সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১ পৌষ ১৪৩২

বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে খেলাটাই এখন মেসির নিয়তি

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:২৪

জীবনানন্দ দাশের কবিতার এই লাইন কি পড়েছেন লিওনেল মেসি? না পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ। পড়া থাকলে হয়তো মায়ামির সৈকতে দাঁড়িয়ে আটলান্টিকের বিস্তৃত জলরাশিতে তাকিয়ে আনমনে লাইনটি আওড়াতেন। খেলতে খেলতে মেসির ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ার দৃশ্য তো নতুন নয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফেরা যাক। সেদিন এমএলএসে টরন্টোর বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি। এমনকি মাঠ ছাড়ার আগেই স্বভাববিরুদ্ধভাবে পায়ের শিনগার্ডও (পায়ে থাকা সুরক্ষা গার্ড) খুলে ফেলেন। ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত মেসির দিকে তখন যেন তাকানো যাচ্ছিল না। সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছিল বেঞ্চে বসা মেসির ক্লান্ত মুখের একটি ছবি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবি ভাইরালও হয়েছিল।

এটুকু তবু মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু কোপা আমেরিকা ফাইনালে যা ঘটল, তা হয়তো কারও প্রত্যাশায় ছিল না। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি। এমন চোট মোটেই অপ্রত্যাশিত ছিল না। কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে মেসি একরকম চোটের সঙ্গেই ঘর করছেন। কিন্তু সেদিন মেসিকে বেঞ্চে বসে শিশুর মতো কাঁদতে দেখা গেল। এভাবে ভেঙে পড়তে দেখা তার ভক্ত-সমর্থকদের তো বটেই, সাধারণ দর্শকদের জন্যও ছিল হৃদয় ভাঙার মতো দৃশ্য।

অথচ ফুটবলে মেসির আর কোনো অপূর্ণতা নেই। অধরা নেই কোনো শিরোপাও, জিতেছেন সম্ভাব্য সবকিছু। কাতার বিশ্বকাপের পর অবসরে চলে গেলেও মেসির অর্জনের ভান্ডার থেকে একটি শিশিরকণাও কেউ কেড়ে নিতে পারত না।

মেসি নিজেই বলেছেন, ফুটবলে তার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তবু কেন সেই কান্না! কে জানে, সেদিন হারের শঙ্কায়, চোটের বেদনায়, নাকি বিদায়ের চোখরাঙানিতে অঝোরে কেঁদেছিলেন মেসি! কান্নার পেছনে কারণটা যা-ই হোক, এই ঘটনা মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ভাবনাকে উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসিকে দেখার যে প্রত্যাশা, সেটি জিইয়ে রাখতেই তাকে নিয়ে এত ভাবনা। মেসির চোটের ইতিহাস অন্তত তেমন কিছুই বলছে।

ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রান্সফারমার্কেট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মেসি চোটে পড়েছেন ছয়বার। এর মধ্যে কোপার ফাইনালে চোটে পড়ে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ছিলেন মাঠের বাইরে। সর্বশেষ এই চোটে সব মিলিয়ে মেসি মাঠের বাইরে ছিলেন ৫৮ দিন। তবে সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে এর চেয়ে বেশি সময়ের জন্য মেসি মাঠের বাইরে ছিলেন মাত্র দুবার। বয়স ও ফিটনেস বিবেচনায় নিলে মেসির সাম্প্রতিক এই চোট দুশ্চিন্তায় ফেলার মতোই।

চোট কাটিয়ে সেপ্টেম্বরে মেসি মাঠে ফিরলেও সব যে ঠিক হয়ে গেছে, তা নয়। তার চোটের সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, যেকোনো সময় আবারও একই বিপদ হাজির হতে পারে। ফলে মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামি-উভয় দলকেই থাকতে হচ্ছে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়।

আর্জেন্টিনা দলের কথাই ধরা যাক। কোপার ফাইনালের পর মেসিকে ছাড়াই খেলতে হয়েছে কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনার ম্যাচে ছিলেন না মেসি। তবে এটাই হয়তো এখন আর্জেন্টিনা দলের জন্য ‘নিও নরমাল’ হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ দলের প্রয়োজন এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খেলাতে হবে অধিনায়ককে। মেসির চোট, ক্লান্তি ও বিশ্রাম-এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই কাজটি করতে হবে স্কালোনিকে।

