্রো মোহাম্মদ শাওনের গায়ে লেগে সরাসরি খুঁজে নেয় জাল। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আবারও লং থ্রোয়ে গোল পায় আরামবাগ। এবারও থ্রো নেন রাহাদ। তা ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই বল ফেলে দেন ব্রাদার্স গোলরক্ষক ইশাক আলী। বিরতির পর কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি।

মুন্সীগঞ্জের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ফর্টিস এফসি।

৫০ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে ফর্টিসের ওকাফরের শট যায় পোস্টের উপর দিয়ে। খানিক পর অন্য প্রান্ত দিয়ে বিপদসীমায় ঢুকে পড়েন পা ওমর বাবু। তবে তাকে আটকে দেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার। ৫৭ মিনিটে গোললাইন ক্লিয়ার করে এ যাত্রায় বেঁচে যায় রহমতগঞ্জ।

৭০ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সে ওকাফরের হেডে ফিরতি শট নেন মুরশেদ আলী। তার নিচু শট গোলকিপার মামুন আলিফ নিয়ন্ত্রণে নেন। পরের মিনিটে আরও একবার গোলপোস্টের সামনে দারুণ সেভ করেছেন এই গোলকিপার।

৮২ মিনিটে ম্যাচে সবচেয়ে ভালো একটি আক্রমণ শানায় রহমতগঞ্জ, সেখান থেকে গোলেরও সুযোগ ছিল। তবে প্রতি আক্রমণে ওঠা আদু ক্লেমেন্তো শট নেওয়ার আগে বক্সে মাটিতে পড়ে যান। উঠে শট নেওয়ার আগে ফর্টিসের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা ঘানার ফরোয়ার্ডকে রুখে দেন।

শেষ বাশি বাজির আগে পা ওমরের পাস থেকে বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের শটে নেন ওকাফর। তার শট লাফিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন রহমতগঞ্জের গোলকিপার। তবে তিনি নাগাল পাননি, বল পোস্টে লেগে সরাসরি জাল কাঁপায়।


রিয়ালের তিন ফুটবলার ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

স্প্যানিশ লা লিগায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন রিয়ালের তিন খেলোয়াড়। এর মধ্যে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দুই ডিফেন্ডার ফ্রান গার্সিয়া ও আলভারো ক্যারেরাস।

অন্যদিকে শেষ বাঁশি বাজার পর বেঞ্চ থেকে লাল কার্ড দেখেন এনদ্রিক। লা লিগার শৃঙ্খলা কমিটি গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) তিন খেলোয়াড়কে দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করে।

তবে কারভাহালের শাস্তি পাওয়া বেশ অদ্ভূত। সেল্টা বিপক্ষে ম্যাচে স্কোয়াডেও ছিলেন না তিনি। তবে ‘রেফারির ওপর চড়াও হওয়ায়’ দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। রিয়ালকে ওই রাতে অনেকটা সময় ১০ জন ও শেষের কিছু সময় ৯ জন নিয়ে খেলতে হয়।

এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ফ্রান গার্সিয়া। সেল্টার বিপক্ষে ম্যাচে পরপর দুই মিনিটে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন আলভারো কারেরাস। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। রেফারিকে এই ডিফেন্ডার বলেছিলেন, ‘আপনি খুব বাজে। চলতি বছর লা লিগায় আর খেলা হচ্ছে না তার।

একই ম্যাচে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে লাল কার্ড দেখেছিলেন বেঞ্চে থাকা এন্দ্রিকও। বেঞ্চ থেকে উঠে অনেকটা দূর গিয়ে ম্যাচের চতুর্থ অফিসিয়ালকে লক্ষ্য করে চিৎকার করেছিলেন তিনি। পরে তাকে থামান কোচিং স্টাফরা। এজন্য দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন তিনি।

