বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
২৯ শ্রাবণ ১৪৩২

পাকিস্তানের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ

আপডেটেড
১৩ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৩৬
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৩৫

গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক জয়ে আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে উঠেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

কিন্তু গত মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পাকিস্তানের সিরিজ হারে বিপদে পড়েছে টাইগাররা। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানকে ৯২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ২০২ রানের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিস।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর সিরিজ জয়ে ক্যারিবীয়দের র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ১০ নম্বরে নেমে গেছে বাংলাদেশ। যে কারণে ২০২৭ সালে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে টাইগাররা।

২০২৭ সালের বিশ্বকাপে ১৪টি দল অংশ নেবে। র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৮ দল এবং আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে স্বাগতিক কোটায় সরাসরি সুযোগ পাবে। বর্তমানে প্রোটিয়ারা র‌্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে থাকায় বাংলাদেশ ৯ নম্বরে থাকলেও সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে পারত। কিন্তু এখন ১০ নম্বরে নেমে যাওয়ায় সেই সুযোগ হারিয়েছে।

সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার জন্য ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ র‌্যাঙ্কিং বিবেচনা করা হবে। র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে বাংলাদেশ পাচ্ছে ২৬টি ওয়ানডে ম্যাচ। এর মধ্যে ১১টি এমন দলের বিপক্ষে, যারা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। এসব ম্যাচে জিতলে র‌্যাঙ্কিং উন্নতি হবে সামান্য, কিন্তু হারলে ক্ষতি হবে অনেক।

গত কয়েক বছরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ধারাবাহিক নয়। তামিম ইকবালের অধীনে ২ বছর আগে ৩৫ ম্যাচে ২১ জয় পাওয়া দলটি শেষ দুই বছরে ৩৪ ম্যাচে জিতেছে মাত্র ৯টি।

নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ; দলকে আবার প্রতিযোগিতামূলক জায়গায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।


ভারতের ওপর আস্থা হারিয়েছে বাংলাদেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ভারতের ওপর আস্থা হারিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভিসা জটিলতার কারণে ভারতের পরিবর্তে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় ক্রিকেটারদের চিকিৎসার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিসিবি। রাজনৈতিক কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে ভিসা বন্ধ রয়েছে ভারতের। ক্রিকেটারদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিসিবিকে।

যে কারণে ভারতের পরিবর্তে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি সই করতে যাচ্ছে বিসিবি। যেন ক্রিকেটাররা সল্পসময়ে ভিসা নিয়ে এই দুদেশে চিকিৎসার জন্য দ্রুত যেতে পারেন। বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ‘লম্বা সময় ধরে ভারতের ভিসা নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তাই আমরা চাইছি মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে মেডিকেল চুক্তি করতে।’ ‘যেন ক্রিকেটারদের দ্রত সময়ের ভেতর সেখানে আমরা পাঠাতে পারি। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ভারত-নির্ভরতা কমাতেই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আশা করছি দিন কয়েকের ভেতর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’ এই মুহূর্তে ভারতের মেডিকেল ভিসা পেতে প্রায় মাস দুয়েকের মতো লেগে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের। তা ছাড়া বিসিবির চিকিৎসক ও ফিজিওদের জন্যও মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে গিয়ে ওয়ার্কশপের ব্যাবস্থা করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বিসিবির।


ঋতুপর্ণার বাড়ি নির্মাণ করে দেবে বিসিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত শনিবার ম্যারাথনে এক মিটিং হলো- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ১৪ থেকে ১৫ এজেন্ডার সেই বোর্ড সভা চলল রাত ৯টা পর্যন্ত। সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসে জুমে বিসিবির মিটিংয়ে অংশ নেন। সেখানে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মিটিংয়ের পর প্রেস কনফারেন্সে আসেন বিসিবির তিন পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম, ইফতিখার রহমান মিঠু ও শফিকুল ইসলাম স্বপন। তারা গত শনিবারের বোর্ড সভায় নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন।

