মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
৪ ভাদ্র ১৪৩২

কৃষি মানুষকে সভ্য বানিয়েছে : শেকৃবি উপাচার্য

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নবীণবরণে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা। ছবি : দৈনিক বাংলা
প্রতিনিধি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৪৫

কৃষির মাধ্যমে সমাজ একটি কাঠামো পেয়েছে এবং কৃষিই মানুষকে সভ্য করে গড়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপাচার্য শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, কৃষি একটি মহান পেশা। মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে কৃষি। হাজার বছর আগে, মানুষ পশুদের মতো বন-জঙ্গলে জীবনযাপন করত। কিন্তু মানুষ যখন কৃষির সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে অর্থাৎ শস্য ফলানো, পশুপালন শুরু করেছে তখন থেকেই মানুষের সমাজ গঠন ও স্থায়ীভাবে বসবাসের সূত্রপাত ঘটে। কৃষি মানুষকে স্থায়ী ও থিতু হয়ে বসবাস করতে শিখিয়েছে। কৃষির মধ্য দিয়েই আমরা আধুনিক হয়েছি, সভ্য হয়েছি। তাই কৃষিকে প্রত্যাহার করার কোনো সুযোগ নেই।

‘বর্তমানে বিশ্ব অনেক আধুনিক হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষিরও রূপ পরিবর্তন হয়েছে। আর বাংলাদেশের গবেষণা, অগ্রযাত্রা, জাতির কল্যাণ সাধনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে কৃষি গবেষকরা। তাই আগামী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষিবিদদের আরও বেশি দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে হবে,’ যোগ করেন উপাচার্য শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশীদ, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরিয়ে দেখানো হয়। আগামীকাল বুধবার থেকে নবীণ শিক্ষার্থীদের প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু হবে।

এ বছর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদে ৬৭৯ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।


একাদশে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন ১০ লাখ ৭৭ হাজার

আপডেটেড ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ জন শিক্ষার্থী। গত ৩০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল ১১ আগস্ট। তবে পরে বাড়িয়ে দেওয়া হয় ১৫ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই আবেদন জমা পড়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ।

গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের আবেদনে বোর্ডভিত্তিক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে—২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৩ জন। মাদরাসা বোর্ডে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮২ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকেও আবেদন পড়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক, ১ লাখ ২৯ হাজার ১৪ জন।

রাজশাহী ও যশোর বোর্ড থেকে যথাক্রমে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৩টি আবেদন জমা পড়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে আবেদন ৯২ হাজার ১৬১, কুমিল্লা বোর্ডে ৯২ হাজার ৪৮৪, সিলেট বোর্ডে ৬২ হাজার ৩৭৯, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১ হাজার ৮৭১ এবং বরিশাল বোর্ডে পড়েছে ৪০ হাজার ৬৩৪টি আবেদন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আবেদন জমা পড়েছে ৩৮ হাজার ৬৮৭টি, আর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন মাত্র ৭০১ জন।

দেশের ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে ২২ লাখের বেশি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে রয়েছে প্রায় ৯ লাখ আসন এবং সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকে রয়েছে আরও ২ লাখ ৪১ হাজার আসন। সব মিলিয়ে একাদশ শ্রেণি ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে মোট আসন রয়েছে প্রায় ৩৩ দশমিক ২৫ লাখ। অথচ এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। ফলে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো চাপ নেই।

গত ২৪ জুলাই প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করেছেন পছন্দক্রম অনুযায়ী। এতে অটো মাইগ্রেশন সুবিধা প্রযোজ্য থাকবে। যারা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, যোগ্য হলে তারাও আবেদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, চলতি খ্রিষ্টাব্দসহ ধারাবাহিকভাবে পূর্ববর্তী দুই খ্রিষ্টাব্দে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তি হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন।


এডাস্ট এ Campus Futsal Champ 2025 এর ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

১৭ই আগস্ট (রবিবার), অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় এক অসাধারণ মুহূর্তের উন্মোচন! বহুল প্রতীক্ষিত ক্যাম্পাস ফুটসাল চ্যাম্প (সিএফসি) সিজন-১ ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ট্রফি উন্মোচন করা হয়। দেশজুড়ে পাবলিক ও প্রাইভেট মিলিয়ে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে এই বিশাল টুর্নামেন্টের আগমন বার্তা নিয়ে আসা এই দিনটি ছিল প্রাণবন্ত এবং উৎসবে ভরপুর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী, রেজিস্ট্রার জনাব মোঃ আব্দুল কাইউম সরদার, সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর শারমিন আক্তার এবং এডাস্ট স্পোর্টস কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি প্রভাষক মোঃ ফয়জুল হাসান সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে এই ঝলমলে ট্রফি উন্মোচন করেন। তাদের হাতে যখন ট্রফিটি উন্মোচিত হয়, তখন পুরো ক্যাম্পাস উল্লাস ও করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে।