স্প্যানিশ ফুটবলের ক্ষেত্রেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য। চ্যাম্পিয়নস লিগ বা অন্য কোনো প্রতিযোগিতার জন্য নয়। লা লিগায় ১৬ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে শিরোপাধারী বার্সেলোনা।

লা লিগায় আগামী রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) আলাভেসের মাঠে নামবে রিয়াল। এই ম্যাচে এনদ্রিক, ক্যারেরাস, ফ্রান গার্সিয়া ও কারবাহালকে পাবেন না কোচ জাবি আলোনসো। গার্সিয়া লাল কার্ড দেখায় এমনিতেই এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। বাকি তিন খেলোয়াড়কে আলাভেস ম্যাচের পাশাপাশি ২১ ডিসেম্বর সেভিয়ার বিপক্ষেও মাঠের বাইরে থাকতে হবে।

১৬ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে রিয়াল।


সালাহকে পেতে মরিয়া সৌদি ক্লাবগুলো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমারদের আগমনের পর তারকার হাটে পরিণত হওয়া সৌদি প্রো লিগের নজরে এবার লিভারপুলের মিসরীয় সুপারস্টার মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের জেরে অ্যানফিল্ডে সালাহর ভবিষ্যৎ যখন অনিশ্চিত, ঠিক তখনই তাকে দলে ভেড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের একাধিক ক্লাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোদ সৌদি প্রো লিগের প্রধান নির্বাহী ওমর মুঘারবেল।

রিয়াদে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটে মুঘারবেল জানান, মোহাম্মদ সালাহ তাদের অন্যতম প্রধান টার্গেট এবং তাকে লিগে স্বাগত জানাতে তারা প্রস্তুত। তবে সালাহর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোর ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আল-ইত্তিহাদ ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিশাল প্রস্তাব দিলেও তখন লিভারপুল তা ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সম্প্রতি লিভারপুলের হয়ে সালাহর সময়টা ভালো যাচ্ছে না। গত শনিবার লিডসের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্রয়ের পর কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সালাহ অভিযোগ করেন, দলের বাজে ফর্মের দায় অন্যায়ভাবে তার ওপর চাপানো হচ্ছে। এই বিবাদের জেরে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্কোয়াডেই রাখা হয়নি ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। যদিও কোচ স্লট বিবাদের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, তবে গত এপ্রিলে দুই বছরের নতুন চুক্তি করলেও জানুয়ারিতেই সালাহর ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন জোরালো হচ্ছে।

অবশ্য সব সৌদি ক্লাবই যে সালাহকে পেতে আগ্রহী, এমনটি নয়। আল-খালুদ ক্লাবের চেয়ারম্যান বেন হারবার্গ স্পষ্ট জানিয়েছেন, সালাহ তাদের খেলার ধরনের সঙ্গে মানানসই নন। তাদের আগ্রহ বরং রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের প্রতি। তবে লিভারপুলের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সৌদি লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলো যে সালাহকে পেতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে, তা বলাই বাহুল্য।


বিয়ে স্থগিতের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে স্মৃতি: ‘ক্রিকেটের চেয়ে বেশি প্রিয় কিছু নেই’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দেওয়া ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটার ও সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন। সংগীত পরিচালক পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে বিয়ে স্থগিত হওয়ার ঘটনার পর এই প্রথম জনসমক্ষে কথা বললেন তিনি। ‘অ্যামাজন সম্ভব’-এর এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি জানালেন, ব্যক্তিগত জীবনের ঝড় ঝাপটার মাঝে ক্রিকেটই তার সবচেয়ে বড় আশ্রয় এবং ভালোবাসার জায়গা।

