তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাকে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগ জানিয়েছে, রোহিতের আঙুলের চোটের ধরণ বুঝতে স্ক্যান করা হয়েছে। তবে এখনো ফল পাওয়া যায়নি। ফল হাতে আসলে বোঝা যাবে তিনি চলমান দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা।
তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছেন, চোটের ধরন যেমন, তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোহিতের ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ওভারে এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেছিলেন রোহিত। ক্যাচটি ফসকে যায় এবং আঙুলে চোট পান ভারতীয় ওপেনার। রোহিত না থাকায় ভারতকে মাঠে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লোকেশ রাহুল।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ কে হবেন– এ নিয়ে আগ্রহটা বাড়ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। কাল তার সুরাহা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশে ফিরছেন তিনি।
৫৪ বছর বয়সী এই লঙ্কান তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব নিতে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসবেন। কাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তির আগেই অবশ্য প্রধান কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহের নাম জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি ছাড়া উপায় ছিল না
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব ছাড়েন ডমিঙ্গো। এরপর নতুন কোচের তালিকায় শোনা গেছে ল্যান্স ক্লুজনার, মাইক হাসি, গ্যারি কারস্টেনের নাম। ক্লুজনার-হাসি দুজনই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে নিজের একাডেমি নিয়ে আছেন কারস্টেন। তাদের পূর্ণকালীন না পাওয়ায় হাথুরুসিংহে ছাড়া উপায় ছিল না বিসিবির।
পাপন বলেন, ‘উঁচুমানের কোচ যাদের চাচ্ছি, এমনকি মধ্য পর্যায়েরও যদি খুঁজতে যাই; তারা এতদিন একটানা থাকতে পারবে না, ওরা দিনের হিসাব খোঁজে। দেড় শ দিন, ২০০ দিন, ২০০-এর ওপরে যায় না কেউ। হাথুরুসিংহের এসব কিছু নেই।
কবে পাকা হলো কথা
ডমিঙ্গো হেড কোচের দায়িত্ব ছাড়ার আগেই হাথুরুসিংহের সঙ্গে পাকা কথা সেরে ফেলে বিসিবি। গত নভেম্বরে যখন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ চলে, তখইন চূড়ান্ত হয়েছে বিসিবি-হাথুরুর চুক্তি। পাপন কাল জানালেন, আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপে যাই, তখন তার সঙ্গে চূড়ান্ত হয়েছে।
শ্রীরামের কী হবে
আলোচনা চলছিল জাতীয় দলের জন্য দুজন কোচ নেবে বিসিবি। একজন সামলাবেন টেস্ট ও ওয়ানডে দল, আরেকজন টি-টোয়েন্টি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে শ্রীধরন শ্রীরামের নাম বেশ জোরেশোরেই উচ্চারণ হচ্ছিল। তবে হাথুরুকে দেয়া হয়েছে তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব। তাহলে শ্রীরাম?
পাপন এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি, ‘শ্রীরামের ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। হাথুরুসিংহের আগে থেকে আমরা আরও ২ জনের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাইকে যে একই দায়িত্বে তা না। ২৪-২৫ তারিখের দিকে আরেকজনের নাম জানাতে পারব। আমরা মূলত অপারেশন্স ম্যানেজার হিসেবে কাউকে খুঁজছি।’
শ্রীরাম যা বলেন
বিপিএল চলাকালীন বাংলাদেশে এসেছিলেন শ্রীধরন শ্রীরাম। তখন শোনা গিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের সফলতার বিচারে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পাচ্ছেন এই ভারতীয়। কাল দৈনিক বাংলার সঙ্গে আলাপকালে শ্রীরাম অবশ্য জানিয়েছেন, ‘এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। সব ঠিক থাকলে আসব।’ তবে কি অপারেশন্স ম্যানেজার হিসেবেই দেখা যাবে শ্রীরামকে?
