রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
২৬ আশ্বিন ১৪৩২

টিকিটের দাম বাড়ল ১০ গুণ ক্ষোভে ফুঁসছেন ফুটবলপ্রেমীরা

ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২৬
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৫৫

আসন্ন ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা নয়, বরং হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। কারণ, এই আসরকে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যেখানে টিকিটের দাম গত ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের তুলনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রায় ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফিফার এই পদক্ষেপের কারণে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা এখন স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধি: বিশেষত সাধারণ দর্শকের জন্য নির্ধারিত ‘ক্যাটাগরি ৪’-এর টিকিটে মূল্যবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। এই বিশাল ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে নিচের তুলনাগুলোতে-

এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে, কাতার বিশ্বকাপে যে টাকায় সবচেয়ে দামি টিকিট কিনে খেলা দেখা যেত, এবার সবচেয়ে সস্তা আসনে বসতে হলেও তার চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ফাইনালের সর্বনিম্ন দাম ২,০৩০ ডলার, যা আগের আসরের সবচেয়ে দামি টিকিটের চেয়েও বেশি। ফাইনাল ম্যাচের সাধারণ টিকিটের সর্বোচ্চ দাম ৬,৩৭০ ডলার পর্যন্ত রাখা হয়েছে।

‘ডাইনামিক প্রাইসিং’ ও ভক্তদের ক্ষোভ: টিকিটের এই আকাশছোঁয়া দামে বিশ্বজুড়ে ভক্তদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লিখেছেন, ‘এমন দামে বিশ্বকাপ এখন কেবল ধনীদের বিনোদন।’

মূল্যবৃদ্ধির পিছনে ফিফার নতুন ‘ডাইনামিক প্রাইসিং’ নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে। এই নীতি অনুসারে, ম্যাচের চাহিদা বাড়লে পরবর্তী বিক্রির ধাপে টিকিটের দাম আরও বাড়ানো হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যবস্থা মূলত বিদেশি দর্শকদের বিপদে ফেলবে, কারণ তারা শেষ মুহূর্তে চড়া দামে টিকিট কিনতে বাধ্য হবেন।

তা ছাড়া ফিফা টিকিট পুনর্বিক্রির ক্ষেত্রেও ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ ফি নেবে। এতে বৈধ পথে টিকিট বেচাকেনার খরচ আরও বাড়বে। আতিথেয়তা (হসপিটালিটি) প্যাকেজের টিকিট বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। সব মিলিয়ে, ২০২৬ বিশ্বকাপ যে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যেতে চলেছে, তা এই তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট।


রাজশাহীতে ইতিহাস গড়ল জারিফ আবরার

আইটিএফ অনূর্ধ্ব-১৮ টেনিসে প্রথম বাংলাদেশি চ্যাম্পিয়ন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের (আইটিএফ) অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের পক্ষে নতুন ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের জারিফ আবরার। আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের বালক এককের ফাইনালে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল।

গত শুক্রবার রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত বালক এককের ফাইনালে জারিফ সরাসরি ২-০ সেটে পরাজিত করে থাইল্যান্ডের টপ-সিট নাপাত পাটানালের থাপানকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এই ফাইনালের শেষ সেটে জারিফ আবরার পাঁচটি ম্যাচ পয়েন্ট নষ্ট করার পরও শেষ পর্যন্ত সেটটি জিতে শিরোপা নিশ্চিত করেন।

এর আগে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ই আইটিএফের কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। জারিফ আবরারের এই জয় দেশের টেনিসের ইতিহাসে এক মাইলফলক স্থাপন করল।

বালিকা এককের ফাইনাল: বালিকা এককের ফাইনালটিও ছিল চরম উত্তেজনাপূর্ণ। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার এই দীর্ঘ ম্যাচে চীনের জিজি ইয়ান চ্যাম্পিয়ন হন। প্রথম সেট তিনি ৭-৫ গেমে জিতলেও, দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান মালদ্বীপের টপ-সিট আরা আসাল আজিম, যিনি ৬-৩ গেমে সেটটি জিতে নেন। তবে শেষ সেটে জিজি ইয়ান ৬-৩ গেমে আসাল আজিমকে কোনো প্রতিরোধ গড়তে না দিয়ে শিরোপা জয় করেন।

