বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। এ সমঝোতার ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে বিএসএমএমইউ। অন্যদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিএসএমএমইউয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএসএমএমইউ উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে এ সমঝোতা চুক্তি সই হয়। বিএসএমএমইউয়ের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার ও জবির পক্ষে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান চুক্তিতে সই করেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে সমঝোতা চুক্তিটি পাঁচ বছরের জন্য বলবৎ থাকবে।
এই চুক্তির আওতায় বিএসএমএমইউ ও জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন; প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের আদান-প্রদান; জার্নালের আদান-প্রদান; যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সের আয়োজন; উচ্চতর গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষক ও শিক্ষার্থীদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির যৌথ তত্ত্বাবধান; উভয় প্রতিষ্ঠানের রিসোর্স পারসন, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট অত্যাধুনিক গবেষণাগার ব্যবহার; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে নিয়মিত পরিদর্শন; যৌথ প্রকাশনা ও যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে অর্জিত ফলাফলের প্যাটেন্টস প্রক্রিয়াকরণ এবং যৌথ উদ্দেশ্য অর্জনে যেকোনো সহযোগিতা লাভ করবেন। অন্যদিকে জবিসংশ্লিষ্টরা বিএসএমএমইউয়ে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
সমঝোতা চুক্তি নিয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউ দেশের ও দেশের বাইরের মানসম্পন্ন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ বিনিময় করার জন্য প্রস্তুত। বিএসএমএমইউ সবাইকে নিয়ে কাজ করছে। এতে দেশের মানুষ লাভবান হচ্ছে, উপকৃত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পাল, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার উপস্থিত ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ কে এম লুৎফুর রহমান, গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
এ ছাড়াও বিএসএমএমইউয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন, উপাচার্যের একান্ত সচিব-১ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেছেন।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে নীলক্ষেত ও আশপাশের রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় পথচারীরা পড়েন ভোগান্তিতে।
৩ ঘণ্টা অবরোধ শেষে বেলা ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ প্রত্যাহার করে সায়েন্সল্যাব চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
আজ মঙ্গলবারের মধ্যে তিন দফা দাবি নিয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে আগামীকাল বুধবার থেকে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার অভিপ্রায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি কমিশন গঠন, সংস্কার কমিটি অনধিক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সাত কলেজের সমন্বয়ে শুধু একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন এবং কমিশন বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন জট জটিলতা কমানো।
অবরোধে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী মো. আরিফ বলেন, ‘আমরা সব সময় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। আমাদের এখানে ল্যাব সুবিধা নেই। আমাদের ভালো সেমিনার রুম নেই। আমাদের ক্লাসরুমগুলো সেই পুরোনো চেয়ার-টেবিল দিয়ে সাজানো। আমরা টাকা দিচ্ছি কিন্তু আমাদের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থেকে বের হয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা বিগত ১ মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এই ইস্যুতে একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফিরছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামী শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২৫ থেকে স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন শিক্ষার্থী নেবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আজ সোমবার এ বিষয়ে এক আলোচনা সভা থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
উপাচার্য বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ভর্তি কার্যক্রম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ও ইউনিটসমূহ গঠন করা হয়েছে। পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
উপাচার্য জানান, পাঁচটি ইউনিট হলো এ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের জন্য), বি ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদের জন্য), সি ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের জন্য), ডি ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য) এবং ই ইউনিট (চারুকলা অনুষদের জন্য)।
উপাচার্য রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আমরা আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব, স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাবো। এজন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসও ঠিক হয়ে গেছে। মূলত আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতি স্থায়ী কোনো পদ্ধতি না। সেখানে আমাদের থাকার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। আমরা আমাদের পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, পূর্বের মতাে নিজস্ব পদ্ধতিতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি খুব দ্রুতই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে।
অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থিত একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সে দাবির প্রেক্ষিতে সভায় উপস্থিত সম্মিলিত সদস্যের সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা চালু হয়। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শুরু থেকেই নানা ধরনের অব্যবস্থাপনা ও হয়রানির অভিযোগ উঠছিল।
এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সাল থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফেরার জন্য আন্দোলন করছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ২০২৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপ্রতির অভিপ্রায়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থেকে যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ফল তৈরি ও প্রকাশের দাবি জানিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন অকৃতকার্য হওয়া একদল শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তারাই আবার ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
রাত ৯টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছিল। এদিকে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। আজ সোমবার সকালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে গতকাল রোববার রাতে একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে তাহলে আমি পদত্যাগই করব। সোমবার আমার পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