এ ক্ষেত্রে শুধু মেসির জায়গায় আরেকজনকে খেলানো নয়, কৌশল ও স্টাইলেও নতুনত্ব আনতে হবে আর্জেন্টাইন এই কোচকে। সেটি কেমন হতে পারে, সেই ইঙ্গিত সেপ্টেম্বরের ম্যাচ দুটিতেই দেখা গেছে।

স্কালোনির অধীন আর্জেন্টিনা দলে মেসিকে দেখা গেছে মাঠজুড়ে খেলতে। কখনো মাঝমাঠে খেলা তৈরি করেছেন আবার কখনো ডান প্রান্তে সরে গিয়ে আক্রমণে উঠেছেন। পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়েই খেলেছেন মেসি। তবে কলম্বিয়া ও চিলির বিপক্ষে এই স্বাধীনতা উপভোগ করার সুযোগ ছিল না স্কালোনির। ফলে ‘ডাবল নাইন’ হিসেবে হুলিয়ান আলভারেজ ও লাওতারো মার্তিনেজকে খেলাতে হয়েছে তাকে। কৌশলগত এই পরিবর্তনের কারণে মাঠজুড়ে আরও কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছিল স্কালোনিকে।

দায়িত্বের পরিবর্তনের কারণে রদ্রিগো দি পলকেও দেখা গিয়েছিল নতুন ভূমিকায়। ফাইনাল থার্ডে অনেক সময় সূত্রধর হয়ে কাজ করতে দেখা গেছে তাঁকে। মূলত অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের সঙ্গে মিলে খেলা তৈরি করার কাজটি করতে হয়েছিল দি পলকেই। এই দুই ম্যাচে অবশ্য মেসির পরিবর্তে আক্ষরিক অর্থে দেখা গিয়েছিল নিকোলসা গঞ্জালেসকে। যদিও একেবারেই ভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়েছে তাকে এবং সেটা স্বাভাবিকও।

শুধু মেসিই নয়, স্থায়ীভাবে আনহেল দি মারিয়ার অবসরে যাওয়ার কারণেও দল নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে স্কালোনিকে। মেসিকে ছাড়া দলকে সামলানো কতটা কঠিন, সেটা জানাতে গিয়ে স্কালোনি বলেছিলেন, ‘তার (মেসির) ওপর নির্ভর না করাটা একটা দলের জন্য কঠিন। কারণ, সে একজন অসাধারণ ফুটবলার।’ পাশাপাশি অবশ্য মেসিকে ছাড়া পথ চলতে শেখার কথাও বলেছিলেন স্কালোনি। যদিও কাজটা যে কঠিন, সেই প্রমাণ কলম্বিয়ার সঙ্গে হেরে গিয়ে দিয়েছে দলটি। এখন মেসিকে সঙ্গে নিয়ে পরের দুই ম্যাচে স্কালোনির কৌশল কেমন হবে, সেটিও অনেক কিছু পরিষ্কার করে দেবে।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১১ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হওয়ার পর ১৬ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা।স্কালোনিকে অবশ্য হার-জিত সরিয়ে রেখেই নতুনভাবে দল নিয়ে ভাবতে হবে। মেসির বয়স ৩৭ পেরিয়ে গেছে। ক্যারিয়ারের শেষের শুরু হয়ে গেছে আরও আগে। ২০২৬ বিশ্বকাপ এ মুহূর্তে মেসি ও আর্জেন্টিনা দলের চূড়ান্ত লক্ষ্য। তবে সে পর্যন্ত টিকে থাকতে হলে মেসির সময় ভাগ করে খেলার কোনো বিকল্প নেই। ক্লান্তি ও চোট-দুটিই সারাক্ষণ ঘাড়ের ওপর হুমকি হয়ে আছে।

যেকোনো সময় কোনো একটা যেন পথ আগলে দাঁড়াবে! এই ভয় ও আতঙ্ক সামনের দিনগুলোতে আর্জেন্টিনা দলে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, সেটাও ভাবার বিষয়।

তবে এটুকু নিশ্চিত যে ম্যাচের গুরুত্ব এবং মঞ্চ বিবেচনা করেই মেসিকে খেলাবেন স্কালোনি। এমনকি প্রয়োজন ছাড়া মেসিকে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে না–ও দেখা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়েই মূলত পোস্ট-মেসি যুগে প্রবেশ করবে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যেও আশার খবর হচ্ছে মেসির দুর্দান্ত ছন্দ। ফিট মেসি মাঠে নামলে এখনো সেই আগের মতোই দাপুটে ও অপ্রতিরোধ্য। অন্তত ১০ মিনিটের জন্য হলেও সেই মেসিকে মাঠে দেখাটাই তো ফুটবলপ্রেমীদের আরাধ্য!