প্রথমেই জানানো হলো, জাতীয় দলের তারকা নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার বাড়ি নির্মাণ করে দেবে বিসিবি। তার বাড়ি নির্মাণে যত টাকা খরচ হবে, সমুদয় খরচ বহন করবে বিসিবি।

ঋতুপর্ণা এখন শুধু বাংলাদেশের ফুটবলই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা তারকা। তার বাড়ি রাঙামাটি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেকটা জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থা ঋতুপর্ণার বাড়ির। তার বাবা নেই, একমাত্র ভাইও নেই। ঋতুর আয়েই চলে সংসার। তার মায়ের অসুস্থতার পেছনেও অনেক ব্যয় হয়।

ফলে নিজের বাড়ির চেহারা বদলানোর মতো অর্থ জোগাড় করা হচ্ছে না বাংলাদেশ নারী ফুটবল তারকার। বিসিবি তার সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে।

এই ঋতুপর্ণার গোলেই ২০২৪ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। গত মাসে মিয়ানমারকে হারিয়ে বাংলাদেশ যে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাতেও জোড়া গোল ঋতুপর্ণার।


১০ কোটি টাকায় বায়োমেকানিক্স ল্যাব বানাবে বিসিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

পূর্বাচলে বায়োমেকানিক্স ল্যাব স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে পরামর্শক খোঁজা শুরু করেছে বিসিবি। প্রাথমিকভাবে বিদেশি টেকনিশিয়ান দিয়ে ল্যাবটি চালানো হবে।

ক্রিকেটারদের চোট কমিয়ে আনতে এবং পারফরম্যান্স ও টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ আরও গভীরভাবে করতে বায়োমেকানিক্স ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পূর্বাচলের ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ কোটি টাকার বেশি খরচ করে এই ল্যাব তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।

বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ফাহিম সিনহা জানিয়েছেন, ল্যাব স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে পরামর্শক খোঁজা শুরু হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে এখনো এ ধরনের ল্যাব চালানোর মতো কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ নেই, এ জন্য ভারত বা পাকিস্তান থেকে কোনো পরামর্শক নিতে চাইছে বিসিবি। প্রাথমিকভাবে বিদেশি টেকনিশিয়ান দিয়েই ল্যাবটি চালানো হবে। একই সঙ্গে স্থানীয়দেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

মোটামুটি মানের একটি বায়োমেকানিক্স ল্যাব স্থাপন করতে আনুমানিক ১০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে বলে জানিয়েছেন ফাহিম সিনহা। তবে আরও বড় পরিসরে সেটি করতে গেলে খরচটা ১৫-২০ কোটি টাকার মতোও লাগতে পারে। বিসিবির অবশ্য পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে ল্যাবটি চালু করার। প্রযুক্তিগত সুবিধা বাড়ানো হবে ধীরে ধীরে।

ক্রিকেটারদের ব্যাট সুইং, বোলিং অ্যাকশন থেকে শুরু করে পায়ের ভর, পেশির শক্তি, বেশি ধকল নেওয়ায় কোনো চোটের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে কি না; এমনকি ব্যাট, বল, গ্লাভস বা জুতার ঠিকঠাক ব্যবহারের বিষয়েও বিশদ তথ্য পাওয়া যাবে এই ল্যাব থেকে। সেসব বিশ্লেষণ করে সমাধানের জায়গাগুলো আরও সহজে বের করতে পারবেন কোচরা। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতেও তখন আর বোলারদের অন্য দেশে ছুটতে হবে না।