সাকিবদের সম্মতিতেই
প্রধান কোচের নিয়োগের ব্যাপারে ক্রিকেটাররা জানতেন না বলে জানিয়েছেন পাপন। তবে ব্যতিক্রম মাশফারি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। তাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাপন, ‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলিনি।... তবে মাশরাফির সঙ্গে দেড় বছর আগে কথা হয়েছিল। তামিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। সাকিবের সঙ্গেও বোধহয় বলেছিলাম। তিনজনই বলেছে, ও এলেই সবচেয়ে ভালো হয়।’
সামনে কী আছে
আগামী দুই বছরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট
- জুলাই ২০২৩ এশিয়া কাপ (ওয়ানডে)
- অক্টোবর-নভেম্বর ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ
- জুন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
যত চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায়
> তার প্রথম মেয়াদে অধিনায়ক মাশরাফি আগলে রেখেছিলেন দলকে, এবার তিন ফরম্যাটে দুই ভিন্ন অধিনায়কের চ্যালেঞ্জ।
> অভিজ্ঞরা ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছেন, তাই তরুণ একটা দল পাচ্ছেন হাথুরুসিংহে।
> হাথুরুর আগের মেয়াদেই সর্বশেষ ভালো একটি পেস আক্রমণ দেখেছিল বাংলাদেশ। বর্তমান পেস আক্রমণও আশাজাগানিয়া, তবে এখনো অনভিজ্ঞ।
> তার আগের মেয়াদের তুলনায় এখন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের অবনতি চোখে পড়ার মতো।
> স্পিন আক্রমণে বাংলাদেশের আশানুরূপ উন্নতি নেই। স্পিন আক্রমণ বলতে এখনো সাকিব-মিরাজ-তাইজুল।
হাথুরুর লিংকডইন ঘুরে
২০১৩–২০১৪ হেড কোচ, সিডনি থান্ডার
০৬/২০১১–০৬/২০১৪ সহকারী কোচ, ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলস
০৬/২০১৪–১০/২০১৭ হেড কোচ, বাংলাদেশ জাতীয় দল
০১/২০১৮–০৮/২০১৯ হেড কোচ, শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল
০৩/২০১১–০৭/২০২০ হেড কোচ, একাডেমি (তার নিজের একাডেমি)
১১/২০২০–০১/২০২৩ সহকারী কোচ (ব্যাটিং), সিডনি থান্ডার
০৭/২০২০–০১/২০২৩ সহকারী কোচ (ব্যাটিং), নিউ সাউথ ওয়েলস
০২/২০২৩- হেড কোচ, বাংলাদেশ জাতীয় দল
তার অধীনে বাংলাদেশ
ম্যাচ জয় হার জয়ের হার
টেস্ট ২১ ৬ ১১ ২৮.৫৭%
ওয়ানডে ৫১ ২৫ ২৩ ৪৯.০১%
টি-টোয়েন্টি ২৯ ১০ ১৯ ৩৪.৪৮%
দলের সাফল্য-ব্যর্থতা
- ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাংলাদেশের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সব ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্বে বাদ
- এশিয়া কাপ ফাইনাল
- চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশের প্রথম সেমিফাইনাল
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ
সিরিজ ৩১
জয় ৮
ড্র ৭
তার প্রথম দফায় ছাত্ররা
ব্যাটিং
টেস্ট
রান ব্যাটসম্যান গড়
১৬১৭ তামিম ৪৩.৭০
১৩৪৩ মুশফিক ৪০.৬৯
১৩১৬ সাকিব ৪৫.৩৭
ওয়ানডে
রান ব্যাটসম্যান গড়
২০৬৪ তামিম ৪৫.৮৬
১৭৯৬ মুশফিক ৪৪.৯০
১৩৫৩ মাহমুদউল্লাহ ৩৮.৬৫
টি-টোয়েন্টি
রান ব্যাটসম্যান স্ট্রাইকরেট
৬৯৫ সাব্বির ১২৫.২২
৫৩৪ সৌম্য ১২৮.০৫
৫১১ তামিম ১৩০.৩৫
বোলিং
টেস্ট
উইকেট বোলার গড়
৬৬ সাকিব ৩০.৪৮
৫৪ তাইজুল ৩৬.৭৭
৪৩ মিরাজ ৩৭.০৯
ওয়ানডে
উইকেট বোলার গড়
৬৭ মাশরাফি ৩০.৮২
৬১ সাকিব ৩০.৯১
৪৫ তাসকিন ৩১.১৩
টি-টোয়েন্টি
উইকেট বোলার ইকোনমি
২৯ সাকিব ৭.২২
২৭ আল-আমিন ৭.৫০
২৭ মোস্তাফিজ ৬.১৬
তখন কেন চলে গিয়েছিলেন...