গতকাল বেলা ১১টা থেকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। তাদের সঙ্গে অনেক নারী অভিভাবককে দেখা যায়। দুপুর পৌনে ২টার দিকে বোর্ডের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
দুপুর ২টার দিকে শিক্ষা বোর্ডের প্রবেশপথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন ছাত্রীসহ ছয়জন আহত হন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রকাশিত ফলাফল বৈষম্যমূলক। তারা সবগুলো বিষয়ের ওপর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল চান। এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই সেই সাবজেক্ট ম্যাপিং করার দাবি তাদের।
এদিকে ময়মনসিংহে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ এবং ৩ দফা দাবিতে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করেন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে এসব কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে চট্টগ্রাম ও যশোর শিক্ষা বোর্ডও ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা চকবাজার থানার ওসি রেজাউল হোসেন বলেনে, ‘শিক্ষার্থীরা প্রথমে বোর্ডের ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। সে সময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে ঢুকতে চাইলেও তাদের যেতে দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে বলে শুনেছি। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিদল ঠিক করে দিলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।’
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে বাতিল পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করেছি। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও শিক্ষার্থীরা কী বলতে চায়, তাদের কথা শুনব। সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা অবগত করব।’
গত ১৫ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন একদল শিক্ষার্থী ফল বাতিলের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
অলকানন্দা স্কুল অব আর্ট-এ আজ শুক্রবার একটি বিশেষ ওরিগামি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় শিশুদের হাতে-কলমে শেখানো হয় কীভাবে কাগজ ভাঁজ করে শিল্পকর্ম তৈরি করা যায়। শিশুদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটানোর মাধ্যম হিসেবে শিল্পের ভিন্ন এক ধারার সঙ্গে আজ শিক্ষার্থীদের এ কর্মশালার মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো।
রাজধানীর শংকরে অলকানন্দা স্কুলের ক্যাম্পাসে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও শিল্পী আবু কালাম শামসুদ্দীন।
তিনি ওরিগামি শিল্পের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। শিল্পী হেলেনা আক্তার লাইজু ও শায়লা আক্তার সোনালী ওরিগামির জটিল পদ্ধতিগুলো সহজভাবে শিক্ষার্থীদের শেখান।
কর্মশালার মূল আকর্ষণ ছিল শিক্ষার্থীদের ওরিগামির মাধ্যমে পাখি তৈরির প্রকল্প। শিক্ষার্থীরা তাদের হাতের কাজের মাধ্যমে সৃজনশীলতা ও কৌশলের মিশ্রণ ঘটিয়ে পাখির মডেল তৈরি করে।
কর্মশালায় শিল্পীরা বলেন, ‘আজ শিশুরা যে কাগজের পাখি বানিয়েছে, এমন কাজের মাধ্যমে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরি হবে।’
কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষকদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন নারায়ণগঞ্জ আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ শিল্পী শামছুল আলম আজাদ। কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অলকানন্দা স্কুল অব আর্টের কর্ণধার উমা মন্ডল।
এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সজীব মন্ডল, সংযুক্তা রায় ও নিধি ভৌমিক।
কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।
অধ্যাপক দিলীপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিষ্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। ১৯৯৫ সালে তিনি লেকচারার পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।
এরপর তিনি ক্রমান্বয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক হয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট হেরিটেজ অ্যান্ড কালচারের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণিতে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করায় স্বামী বিবেকানন্দ পদক পেয়েছিলেন। ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হতে যাচ্ছেন অধ্যাপক দিলীপ।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য জেড এম পারভেজ সাজ্জাদও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।
উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক দিলীপ কুমার বলেন, ‘রক্তস্রোতের পর পাওয়া নতুন বাংলাদেশে আমি এই দায়িত্ব পেয়েছি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, আহত হয়েছে।
আন্দোলনের যে আদর্শ সেটি আমি বাস্তবায়ন করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, সমৃদ্ধি এবং গ্রহণযোগ্যতা আরও বৃদ্ধির জন্য আমার যতটুকু করণীয় আমি করে যাব।’
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে উপাচার্য পদে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে; এই পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন; বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাও ভোগ করবেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন; এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সব বোর্ডের ফলাফলের যে সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে তাতে দেখা যায়, গত বছর (২০২৩ সালে) ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসেবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে।
জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় দেশের ১১ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ একসাথে অনলাইন, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়। এছাড়া আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে।
এবার ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এর মধ্যে মোট পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার যথাক্রমে ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিলেট আর সবচেয়ে পিছিয়ে ময়মনসিংহ। পাসের হার সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বরিশালে ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ, ঢাকায় ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
বাতিল পরীক্ষাগুলোতে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসিতেও একই নম্বর দিয়ে ফল তৈরি করেছে শিক্ষা বোর্ড। তাছাড়া বিভাগ ও বিষয়ে মিল না থাকলে সে ক্ষেত্রে সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
এ বছর ভিন্ন ব্যবস্থায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যান্য সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য জানানো হতো। কিন্তু এবার বেলা ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হয়।
তবে সাংবাদিকরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গেলে বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের কাছে ফলাফলের তথ্য তুলে ধরেন। তপন কুমার সরকার সব কটি বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিরও সভাপতি।
