কোভিড পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে গঠিত ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ জোট নতুন নামে যাত্রা শুরু করেছে। এডুকেশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ (ইএবি) নামের এই জোট সবার জন্য একীভূত মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে।
বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দিনব্যাপী আয়োজিত শিক্ষা সম্মেলন ২০২৩-এ এই ঘোষণা দেয়া হয়।
সম্মেলনে সূচনা পর্বে সেভ দ্য চিল্ড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন বলেন, এই জোটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে একসাথে কাজ করা চালিয়ে যাওয়া যেন একত্রে মিলে আমরা আরও বেশি শিশুদের কাছে পৌঁছাতে পারি, যাদের আমাদের সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। নীতিনির্ধারকদের কাছে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি নিয়ে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব সকলের সমন্বিত দায়িত্ব। এই প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়ে শুধু আমাদেরই নয়, শিশুদের কণ্ঠ তুলে ধরার জায়গায়ও তৈরি করে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ র্বে গণস্বাক্ষর অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সংগঠিত হওয়ার কোন বিকল্প নেই। সবাই মিলে আরও শক্তিশালীভাবে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনের শেষে ঘোষণাপত্রে বলা হয়, এই জোট মানসম্মত ও একীভূত শিক্ষার চ্যালেঞ্জগুলো দূর করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সরকারকে সহায়তা করবে।
‘সবার জন্য একীভূত মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ’ স্লোগান নিয়ে এই জোট কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা জনপ্রিয় করতেও উদ্যোগ নেবে। পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশকে আনন্দদায়ক করতে কাজ করা ব্যক্তি বা সংস্থার সাথে অংশীদারত্ব গড়ে তুলবে।
কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে গণসচেতনতামূলক প্রচারণা জরুরি হয়ে পড়ে। লকডাউনের কারণে বাধ্যতামূলক এই ছুটি গ্রাম-শহর নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার দিকে ঠেলে দিয়ে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এই অবস্থায় সমন্বিত কণ্ঠে আওয়াজ তুলতে বাংলাদেশের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘নিরাপদ স্কুলে ফিরি’ শীর্ষক জোট তৈরি করে।
জাতীয় পর্যায়ে ২০১৯-২০২২ সময়ে পরিচালিত এই জোটের করা একটি গবেষণার ফলাফল সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, কোভিডের বাধ্যতামূলক ছুটি শেষে স্কুল খোলার তিন সপ্তাহ পর উপস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবচেয়ে কম উপস্থিতি চতুর্থ শ্রেণিতে (৬৫ শতাংশ) আর সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণিতে (৮৬ শতাংশ)।
মাধ্যমিক পর্যায়ে সবচেয়ে কম উপস্থিতি নবম শ্রেণিতে (৫৭ শতাংশ) এবং সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ষষ্ঠ শ্রেণিতে (৬৯ শতাংশ)।
স্কুলে অনুপস্থিতির পেছনে রয়েছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরা, বাল্যবিয়ে, পরিবার অন্য জায়গায় চলে যাওয়া, অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় চলে যাওয়া, পড়ালেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
গবেষণায় উঠে এসেছে, লকডাউন চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিরক্তি, একাকীত্ব, বিচ্ছিন্নতা, ও মানসিক চাপে ভুগেছে। স্কুল খোলার পর এ সব সমস্যা কমে আসে। কিন্তু কিছু নতুন সমস্যা দেখা দেয় যেমন, শেখায় অসুবিধা, পড়া বুঝতে সমস্যা, অন্যদের সাথে মেলামেশায় অসুবিধা, ইত্যাদি।
এই গবেষণায় ভবিষ্যতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশভিত্তিক শিক্ষার জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি ‘ইমার্জেন্সি রিসার্চ ফ্রেমওয়ার্ক’ গড়ে তুলতে সুপারিশ করা হয়।
জোটে থাকা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্র্যাক, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ, গণসাক্ষরতা অভিযান, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এডুকো বাংলাদেশ, এফআইভিডিবি, ফ্রেন্ডশিপ, হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি বাংলাদেশ, হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন, জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, এলসি ইউকে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, রুম টু রিড, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ, সাইট সেভার্স বাংলাদেশ, স্ট্রমী ফাউন্ডেশন, টিচ ফর বাংলাদেশ, ভিএসও, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ইপসা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। তিনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ধারা ১২ (১) অনুসারে অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে জগন্নাথ বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ করা হলো। কোষাধ্যক্ষ পদে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর হবে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৫ এর ধারা ১২ এর উপধারা ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ অনুযায়ী কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।
অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.কম (অনার্স) এবং এম. কম মার্কেটিং-এ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জাপানের ইয়োকোহামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ভোক্তা আচরণে মার্কেটিং-এ এমবিএ এবং পিএইচডি করেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে যোগদানের আগে তিনি সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ডিন ও চেয়ারপার্সন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের বোর্ড সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর একজন সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ তার মেয়াদ শেষ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। আবেদনের শেষ সময় ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এ ছাড়া গতবারের চেয়ে ৫০ টাকা বাড়িয়ে এবার আবেদন ফি করা হয়েছে ১০৫০ টাকা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ইউনিটে ভর্তির তারিখও চূড়ান্ত করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক এ.এস.এম মাকসুদ কামাল সভার সভাপতিত্ব করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৪টি ইউনিটের মাধ্যমে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট; বিজ্ঞান ইউনিট; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিট।
সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ শুরু হবে। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১ মার্চ এবং চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ মার্চ।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
সকল ইউনিটের পরীক্ষা সকাল এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা ইউনিট ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রসমূহ হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক এবং ৬০ নম্বরের অংকন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নম্বর।
ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২১ সন পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৩ সনের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য এ যোগ্যতা ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং চারুকলা ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি) এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনের (নিউজিল্যান্ড) যৌথ উদ্যোগে আগামীকাল (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় সিইউবির অডিটোরিয়ামে ‘টেকসই কর্পোরেট ও জবাবদিহিতা অনুশীলন’ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিনারটিতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি এবং সরকারি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করবেন। সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর বোর্ড অব ট্রাস্টি-এর চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। সভাপতিত্ব করবেন সিইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর) অধ্যাপক ড. গিয়াস ইউ আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, ড. এটিএম তারিকুজ্জামান (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ), ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (অতিরিক্ত সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়), ড. আইনুল ইসলাম (সিনিয়র লেকচারার, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড) এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন (পিএইচডি, প্রধান পরামর্শক, বোর্ড অব ট্রাস্টি, সিইউবি)।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন, প্রফেসর এম. নাসির উদ্দিন (পিএইচডি, অধ্যাপক/গবেষণা পরিচালক, এনআইসিইউ ফেলোশিপ, টেক্সাস এএন্ডএম ইউনিভার্সিটি)। মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. ইয়িনকা মোসেস (সিনিয়র লেকচারার, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড)।
সেমিনারটিতে কর্পোরেট টেকসই এবং জবাবদিহিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা ক্যাপিটাল মার্কেট, কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশগত দায়বদ্ধতা সম্পর্কিত বিষয়ে মূল্যবান তথ্য ও উপদেশ গ্রহণ করতে পারবেন। এ সেমিনারে সিইউবির সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম নারী উপাচার্য। প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এঁর অনুমোদনক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ করা হয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসরগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে উক্ত মেয়াদের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করবেন।
আরও বলা হয়েছে, ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ অথবা অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
সাদেকা হালিম কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন। পরে কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। তথ্য কমিশনের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার ছিলেন তিনি।
পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য ও সিনেট সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি-২০০৯ এর কমিটিতে সদস্য ছিলেন। তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নারী ডিন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির বহিঃসদস্য হিসেবে রয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের ১১ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা গত দুই বছরের তুলনায় কম। ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছেন মেয়েরা।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে অংশগ্রহণ করেছে এক লাখ ১০ হাজার ৬৫৫ জন। সকল বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৭০ জন। যা মোট ফলাফলের ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন। যা মোট ফলাফলের ছয় দশমিক ৭৮ শতাংশ।
২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৫ হাজার ২৪ জন। এ ছাড়া ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ ছিল ১৪ হাজার ১৬২ জন।
এ বছর ৪৬ হাজার ৯৮৫ জন ছেলে ও ৬৩ হাজার ৬৭০ জন মেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭৭ জন ছেলে ও ৪৯ হাজার ১৯৩ জন মেয়ে পাস করেছে। এবং জিপি-৫ পেয়েছে দুই হাজার ১৩২ জন ছেলে ও তিন হাজার ৫২৩ জন মেয়ে শিক্ষার্থী।
২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে আজ। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফল হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এদিন দুপুর আড়াইটায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রার্থীরা অনলাইনে বা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।
