আগামী ২৮ অক্টোবর ফুটবল বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যালন ডি’অরের জন্য। তবে, এ দিন জানা যাবে আগামী দিনের সম্ভাব্য ব্যালন ডি’অর জয়ীর নামও। সে দিনই ঘোষণা করা হবে উদীয়মান তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বয়’।
ইতালীয় সংবাদপত্র তুত্তোস্পোর্ত প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবারও পুরস্কারের জন্য সম্ভাব্য ২৫ জনের নাম ঘোষণা করেছে তারা। গত বছর এ পুরস্কার জিতেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। এবার তার উত্তরসূরি হিসেবে কার হাতে পুরস্কার উঠবে, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
১৮ অক্টোবর তালিকা ঘোষণার পর থেকেই চলছে নানা আলোচনা। কে হতে পারেন এবারের সেরা তরুণ ফুটবলার? ২৮ অক্টোবর প্যারিসে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীর নাম। ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্য সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নারাজ, নিজেরাই বেছে নিচ্ছেন পছন্দের বিজয়ীকে। সেই তালিকায় অবশ্য ওপরের দিকেই রয়েছেন লামিনে ইয়ামাল, এনদ্রিক, আলেহান্দ্রো গারনাচো এবং কোভি মাইনুরা। গত মৌসুমের পারফরম্যান্স ও প্রভাব বিবেচনা করলেও এই নামগুলোই বিশেষভাবে সামনে আসে।
তবে অনেকেই অবশ্য বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই বেছে নিচ্ছেন ইয়ামালকে। এর পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। অভিষেকের পর থেকে একের পর এক রেকর্ডভাঙা ইয়ামালের সবচেয়ে বড় অর্জন স্পেনের হয়ে ইউরো জয়। এ ছাড়া বার্সার হয়ে যখনই মাঠে নেমেছেন আলো ছড়িয়েছেন এখনো কৈশোরের বৃত্তে থাকা এই উইঙ্গার। এরই মধ্যে অনেকে তাকে লিওনেল মেসি ও ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গেও তুলনা করছেন।
গত মৌসুমে ইয়ামালের পরিসংখ্যানও বেশ উজ্জ্বল ছিল। ৫০ ম্যাচ খেলে ৭ গোলের পাশাপাশি সহায়তা করেছেন ৯ গোলে। তবে পরিসংখ্যান ছাড়াও বিভিন্ন ম্যাচে তার প্রভাব ছিল অসামান্য। ইয়ামালের পারফরম্যান্সের সূত্র ধরেই হয়তো ট্রান্সফারমার্কেট সম্ভাব্য পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তার কথা বলেছে। সেটি হলে সর্বকনিষ্ঠ পুরস্কার বিজয়ীও হবেন ইয়ামাল।
এর আগে ২০২২ সালে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ইয়ামালের স্পেন ও বার্সা সতীর্থ গাভি। তবে এবার গাভিকে ছাড়িয়ে ইয়ামালের জন্য সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।
মনোনীত ২৫ জনের তালিকায় অবশ্য সবচেয়ে বেশি দাপট দেখা গেছে প্রিমিয়ার লিগের। বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ লিগ থেকে তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৭ ফুটবলার। এ ছাড়া অন্য লিগগুলোর মধ্যে লা লিগা থেকে ৫ জন, লিগ আঁ থেকে ৪ জন এবং বুন্দেসলিগা থেকে ৩ জন ফুটবলার জায়গা পেয়েছেন। আর ক্লাব হিসেবে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পিএসজি থেকে। এ দুই ক্লাব থেকে জায়গা পেয়েছেন ৩ জন করে ফুটবলার।
টেস্ট ক্রিকেটে ২৫ বছর হলো বাংলাদেশের। পথচলা শুরু হয়েছিল সেরাদের কাতারে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে, কিন্তু এখন বাস্তবতা কী? রজতজয়ন্তীতে সাবেক অধিনায়কেরা ফিরে দেখছেন অতীত, বলছেন বর্তমানের কথা, আর ভাবছেন ভবিষ্যৎ নিয়ে- অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়, অল্পতেই হৃদয় ভাঙে আমরা যখন প্রথম টেস্ট খেলেছিলাম, স্বপ্ন দেখেছিলাম টেস্টে সেরা চার দলের একটি হব। সেই আশা পূরণ হয়নি, এটা বলা বাহুল্য। অন্য টেস্টখেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশ এগোতে পারেনি।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সময় নিজেদের কোন মাঠই ছিল না। অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধাও ছিল না। এখন অনেক মাঠ, খেলোয়াড়েরা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আর্থিকভাবেও তারা স্বাবলম্বী। কিন্তু আমরা ওই পর্যায়ে যেতে পারিনি।
আরও ১০-১৫ বছর আগে কম সুযোগ-সুবিধা নিয়েও সাকিবের মানের খেলোয়াড় বের হয়েছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আরেকটা সমস্যা হলো- ওরা অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়, আবার অল্পতেই তাদের হৃদয় ভেঙে যায় ব্যক্তিগতভাবে অনেকের অনেক অর্জন- সাকিব, তামিম, মাশরাফি, আশরাফুল, মুশফিক, মুমিনুল। মুশফিক তো সব ঠিক থাকলে ১০০ টেস্টও খেলবে। কিন্তু দল হিসেবে আমরা সাফল্য পাইনি।