বার্সার মালিকানায় সৌদি আরবের চোখ: ১৪৩০০০ কোটি টাকার বিশাল প্রস্তাবের গুঞ্জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

স্প্যানিশ জায়ান্ট এফসি বার্সেলোনার দীর্ঘদিনের আর্থিক সংকট ও ঋণের বোঝা কাটাতে এক অভাবনীয় প্রস্তাবের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ক্লাবের মালিকানা পেতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রায় ১০০০ কোটি ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। স্প্যানিশ টেলিভিশন শো ‘এল চিরিংগিতো’-তে ফ্রাঁসোয়া গার্লেদো নামের এক সাংবাদিক দাবি করেছেন, বার্সেলোনার অংশীদারিত্ব কিনতে সৌদি যুবরাজ এই বিপুল অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন।

বার্সেলোনা বর্তমানে প্রায় ২৫০ কোটি ইউরোর ঋণে জর্জরিত, যার প্রভাবে লিওনেল মেসির মতো তারকাকে হারাতে হয়েছে এবং লা লিগার বেতন সীমা নীতির কারণে খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিয়মিত জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে, সৌদি আরব তাদের ‘ভিশন ২০৩০’ ও ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনকে সামনে রেখে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে লিগে ভেড়ানোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্লাবে বিনিয়োগের অংশ হিসেবে সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) বার্সেলোনার দিকে নজর দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বার্সেলোনা এক নিমেষেই ঋণমুক্ত হয়ে নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।

তবে অর্থের অংক আকাশচুম্বী হলেও ফুটবল বিষয়ক সংবাদমাধ্যম গোল ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বার্সেলোনার পূর্ণাঙ্গ মালিকানা কেনা আইনগত ও গঠনতান্ত্রিকভাবে প্রায় অসম্ভব। কারণ, বার্সেলোনা একটি সদস্য বা ‘সোসিও’ মালিকানাধীন ক্লাব, যেখানে বোর্ড নির্বাচন থেকে শুরু করে কৌশলগত সব সিদ্ধান্তে সদস্যদের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। সামাজিকভাবে ক্লাবের ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে মালিকানা বিক্রি করা সদস্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। ফলে সৌদি যুবরাজ চাইলেও এককভাবে ক্লাবটি কিনে নিতে পারবেন না, তবে ক্লাবের নির্দিষ্ট কোনো বাণিজ্যিক শাখায় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হতে পারে।


পিএসএলের কারণে পেছাতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ১১তম আসরের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এই সফরটি অন্য সময়ে আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি গতকাল পিএসএলের সূচি ঘোষণা করেছেন, যেখানে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৩ মে পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টের কারণেই মূলত বাংলাদেশ সফরটি পেছানো হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড আলোচনার মাধ্যমে সফরের জন্য নতুন একটি সময় বের করার চেষ্টা করছে।

বিসিবির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সিরিজের সময় পরিবর্তন হলেও কোনোভাবেই ম্যাচের সংখ্যা কমানো হবে না। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সূচি নতুন করে সমন্বয় করে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিকরা।


মালিঙ্গাকে টপকে টি-টোয়েন্টিতে নতুন মাইলফলক আর্শদীপের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

চলমান ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিং। ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে তিনি শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় নিজের অবস্থান আরও সুসংহত করেছেন।

ম্যাচের শুরুতেই ইনিংসের প্রথম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রিজা হেনড্রিকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান আর্শদীপ। এই উইকেটের মাধ্যমেই তিনি মালিঙ্গার ১০৭ উইকেটের রেকর্ড টপকে যান। মালিঙ্গা যেখানে ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট নিয়েছিলেন, সেখানে আর্শদীপ মাত্র ৭১ ম্যাচেই ১০৮টি উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখালেন।

আগের ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও এই ম্যাচে শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। নতুন বলের পাশাপাশি ডেথ ওভারেও নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছেন তিনি। ম্যাচের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ রান করা এইডেন মারক্রামকে উইকেটের পেছনে জিতেশ শর্মার গ্লাভসবন্দি করে নিজের দ্বিতীয় উইকেটটি তুলে নেন আর্শদীপ।


