বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
১৩ আষাঢ় ১৪৩২

সেমিফাইনালে পদ্মা ব্যাংক

সেমিফাইনালে উঠে গেছে পদ্মা ব্যাংক দল। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:৫৩
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ২০:৫২

বিডি জবস কর্পোরেট ক্রিকেট লিগ ২০২২-এর কোয়ার্টার ফাইনালে আজ পদ্মা ব্যাংক মুখোমুখি হয় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের। ৭ উইকেটে ম্যাচটি জিতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পদ্মা ব্যাংক।

প্রথমে ব্যাট করে মার্কেন্টাইল ব্যাংক ১৮ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান সংগ্রহ করে। ব্যাট করতে নেমে পদ্মা ব্যাংক ১৬.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ৪০ বলে ৫২ রান করে পদ্মা ব্যাংকের মাঝহারুল ইসলাম ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মার্কেন্টাইল ব্যাংক: ১৮ ওভারে ১০৩/৭ (শোয়েব হাসান ৩৯, ক্যাপ্টেন মোহাইমেন ইসলাম অব. ২/২০, জহিরুল ইসলাম ২/৩৮, এজাজ আহমেদ ১/১২, ক্যাপ্টেন তাওহীদ বিন শফি অব. ০/১০)

পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড: ১৬.১ ওভারে ১০৪/৩ (মাজহারুল ইসলাম ৫২, সাজ্জাদুজ্জামান সবুজ ৪২)


অবশেষে জানা গেল, কে হচ্ছেন পর্দার সৌরভ গাঙ্গুলী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

বহুমাত্রিক চরিত্রে সাবলীলভাবে অভিনয় করে বলিউডে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন রাজকুমার রাও। দর্শকের ভালোবাসা আর একের পর এক ব্যবসাসফল ছবিই এর প্রমাণ। ভারতীয় শিল্পপতি শ্রীকান্ত বোল্লার চরিত্রে অসাধারণ পারফরম্যান্স অভিনেতা হিসেবে তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। এবার রাজকুমারকে দেখা যাবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে, ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিকে সৌরভের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি। এত দিন মুখ না খুললেও এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন এ অভিনেতা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলীর ভূমিকায় অভিনয়ের কথা নিশ্চিত করেছেন রাজকুমার রাও। তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু দাদা (গাঙ্গুলী) নিজেই বলে দিয়েছেন, আমিও জানাচ্ছি, হ্যাঁ, আমি তার বায়োপিকে কাজ করছি।’ অভিনেতা জানিয়েছেন, এই চরিত্র নিয়ে বেশ নার্ভাস তিনি। কারণ, এটি বিশাল দায়িত্ব বলে মনে করছেন তিনি।

এই বায়োপিকের জন্য রাজকুমার রাওকে শিখতে হচ্ছে বাংলা ভাষা, যেখানে তার স্ত্রী পত্রলেখা তাকে সাহায্য করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করবেন বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে; এটি প্রযোজনা করছে লাভ ফিল্মস।

রাজকুমার রাওয়ের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, রাজকুমার রাও একজন দারুণ অভিনেতা এবং এই চরিত্রের জন্য উপযুক্ত পছন্দ। তিনি আরও জানান, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে ছবির শুটিং শুরু হবে এবং মুক্তি পাবে ডিসেম্বর ২০২৬-এ। গাঙ্গুলী নিজেও ছবির সৃজনশীল দিকগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকবেন।

এর পাশাপাশি রাজকুমার রাওয়ের পরবর্তী ছবি ‘মালিক’। পুলকিত পরিচালিত এই অ্যাকশন-ড্রামা ছবিটি এলাহাবাদ শহরকে পটভূমি করে গড়ে উঠেছে। এক গ্যাংস্টারের অপরাধজগতের শীর্ষে পৌঁছানোর গল্প নিয়ে তৈরি ‘মালিক’ মুক্তি পাবে আগামী ১১ জুলাই ২০২৫–এ।


আগামী মৌসুমে কোথায় খেলবেন হামজা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে নিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয় বাংলাদেশি এই ফুটবলারের। জুনে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটিও করেন তিনি। এখন আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি চলায় হামজার মনোযোগ পুরোপুরি আগামী মৌসুমের দিকেই। হামজা তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন লিস্টার সিটির অ্যাকাডেমি দিয়ে। ২০১৭ সালে ক্লাবটির সিনিয়র দলে অভিষেক হয় তার। সাবেক প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটির হয়ে ১০০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। তবে তার ক্যারিয়ারে বার্টন আলবিয়ন ও ওয়াটফোর্ডের মতো ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। সর্বশেষ, ২০২৪-২৫ মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে হামজা ধারে যোগ দেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে। চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করলেও প্লে-অফ ফাইনালে সান্ডারল্যান্ডের কাছে হেরে প্রিমিয়ার লিগে উঠতে ব্যর্থ হয় দলটি।