ল্যাব স্থাপনের উদ্দেশ্য সম্পর্ক জানতে চাইলে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট প্রধান বলেন, ‘খেলাধুলায় বায়োমেকানিক্স বা স্পোর্টস সায়েন্সের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি দেশেই বায়োমেকানিক্সের ব্যবহার আছে। সবার নিজস্ব ল্যাবও আছে, ভারতে যেমন ১১টি ল্যাব। আধুনিক ক্রিকেটে এখন যে পরিবর্তন হচ্ছে, এটা ল্যাবে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমেই হচ্ছে।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরামর্শে শুরুতে বিকেএসপির বায়োমেকানিক্স ল্যাব ব্যবহার করতে চেয়েছিল বিসিবি। এ জন্য বিদেশ থেকে একজন বিশেষজ্ঞও আনা হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় বিকেএসপির ল্যাবটি এখন অনেকটাই অকেজো। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম জানান, বিকেএসপির ল্যাবে কিছু সফটওয়্যার আপডেট করা প্রয়োজন, তারা সেটা করার চেষ্টা করছেন। আপাতত বিকেএসপির খেলোয়াড়দের জন্য ল্যাবটি কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারও করা হচ্ছে।

দেশে বায়োমেকানিক্স ল্যাব হলে স্থানীয় ফিজিও-ট্রেনারদের কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে, উপকৃত হবেন খেলোয়াড়রা। এ নিয়ে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের কাছ থেকেও পরামর্শ নিয়েছে বোর্ড। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘খেলাধুলায় সফল সব দেশেই ক্রীড়াবিজ্ঞানের ব্যবহার আছে। বায়োমেকানিক্স স্পোর্টস সায়েন্সেরই একটা অংশ। এটার ব্যবহারে খেলোয়াড়দের দক্ষতা বাড়বে, চোটপ্রবণতা কমবে। তবে এর প্রয়োগটা আমরা কত ভালো করতে পারছি, কত ভালো টেকনিশিয়ান আনতে পারছি, বিশ্লেষণ করতে পারছি- এসবও গুরুত্বপূর্ণ।’

ল্যাব স্থাপনের আগে স্থানীয় কোচদের এ সম্পর্কে আরও বিশদ ধারণা দিতে চায় বিসিবি। কারণ, খেলোয়াড়দের ল্যাবে নিয়ে গিয়ে সমস্যা সমাধান তারাই করবেন। ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে বর্তমান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামও বেশ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ফাহিম সিনহা, ‘(পুরো) বোর্ড ইতিবাচক। বুলবুল ভাই যেহেতু স্পোর্টস সায়েন্স নিয়ে কাজ করেছেন, তার এ কারণে বাড়তি আগ্রহ আছে।’

বিসিবি তোড়জোড় শুরু করলেও ল্যাব স্থাপনের কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে, তা অবশ্য এখনো নিশ্চিত নয়। আগামী অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে স্বাভাবিকভাবেই কাজ শুরুর সম্ভাবনা নেই। তবে ফাহিম সিনহা জানিয়েছেন, বিসিবির পরবর্তী পরিচালনা পর্ষদের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা হলেও রেখে যেতে চান তারা।


শেষ বলে ছক্কা মেরে নারী ক্রিকেটারের বিশ্বরেকর্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