গত ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের সাংলিতে পলাশ ও স্মৃতির বিয়ের আসর বসার কথা ছিল। কিন্তু আকস্মিকভাবেই সব আয়োজন বন্ধ হয়ে যায়। শুরুতে স্মৃতির বাবার অসুস্থতার কথা শোনা গেলেও পরবর্তীতে পলাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। গত রোববার ইনস্টাগ্রামে একই সময়ে বিবৃতি দিয়ে উভয়েই বিয়ে বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সামনে এসে স্মৃতি বলেন, “গত ১২ বছরে একটি সত্য পরিষ্কার হয়েছে যে, ক্রিকেটের চেয়ে বেশি ভালোবাসি এমন কিছু আছে বলে মনে হয় না। ভারতের জার্সি পরাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রেরণা। ব্যক্তিগত জীবনে আপনি যাই পার করুন না কেন, এই একটি চিন্তাই সবকিছু ভুলিয়ে দেয়।”

শৈশব থেকেই ব্যাটিং নিয়ে এক ধরনের মগ্নতা কাজ করত স্মৃতির মধ্যে। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, যা আশেপাশের অনেকেই তখন বুঝতে পারতেন না। সম্প্রতি ঘরের মাঠে ভারতের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। এই অর্জনকে তিনি বছরের পর বছর করা কঠোর পরিশ্রম ও হতাশা মোকাবিলার ফলাফল হিসেবে বর্ণনা করেন। স্মৃতি বলেন, “এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খেলছি, মাঝেমধ্যেই পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে ছিল না। কিন্তু এই বিশ্বকাপ ট্রফি হলো সেই সবকিছুর সুমিষ্ট পরিণতি, যেগুলোর জন্য আমরা দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছি।”


প্রতিপক্ষের মাঠে পিএসজি হোঁচট খেলেও উড়ছে আর্সেনাল: শতভাগ জয়ে শীর্ষে গানাররা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই পরাশক্তির দুই ভিন্ন রূপ দেখা গেল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পিএসজি যেখানে প্রতিপক্ষের মাঠে একচেটিয়া দাপট দেখিয়েও পয়েন্ট হারিয়েছে, সেখানে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আর্সেনাল জয়রথ অব্যাহত রেখেছে। বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজের মাঠে ৩-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে মিকেল আর্তেতার দল। অন্যদিকে, স্পেনের অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেও গোলশূন্য ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লুইস এনরিকের পিএসজিকে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হারের ধাক্কা সামলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্বরূপে ফিরেছে আর্সেনাল। ক্লাব ব্রুজের মাঠে ম্যাচের ২১ মিনিটে ননি মাদুয়েকের দূরপাল্লার শটে লিড নেয় গানাররা। প্রথমার্ধে একাধিক সেভ করে আর্সেনালকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। বিরতির পরপরই মার্টিন জুবিমেন্দির ক্রস থেকে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মাদুয়েকে, যা গত জুলাইয়ে চেলসি থেকে আসার পর তার তৃতীয় গোল। এরপর ৫৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। এই গোলের মাধ্যমে আর্সেনালের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়লেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

অন্যদিকে, সান ম্যামেসে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেও গোলহীন থাকতে হয়েছে পিএসজিকে। বল দখলের লড়াইয়ে ৭১ শতাংশ এগিয়ে থাকা ফরাসি জায়ান্টরা ১৭টি শট নেয়, যার ৮টিই ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু খিচা কাভারৎস্খেলিয়া, গঞ্জালো রামোস ও ফ্যাবিয়ান রুইজদের গোছালো আক্রমণগুলো শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পায়নি। বিপরীতে স্বাগতিক বিলবাও একটি শটও পিএসজির লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ তিন ম্যাচে এটি পিএসজির দ্বিতীয়বার পয়েন্ট হারানোর ঘটনা।

পয়েন্ট টেবিলের চিত্রে দেখা যায়, লিগ পর্বে এখন পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে ৬ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর এই ড্রয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিএসজি; তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ও আটালান্টা।


এগিয়ে গিয়েও সিটির কাছে হারল রিয়াল, চাপে কোচ জাবি আলোনসো

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত এই লড়াইয়ে স্বাগতিকরা ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে। গত শনিবার লা লিশায় সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে হারের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এই পরাজয় রিয়ালের কোচ জাবি আলোনসোর ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চোটের কারণে তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে বেঞ্চে থাকায় তার অভাব এদিন মাঠে স্পষ্টভাবে অনুভব করেছে মাদ্রিদ।

ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। শুরুতে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ওপর ফাউলের কারণে রেফারি রিয়ালকে পেনাল্টি দিলেও ভিএআর চেকে দেখা যায় ফাউলটি বক্সের বাইরে ছিল। এরপর বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করার পর ২৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। জুড বেলিংহ্যামের পাস থেকে রদ্রিগো তার ট্রেডমার্ক শটে সিটির গোলরক্ষক দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দেন। তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। কর্নার থেকে গাভার্দিওলের হেড কোর্তুয়া ফিরিয়ে দিলেও রিবাউন্ডে তরুণ ও’রাইলি বল জালে জড়িয়ে সমতা ফেরান। এরপর ডি-বক্সে আর্লিং হাল্যান্ডকে ফাউল করেন অ্যান্টোনিও রুদিগার। ভিএআর পর্যালোচনার পর পাওয়া পেনাল্টি থেকে নিখুঁত শটে গোল করে সিটির জয় নিশ্চিত করেন হাল্যান্ড।

প্রায় ছয় বছরের মধ্যে এটি ছিল দুই পরাশক্তির ১১তম সাক্ষাৎ। চেনা প্রতিপক্ষ হলেও লড়াইয়ের ঝাঁজ বিন্দুমাত্র কম ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোল করার চেষ্টা চালালেও আর কোনো গোল হয়নি। বিরতির ঠিক আগে হাল্যান্ড ও শেরকির দুটি নিশ্চিত গোল সেভ করে ব্যবধান বাড়তে দেননি থিবো কোর্তুয়া। তবে শেষ পর্যন্ত হার এড়াতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হারের স্বাদ পেলেন কোচ আলোনসো, যা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য ম্যাচে জয়রথ অব্যাহত রেখেছে আর্সেনাল। আগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার কাছে হারের পর একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ মিকেল আর্তেতা। তার আস্থার প্রতিদান দিয়ে ননি ম্যাডুয়েকে জোড়া গোল করেন এবং অপর গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। ক্লাব ব্রুগাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নকআউট পর্বের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে গানাররা। অন্যদিকে, বর্তমান ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি তাদের ম্যাচে অ্যাথলেতিক ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। লুইস এনরিকের দল পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকলেও ২৮তম স্থানে থাকা অ্যাথলেতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে।


‘১০০’ উইকেটের ক্লাবে ভারতের দ্বিতীয় বুমরাহ, বাংলাদেশের তিনজন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেদের শক্তির জানান দিল ভারত। কটকে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দল। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ভারতের দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১২.৩ ওভারে ৭৪ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা, যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের লজ্জার রেকর্ড।

প্রোটিয়াদের ধসিয়ে দেওয়ার দিনে ব্যক্তিগত এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। আর্শদীপ সিংয়ের পর ভারতের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন তিনি। এই ফরম্যাটে ভারতের হয়ে আর্শদীপের বর্তমান উইকেট সংখ্যা ১০৭।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের এই অভিজাত ক্লাবে ভারতের প্রতিনিধি মাত্র দুজন হলেও বাংলাদেশের রয়েছেন তিনজন বোলার। এর মধ্যে দুজন আবার বিশ্বসেরা পাঁচ উইকেটশিকারির তালিকার মধ্যেই অবস্থান করছেন। ১৮২ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির ঝুলিতে রয়েছে ১৬৪ উইকেট।

তালিকায় বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের অবস্থান বেশ ওপরে; ১৬৮ উইকেট নিয়ে তিনি রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। এছাড়া ১৪৯ উইকেট নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে এই ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ, যার নামের পাশে রয়েছে ১০৬টি উইকেট।