এই ব্যর্থতা আমাদের সবার। সব জায়গা থেকে যে সাহায্য আসা দরকার ছিল, তা আসেনি। ক্রিকেট বোর্ড উন্নয়ন করতে পারত, এটা ঠিক। কিন্তু জেলার খেলায় বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নেই। ভালো সুযোগ-সুবিধা, ভালো উইকেটে খেলা, নিয়মিত লিগ আয়োজন এসবের ঘাটতি ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান এখনো অনেক কম।
ভালো পর্যায়ে যাওয়ার স্বপ্ন খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল না। তারা হয়তো বলবেন, সুযোগ-সুবিধা নেই বলে ভালো খেলোয়াড় হতে পারেনি। কিন্তু আরও ১০-১৫ বছর আগে কম সুযোগ-সুবিধা নিয়েও সাকিবের মানের খেলোয়াড় বের হয়েছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আরেকটা সমস্যা হলো- ওরা অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়, আবার অল্পতেই তাদের হৃদয় ভেঙে যায়।
২৫ বছর চলে গেল! এত বছরে টেস্ট ক্রিকেট কোথায় থাকা উচিত ছিল, তা নিয়ে প্রায়ই ভাবি। বাংলাদেশে ক্রিকেটের যে জনপ্রিয়তা, সেটা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।
আমাদের টেস্ট ইতিহাসে অন্তত চার প্রজন্ম পার হয়েছে। অভিষেক টেস্টেই বুলবুল ভাই (আমিনুল ইসলাম) সেঞ্চুরি করেছে। আশরাফুল এসেই দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। তখন অনেক সিনিয়রকে টপকে টেস্টে চলে এসেছিল সে। পরে এসেছে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক। কিন্তু তাদের পরের প্রজন্মের কেউ আগের কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
কেউ যদি চীনে গিয়ে ব্রায়ান লারা হতে চায়, পারবে? পারবে না। কারণ, ওই সংস্কৃতি নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি এমন যে এখানে চাইলেও কেউ বিরাট কোহলি হতে পারবে না।
খালেদ মাসুদ, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক- ভারত, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ড এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখান থেকে বেড়ে ওঠার সুযোগ কম। হয়তো কিছু ইম্প্রোভাইজ বা টেকটিক্যাল পরিবর্তন আসবে। কিন্তু বাংলাদেশের তো বেড়ে ওঠার অনেক জায়গা আছে। ভুল পরিকল্পনা, ভুল মানুষ আর ভুল সিস্টেমের কারণে আমরা পিছিয়ে গেছি। অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি, খেলাধুলাও সেভাবে নেই।
খেলোয়াড়দের দায়ও আছে। কিন্তু কেউ যদি চীনে গিয়ে ব্রায়ান লারা হতে চায়, পারবে? পারবে না। কারণ, ওই সংস্কৃতি নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি এমন যে এখানে চাইলেও কেউ বিরাট কোহলি হতে পারবে না।
আমাদের কাছে মিরপুরই সব। তিন বছর আগে ভারতের রায়পুরে খেলতে গিয়েছিলাম। ওখানে আইপিএলও হয় না। কিন্তু ওখানে যে সুযোগ-সুবিধা, আমাদের তা–ও নেই। পরিকল্পনা আর যোগ্য ব্যক্তিত্বের অভাবেই ক্রিকেটটা এগোয়নি।
এত বছর পর আমাদের আরও ভালো জায়গায় থাকা উচিত ছিল, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। টেস্ট দল হিসেবে আমরা এখনো প্রতিষ্ঠিত হতে পারিনি। ধারাবাহিকতাও নেই। ব্যাটসম্যানদের বড় রান করার অভ্যাস তৈরি হয়নি। অন্য টেস্টখেলুড়ে দেশের ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে চায়। আমাদের ব্যাটসম্যানরা যে চায় না, তা নয়। কিন্তু অভ্যাসটা তৈরি হয়নি।
কারণ, কেউ টেস্ট খেলা শুরু করলেই ঘরোয়া ক্রিকেটে আর তাকে দেখা যায় না। আমরা ফিটনেস বলতে শুধু বুঝি জিমে গিয়ে ফিট হওয়া। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে গেলে মানসিক ফিটনেস দরকার। এ জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা জরুরি।
আধুনিক ক্রিকেটে সাদা বলে কষ্ট কম, টাকা বেশি। এ জন্য সবাই সাদা বলে ঝুঁকতে চায়। কিন্তু কোচদের দায়িত্ব খেলোয়াড়দের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া- সাদা বল খেলে উন্নতি হবে না, তোমাকে লাল বলেই খেলতে হবে- হাবিবুল বাশার, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বড় ইনিংস খেলতে গেলে সহজ সময় আসে, কঠিন সময়ও আসে। কখনো ক্লান্ত লাগে। সেশনের পর সেশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। এ জন্য অনেক পরিশ্রম দরকার। বেশির ভাগই সেটা করতে চায় না। বড় ইনিংস খেলার স্বপ্ন আমাদের ব্যাটসম্যানরা দেখে কি না, জানি না। কিন্তু যখন রান করব, আমি যেন একশ করে খুশি না হয়ে যাই, এই সীমাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
শেষে একটা চাওয়ার কথা বলি। আধুনিক ক্রিকেটে সাদা বলে কষ্ট কম, টাকা বেশি। এজন্য সবাই সাদা বলে ঝুঁকতে চায়। কিন্তু কোচদের দায়িত্ব খেলোয়াড়দের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া- সাদা বল খেলে উন্নতি হবে না, তোমাকে লাল বলেই খেলতে হবে।
এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠার লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ, সম্ভাবনা নেই ভারতেরও। স্রেফ নিয়মরক্ষার হলেও আদতে এটি বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই।
এ কারণেই ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৮ নভেম্বরের ম্যাচটি ঘিরে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে আবারও উন্মাদনা শুরু হয়েছে। টিকিট নিয়েও রীতিমতো হাহাকার অবস্থা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) টিকিটের দাম জানিয়েছে। সোমবার দুপুর ২টা থেকে টিকি বিক্রি শুরু হয়েছে। ছয় ক্যাটাগরির টিকিট পাওয়ার কথা ইভেন্ট টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম Quicket–এ।
কিন্তু ৬ মিনিটেই সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে! এ ব্যাপারে বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস বলেছেন, ‘ছয় মিনিটের মধ্যে সাধারণ গ্যালারির সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। এখন গ্রাহকরা পেমেন্ট করছে। অর্ধেকের বেশি পেমেন্টও হয়ে গেছে। এখন শুধু রেড বক্স, হসপিটালিটি বক্সের টিকিট রয়েছে।’
মুহূ্তেই টিকিট শেষ হয়ে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। Quicket–এর ওয়েবসাইটে SOLD OUT লেখা দেখে কেউ কেউ টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন।
সবচেয়ে কম মূল্যের টিকিট ধরা হয়েছে গ্যালারির; দাম ৫০০ টাকা। ক্লাব হাউস ২ ও ভিআইপি বক্স ৩-এর একেকটা টিকিটের দাম ৩ হাজার টাকা করে।
ভিআইপি বক্স ২-এ বসে হামজা-শমিত-মোরছালিনদের খেলা দেখতে চাইলে লাগবে ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া ক্লাব হাউস ১ ও রেড বক্সের দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৫ হাজার ও ৬ হাজার টাকা।
করপোরেট বক্স ও স্কাই বক্সের টিকিটের দাম জানায়নি বাফুফে। স্টেডিয়ামের এই দুই জায়গা থেকে খেলা দেখতে চাইলে [email protected]—এই ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে “উপজেলা প্রশাসন কাপ আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫”-এর শুভ উদ্বোধন। শনিবার বিকেলে উপজেলার ড. কর্ণেল অলি আহমেদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার মং এছেন, লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মিনহাজ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ হাজারো দর্শক ও ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ।
উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হয় বড়হাতিয়া ইউনিয়ন বনাম চরম্বা ইউনিয়ন ফুটবল দল। খেলার শুরু থেকেই দুই দলই দর্শকদের মাতিয়ে রাখে চমৎকার পাস বিনিময় ও গোলের সুযোগ তৈরি করে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ৩-২ গোলে বড়হাতিয়া ইউনিয়ন জয় লাভ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, “ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রাখে। নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম নিজেদের শৃঙ্খলাবোধ, দলগত চেতনা ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, ক্রীড়া তরুণ সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নতুন প্রজন্মকে ক্রীড়ামুখী ও ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। এ ধরনের টুর্নামেন্ট শুধু খেলোয়াড়দের প্রতিভা বিকাশের সুযোগই তৈরি করে না, বরং পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।”
ইউএনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খেলা উপভোগ করার জন্য উপস্থিত দর্শক, খেলোয়াড়, আয়োজক কমিটি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, “আজকের খেলায় যে শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ বজায় ছিল, তা লোহাগাড়াবাসীর ক্রীড়াপ্রেম ও সচেতনতার প্রতিফলন। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।”
এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, ওশেনিয়া- এই চার মহাদেশের কিছু দেশেই ক্রিকেট আবদ্ধ ছিল বহুদিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হিসেবে রাখলে আমেরিকাতেও ছিল, তবে মহাদেশটির মূল ভূখণ্ডে ক্রিকেট ছড়িয়ে পড়ছে বেশি দিন হয়নি।
তবে এতকিছুর ভিড়ে দক্ষিণ আমেরিকায় ক্রিকেটের চর্চা হলেও কোনো বড় টুর্নামেন্টের আয়োজন হয়নি এতদিন। এবার সেখানেও ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