শেষ বলে ছক্কা মেরে বিরল বিশ্বরেকর্ড গড়লেন আয়ারল্যান্ডের নারী ক্রিকেটার জেন ম্যাগুয়ের। ডাবলিনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নামে আয়ারল্যান্ড। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪ রান। তখনই ক্রিজে আসেন ম্যাগুয়ের, যিনি কিনা ইনিংসের প্রথম বল খেলতে যাচ্ছিলেন। বোলিংয়ে ছিলেন আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে থাকা পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার সাদিয়া ইকবাল। কিন্তু ম্যাগুয়ের প্রথম বলেই সাদিয়ার ফুল টসে জোরালো ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে এনে দেন ৪ উইকেটের জয়। আর এতেই ম্যাগুয়ের গড়লেন একটি বিশ্ব রেকর্ড। ম্যাগুয়েরই প্রথম ক্রিকেটার যিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিজের ইনিংসে প্রথম বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতালেন। এর আগে অনেক ক্রিকেটারই শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছেন তবে সেগুলো কখনোই ইনিংসের প্রথম বল ছিল না। ম্যাচ শেষে ম্যাগুয়ের বলেন, ‘মাত্র এক বল হাতে ছিল, খুব একটা ভালো লাগছিল না। রেবেকা স্টোকেল বলেছিল নিজের শক্তির জায়গা থেকে মারতে। ভাগ্য ভালো যে ফুল টস ছিল।’ ম্যাগুয়েরের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা আছে মোটে একটি, তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটি তার প্রথম ছক্কা। এর আগে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন শাওয়াল জুলফিকার। জবাবে আয়ারল্যান্ডের অর্লা প্রেন্ডারগাস্ট করেন ৫১, লরা ডেলানি ৪২ এবং ম্যাচসেরা রেবেকা স্টোকেল ১৬ বলে ৩৪ রান। শেষ ৪ ওভারে ৪৫ রান দরকার ছিল আয়ারল্যান্ডের, যা পূরণ হয় ম্যাগুয়েরের সেই নাটকীয় ছক্কায়। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ জিতে নেয় আয়ারল্যান্ড। দুই দলের এখন পর্যন্ত পাঁচটি টি-টোয়েন্টি সিরিজের মধ্যে তিনটি জিতেছে আয়ারল্যান্ড নারী দল।


অভূতপূর্ব রেকর্ড বাংলাদেশের, যা বললেন বাটলার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

লাওসকে হেসেখেলে হারিয়ে আফঈদা খন্দকারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের সামনে এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দেশ তিমুর-লেস্তে অথবা পূর্ব তিমুর। বাংলাদেশের গ্রুপে এই দেশটিই সবচেয়ে দুর্বল। লাওসের ভিয়েনতিয়েনের লাও স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচ। একের পর এক জয়ে র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফিফার সর্বশেষ র‌্যাংকিংয়ে ১২৮ থেকে একলাফে ১০৪তম স্থানে উঠে এসেছেন আফঈদা খন্দকাররা। ২৪ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ, এত বড় লাফ নারী দল আগে কখনো দিতে পারেনি। লাল-সবুজের মেয়েদের এমন রেকর্ড উন্নতিতে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফিফাও। লাওসে ফুটবলাররা এমন খুশির খবরে উচ্ছ্বসিত। মেয়েদের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারও। কাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচকভাবে এগিয়ে চলেছি। আমাদের এই ধারা বজায় রাখতে হবে, যা অর্জন করেছি। ভালো ও সঠিক বাছাই সুস্থভাবে কাজ করছে পরিবেশ তৈরি করেছে। যার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম, প্রশিক্ষণ এবং ভালো পরিকল্পনা। মেয়েদের এটা অনেক বড় অর্জন, তারা আসলেই অসাধারণ।’ লাওসকে হারানোর পর সামনে র‌্যাংকিংয়ে ৫৩ ধাপ পিছিয়ে থাকা পূর্ব তিমুর। ফুরফুরে মেজাজে আফঈদারা। কাল স্ট্রেচিং ও জিম সেশন করে সময় কাটিয়েছেন তারা।


তৃষ্ণার হ্যাটট্রিক, বাংলাদেশের ৮ গোলের জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা রানী। একটি করে গোল করেন সিনহা জাহান শিখা, শান্তি মার্ডি, নবীরণ খাতুন, মুনকি আক্তার ও মোসাম্মত সাগরিকা। আগামী রোববার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর প্রথম ১৫ মিনিট খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে গড়ে ওঠা একাধিক ভাল আক্রমণ নষ্ট করেছেন ফরোয়ার্ডরা। শেষ পর্যন্ত ২০ মিনিটে স্বপ্না রানীর কর্নার থেকে নিখুঁত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন শিখা।