শুধু ট্রফি উন্মোচনই নয়; এর পাশাপাশি ছিল নানা ধরনের মজার গেমস ও অ্যাক্টিভিটিস, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। গান, খেলা আর হাসি-ঠাট্টায় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে এক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে।

সিএফসি সিজন-১ ট্রফি ট্যুরের এই সফল আয়োজন দেশজুড়ে তরুণদের মাঝে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, ঐক্য এবং একতার এক দারুণ মেলবন্ধন তৈরী করবে বলে মনে করেন আয়োজকরা। আজকের এই উৎসবমুখরতা আগামী দিনে টুর্নামেন্টের পথচলাকে আরও রোমাঞ্চকর ও প্রাণবন্ত করে তুলবে বলেও বিশ্বাস করেন তারা।

ক্যাম্পাস ফুটসাল চ্যাম্প (সিএফসি) সিজন ১ এর স্পনসর ও সহযোগী স্পনসর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুলডোজার্স, এক্টিভ প্লাস, টিকিটো, গিগাবাইটস, উত্তরা মোটরস, কান্ট্রিসাইড, মিকলো, ওয়ান পার্সেন্ট ও ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার।


১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ

যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত ষষ্ঠ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশের ফল চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

গতকাল রোববার এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র বলছে, ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই দ্রুততম সময়ে সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ষষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সুপারিশ প্রকাশের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই ফল প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ১৬ জুন ষষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে শূন্য পদ ছিল ১ লাখ ৮২২টি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ ও ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দ দিতে পেরেছেন।

২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে।

২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়।

এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ১০ লাখের ৪০ ভাগই বেকার!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর প্রায় দশ লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। এর ৪০ ভাগ কোনো না কোনো কাজে যুক্ত হতে পারছে, ২০ ভাগ স্ব-উদ্ভাবিত কর্মসংস্থান করেছে। আর অবশিষ্ট ৪০ ভাগ বেকার থাকছে।

গতকাল শনিবার এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এই তথ্য দেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভের (ইআরআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ল্যাব, ডেমোনেস্ট্রেটর, শিক্ষক, অধ্যক্ষ সবই থাকা সত্ত্বেও ল্যাব প্রাকটিক্যাল হচ্ছে না। এটা শুধু নৈতিক অবক্ষয়ের অবনমন। এর উত্তরণ ঘটাতে হবে।

ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণ নিরুৎসাহিত করতে হবে, তাদের দক্ষ শ্রমিক করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সেরা শিক্ষক সম্মাননা ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষাকারীকে না দিয়ে প্রকৃতই সেরা শিক্ষককে দেওয়ার সুপারিশ করেন উপাচার্য।

ড. এ এস এম আমানুল্লাহ চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষা কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের কোনো গুণগত উন্নতি হয়নি। আমরা বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়েছি।

ভিসি বলেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থা এক সময় বাংলাদেশের মতোই ছিল। কিন্তু আজ সেই দেশগুলোর মাথাপিছু আয় বহুগুণে বেড়েছে। আর এর জন্য চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার একটি বড় অবদান রয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য সিলেবাস পরিবর্তনের কাজ হাতে নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে একই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ১১ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেকার।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, গুণগত শিক্ষার অভাবই শিক্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রতি বছর এসএসসিতে ২.৫ লাখ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও বাস্তব শিক্ষার উন্নতি হচ্ছে না। প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়, কিন্তু যারা জিপিএ-৫ পায় না, তারা কোথায় যাচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ শতাংশ। এর মধ্যে ৪.৫ শতাংশ বেকার। তাই জব মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করতে হবে।

ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সহায়ক ভূমিকা রাখলেও মূল দায়িত্ব পালন করেছে চীন, রাশিয়া ও জাপানের প্রকৌশলীরা। অথচ স্থানীয় প্রকৌশলীরা দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছে। মূল সমস্যা হলো চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার অভাব।


ড. মাসুম ইকবাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নতুন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালযয়ের ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়া হয়। গত ০৭ আগস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজজের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের কাছে তিনি যোগদানপত্র হস্তান্তর করেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ২০০২ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী ডিন এবং ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং-এ এমবিএ ও বিবিএস সম্পন্ন করেছেন।

