শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

প্রথম সমাবর্তন, উদ্বেলিত শিক্ষার্থীরা

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় সমাবর্তন প্রস্তুতি। আজ এই মিলনায়তনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছ থেকে সনদ নেবেন গ্র্যাজুয়েটরা। ছবি: দৈনিক বাংলা
ফাহমিদা তাপসী
প্রকাশিত
ফাহমিদা তাপসী
প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:৫০

বিদ্যা অর্জনের সীমা-পরিসীমা টানা কঠিন। পুরো জীবনটাই তো শিক্ষা সফর। তবুও একটা নির্দিষ্ট শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে আসে শিক্ষা সমাপ্তির সনদ। প্রতীক্ষিত সে দিনটিই সমাবর্তনের দিন। বহুল আকাঙ্ক্ষিত সে সনদ গ্রহণ করতে আসার দিনটি উৎসবের মতো বটে। জীবনের অনেক বড় চাওয়া পূরণের দিন, অর্জনের ঝুলিতে প্রাপ্তি জমা রাখার দিনও।

কনভোকেশন বা সমাবর্তনের মতো চমৎকার দিনটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য যেমন বিশেষ, তেমনি বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও। সেই সঙ্গে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সমাবর্তন যে আরও বিশেষত্ব বহন করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রথম সমাবর্তন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ ৩১ জানুয়ারি ২০২৩। চমকপ্রদ খবর হচ্ছে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে এ আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও ভারতের শিশু অধিকারকর্মী কৈলাস সত্যার্থী। এ ছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

প্রথম সমাবর্তন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই আনন্দে উদ্বেলিত। সমাবর্তন মানে বিশেষ পোশাক পরে টুপি ওড়ানোর দৃশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের সমাপ্তি টেনে সনদ গ্রহণের দিন।

রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আজ ডিগ্রি নেয়ার অপেক্ষায় আছেন সিইউবির ডিগ্রিধারীরা। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত জানান, ‘সমাবর্তনের দিনটি আমাদের জন্য এক বিশেষ মাইলফলক। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে সমাবর্তনের মাধ্যমে তাদের শিক্ষাজীবনের বিশেষ দিনটির মাধ্যমে সনদ তুলে দিতে পারছি। আমাদের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও একজন নোবেল বিজয়ীকে কাছে পাবেন। এ জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইসহ সিইউবি-সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হক জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের পূর্ণতা দেয় সমাবর্তন। সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন। প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে তাদের সার্টিফিকেট নেবেন। এ এক বিশাল অর্জন।

সমাবর্তন বক্তা নোবেল বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী

কৈলাস সত্যার্থী, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী। তবে তার পরিচয় এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ না। বাংলাদেশের পরম বন্ধু তিনি। শিশুদের জন্য কাজ করেন, তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তার বিশ্বাস, তরুণরাই পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে। অধিকার রক্ষায়ও এগিয়ে থাকবে তরুণসমাজ।

মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় শিশু অধিকারকর্মী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তার সংগঠন ‘বাচপান বাঁচাও’ আন্দোলন ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও অধিক শিশুকে ক্রীতদাসত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মুক্ত করেছে এবং তাদের পুনর্মিলন, পুনর্বাসন ও শিক্ষায় সহযোগিতা করেছে। ফলশ্রুতিতে তাকে ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

২০১৬ সাল থেকে কৈলাস সত্যার্থীর উদ্যোগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গৃহীত হয়েছে ‘১০০ মিলিয়ন ফর ১০০ মিলিয়ন’ ক্যাম্পেইন। সুবিধাবঞ্চিত ১০ কোটি শিশু-কিশোর-যুবকের জীবনমান উন্নয়নে বিশ্বের যুবসম্প্রদায়ের ১০ কোটিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে এই প্রচারণায়। বাংলাদেশ থেকে এই প্রচারণার অংশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে গণসাক্ষরতা অভিযান।