৩৩ মিনিটে অলিম্পিক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শান্তি মার্ডি। তার নেওয়া কর্নার পূর্ব তিমুরের পোস্টে লেগে জালে চলে যায়। এর ঠিক তিন মিনিট পর আবার মার্ডির কর্নার, এবার চমৎকার হেডে গোল করেন নবীরণ খাতুন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মোসাম্মত সাগরিকার বাড়ানো বল আলতো শটে জালে জড়িয়ে স্কোর ৪-০ করেন তৃষ্ণা রানী।

বিরতির পর লড়াই করা দূরে থাক, বাংলাদেশের আক্রমণ ঠেকিয়েই হয়রান পূর্ব তিমুর। ৫৭ মিনিটেই পঞ্চম গোল পেয়ে যায় পিটার বাটলারের দল। গোলমুখে জটলা থেকে নেওয়া শিখার শট রুখে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি পূর্ব তিমুরের গোলকিপার হালিনা মার্চি। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ফিরতি শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল আদায় করে নেন তৃষ্ণা।

৭৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল কেড়ে গোলমুখের দিকে এগিয়ে যান সাগরিকা। বক্সের সামনে তখন পূর্ব তিমুরের গোলকিপার মার্চি ছাড়া আর কেউ নেই। তাকে কাটিয়েই স্কোর ৬-০ করে ফেলেন এই ফরোয়ার্ড। ৮২ মিনিটে ডান পাশ ধরে আক্রমণে ওঠা সাগরিকার বাড়ানো বল জালে ঠেলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তৃষ্ণা।

আর রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর আগে অষ্টম গোলটি উপহার দেন মুনকি।

গত মাসে মিয়ানমারে এশিয়ান বাছাইয়ে নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। লাওসে চলমান অনূর্ধ্ব ২০ এশিয়ান বাছাই উতরাতে পারলে ছোটরাও লিখবে ইতিহাস।

‘এইচ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকতে পারলেই মূল পর্বের টিকিট কাটবে। দ্বিতীয় হলেও বেঁচে থাকবে আশা। আট গ্রুপের সেরা আট দলের সঙ্গে সেরা তিন গ্রুপ রানার্সআপ দলও পাবে আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলার সুযোগ।

পরপর দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট তুলে নিয়ে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ সেই সুযোগটা দারুণভাবে জিইয়ে রেখেছে। গ্রুপে বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া নিজেদের প্রথম ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে হারিয়েছে ৯-০ গোলে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লাওসের বিপক্ষে খেলবে দক্ষিণ কোরিয়া। স্বাগতিক লাওস বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল ৩-১ গোলে।


অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে এগিয়ে থাকায় শুভেচ্ছা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লাওসের ভিয়েনতানে এএফসি নারী অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে র‍্যাংকিংয়ে ২১ ধাপ এগিয়ে থাকা লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলর এই অর্জনে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচ ও ফুটবল ফেডারেশনের সংশ্লিষ্ট সকলকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, এই জয় দেশের জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্ত। তাদের এই অসামান্য অর্জন দেশের নারী ফুটবলকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাদের এই অদম্য স্পৃহা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ভবিষ্যতে তারা আরও ভালো করবে এবং দেশের জন্য আরও গৌরব বয়ে আনবে বলে আাশাবাদ ব্যক্ত করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।


মেসি-রামোসদের টুর্নামেন্টে নারী রেফারিকে পরিবারসহ হত্যার হুমকি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

সম্প্রতি লিগস কাপের ম্যাচে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন রেফারি কাতিয়া ইতজেল গার্সিয়া। শেষ পর্যন্ত সেটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর শীর্ষ ৩৬ ক্লাব নিয়ে চলছে লিগস কাপ। টুর্নামেন্টে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও সের্হিও রামোসের মোন্তেররেইও খেলছে। তবে এই টুর্নামেন্ট ঘিরে এখন আলোচনায় এক নারী রেফারি।