খেলা শেষে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহম্মেদ এনডিসি। এ সময় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরশাফুজ্জামান খান এবং রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


মেসিকে বিশ্রামে রেখে আর্জেন্টিনার জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আর্জেন্টিনার সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার হার্ড রক স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে আর্জেন্টিনা, তবে এই ম্যাচে মেসিকে একাদশে না দেখে সমর্থকরা বিস্মিত হয়েছিলেন। অবশেষে জানা গেল এর মূল কারণ- মিয়ামির হয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমএলএস ম্যাচে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতেই কোচ লিওনেল স্কালোনি তাকে এই সুবিধা দিয়েছেন।

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মেসি মাঠে না নামায়, এখন জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এরপর তিনি আবার আর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচের আগে দলে যোগ দিতে পারেন, যা পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে মিয়ামিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ইন্টার মিয়ামি কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো আগেই জানিয়েছিলেন, মেসির খেলা নির্ভর করছে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে সে খেলছে কি না তার ওপর। ভেনেজুয়েলার ম্যাচের পরই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল।

মাসচেরানো বলেন, তবে সত্যি কথা হলো, সে এই সপ্তাহে দলের সঙ্গে ছিল না। তিনি আরও যোগ করেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ব্যাপারে ক্লাব কোনো হস্তক্ষেপ করে না।


বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে শুরু হচ্ছে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ভারতীয় উপমহাদেশে স্কোয়াশ একটা ঐতিহ্যবাহী খেলা। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে চলেছিল সেই ঐতিহ্য। ঐতিহ্যকে ফেরাতেই এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা।
দেশে ক্রীড়াবিদদের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ভূমিকা রাখতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগে স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংগ্রহণের সুযোগ পাবে। তারা বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সব সুবিধা পাবে।
সেই লক্ষ্যেই বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সহায়তায় বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫’।
উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবারের আসরের রাউন্ড রবিনলীগ ভিত্তিতে চূড়ান্ত পর্বের খেলা আয়োজন করা হবে।
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পাশাপাশি ইনডিপেনডেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্স, শাহীন কলেজ ও আর্মি অফিসার্স মেসে প্রতিযোগিতা করবে খেলোয়াড়রা।
শনিবার বিকালে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির জুলকান ইনডোর এরিনায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের মধ্যে পাঁচ বছরের চূক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অবঃ) মোহসিনুল করিম ও বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিগ্রেঃ জেঃ জি এম কামরুল ইসলাম এ চূক্তি স্বাক্ষর করেন।
এসময় স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিগ্রেঃ জেঃ জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি সহ পৃষ্ঠপোষক উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভকে ধন্যবাদ, আমাদের পাশে থাকার জন্য। আপনাদের সহায়তায় আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের সুনাম বয়ে আনব। দেশের তরুণদের মেধা ও প্রতিভাকে মূল্যায়ন করার মধ্য দিয়ে আমরা ইতোমধ্যে চারশর বেশি খেলোয়াড় তৈরি করেছি। আসন্ন এসএ গেমসেও আমাদের প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করবে। আমাদের রিসোর্স কম। এবার আমরা বসুন্ধরা গ্রুপকে সাথে নিয়ে দেশে স্কোয়াশের একটা বিপ্লব করতে চাই।’
বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অবঃ) মোহসিনুল করিম বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের খেলা জগতের বড় একটি আয়োজন। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের উদ্যোগেই মূলত এ আয়োজন। দেশের ফুটবলের মতো স্কোয়াশকেও আমরা এগিয়ে নিতে চাই। সেই লক্ষ্যেই চূক্তিটি হয়েছে।’ উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপি আঞ্চলিক পর্বে ২৫টি প্রতিষ্টানের ১৮০জনের অধিক প্রতিযোগী এ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে বিজয়ী ও নির্বাচিত ৮০ জন প্রতিযোগী নিয়ে ৯টি গ্রুপে শিরোপার চূড়ান্ত লড়াই শুরু হবে সোমবার থেকে। চূড়ান্ত পর্বের গ্রুপগুলো হলো- উন্মুক্ত নারী, উন্মুক্ত পুরুষ, উন্মুক্ত মেম্বার এবং ১১ বছরের কম, ১২-১৩ বছর, ১৪-১৫ বছরের ছেলে ও মেয়েদের পৃথক গ্রুপ।