দলে সুযোগ না পেয়ে কোচের ওপর হামলা, ভারতীয় তিন ক্রিকেটার পলাতক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে পন্ডিচেরি। দলে সুযোগ না পাওয়ার ক্ষোভে অনূর্ধ্ব–১৯ দলের কোচ এস ভেঙ্কটারামনের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে স্থানীয় তিন ক্রিকেটার। সোমবার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব পন্ডিচেরির (সিএপি) কমপ্লেক্সের ভেতরেই ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে কোচকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়।

হামলায় গুরুতর আহত কোচ ভেঙ্কটারামনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কপালে ২০টি সেলাই লেগেছে এবং কাঁধের হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন সেদারাপেট থানার সাব–ইন্সপেক্টর এস রাজেশ। তবে অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটার—কার্তিকেয়া জয়সুন্দর, এ আরাভিন্দারাজ ও এস সন্তোষ কুমার ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাদের খুঁজছে।

জানা গেছে, সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা না পেয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই তিন ক্রিকেটার। কোচ ভেঙ্কটারামন তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ৮ ডিসেম্বর সকালে সিএপি কমপ্লেক্সে ওই তিন ক্রিকেটার তাকে ঘিরে ধরে হেনস্তা শুরু করে। এক পর্যায়ে আরাভিন্দারাজ তাকে জাপটে ধরে এবং কার্তিকেয়া ব্যাট দিয়ে আঘাত করতে থাকে। হামলার সময় তারা বলছিল, কোচকে মেরে ফেললেই নাকি তারা দলে জায়গা পাবে—এমন আশ্বাস তাদের দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, ভারতিদাসান পন্ডিচেরি ক্রিকেটার্স ফোরামের সচিব জি চন্দ্রনের উসকানিতেই এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পন্ডিচেরি ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও ‘বহিরাগত’ বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে, ভুয়া আধার কার্ড ও জাল শিক্ষাগত সনদ ব্যবহার করে বহিরাগতরা নিজেদের স্থানীয় সাজিয়ে পন্ডিচেরির দলগুলোতে জায়গা দখল করছে। ২০২১ সালের পর থেকে রঞ্জি ট্রফিতে পন্ডিচেরির হয়ে মাত্র পাঁচজন প্রকৃত স্থানীয় খেলোয়াড় খেলার সুযোগ পেয়েছেন। যদিও সিএপি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বোর্ডের যুগ্ম সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুতর হিসেবে আখ্যায়িত করে জানিয়েছেন, বিসিসিআই খুব শিগগিরই এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। এদিকে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব পন্ডিচেরি (সিএপি) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে।


সালাহকে ছাড়াই ইতালিতে লিভারপুলের জয়, আতালান্তার কাছে ধরাশায়ী চেলসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মাঠের পারফরম্যান্স ও তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহর বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই চ্যাম্পিয়নস লিগে স্বস্তির জয় পেয়েছে লিভারপুল। দলের অন্যতম সেরা তারকা সালাহকে স্কোয়াডের বাইরে রেখেই গতকাল রাতে সান সিরোতে ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। অন্যদিকে, একই রাতে ইতালির আরেক ক্লাব আতালান্তার মাঠে শুরুতে এগিয়ে থেকেও ২-১ ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে চেলসিকে।

ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সালাহকে বাদ দিয়েই একাদশ সাজায় লিভারপুল। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচের ফয়সালা হয় একদম শেষ মুহূর্তে। ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার ডমিনিক সোবোসলাইয়ের নিখুঁত শটে জয় নিশ্চিত করে ‘অল রেড’রা। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৮ নম্বরে উঠে এসেছে ইংলিশ ক্লাবটি। হারের পরও সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে ৫ নম্বরে অবস্থান করছে ইন্টার মিলান।