যদিও সে সিদ্ধান্ত শুধু দক্ষিণ আমেরিকাকে কেন্দ্র করে নয়। দুই আমেরিকাকে নিয়ে হওয়া অ্যামেরিকান গেমসে এবার প্রথমবারের মতো যুক্ত হবে ক্রিকেট। যার ফলে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা আর নেইমারের ব্রাজিলেও ক্রিকেট আরও ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রকল্প বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট হয়েছে, আফ্রিকান গেমসেও যোগ হয়েছে ২০২৩ সালে। লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক দিয়ে প্রায় ১২৮ বছর পর ক্রিকেট ফিরেছে বৈশ্বিক ক্রীড়ার সবচেয়ে বড় আসরে। এবার লাতিন আমেরিকায় প্যান অ্যাম গেমসেও নাম লেখাতে চলেছে ক্রিকেট। আগামী ২০২৭ সালের আসরে প্রথমবারের মতো এই গেমসে যোগ দেবে ক্রিকেট।
সবশেষ আইসিসি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এই সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে মাল্টি স্পোর্টস গ্লোবাল ইভেন্টে খেলা নিয়ে।
২০২৮ সালের অলিম্পিকে পুরুষ ও নারী- দুই বিভাগেই অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। আইসিসি জানিয়েছে, মোট ২৮টি ম্যাচ হবে এই আসরে। প্রতিটি বিভাগে থাকবে ছয়টি দল।
ছয় দলের মধ্যে পাঁচটি দল আসবে পাঁচটি অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় দল থেক-আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ ও ওশেনিয়া। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নেবে। ষষ্ঠ দলটি নির্ধারিত হবে বাছাইপর্বের মাধ্যমে। তবে সেই বাছাই টুর্নামেন্টের বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
ক্রিকেটের এই ঐতিহাসিক ইভেন্ট শুরু হবে ২০২৮ সালের ১২ জুলাই। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে লস অ্যাঞ্জেলেস শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিশেষভাবে তৈরি ফেয়ারগ্রাউন্ডস স্টেডিয়ামে।
এর আগে ২০২৬ সালে জাপানের আইচি-নাগোয়া এশিয়ান গেমসে, ২০২৭ সালে মিসরের কায়রোয় আফ্রিকান গেমসে এবং একই বছরে পেরুর লিমায় পান-আম গেমসেও দেখা যাবে ক্রিকেটকে। এখানেই শেষ নয়। ২০৩২ ব্রিসবেন অলিম্পিক গেমসেও ক্রিকেটকে যোগ করার আলোচনা চলছে। আইসিসির প্রধান নির্বাহী সঞ্জোগ গুপ্তা জানিয়েছেন, ২০৩২ সালের ব্রিসবেন অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির বিষয়েও আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রিসবেন ২০৩২ আয়োজকদের সঙ্গে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অর্থবহ আলোচনা করেছি।’ আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ ও সঞ্জোগ গুপ্তা সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের লুজান শহরে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি), এলএ-২০২৮ এবং ব্রিসবেন-২০৩২ আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে ইভেন্ট আয়োজন, খেলার ফরম্যাট এবং যোগ্যতা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
বড় জয় পেয়ে ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সংস্থাটির কংগ্রেস ও নির্বাচন। সেখানেই ইতিহাস গড়লেন কাজী রাজীব- এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বসলেন ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার শীর্ষ আসনে। সভাপতি পদে কাজী রাজীব ২৯-৯ ভোটে হারিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার থমাস হানকে।
কাজী রাজীব উদ্দীন বিদায়ী কমিটির সহসভাপতিও ছিলেন। তার হাত ধরে দুই যুগ আগে বাংলাদেশে আর্চারি খেলার যাত্রা শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের আর্চারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নেয়। তার উদ্যোগেই এবার তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় বসেছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। টুর্নামেন্টটির স্থানীয় আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যানও তিনি।
সুহাইল সাত্তারের বয়স ৫০ বছর। তার ছেলে ইয়াহিয়ার বয়স মাত্র ১৭। বাবা-ছেলে দুজন মিলে গত বৃহস্পতিবার লিখেছেন ইতিহাস। সেই দিনই তারা হয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম একসঙ্গে খেলা বাবা-ছেলে জুটি।
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিমুর–লেস্তের হয়ে মাঠে নামেন তারা। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার ছোট এ দেশটি এ বছরই আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ পেয়েছে। তাই ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ফলাফলটা সুখকর নয়- তিমুর-লেস্তে হেরেছে ১০ উইকেটে। কিন্তু ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন সুহাইল ও ইয়াহিয়া। ভবিষ্যতে হয়তো আরও বাবা–ছেলেকে এক দলে খেলতে দেখা যাবে, তবে ‘প্রথম’ হয়ে থাকার সৌভাগ্য তো একবারই আসে।