হংকংয়ের পথে বাংলাদেশ দল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

এক মিনিটের ঝড়ে যে স্বপ্নটা হাত ফসকে গিয়েছিল, সেই ৪-৩ গোলের হারের দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে এখন সামনে তাকানোর পালা। আর মাত্র ৩ দিন পরই যে বাংলাদেশের সামনে আবারও সেই হংকং! এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লড়াইয়ে সেই হারের বদলা নিতে গতকাল দুপুরে দেশ ছেড়েছে হামজা চৌধুরীরা।
গতকাল বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইউসিবি লাউঞ্জে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের দেখা গেল ভিন্ন মেজাজে। গন্তব্য হংকং, চায়না, যেখানে অনুষ্ঠিত হবে বাছাইপর্বের এই গুরুত্বপূর্ণ ফিরতি লেগ।
একদিন আগেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চে ভরা এক ম্যাচে ৪-৩ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। নানা চড়াই-উতরাইয়ে ভরা সেই ম্যাচে আশার আলো জ্বলে উঠেও শেষ পর্যন্ত কষ্টের হার মেনে নিতে হয় দলকে। অবিশ্বাস্য একটা পয়েন্ট প্রায় ধরা দিতে দিতেও শেষ মুহূর্তে তা ছিনতাই হয়ে যায়।
তবে বিমানবন্দরে অবশ্য সেই আবেগের ছাপ দেখা গেল না। খেলোয়াড়দের চোখে-মুখে ছিল শান্ত ভাব। কেউ হেডফোন কানে নিজের জগতে মগ্ন, কেউবা চুপচাপ ফোনে স্ক্রল করছেন, আবার কেউ কেউ কফির কাপ হাতে হালকা গল্পে মশগুল।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাচের শুরুতেই গোল করে দলকে উজ্জীবিত করেছিলেন হামজা চৌধুরী। লাউঞ্জে বসে তাকেও দেখা গেল হালকা হাসিতে। আরেক পাশে ছিলেন শমিত সোম ও অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সবার চোখ মুখ শান্ত হলেও, আগের দিনের হারের স্মৃতি যে ভেতরে ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।
আগামী মঙ্গলবার কাওলুনের কাই তাক স্পোর্টস পার্কে আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও হংকং। জাতীয় স্টেডিয়ামের সেই রোমাঞ্চকর হারটাকে হামজা-শমিত-জামালরা সেদিন নিশ্চয়ই এক জয়ে রূপ দিতে চাইবেন!


সালাহর জোড়া গোলে বিশ্বকাপে মিসর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বিশ্বকাপে মিসরের হয়ে আবারও খেলতে দেখা যাবে মোহামেদ সালাহকে। আগামী গ্রীষ্মে অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে আফ্রিকার দলটি।

গত বুধবার জিবুতির বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে দুই গোল করেন লিভারপুল তারকা সালাহ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিজেদের গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে মিসর।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপে খেলেছিল সালাহর মিসর। তবে সে সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ইনজুরির কারণে পুরোপুরি ফিট ছিলেন না তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সেই ফাইনালে কাঁধের চোটে পড়েছিলেন সালাহ। ওই বিশ্বকাপে মিসর তিনটি ম্যাচই হেরেছিল। প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক রাশিয়া, উরুগুয়ে ও সৌদি আরব।

এইবার আফ্রিকা অঞ্চল থেকে সরাসরি নয়টি দল বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ড্র।

গ্রুপ ‘এ’-তে মিসরের পর দ্বিতীয় স্থানে আছে বুরকিনা ফাসো, যারা সিয়েরা লিওনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে। ইথিওপিয়া ১-০ গোলে জিতেছে গিনি-বিসাউয়ের বিপক্ষে।

গ্রুপ ‘ডি’-তে দারুণ নাটকীয় ম্যাচে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩-৩ সমতায় ফিরে এসেছে কেপ ভার্দে। এই ড্রয়ের ফলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার পথে আরও একধাপ এগিয়েছে দলটি। দুই পয়েন্ট পিছিয়ে আছে ক্যামেরুন, যারা মরিশাসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। একই গ্রুপে অ্যাঙ্গোলা ২-২ গোলে ড্র করেছে এসওয়াতিনির (সাবেক সোয়াজিল্যান্ড) সঙ্গে।