অন্যদিকে, আতালান্তার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে দাপট ছিল চেলসির। ২৫ মিনিটে রিস জেমসের নিচু ক্রসে দারুণ ভলি করে দলকে এগিয়ে নেন জোয়াও পেদ্রো। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি এনজো মারোস্কার শিষ্যরা। তবে বিরতির পর পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। ৫৫ মিনিটে চার্লস দে কেতেলায়ের ক্রসে হেডে গোল করে আতালান্তাকে সমতায় ফেরান জিয়ানলুকা স্কামাকা।

সমতার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় ইতালিয়ান ক্লাবটি। গোলরক্ষক রবার্ট সানচেস অসাধারণ দক্ষতায় একবার চেলসিকে রক্ষা করলেও ৮৩ মিনিটে শেষ রক্ষা হয়নি। দে কেতেলায়ে একাই বল নিয়ে ডি–বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোল করে আতালান্তার জয় নিশ্চিত করেন। শেষ মুহূর্তে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হন পেদ্রো। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে আতালান্তা, আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থানে নেমে গেছে চেলসি।


বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সিইসির সাক্ষাৎ আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি অবহিত করতে আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতের পরই সিইসি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, রেকর্ডকৃত এই ভাষণের মাধ্যমেই বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, যা পরবর্তীতে সম্প্রচার করা হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন কেবল তফসিল ঘোষণার অপেক্ষা। তিনি নিশ্চিত করেন, তফসিল ঘোষণার প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আজই পুরো কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবে এবং এরপর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এবারই প্রথম আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ব্যালট পেপারে এবার আর ‘নৌকা’ প্রতীক থাকছে না। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দল জোটবদ্ধ হলেও এবার শরিক দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পাবে না; প্রত্যেক দলকে নিজস্ব প্রতীকেই লড়তে হবে।

নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এবার যুক্ত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। প্রথমবারের মতো প্রবাসী ভোটার, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা এবং কারাগারে থাকা কয়েদিদের জন্য আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন।

সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সারা দেশে ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্র ও ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এবার ভোটগ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।


ন্যু ক্যাম্পে কুন্দের জোড়া গোলে বার্সার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরল চ্যাম্পিয়নস লিগের উত্তাপ, আর সেই প্রত্যাবর্তনের রাতটা স্মরণীয় হয়ে থাকল বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়ের গল্পে। নিজেদের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ফরাসি ডিফেন্ডার জুলস কুন্দের জোড়া গোলে আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।

ম্যাচের শুরুটা বার্সেলোনার জন্য সুখকর ছিল না। খেলার ২১ মিনিটে নাথানিয়েল ব্রাউনের পাস থেকে বার্সার রক্ষণ ভেদ করে গোল করেন ফ্রাঙ্কফুর্টের আন্সগার কানাউফ। প্রথমার্ধে এই এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে হান্সি ফ্লিকের কৌশলে বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। বিরতির পর মাঠে নামেন মার্কাস রাশফোর্ড, আর নেমেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। ৫০ মিনিটে রাশফোর্ডের নিখুঁত ক্রসে হেড করে দলকে সমতায় ফেরান জুলস কুন্দে।

সমতায় ফেরার মাত্র তিন মিনিট পরেই আবারও জ্বলে ওঠেন কুন্দে। এবার তরুণ তারকা লামিন ইয়ামালের ক্রসে ছয় গজ দূর থেকে অনায়াসে বল জালে জড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। তাঁর এই জোড়া গোলেই ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা এবং শেষ পর্যন্ত এই লিড ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

এই গুরুত্বপূর্ণ জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১০-এ। বাকি দুই ম্যাচের ফলাফল নিজেদের পক্ষে থাকলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলার সুযোগ পাবে কাতালানরা। আগামী ২১ জানুয়ারি স্লাভিয়া প্রাগের বিপক্ষে এবং তার এক সপ্তাহ পর ন্যু ক্যাম্পে কোপেনহেগেনের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। অন্যদিকে, ৬ ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে বড় বিপদে পড়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট; বুন্দেসলিগার সপ্তম স্থানে থাকা দলটি এখন ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে


banner close