ড. ইকবাল মালয়েশিয়ার ইউসিসিআই ইউনিভার্সিটির অতিথি অধ্যাপক এবং তুরস্কের আনাদোলু ইউনিভার্সিটিতে এরাসমাস+ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন প্রখ্যাত গবেষক। তার ৫০টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ স্কোপাস ও ওয়েব অব সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে সার্ভিস মার্কেটিং বিষয়ে একটি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছেন।

তিনি ডিআইইউ-এর ইউনুস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার-এর পরিচালক হিসেবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও পাঠ্যক্রম উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং সোশ্যাল বিজনেস শিক্ষার অঙ্গনে একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, একাডেমিক সততা এবং উদ্ভাবনের প্রতি অঙ্গীকার তাকে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসায় শিক্ষার ভবিষ্যত গঠনে একটি সম্মানিত শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।


ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ শুরু আজ

আপডেটেড ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১১:০৮
ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হবে আজ মঙ্গলবার থেকে। প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।

গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রার্থীরা ১২ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা।

এতে আরও বরা হয়, প্রার্থীরা সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করতে পারবেন। একই সময়ে হল সংসদের মনোনয়নপত্র প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট হল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সশরীরে সংগ্রহ ও দাখিল করতে হবে।

ডাকসু ও হল সংসদ আচরণ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দেওয়া যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরও তালিকায় বহিষ্কৃত ও মামলায় অভিযুক্ত কোনো শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।


ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উদ্যোগে সিভিল রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সোসাইটি (সিআরইএস) এর  বর্ণাঢ্য অভিষেক অনুষ্ঠান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে সম্প্রতি রিসার্চ ক্লাব ‘সিভিল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সোসাইটি’র অভিষেক উপলক্ষ্যে ‘Concrete: The Most Widely Used Construction Material’ শীর্ষক একটি টেকনিক্যাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের সাবেক অধ্যাপক, পদ্মা সেতু এক্সপার্ট প্যানেল এবং প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ারস বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. শামীমুজ্জামান বসুনিয়া। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব জনাব মো. কামরুজ্জামান লিটু, সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী, সভাপতিত্ব করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ড. জাবের আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শামীমুজ্জামান বসুনিয়া ওনার দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সাথে শেয়ার করেন। তাদেরকে ইনোভেটিভ রিসার্চ, মর্ডান সফটওয়্যারের ব্যবহার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে সম্পর্কিত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর পড়াশোনার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেন। নির্মাণ কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত কংক্রিটের উন্নতমান নিশ্চিতকরণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গভীর ভাবে রিসার্চ এর মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সিআরইএস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য তিনি ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রশংসা করেন। আলোচনা শেষে প্রফেসর বসুনিয়া প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

সম্মানিত অতিথিবৃন্দ প্রফেসর শামীমুজ্জামান বসুনিয়া’কে এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আশা প্রকাশ করেন তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। সভাপতির বক্তব্যে ড. জাবের আহমদ আজকের এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য প্রফেসর শামীমুজ্জামান বসুনিয়া স্যারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ারসের অ্যাক্রেডিটেশন এর জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যেই ওবিই সিলেবাস প্রণয়ন করে ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে। যা অচিরেই অনুমোদিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠান এর পরে অতিথিবৃন্দ সিভিল ডিপার্টমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ হাতে করা বিভিন্ন প্রজেক্ট এক্সিবিশন স্টল পরিদর্শণ করেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন। সবশেষে সকলের উপস্থিতিতে কেক কেটে সিআরইএস এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।


হল রাজনীতি নিষিদ্ধের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে: ঢাবি উপাচার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, হলগুলোকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার গত বছর নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) ভোরে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঢাবিতে হল রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার(৮ আগস্ট) সকালে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করার পর এই বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

২০২৪ সালের ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের অপসারণ ও হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাধ্য করে।

রাত সাড়ে ১২টার বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে, ১-২-৩-৪, হল রাজনীতি আর নয়, স্বাধীনতা না দাসত্ব, স্বাধীনতা-স্বাধীনতা ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো হল স্তরে কোনো ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেওয়া হবে না। তারা কেন্দ্রীয় স্তরে, মধুর ক্যান্টিনে এটি করতে পারে। এটাই ছিল বোঝাপড়া। তবে, আমরা কোনো ছাত্র সংগঠনকে 'আপনি এটি বাতিল করুন' বলতে বাধ্য করতে পারি না। আমরা জানিয়েছি, ১৭ জুলাই যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা বলবৎ থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে আজ প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি সভা হবে। এরপর, যেসব ছাত্র সংগঠনের নাম উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা বলব।’


প্রাথমিক শিক্ষায় যুগান্তকারী সংস্কার ও উন্নয়ন করেছে সরকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