গ্রুপ ‘আই’-তে ঘানা ৫-০ ব্যবধানে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিককে হারিয়ে বিশ্বকাপের আরও কাছে চলে এসেছে। শেষ ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পেলেই নিশ্চিত হবে তাদের জায়গা। দ্বিতীয় স্থানে আছে মাদাগাস্কার, যারা কোমোরোসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। এছাড়া মালি ২-০ গোলে চাদকে হারিয়েছে। নাইজার ৩-১ গোলে হারিয়েছে কঙ্গোকে, আর জাম্বিয়া ১-০ গোলে জিতেছে তানজানিয়ার বিপক্ষে।


বিসিবিতে এবার শর্ত লঙ্ঘনের বিশাল অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে রিটার্নিং কমিশনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ভুল ধরা পড়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, অন্য কোনো জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য বা কর্মকর্তা বিসিবির পরিচালক পদে প্রার্থী হতে পারেন না। কিন্তু এবারের বিসিবি নির্বাচনে সেই শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া বক্সিং ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অথচ তিনি বিসিবির পরিচালক হয়েছেন। আরেক পরিচালক ইশতিয়াক সাদেক বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনিও এবার বিসিবির ২৫ পরিচালকের একজন। যা বিসিবির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।

বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১২ (গ) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘সাধারণ পরিষদের কোনো সদস্য যদি একাধিক জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের নির্বাহী পরিষদ বা পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তা বা সদস্য হন, তাহলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনে পরিচালক পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।’

সেই নিয়ম অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন এ দুই প্রার্থী। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি ফয়জুর রহমান ভূঁইয়া বর্তমান বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। অন্যদিকে, সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত পরিচালক ইশতিয়াক সাদেক বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন।

প্রশ্ন উঠেছে, রিটার্নিং কমিশন কীভাবে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এমন তথ্য উপেক্ষা করল? নির্বাচনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গঠনতন্ত্রের প্রয়োগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রিকেটাঙ্গনে।


বাংলাদেশ সফরে দল ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আসন্ন বাংলাদেশ সফরের জন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)। দুই সংস্করণেই দলকে নেতৃত্ব দেবেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শাই হোপ। স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ ব্যাটসম্যান আকিম অগাস্ট।

এ মাসের শেষদিকে শুরু হতে যাওয়া এই সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ক্যারিবীয়রা। ওয়ানডে দলে আকিম অগাস্টের অন্তর্ভুক্তি ছাড়াও ফিরেছেন স্পিনার খারি পিয়েরে। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি দলে নেপাল সিরিজে অভিষেক হওয়া বাঁহাতি পেসার র‍্যামন সিমন্ডস ও ব্যাটসম্যান আমির জাঙ্গুকে রাখা হয়েছে।

আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকায় প্রথম ওয়ানডে দিয়ে সফর শুরু হবে। সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডেও একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৭ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যা শেষ হবে ৩১ অক্টোবর।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দল: শাই হোপ (অধিনায়ক), অলিক আথানেজে, আকিম অগাস্ট, জেদিয়া ব্লেডস, কেসি কার্টি, রোস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রিভস, আমির জাঙ্গু, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুড়াকেশ মোতি, খারি পিয়েরে, শেরফান রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলস ও রোমারিও শেফার্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি দল: শাই হোপ (অধিনায়ক), অলিক আথানেজে, আকিম অগাস্ট, রোস্টন চেজ, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, আমির জাঙ্গু, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুড়াকেশ মোতি, রোভম্যান পাওয়েল, শেরফান রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলস, রোমারিও শেফার্ড ও র‍্যামন সিমন্ডস।


বগুড়া ও রাজশাহীতে যুব ওয়ানডে সিরিজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাঁচ ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশে আসছে। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগামী (২৮ ও ৩১ অক্টোবর) এবং পরের তিনটি ম্যাচ হবে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগামী (৩, ৬ ও ৯ নভেম্বর)। ২০২৬ যুব বিশ্বকাপ সামনে রেখে এটি বাংলাদেশের প্রস্তুতির অংশ। এ কারণেই চলতি জাতীয় লিগের টি-২০ সংস্করণে রাখা হয়নি যুব দলের ক্রিকেটারদের।