তবে শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়, মেয়েদের ক্রিকেটেও আগেই এমন এক নজির গড়েছেন মা-মেয়ে। সুইজারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের ৪৫ বছর বয়সি মেট্টি ফার্নান্দেজ ও তার ১৭ বছর বয়সি মেয়ে নায়না মেট্টি সাজু এ বছরের শুরুতে খেলেছেন একসঙ্গে ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
বাবা-ছেলে একসঙ্গে কিংবা একে অপরের বিপক্ষে খেলার নজির অবশ্য আগেও দেখা গেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিংবদন্তি শিবনারায়ণ চন্দরপল ও তার ছেলে তেজনারায়ণ চন্দরপল গায়ানার হয়ে খেলেছেন ১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। ২০১৪ সালে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে এক ম্যাচে অধিনায়ক বাবার অধীনে খেলেছিলেন ২৯ বছর বয়সি তেজনারায়ণ।
গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের শপাগিজা ক্রিকেট লিগের ফাইনালে আবার মুখোমুখি হন এক বাবা ও ছেলে- সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও তার ছেলে হাসান ইশাখিল। নবীর দল আইনাক নাইটসকে ৮ উইকেটে হারানোর পথে আমো শার্কসের হয়ে ৩৪ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান।
গত বৃহস্পতিবার বালিতে অনুষ্ঠিত সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬১ রানে গুটিয়ে যায় তিমুর–লেস্তে। ম্যাচে সুহাইল ও ইয়াহিয়া কিছুক্ষণ একসঙ্গে ব্যাটও করেছেন। ইন্দোনেশিয়া মাত্র চার ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।
পরে একই সিরিজে আরও দুটি ম্যাচ খেলেও একই ব্যবধানে হেরেছে তিমুর-লেস্তে। মানে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই ১০ উইকেটে হারতে হয়েছে তাদের।
লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক ২০২৮-এ ফিরছে ক্রিকেট। তবে সেই আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছে না বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দল।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড মিটিং শেষে গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানায়, অলিম্পিকে পুরুষ ও নারী বিভাগে ছয়টি করে দল অংশ নেবে। তবে এবারের আসরে দল বাছাই হবে না আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে।
বরং প্রতিটি মহাদেশ থেকে শীর্ষ দলগুলো সরাসরি সুযোগ পাবে, আর ষষ্ঠ দল নির্ধারিত হবে একটি গ্লোবাল কোয়ালিফায়ারের মাধ্যমে।
এই নিয়ম অনুযায়ী, এশিয়া থেকে জায়গা প্রায় নিশ্চিত ভারতের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বর্তমানে ভারতই এশিয়ার সেরা দল। ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান-সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে যারা পিছিয়ে, তারা বাদ পড়তে পারে বা কঠিন বাছাইপর্ব খেলতে হতে পারে।
আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বোর্ড আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) ও লস অ্যাঞ্জেলেস ২০২৮ গেমসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগে ছয়টি করে দল অংশ নেবে, যেখানে মোট ২৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।’
আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আছে। গ্লোবাল কোয়ালিফায়ার-সংক্রান্ত বিস্তারিত জানানো হবে শিগগিরই। লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী ২০২৮ সালের ১২ জুলাই।
ছেলেদের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর জন্য আহমেদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই ও মুম্বাইকে ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত করেছে আইসিসি। শ্রীলঙ্কায় খেলা হবে তিনটি ভেন্যুতে। এর মধ্যে দুটি কলম্বো ও পাল্লেকেল্লে।
আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ৮ মার্চ আহমেদাবাদের ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে এই টুর্নামেন্ট। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করতে পারে আইসিসি। ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারী বেশির ভাগ দল আইসিসির কাছ থেকে বিশ্বকাপের গ্রুপিং ও সূচি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এই টুর্নামেন্টের টিকিট বণ্টন নিয়েও এখনো কিছু জানায়নি।