নোবেলজয়ী এই ব্যক্তিত্ব কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তরুণরা যেকোনো জাতি বিনির্মাণে একেকটা ব্লক বা ইটের মতো। যদি আমরা তরুণদের পেছনে যথেষ্ট বিনিযোগ না করি তাহলে আমরা টেকসই সমাজ গড়তে পারব না।’

কৈলাস সত্যার্থী বলেন, ‘এই দেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, যিনি বলিষ্ঠ কণ্ঠে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, যার ভিত্তি গণতন্ত্র ও সমতার নীতির ওপর নির্মিত। বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এ দেশের মানুষের জন্য সব সময় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’

সব গ্রাজুয়েট এবং তাদের শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের যৌথ পরিশ্রম এবং সংকল্প জীবনের এই গর্বিত মুহূর্তটি নিয়ে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, এখানকার প্রত্যেক শিক্ষার্থী নেতা, উদ্ভাবক এবং সমস্যার সমাধানকারী। তারুণ্যের শক্তি সমগ্র বিশ্বের কাছেই সম্পদ। আপনাদের প্রত্যেকেরই সে ক্ষমতা রয়েছে, যা দ্বারা নিজেদের আলাদা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। চলুন আমরা এখন প্রতিজ্ঞা করি; গণতন্ত্র, সমতা এবং অটল ন্যায়বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে বিশ্বদরবারে নিজেদের উপস্থাপন করার।’

শিক্ষানুরাগী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারর‌্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বাংলাদেশের সফল শিল্পোদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও সমাজসেবক। বাংলাদেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। সততা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে ব্যবসায়ী সমাজে তিনি সমাদৃত।

শিক্ষানুরাগী হিসেবে ড. নাফিজ সরাফাত সুপরিচিত। শিক্ষা খাতে তার সফল বিচরণ উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি লাভ করেছে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মূলত তার পরিকল্পিত ‘কানাডিয়ান এডুকেশন হাব’-এর অংশ। সরকার অনুমোদিত এ বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণে দেশের শিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। পূর্বাচলে অবস্থিত কানাডিয়ান এডুকেশন হাবের অংশ হিসেবে আরও কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান।

শিক্ষা খাতকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখেন ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান তার স্বপ্নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার পথ সুগম করেছে।

একনজরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

২০১৬ সালে যাত্রা শুরু হয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় আগামী প্রজন্মকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলাই বিশ্ববিদ্যালয়টির লক্ষ্য। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ, আন্তর্জাতিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ, আধুনিক ভবন, দৃষ্টিনন্দন লেকের পাশে মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ, বিশাল খেলার মাঠসহ পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস নিয়ে চালু হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম। এ ছাড়া বিশ্বমানের গবেষণাগার, আধুনিক স্টুডিও, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, স্টাডি জোন, শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা স্টাডি লাউঞ্জ, অবসর কাটানোর স্থান, জিম, ফুড লাউঞ্জসহ নানাবিধ সুবিধা-সংবলিত বিশ্বমানের স্থাপত্য নকশায় গড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস।

বিশ্বমানের শিক্ষক, পড়াশোনার আধুনিক পদ্ধতি চালু থাকার কারণে এখানে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে সাজানো হয়েছে পাঠ্যক্রম।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য মেধার ভিত্তিতে বিশেষ বৃত্তি ও উপবৃত্তি দেয়ার কার্যক্রমও চালু রেখেছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৪০ শতাংশ শর্তহীন বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন। আর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিবেচিত হন শতভাগ বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে। এ ছাড়া সব বিষয়ে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা উপবৃত্তি এবং টিউশন ফির ক্ষেত্রে শতভাগ ছাড় পেয়ে থাকেন।

পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা, বুদ্ধির চর্চা, খেলাধুলা ইত্যাদিতেও জোর দিয়ে থাকে সিইউবি। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সক্রিয় রয়েছে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক ক্লাব। যার মধ্যে রয়েছে- ডিবেট ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, মুটিং ক্লাব, ফিল্ম ও ড্রামা ক্লাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিভাগের অধীনে বছরব্যাপী নানারকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এ ছাড়া দেশের বাইরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও পুরস্কার জিতে আসার কারণে বিশ্বব্যাপী কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম কুড়িয়েছে।