এবার পাসের হার কমে যাওয়া ও জিপিএ-৫ বেড়ে যাওয়ার কারণ কারণ হিসেবে অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল, সেগুলোর ফলাফল উচ্চমাধ্যমিকে গড় পাসের হারে বড় রকমের প্রভাব পড়ে না। উচ্চমাধ্যমিক পাসের হারটি মূলত নির্ভর করে ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ওপর। কিন্তু এবার এই দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছিল। ফলে গড় পাসের হারটি স্বাভাবিক সময়ের মতো হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮টি বিদেশি কেন্দ্রে ২৮২ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৬৯ জন। অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ১৩ জন।
এবার বিদেশি কেন্দ্রে সার্বিক পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিদেশে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৮টি। বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানা যায়।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১০টি বোর্ডের অধীনে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছে এবার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯১১ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৮ জন।
এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সম্মিলিত পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে। ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রী ৮০ হাজার ৯৩৩ জন আর ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরে ২ হাজার ৬৯৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৯৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল, যার মধ্যে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন।
এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ পাসের হার নিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে তারা।
এ ছাড়া কারিগরি বোর্ড ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এবছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে ৭৯ হাজার ৯০৯ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ৪৬ হাজার ৪৩৩ জন ছাত্র ও ৩৯ হাজার ১২৫ জন ছাত্রী। এই বোর্ডে ৮৫ হাজার ৫৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
এ ছাড়া ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সিলেট বোর্ড ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ পাসের হার নিয়ে প্রথম, বরিশাল বোর্ড ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় ও রাজশাহী বোর্ড ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ পাসের হার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড়ে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে, যার মধ্যে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ (সর্বোচ্চ গ্রেড পয়েন্ট গড়) পেয়েছে ও ৯টি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৫৬ শতাংশ।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে মঙ্গলবার।
প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2024 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল চলে আসবে।
এ ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, www.educationboardresults.gov.bd এবং www.eduboardresults.gov.bd -এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমেও রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এবারের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হয় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফল প্রকাশ করা হয় এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা রয়েছে।
এ পদ্ধতিতে একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ৩০ জুন। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তবে স্থগিত পরীক্ষা না নিতে আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে বাতিল করা হয় পরবর্তী পরীক্ষাগুলো।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে একসাথে অনলাইন, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশ করা হয়।
এবার পাস করেছে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির তৈরি করা ফলাফলের সারসংক্ষেপে দেখা যায়, গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসেবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবার ৯ হাজার ১৯৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
মাঝপথে বাতিল হওয়া এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে। গত ৭ অক্টোবর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
সে হিসেবে আজ বেলা ১১টায় স্ব-স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরা এই ফল প্রকাশ করবেন। এর আগে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। অন্যান্য সময়ে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন।
তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। স্ব-স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরাই ফল প্রকাশ করবেন।
এদিকে, এইচএসসি পরীক্ষায় সবাইকে পাস করাতে হবে, মর্মে কিছু শিক্ষার্থীর দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সবাইকে অটোপাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলাফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার আসন্ন ঘোষিতব্য ফলাফলের বিষয়ে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে শুনেছি যে, সবাইকে পাস করাতে হবে।’
এবারের এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো নিতে পারলেই ভালো হতো উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সচিবালয়ে একটা অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দিতে হয়েছিল। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখন পূর্বেকার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এইচএসসির যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল; তার সঙ্গে এসএসসির সম্পর্কিত বিষয়ের ফলাফল সমন্বয়ে করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে।
এসএসসিতে যারা কোন বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হওয়ার কারণে পরবর্তী বছরে আবার পরীক্ষার সুযোগ নিয়েছে সে ফলাফলও নেয়া হয়েছে। কাজেই চূড়ান্ত ফলাফলে যারা উত্তীর্ণ হবে না, তারা বঞ্চিত হয়েছে বলা যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে এখন অটোপাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলাফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে। কাজেই এ ধরনের দাবির কোন যৌক্তিকতা দেখি না।’
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখন থেকে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায় গত বুধবার একথা জানানো হয়।
নীতিমালায় বলা হয়, এন্ট্রি শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন।
শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন প্রসঙ্গে বলা হয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ২টি পছন্দক্রম (২টি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে।
আরও বলা হয়, বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬+ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে।
যেমন- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া, শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।
নীতিমালায় বলা হয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভর্তির তারিখ এবং ফি সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।