গত ৩১ জুলাই এফসি সিনসিনাটি- মোন্তেররেই গ্রুপ পর্বের ম্যাচে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেন মেক্সিকান রেফারি কাতিয়া ইতজেল গার্সিয়া, যা তার স্বদেশি ক্লাব মোন্তেররেইয়ের বিপক্ষে যায়। শেষ পর্যন্ত কাতিয়ার সিদ্ধান্তই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। সিনসিনাটির কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায় রামোসের মোন্তেররেই।

ম্যাচের পরপরই সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম ইনস্টাগ্রামে হত্যার হুমকি পেতে থাকেন কাতিয়া। একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুমি মারা যাবে- মেক্সিকোতে আমরাই রাজত্ব করব- আমরা তোমাকে অ্যাসিড দিয়ে গলিয়ে দেব।’ আরেকটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘আমরা তোমার পুরো পরিবারকে মেরে ফেলব।’

হুমকির জবাবে কাতিয়া ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, ‘মেক্সিকো এমন একটি দেশ, যেখানে প্রতিদিন ১০ জন নারী এবং ৯১ জন মানুষকে খুন করা হয়। এই সহিংসতাকে আমরা আর স্বাভাবিকভাবে নিতে পারি না। আমি সব ধরনের সহিংসতার কঠোর নিন্দা জানাই।’

সেদিনের ম্যাচে মোন্তেররেই খেলোয়াড়েরা অফসাইডের দাবি জানালেও ভিএআর রিভিউ দেখে সিনসিনাটির গোল বৈধ ঘোষণা করেন ৩২ বছর বয়সি রেফারি কাতিয়া ইতজেল গার্সিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, মোন্তেররেইয়ের কয়েকজন উগ্র সমর্থক এ কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে কাতিয়াকে পরিবারসহ মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।

তবে কাতিয়াকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। সংস্থাটির সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘মোন্তেররেই-সিনসিনাটির মধ্যে লিগস কাপের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ পরিচালনার পর রেফারি কাতিয়া ইতজেলকে দেওয়া হুমকির কথা শুনে আমি হতাশ ও দুঃখিত। ফুটবল ও সমাজে নির্যাতন, বৈষম্য ও সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’

ইনফান্তিনো আরও লিখেছেন, ‘আমরা মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ) এবং কনকাকাফের (উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা) সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এই হুমকি প্রদানকারীদের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের জবাবদিহি করার জন্য আমরা আমাদের নিঃশর্ত সমর্থন জানাচ্ছি।’

২০১৭ সাল থেকে পেশাদার রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন কাতিয়া ইতজেল গার্সিয়া। ২০১৯ সালে তাকে আন্তর্জাতিক রেফারি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ফিফা।

২০২৪ সালের মার্চে মেক্সিকোর শীর্ষ লিগে (লিগা এমএক্স) মাঠের রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাতিয়া, যা ছিল ২০ বছরের মধ্যে এই টুর্নামেন্টে প্রথম নারী রেফারি হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করার ঘটনা।


জুলাই গনঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা প্রতিনিধি

জুলাই গনঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে খেলায় অংশ নেন প্রাক্তন ফুটবলার, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় প্রীতি ম্যাচের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: সাইফুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আফাজ উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম চপল,

এডহক কমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ স্বপন, আরিফ খান, খালেদ সাইফুল্লাহ, মাহির তাজওয়ার ওহি।

প্রীতি ফুটবল ম্যাচে লাল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সবুজ দলের অধিনায়ক ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম। কাকভেজা বৃষ্টিতে খেলায় মেতে উঠেন বিভিন্ন পেশার এ মানুষেরা।


কেন লিভারপুল ১ দিনে ২ ম্যাচ খেলছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