বাংলাদেশের সঙ্গে তার চুক্তি ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত, কিন্তু ২০১৭ সালের নভেম্বরেই হাথুরুসিংহে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমের দায়িত্বে আর থাকতে চান না।
কেন, সে নিয়ে তখন অনেক কথাই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ছিল বাতাসে ভাসা গুঞ্জন বা বলা যায় গুঞ্জন ছাপিয়ে ‘আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পাওয়া’ বাস্তব, আর কিছু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।
যে গুঞ্জন বাস্তব হলেও কখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার নয়, তেমন গুঞ্জন ছিল মাশরাফি-সাকিবসহ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকের সঙ্গে হাথুরুর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এমনই যে, হাথুরুর ‘সর্বশেষ অ্যাসাইনমেন্ট’ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়েছিল, সে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিবের না যাওয়ার একটা বড় কারণ- হয়তো একমাত্র কারণও- ছিল হাথুরুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশের অবস্থা এতটাই করুণ ছিল যে, টেস্ট-ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সিরিজে তো বাজেভাবে হেরেছেই, এমনকি টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র করলেও ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ।
এসবের বাইরে আনুষ্ঠানিক কারণ হিসেবে তখন জানা গিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথেই বিসিবি সভাপতির কাছে তখন পদত্যাগপত্র দিয়ে রেখেছিলেন হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার প্রস্তাবও তার এক বছর আগে থেকেই হাথুরুর হাতে ছিল বলে তখন জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি।
সি্লেট পর্বের শেষ দিনের শেষ ম্যাচে আজ ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন খুলনা টাইগার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ব্যাটসম্যানরা। শতকের খুব কাছে কাছে গিয়েও পারেননি তামিম ইকবাল ও শাই হোপ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর সুযোগ হাতছাড়া করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে আক্ষেপে পোড়েননি জনসর্ন চালস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থেকে কুমিল্লাকে ম্যাচ জেতান তিনি।
তামিম-হোপের ব্যাটে ২১০ রান করেও ম্যাচ জিততে পারল না খুলনা। ৭ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় কুমিল্লা। এই জয়ে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট কুমিল্লার। সমান ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট খুলনার। প্লে-অফের সম্ভাবনা প্রায় শেষ দলটির। রংপুর রাইডার্স নিজেদের বাকি ৪ ম্যাচের একটি জিতলেই বাদ খুলনা।
পাহাড়সম রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই হাতে চোট পেয়ে উঠে যান কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস। শফিকুল ইসলামের বাড়তি বাউন্সে চোট পাওয়া লিটন ফেরেন ৪ রানে। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস শফিকুলের বলেই আউট হন ৫ রান করে। এরপর চার্লসকে নিয়ে তাণ্ডব চালান রিজয়ান, গড়েন ১২২ রানের জুটি। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ৩৯ বলে ৭৩ রানে রিজওয়ান ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর হাত খোলেন চার্লস। অর্ধশতক করতে ৩৫ বল খেললেও পরের ফিফটি করতে লেগেছে মাত্র ১৮ বল। চার্লসের এই তাণ্ডবে ম্যাচের মাঝপথেই ছিটকে যায় খুলনা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় খুলনা। ১ রানে থামেন এই তরুণ। ইয়াসির আলীর চাপ কমাতে আজ অধিনায়কত্ব করেছেন শাই হোপ। তিনে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন নতুন অধিনায়ক। মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
তামিমের হাফ সেঞ্চুরি পেতে খেলতে হয়েছে ৪৫ বল। তানভীর ইসলামকে ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তানভীরের সেই ওভার থেকে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৭ রান নেন তামিম। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তামিমের। ইনিংসের শেষ ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৯৫ রানে আউট হন তামিম। ৬১ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছয় মারেন। এতে ভাঙে ১৮৪ রানের জুটি।
শতক পাননি হোপও। ৫৫ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গে আজম খানের ৪ বলে ১২ রানের নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তোলে খুলনা।
চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন কোচ হচ্ছেন, সেটা ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছে, হাথুরুসিংহেই হচ্ছেন ছেলেদের ক্রিকেটের নতুন কোচ।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচের ভূমিকায় থাকা শ্রীলঙ্কান এই কোচকে দুই বছর মেয়াদের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছে বিসিবি। ৫৪ বছর বয়সী এই কোচের মেয়াদ শুরু হবে আগামীকাল থেকে।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবির প্রধান নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে চণ্ডিকার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান, তার নিজের ও খেলোয়াড়দের কাজে লাগবে। সে একজন পরীক্ষিত টেকটিশিয়ান এবং জাতীয় দলে প্রথম মেয়াদেই তার প্রভাব দেখেছি আমরা।’
