বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
১৭ বৈশাখ ১৪৩২

সিন্ডিকেট হারছে হাইকোর্টে

সিন্ডিকেট হারছে হাইকোর্টে
হাসান মেহেদী
প্রকাশিত
হাসান মেহেদী
প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:১৬

হাসান মেহেদী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ হলেই তা আর উচ্চ আদালতে টিকছে না। গত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নেয়া অন্তত সাতটি আলোচিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা উচ্চ আদালতে গিয়ে পক্ষে রায় পেয়েছেন। এমনকি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তগুলো অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।

এর ফলে সিন্ডিকেটে নেয়া সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান সিন্ডিকেট অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিহিংসামূলকভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ফলে কেউ উচ্চ আদালতে গেলেই তা ‘অবৈধ সিদ্ধান্ত’ হিসেবে রায় হচ্ছে। এতে ভাবমূর্তি হারাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়।

উচ্চ আদালত গত পাঁচ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নেয়া সাতটি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন। তবে এমন আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত বিচারাধীন আছে। যদিও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘটনা কম।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত ও আদালতে যাওয়া একাধিক ভুক্তভোগী দৈনিক বাংলাকে বলেছেন, সিন্ডিকেটে সাধারণত উপাচার্যের মর্জি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উপ-উপাচার্যরাও সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করেন। কখনো কখনো সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যরা দ্বিমত পোষণ করলেও বেশির ভাগ সময় উপাচার্যের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত পাস হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রভাবশালী শিক্ষকরাও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন।

শিক্ষক রাজনীতির নানা সমীকরণ, অপছন্দের শিক্ষকদের বাগে আনতেই একপক্ষীয় শাস্তি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে অপছন্দের যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

পরে ক্ষুব্ধরা উচ্চ আদালতে গেলে নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিচ্ছেন আদালত। বঞ্চিতরা বলছেন, সিন্ডিকেটের প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তের কারণেই তারা আদালতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আদালত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে ওই শিক্ষকের পক্ষেই রায় দিচ্ছেন। হেরে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট যে সিদ্ধান্তগুলো নেয় অনেক সময় তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হয় না। আদালত প্রক্রিয়াটা দেখে রায় দেন। প্রক্রিয়াটার কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে উচ্চ আদালতে গিয়ে তা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এ বিষয়ে সতর্ক থেকে রাগ-ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ না ঘটিয়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়। সম্প্রতি যেসব রায় হয়েছে তার বেশির ভাগই পুরানো ঘটনা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘সিদ্ধান্তগুলো হঠাৎ করেই সকলে মিলে নিয়ে ফেলছে। কিন্তু আইনের রীতিনীতি বা ধারা অনুসরণ না করায় এমন ঘটনা ঘটছে। তা ছাড়া আপিল করার সুযোগ থাকলেও অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে কোনোটি আপিল করা হয়, কোনোটা করা হয় না।’

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ‘১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত যেকোনো বিবদমান বিষয়ে এই অধ্যাদেশকে আইন হিসেবে ধরে সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।

আদালতে জিতছেন ভুক্তভোগীরা

সম্প্রতি হাইকোর্টে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ পেয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের যৌথভাবে লেখা এক গবেষণা প্রবন্ধ নিয়ে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে সামিয়া রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয় ওই কমিটি। একাডেমিক এই অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে আইন অনুষদের তৎকালীন ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহ্বায়ক করে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ করলে সিন্ডিকেটের সভায় সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদাবনতি দেয়া হয়।

ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর পদাবনতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি হয়। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে চলতি বছরের ৩ আগস্ট পদাবনতির আদেশ অবৈধ বলে রায় দেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে তাকে সব সুযোগ-সুবিধাসহ পদ ফিরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

সামিয়া রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমার বিশ্বাস ছিল, আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাব। আদালত প্রতিহিংসামূলক রায় দেবেন না। আদালত প্রমাণ দেখবেন। মহামান্য আদালত আমার আইনজীবীর আদালতে উপস্থাপন করা তথ্যপ্রমাণ বিচার-বিবেচনা করেই আমাকে নির্দোষ বলেছেন। প্রতিহিংসার কারণে একজন মানুষকে কীভাবে সমাজে হেয় করা যায়, তার একটা প্রমাণ হয়ে থাকবে এই রায়। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