এর আগে ইংল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা সফর করে এসেছে আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বাধীন দলটি। ঘরের মাঠে সবশেষ খেলেছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। আসন্ন এই সিরিজের পর ডিসেম্বরে নেপালে যুব এশিয়া কাপ ও জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় বসবে যুব বিশ্বকাপের আসর।


গেট ভেঙে ফেলল দর্শক, ভয়ে পালালেন টিকিট চেকাররা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

স্টেডিয়াম পাড়ায় উন্মাদনার ঝাঁজ মিলেছিল দুপুরের আগ থেকেই। সন্ধ্যা হতেই বাধ ভেঙে যায়। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকরা অধৈর্য্য হয়ে ভেঙে ফেলেন স্টেডিয়ামের ৪ নম্বর গেটের বেড়া। এ সময় নিরাপদ স্থানে যেতে টিকিট চেকাররা বাঁশ বেয়ে অন্যদিকে সরে পড়েন।

জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হয় বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। স্টেডিয়ামের গেট খোলা থাকার কথা ছিল ৭টা পর্যন্ত। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুর ম্যাচে অল্প সময়েই পূর্ণ হয়ে উঠেছিল গ্যালারি। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে সেটি বেড়েছে। বিড়ম্বনার সৃষ্টিও হয়েছে।

দর্শকদের উন্মাদনা বিতর্কিত কাণ্ডেরও জন্ম দিয়েছে। এই মুহূর্তে চার নম্বর গেট উন্মুক্ত ছিল বলে খবর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার লোকজন সেখানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছে।


গম্ভীরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দাবিটি আগেই তুলেছিলেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। ভারতের সাবেক এই তারকা জানিয়েছেন, গৌতম গম্ভীর সেচ্ছাচারিতা করছেন। শ্রীকান্তের মতে, ভারতের দল ঘোষণার সময় নাকি অধিনায়কের আগে লেখা হয় প্রধান কোচের পছন্দের এক খেলোয়াড়ের নাম। ওই খেলোয়াড়কে নিয়েই ঘটেছে বড় কাণ্ড। বিতর্কও ছড়িয়েছে বহুদূর।

ভারতের কোচ গৌতমকে নিয়ে বিতর্ক মূলত একটি ডিনার পার্টি থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে নিজের বাড়িতে সবাইকে দাওয়াত দেন গৌতম। ভারত দলের স্কোয়াডের সবাই ছিলেন সেখানে। ক্যারিবিয়ানরাও। ওই দলে যোগ হন হার্ষিত রানা। ডিনারে এই ক্রিকেটারের থাকা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন!

হার্ষিত এই সিরিজে খেলছেন না। কিন্তু কেন টিম হোটেলের বাকি সবার সঙ্গে আছেন, সেই বিষয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে হার্ষিত টিমের সঙ্গে গৌতমের বাড়িতে আসেনি। নিজের গাড়িতে চেপে এসেছেন। তবুও টিমের ডিনারে তার থাকা নিয়ে অনেকের ক্ষোভ।

দুয়ে দুয়ে চার মেলাচ্ছেন অনেকে। কেউ বলছেন, ‘গৌতম যেখানে যাবেন সেখানে হার্ষিত থাকবেন না, তা কি হয়!’ সমর্থকদের আরেক অংশের দাবি, গৌতম এই কাজটি ঠিক করেননি মোটেও।

অনেকে আবার এই দাবির বিপক্ষে। যেহেতু এটা গৌতমের ব্যক্তিগত পার্টি, তাই তিনি কাকে ডাকবেন সেটা সম্পূর্ণরূপে তার সিদ্ধান্ত। এখানে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের বাধা দেওয়ার এখতিয়ার নেই। তবে গৌতমকে নিয়ে বিতর্ক বেড়েছে একমাত্র হার্ষিতকে ডাকার কারণেই। তা ছাড়া সিরিজ চলাকালে দলের সঙ্গে বাইরের কারও আলোচনা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