হয়ে গেল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

আপডেটেড ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৪৪
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা। দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়।

পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী- সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রার্থীরা কেন্দ্রে ঢোকার সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ৯টা থেকেই উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হয় এবং ১০টায় প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।

পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ বিসিএসে আবেদন চলে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন। ৪৬তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজারেরও কিছু বেশি।

পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্যপদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে বিভিন্ন বিষয়ে ৫২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।


বিক্ষুব্ধ সহপাঠীদের আন্দোলনে ক্যাম্পাস বন্ধ

হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২১:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো

বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় গত সোমবার মোটরসাইকেল আরোহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চতুর্থ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা আন্দোলন পালন করার পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রাগে ক্ষোভে আজ দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারী নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা।

একইসঙ্গে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের মূল দরজায় তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ওই ভবনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রদের আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্রদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো।

অন্যদিকে আজ বিকেল পৌনে পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা হল ছাড়বেন না। দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাঁরা আবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।

ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলবে। কিন্তু প্রশাসন আলোচনায় না বসে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করবেন না। এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

দুই শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার পর থেকে চারদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী শিক্ষকের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেছে বলেও জানা যায়।

রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা আশানুরূপভাবে সাড়া দেননি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় বাসের চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত দশটার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর।

পরবর্তীতে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা আন্দোলনের রেশ গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।


কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভর্তি ফির উপর শতভাগ ছাড়ে ভর্তি উৎসব শুরু হয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে। রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে আজ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

আজ ভর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. গিয়াস ইউ আহসান।

প্রতিদিন ভর্তি উৎসবে ভর্তি হওয়া ৫ জন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এছাড়া ভর্তি হওয়া ১ম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন।
পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ থাকছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, সিএসই, ইইই, বিবিএ, ইংলিশ, এলএলবি, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে এমবিএ, ইএমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবং মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিভাগে।

অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরি ও মডার্ন ল্যাবের সুব্যবস্থা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে ক্রমেই জনপ্রিয় করে তুলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে ।

বাংলাদেশে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স এবং মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিষয়ে শিক্ষার সুবিধা রয়েছে, যেটা আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের রয়েছে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাথে চুক্তিতে থাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। এছাড়া উচ্চতর পড়াশুনার জন্য সুযোগ থাকছে কানাডা, ইউকে, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন 01707070280, 01707070284 (হোয়াটসএপ)

অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন: https://cub.edu.bd/apply.php


২৮ তারিখ থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ, মাউশির প্রজ্ঞাপন

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে স্কুল ও কলেজ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও চলবে শ্রেণি কার্যক্রম এবং তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। একইসঙ্গে শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে না করানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব জানানো হয়েছি।

মাউশি অধিদপ্তরের একজন পরিচালক বলেন, আগামী রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। আমরা সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ প্রজ্ঞাপনে চারটি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

* ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
* তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

* শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

* তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

প্রসঙ্গত, পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। তবে ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ঈদের ছুটি শেষে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে আগামী রোববার থেকে যথারীতি স্কুল-কলেজ খোলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি তোলেন অভিভাবকদের একটি অংশ। কেউ কেউ আবার অনলাইনে ক্লাস চালু

রাখারও দাবি তোলেন। যদিও নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিন দিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকার পাশাপাশি মে মাসেও তীব্র গরম অব্যাহত থাকার কথা জানায় আবহাওয়া অফিস। যদিও মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করে সরকারি সংস্থাটি।


জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫৮
জবি প্রতিনিধি

সারা দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার কথা ভেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এসময়ে অনলাইনে নিয়মিত ক্লাস চালু থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারিতি চালু থাকবে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল দুপুরে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপাচার্যের ডাকা জরুরি সভায় প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাপমাত্রা না কমায় নতুন করে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, জানা যাবে শনিবার