প্যালেসকে হারিয়ে আর্সেনালকে চাপে রাখল ম্যানচেস্টার সিটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড়ে আর্সেনালকে চাপে রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। সেলহার্স্ট পার্কে স্বাগতিক ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় তুলে নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে এনেছে পেপ গার্দিওলার দল। এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে সিটিজেনরা, যেখানে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে তাদের ব্যবধান এখন মাত্র দুই পয়েন্ট।

ম্যাচের শুরুতে ক্রিস্টাল প্যালেস বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল পায়নি। ইয়েরেমি পিনোর শট ক্রসবারে এবং বিরতির পর অ্যাডাম হোয়ার্টনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে ভাগ্য বিড়ম্বনায় পড়ে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার সিটি তাদের সুযোগগুলো দারুণভাবে কাজে লাগায়। ম্যাচের ৪১তম মিনিটে মাথিউস নুনেসের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে দলকে লিড এনে দেন আর্লিং হালান্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯তম মিনিটে রায়ান শেরকির দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট থেকে নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংলিশ তারকা ফিল ফোডেন। ম্যাচের শেষদিকে সাভিনিয়ো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সিটি। পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হালান্ড। এই হারে শীর্ষ চারে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করল ক্রিস্টাল প্যালেস।


ওয়াংখেড়েতে এক ফ্রেমে ক্রিকেট ঈশ্বর ও ফুটবল জাদুকর: মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

কলকাতার সফরের অব্যবস্থাপনা ও তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে মুম্বাইয়ে এক ভিন্ন আমেজ পেলেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ঐতিহাসিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রচিত হলো এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, যেখানে একই মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার এবং বিশ্বফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি। ‘জিওএটি (GOAT) ইন্ডিয়া ট্যুর’-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এই ইভেন্টটি ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য হয়ে ওঠে এক আনন্দঘন উৎসব, আর গ্যালারি মুখরিত হয়ে ওঠে ‘মেসি, মেসি’ ও ‘শচীন, শচীন’ স্লোগানে।

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভক্তদের জন্য দিনটি ছিল ‘সুপার সানডে’। একটি সেলিব্রেটি ফুটবল ম্যাচ শেষে মঞ্চে উপস্থিত হন মেসি এবং তার দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পল। সেখানেই যোগ দেন শচীন টেন্ডুলকার। শচীন মঞ্চে উঠে হাসিমুখে মেসিকে বরণ করে নেন। এ সময় তিনি মেসিকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ১০ নম্বর জার্সি উপহার দেন, যে জার্সি নম্বরটি মেসিরও। বিনিময়ে মেসি শচীনকে একটি বিশ্বকাপ বল উপহার দেন। স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শক ক্রিকেট ও ফুটবলের দুই মহাতারকাকে এক ফ্রেমে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শচীন এই মুহূর্তটি নিয়ে লিখেছেন, ‘বলতেই হবে, আজকের দিনটা ছিল ১০/১০ লিও মেসি’।

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে শচীন টেন্ডুলকার নিজের আবেগের কথা জানান। তিনি বলেন, মুম্বাই স্বপ্নের শহর এবং ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়সহ তার জীবনের অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। মেসি, সুয়ারেজ এবং ডি পলকে মুম্বাইয়ে পাওয়া ভারতের জন্য একটি সোনালি মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। মেসির ভূয়সী প্রশংসা করে শচীন বলেন, লিও সব কিছুই অর্জন করেছেন। তার নিষ্ঠা, প্রতিশ্রুতি এবং বিশেষ করে তার নম্রতার জন্য সবাই তাকে ভালোবাসে। তিনি মেসির পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, এই সফরের অনুপ্রেরণায় ভারতীয় ফুটবল একদিন কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় পৌঁছাবে।

উল্লেখ্য, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামটি ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী, যেখানে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয় এবং বিরাট কোহলির ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির মতো ঘটনা ঘটেছে। সেখানেই এবার যুক্ত হলো ফুটবল ও ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তির মিলনমেলা, যা ক্রীড়াপ্রেমীদের হৃদয়ে দীর্ঘকাল গেঁথে থাকবে।


রিয়াল মাদ্রিদের জয়ে স্বস্তিতে জাভি আলোনসো

আপডেটেড ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:০১
ক্রীড়া ডেস্ক

সেল্টা ভিগো এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারের পর টানা ব্যর্থতায় রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জাভি আলোনসো যেন এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিলেন, যার ফলে তাঁর চাকরি নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। তবে অবশেষে রিয়াল মাদ্রিদ জয়ের ধারায় ফিরেছে। গতকাল রাতে লা লিগার ম্যাচে আলাভেসকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে পরাজিত করে আলোনসো স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।

ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোল দুটি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং রদ্রিগো। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সাথে রিয়ালের পয়েন্ট ব্যবধান চারে নেমে এসেছে।

অক্টোবরের শেষে এল ক্লাসিকো জয়ের পর ৫ পয়েন্টের লিড নিয়ে শীর্ষে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এরপর এলচে ও রায়ো ভায়েকানোর সাথে ড্র এবং সাম্প্রতিক পরাজয়ের কারণে তারা শীর্ষস্থান হারায় এবং হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা শীর্ষে উঠে আসে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আলাভেসের বিপক্ষে এই জয়টি আলোনসোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

ম্যাচের ২৪ মিনিটে জুড বেলিংহামের চমৎকার পাস থেকে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে, যা চলতি মৌসুমে তাঁর ১৭তম এবং রিয়ালের জার্সিতে ৭০তম গোল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিক আলাভেস। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামার এক মিনিটের মধ্যেই আন্তোনিও ব্লাঙ্কোর পাসে গোল করে কার্লোস ভিসেন্তে আলাভেসকে সমতায় ফেরান। খেলা যখন ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিল, তখন ৭৬ মিনিটে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন রদ্রিগো। তিনি স্বদেশী সতীর্থ ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস পেয়ে বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় গোল করে দলের ২-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।


বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে পর্দা নামলো প্যাডেল স্ল্যাম ২.০'র

আপডেটেড ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে সফলভাবে পর্দা নামলো ‘আহসান গ্রুপ প্রেজেন্টস প্যাডেল স্ল্যাম ২.০, পাওয়ার্ড বাই অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস’ টুর্নামেন্টের। শনিবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচগুলোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী এই জমকালো প্রতিযোগিতা। ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করতে প্রতিযোগীদের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ ও বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

মেন্স অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরির ফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ৬-৪, ২-৬ ও ৬-২ সেটে চ্যাম্পিয়ন হন জিউসেপে ও ম্যাশ জুটি। রানারআপ হন রাকিন ও সাদমান।

মেন্স ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে ৭-৫, ৬-৩ সেটে শিরোপা জয় করেন তাইসির ও পলক। এই বিভাগে রানারআপ হন ফারহান ও নাবিল। উইমেন্স ডাবলসে ৬-০, ৬-১ সেটে একপেশে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হন ব্রিয়ানা ও ফারিহা। রানারআপ হন নাভেরা ও তাশফিয়া।

খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির হেড অফ অপারেশনস মাসুদুর রহমান মান্না। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টসের ডিরেক্টর নাভেরা খান এবং আহসান গ্রুপের প্রতিনিধির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকরা জানান, ক্রীড়া আয়োজন সফল করতে স্পন্সরদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের সহযোগিতা ছাড়া এমন বড় পরিসরের টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব নয়। এরপর পর্যায়ক্রমে উইমেন্স, মেন্স ইন্টারমিডিয়েট ও মেন্স অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরির রানারআপ ও চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর হাতে ট্রফি, মেডেল ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্যাডেল ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ আকর্ষণ হিসেবে এবারের আসরে মোট প্রাইজপুল রাখা হয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনটি ক্যাটাগরিতেই চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে এবং রানার্সআপ দল পেয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আকর্ষণীয় এই প্রাইজমানির কারণে প্রতিযোগিতার উত্তেজনার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

এছাড়া ফাইনালে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের জন্য আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়। শেয়ারট্রিপের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা বিমান টিকিট, লোটোর তরফ থেকে পাঁচ হাজার টাকার গিফট ভাউচার এবং গোল্ডস জিমের পক্ষ থেকে মেম্বারশিপ কার্ড।

এবারের আসরে স্পন্সর হিসেবে ছিল আহসান গ্রুপ, অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস, দৌড়, ব্রুভানা, শেয়ারট্রিপ, লোটো, এম.এইচ.সি, গোল্ডস জিম ও জুলকানসহ আরও কয়েকটি পরিচিত ব্র্যান্ড। আসরের ব্রডকাস্ট পার্টনার হিসেবে ছিল দেশের একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি-স্পোর্টস। আসরের খেলাগুলো টি স্পোর্টস চ্যানেল ও তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্প্রচার করেছে। যা মাঠের বাইরেও প্যাডেলপ্রেমীদের মাঝে এই খেলার পরিচিতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আয়োজকদের আশা, এ ধরনের আয়োজন প্যাডেলকে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যোগ করবে নতুন মাত্রা।