আজই সিডনি থান্ডার থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেয়া হাথুরুসিংহেও খুশি ফিরতে পেরে, ‘যখনই গিয়েছি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও মানুষ উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে আমাকে, এটা বরাবরই আমার ভালো লাগে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আবার কাজ করতে এবং তাদের সাফল্য উপভোগ করতে মুখিয়ে আছি।’
ছয় বছর পর বাংলাদেশ সফর করছে ইংল্যান্ড। তিন ওয়ানডে এবং তিন টি-টোয়েন্টির দুটি সিরিজ খেলতে ইংলিশদের এই সফর। তবে আসন্ন এই সফরে দলের সঙ্গে বাংলাদেশে আসছেন না স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে দাপুটে ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। একই সময়ে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে পিএসএল। এই টুর্নামেন্টে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে খেলার কথা হেলসের। পিএসএলের এবারের মৌসুমে খেলার জন্য ইসলামাবাদের সঙ্গে ১ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ডের (১ কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা) প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে দলে টেনেছিল ইসলামাবাদ। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ জানাচ্ছে, এই ‘চুক্তির প্রতি সম্মান’ জানাতেই ইংল্যান্ডের হয়ে বাংলাদেশ সফর করতে চান না এই ব্যাটসম্যান।
কয়েক বছর ইংল্যান্ড দল থেকে নির্বাসিত থাকার পর গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন হেলস। ৪২.৪০ গড়ে ২১২ রান করে অবদান রেখেছেন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে।
টেলিগ্রাফ আরও জানিয়েছে, ইসলামাবাদের সঙ্গে হেলসের চুক্তির বিষয়টি ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড আমলে নিচ্ছে। তাকে বাংলাদেশ সফরের জন্য চাপ দেবে না বোর্ড।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পা রাখবে ইংল্যান্ড। ১ মার্চ তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংলিশরা।
সাকিব আল হাসানে দলের লড়াইটা মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সঙ্গে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে ফরচুন বরিশালের এই লড়াই বিপিএল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ওঠার। যেখানে ১০ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় মাশরাফির সিলেট। আজ ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে নিজেদের নবম ম্যাচটি খেলতে নামার আগে বরিশাল ৮ ম্যাচে তুলেছিল ১২ পয়েন্ট। জিতলে মাশরাফির সিলেটের সঙ্গে লড়াইটা টিকে থাকত, কিন্তু ঢাকার সঙ্গে আজ আর পেরে ওঠেনি সাকিবের বরিশাল, হেরেছে ৫ উইকেটে।
আগে ব্যাট করে ১৫৬ রান তুলেছিল বরিশাল। রান তাড়ায় নেমে মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটিতে ৫ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ঢাকা। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে তারা।
সিলেটে উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা। সৌম্য সরকার ও মিঠুন ইনিংস উদ্বোধনে এসে অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৭৪ রান পর্যন্ত। ২২ বলে ৩৭ করে সৌম্য ফিরলে ভাঙে এই জুটি। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে মিঠুন যখন আউট হন, তার নামের পাশে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৩৬ বলে ৫৪ রান। সঙ্গে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ২৬ ও অধিনায়ক নাসির হোসেনের অপরাজিত ২০ রানে ম্যাচ জেতে ঢাকা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বরিশাল। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাইফ হাসানের জুটিতে পাওয়ার প্লে-তে তোলে ৪১ রান। ১৫ রান করা সাইফকে ফিরিয়ে সপ্তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন আমির হামজা।
চলতি বিপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে থাকা সাকিব আজ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। মুক্তার আলীর গুড লেংথ ডেলিভারিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৫ রানে। বিজয় এক প্রান্ত ধরে খেললেও আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন ইব্রাহিম জাদরান, ইফতিখার আহমেদ। দেখেশুনে খেলতে থাকা বিজয় ফেরেন ৪২ রানে। সৌম্যর বলে শেষ তার ইনিংসের স্থায়িত্ব ৩৫ বল, তাতে চার ৫টি, ছক্কা ১টি।
শেষ দিকে ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সালমান হোসেন। চলতি বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা শরীফুল ইসলামের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ৩৯ রান করা মাহমুদউল্লাহ ফিরলে ভাঙে এই জুটি। যদিও শরিফুলের সেই ওভার থেকে আসে ২০ রান।
পরে সালমান ১৪ করে ফিরলে করিম জানাতের ৫ বলে ১৭ রানের তাণ্ডবে বরিশাল থামে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানে। ঢাকার হয়ে হামজা সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন।