পূর্বের সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তান তাদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। এই চুক্তি হয়েছে বিসিসিআই ও পিসিবির মধ্যে- যাতে দুদেশ একে অপরের আয়োজিত বহুজাতিক টুর্নামেন্টে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলে। পাকিস্তান যদি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে, তাহলে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফরম্যাট ২০২৪ সালের সংস্করণের মতোই হবে। ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে, প্রতিটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল। প্রতিটি দল একবার করে অন্য দলের সঙ্গে খেলবে।
প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল উঠবে সুপার এইটে। সেখানে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হবে চারটি করে দল। সুপার এইটে দুটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিফাইনালে।
আয়োজক দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কার বাইরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শীর্ষ সাত দল- আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে আগামী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা তিনটি দল- নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড।
আমেরিকাস অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কানাডা। ইউরোপিয়ান বাছাইপর্ব থেকে এই বিশ্বকাপে খেলার টিকিট কেটেছে নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। এবারই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে ইতালি।
আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাই থেকে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়েছে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাই পেরিয়ে নেপাল, ওমান ও আরব আমিরাত আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট কেটেছে।
২০২৩ সাল থেকে লিওনেল মেসির বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। সেখানে ইন্টার মিয়ামিতে খেলছেন, থাকছেন মিয়ামিতে। এবার সেই শহরের চাবি নিজের হাতে পেলেন মেসি। তার হাতে এই চাবি তুলে দেন খোদ মিয়ামির মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজ।
তবে এই চাবি অবশ্য আক্ষরিক নয়। প্রতীকী একটি চাবি তুলে দেওয়া হয় তার হাতে। মূলত তাকে সম্মাননা দিতেই এ অভিনব পন্থা অবলম্বন করে মিয়ামি কর্তৃপক্ষ।
ইন্টার মিয়ামির অন্যতম মালিক জর্জ মাস মঞ্চে উঠে মেসির হাতে প্রতীকী ‘চাবি’ তুলে দেন। তিনি বলেন, ‘এই শহরের মানুষের হৃদয় তুমি জয় করেছো। এটি আমাদের তরফ থেকে ছোট্ট এক ভালোবাসার উপহার।’ মেসি আবেগভরে বলেন, ‘আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি। এটি আমার জন্য এক বড় সম্মান।’
মিয়ামির কেসিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে মেসি গাঢ় ধূসর স্যুট পরে ছিলেন। দর্শকরা তার প্রতিটি উত্তরের ফাঁকে নাম ধরে চিৎকার করছিলেন।
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে আয়োজন করবে বিশ্বকাপ। সে বিশ্বকাপ নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। তার কথা, ‘আমি মনে করি ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এবারও এটি অসাধারণ কিছুই হবে। আমি মনে করি এটি যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। আশা করি সবাই এ সুযোগটা কাজে লাগাবে।’
ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। এশিয়া কাপ ২০২৫-এর পর এই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেন। এরপর পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি কাছ থেকে বিজয়ী ভারত দল ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় দুই বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক আরো তিক্ত হয়ে ওঠে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ক্রিকেটে রাজনীতির কোনো স্থান নেই।
তিনি উইজডেন ক্রিকেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘দুঃখিত, কিন্তু ক্রিকেটে রাজনীতি আমি পছন্দ করি না। সোজাসাপ্টা বললে, খেলাধুলাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত। লিগ ক্রিকেটে সব দেশের খেলোয়াড়দের নেওয়া উচিত।
সাহসী হোন, বড় হোন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা হচ্ছে না। এখানেই আইসিসি ও ক্রিকেট বোর্ডগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দল বা লিগ কার মালিকানায় তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, সব দেশের খেলোয়াড়দেরই সুযোগ দেওয়া উচিত।’
একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ট্রফি হস্তান্তর নিয়ে যে জট তৈরি হয়েছে, তা দুবাইয়ে চলমান আইসিসির ত্রৈমাসিক সভায় আজ শুক্রবার আলোচনা হতে পারে।
সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ‘আজ শুক্রবার সব বোর্ড প্রধান আইসিসি বোর্ড মিটিংয়ে একত্র হবেন এবং সেখানেই ট্রফি হস্তান্তর ইস্যুটি বিসিসিআই তুলবে। এ বিষয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হলেও এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিত সাইকিয়াও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ট্রফি হস্তান্তরে বিলম্ব নিয়ে তারা আলোচনায় তুলবেন এবং ১০ দিন আগে এ বিষয়ে এসিসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়, যখন সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারত, দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সালমান আঘার পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়া কাপ শিরোপা জেতে। কিন্তু ম্যাচ-পরবর্তী উদযাপনে ঘটে অভাবনীয় ঘটনা। ভারতীয় দল বিজয়ী ট্রফি বা মেডেল নিতে অস্বীকৃতি জানায় এসিসির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির কাছ থেকে, যিনি একই সঙ্গে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পিসিবির চেয়ারম্যান। দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ট্রফি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোয় মাঠে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। ট্রফিবিহীন উদযাপনে শেষ হয় ভারতের শিরোপা জয়।
আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর। আসন্ন টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে তাই নতুন করে সব কিছু সাজানো হচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার পাঁচ দলের নাম চূড়ান্ত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এবারের বিপিএল হবে ৫ দলকে নিয়ে।
তার মধ্যে ৩টি দলের নাম পরিবর্তন হয়েছে। আর বাকি দুটি সর্বশেষ আসরের নামেই খেলবে। সেই দুই দল হচ্ছে- রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস। নাম বদলে যাওয়া তিন দল হচ্ছে- চট্টগ্রাম রয়েলস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও সিলেট টাইটানস।
আগামী ৫ বছরের জন্য দলগুলোর মালিকানা পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। রংপুরের মালিকানা পেয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন টগি স্পোর্টস। ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিস পেয়েছে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। অন্যদিকে রাজশাহীর মালিকানা পাওয়া নাবিল গ্রুপের বিপরীতে সিলেটের পেয়েছে ক্রিকেট উইথ সামি।
আর ঢাকার মালিকানা পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস (রিমার্ক-হারল্যান)। চুলচেরা বিশ্লেষণ ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতাসহ অন্যসব বিষয় দেখার পরেই ৫ দলকে চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এবার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি দেখা হচ্ছে। যা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংক গ্যারান্টি দেখাতে ব্যর্থ হলে আগামী ১৭ নভেম্বর ড্রাফটে অংশ নিতে দেবে না বিসিবি।
চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশ কয়েকবার নিজেকে শান্তি নোবেল পাওয়ার যোগ্য দাবিও করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়েছে তাকে। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরে শান্তিতে নোবেল পান ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রপন্থি নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
আগামী ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে প্রথমবার ‘পিস প্রাইজ’ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে ফিফা। গত বুধবার সংস্থাটির সকার গভর্নিং বডি জানিয়েছে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যতিক্রমী কাজের স্বীকৃতির মর্যাদা দেওয়া হবে।
তবে সাম্প্রতিক আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প–ই সেই পুরস্কার পাবেন কি না সেটি খোলাসা করেননি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তবে গুঞ্জন রয়েছে ট্রাম্পের হাতেই উঠতে যাচ্ছে ‘ফিফা পিস প্রাইজ’ বা ফিফা শান্তি পুরস্কার।