এই বিতর্ক নিয়ে এখনো কিছু বলেননি গৌতম। হার্ষিতও এড়িয়ে গেছেন মিডিয়া।


আবারও আলোচনায় ২০২৪ অলিম্পিকের ‘ভাইরাল’ তুর্কি শ্যুটার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

পকেটে হাত, চোখে কোনো প্রকার সুরক্ষা নেই, মাথাতেও নেই- এমন এক বেশভূষা নিয়ে অলিম্পিকে পদক জিতেছিলেন তুর্কি শ্যুটার ইউসুফ দিকেচ। সেই শ্যুটার বছর না ঘুরতেই আবারও আলোচনায় চলে এসেছেন। এবার ৫২ বছর বয়সি শ্যুটার স্বর্ণ জিতেছেন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায়।

এবারও তার ভঙ্গি ছিল একই। চোখে তার পরিচিত চশমা, পরনে সাদা টি-শার্ট, মাথায় কোনো হেলমেট নেই, আর এক হাত পকেটে; ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকে। একই ভঙ্গিতে এবারও বিশ্বজুড়ে নজর কাড়লেন তিনি।

৫২ বছর বয়সি এই শ্যুটার এবার স্বর্ণ জিতেছেন ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ইএসসি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এয়ার পিস্তল প্রতিযোগিতায়। তার সঙ্গী ছিলেন মুস্তাফা ইনান। ফাইনালে তারা জার্মানিকে হারিয়ে তুরস্কের হয়ে স্বর্ণপদক জিতেন।

দিকেচ ম্যাচ শেষে ‘তুরস্কে টুডেকে’ বলেন, ‘নিজ দেশের দর্শকদের সামনে খেলতে পারা, আর প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুলে এই টুর্নামেন্ট হওয়া- এটা আমার জন্য এক বিশাল সম্মান। এখানে সোনা জিতা আমাকে ভীষণ আনন্দ দিয়েছে।’

প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকে তিনি অংশ নিয়েছিলেন পঞ্চমবারের মতো। সেখানেই তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত শ্যুটারদের একজন। সেই আসরে সেভাল ইলায়দা তারহানের সঙ্গে মিলে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের মিক্সড টিম ইভেন্টে রুপা জিতেছিলেন দিকেচ। এটি ছিল তুরস্কের অলিম্পিক ইতিহাসে প্রথম শুটিং পদক। একই সঙ্গে তিনিই হয়েছেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক পদকজয়ী।

আগামী নভেম্বরে মিসরের কায়রোতে শুরু হবে আইএসএসএফ শুটিং বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ (রাইফেল/পিস্তল)। দৈব দুর্বিপাক না ঘটলে সেখানে আবারও দেখা যাবে শান্ত স্বভাবের এই শ্যুটারকে। অলিম্পিকে স্বর্ণ হাত ফসকে বেরিয়ে গেলেও এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে সোনার লক্ষ্যেই নামবেন প্রতিযোগিতায়, সেটা আর বলতে!


আফগানদের কাছে হেরে যে ব্যাখ্যা দিলেন মিরাজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

টি-টোয়েন্টি সিরিজের দাপট ওয়ানডেতে ধরে রাখতে পারল না বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা। ব্যাটিং বিপর্যয় এবং স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে না পারাকেই হারের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

গত বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয় ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন। তবে হৃদয় রানআউট হয়ে গেলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ৬৭ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। মিরাজ করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অধিনায়ক মিরাজ বলেন, ‘শেষের দিকে আমরা কোনো জুটি গড়তে পারিনি, সেখানেই সমস্যাটা হয়েছে। স্কোরবোর্ডে যদি ২৬০ রানের বেশি থাকত, তাহলে ফল ভিন্ন হতে পারত।’

২২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানও শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহর ৭৮ রানের জুটিতে শক্ত ভিত্তি পায়। মাঝপথে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আফগানিস্তান ১৭ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে।

মিরাজ আরও বলেন, ‘উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা কঠিন ছিল এবং টার্নও ছিল। আমাদের বোলাররা ভালো চেষ্টা করেছে, কিন্তু জয়ের জন্য আমরা যথেষ্ট রান করতে পারিনি।’

বল হাতে ৩ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই। বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম হাসান সাকিব ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন।

এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান। সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ১১ ও ১৪ অক্টোবর।


banner close