ধারের মেয়াদ শেষে হামজা ২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য ফিরছেন তার মূল ক্লাব লিস্টার সিটিতেই। বর্তমানে ক্লাবটির সঙ্গে হামজার আরও দুই বছরের চুক্তি রয়েছে।

লিস্টার প্রিমিয়ার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে যাওয়ায় হামজাকে আগামী মৌসুমে ক্লাবটির হয়েই খেলতে হতে পারে। তবে গ্রীসের নামকরা ক্রীড়া গণমাধ্যম স্পোর্টস এফএস জানিয়েছে, গ্রিক সুপার লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন অলিম্পিয়াকোস বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডারকে দলে ভেড়ানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে। যদি হামজার সঙ্গে অলিম্পিয়াকোসের চুক্তি হয় তাহলে আগামী মৌসুমে তাকে দেখা যাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে। তবে আগামী ২০২৫-২৬ মৌসুমে কোথায় দেখা যাবে বাংলাদেশের এই তারকা ফুটবলারকে- তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ইউরোপিয়ান বড় মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সম্ভাবনা দেশের ফুটবলের জন্য নিঃসন্দেহে বড় সুখবর। এখন দেখার বিষয়, হামজা কি লিস্টারে থেকে দলকে আবার প্রিমিয়ার লিগে তুলবেন, নাকি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পাড়ি জমাবেন গ্রীসে।


এনামুলের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা: শ্রীলঙ্কা সফরে রান শূন্যতার গল্প

আপডেটেড ২৫ জুন, ২০২৫ ১১:৪৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার মাটিতে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে রান আসছেই না। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। আসিথা ফার্নান্ডোর বাউন্সার বলটিকে ব্যাটের ভেতরের ধার লাগিয়ে স্টাম্পে পাঠান এনামুল, যা যেন তার চলমান দুর্দশারই প্রতীক।

মজার বিষয় হলো, এই আউট হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফার্নান্ডোরই একটি বল স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার তা হাতছাড়া করেন। পরের বলেও একই অঞ্চলে ক্যাচের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বলটি নিচু হওয়ায় ফিল্ডাররা ধরতে ব্যর্থ হন।

এনামুলের এই সফরটা যেন ভাগ্যের সাথে লুকোচুরির খেলা। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানের পর এবার আবার শূন্য। ক্রিজে দাঁড়ালেই কীভাবে যেন রান না পাওয়ার অভিশাপ তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট, প্রতিটি বলই যেন তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এমন সময়ে প্রশ্ন উঠছে, দলের ওপেনিং জুটিতে এনামুলের স্থান কতটা যৌক্তিক? নাকি দ্রুত কোনো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ইনিংসটিই হয়তো তার জন্য শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।


বাফুফের ট্রায়ালে ১৪ দেশের ৫১ ফুটবলার

এপ্রিলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে আসা তিন প্রবাসী ফুটবলার। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া প্রতিবেদক

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশি হওয়ার পর প্রবাসী ফুটবলারে মনোযোগ বাফুফের। শমিত সোম, কিউবা মিচেলের পর আলোচনায় জায়ান হাকিম। এর মধ্যে প্রবাসী ফুটবলারের বড় একটি বাজার বসতে যাচ্ছে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৪ দেশের ৫১ প্রবাসী ফুটবলারের ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ট্রায়ালে আগ্রহী খেলোয়াড়দের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তিন দিন এ ট্রায়াল পরিচালনা করবে বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, কানাডা, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, ওয়েলস, ইতালি, মালয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় থাকা প্রবাসীরা ট্রায়ালে অংশ নেবেন।

ট্রায়ালে সাড়া পড়েছে যুক্তরাজ্য থেকে বেশি। সেখান থেকে নিবন্ধন করেছেন ২০ ফুটবলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ ফুটবলার নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সুইডেন থেকে ৫ ও কানাডা থেকে ২ ফুটবলার দেবেন ট্রায়াল। বাকি দেশগুলো থেকে একজন করে ট্রায়ালে অংশ নেবেন। দেশের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম পঞ্চাশোর্ধ্ব বিদেশি ট্রায়াল দিচ্ছেন। তাই আয়োজনে কোনো রকমের ত্রুটি রাখতে চাইছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কোন দেশের কতজন- ২০ যুক্তরাজ্য, ১৪ যুক্তরাষ্ট্র, ৫ সুইডেন, ২ কানাডা, ১ ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, ওয়েলস, ইতালি, মালয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া