সিলেটের উইকেটে দেড় শ পেরোনো স্কোরও কঠিন কোনো লক্ষ্য নয় এবারের বিপিএলে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ডমিনেটরস করেছে মোটে ১৪৪ রান। অবশ্য ঢাকায় নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ১০৮ রানে গুটিয়েও ২৪ রানের জয় পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ-নাসির হোসেনরা।
আজও বোলারদের দিকেই ম্যাচ জেতানোর দায়টা ঠেলে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ওভারেই এক উইকেট হারিয়েও বসে রংপুর রাইডার্স। কিন্তু ঢাকার ম্যাচ জেতার আশা চুরমার করে দিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। দুর্দান্ত ৭২ রানের ইনিংসে দলকে এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটের জয়। সে সঙ্গে শীর্ষ চারে রংপুরের অবস্থানও দৃঢ় করেছেন।
দ্বিতীয় ওভারে সালমান ইরশাদের বলে লাইন মিস করে এলবিডাব্লিউ হন মোহাম্মদ নাঈম। ৫ বলে শূন্য রান করা এই ওপেনারের সঙ্গী রনি তালুকদারও এগিয়েছেন ওয়ানডে ছন্দে। তবু ঢাকা চেপে বসতে পারেনি রংপুরের ওপর।
পাওয়ার প্লেতেই ৪৮ রান পেয়েছে রংপুর। এর মধ্যে মেহেদীর রান ২৬। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। এর মধ্যে লং অফ দিয়ে আল আমিন হোসেনকে মারা ছক্কাটি চোখে লেগে থাকার মতো।
নবম ওভারে রনি ফিরে যাওয়ার পর মেহেদীর অন্য প্রান্তে কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকও ছুঁতে পারছিলেন না। কিন্তু মেহেদী একে পাত্তা না দিয়েই ৩১তম বলেই পেয়ে গেছেন ফিফটি।
১৭তম ওভারে ফিরেছেন মেহেদী। ৪৩ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৬ চার ও ৫ ছক্কা ছিল তার। জয় থেকে ২২ রান দূরে ছিল রংপুর। আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (১২*) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (১৭*) এক ওভার আগেই জয় এনে দিয়েছেন।
এর আগে ঢাকার ইনিংসও একক লড়াইয়ের। ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তন এনে উসমান গনিকে তিনে নামানো হয়েছিল। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নামতে হয়েছে তাকে। ইনিংসের শেষ ২ বলে হারিস রউফকে টানা ছক্কা মেরে অপরাজিত ৭৩ রান করে তবে ফিরেছেন। ৫৫ বলে তার ৭ চার ও ৩ ছক্কাও অবশ্য ঢাকাকে দেড় রান এনে দিতে পারেনি।
প্রথম পাঁচে অন্য কেউই ২০ রান করতে পারেননি, উল্টো ১০০ এর নিচের স্ট্রাইকরেটে বল নষ্ট করেছেন। ১২তম ওভারে নামা অধিনায়ক নাসির হোসেনই শুধু ২২ বলে ২৯ রান করেছেন। ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন মেহেদী। শেষ দিকে উসমানের তোপের মুখে পড়ে ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন হারিস রউফ।
তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল। পূর্বে ঘোষিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসার কথা ছিল জস বাটলারদের। তবে সফর সূচিতে পরিবর্তন এনেছে ইংলিশরা। চারদিন পিছিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসবে তারা। এই সফরে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল, সেই ম্যাচ দুটিও খেলবে না ইংল্যান্ড।
আজ মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘ইংল্যান্ড টিম তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা থেকে এই সফরটাকে শুধু অফিশিয়াল ম্যাচের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা জানিয়েছে।’
প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করলেও সিরিজের সূচিতে পরিবর্তন আসবে না বলে দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস, ‘ইংল্যান্ড দল ২৪ তারিখ এসে ২৬ তারিখের প্রস্তুতি ম্যাচটিও খেলবে না। চারদিন অনুশীলন করবে। ১ তারিখ প্রথম ম্যাচ খেলবে।’
১ মার্চ মিরপুরে ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে দুই দলের লড়াই। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ মার্চ। চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ওয়ানডে, ৬ মার্চ। এরপর ৯ মার্চ চট্টগ্রামেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। পরের দুই ম্যাচ আবার মিরপুরে, ১২ ও ১৪ মার্চ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সুনাম ধরে রাখতে এবার বেশ কঠোর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। চলতি বিপিএলের শুরু থেকে শৃঙ্খলাজনিত কয়েকটি ইস্যুতে শক্ত অবস্থানে বিসিবি। যার ফলে বোর্ডের নীতিবিরোধী কোনো কাজ করলে শাস্তি পেতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। এবার বোর্ডের আইন ভেঙে তিরস্কৃত হয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত।
গতকাল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল সিলেট। চট্টগ্রামের ১৭৫ রানের জবাবে নেমে দারুণ ব্যাট করছিলেন শান্ত। তবে মেজাজ হারিয়ে বসেন আউট হওয়ার পর। চট্টগ্রামের স্পিনার নিহাদুজ্জামানকে এগিয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন শান্ত। নিজের আউটের ধরনে বিরক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে নিজেদের ডাগআউটের সামনে হেলমেট মাটিতে আছাড় মারেন।