এসএমএসের মাধ্যমে সাধারণ বোর্ডের অধীনে ফলাফল পেতে প্রথমে এইচএসসি, পরে প্রার্থীদের বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর, তারপরে প্রার্থীর রোল নম্বর এবং বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
উদাহরণ স্বরূপ, একজন প্রার্থী যিনি ঢাকা বোর্ডের অধীনে ‘১০,০০,০০০’ রোল নম্বর সহ এই বছরের পরীক্ষায় বসেছিলেন তাকে পাঠাতে হবে: এইচএসসি (স্পেস) ডিএইচএ (স্পেস) ১০,০০,০০০ (স্পেস) ২০২৩ এবং এসএমএস পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
একইভাবে, আলিম ফলাফল পেতে, শিক্ষার্থীদের এএলআইএম [স্পেস] এমএডি [স্পেস] রোল নম্বর [স্পেস] ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ফলাফলের জন্য, শিক্ষার্থীদের এইচএসসি [স্পেস] টিইসি [স্পেস] রোল নম্বর [স্পেস] ২০২৩ টাইপ করতে হবে এবং ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
বিকল্পভাবে, প্রার্থীরা তাদের ফলাফল
http://www.educationboardresults.gov.bd. থেকেও পেতে পারেন।
শিক্ষার্থীরা রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে পৃথক ফলাফল শীট ডাউনলোড করতে পারেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের ফলাফল https://dhakaeducationboard.gov.bd/ থেকে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে ডাউনলোড করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ফলাফল পৌঁছে দেন।
ডা. দীপু মনি রোববার দুপুর আড়াইটায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত ঘোষণা করবেন।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন ছেলে এবং ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন মেয়ে।
যেভাবে ফলাফল দেখা যাবে
প্রার্থীরা অনলাইনে বা ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।
এসএমএসের মাধ্যমে সাধারণ বোর্ডের অধীনে ফলাফল পেতে প্রথমে এইচএসসি, পরে প্রার্থীদের বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর, তারপরে প্রার্থীর রোল নম্বর এবং বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
উদাহরণ স্বরূপ, একজন প্রার্থী যিনি ঢাকা বোর্ডের অধীনে ‘১০,০০,০০০’ রোল নম্বর সহ এই বছরের পরীক্ষায় বসেছিলেন তাকে পাঠাতে হবে: এইচএসসি (স্পেস) ডিএইচএ (স্পেস) ১০,০০,০০০ (স্পেস) ২০২৩ এবং এসএমএস পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
একইভাবে, আলিম ফলাফল পেতে, শিক্ষার্থীদের এএলআইএম [স্পেস] এমএডি [স্পেস] রোল নম্বর [স্পেস] ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ফলাফলের জন্য, শিক্ষার্থীদের এইচএসসি [স্পেস] টিইসি [স্পেস] রোল নম্বর [স্পেস] ২০২৩ টাইপ করতে হবে এবং ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
বিকল্পভাবে, প্রার্থীরা তাদের ফলাফল
http://www.educationboardresults.gov.bd. থেকেও পেতে পারেন।
শিক্ষার্থীরা রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে পৃথক ফলাফল শীট ডাউনলোড করতে পারেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের ফলাফল https://dhakaeducationboard.gov.bd/ থেকে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে ডাউনলোড করতে পারবে।
আজ রোববার প্রকাশ হবে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেছেন, সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা।
জানা গেছে, এরপর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বেলা ২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করবেন। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে পরে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে এইচএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখতে হবে। এরপর ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
অন্যদিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমে www.educationboardresults.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সেন্ড করলেই শিক্ষার্থীরা তার রেজাল্ট শিট দেখতে পাবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী। বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া তিন বোর্ডের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর ২৭ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নপত্র ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইসিটি বিষয় ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে।
কেউ দেখছে জীবন্ত প্রজাপতি, কেউ শরীরে আঁকছে প্রজাপতির ট্যাটু, কেউ দেখছে প্রজাপতির রঙিন ছবি কেউবা রং-তুলিতে আঁকছে প্রজাপতি। এভাবেই শিশুদের কোলাহলে প্রাণবন্ত ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজাপতি মেলা।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আয়োজনে জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সামনে শুরু হওয়া এ মেলা চলে বিকেল পর্যন্ত।
মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. নূরুল আলম। তিনি বলেন, ‘প্রজাপতি মেলা সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রজাপতি মেলায় প্রজাপতির আদলে যেসব প্রদর্শনী হচ্ছে, তা শিশুদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। শিশুদের খুবই উৎফুল্ল দেখাচ্ছে। তাদের হাস্যোজ্জ্বল অংশগ্রহণই বলে দিচ্ছে প্রজাপতি মেলার সার্থকতা।’
এ সময় তিনি দর্শনার্থী, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীসহ সবাইকে প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাবার সঙ্গে ঢাকার কল্যাণপুর থেকে মেলা দেখতে আসা নার্সারি পড়ুয়া শিশু আইমান বিনয় বলেন, ‘বাবার সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এসেছি। অনেক রঙের প্রজাপতি দেখেছি, চিত্র এঁকেছি। মেলায় এসে আমার ভাল্লাগছে।’
মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রজাপতি হলো একটি ছোট্ট নান্দনিক প্রাণী, যা মানুষকে আনন্দ দেয়। দিনে দিনে এই প্রাণীটি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১০ প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া যেত। এখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ প্রজাতিতে। গাছপালা বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রজাপতি রক্ষা করতে হবে। কেননা প্রজাপতির পরাগায়নেই উদ্ভিদ ও গাছের সৃষ্টি। তাই মানুষের মাঝে প্রজাপতির গুরুত্ব বুঝানো এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এই মেলার আয়োজন।’