ট্রায়ালের জন্য ২৭ জুন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বয়সসীমা সর্বকনিষ্ঠ ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৭ পর্যন্ত। তবে মূল ফোকাসটা থাকবে অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ বয়সি ফুটবলারদের ওপরে। ট্রায়ালে থাকবে পাঁচ সদস্যের অভিজ্ঞ কোচিং প্যানেল। নেতৃত্বে থাকবেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু। থাকবেন দেশের শীর্ষ ক্লাবের কোচ এবং বাফুফের নির্বাহী কমিটিতে থাকা জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলাররাও। এই ট্রায়ালে থাকার কথা আছে জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার। তিনি থাকেন, ট্রায়ালে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন। বিশেষজ্ঞরা প্লেয়ার পারফরম্যান্সের স্বতন্ত্র মূল্যায়ন করবেন। তিন দিনের ট্রায়ালে প্রতিদিন ফুটবলারদের দুটি গ্রুপে ভাগ করে ২ ঘণ্টার সেশন হবে। শেষ দিন প্রবাসী ফুটবলারদের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ফুটবলাররা ব্যক্তিগত খরচে ঢাকায় আসছেন। বাফুফে শুধু তাদের জার্সি, শর্টস ও মোজা দেবে। ব্যক্তিগত ইকুইপমেন্টগুলো ট্রায়ালে অংশ নিতে আসা খেলোয়াড়দের জোগাড় করে নিতে হবে।


 ঐতিহাসিক কীর্তি: এক টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ভারতের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

লিডস টেস্টে যেন সেঞ্চুরির উৎসব বসেছে ভারতের ড্রেসিংরুমে। এক টেস্টেই পাঁচটি সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েছে ভারতীয় দল। টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে ভারতের পাঁচ ব্যাটার পেয়েছেন শতরান। এই কীর্তির সুবাদে এক বিব্রতকর রেকর্ড থেকে অবশেষে মুক্তি পেল বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। এতদিন এই তিন দেশের বিপক্ষেই এক টেস্টে ভারতের সর্বোচ্চ চারটি করে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল। এবার সেই রেকর্ড পেছনে ফেলে নতুন উচ্চতায় উঠল রোহিত শর্মার দল।

লিডসের এই টেস্টে দুই ইনিংসে মিলিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল (১০১), শুবমান গিল (১৪৭), লোকেশ রাহুল (১৩৭) এবং ঋষভ পন্ত (১৩৪ ও ১১৮)। জোড়া শতরান করা পন্ত গড়েছেন আরও একটি অনন্য রেকর্ড। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম এশিয়ান উইকেটরক্ষক হিসেবে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। বিশ্বের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে শুধু জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারই (২০০১) এই কীর্তি গড়েছিলেন। ভারতের হয়ে এক টেস্টে চার সেঞ্চুরির নজির ছিল আগেও। ২০০৭ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে, ২০১০ সালে ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ২০১৭ সালে নাগপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ইনিংসেই চার সেঞ্চুরি করেছিল ভারত। এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন পন্তরা।


পান্তকে তিরস্কার করল আইসিসি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করায় ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঋষভ পান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করেছে ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিন লেভেল ওয়ান নিয়ম ভঙ্গ করেছেন পান্ত।

আইসিসি আরও জানিয়েছে, ‘প্লেয়ার্স এন্ড প্লেয়ার্স সাপোর্ট পার্সোনেল’ আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেন পান্ত। যা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করা।’

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসের ৬১তম ওভার শেষে নিয়ম ভঙ্গ করেন পান্ত। ঐ ওভার শেষে বল পরিবর্তনের কথা দুই অনফিল্ড আম্পায়ারকে জানায় ভারতীয়রা। এরপর বল গজ দিয়ে বলের আকৃতি পরীক্ষা করার পর বল পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। কিন্তু আম্পায়াদের সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি পান্তের। তাই মেজাজ হারিয়ে আম্পায়ারদের সামনে মাটিতে বল ছুঁড়ে মারেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। যা আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে।

তিরস্কারের পাশাপাশি ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে পান্তের নামের পাশে। গত ২৪ মাসে এই প্রথম মাঠে নিয়ম ভঙ্গ করলেন পান্ত।

পান্তের এমন আচরণ ভালভাবে নেননি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস গাফানি ও পল রাইফেল। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তি দেন ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন। নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় শাস্তি মেনে নিয়েছেন পান্ত। তাই আর শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন পান্ত। দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১৩৪ ও ১১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।


আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে র‌্যালি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকায় বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার র‌্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

‘লেটস মুভ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ র‌্যালির মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্রীড়াবিদ ও সাধারণ জনগণকে শরীরচর্চা এবং ক্রীড়া কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করা। পাশপাশি অন্যদেরকেও ক্রীড়াচর্চায় আগ্রহী করে তোলা।

দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরেও ক্রীড়া সংস্থাসমূহের সহায়তায় একযোগে র‌্যালিগুলো অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার কেন্দ্রীয় র‌্যালিটি ভোর সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে শুরু হয়ে শিক্ষা ভবন, বাংলাদেশ সচিবালয়, জিরো পয়েন্ট ও জিপিও অতিক্রম করে জাতীয় স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেটে এসে শেষ হয়।