প্যাডেল স্ল্যামের এটি দ্বিতীয় আসর। আমেরিকা ও ইউরোপে জনপ্রিয় র‌্যাকেটভিত্তিক এই খেলাটি টেনিসের মতো দেখতে হলেও নিয়ম ও কৌশলে ভিন্ন। তুলনামূলক ছোট, ঘেরা কোর্টে ডাবলসে খেলা হয় প্যাডেল। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্যাডেল খেলাটির ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং এর পেছনে বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়মিত আয়োজন ও অবকাঠামোগত সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ধারাবাহিক আয়োজনের ফলে নতুন প্রজন্মের ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে এই খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভ্রমণের ধকলে ব্রাজিল, সুবিধাজনক অবস্থানে আর্জেন্টিনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। আগামী ১১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হতে চলেছে ভেন্যুগুলোর বিশাল দূরত্বজনিত 'ভ্রমণ ক্লান্তি'। কাতার বিশ্বকাপের মতো স্টেডিয়ামগুলো কাছাকাছি না থাকায় এবার দলগুলোকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে, তবে এই ভ্রমণ ক্লান্তির সমীকরণে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের চেয়ে অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

গ্রুপ পর্বের সূচি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্রাজিলকে প্রায় ১ হাজার ৯৪ মাইল পথ ভ্রমণ করতে হবে। অন্যদিকে, লিওনেল মেসি নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনার ভ্রমণ দূরত্ব তুলনামূলকভাবে অনেক কম, মাত্র ৪৬১ মাইল। আর্জেন্টিনা তাদের তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস এবং কানসাস সিটিতে খেলবে, যা এই ভ্রমণ সুবিধা এনে দিয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের দলগুলোর গড় ভ্রমণ ছিল মাত্র ৮৬ মাইল। কিন্তু উত্তর আমেরিকার বিশাল এলাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৬ বিশ্বকাপে দলগুলোর গড় ভ্রমণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫ হাজার ১৬৭ মাইলে। তবে এই সংখ্যাটি ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের চেয়ে কম, যেখানে দলগুলোকে গড়ে ৭ হাজার ৫৪ মাইল ভ্রমণ করতে হয়েছিল।

ক্রীড়া বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে দীর্ঘ বিমান ভ্রমণ এবং সময়ের পার্থক্যের কারণে খেলোয়াড়দের ঘুম ও বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যা মাংসপেশির আঘাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভ্রমণজনিত ধকল মোকাবিলায় শারীরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।


রেসলিংকে বিদায় জানালেন জন সিনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্ব রেসলিংয়ের কিংবদন্তি এবং ডব্লিউডব্লিউই সুপারস্টার জন সিনা তাঁর বর্ণময় কুস্তি জীবনকে বিদায় জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল ওয়ান অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত স্যাটারডে নাইটস মেইন ইভেন্টে গুন্থারের কাছে হেরে যাওয়ার মাধ্যমে তাঁর রেসলিং অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। ১৭ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সিনা এবং গুন্থারের মধ্যকার শেষ ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় সিনা প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে তিনটি অ্যাটিটিউড অ্যাডজাস্টমেন্ট দেন এবং কমেন্ট্রি টেবিলের ওপর দিয়ে ছুড়েও ফেলেন, কিন্তু পিনফল আদায় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সিনা স্লিপার হোল্ডে ট্যাপ আউট করতে বাধ্য হন, যা তাঁর রেসলিং ক্যারিয়ারের ইতি টানে।

ডব্লিউডব্লিউই এই রাতটিকে এক বিশাল আয়োজনে পরিণত করেছিল। দর্শক সারিতে কার্ট অ্যাঙ্গেল, রব ফন ড্যাম, ট্রিশ স্ট্রস এবং ইভ তরেসের মতো কিংবদন্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান আন্ডারটেকার এবং ‘রক’।

রিংয়ে প্রথমে গুন্থার প্রবেশ করেন এবং এরপর জন সিনার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকরা করতালি ও চিৎকারে পুরো অঙ্গন মুখরিত করে তোলে। সিনা নিজেও রিংয়ের দিকে দৌড়ে গিয়ে রিংসাইডে বসা কিংবদন্তিদের অভিবাদন জানান।