শান্তর হেলমেট ছুড়ে মারা পছন্দ হয়নি ম্যাচ অফিশিয়ালদের। এ জন্য আচরণবিধির ২.২ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় শান্তর বিরুদ্ধে। শাস্তি হিসেবে তিরস্কারের পাশাপাশি শান্তর নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়। বিপিএলে শান্তর এটি প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট। ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট হলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে কাল বিপিএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। নিজেদের হারানো জায়গায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেটে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আবার পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এ নিয়ে টানা ৫ ম্যাচ হারের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম। টেবিলে তাদের নিচে শুধু ঢাকা ডমিনেটরস।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৪ করে চট্টগ্রাম। সিলেট এই লক্ষ্য টপকে যায় ৭ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখে।
ইনিংসের প্রথম বলে জাকির হাসানের দারুণ এক ক্যাচে উসমান খানকে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটিতে দলকে টেনে তোলেন মারুফ। আফিফ ২৭ বলে ৩৪ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ৩৬ বলে ফিফটি করা মারুফ আউট হন ৫২ রানে। ১৩০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছয়।
এরপর সিলেটের বোলারদের ওপর তাণ্ডব শুভাগতর। পেরেরা-মাশরাফিদের তুলাধোনা করে ২৬ বলে অর্ধশতক তুলে নেন। ৩টি করে চার-ছয়ে ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রানে।
রান তাড়ায় নেমে শুভাগতর এমন ব্যাটিংয়ের জবাব বেশ ভালোভাবেই দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক শান্ত উদ্বোধনী জুটিতে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে যোগ করেন ৪৯ বলে ৬৩ রান। হৃদয়ের অবদান ১৮ বলে ১৫।
অন্য প্রান্তে আগ্রাসী শান্তর ব্যাট। মেহেদী হাসান রানাকে এক ওভারে মারেন চারটি চার। ৬টি চার ও ১টি ছয়ে ফিফটি করেন ৩৬ বলে। এই ইনিংস খেলার পথে সাকিব আল-হাসানকে (৩০৬) ছাড়িয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শান্ত। আউট হন ৪৪ বলে ৬০ করে। শান্ত ফিরলে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্ল।
বার্ল ১৬ বলে ৪১ রানে আউট হলেও ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক। ২৬ বলের ইনিংসটিতে ৫ চার ও ১ ছয়। জাকির হাসান অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ১২ রানে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। পার্ট টাইমার মোসাদ্দেক হোসেনকে পেয়েও এই সমীকরণ মেলাতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। প্রথম ৫ বলে ১২ রান এসেছে বটে, তবে শেষ বলে ৬ রানের সমীকরণে ১ রানের বেশি নিতে পারেনি। রোমাঞ্চকর ম্যাচ ৪ রানে জিতে সেরা দুইয়ে থাকার দৌড়ে আরেকটু এগিয়ে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে ২ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে কুমিল্লা। রান তাড়ায় নেমে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারানো খুলনার কোনো ব্যাটসম্যানই ইনিংস বড় করতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে খুলনার ইনিংস থামে ১৬১ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লাকে ভালো শুরু এনে দেন লিটন ও রিজওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৬৫ রান। লিটন ৪২ বলে ৫০ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। লিটন ফিফটির পথে মেরেছেন ৯টি চার। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জনসন চার্লসের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি রিজওয়ানের। চার্লস ফেরেন ২২ বলে ৩৯ রানে।
অন্য প্রান্তে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেন রিজওয়ান। ফিফটি করেন ৪২ বলে। রিজওয়ানের ৪৭ বলে ৫৪ রানের সঙ্গে খুশদিল শাহর ১১ বলে ১৩ রানে ১৬৫ রান তোলে কুমিল্লা।
জবাব দিতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ১১ রানে ফেরেন খুলনার ওপেনার তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি বলবার্নি-হোপের। ৩১ বলে বলবার্নি ৩৮ করে রান আউট হলে এই জুটি ভাঙে। চারে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় ঝোড়ো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দুটি করে চার-ছয়ে ২৩ বলে করেন ২৬ রান।
আজম খান, সাইফউদ্দিন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে আউট হলে বিপদে পড়ে খুলনা। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করা হোপ ৩২ বলে ৩৩ রান করলে শেষ দিকের সমীকরণ মেলাতে পারেননি অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি। কাজে আসেনি তার ১৯ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস।
ঢাকা-চটগ্রাম-ঢাকা হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এখন সিলেটে। সেখানে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে নেমেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে ঘরে ফেরাটা সুখকর হলো না মাশরাফি বিন মুর্তজাদের। আগে ব্যাট করে এক শ রানের আগে গুটিয়ে গিয়ে ম্যাচ হেরেছে ৬ উইকেটে।
এই জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে অবস্থান আরও পোক্ত করল রংপুর। হারলেও ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে আসে ১৬ রান। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, ১২ রানেই পড়েছে সিলেটের ষষ্ঠ উইকেট। রংপুরের বোলারদের সামনে অসহায় নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, টম মোরেসরা। সুবিধা করতে পারেননি ইমাদ, ওয়াসিম থিসারা পেরেরাও।