শিক্ষার ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচিত প্রাথমিক শিক্ষা খাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একাধিক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

চলতি বছরে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ২৪৭টি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ, ১৫ হাজার ১৪৪টি ওয়াশব্লক, ৪ হাজার ২৬১টি সীমানা প্রাচীর এবং ৬ হাজার ১৪০টি নলকূপ স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে ৩০টি নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে।

কক্সবাজারে দশতলা বিশিষ্ট একটি লিডারশীপ ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সহকারী শিক্ষক, শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত বিষয়ে মোট ১৬ হাজার ২৭টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

প্রধান শিক্ষকের ২ হাজার ৩৮২টি পদে বিসিএস (নন-ক্যাডার) থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে গ্রেডেশন তালিকা সফটওয়্যারে হালনাগাদ করা হবে এবং মামলা নিষ্পত্তির পর সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হবে।

চলতি অর্থবছরে ৭ হাজার ১১৫ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের শিখন অবস্থা মূল্যায়নের জন্য বেইজলাইন সার্ভে পরিচালনা করা হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৫ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালু করেছে। বৃত্তি পরীক্ষার আওতায় ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে, যার মধ্যে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জন সাধারণ বৃত্তির অন্তর্ভুক্ত। প্রস্তাবিত বৃত্তির হার ট্যালেন্টপুলে জনপ্রতি ৭ হাজার ৭০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিতে ৫ হাজার ৯০০ টাকা।

এদিকে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ৯ কোটি ২০ লাখ পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের ১ কোটি ৮৬ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ কোটি ৪২ লাখ পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণে ৬২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

১৫০টি উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রমে চালু করা হবে সেপ্টম্বরে, যা শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত ও বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বাকি ৩৪৯টি উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় ১ কোটি শিক্ষার্থী উপকৃত হবে।

শিক্ষার মানোন্নয়ন ও স্থায়িত্ব রক্ষায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি৪) ধারাবাহিকতায় পঞ্চম কর্মসূচি (পিইডিপি৫) শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৩টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের পুনঃনির্মাণ, মডেল বিদ্যালয় গঠন, মাঠ উন্নয়ন, চা বাগান এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপন, সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ, শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ এবং আইসিটি সক্ষমতা বৃদ্ধি।

উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১৪ লাখ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে এবং এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। শিক্ষার্থীদের শতভাগ ইএফটি'র মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ চালু করে ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের পেশাগত প্রস্তুতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১০টি পিটিআই-তে ১ বছর মেয়াদী কোর্স চালু করা হবে।

একীভূত শিক্ষাকে সামনে রেখে পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা, এসিস্টিভ ডিভাইস নীতিমালা হালনাগাদ, গারো ও সাদরি ভাষায় প্রশিক্ষণ এবং সেন্ড ম্যানুয়ালসহ ২৭ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠদানে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় মনিটরিং ও শ্রেণিকক্ষ সজ্জা, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও এডুকেশন ইন ইমারজেন্সি খাতে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় ৬৫ হাজার ৩৫৭টি বিদ্যালয়ের জন্য ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৩ হাজার ইন্টারএকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল (আইএফপি) সরবরাহ, ডিজিটাল কন্টেন্ট স্টুডিও নির্মাণ, সার্ভার স্টেশন উন্নয়ন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আইএমডি এর জনবল এবং আইপিএমএস সফটওয়্যার ব্যবস্থাও উন্নত করা হবে।

পিইডিপি৪-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের আইকিউ টেস্ট চালু করা হবে। এটি ৫ ধাপে বাস্তবায়িত হবে এবং প্রথম দুই ধাপে ব্যয় হবে এককোটি টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহায়তায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাদরি ও গারো ভাষায় পূর্বে প্রণীত পাঠ্যপুস্তকের সহায়ক হিসেবে বাংলায় উচ্চারণসহ ডিজিটাল কনটেন্ট প্রস্তুত করা হবে, যাতে মাতৃভাষায় পাঠদান সহজতর হয়।

মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং কার্যক্রম আরও কার্যকর করতে ই-মনিটরিং অ্যাপস হালনাগাদ ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সকল শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার যে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


ইউআইটিএস-এ আইডিয়া প্রকল্প কর্তৃক “ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রাম ২০২৫” অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

উদ্যোক্তা সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে বাস্তবায়নাধীন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (আইডিয়া) কর্তৃক বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এ অদ্য ০৪ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি., সোমবার সকাল ১০:০০ টায় রাজধানীর বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোন সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসের রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আইটি বিভাগের প্রভাষক জনাব এনি চৌধুরী।