এই র‌্যালিতে জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, সংগঠক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন সংস্থা এবং দুই হাজারেরও বেশি ক্রীড়াপ্রেমী অংশগ্রহণ করেন।

র‌্যালি শেষে জাতীয় স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীর অর্কেস্ট্রা দল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় সেনাপ্রধান উপস্থিত অলিম্পিয়ানদের বিশেষ সম্মাননা ও সনদপত্র প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা এই আয়োজনকে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর বলে মন্তব্য করেন। সঙ্গে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


জোড়া সেঞ্চুরিতে ইতিহাস পন্তের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

৯৫ রান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেছেন ২২ বল। ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশিরের বলে এক রান নিয়ে যখন সেঞ্চুরি ছুঁলেন, স্বস্তির একটা নিশ্বাসই যেন ছাড়লেন ঋষভ পন্ত। আগের ইনিংসের মতো এবার অবশ্য আর ডিগবাজি দিয়ে উদ্‌যাপন করেননি। হয়তো পরেরবারের জন্য তুলে রেখেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলিতে আজ টেস্টের চতুর্থ দিনে অনন্য এক কীর্তিই গড়ে ফেললেন পন্ত। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা অষ্টম ভারতীয় ব্যাটসম্যান তিনি, বিদেশের মাটিতে পঞ্চম। এক ম্যাচে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে সুনীল গাভাস্কারের (৩), দুবার আছে রাহুল দ্রাবিড়েও। একবার করে এমন কীর্তি আছে বিজয় হাজারে, আজিঙ্কা রাহানে, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার। পন্তের সৌজন্যে ইংল্যান্ডে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যান এই প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। তবে ভারতের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান একটা জায়গায় সব ভারতীয়ের চেয়ে আলাদা। এমনকি পুরো ক্রিকেট ইতিহাসেই তার আগে এমন অর্জন ছিল আর একজনের। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে এত দিন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ২০০১ সালে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১৪২ ও অপরাজিত ১৯৯ রান করেছিলেন। এবার তার পাশে বসলেন পন্ত। হেডিংলি টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট পাঁচটি সেঞ্চুরি দেখেছে ভারত- এর আগে দেশটির ইতিহাসে কখনো এমন কিছু দেখা যায়নি। পন্ত ছাড়াও সেঞ্চুরি করেছেন যশস্বী জয়সোয়াল, লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। চতুর্থ দিনের চা বিরতি পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করেছে ভারত, তারা এগিয়ে আছে ৩০৪ রানে। ২২৭ বলে ১২০ রান করে রাহুল দ্রাবিড় ও ১২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত আছেন করুন নায়ার। ১৪০ বলে ১১৮ রান করে আউট হয়ে গেছেন পন্ত।


প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব : উপদেষ্টা আসিফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। এটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, 'কথা দিয়েছিলাম প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। তাকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে রাজশাহীতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর নীলফামারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল। এছাড়াও পরিকল্পনায় আছে খুলনাও।'

পোস্টে আরো বলা হয়েছে, 'প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুতই মাঠে বল গড়াবে ইনশাআল্লাহ।'


টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ডে নাম ডু প্লেসির

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে মনোযোগী হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার ফাফ ডু প্লেসি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) টেক্সাস সুপার কিংসের হয়ে করেছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, তাতে বিরল এক রেকর্ডে ওঠেছে তার নাম। সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নের বিপক্ষে ১০০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলার সুবাদে ইতিহাসের তৃতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ৪১ বছরের ডু প্লেসি।

ম্যাচে সান ফ্রান্সিসকোর বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে সুপার কিংস নির্ধারিত ওভারে ৫ ‍উইকেটে ১৯৮ রান তুলে। ব্যাট হাতে ঝড় বইয়ে ৫১ বলেই পূর্ণ করেন, তিন অঙ্কের দেখা পান ডু প্লেসি। ৬টি চার ও ৭ ছক্কার সাহায্যে করেন বরাবর ১০০ রান।

তবে ১৯৯ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি ডু প্লেসির টেক্সাস। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ২৩ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সান ফ্রান্সিসকো। তবে ম্যাচের ফল পক্ষে না এলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন ডু প্লেসি। ৪০ বছর ৩৪২ দিন বয়সে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে বনে গেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ বয়সি ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান। তার ওপরে আছেন শুধু দুজন। ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার পল কলিংউড ৪১ বছর ৬৫ দিন বয়সে ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেন ২০১৭ সালে। এছাড়া দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে (৪১ বছর ৩৭ দিন) গ্রায়েম হিক ২০০৭ সালে একই কীর্তি গড়েছেন।


বোল্টার যেন কোর্টে নয়, খেলেন মৃত্যুর সঙ্গে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