১৮ রানে পড়ল সপ্তম উইকেটও! তবে এরপর অষ্টম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিব ও মাশরাফির গড়া ৪৮ রানের জুটিতে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে রক্ষা পায় সিলেট। তানজিম ৩৬ বলে ৪১ ও মাশরাফি ২১ বলে ২১ ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে সিলেট থামে ৯২ রানে।
রংপুরের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন, শেখ মেহেদী হাসান নিয়েছেন ২ উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে বেগ পেতে হয়নি রংপুরকে। ওপেনার নাঈম শেখ ১৮ রানে আউট হলেও এক প্রান্ত ধরে খেলেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। মেহেদী, শোয়েব মালিক, আজমতউল্লাহ ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হলেও মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ২৫ রানের জুটিতে দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন রনি। ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার রনি তালুকদার, নাওয়াজ করেন ১৩ বলে ১৮ রান।
আইসিসি মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম সংস্করণ শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। বাছাইপর্ব পেরিয়ে এই বৈশ্বিক আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশও। বিশ্বকাপে অংশ নিতে মেয়েদের দল গত সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে। তবে বিশ্বকাপ মিশনে বেরিয়ে পড়ার আগেই নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে গেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
গত তিন বিশ্বকাপে একটিও জয় নেই বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বেই নিয়ম করে বিদায়ঘণ্টা বেজেছে বারবার। এই ‘নিয়মে’ যতি টানতে চান জ্যোতি, ‘বিশ্বকাপ আমাদের দলের জন্য বড় এক সুযোগ। আমরা এর আগে চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি, তবে শেষ তিন সংস্করণে কোনো জয় পাইনি এবং খুব একটা ভালো খেলতে পারিনি। এবার আমরা (অস্বস্তির) সে রেকর্ড ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিছুটা মোমেন্টাম পেলে বিশ্বকে দেখিয়ে দেব আমরা কী করতে পারি।’
অভিজ্ঞ সালমা খাতুন-জাহানারা আলমরা রয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বহর থেকেও ডাক পেয়েছেন কয়েকজন। দল নিয়ে বেশ খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘সালমা খাতুন অসাধারণ অলরাউন্ডার। নাহিদা আক্তার এবং জাহানারা আলম আমাদের বোলিং অ্যাটাকের গুরুত্বপূর্ণ নাম। এ ছাড়া আমাদের তরুণ মহাতারকা মারুফার খেলা দেখতেও মুখিয়ে আছি।’
বিশ্বকাপ খেলতে আগেভাগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছে বাংলাদেশ দল। সেখানে প্রস্তুতি ক্যাম্পের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার কথা রয়েছে সালমা-জাহানারাদের। এরপর ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচও রয়েছে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে তাই প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি দেখছেন না জ্যোতি, ‘আমরা দুই মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। নিউজিল্যান্ড সফরও করেছি, সেখানে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলেছি আমরা।’
প্রস্তুতিতে ব্যাটিং নিয়ে বেশি কাজ করার কথাও জানিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার, ‘সে (নিউজিল্যান্ড) সফরের পর থেকে আমরা নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে আরও মনোযোগী হয়েছি, কারণ এই জায়গাটায় আমাদের সমস্যা বেশি।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের জয় বলতে ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে লঙ্কা-বধ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের সেরা স্মৃতি সেটাই। সেবার দলে না থাকা ১৭ বছরের কিশোরী জ্যোতি টিভি পর্দায় সিনিয়রদের সে কীর্তি দেখে রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন। এবার তার নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। ১২ ফেব্রুয়ারি কেপটাউনে প্রথম ম্যাচে তার দলের সামনে ‘সেই’ শ্রীলঙ্কা। টিভি পর্দায় দেখা লঙ্কা-বধের স্মৃতি বাস্তবে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে হারের ধারা কাটানোর মোক্ষম সুযোগ পাচ্ছে জ্যোতি এবং তার দল।
শেষ ম্যাচ জিতেও শেষ চারে যাওয়া হলো না। খুব কাছে গিয়েও রান রেটের মারপ্যাঁচে বাদ পড়লেন। আফসোস হচ্ছে নিশ্চয়ই?
দিশা: এটা আসলে আমাদের ভাগ্যে ছিল না। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি কিন্তু ভাগ্য সমর্থন করেনি। সৃষ্টিকর্তা হয়তো চাননি, তিনি না চাইলে তো আমরা পারব না। তবে আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছি তাতে আমরা ভালো করেছি বলে আমার বিশ্বাস।
সুপার সিক্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষ জিতলে ভারতের পরিবর্তে আপনারা গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনাল খেলতেন। ১০৭ রানের ছোট লক্ষ্য দিয়েও মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। খুব ভালো সুযোগ তৈরি করেও হলো না। এই আক্ষেপটা নিশ্চয়ই দীর্ঘদিন পোড়াবে?