প্রথমেই কোরান তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরম্ভ করা হয়। দিনব্যাপী এ আয়োজনে তিনটি পৃথক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগ্রোশিফট টেকনোলজিস লিমিটেড এর কো ফাউন্ডার এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার দিপ্ত সাহা এন্টারপ্রেনারশিপ মাস্টারক্লাস সেশনটি সফলভাবে পরিচালনা করেন। পিচ ডেক তৈরির কৌশল এবং আইডিয়া প্রি-সিড গ্র্যান্টে আবেদন করার পদ্ধতি বিষয়ক দুটি সেশন পরিচালনা করেন আইডিয়া প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জনাব সিদ্ধার্থ গোস্বামী। উল্লেখ্য সেশনগুলোতে অংশ নেন ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকেরা। কর্মসূচির মাধ্যমে তারা স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক ধারণা, প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ লাভ করেন। তারা পিচিং সেশনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব স্টার্টআপ আইডিয়া পেশ করে। শিক্ষার্থীদের এই পিচিং সেশন এর বিচারক হিসেবে ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জনাব সিদ্ধার্থ গোস্বামী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব ও আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান এবং আইডিয়া প্রজেক্টের রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার রাজীব মজুমদার।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু হাসান ভুইয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাদিয়া জাহান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর অফ আইকিউএসি মো.শাফায়েত হোসেন। আয়োজনটিতে সমাপনী বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্ম সচিব ও আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান।

অনুষ্ঠানের সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম। এছাড়াও আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মো. কামরুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব আল ইমতিয়াজ এবং আইটি বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনার সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন আইটি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শেষে এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন আমাদের মাননীয় অতিথিবৃন্দ।


মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণিতে ফের চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশের সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা আবার চালু হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরেই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন মাদ্রাসাগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পাঁচটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষায় অংশ নেবে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ইবতেদায়ি বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১, ২২, ২৩, ২৪ ও ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার বিষয় হিসেবে থাকবে কুরআন মাজিদ এবং আকাইদ ও ফিকহ (একত্রে), আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (একত্রে), বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত ও বিজ্ঞান (একত্রে)। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১০০ নম্বর করে বরাদ্দ থাকবে। মোট নম্বর হবে ৫০০।

শুধু বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কোডভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ও সংযুক্ত ইবতেদায়ি শাখার শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

প্রতিটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত সিলেবাস ও মানবণ্টন বোর্ড থেকে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।


ইউআইটিএস-এ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রি-অরিয়েনটেশন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

ইউআইটিএস-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শরৎকালীন সেমিস্টার ২০২৫-এর শিক্ষার্থীদের প্রি-অরিয়েনটেশন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শরৎকালীন সেমিস্টার ২০২৫ শিক্ষার্থীদের প্রি-অরিয়েনটেশন গত ০৩ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি., রবিবার সকাল ০৯:০০ টায় রাজধানীর বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোন সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসের রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ-এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু হাসান ভূঁইয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের জন্য সকল ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান এবং আমরা ইতোমধ্যে একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের মতো করে গড়ে তুলছি এবং প্রতিনিয়ত উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সময়ানুবর্তিতা একজন শিক্ষার্থীর সফলতার মূল চাবিকাঠি। সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই সময়ের যথাযথ ব্যবহার করার জন্য নবীন শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।

তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান এবং এই আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউআইটিএস-এর মাননীয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অ্যাডজানক্ট ফ্যাকাল্টি অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার ড. মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান, সহকারি অধ্যাপক জনাব মোঃ হাসান ইমাম। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মঞ্জুরুল হাসান সাজিদ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সৈয়দ ও সাজিয়া পারভেজ সুপ্তি এবং নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ ফজলে রাব্বি ও মারজিয়া মেহেজাবিন রহমান।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলামনাই, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিভিল ক্লাবের সদস্য-সহ নবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।


সরকারি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের উদ্যোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে এই পদগুলো শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে অনুমোদিত প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬৫ হাজার ৫০২টি। বর্তমানে ৩১ হাজার ৩৯৬ জন প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। আর শূন্য পদ রয়েছে ৩৪ হাজার ১০৬টি।

এর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৭টি পদ সরাসরি নিয়োগযোগ্য। যার ১০ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অবশিষ্ট ২ হাজার ৩৮২টি পদে স্বতন্ত্রভাবে সরাসরি নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব পদে নিয়োগের জন্য পিএসসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।

এছাড়াও, জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন সংক্রান্ত ৭৩/২০২৩ নম্বর সিভিল আপিল মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জনবল ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম আরো উন্নত ও গতিশীল হবে। সরকারের প্রত্যাশা, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হবে।


banner close