গেল মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ফ্রেঞ্চ ওপেনের নারী এককের প্রথম রাউন্ডে ম্যাচটা স্বাগতিক এক টেনিস তারকাকে হারিয়ে জিতেছিলেন ব্রিটিশ টেনিস সুন্দরী কেটি বোল্টার। সেটিও প্রথম সেটে টাইব্রেকারে হারের পর কঠিন এক লড়াই শেষে দুই সেটে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছিল, যা তার জন্য ছিল বেশ আনন্দের, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইনবক্সে ঢুকতেই বোল্টারের সামনে খুলে যায় এক বিভীষিকার দরজা। ইনস্টাগ্রামে তাকে দেওয়া হুমকির মেসেজগুলো ছিল ঠিক এ রকম, ‘আশা করি ক্যানসারে মরবে।’, ‘তোমার দাদির কবর খুঁড়ে ফেলব, যদি কালকের মধ্যে মারা না যান।’, ‘মরে যাও, আমার মায়ের পাঠানো টাকা তোমার কারণে উড়ে গেছে।’ ব্রিটিশ টেনিস তারকা কেটি বোল্টার হয়তো জীবনের সেরা ম্যাচগুলোর একটি খেলেছিলেন প্যারিসের কোর্টে। ফ্রেঞ্চ ওপেনের প্রথম রাউন্ডে প্রথম সেটের টাইব্রেকারে হেরে গেলেও পরের দুই সেটে দুর্দান্তে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নেন ৬-৭, ৬-১, ৬-১ স্কোরলাইনে। সেটাই ছিল তার রোলাঁ গারোর মূল পর্বে প্রথম জয়। কিন্তু সেই আনন্দের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় এক ‘অন্ধকার অধ্যায়।’ মোবাইলে ঢুকতেই ইনবক্সে একের পর এক অশ্রাব্য গালি-গালাজ, ব্যক্তিগত আক্রমণ, এমনকি পরিবারকে ঘিরে ভয়ংকর হুমকি। বোল্টারের নিজের কথায়-‘এসব এখন এত স্বাভাবিক হয়ে গেছে, যেন এটা আমার রুটিনের অংশ।’

সম্প্রতি বিবিসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টার যা বলেছেন, তা শুধু নিজের না এ যেন একটা প্রজন্মের ভয় আর বিষণ্ণতা। তিনি বলেন, ‘শুরুতে এগুলো খুব ব্যক্তিগতভাবে নিতাম। আতঙ্কে থাকতাম, মানসিকভাবে বেশ চাপ অনুভব করতাম। মাঝে মধ্যে কান্না করতাম, ডিপ্রেশনে ভুগতাম। তবে ধীরে ধীরে এটা অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন ভাবি এরা কারা? কীভাবে এত ঘৃণা তৈরি হয় একজন মানুষকে ঘিরে?’ তবে ব্রিটিশ এ টেনিস সুন্দরী এটাও জানেন, এর পেছনে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে ব্যাটিংয়ের। যারা খেলায় বাজি ধরে যারা হেরে যায়, তাদের অনেকেই রাগ ঝাড়েন সরাসরি খেলোয়াড়দের ওপর। গবেষণায় ওঠে এসেছে, ২০২৪ সালেই অন্তত ৮ হাজার হুমকিমূলক বার্তা এসেছে টেনিস খেলোয়াড়দের সামাজিক মাধ্যমে, যার প্রায় ৪০ শতাংশই এসেছে ‘রাগি জুয়াড়িদের’ কাছ থেকে।

একজন তো একবারেই ২৬৩টি হুমকির বার্তা পাঠিয়েছেন। এমন ১৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মতো রয়েছে আরও হাজারও। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, এসব ‘ঘৃণা ব্যবসাতে’ সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রতিক্রিয়া প্রায় শূন্য। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা কোনো মন্তব্যই করেনি। অথচ বোল্টার জানাচ্ছেন, তার ইনবক্সের স্প্যামবক্সে প্রতিদিনই অশ্লীল ছবি পাঠানো হয়। তরুণীরা যারা এই পেশায় আসছে, তারা কীভাবে মানসিকভাবে সামলাবে এসব? যদিও তিনি মাঝে মধ্যে বিপরীত পথে হাঁটেন-অপমানকারীদের উত্তর দেন নম্রভাবে। সেই সময় অনেকে আবার জবাব দেন, ‘আমি আসলে তোমার বড় ভক্ত, আবেগে লিখে ফেলেছি।’ ২৮ বছর বয়সি বোল্টারের বাগদত্তো অস্ট্রেলিয়ার টেনিস তারকা অ্যালেক্স ডি মিনর। তিনিও হুমকি পান তার হবু স্ত্রীর কারণে, আবার উল্টো ঘটনাও ঘটে। ডি মিনরের ম্যাচের হুমকি আসে ব্রিটিশ সুন্দরীর ইনবক্সে। যেন দুই খেলোয়াড় এক সঙ্গে খেলছেন- তবে একপাশে টেনিস, অন্যপাশে ট্রল-টেনিস। আসন্ন উইম্বলডন সামনে রেখে বোল্টার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু সঙ্গে বাড়ছে মানসিক প্রস্তুতির চাপও। কারণ ঘরে খেলতে নামার মানে এখানে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, ইনবক্সের হুমকি/আক্রমণাত্মক বার্তাগুলো যেন প্রতিদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী।