প্রি-সিজনের শেষ ধাপে এসে এক অনন্য আয়োজন করছে লিভারপুল। গতকাল সোমবার অ্যানফিল্ডে একই দিনে স্পেনের অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়, দ্বিতীয়টি রাত ১টায়। এশিয়া সফরে এসি মিলান ও ইয়োকোহামার বিপক্ষে খেলেছে অল রেডরা। এবার নিজেদের মাঠে পুরো স্কোয়াডকে খেলার সুযোগ করে দিতেই আয়োজিত হয়েছে এই ডাবল-হেডার। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৩০ জনেরও বেশি খেলোয়াড় মাঠে নামতে পারেন। প্রথম ম্যাচ শুরু হওয়ার পর স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ হয়ে যাবে, তাই দুটি ম্যাচ দেখতে হলে সমর্থকদের প্রথম ম্যাচের সময়ের আগেই প্রবেশ করতে হবে। ইতোমধ্যে প্রবেশের টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে।

ফ্লোরিয়ান ভার্টজ, জর্জি মামারদাশভিলি, জেরেমি ফ্রিমপং, হুগো একিতিকে, মিলোস কেরকেজ ও ফ্রেডি উডম্যানের ঘরের মাঠে অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া রিও এনগুমোহা ও ট্রে নিয়োনিকে আরও সময় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ আর্নে স্লট। আগামী সপ্তাহে কমিউনিটি শিল্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। এরপর প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথকে আতিথ্য জানিয়ে শুরু হবে শিরোপা রক্ষার লড়াই।


অধিনায়ক হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন নুরুল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টানা পারফর্ম করেও জাতীয় দলের দরজা খুলছে না নুরুল হাসানের জন্য। তবে এবার ‘এ’ দলের অধিনায়ক হয়ে তিনি যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়। আগামী ৭ আগস্ট থেকে টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দেবেন ২০২৩ সালের পর আর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে না নামা নুরুল।

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ৫৮ গড় ও ৯৩.৫৫ স্ট্রাইক রেটে ৫১২ রান করেন নুরুল। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচের একটিতে করেন সেঞ্চুরি, তিন অঙ্কের দেখা পান চার দিনের ম্যাচেও। কিছুদিন আগে তার নেতৃত্বে গ্লোবাল সুপার লিগে রানার্স-আপ হয়ে এসেছে রংপুর রাইডার্স। নুরুলের নেতৃত্বে ঘোষিত বাংলাদেশ ‘এ’ দলটা অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়ে গড়েছেন নির্বাচকরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো কোনো সংস্করণে অভিষেক হয়নি এমন ৪ জন ক্রিকেটার জিসান আলম, মাহফুজুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ ও মুশফিক হাসান আছেন এই দলে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। ‘এ’ দলে টেস্টের নিয়মিত মুখ নাঈম হাসান আছেন, রাখা হয়েছে পেসার হাসান মাহমুদকেও। আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু করবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ১৬ আগস্ট নেপাল, ১৭ আগস্ট পার্থ স্করচার্স, ১৯ আগস্ট নর্দান টেরিটরি, ২১ আগস্ট মেলবোর্ন স্টারস ও ২৩ আগস্ট এডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে তারা। ২৮ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি চার দিনের ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

বাংলাদেশ ‘এ’ দলের নুরুল হাসান (অধিনায়ক), সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম, জিশান আলম, মাহিদুল ইসলাম, ইয়াসির আলী, আফিফ হোসেন, তোফায়েল আহেমদ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান, নাঈম হাসান, মুশফিক হাসান, রিপন মণ্ডল ও হাসান মাহমুদ।


৮ গোলের থ্রিলার শেষে ব্রাজিলের টানা পঞ্চম কোপা আমেরিকা জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

মেয়েদের কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিল-কলম্বিয়া ম্যাচে যা হয়েছে, তা অবিশ্বাস্যই। ম্যাচটা নির্ধারিত সময়েই হেরে যাওয়ার কাছাকাছি ছিল ব্রাজিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোলে সমতা, এরপর অতিরিক্ত সময়ের পাল্টাপাল্টি গোলে আবার সমতা- ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। আর এত সব রোমাঞ্চের পর শেষ হাসি ব্রাজিলেরই, লাতিন আমেরিকা মহাদেশের টানা পঞ্চম শিরোপা।