ম্যাচ শেষে পরিবেশ ছিল আবেগঘন। লকার রুম থেকে অন্যান্য রেসলাররা রিং ঘিরে ধরেন এবং সিএম পাঙ্ক ও কোডি রোডস তাঁর কাঁধে চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট রাখেন। দর্শকরা একটানা ‘থ্যাঙ্ক ইউ সিনা’ ধ্বনি দিতে থাকেন। সিনা এরপর ট্রিপল এইচকে জড়িয়ে ধরেন এবং শেষবারের মতো একটি ট্রিবিউট ভিডিও প্রদর্শিত হয়। সবশেষে, সিনা র‍্যাম্প বেয়ে উঠে দর্শকদের স্যালুট জানিয়ে চিরতরে অঙ্গন ত্যাগ করেন।


ফিফা চ্যালেঞ্জার কাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্লামেঙ্গো, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষ পিএসজি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

কাতারের আল-রাইয়ানের আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিফা চ্যালেঞ্জার কাপ ২০২৫-এর ফাইনালে মিশরের ক্লাব পিরামিডস এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ফ্লামেঙ্গো। এই দাপুটে জয়ের ফলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান জায়ান্টরা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ফ্লামেঙ্গো লড়বে বর্তমান উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫-এর রানার্সআপ প্যারিস সেন্ট-জার্মেইর (পিএসজি) বিপক্ষে।

ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল ও পাসিংয়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ফ্লামেঙ্গো। খেলার ২৪তম মিনিটে জর্জিয়ান মিডফিল্ডার আরাসকায়েতার নেওয়া নিখুঁত ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লিও পেরেইরা। প্রথমার্ধে একাধিকবার সমতায় ফেরার চেষ্টা করে পিরামিডস এফসি, কিন্তু তাদের ফরোয়ার্ড ফিস্টন মায়েলের প্রচেষ্টাগুলো ফ্লামেঙ্গোর গোলরক্ষক আগুস্তিন রোসির দৃঢ়তায় ব্যর্থ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আক্রমণের ধার বজায় রাখে ফ্লামেঙ্গো। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে আরাসকায়েতার আরেকটি ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দানিলো। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মিশরীয় ক্লাবটি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও ফ্লামেঙ্গোর রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয়ে চ্যালেঞ্জার কাপের ট্রফি নিশ্চিত করে ফ্লামেঙ্গো। এখন ফুটবলপ্রেমীদের চোখ ১৭ ডিসেম্বরের হাইভোল্টেজ ফাইনালের দিকে, যেখানে লাতিন আমেরিকার শৈল্পিক ফুটবলের মুখোমুখি হবে পিএসজির ইউরোপীয় শক্তি।


রাফিনিয়ার জোড়া গোলে ওসাসুনাকে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়াল বার্সেলোনা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লা লিগায় রাফিনিয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ওসাসুনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে বার্সেলোনা। এই জয়ের ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৭ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গেল হান্সি ফ্লিকের দল। ক্যাম্প ন্যুতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের ক্রস থেকে ফেরান তোরেস বল জালে জড়ালেও ভিএআরের হস্তক্ষেপে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় বার্সেলোনা। লামিনে ইয়ামাল ও রাশফোর্ড বারবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দিলেও ওসাসুনার রক্ষণ ভাঙতে বেশ সময় লাগে। অবশেষে ম্যাচের ৭০ মিনিটে পেদ্রির পাস থেকে নিচু ডান কোণ দিয়ে দর্শনীয় শটে দলকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৮৬ মিনিটে জুলস কুন্দের ক্রস থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এই জয়ের মাধ্যমে ২০১৭ সালের পর আবারও লা লিগায টানা সাত ম্যাচে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জয়ের কৃতিত্ব দেখাল বার্সেলোনা।


সালাহর ইতিহাস গড়া রাতে লিভারপুলের জয়, নাটকীয় জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত আর্সেনালের

আপডেটেড ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০৮
ক্রীড়া ডেস্ক

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাস গড়েছেন মোহামেদ সালাহ। তার রেকর্ড গড়া রাতে ব্রাইটনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। একই রাতে আত্মঘাতী গোলের নাটকীয়তায় জয় পেয়েছে লিগ লিডার আর্সেনাল এবং দীর্ঘ খরা কাটিয়ে জয়ে ফিরেছে চেলসি।

কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে মতবিরোধ মিটিয়ে শনিবার অ্যানফিল্ডে বেঞ্চ থেকে শুরু করেছিলেন সালাহ। ম্যাচের ২৬ মিনিটে ইনজুরি আক্রান্ত জো গোমেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। ম্যাচে লিভারপুলের হয়ে জোড়া গোল করেন হুগো একিটিকে, যার দ্বিতীয় গোলটিতে অ্যাসিস্ট করেন সালাহ। এই অ্যাসিস্টের মাধ্যমেই প্রিমিয়ার লিগে এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭৭টি গোল ও অ্যাসিস্টের (১৮৮ গোল ও ৮৯ অ্যাসিস্ট) মালিক হলেন এই মিশরীয় ফরোয়ার্ড। এর মাধ্যমে তিনি ভেঙেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি ওয়েইন রুনির (২৭৬) দীর্ঘদিনের রেকর্ড।

এদিকে, উলভসের বিপক্ষে ভাগ্যের সহায়তায় ২-১ গোলের নাটকীয় জয় পেয়েছে আর্সেনাল। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে বুকায়ো সাকার কর্নার থেকে এবং শেষ মুহূর্তে আবারও সাকার ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে উলভসের স্যাম জনস্টোন ও ইয়ারসন মোসকেরা নিজেদের জালে বল জড়ালে দুটি আত্মঘাতী গোল উপহার পায় গানাররা। এই জয়ে লিগ টেবিলে ৫ পয়েন্টের লিড নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল আর্সেনাল, অন্যদিকে টানা নবম হারের তিক্ত স্বাদ পেল উলভস।

দিনের অন্য ম্যাচে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এভারটনকে ২-০ গোলে হারিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে চেলসি। দলের হয়ে গোল করেন কোল পালমার ও মালো গুস্তো। চেলসির জয়ে স্বস্তি ফিরলেও হতাশা বেড়েছে এভারটনের। ডেভিড ময়েসের দল এ নিয়ে চেলসির মাঠে টানা ৩১ ম্যাচ জয়হীন থাকার লজ্জার রেকর্ড বহাল রাখল।


দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জন্য রোনালদো-মেসিই হালান্ডের আদর্শ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে দীর্ঘদিন দাপটের সঙ্গে টিকে থাকার জন্য ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড অনুপ্রেরণা খোঁজেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির মধ্যে। টিএনটি ব্রাজিলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নরওয়েজিয়ান এই গোলমেশিন জানান, বিশ্বের সেরা লিগগুলোতে টানা ১৫ বছর ধরে সর্বোচ্চ মানের পারফর্ম করার যে উদাহরণ এই দুই মহাতারকা সৃষ্টি করেছেন, তা প্রতিটি ফুটবলারের জন্যই শিক্ষণীয়।

সাক্ষাৎকারে হালান্ড বিশেষ করে ৪০ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ফিটনেস ও শৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রোনালদো যেভাবে নিজের শরীরের যত্ন নেন এবং জীবনযাপন নিয়ন্ত্রণ করেন, তা অবিশ্বাস্য। ইতোমধ্যে ৯৫০টির বেশি গোল করা এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত আল নাসরের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা রোনালদোর এই দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স হালান্ডকে মুগ্ধ করে। একইসঙ্গে, ৩৮ বছর বয়সেও লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিতে এমএলএস কাপ জয় এবং টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেরা খেলোয়াড় ও গোল্ডেন বুট জেতার বিষয়টিকেও তিনি বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখেন।

সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমবারের মতো গোল করে আলোচনায় এসেছেন ২৫ বছর বয়সী হালান্ড। তার পেনাল্টি গোলে ম্যানচেস্টার সিটি ২-১ ব্যবধানে জয় পায়। ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে প্রথম গোল ও জয়কে তিনি নিজের ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত ৫৪ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৫৫।

অন্যদিকে, জাতীয় দলের হয়েও স্বপ্নের ফর্মে আছেন হালান্ড। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে নরওয়ে। বাছাইপর্বে প্রতি ম্যাচে গড়ে দুটি করে গোল করেছেন তিনি। আগামী বছর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে থাকা এই তারকা জানান, বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার খুশিতে তিনি নিজের অভ্যাসের বিপরীতে গিয়ে বিয়ার পান করে উদযাপন করেছিলেন, যা তার জন্য ছিল এক বিশেষ মুহূর্ত।


banner close