যদিও সামাজিক মাধ্যমে হুমকি শুধু বোল্টার কিংবা ডি মিনরেই পান না। বিবিসির অনুসন্ধানে জানা গেছে বিশ্বের শীর্ষ টেনিস তারকা ইগা শিয়নটেক, জেসিকা পেগুলা, ওন্স জাবের, আরিনা সাবালেস্কার মতো খেলোয়াড়রাও জানিয়েছেন তারা প্রায় নিয়মিতভাবেই এই সাইবার সহিংসতার শিকার হন। বিশেষ করে নারী টেনিস খেলোয়াড়দের সঙ্গেই এ ঘটনা ঘটে বেশি।


নেইমারের বাসায় গিয়ে ইয়ামাল বললেন ‘আমার ভাই’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

দুর্দান্ত এক মৌসুম শেষ করেছেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনা ক্লাব বিশ্বকাপে না থাকায় তার হাতে এখন অখণ্ড অবসর। আর এই অবসর সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করছেন ১৭ বছর বয়সি এই স্প্যানিশ উইঙ্গার। তবে ছুটিতেও নিজেকে আলোচনায় রাখছেন ইয়ামাল। ছুটি কাটাতে তিনি প্রথমে যান ইতালিতে। ‘আজ্জুরি’ দের দেশে ছুটি কাটানোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিও তিনি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর ইয়ামাল আলোচনায় আসেন স্প্যানিশ মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার ও বিমানের ক্রু-ফাতি ভাজকেজের সঙ্গে সুইমিংপুলের পাশে ও জলাশয়ে নৌকা নিয়ে ঘোরার ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করে। সে সময় ইয়ামালের সঙ্গে ১৩ বছরের বড় ফাতির প্রেম নিয়ে গুঞ্জনও শোনা গেছে বেশ। আর এবার ইয়ামাল আলোচনায় এলেন নেইমারের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে। কদিন আগেই ইয়ামাল ব্রাজিলে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। এরই মধ্যে দুজনের এক সঙ্গে অবকাশযাপনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নেইমারের সঙ্গে ইয়ামালের ছুটি কাটানো নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ওগ্লোবো’ জানিয়েছে, সান্তোস তারকা নেইমার গত বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরোর মানগারাবিতা শহরে নিজের বাসভবনে বার্সেলোনা তারকা ইয়ামালকে স্বাগত জানিয়েছেন। নেইমার নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ইয়ামালের সঙ্গে সময় কাটানোর ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওর শুরুতে জিমে ব্যায়াম করতে দেখা যায় নেইমারকে। এরপর নেইমার যান ভলি খেলতে। নেইমারের বল অন্য প্রান্তে পাঠানোর পর দৃশ্যপটে আসেন ইয়ামাল। স্প্যানিশ তারকা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেরত পাঠান নেইমারের কাছে। কিছু সময় খেলার পর দুজনকে দেখা যায় সুইমিংপুলের ধারে। সেখানে খুনসুটিতেও মাতেন দুজন। সবশেষে নেইমারের সান্তোসের জার্সি হাতে ইয়ামাল এবং ইয়ামালের বার্সেলোনার জার্সিতে নেইমারকে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। এই ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ইয়ামাল লিখেছেন, ‘আমার ভাই।’ ইয়ামাল নিজেও স্টোরিতে নেইমারের সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে নেইমারের পাশে বসে গলফ কার্ট গাড়িতে চড়তে দেখা যায় ইয়ামালকে

ইয়ামাল অবশ্য আগে থেকেই নেইমারের বড় ভক্ত। গত বছর সান্তোসে নিজের প্রথম মেয়াদে নেইমারের পরা একটি জার্সি পরতে দেখা গিয়েছিল ইয়ামালকে। তবে ভক্ত থেকে এবার যেন আরও ভালোভাবে ভাই-বন্ধুত্বে পরিণত হলেন তারা।

২০০০ থেকে ২০২৫ সালে আটকালেও সংখ্যাটা খুব বেশি কমবে না। ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে স্কাই স্পোর্টসে দুই দেশ মিলিয়ে সেরা টেস্টে একাদশ বেছে নিতে তাই বেশ কষ্ট হয়েছে ইংল্যান্ডের দুই সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন ও মাইকেল আথারটনের। শেষমেশ কাজটা তারা করলেও একাদশ গড়তে গিয়ে বাদ দিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও জো রুটকে।