সব মিলিয়ে কোপা আমেরিকার ১০ আসরের মধ্যে নয়বারই শিরোপা জিতলেন ব্রাজিলের মেয়েরা। ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার কাছে শিরোপা হাতছাড়া না করলে ১০ আসরের প্রতিটি জিততে পারত ব্রাজিল। অন্যদিকে কলম্বিয়াকে দুর্ভাগাই বলতে হয়। শেষ ৫ আসরের মধ্যে চারবার ফাইনালে ওঠে প্রতিবারই ব্রাজিলের কাছে হেরেছে তারা।

যোগ করা সময়ে পঞ্চম মিনিট পর্যন্ত ৩-২ গোলে পিছিয়ে ছিল প্রতিযোগিতার সফলতম দল ব্রাজিল। কিন্তু এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন অবসর ভেঙে ফেরা ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা। তার দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায় ব্রাজিল।

৩৯ বছর বয়সি মার্তা এরপর ১০৫ মিনিটে ব্রাজিলকে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়েও দেন। কিন্তু ১১৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় কলম্বিয়া, ৪-৪ ড্রয়ে ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। ম্যাচে জোড়া গোল করলেও পেনাল্টি শুটআউটে অবশ্য গোল করতে ব্যর্থ হন মার্তা। যদিও তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ করতে হয়নি তাকে।

ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে গত শনিবার রাতে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ব্রাজিলই। কিন্তু ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পায় কলম্বিয়া। ২৫ মিনিটে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দেন লিন্ডা কাইসেদো। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ম্যাচে সমতা ফেরায় ব্রাজিল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন অ্যাঞ্জেলিনা। বিরতির পর ৬৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোলের সুবাদে আবার লিড নেয় কলম্বিয়া। তবে ৮০ মিনিটে আবার ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান আমান্দা গুতিয়েরেস।

৮ মিনিট পর মাইরা রামিরেজ গোল করলে আবার জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে কলম্বিয়াকে। কিন্তু যোগ করা সময়ে মার্তার গোলে এলোমেলো হয়ে যায় কলম্বিয়ার স্বপ্ন। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে করা মার্তার গোল ম্যাচ নিয়ে অতিরিক্ত সময়ে। এরপর আবার মার্তার গোলে ৪-৩ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।

কিন্তু লেইসি সান্তোস কলম্বিয়ার হয়ে লক্ষ্য ভেদ করলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম ৫ শটের দুটি করে মিস করে ব্রাজিল ও কলম্বিয়া। এরপর ষষ্ঠ শটে ব্রাজিলের লাউনি গোল করলেও ব্যর্থ হন কলম্বিয়ার জোরেলিন কারাভালি। এই মিসের পরই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে ব্রাজিল।

প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মার্তা। অবসর ভেঙে ফেরার পর দারুণ এ অর্জন নিয়ে উচ্ছ্বসিত মার্কা বলেছেন, ‘আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছিলাম, যেন তিনি আমাকে এতটা কঠোর শাস্তি (হার) না দেন। মাঠে নেমে সমতাসূচক গোলের আশীর্বাদ পেলাম, তার ওপর আরও একটি গোল করলাম। কিন্তু আমরা একটা ভুল করলাম, ওরা গোল করে সমতা ফেরাল। টাইব্রেকারে আমার সুযোগ ছিল শিরোপা নিশ্চিত করার, কিন্তু আমি মিস করলাম। তবে আমার আশপাশে ছিল এই অসাধারণ মেয়েরা। টাইব্রেকারে মিস করার পর আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম, কিন্তু ওরা আমাকে ভেঙে পড়তে দেয়নি। সবার বিশ্বাস ছিল যে আমরা পারব। লোরেনা পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেবে। সৃষ্টিকর্তা আমাকে এই শিরোপা দিয়েছেন, এটা আমার শেষ কোপা আমেরিকা ট্রফি।’


banner close