মায়ামির আমেরিকা বিজনেস ফোরামের এক সভায় ‘পিস প্রাইজ’ প্রসঙ্গে রহস্য রেখে দিয়ে ইনফান্তিনো বলেন, ‘আগামী ৫ ডিসেম্বর দেখা যাবে কী ঘটে!’ এর আগে ফিফা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অমীমাংসিত বিষয় ও বিভেদ নিরসনে কঠোর পরিশ্রম করে বিরোধ নিষ্পত্তি ও মানুষের মাঝে শান্তি ফেরাতে কঠোর পরিশ্রমের জন্য স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।’ ফিফা জানিয়েছে, পুরস্কারটি এ বছর ইনফান্তিনো প্রদান করবেন। তারপর প্রতিবছর ‘বিশ্বজুড়ে ভক্তদের পক্ষ থেকে’ দেওয়া হবে।
ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা ইনফান্তিনো অনুষ্ঠানে সবার সামনেই স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক, আমি সত্যিই ভাগ্যবান, তাকে আমি সত্যিই কাছের বন্ধু বলে মনে করি। বিশ্বকাপের জন্য আমাদের সব কাজেই তিনি খুব সাহায্য করেছেন।’
নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল চার-ছক্কায় ভরপুর। দুই দলে মিলে ২৪ চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছে ৩০ ছক্কা। ২০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রায় জিতেই গিয়েছিল ক্যারিবীয়ানরা। তবে শেষ বলে ব্যাটার ছক্কা মারতে না পারায় ৩ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় কিউইরা।
অকল্যান্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ বলে ৫৫ রানের সূচনা করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার টিম রবিনসন ও ডেভন কনওয়ে। তবে ৫৯ রানের মধ্যে বিদায় নেন তারা। কনওয়ে ২৪ বলে ১৬ এবং রবিনসন ২৫ বলে ৩৯ রান করেন।
ওপেনারদের বিদায়ের পর পরের দুই উইকেটে রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে ২৯ বলে ৪৮ এবং ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ১৮ বলে ৫৭ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন মার্ক চাপম্যান। রাচিন ১১ রানে থামলেও, ১৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি তুলে নেন চাপম্যান। ৬টি চার ও ৭টি ছক্কায় ২৮ বলে ৭৮ রান করে আউট হন তিনি।
দলীয় ১৬৪ রানে চাপম্যান ফেরার পর ষষ্ঠ উইকেটে ১৭ বলে ৩৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন মিচেল ও অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। মিচেল ১৪ বলে ২৮ এবং স্যান্টনার ৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার রোস্টন চেজ ২ উইকেট নেন।
২০৮ রানের টার্গেটে ইনিংসের তৃতীয় বলে উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। খালি হাতে ফিরেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। দ্বিতীয় উইকেটে ৪১ বলে ৪৯ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আরেক ওপেনার অ্যালিক আথানাজে ও অধিনায়ক শাই হোপ।
এরপর নিউজিল্যান্ডের দুই স্পিনার স্যান্টনার ও ইশ সোধির ঘূর্ণিতে পড়ে ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আথানাজেকে ৩৩, আকিম অগাস্টকে ৭ ও হোল্ডারকে ১৬ রানে শিকার করেন সোধি। অপরপ্রান্তে হোপকে ২৪ ও চেজকে ৬ রানে বিদায় দেন স্যান্টনার।
সপ্তম উইকেটে রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে ২৪ বলে ৬২ রানের ঝড়ো জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়াইয়ে ফেরান রোভম্যান পাওয়েল। শেফার্ড যখন ফিরেন তখন ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ১৯ বলে ৫৩ রান দরকার পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
১৮তম ওভারে ২২ এবং ১৯তম ওভারে ১৪ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের সম্ভাবনা জাগান পাওয়েল ও ফোর্ড। শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন পড়ে ক্যারিবীয়ানদের।
নিউজিল্যান্ড পেসার কাইল জেমিসনের করা শেষ ওভারের প্রথম ৩ বল থেকে ১০ রান তুলে ফেলেন পাওয়েল ও ফোর্ড। চতুর্থ বলে আউট হন পাওয়েল। পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটার আকিল হোসেন ১ রান নিলে শেষ ডেলিভারিতে ৫ রান দরকার পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু শেষ বল থেকে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি ফোর্ড। এতে ৩ রানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যারিবীয়ানরা।
১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১৬ বলে ৪৫ রান করেন পাওয়েল। শেফার্ড ১৬ বলে ৩৪ ও ফোর্ড ১৩ বলে অপরাজিত ২৯ রান করেও দলের হার এড়াতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের সোধি ও স্যান্টনার ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন নিউজিল্যান্ডের চাপম্যান।