এ বছর বন্যপ্রাণী ও প্রজাপতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে ‘বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহির রায়হানকে ‘বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট-২০২৩’ পুরস্কার দেয়া হয় এবং প্রিন্ট, অনলাইন ও ব্রডকাস্ট এই তিন ক্যাটাগরিতে তিন সাংবাদিককে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
মেলায় ছিল জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শনী, প্রজাপতির হাট দর্শন, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতিবিষয়ক ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আদলে তৈরি ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা, বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতিবিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রজাপতি সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
টানা এক সপ্তাহ পিএসসি ও পরীক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের পর অবশেষে স্থগিত করা হলো ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা।
এর আগে হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তা শঙ্কা মাথায় নিয়ে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিতে চান নাই প্রার্থীরা। অন্যদিকে পরীক্ষা নিতে অনড় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সময়সূচি ও আসনবিন্যাসও প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি।
সবকিছুর পর আজ শুক্রবার বিকেলের দিকে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরীক্ষা স্থগিত করায় খুশি পরীক্ষার্থীরাও।
এতে বলা হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএসের সকল লিখিত পরীক্ষা (আবশ্যিক ও পদ-সংশ্লিষ্ট) অনিবার্য কারণবশত কমিশন স্থগিত করেছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময়সূচি যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
৪৫তম বি.সি.এস পরীক্ষা-২০২২ এর লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতজানানো হয়েছে,পরীক্ষার সময়সুচী, হলভিত্তিক আসন ব্যবস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে [www.bpsc.gov.bd] অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে [http://bpsc.teletalk.com.bd] পাওয়া যাবে।
এর আগে গত ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ১২ হাজার ৭৮৯ জন উত্তীর্ণ হন।
তার আগে ১৯ মে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ লাখ ৪৬ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে এতে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি (বার), ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও সেনা সদরের সব পিএসও, বিভিন্ন পরিদপ্তরের পরিচালক, সামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইল ফলক। এর ফলে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হলো। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা লাভ করবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর এবং সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তর-এর যৌথ উদ্যোগে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে পরিচালক, শিক্ষা পরিদপ্তর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউল ইসলাম, পিএসসি, পিএইচডি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহসান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর এবং সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদপ্তর-এর যৌথ উদ্যোগে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে পরিচালক, শিক্ষা পরিদপ্তর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউল ইসলাম, পিএসসি, পিএইচডি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহসান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। পাশাপাশি তাদের কেন ‘স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’ মর্মে সাত কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় ওই ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সাময়িকভাবে বহিষ্কৃতরা হলে তবারক মিয়া, মুরসালিন ফাইয়াজ, ফয়সাল আহমেদ সাকিব এবং জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং কথিত প্রলয় গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। এর আগে ৯ নভেম্বর শাহবাগ থানায় করা এক মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসালট্যান্ট ডা. রেহেনা আক্তার অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে বহিষ্কৃতরাসহ আরও আট দশজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই ঘণ্টা যাবত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন।
মামলার বিবরণীতে ডা. রেহেনা উল্লেখ করেন, ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশে বসে মীর আলভী আরসলান বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় তবারক, মুরসালিন, সাকিব, জুবায়ের ও জোবায়ের ইবনে হুমায়ূন সহ বেশ কয়েকজনের একটি দল তাদের হেনস্তা করে ও ভয়ভীতি দেখায়। আলভী প্রতিবাদ করলে তাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্জন স্থানে নিয়ে নির্যাতন করে। রড, লাঠি ও কাঠ দিয়ে তাকে পেটানো হয়।
বিবরণী থেকে আরও জানা যায়, তবারক আলভীর পকেটে থাকা ২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে সরে যান। মুরসালিন আলভীর কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্মার্টফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। সবশেষে আলভীর ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে অভিযুক্তরা। গুরুতর অবস্থায় আলভীকে ধানমণ্ডির পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে প্রধান আসামি তবারক মিয়াকে পুলিশ রোববার দুপুরে গ্রেপ্তার করে সোমবার কোর্টে পাঠিয়েছেন।
এছাড়া, কথিত এই ‘প্রলয় গ্যাং’ নামের গ্রুপটির সদস্যদের চিহ্নিত করতে গত মার্চ মাসে একটি আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
সভায়, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে আরও ৪৯জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়।