যাদের নাম সেখানে আছে, তা দেখে খুব বেশি আপত্তি নাও-ওঠতে পারে। ২০০০ সাল থেকে হিসাব করা নাসের ও আথারটনের একাদশে দুই ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও বীরেন্দর শেবাগ। তিন ও চারে খেলবেন দুজন ভারতীয়। আন্দাজ করা খুব কঠিন কিছু নয়, রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকার। পাঁচ নম্বরে সুযোগ মিলেছে কেভিন পিটারসেনের। আর ছয়ে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। স্টোকসই এই দলের অধিনায়ক। নাসের হুসেইন ও মাইকেল আথারটনের একাদশে উইকেট কিপার ঋষভ পন্ত। এই বাঁহাতির সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ম্যাট প্রায়র। শেষ পর্যন্ত পন্তকেই বেছে নেন তারা। স্পিনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। লড়াইয়ে গ্রায়েম সোয়ানকে পেছনে ফেলেন তিনি।

পেস বিভাগে জেমস অ্যান্ডারসন ও বুমরা অবধারিত। তৃতীয় পেসার নিয়ে ছিল দোটানা। জহির খানের নামটা এসেছিল বারবার। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সুযোগ দিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রডকে। নিজেদের একাদশ নিয়ে নাসের বলেছেন, ‘এটা তো দুর্দান্ত এক দল, এমনটাই তো আশা করা যায়। দুই দেশের সেরা খেলোয়াড়দেরই রাখা হয়েছে। এ নিয়ে কেই বা হতাশ হতে পারে? কোহলি হতাশ হবে। রুটও।’

আথারটন এরপর যোগ করেন, ‘এ দলটাই প্রমাণ করে, গত ২৫ বছরে ভারত ও ইংল্যান্ড কতটা অসাধারণ মানের ক্রিকেটার তৈরি করেছে।’ আজ শুরু হবে দুই দলের পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। এই সিরিজে ভারতের টেস্ট দলে নেই রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। দুজনেই এ সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন। তাদের কেউ ভারতের টেস্ট দলে নেই, এমন কিছু দেখা গেছে ১৪ বছর আগে।

দ্য টেলিগ্রাফে লেখা কলামে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জিওফ বয়কট এই দুজনের না থাকা নিয়ে লিখেছেন। বয়কটের মতে, রোহিত নয়, ভারত বেশি মিস করবে কোহলিকে। তিনি বলেছেন, ‘রোহিত দারুণ ব্যাটসম্যান। সেরা ছন্দে থাকলে ও দারুণ স্ট্রোক খেলোয়াড়। তবে কোহলির মতো রোহিতকে ভারত ততটা মিস করবে না। কারণ, রোহিতের টেস্ট রেকর্ড ভালো হলেও অসাধারণ নয়। গত কয়েক বছরে তার ব্যাটিং কিছুটা অধারাবাহিক ছিল, যা ৩০-এর শেষ দিকে খুব একটা অবাক করার মতো নয়।’


মেসির পায়ে যাদুর ছোঁয়া

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ক্রীড়া ডেস্ক

ফুটবলটি বলা যায়। প্রতিপক্ষ দলের বক্সের মাথায় যে ছোট্ট ‘ডি’, তার নিশ্বাস লাগোয়া দূরত্বে বলটি বসানো। সেখান থেকে কয়েক পা দূরে দাঁড়িয়ে গোলাপি কিংবা আকাশি-সাদা জার্সি পরা ৩৭ বছর বয়সি রক্তমাংসের যে মানুষটি, তার নাম হতে পারে ‘অমরত্ব’। লোকে তাকে ডাকেন লিওনেল মেসি, কেউ কেউ শুধু মেসি। তার অর্জনের ডালিতে তাকিয়ে কেউ কেউ হয়তো সংগোপনে ওই নামেও ডাকেন, ‘ইম্মর্টাল’ কিংবা অমর।

ফুটবলে প্রায় এমন কোনো শিরোপা নেই, যা তার নেই। বয়সের ডালপালা গজিয়ে ক্রমে মহিরুহ হয়ে এখন পাতাঝরার ঋতুতে নামলেও তবু তার ‘সবুজ’ থাকার কী ক্ষুধা। এ সবুজ মানে তরতাজা, এ সবুজ মানে যত দিন সম্ভব সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতো টিকে থাকার নেশা। মানুষ এটাই চায়। পার্থক্য হলো, অন্যদের চাওয়াটা হয়তো নিজের জীবনকেন্দ্রীক, মেসির ফুটবলে। আর তাই, তার মাঠে নামার প্রতিটি দিনের ক্যানভাসেই নতুন নতুন ছবির জন্ম হয়। যেমনটা হলো গতকাল রাতে আটলান্টায় ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে। পোর্তোর বিপক্ষে তখন ১-১ গোলের সমতায় মায়ামি। ফ্রি-কিক (৫৩ মিনিট) পায় স্বাগতিকেরা। কে শটটি নিতে পারেন, সবার জানাই ছিল। বক্সের মাথায় ছোট্ট ‘ডি’-র সামনে বসানো বলটি থেকে কয়েক পা দূরে দাঁড়িয়ে মেসি যখন বুক ভরে শ্বাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় অনেক দর্শকই হয়তো আন্দাজ করে নিয়েছিলেন, এরপর কী ঘটতে যাচ্ছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে এমন সব মুহূর্ত ও দৃশ্য তো তাদের পরিচিত।