আপডেটেড ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি বহাল থাকবে নাকি অন্যকোনো বিকল্প পদ্ধতিতে ক্লাস হবে সে বিষয়ে আগামী শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগেভাগেই কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ তিন দিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসে শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আরও এক সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে। তবে সেটি ভিন্ন কৌশলে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সরাসরি স্কুল কলেজে যেতে হবে না। তারা অনলাইনে ক্লাস করবে। তাপমাত্রা যদি কিছুটা কমে তবে মর্নিং শিফট চালুর চিন্তা রয়েছে। সব কিছুই নির্ভয় করছে আবহাওয়ার বুলেটিং ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ওপর।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরর পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে বিভিন্ন রকমের ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। আমরা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা যায় সে বিষয়ে ভাবছি। সেটা অনলাইন হতে পারে বা মর্নিং শিফটে হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে পরিস্থিতি ওপর।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।


হামলার শিকার ঢাবি শিক্ষার্থীর বাবা, বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন

আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:২৬
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাবা তার নিজ বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে হামলার শিকার হয়েছেন। এই হামলার বিচার দাবি করে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। অবিলম্বে তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নাম লিটন। তিনি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

আজ সোমবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ঢাবি শিক্ষার্থী লিটন জানান, গত ১২ এপ্রিল গভীর রাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন তার পিতা বশির আহমেদ। গত ১০ দিন যাবত তার পিতা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছেন।

লিটন বলেন, আজ যদি আমার বাবার কিছু হয়ে যেতো, তবে হাজার প্রতিবাদের বিনিময়েও কি আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিতে পারতো?

মানববন্ধনে অংশ নেন লিটনের বড় বোন মুর্শেদা আক্তার কাকলি। তিনি বলেন, আমি বা আমার পরিবার কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি যে বাবার জন্য বিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়াব। আমার বাবা ৩০বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে গেছেন। কেউ বলতে পারবে না আমার বাবা কোনো লোককে মেরেছে, কোনো বয়স্ক লোককে অসম্মান করেছে। তাহলে কোন সূত্র ধরে আমার বাবার উপর নির্মম হামলা চালানো হলো!

হামলার সম্ভাব্য কারণ জানিয়ে কাকলি বলেন, আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এইচএম খায়রুল আলম সেলিমের সভায় গিয়েছিলেন আমার বাবা। ওই সভায় অংশগ্রহণের কারণে আমার বাবাকে প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে।

পনেরো থেকে ষোলো বছরের একদল কিশোর তার বাবার উপর হামলা করেছে দাবি করে কাকলি বলেন, এই বয়সের ছেলেদের কারা শেল্টার দিচ্ছে? কারা এদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে? পড়াশোনা করার সোনালী সময়ে কারা এদেরকে অন্ধকারে ধাবিত করছে?

হামলার বিচার দাবি করে কাকলি আরও বলেন, আমরা এই হামলার বিচার না পেলে নিজেদের কখনো ক্ষমা করতে পারবো না। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে আমাদের বাবার উপর হামলার বিচার চাই। একই সঙ্গে কেউ যেনো চাইলে কারও উপর হামলা করতে না পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে সুবর্ণচরের সন্তান ও দৈনিক কালবেলার সংবাদকর্মী ইউসুফ আরেফিন বলেন, আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, একসঙ্গে চলাফেরা করেছি৷ কখনো মারামারি করিনি, হঠাৎ করেই এই শান্ত জনপদে কী হয়েছে! একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদের উপর রাতের আধারে কেনো এই ধরনের হামলা! হামলাকারীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করছে না। আমরা অবিলম্বে এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।

মানবন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আরমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সুবর্ণচরের বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সিনিয়র এডমিনিস্ট্রেটিভ আকরব আলী।


ঢাবির সুইমিংপুলে গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মোহাম্মদ সোয়াদ। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪১
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে গোসল করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিংপুলে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যান তিনি। পরে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সোয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামিল নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, যে পুলে সোয়াদ তলিয়ে যায় সেটির গভীরতা ছিল ৮/১০ ফিট। এটাতে কেউ ডুবে মারা যাবে, এটা স্বাভাবিকভাবে কারোর চিন্তায়ই আসবে না। পানির তলে গিয়ে ওপরের দিকে লাফ দিলেই ওপরে উঠে আসার কথা! আমরা শতাধিক ছাত্র ছিলাম। কিন্তু কেউই খেয়াল করিনি যে সে ডুবে গেছে!