দিশা: প্রত্যাশা তো অনেক কিছু ছিল। তারপরও আমরা যতদূর এসেছি, যা করেছি; সেটাও ভালো। আমরা দলগতভাবে ভালো করেছি। ব্যক্তিগতভাবেও আমাদের কিছু পারফরম্যান্স আছে। হয়তো আমাদের ভাগ্যে ছিল না, তাই সেমিফাইনাল খেলতে পারিনি। আমরা আরও দূরে যেতে পারতাম যদি ও দিনটা আমাদের ভালোভাবে শেষ হতো।
দেশ ছাড়ার আগে যে প্রত্যাশা ছিল তার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলালে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
দিশা: আমার মনে হয়, আপনারাও দেখেছেন আমরা ভালো একটা টুর্নামেন্ট শেষ করেছি। ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সবাই সবার জায়গা থেকে ভালোটাই দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমাদের সবসময় ভালো খেলার চেষ্টা ছিল ।
প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কার মতো দলকে হারানো। দলের এমন অর্জন অধিনায়ক হিসেবে কতটা স্বস্তির?
দিশা: অবশ্যই দারুণ স্বস্তির ব্যাপার। আমাদের জন্য যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়া বড় অর্জনগুলোর একটি। এত বড় একটা দলকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারিয়ে আমরা খুব ভালো ছন্দে ছিলাম। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়। সবকিছু মিলিয়ে গ্রুপ পর্বটা আসলেই ভালো ছিল আমাদের।
দেশে বা দেশের বাইরে সবখানে আপনাদের পারফরম্যান্স বেশ প্রশংসিত। শুনেছি প্রতিপক্ষ দল থেকেও আপনারা প্রশংসা পেয়েছেন। এগুলো আগামীতে নিশ্চয়ই আপনাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে?
দিশা: ভালো করলে আসলেই ভালো লাগে। সেটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগায় আমাদের।
আমাদের দেশে মেয়েদের ক্রিকেট ছেলেদের মতো অতটা জনপ্রিয় হয়নি এখনো। তারপরও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট, সেটাও প্রথমবার। শুরু থেকে এ পর্যন্ত, ক্রিকেট বোর্ড কেমন সমর্থন দিয়েছে?
দিশা: ক্রিকেট বোর্ড সমর্থন করেছে বলেই তো আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি, পারফর্ম করতে পেরেছি। বোর্ডের সমর্থনে আমরা খুশি। আমরা চাইব আগামীতেও বোর্ড আমাদের এভাবে সমর্থন দেবে। আমরাও চেষ্টা করব আমাদের পারফরম্যান্স আরও উন্নত করার।
দারুণ অধিনায়কত্বের সঙ্গে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সটাও শুরুতে খারাপ ছিল না। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে এবার তো মেয়েদের মূল বিশ্বকাপে। কেমন লাগছে?
দিশা: অবশ্যই অসাধারণ অনুভূতি। এখানে পারফরম্যান্স যতটুকু করতে পেরেছি, সেটা থেকে সুযোগ পেয়ে এবার মূল বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছি। এখানে ভালো করেছি জন্যই আমাকে নির্বাচন করেছে। আশা রাখি মূল বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে ভালো করব।
মেয়েদের মূল বিশ্বকাপে আপনার আরও দুই সতীর্থ ডাক পেয়েছেন, স্বর্ণা আক্তার ও মারুফা আক্তার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্বর্ণা ব্যাটিংয়ে ও মারুফা বোলিংয়ে ভালো করেছেন। তাদের নিয়ে যদি কিছু বলতেন?
দিশা: স্বর্ণা অসাধারণ। টুর্নামেন্টজুড়ে সে ভালো করেছে। মারুফাকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। সেও ভালো বোলিং করেছে। তারা তাদের জায়গা থেকে দলকে ভালো সমর্থন দিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে আছেন। সেখানেই মেয়েদের মূল বিশ্বকাপ। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে আপনারা তিনজন খেলবেন। এই বিশ্বকাপ নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
দিশা: আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে। আমরা এখানে যারা আছি (অনূর্ধ্ব-১৯ দলের) তারা কিন্তু এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। সবকিছু মোটামুটি আমাদের আয়ত্তে চলে এসেছে। আমরা মূল দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করলে আরও ভালো করব বলে আশা করছি।
সেমিফাইনাল খেলা না হলেও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খারাপ কাটেনি আপনাদের। মূল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কেমন করবে বলে প্রত্যাশা করছেন?
দিশা: প্রত্যাশা থাকবে মূল বিশ্বকাপে আরও ভালো কিছু করার।