তারপর সেই চিরায়ত বাঁ-পায়ের কিক ও বলের ধনুকের মতো বাঁক নিয়ে জালে আশ্রয় নেওয়া- এ পরিচিত দৃশ্যের পর দেখা মিলল আরও এক চেনা দৃশ্যের। দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে শিশুর মতো ছুটে নারালেন মেসি- এ পর্যন্ত এসে একটু পেছন ফিরে তাকাতে পারেন। সাফল্যের উপচে পড়া ডালি নিয়েই মায়ামিতে এসেছেন মেসি।

ক্যারিয়ারে চাওয়া-পাওয়া বলে তার আর কিছুই থাকার কথা নয়। কিন্তু ওই যে সবুজ, তরতাজা হয়ে টিকে থাকার নেশা, যার পাল্লায় পড়ে এই জনারণ্যে সাধারণ ও অসাধারণের পার্থক্য গড়ি আমরা- সেই নেশায় ডুবেই এখনো গোল করে শিশুর মতো আনন্দে ছুট লাগানো, দলের জয়ে চোখেমুখে ভর করে অন্য রকম এক দীপ্তি। অন্য চোখে তা আনন্দ, মেসিকে দেখার আনন্দ। আর যখন সবাই জানেন, এই আনন্দ আর বেশি দিন অবশিষ্ট নেই, তখন অবচেতন মনেই তার সবকিছুকে অমরত্ব দেওয়া শুরু হয়। মাঠে তার হাঁটা থেকে দৌড়, পাস থেকে ড্রিবলিং, শট থেকে সেটপিস সবকিছু, সবকিছুই চিরকালীন ফ্রেম পেতে থাকে। যেমন ধরুন, মেসির গোলে পোর্তোর বিপক্ষে মায়ামির জয়টি। পর্তুগিজ ক্লাবটি এক সময়ের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। পর্তুগালের সবচেয়ে সফল দুটি (অন্যটি বেনফিকা) ক্লাবেরও একটি। ফুটবল দলীয় খেলা, তাই প্রতিপক্ষ দলে যতই মেসি থাকুন এ ম্যাচে পোর্তোর জয়ই ছিল প্রত্যাশিত। ধারে-ভারে কোথায় ৭ বছর আগে ফুটবল সেভাবে জনপ্রিয় নয়, এমন এক দেশে জন্ম নেওয়া এক ক্লাব, আর কোথায় ১৩১ বছর আগে জন্ম নেওয়া ৮৬টি বড় ট্রফিজয়ী ক্লাব।

এমন দুটি ক্লাবের মুখোমুখিতে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসেও পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন যিনি, সেটাও তরুণ বয়সে যেভাবে ছবির মতো সুন্দর ফ্রি-কিক নিয়েছেন, এই ভারি বয়সে এসেও ঠিক তেমন কিছুরই কার্বন কপি যিনি জন্ম দিতে পারেন, তাকে অমরত্ব না দেওয়াই তো অপরাধ। অবশ্য আমাদের দেওয়া না-দেওয়ায় তার কিছু যায় আসে না। ইতিহাস তাকে সেই বরমাল্য দিয়েছে সম্ভবত ২০২২ বিশ্বকাপেই। এবার ক্লাব বিশ্বকাপেও হলো। উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চল মিলিয়ে কনক্যাকাফ কনফেডারেশনের প্রথম দল হিসেবে অফিশিয়াল ফিফা টুর্নামেন্টে ইউরোপিয়ান দলকে হারাল মায়ামি। এরপর এমন ঘটনা হয়তো আরও অনেকবারই ঘটবে, কিন্তু প্রথমবার তো কখনো মুছে ফেলা যাবে না। আর সেই প্রথমবার যিনি এই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, তিনি এমনিতেই অমর। যেমনটা এখন ফিফা টুর্নামেন্টেও। ফিফার সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোল এখন মেসির। এই পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন ব্রাজিলের ‘স্কার্ট পরা পেলে’ খ্যাত মার্তাকে। ছেলে ও মেয়েদের ফুটবল মিলিয়ে ফিফা আয়োজিত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল এখন মেসির। পোর্তোর জালে ফ্রি-কিক থেকে করা গোলটির মাধ্যমে মার্তাকে পেছনে ফেললেন মেসি। তার গোল সংখ্যা ২৫, মার্তার ২৪।


banner close