বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ, সম্পাদক শামীম

বাঁ থেকে জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ ও সম্পাদক শামীম। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৪:৪৫
প্রতিনিধি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত
প্রতিনিধি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:২৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সার।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনিরুদ্ধ কাহালি এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১টি পদে জয়লাভ করেছে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ এবং অন্য চারটি পদে জয়লাভ করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে সম্পাদক পদে তিনটি পদে জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন।

সদস্য পদে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক প্যানেল থেকে ৯টি পদে জয়লাভ করেছেন। তারা হলেন অধ্যাপক আহমেদ রেজা, অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার, অধ্যাপক ফারহা মতিন জুলিয়ানা, অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিক-উর রহমান, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক সুবর্ণা কর্মকার, অধ্যাপক সাব্বির আলম, সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম ও মাহফুজা খাতুন।

এ ছাড়া সদস্য পদে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল রাকিব জয়লাভ করেছেন।

এর আগে সকাল ৯টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন শুরু হয়ে দুপুর দেড়টায় শেষ হয়। এ নির্বাচনে মোট ৬০১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ৫৭৫ জন ভোটার।


ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৭:০৮
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সকল ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

ফল ঘোষণার শুরুতে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ফলাফল প্রকাশের পর তা ওয়েবসাইটে দেখা যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ। এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা প্রথম হয়েছেন গভর্নমেন্ট এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মন্ডল। তাঁর স্কোর ১০৫ দশমিক ৭৫।

২৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ১ হাজার ৫০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেন ৯ হাজার ৭২৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ১৩.৩৩ শতাংশ। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে অথৈ ধর। তিনি চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত স্কোর ১০৫ দশমিক ৫০।

বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ১ মার্চ। ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের ৮.৮৯ শতাংশ। বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তাঁর স্কোর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ৯ মার্চ। ১৩০ আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ৪ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থী। আর পাস করেছেন ৫৩০ জন। পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ জন শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে বাঁধন তালুকদার। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬।

যেভাবে ফলাফল জানা যাবে

ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর এর মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবে।

তাছাড়া যেকোন মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS , বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI , ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য DU BUS , চারুকলা ইউনিটের জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ তার ফলাফল জানতে পারবে।

উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখসমূহ

উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আগামী ৩ এপ্রিল বিকেল তিনটা হতে ২৫ এপ্রিল রাত এগারোটা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করবে।

বিষয় পছন্দক্রম অনলাইনে দেয়ার সুবিধার্থে আগামী ১ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা তার ভর্তিযোগ্য বিষয়ের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে নামাতে পারবে। তালিকাটি প্রিন্ট করে তাতে পছন্দক্রম আগে লিখে রাখলে পছন্দক্রম অনলাইনে প্রদানে ভুল এড়ানো যাবে।

উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ২১ এপ্রিল হতে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কোটার ফরম সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিস হতে সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে তা পূরণ করে ডাউনলোডকৃত বিষয় পছন্দক্রমের কপিসহ উক্ত সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ডিনের অফিসে জমা দিতে হবে।

ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিসে এক হাজার টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে আবেদন করা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবছর ট্রান্সজেন্ডার কোটায় কোন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি। আর প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সকল শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই বছর থেকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে বৃত্তি প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষের পথে আছে।

আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক্সটেনশন ভবনটি আগামী জুনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ টিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে বুঝে পাবে। সেখানে এক হাজার শিক্ষার্থীর আসন সংকুলান করা হবে। এতে কিছুটা কমবে আসন সম


কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের (সিপিআই) ‘এক্স-স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’র আয়েজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার তেজগাঁওয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তর (পিডব্লিউডি) অফিস অডিটোরিয়াম অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক নাজিমুজ্জামান হাবলুর সভাপতিত্বে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন চিপ ইন্সট্রাক্টর ফজলুর রহমান ভুইয়া, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাবেদ হোসেন ভুইয়া। আলোচনা করেন প্যারাডাইজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল-আমিন ভূইয়া, কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি গোলাম মোস্তফা, শান্তি নিবাস প্রোপ্রাটিজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা ও পরিচালক কুমিল্লা পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের সাবেক জি.এস মো. আবুল কাশেম, সিপিআই ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান কবির প্রিন্স, ইঞ্জিনিয়ার সাদেকুল আমিন, এমরান হোসেন।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ি কামরুজ্জামান কনক, মো. মাসুদ রানা, নেছার পাটোয়ারি, মো. মিঠু, মো. শিহাব, কামরুল, প্রান্ত, তুষার সহ অন্যান্য অতিথিরা।

আলোচনা শেষে মোনাজাত করেন গণপূর্ত অধিদফতর তেজগাঁও মসজিদের ইমাম। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে কুমিল্লা পলিটেকনিকের সকল প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্র/ছাত্রী এবং শিক্ষকদের মঙ্গল কামনায় আল্লহর নিকট দোয়া করা হয়।


ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামীকাল

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল আগামীকাল (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুম থেকে ফল প্রকাশ করবেন।

তথ্য সরবরাহ করে আবেদনকারীরা admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে তাদের ফলাফল দেখতে পারবেন। পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও জানতে পারবেন।

ঢাবি জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ও ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৯ মার্চ চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষা (অঙ্কন ও এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হয়।


‘বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব পৃথিবীর নির্যাতিত মানুষের সম্পদ’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব কালোত্তীর্ণ ও কালজয়ী এবং তিনি পৃথিবীর সব নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততার সঙ্গে বলিষ্ঠ আন্দোলন, সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মহত্ব অর্জন করেছেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি, শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। সভা পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ছিল জনগণের প্রতি তার অপরিসীম ভালোবাসা ও গভীর আস্থা। তেমনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি জনগণেরও ছিল অকৃত্রিম আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। শৈশব ও কৈশোর থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত ও বিকশিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একটি নতুন ইতিহাস, আর এই ইতিহাসই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মগতভাবেই মহান ছিলেন। মানুষের মঙ্গল ও মুক্তির জন্য তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা তিনি বলতেন ও করতেন। এজন্য তিনি কখনও পরাজিত হননি, সাহস নিয়ে সব প্রতিকূলতা ও অপশক্তি মোকাবিলা করে সবসময় এগিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ওপর গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তার নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বস্তরের জনতা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো ও আত্মহুতি দিয়েছিল।

স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনঃর্গঠনে ও দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি যে দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ ও দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনিমার্ণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।


‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাতিল হতে পারে শনিবারের ছুটি’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৬ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা থাকতে পারে। রমজানে স্কুল বন্ধ রেখে সেই ছুটি সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ আলোচনা সভা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে নানা ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এ বছর বিষয়টা এভাবে এসেছে, আগামীতে আমরা চেষ্টা করবো কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে।’

তিনি বলেন, ‘বছরে ৫৩ সপ্তাহে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে যদি কিছুটা বিদ্যালয় খোলা রাখি, তাহলে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের সেই অপপ্রয়াসকে বন্ধ করতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করব। যাতে এটা নিয়ে আবারও আদালতে গিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে বিভ্রান্তি করে রায় নিয়ে এসে অপচেষ্টা করতে না পারে, রাস্তায় এসে মানববন্ধন করতে না পারে। আমরা সংবেদনশীলতার জায়গায় শ্রদ্ধাশীল। আমরা আলেম-ওলামার সঙ্গেও আলোচনা করব। তাদেরও একটা অবস্থান আছে এটা নিয়ে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছে। এসব মানুষের মধ্যে একধরনের মানুষ রয়েছে যারা অবিশ্বাস, সহিংসতামূলক মনোভাব এবং শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে, পাঠ্যবইকেও অসিলা বানিয়ে তারা এসব অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। আমরা অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। তারা আমাদের অনেক উপদেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াসই করতে না পারে। আমরা সব বিষয় আরও কেয়ারফুলি দেখব।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, ‘সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন ধরনের ইঙ্গিত পেলেও সেটা নিরসন করা হবে। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থাকে একধরনের গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান আছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। ওই সময় আরও বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানে ১০ দিন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।


১৬ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়ে তা শেষ হবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। সম্প্রতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী ও নির্বাচনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এইচএসসির ফরম পূরণ করতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য মডেল টেস্ট নিতে পারবে, তবে তা পরীক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয় এবং এর জন্য অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না।

কোন পরীক্ষার্থী তার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোনো কারণ বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ না নিলে অথবা নির্বাচনি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের লিখিত আবেদন ও পরীক্ষার্থীর প্রাক নির্বাচনি পরীক্ষার সন্তোষজনক ফলের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারবে।

আগামী ৪ এপ্রিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের তথ্যসহ সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকা থেকেই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এইচএসসির ফরমপূরণ করতে পারবেন। সোনালী সেবার মাধ্যমে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ফরম পূরণের ফি দেয়া যাবে।

বিলম্ব ফিসহ ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে। সেক্ষেত্রে ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ মে পর্যন্ত।

২০১৯-২০ সেশনের পূর্বের রেজিস্ট্রেশনধারী কোনো পরীক্ষার্থী চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তবে ২০১৮-১৯ সেশনের এক বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করে এক বিষয়ের (চতুর্থ বিষয় বাদে) পরীক্ষা দিতে পারবে।

অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালের আলিম পরীক্ষার ফরম পূরণও শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে। আর পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ জুন।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৪ এপ্রিল অনলাইনে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংবলিত সম্ভাব্য তালিকা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এই সম্ভাব্য তালিকা থেকে ১৬ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় ফরম পূরণ শেষ করতে হবে। জানা যায়, আলিম পরীক্ষার বিজ্ঞান বিভাগে অতিরিক্ত বিষয়সহ মোট ৩ হাজার ১২০ টাকা, সাধারণ বিভাগ এবং মুজাব্বিদ মাহির বিভাগে ২ হাজার ৩৪০ টাকা বোর্ড ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ফি জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখ ২৮ এপ্রিল। ফি-এর টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এছাড়াও জানানো হয়, সব মাদ্রাসা প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আলিম পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণের বিভিন্ন কার্যক্রম নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে সম্পন্ন করতে হবে।


ক্লাব অফ চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ঢাকা'র নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ক্লাব অফ চট্টগ্রাম সিটি কলেজ, ঢাকা আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং বার্ষিক সাধারণ সভা গত ২৩মার্চ রাজধানীর গলফ ক্লাব পাম ভিউ রেস্টুরেন্টে সংগঠনের আহ্বায়ক ফরহাদ উদ্দিন আহাম্মদ শিমুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের সাবেক শিক্ষক এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সদস্য প্রফেসর মো: মশিউজ্জামান এবং তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফেরদৌস আরা বেগম ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সাবেক ভিপি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, ব্যবসায়ী মাজেদা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম সোহেল, আহসান কামাল চৌধুরী সোহাগ, আজিমুল হাই, মো: শাহ ইলিয়াস শেকুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুক্তি মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদ কামাল উদ্দিন, প্রয়াত সদস্য রহমত উল্লাহ মিশুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে ক্লাব অব চট্টগ্রাম সিটি কলেজ,ঢাকা এর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৪ ইং গঠন করা হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন :

সভাপতি: ফরহাদ উদ্দিন আহাম্মদ শিমুল, সহ-সভাপতি: মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি: তৌফিক আনোয়ার শান্তনু, সাধারণ সম্পাদক: আহসান কামাল চৌধুরী সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: আজিমুল হাই, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: মোঃ শাহ ইলিয়াস শেকুল, কোষাধ্যক্ষ: সদরুল আলম শিপু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: ফারজানা খাঁন (সনি), দপ্তর সম্পাদক: আব্দুল্লাহ ফয়সাল মিনার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক : কাজী কামাল হোসেন অভি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: মুক্তি মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক: জোবায়ের বিন খায়ের তানিম।

কার্যনির্বাহী সদস্যঃ আবু মনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, রেজাউল করিম সোহেল, মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ নওশাদ।

নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা। ইফতার আয়োজন এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।


মারা গেছেন ঢাবি অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান মারা গেছেন।

আজ শনিবার ভোর চারটা পনেরো মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসাপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে তিনি নিজ বাসায় অসুস্থতাবোধ করলে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসান এ শাফী তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যান। শনিবার জোহর নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অধ্যাপক জিয়ার নামাজে জানাজা হবে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক শাফী গণমাধ্যমকে বলেন, জিয়া রহমান রাত সাড়ে তিনটায় আমাকে ফোন করে বলেন যে, উনার খুব খারাপ লাগছে, আমি যেন উনার বাসায় যাই। দ্রুত সেখানে যাই। তিনি নিজেই লিফটে করে নিচে নামেন এবং লিফটের দরজা খোলার পরপরই তিনি আমার গায়ের ওপর পড়ে যান। প্রথমে তাঁকে মেঝেতে শুইয়ে দিই, পরে দারোয়ানের সহায়তায় গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাই। গাড়িতে থাকা অবস্থায় তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস ছিল। সম্ভবত লিফটেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি।

জিয়া রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক জিয়া রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায়। ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব ক্রিমিনোলজির বোর্ড ডিরেক্টরও ছিলেন অধ্যাপক জিয়া রহমান। প্রায় তিন দশকের শিক্ষকতা জীবনে তিনি শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।


৫০-এর কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০-এর কম হলে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখব। যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, রাঙামাটির বিলাইছড়ির একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছর ধরেই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা একীভূত করব না। কারণ ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূর থেকে আসে। সুতরাং এসব ভেবে আমরা বিবেচনায় নেব। আমরা একেবারে ঢালাওভাবে সিদ্ধান্ত নেব না।

তিনি বলেন, যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫ থেকে ৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা একীভূত করে দেব, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।

ফরিদ আহাম্মদ আরও জানান নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাপসের মাধ্যমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। থাকছে না প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে একটি অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে দ্রুত মূল্যায়ন করতে পারে এ জন্য এনসিটিবি অ্যাপস করেছে।

সচিব বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছি। সে কারণে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হলো একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করা। এটি হলো মূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যায়ন।

তিনি বলেন, মূল কথা হলো প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক- এসব আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি গতানুগতিক হবে না। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী থাকবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।

উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। নতুন করে এই শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। এরই আলোকে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাস্তবায়ন হবে নতুন শিক্ষাক্রম।


৪১তম বিসিএস: নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ২৪৫৩ জন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

৪১তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৪৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। নির্ধারিত শর্ত মেনে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের আগামী ২৮ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসে ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি। অর্থাৎ ৬৭ জন বাদ পড়েছেন। নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আছেন ৩২১ জন। তারা সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ১৫৩ জন, পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন ১০০ জন। বাকিরা অন্যান্য ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন।

৪১তম বিসিএসে আবেদন করেন চার লাখের বেশি প্রার্থী। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। পরীক্ষায় ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ হন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ নভেম্বর ৪১তম লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে ১৩ হাজার জন উত্তীর্ণ হন। গত ২৬ জুন শেষ হয় ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা।

বিষয়:

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে না সাময়িক পরীক্ষা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এখন থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করত। যেহেতু এ বছর প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে, তাই সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা ছিল তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত আগের মতো প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক বা বার্ষিক পরীক্ষা হবে কি না।

এ বিষয়ে সচিব বলেন, পরীক্ষা নেয় বিষয়টি তেমন নয়। মূল্যায়ন পদ্ধতিটা ভিন্ন। এটা হলো ধারাবাহিক মূল্যায়ন। ধারাবাহিক মূল্যায়ন মানে একটা শিক্ষার্থীর সামগ্রিক আচরণ অবজার্ভ করে, এটি মূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যায়ন। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা, বইয়ের বোঝা থেকে আমরা তাদের মুক্ত করেছি।

তিনি বলেন, মূল কথা হলো তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি ভিন্ন হবে, যেহেতু ধারাবাহিক মূল্যায়ন। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।

সচিব বলেন, এ মূল্যায়ন একটা অ্যাপসের মাধ্যমে করা হবে। অ্যাপসটি এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। এটা আমরা সহসায় পেয়ে যাব। মূল কথা হলো তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক এটি আর থাকবে না। শিক্ষকরা যাতে দ্রুত মূল্যায়ন করতে পারে এ জন্য এনসিটিবি অ্যাপস করছে।

গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম।


পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি প্রতিরোধে এল ‘সুরক্ষা’

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইসের জালিয়াতি প্রতিরোধে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় ‘সুরক্ষা’ নামে একটি বিশেষ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৯ মার্চের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫টি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি বলেন, কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় জালিয়াতির উদ্দেশ্যে কানের ভেতরে ডিজিটাল ডিভাইস রাখলে এই যন্ত্র তার সন্ধান দেবে। তবে এ বিষয়ে এখনই শতভাগ সফলতা আসেনি। প্রাথমিক সফলতা এসেছে। এবার পাঁচটি জেলায় নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। সফল হলে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর ডিজিটাল জালিয়াতি রোধে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করবে বলে আশা করেন তিনি।

বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইটিসি) এই যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে। এ সময় ওই যন্ত্রের কারিগরি দিক তুলে ধরেন এই যন্ত্রের উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত বুয়েটের অধ্যাপক এস এম লুৎফুল কবির।

পরীক্ষার হলে বসে কেউ কেউ কানে দেওয়া ছোট একটি ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে বলে অভিযোগ আছে। কখনো কখনো তা ধরাও পড়ে। নতুন এই যন্ত্র সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছাকাছি নিলে সংকেত (সিগন্যাল) দেবে। যার মাধ্যমে দোষী পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা যাবে।


জবি শিক্ষক ইমন বহিষ্কার, চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

বাঁ দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন ও ডান দিকে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২১ মার্চ, ২০২৪ ১৯:৩১
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজি ফারজানা মীমকে যৌন নিপীড়নের দায়ে বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করায় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

বহিষ্কার ও অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত অপর শিক্ষক অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ফিল্স এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম।

১৮ মার্চ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে অভিযোগ দেন মীম। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ১৯ মার্চ একই অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন তিনি।

জবাবে আবু শাহেদ ইমন গণমাধ্যমকে জানান তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক। মীমের পরীক্ষায় কম নাম্বার পাওয়ার ব্যাপারে চেয়ারম্যান সরাসরি জানিয়ে দেন তিনি (মীম) ক্লাসে অনেক কম উপস্থিত ছিলেন ও অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেননি।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়কদের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে আরও বেশি সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা। একটি অভিযোগ বক্স থাকলেও তাতে অভিযোগ জমা দিয়ে কোনো ফল পেতেন না ভুক্তভোগীরা। অবন্তিকা ও মীমের ঘটনার পর থেকে এ বিষয়ে সব বিভাগের ‍শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে বেশী সচেতন হয়েছেন। পাশাপাশি আর কোন শিক্ষার্থীদের যেন অবন্তিকার মতো আত্মহত্যা করতে না হয় সে বিষয়ে আরও সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।


banner close