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পর মেডিক্যালে নিয়ে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, দর্শন বিভাগের সোয়াদ নামে এক শিক্ষার্থী সুইমিংপুলের পানিতে লাফালাফি করতে গিয়ে পানির সাথে ধাক্কা বা আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। তখন সেখানে তার বন্ধুবান্ধব ছিল এবং আশেপাশে আমাদের লোকজনও ছিল।

তিনি বলেন, এ সময় তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হয়। বিষয়টি আমি আমাদের প্রক্টর মহোদয়কেও জানিয়েছি।


ফলাফলে ত্রুটি, সংশোধিত ফল রাত ১২টার পর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আজ‌ প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে।

রোববার সন্ধ্যায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ এর ৩য় গ্রুপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) এর ফল আজ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র বুয়েটের কারিগরি টিম ইতোমধ্যে পুনঃমূল্যায়ন কাজ শুরু করেছে। আজ রাত ১২টার মধ্যে মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নপূর্বক নিরীক্ষান্তে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।


জাবিতে ৮ বছর পর ডিন নির্বাচন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৮ বছর পর বিভিন্ন অনুষদের ডিন নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ২৬(৫) ধারা এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সংবিধি, অধ্যাদেশ ও বিধিসমূহের সংশ্লিষ্ট ধারা/উপধারা অনুযায়ী বিভিন্ন অনুষদের ডিন নির্বাচন আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে নির্বাচনের সাময়িক ভোটার তালিকা আগামী ২২ এপ্রিল প্রকাশ করা হবে, ২৪ এপ্রিল দুপুর দুইটা পর্যন্ত সাময়িক ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি দাখিল করা যাবে এবং ২৫ এপ্রিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৯ এপ্রিল দুপুর দুইটা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অনুমোদিত ফরমে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ৩০ এপ্রিল, বৈধ প্রার্থীগণের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৬ মে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। এ ছাড়া ৭ মে প্রার্থীগণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ১৫ মে সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রেজিস্ট্রার আবু হাসানকে নিয়োগ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী নির্বাচিত ডিনের মেয়াদ দুই বছর হলেও সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত ডিনদের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন।


তীব্র তাপদাহে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:২৪
ঢাবি প্রতিনিধি

তীব্র তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ঢাকা বিশ্বাদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চলমান থাকবে।

কোনো শিক্ষার্থী ছাত্রবাস অথবা বাসার বাইরে যেতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সাদা বা হালকা রঙের ডিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা; যথাসম্ভর ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা; বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা; বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবনযুক্ত তরল যেমন- অল্প পরিমাণে খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকার কথাও বলা হয়েছে।


তীব্র দাবদাহে জবিতে বন্ধ ক্লাস-পরীক্ষা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৪৩
জবি প্রতিনিধি

দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে আগামী ছয় দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, তবে এ সময় অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে।

তীব্র দাবদাহে করণীয় নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে রোববার বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের সভাপতিত্বে তার কনফারেন্স কক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড দাবদাহে ২২ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে। এ সময়ের পরীক্ষাগুলোর তারিখ পরিবর্তন করা হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসে অংশ নেয়া আসলেই কঠিন। উপাচার্য মহোদয় গত সপ্তাহেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন। এজন্য আজ একটি জরুরি সভায় ক্লাস অনলাইনে ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত এ সপ্তাহ এভাবে চলবে। পরবর্তী সময়ে উপাচার্য মহোদয় পরিস্থিতি বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। শিক্ষার্থীদের জন্য যেটা ভালো হবে তেমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে তিনি।’


তীব্র গরমে ৭ দিন বন্ধ প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রচণ্ড দাবদাহে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চলমান তাপদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।’

এর আগে দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে দাবদাহ। কোনো কোনো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ।

ভারত সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন বাস্তবতায় দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে গেছে বিভিন্ন বয়সীদের।


banner close