সামিয়া রহমান আরও বলেন, ‘সে সময় বলা হয় যে, শিকাগো ইউনিভার্সিটি প্রেস আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এলেক্স মার্টিন নামে এক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, এই নামে কোনো ব্যক্তির অস্তিত্বই নেই। অভিযোগের এই চিঠি সে সময় উপ-উপাচার্যের অফিসে বসে আমাকে ফাঁসানোর জন্য বানানো হয়েছিল। আমি বারবার এটা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার কথা আমলে নেয়নি।’

এ ছাড়া উচ্চ আদালতের আদেশে স্বপদে পুনর্বহাল হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক শবনম জাহান। ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে আগেই ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে সেসময় হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ওই বছরের ২৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় শবনম জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২০২০ সালের ২০ জুলাই সিন্ডিকেটে তাকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দেয়।

এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শবনম। রিটের শুনানি শেষে শবনম জাহানকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট তাকে স্বপদে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

শিক্ষক রাজনীতির বলিও হন কেউ কেউ

গত ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’ জানান অধ্যাপক রহমত উল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে এই সভায় অংশ নেন তিনি। ভুল বুঝতে পেরে ‘শ্রদ্ধা’ জানানোর একপর্যায়ে খন্দকার মোশতাকের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেও বক্তব্য রাখেন তিনি। কিন্তু শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত থাকা উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চান অধ্যাপক রহমত উল্লাহ। সে সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শাস্তির দাবি জানান। ২০ এপ্রিল অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় সিন্ডিকেট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে গত ৮ জুন প্রাথমিক শুনানিতে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহকর্মীদের সম্পর্কে ‘বাজে মন্তব্য’ করার অভিযোগে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৩ জুলাই উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের সেই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। রায় পাওয়ার পরও দুই বছর পর্যন্ত তিনি বিভাগে যোগ দিতে পারেননি। তবে এখন তিনি বিভাগে নিয়মিত।

জেন্ডার কোর্সের অংশ হিসেবে শ্রেণিকক্ষে ‘অশ্লীল চিত্র’ প্রদর্শন করার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। গত ১০ এপ্রিল এই রিট আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আপিল খারিজ করে দিয়ে ওই বছরের ২৭ মে অধ্যাপক রিয়াজুল হককে স্বপদে বহাল রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। পরে তিনি বিভাগে যোগদান করেন।

পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে অন্যদের বঞ্চিত করা

নিয়োগের ক্ষেত্রেও নানা সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত আটকে যায় হাইকোর্টের রায়ে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষকের তিন পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেসময় প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন এস এম ফাইজুল হক ইশান। সব প্রক্রিয়ার পর নিয়োগ বোর্ড ফাইজুলসহ তিনজনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এর পরও নিয়োগ না পাওয়ায় তিনি ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। আবেদনকারীকে কেন নিয়োগ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।

রুলটি বিচারাধীন অবস্থায় ফের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষকের একটি পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে ফাইজুল হক ১১ জানুয়ারি সম্পূরক আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে এক শুনানিতে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি।

এই বিষয়ে ফাইজুল হক ইশান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘একটা নিয়োগ সম্পন্ন না করে বিশ্ববিদ্যালয় অন্য আরেকটি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে। এটা তো হতে পারে না। তাই আমি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। তবে এখনো সমাধান হয়নি।’

অপরাধের চেয়ে শাস্তি কড়া

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে একটি মারধরের ঘটনায় ২০০৯-১০ সালের শিক্ষার্থী আবু তালহার সনদ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। সাবেক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যবস্থা নিতে পারে না আখ্যা দিয়ে সনদ বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের প্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে তিনি সনদ ব্যবহার করে এখন জনতা ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।

আদালতের রায়, ব্যক্তিভেদে দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন

এসব ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘যখন কোনো বিষয় সিন্ডিকেটে উত্থাপন হয় অনেক সময় সেটা বিচার-বিশ্লেষণ না করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেউ অপরাধ না করে শাস্তি পেয়েছেন এমনটা হয় না। তবে শাস্তির মাত্রা নির্ধারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ চোখে পড়ে। কারও ক্ষেত্রে বড় অপরাধ করেও লঘু শাস্তি দেয়া হয়, আবার কেউ ছোট অপরাধ করেও গুরুদণ্ড পায়।

তারা বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট উচ্চ আদালতে রায় সহজেই মেনে নেন। আবার কারও ক্ষেত্রে রায়ের পর আপিল করে, রিভিউ কমিটি করে। সভার সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের একক ক্ষমতাবলে বেশিরভাগ সময় এসব সিদ্ধান্ত তিনি একাই নেন। সিন্ডিকেট সদস্যরা ভিন্নমত দিলেও সেটা আমলে নেয়া হয় না। এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তেমনি সিন্ডিকেটের গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’

সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, শবনম জাহানের বিষয়টি হাইকোর্টের রায় গ্রহণ করে স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। আপিল করা হয়নি। আবার অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বিষয়টি হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একটি ঘটনায় একজন শিক্ষক হাইকোর্টে জিতেছেন। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর রিভিউ হয়েছে সেখানেও তিনি জিতেছেন, আপিল বিভাগে জিতেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় রিভিউ করেছে সেটাতেও তিনি জিতেছেন। এর পরও রিভিউ পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী কিছু শিক্ষক তাকে পছন্দ করেন না।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদী বাম ধারার রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখান। এ কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রভাবশালী শিক্ষকই পছন্দ করেন না। সে কারণে তাকে বাগে আনতে সেসময় এই শাস্তি দেয়া হয়।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বিব্রত অন্য শিক্ষকরাও

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর। আমরা সকল প্রক্রিয়া মেনেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। এর পরও কেন আমরা হেরে যাচ্ছি তা খতিয়ে দেখা উচিত। এটা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবীরা তথ্যগুলো যথাযথভাবে উচ্চ আদালতে উপস্থাপন করছেন না। নয়তো বিশ্ববিদ্যালয় যথোপযুক্ত আইনজীবী দিচ্ছেন না। সিদ্ধান্তের পিছনে যে যুক্তিগুলো থাকে তাতে বিশ্ববিদ্যালয় হারার কথা না।’

এই বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা অমিত তালুকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ হাইকোর্ট, কেউ আপিল বিভাগ আবার কেউ নিম্ন আদালত থেকে রায় নিয়ে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সেটা মেনে নিচ্ছে। কিছু ফাঁকফোকর তো অবশ্যই আছে যার কারণে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হচ্ছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে উপ-উপাচার্য বলেন, কারও কার‌ও সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা।


এসএসসিতে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যে-সব পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছেন কিন্তু প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত তাদের তথ্য গুগল ফরমে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে। এ নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতায় থাকা সব অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিদিন কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী (ফরম পূরণকৃত) অনুপস্থিত থাকছে যা বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এমন অবস্থায় আপনার প্রতিষ্ঠানের যে সব পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন কিছু এক বা একাধিক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না বা প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত আছে, তাদের সবার তথ্য গুগল ফরমের মাধ্যমে (লিংক সংযুক্ত) আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, প্রত্যেক অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর জন্য পৃথক-পৃথক ছকে তথ্য পাঠাতে করতে হবে। যতজন অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর তথ্য পাঠাতে করবেন ততবার লিংকে ক্লিক করে পৃথক-পৃথক ফরমে তথ্য পাঠাতে হবে। একজন পরীক্ষার্থীর জন্য একাধিক ছক-ফরম পূরণ করা যাবে না। অনুপস্থিতির কারণ জানার জন্য পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকের (বাবা/মা/পরিবারের অন্য কোন সদস্য/আইনত অভিভাবক) সঙ্গে সশরীরে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

কোন-কোন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। চিঠিতে বিষয়টি অতীব জরুরি বলে জানানো হয়। গুগল ফরমের লিংক: https://forms.gle/47kW2ZVKzCX92Lxz8.


কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

৬ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২১ এপ্রিল) ৬ দফা দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার পর কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সড়ক ও রেল অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন সারাদেশের কারিগরি শিক্ষার্থীরা। এতে জনদূর্ভোগের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়।

এরপর সোমবার কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনের একদল প্রতিনিধি। এ সময় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র প্রতিনিধিদের ০৬ দফা দাবীর মধ্যে যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণের লক্ষ্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (টিএমইডি) আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের সকল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব।

ইতোমধ্যে যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণের লক্ষ্যে এ বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, আইইবি, আইডিইবি এবং ছাত্র প্রতিনিধিসহ ০৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী দাবীগুলো পূরণে এ কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। সেসব সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে এসব বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ঘোষণা দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রদের কর্মসূচী প্রত্যাহারের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা দূর হয়ে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সচিব।


৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

আগামী ৮-১৯ মে অনুষ্ঠেয় ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী প্রবেশ করতে পারবে না।

আজ রোববার বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পরীক্ষার হলে বই-পুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, সায়েন্টিফিক বা প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটরসহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের অনুরূপ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী সাথে না আনার জন্য সকল প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে এবং এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবে না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ পরীক্ষার আগে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

পরীক্ষার হলে কোনো প্রার্থীর কাছে নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গৃহীতব্য সকল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোনো অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘটনে সহায়তা করলে, তিনি যে ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করবেন বা সংঘটনে সহায়তা করবেন, সে ধারায় বর্ণিত দন্ডে দণ্ডিত হবেন।


ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নতুন অধ্যক্ষ সাহেলা পারভিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাহেলা পারভিন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে সাহেলা পারভিনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এ আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের পদত্যাগসহ ছয়দফা দাবিতে বুধবার দিনব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে একযোগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে রেল ব্লকেড করার ঘোষণা দেন তারা। নতুন এ কর্মসূচি দিয়ে রাতে সড়ক ছাড়েন তারা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতেই বর্তমান অধ্যক্ষকে তা পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে জানা গেছে।


ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে তা রোডম্যাপে উল্লেখ নেই।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই রোডম্যাপ এর কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন মনে করে, ডাকসু প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদেরও ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ আছে। সে কারণেই বর্তমান প্রশাসন ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ডাকসু নির্বাচন সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতি সংবলিত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হলো।

গণমাধ্যমে পাঠানো রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, ডাকসু নিয়ে অংশীজনদের আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।

একই মাসে ডাকসু সংশোধিত গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে তা ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়। এর আগে এ বিষয়ে ছয়টি সভা করা হয়। এই গঠনতন্ত্র এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ‘ডাকসু ইলেকশন কোড অব কনডাক্ট রিভিউ কমিটি’ করা হয়। তারা সাতটি সভা করে। এটিও চূড়ান্ত হওয়ার পর এখন তা সিন্ডিকেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, মে মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। একই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।


কুয়েটের ৩৭ শিক্ষাথী বহিষ্কার

৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু, হল খুলবে ২ মে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজজামান শেখ এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮ তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ (সাইত্রিশ) জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে এবং সকল আবাসিক হলগুলো আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার(১৪ এপ্রিল) রাত থেকেই হল খুলে দিতে হবে। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানায়নি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেকদিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধের উপক্রম।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।


বর্ণাঢ্য আয়োজনে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক আয়োাজনে উৎসবমুখর ক্যাম্পাস
ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জবি প্রতিনিধি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপিত হয়েছে। নববর্ষে শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
আজ সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নববর্ষ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা ও প্রকাশনা প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ।
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এর নেতৃত্বে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নববর্ষ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে সমাপ্ত হয়। নববর্ষ শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
এবারের নববর্ষ উদযাপনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো”।

চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শোভাযাত্রায় সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চড়কি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, গরুসহ বড় গরুর গাড়ির স্থাপত্যসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনসমূহ প্রদর্শিত হয়।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা এবং ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য মহোদয়। এবারই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন স্টলে স্থান পায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী পণ্য, খাদ্যদ্রব্য ও শিল্পকর্ম।
এদিন সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “১৪৩১ বঙ্গাব্দে দেশের মানুষের অসাধারণ ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলে আমরা আজ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নববর্ষ একটি মুক্ত পরিবেশে উদযাপন করতে পারছি। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।”


বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবন চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় জমে ওঠে এক প্রাণবন্ত উৎসব। এ বিভাগ পরিবেশন করে হৃদয়ছোঁয়া সঙ্গীত। নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এছাড়াও, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী উপস্থাপন করে নানা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় বিকাল ৩টায় ব্যান্ড সংগীত ও কনসার্টের মনোমুগ্ধকর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ উপস্থিত সকল দর্শক প্রাণভরে উপভোগ করেন উৎসবের রঙিন আমেজ। বৈশাখের রঙে রাঙানো এ আয়োজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেয় উৎসবের এক উচ্ছ্বসিত আবেশ। নববর্ষের এই অনুষ্ঠান বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।


এসএসসি পরীক্ষা শুরু আজ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার থেকে এক যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছে কমিটি।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এবারও বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হবে বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের ও সহজ বাংলা দ্বিতীয় পত্র দিয়ে। নির্দিষ্ট দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।

এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় এক লাখ। শুধু তাই নয়, বিগত পাঁচ বছরে এবারই সবচেয়ে কম শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। এছাড়া ২০২৩ সালে ছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন, ২০২২ সালে ছিল ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন এবং ২০২১ সালে ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী।

এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন। এদিকে এবারের এসএসসি ও সমমানে গণিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। এ পরীক্ষা আগামী ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নতুন এই রুটিন প্রকাশ করেছে। এর আগে এই পরীক্ষা ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডের ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নানা আলোচনার পর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গণিতের পরীক্ষা পিছিয়ে নতুন রুটিন প্রকাশ করল।

লিখিত পরীক্ষা ৮ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে আবার সময়সূচি সংশোধন করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু বৈসাবি উৎবের কারণে এই পরীক্ষা ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ২০ এপ্রিলের গণিত পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার পরে আবার পরিবর্তন আনা হয়েছে সময়সূচিতে।


ঢাবিতে ঈদ র‌্যালি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৫ ১৮:৪০
ঢাবি প্রতিনিধি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ঈদ র‌্যালি বের করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন। ঈদের দিন সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ'য় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর র‌্যালি শুরু হয়ে তা টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করবেন।

এর আগে গত ২৩ মার্চ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, এবার ঢাকায় ঈদের নামাজ শেষে সরকারি উদ্যোগে সুলতানি ও মোঘল আমলের রীতি অনুযায়ী থাকবে ঈদের আনন্দ মিছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার-পরবর্তী সময়ে ঈদ আনন্দকে নতুন ও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে থাকবে ঈদ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জানা গেছে, সেই ঘোষণার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদ মিছিল আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।


এবছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।

আজ বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-

১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

২. ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।

৩. পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

৪. সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।

৫. সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।

৬. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।

৭. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।

৮. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৯. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।


কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একা‌ডে‌মিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়া‌রি পর্যন্ত স্থ‌গিত করা হ‌য়ে‌ছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সি‌ন্ডি‌কে‌টের এক জরু‌রি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় গতকাল হামলায় জড়িতদের বহিষ্কার, বহিরাগতের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসা খরচসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কুয়েট উপাচার্য এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।

মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।


অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে উদযাপন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এই বিশেষ দিনটি ছিল ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের জন্য একটি ক্রীড়া ও একতার উৎসব, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দলগত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের রোমাঞ্চকর দৌড়, রিলে রেস, উচ্চ লম্ফ ও দীর্ঘ লম্ফের মতো নানা আয়োজন ছিল সারা দিন। যেমন খুশি তেমন সাজো’র মত নজরকারা আয়োজনও ছিল সারা দিনব্যাপি।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধারাভাষ্যকার এবং বর্তমান বিপিএল (ক্রিকেট) (টেকনিকাল) চেয়ারম্যান এ এস এম রকিবুল হাসান। তিনি তার অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্যের মাধ্যমে তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জোবেরা রহমান লিনু- যিনি টেবিল টেনিসে টানা ১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী।

এছাড়াও, বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিইও মোহাম্মদ আবু কায়েস জাহাদি, পরিচালক তুবা আরবাব। পুরো দিনটি ছিল আনন্দময় এবং উৎসবমুখর, যেখানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুলের ঐক্য এবং খেলাধুলার চেতনা উদযাপিত হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে এই কর্মসূচি শুরু করেছে বলে জানা যায়।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’ এক সভা করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। না হলে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এতে কলেজগুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। তবে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আমরা অনড় রয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচির পর গত ৭ জানুয়ারি শিক্ষালয়টির প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।


banner close